আক্বীদাগতভাবে মিশরীয়দের অথবা মুসলিম ও খ্রীস্টানদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।নাউজুবিল্লাহ

মুহাম্মাদ মুরসী বলেন: 
আক্বীদাগতভাবে মিশরীয়দের অথবা মুসলিম ও খ্রীস্টানদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।নাউজুবিল্লাহ
-----------------------------------------------------------------------
মেহওয়ার চ্যানেলের ৯০ মিনিটের একটি ইন্টারভিউতে মুহাম্মাদ মুরসী( মিশরের ইখওয়ানী লিডার) বলেন:
"কিছু পার্থক্য আছে কিন্তু সেগুলো আক্বীদাগত নয়। এটা সম্ভব নয় যে তাদের (মুসলিম ও খ্রিস্টান) মধ্যে আক্বীদাহগত পার্থক্য থাকবে, প্রকৃতপক্ষে এটা অসম্ভব। মিশরীয়দের মধ্যে মৌলিক আক্বীদাহগত কোনো পার্থক্য নেই। গোটা মিশরীয়দের মধ্যে মুসলিম ও খ্রিস্টানে আক্বীদাহগত কোনো পার্থক্য নেই। কোনো পার্থক্য নেই মুসলিমদের আক্বীদাহ ও খ্রিস্টানদের আক্বীদাহয়। সকলেই তাই বিশ্বাস করে যা সে চায়। পার্থক্য শুধু চরিত্রে, পথ ও পদ্ধতিতে। এটা আক্বীদাহ'র অন্তর্ভুক্ত নয় এবং এটা আক্বীদাহ'র অন্তর্ভুক্ত হওয়া সম্ভব নয়।
------
❒ আশ শাইখুল আল্লামাহ, ইমাম সালিহ আল ফাওজান হাফিয্বাহুল্লাহ এই বিষয়ে উত্তর দেন যখন উনাকে প্রশ্ন করা হয়,
"সে ব্যক্তির ব্যাপারে হুকুম কি যে বলে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে আক্বীদহগত কোনো পার্থক্য নেই রাজনৈতিক সুবিধা হাসিল করার উদ্দেশ্যে?
.
উত্তরে শাইখ [ হাফিয্বাহুল্লাহ ] বলেন,
আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই...... তাদের
(মুসলিম ও খ্রিস্টান) আক্বীদাহ এক নয়। আমাদের আক্বীদাহ একান্তই আমাদের। খ্রিস্টানদেরটা খ্রিস্টানদের। আমাদের আক্বীদাহ হচ্ছে তাওহীদ যা ইব্রাহীম (আ:) এর ধর্ম, এটা কি ত্রিত্ববাদের মতো? আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুক। দুনিয়াবী ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এরূপ বলা জায়েজ না।
হ্যাঁ, এটা জায়েজ যে, সেসব বিষয়ে খ্রিস্টানদের সাথে একমত হওয়া যা আমাদের ধর্মে আছে এবং এতে আমাদের ধর্মের কোনো ক্ষতি হবে না। তাদের সাথে আমাদের চুক্তি একটি বিষয়ে এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেছেন, কিন্তু আমরা যদি তাদের ধর্মের ব্যাপারে খুশি হই অথবা তাদের ধর্মের প্রশংসা করি, তাহলে এটা হচ্ছে আল্লাহর সাথে কুফরী। না'আম।
-------
❒ ফাদ্বীলাতুশ শাইখ মতিউর রাহমান মাদানী হাফিয্বাহুল্লাহ বলেন,
ইখওয়ানীরা দ্বীন কায়েমের নামে ধোঁকাবাজি করছে! এদের বড় বড় মুরুব্বীরা (যেমন ইউসুফ আল কারজাভী, ড.মুহাম্মদ মুরসী ) বলেছেন, মুসলিম আর খ্রিস্টানদের মধ্যে আক্বীদাহগত কোন পার্থক্য নাই! আমি নিজ কানে শুনেছি তার এই বক্তব্য!
খ্রিস্টানরাও নাকি তাওহীদবাদী! বলুন এর হুকুম কি হতে পারে? সুতরাং এদের বক্তব্য থেকে এদের উদ্দেশ্য বুঝতে চেস্টা করুন। ধোঁকা খাবেন না!
--------
❒ নোট:
এটা ইখুয়ানীদের নিকট থেকে কোনো সারপ্রাইজ না যখন তাদের গুরুই সাইয়েদ কুতুব বলে যে, ইসলাম হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্ম ও কম্যুনিজমের একটি উপযুক্ত মিশ্রণ।
মারাকাত উল ইসলাম ওয়ার রাসামালিয়্যাহ এর ১৩ তম সংস্করণে (১৯৯৩ সালে প্রকাশিত) সাইয়েদ কুতুব আরো বলেন,
"এটা ইসলামের জন্য বিবেচনা করা প্রয়োজনীয় যে এটা(ইসলাম) খ্রিস্টান ধর্ম ও কম্যুনিজমের মাধ্যমে ঢালাই এবং গঠিত হয়ে অদ্বিতীয়, গঠনমূলক, প্রত্যক্ষবাদী হয়ে উঠেছে, খ্রিস্টানধর্ম ও কম্যুনিজমের উপযুক্ত মিশ্রণ হয়েছে। যেটা তাদের সকলের (খ্রিস্টানধর্ম ও কম্যুনিজম) উদ্দেশ্য ধারণ করে। এছাড়াও তাদের সাথে সাদৃশ্য, ভারসাম্য, ন্যায্যতা রাখে।
---

Post a Comment

0 Comments