মসজিদকে আল্লাহর ঘর এবং মাদরাসাকে নবীর ঘর বলা কি ঠিক? মসজিদের মর্যাদা এবং এর প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কতর্ব্য
▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
প্রশ্ন: আমাদের সমাজে মসজিদকে 'আল্লাহর ঘর' এবং মাদরাসাকে 'নবীর ঘর' বলা হয়। এটা কি ঠিক?
- মসজিদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কি?
উত্তর:
'মসজিদসমূহ 'আল্লাহর ঘর-এবং তার নিকট সবচেয়ে প্রিয় স্থান' এটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
তবে 'মাদরাসা সমূহ নবীর ঘর' এমন কথা হাদিসে আসে নি। তবে মাদরাসায় যেহেতু আল্লাহ বাণী, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস এবং দ্বীন ইসলাম শিখানো হয় সেহেতু এটিও আল্লাহর রহমত, বরকত ও প্রিয় স্থান-এতে কোনো সন্দেহ নাই।
উল্লেখ্য যে, আমাদের সমাজে হাদিসের নামে নিম্নোক্ত কথাটি প্রচলিত রয়েছে:
اَلْمَسْجِدُ بَيْتُ اللهِ وَالْمَدْرَسَةُ بَيْتِيْ
‘‘মসজিদ আল্লাহর বাড়ি এবং মাদরাসা আমার আমার ঘর।’’
কিন্তু হাদীসের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা, যা কোনো সহীহ, যয়ীফ বা জাল সনদেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয় নি।
♻ মসজিদের ব্যাপারে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে কয়েকটি হল:
🕌 মসজিদ আল্লাহর নিকট দুনিয়ার সবচেয়ে প্রিয় স্থান:
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
أَحَبُّ الْبِلاَدِ إِلَى اللَّهِ مَسَاجِدُهَا وَأَبْغَضُ الْبِلاَدِ إِلَى اللَّهِ أَسْوَاقُهَا
"আল্লাহ তাআলার জন্য নিকট সবচাইতে পছন্দনীয় স্থান হল মসজিদ এবং সবচাইতে অ পছন্দনীয় স্থান বাজার।"(সহিহ মুসলিম হা/1402)
🕌 মসজিদ আল্লাহর ঘর:
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عن أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ تَعَالَى يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ إِلاَّ نَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَحَفَّتْهُمُ الْمَلاَئِكَةُ وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ " .
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: " যখন কিছু মানুষ আল্লাহর কোনো ঘরে (মসজিদে) সমবেত হয়ে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে এবং পরস্পরে তা নিয়ে আলোচনা করে, তখন তাদের উপর প্রশান্তি বর্ষিত হয়, তাদেরকে রহমত ঢেকে নেয়, ফেরেশতাগণ তাদেরকে ঘিরে রাখে এবং আল্লাহ তাঁর নিকটস্থ ফেরেশতাদের কাছে তাদের প্রশংসা করেন।"
(সহীহ মুসলিম হা/1455)
🕋 দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মসজিদ হল কাবা শরীফ। আল্লাহ তাআলা এই কাবাকে 'তাঁর ঘর' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন: নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِذۡ جَعَلۡنَا ٱلۡبَيۡتَ مَثَابَةٗ لِّلنَّاسِ وَأَمۡنٗا وَٱتَّخِذُواْ مِن مَّقَامِ إِبۡرَٰهِـۧمَ مُصَلّٗىۖ وَعَهِدۡنَآ إِلَىٰٓ إِبۡرَٰهِـۧمَ وَإِسۡمَٰعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيۡتِيَ لِلطَّآئِفِينَ وَٱلۡعَٰكِفِينَ وَٱلرُّكَّعِ ٱلسُّجُودِ
"যখন আমি কা’বা গৃহকে মানুষের জন্যে সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গা (মাকামে ইব্রাহীম) কে নামাযের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার ঘরকে তওয়াফ কারী, ইতিকাফ কারী ও রুকু-সেজদা কারীদের জন্য পবিত্র রাখ।" (সূরা বাকারা: ১২৫)
🔰 কেন মসজিদ কে 'আল্লাহর ঘর' বলা হয়েছে? এর প্রতি আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য কি?
