নামাজ রত অবস্থায় ঘরের দরজা খুলে দেয়ার বিধান
▬▬▬▬▲✪▲▬▬▬▬
প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন হল,এমন কিছু সময় আসে যখন বাসায় একা থাকতে হয়। এখন সলাত পড়ার সময় যদি কেউ দরজা নক করে বা কলিং বেল টিপে তাহলে কি সলাত ছেড়ে দিয়ে দরজা খোলাটা জায়েজ হবে নাকি সলাত কন্টিনিউ করা জরুরি? আমি যতটুকু জানি, ফরজ সলাতরত অবস্থা থাকলে তা ছেড়ে কোনভাবেই উঠা যাবে না। তাহলে সুন্নত ও নফলের ক্ষেত্রেও কি একই বিধান প্রযোজ্য হবে? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর:
নামায পড়ার সময় কেউ যদি ঘরের ভিতরে আসার জন্য দরজায় করাঘাত করে বা কলিং বেল টিপে তখন করণীয় হল, গলায় কাশি দেয়া বা 'সুবহানাল্লাহ' 'সুবহানাল্লাহ' পড়া। মহিলা হলে হাতে তালি দেয়া। এতে আগন্তক ব্যক্তি বুঝতে পারবে যে, আপনি নামায পড়ছেন । ফলে সে নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
কিন্তু সে যদি আপনার আওয়াজ না শোনে এবং দরজা কিবলার দিকে সামান্য দূরত্বে থাকে তাহলে হেঁটে গিয়ে তা খুলে দেয়া জায়েয রয়েছে। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বগৃহে দরজার খিল বন্ধ করে নফল নামায পড়ছিলেন। মা আয়েশা রা. এসে দরজা খুলতে বললে তিনি হেঁটে গিয়ে তাঁর জন্য দরজা খুলে দিলেন। অতঃপর পুনরায় নিজের মুসাল্লায় ফিরে গেলেন। অবশ্য দরজা ছিল কিবলার দিকেই। (আহমাদ, মুসনাদ ৬/২৩৪, আবূদাঊদ, সুনান ৯২২, তিরমিযী, সুনান ৬০১, নাসাঈ, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ, আবু য়্যা’লা ৪৪০৬, দারাকুত্বনী, সুনান, বায়হাকী ২/২৬৫, মিশকাত ১০০৫ নং)
তবে দরজা দূরে থাকলে এবং দরজা খুলতে বিলম্ব করার কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে নামাজ ছেড়ে দিবে এবং গিয়ে দরজা খুলে তারপর পুনরায় নতুন ভাবে নামাজ আদায় করবে।
দরজার খোলার ক্ষেত্রে ফরজ, সুন্নত কিংবা নফল সালাতে কোনো পার্থক্য নেই। তবে ফরজ সালাত হলে দরজা খোলার জন্য তাড়াহুড়া করবে না। বরং যদি দরজা খোলায় বিলম্ব হওয়ার কারণে ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বা খুব জরুরী মনে হয় তাহলে দরজা খুলে ফিরে এসে বাকি নামাজ পূর্ণ করবে।
আল্লাহ আলাম।
▬▬▬▬▲✪▲▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
fb/AbdullaahilHad
জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, KSA
▬▬▬▬▲✪▲▬▬▬▬
প্রশ্ন: আমার প্রশ্ন হল,এমন কিছু সময় আসে যখন বাসায় একা থাকতে হয়। এখন সলাত পড়ার সময় যদি কেউ দরজা নক করে বা কলিং বেল টিপে তাহলে কি সলাত ছেড়ে দিয়ে দরজা খোলাটা জায়েজ হবে নাকি সলাত কন্টিনিউ করা জরুরি? আমি যতটুকু জানি, ফরজ সলাতরত অবস্থা থাকলে তা ছেড়ে কোনভাবেই উঠা যাবে না। তাহলে সুন্নত ও নফলের ক্ষেত্রেও কি একই বিধান প্রযোজ্য হবে? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর:
নামায পড়ার সময় কেউ যদি ঘরের ভিতরে আসার জন্য দরজায় করাঘাত করে বা কলিং বেল টিপে তখন করণীয় হল, গলায় কাশি দেয়া বা 'সুবহানাল্লাহ' 'সুবহানাল্লাহ' পড়া। মহিলা হলে হাতে তালি দেয়া। এতে আগন্তক ব্যক্তি বুঝতে পারবে যে, আপনি নামায পড়ছেন । ফলে সে নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
কিন্তু সে যদি আপনার আওয়াজ না শোনে এবং দরজা কিবলার দিকে সামান্য দূরত্বে থাকে তাহলে হেঁটে গিয়ে তা খুলে দেয়া জায়েয রয়েছে। যেমন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বগৃহে দরজার খিল বন্ধ করে নফল নামায পড়ছিলেন। মা আয়েশা রা. এসে দরজা খুলতে বললে তিনি হেঁটে গিয়ে তাঁর জন্য দরজা খুলে দিলেন। অতঃপর পুনরায় নিজের মুসাল্লায় ফিরে গেলেন। অবশ্য দরজা ছিল কিবলার দিকেই। (আহমাদ, মুসনাদ ৬/২৩৪, আবূদাঊদ, সুনান ৯২২, তিরমিযী, সুনান ৬০১, নাসাঈ, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ, আবু য়্যা’লা ৪৪০৬, দারাকুত্বনী, সুনান, বায়হাকী ২/২৬৫, মিশকাত ১০০৫ নং)
তবে দরজা দূরে থাকলে এবং দরজা খুলতে বিলম্ব করার কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে নামাজ ছেড়ে দিবে এবং গিয়ে দরজা খুলে তারপর পুনরায় নতুন ভাবে নামাজ আদায় করবে।
দরজার খোলার ক্ষেত্রে ফরজ, সুন্নত কিংবা নফল সালাতে কোনো পার্থক্য নেই। তবে ফরজ সালাত হলে দরজা খোলার জন্য তাড়াহুড়া করবে না। বরং যদি দরজা খোলায় বিলম্ব হওয়ার কারণে ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বা খুব জরুরী মনে হয় তাহলে দরজা খুলে ফিরে এসে বাকি নামাজ পূর্ণ করবে।
আল্লাহ আলাম।
▬▬▬▬▲✪▲▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
fb/AbdullaahilHad
জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, KSA
0 Comments