মসজিদের প্রতি গুরুত্ব এবং সম্মান বুঝাতে এগুলোকে "আল্লাহর ঘর" বলা হয়েছে। কেননা মসজিদ নির্মাণ করার উদ্দেশ্য হল, এক আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া ও ইস্তিগফার, কুরআন তিলাওয়াত, কুরআনের জ্ঞান শিক্ষা এবং কেবল তাঁকে সেজদা করার উদ্দেশ্যে।
সুতরাং মসজিদ সমূহ যেহেতু পৃথিবীতে আল্লাহর ঘর সেহেতু আল্লাহর ঘর সমূহের সম্মান রক্ষা করা, তা হেফাজত করা এবং তার হক আদায় করা আমাদের জন্য অপরিহার্য।
💠 যে ব্যক্তির আল্লাহর উদ্দেশ্যে মসজিদ তৈরি করবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করবেন। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلَّهِ بَنَى اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ مِثْلَهُ "
"যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশে মসজিদ তৈরি করবে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন।" (সহিহ মুসলিম, মসজিদ নির্মাণের ফযিলত হা/৭৩৬১)
💠 মসজিদে একটি হক হল, মসজিদে প্রবেশ করে বসতে চাইলে প্রথমে আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু রাকাত সালাত আদায় করা। এটি সুন্নতে মুআক্কাদা বা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। হাদিসে দু রাকাত সালাতের পূর্বে বসতে নিষেধ করা হয়েছে। এই দুই রাকাত সালাত কে বলা হয় তাহিয়াতুল মসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ।
💠 মসজিদের প্রতি কোনরূপ অসম্মান বা অবহেলা প্রদর্শন করা বা মসজিদে ময়লা-আবর্জনা ফেলা জায়েজ নেই।
💠 মসজিদকে পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও সুগন্ধিময় রাখা এবং মসজিদের সেবা করা অত্যন্ত সম্মানজনক কাজ।
💠 হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মসজিদে যাতায়াত করা ঈমানের পরিচায়ক।
💠 আরও বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন সাত শ্রেণীর মানুষকে আরশের ছায়া তলে আশ্রয় দিয়ে ধন্য করবেন। তাদের মধ্যে এক শ্রেণীর মানুষ হল, যাদের মন সব সময় মসজিদে লেগে থাকে। অর্থাৎ আজান হলেই দুনিয়াবি কাজকর্ম ছেড়ে মসজিদে ছুটে যায় সালাত আদায় করার জন্য।
💠 মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করা ও হারানো বস্তু খোঁজা নিষেধ।
এ ছাড়াও কুরআন-হাদিসে মসজিদের অসংখ্য মর্যাাদা বর্ণিত হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মসজিদ অভিমুখী হওয়ার এবং মসজিদের সম্মান রক্ষা করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, KSA
fb/AbdullaahilHadi
▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
প্রশ্ন: আমাদের সমাজে মসজিদকে 'আল্লাহর ঘর' এবং মাদরাসাকে 'নবীর ঘর' বলা হয়। এটা কি ঠিক?
- মসজিদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য কি?
উত্তর:
'মসজিদসমূহ 'আল্লাহর ঘর-এবং তার নিকট সবচেয়ে প্রিয় স্থান' এটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
তবে 'মাদরাসা সমূহ নবীর ঘর' এমন কথা হাদিসে আসে নি। তবে মাদরাসায় যেহেতু আল্লাহ বাণী, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদিস এবং দ্বীন ইসলাম শিখানো হয় সেহেতু এটিও আল্লাহর রহমত, বরকত ও প্রিয় স্থান-এতে কোনো সন্দেহ নাই।
উল্লেখ্য যে, আমাদের সমাজে হাদিসের নামে নিম্নোক্ত কথাটি প্রচলিত রয়েছে:
اَلْمَسْجِدُ بَيْتُ اللهِ وَالْمَدْرَسَةُ بَيْتِيْ
‘‘মসজিদ আল্লাহর বাড়ি এবং মাদরাসা আমার আমার ঘর।’’
কিন্তু হাদীসের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা, যা কোনো সহীহ, যয়ীফ বা জাল সনদেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয় নি।
♻ মসজিদের ব্যাপারে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে কয়েকটি হল:
🕌 মসজিদ আল্লাহর নিকট দুনিয়ার সবচেয়ে প্রিয় স্থান:
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
أَحَبُّ الْبِلاَدِ إِلَى اللَّهِ مَسَاجِدُهَا وَأَبْغَضُ الْبِلاَدِ إِلَى اللَّهِ أَسْوَاقُهَا
"আল্লাহ তাআলার জন্য নিকট সবচাইতে পছন্দনীয় স্থান হল মসজিদ এবং সবচাইতে অ পছন্দনীয় স্থান বাজার।"(সহিহ মুসলিম হা/1402)
🕌 মসজিদ আল্লাহর ঘর:
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عن أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ تَعَالَى يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ إِلاَّ نَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَحَفَّتْهُمُ الْمَلاَئِكَةُ وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ " .
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: " যখন কিছু মানুষ আল্লাহর কোনো ঘরে (মসজিদে) সমবেত হয়ে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে এবং পরস্পরে তা নিয়ে আলোচনা করে, তখন তাদের উপর প্রশান্তি বর্ষিত হয়, তাদেরকে রহমত ঢেকে নেয়, ফেরেশতাগণ তাদেরকে ঘিরে রাখে এবং আল্লাহ তাঁর নিকটস্থ ফেরেশতাদের কাছে তাদের প্রশংসা করেন।"
(সহীহ মুসলিম হা/1455)
🕋 দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মসজিদ হল কাবা শরীফ। আল্লাহ তাআলা এই কাবাকে 'তাঁর ঘর' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন: নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِذۡ جَعَلۡنَا ٱلۡبَيۡتَ مَثَابَةٗ لِّلنَّاسِ وَأَمۡنٗا وَٱتَّخِذُواْ مِن مَّقَامِ إِبۡرَٰهِـۧمَ مُصَلّٗىۖ وَعَهِدۡنَآ إِلَىٰٓ إِبۡرَٰهِـۧمَ وَإِسۡمَٰعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيۡتِيَ لِلطَّآئِفِينَ وَٱلۡعَٰكِفِينَ وَٱلرُّكَّعِ ٱلسُّجُودِ
"যখন আমি কা’বা গৃহকে মানুষের জন্যে সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গা (মাকামে ইব্রাহীম) কে নামাযের জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার ঘরকে তওয়াফ কারী, ইতিকাফ কারী ও রুকু-সেজদা কারীদের জন্য পবিত্র রাখ।" (সূরা বাকারা: ১২৫)
🔰 কেন মসজিদ কে 'আল্লাহর ঘর' বলা হয়েছে? এর প্রতি আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য কি?
মসজিদের প্রতি গুরুত্ব এবং সম্মান বুঝাতে এগুলোকে "আল্লাহর ঘর" বলা হয়েছে। কেননা মসজিদ নির্মাণ করার উদ্দেশ্য হল, এক আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া ও ইস্তিগফার, কুরআন তিলাওয়াত, কুরআনের জ্ঞান শিক্ষা এবং কেবল তাঁকে সেজদা করার উদ্দেশ্যে।
সুতরাং মসজিদ সমূহ যেহেতু পৃথিবীতে আল্লাহর ঘর সেহেতু আল্লাহর ঘর সমূহের সম্মান রক্ষা করা, তা হেফাজত করা এবং তার হক আদায় করা আমাদের জন্য অপরিহার্য।
💠 যে ব্যক্তির আল্লাহর উদ্দেশ্যে মসজিদ তৈরি করবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে ঘর তৈরি করবেন। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلَّهِ بَنَى اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ مِثْلَهُ "
"যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশে মসজিদ তৈরি করবে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর নির্মাণ করবেন।" (সহিহ মুসলিম, মসজিদ নির্মাণের ফযিলত হা/৭৩৬১)
💠 মসজিদে একটি হক হল, মসজিদে প্রবেশ করে বসতে চাইলে প্রথমে আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু রাকাত সালাত আদায় করা। এটি সুন্নতে মুআক্কাদা বা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। হাদিসে দু রাকাত সালাতের পূর্বে বসতে নিষেধ করা হয়েছে। এই দুই রাকাত সালাত কে বলা হয় তাহিয়াতুল মসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ।
💠 মসজিদের প্রতি কোনরূপ অসম্মান বা অবহেলা প্রদর্শন করা বা মসজিদে ময়লা-আবর্জনা ফেলা জায়েজ নেই।
💠 মসজিদকে পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও সুগন্ধিময় রাখা এবং মসজিদের সেবা করা অত্যন্ত সম্মানজনক কাজ।
💠 হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মসজিদে যাতায়াত করা ঈমানের পরিচায়ক।
💠 আরও বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন সাত শ্রেণীর মানুষকে আরশের ছায়া তলে আশ্রয় দিয়ে ধন্য করবেন। তাদের মধ্যে এক শ্রেণীর মানুষ হল, যাদের মন সব সময় মসজিদে লেগে থাকে। অর্থাৎ আজান হলেই দুনিয়াবি কাজকর্ম ছেড়ে মসজিদে ছুটে যায় সালাত আদায় করার জন্য।
💠 মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করা ও হারানো বস্তু খোঁজা নিষেধ।
এ ছাড়াও কুরআন-হাদিসে মসজিদের অসংখ্য মর্যাাদা বর্ণিত হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মসজিদ অভিমুখী হওয়ার এবং মসজিদের সম্মান রক্ষা করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, KSA
fb/AbdullaahilHadi
0 Comments