সদকায়ে জারিয়া: আখিরাতের জন্য ইনভেস্ট
▬▬▬➰▬▬▬
প্রশ্ন: সদকায়ে জারিয়া কাদের দেয়া যাবে কুরআন সুন্নাহর আলোকে জানতে চাই।
উত্তর:
সাদকায়ে জারিয়া (প্রবহমান/স্থায়ী দান) হল এমন দান, যা থেকে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে মানুষ উপকৃত হয়।
যেমন:
- মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণ।
- জনকল্যাণ মূলক কাজের উদ্দেশ্যে জায়গা-জমি ওয়াকফ (দান)।
- রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণ।
- দুঃস্থ, অসহায় ও এতিমদের জন্য বাসস্থান।
- দাতব্য চিকিৎলয় স্থাপন।
- ইসলামি লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা বা তাতে বই-পুস্তক কিনে দেয়া।
- কুরআন শিক্ষা দেয়া বা কুরআন দান করা।
- ইসলাম সম্পর্কে বই-পুস্তক লেখা।
- ইন্টারনেট বা বিনামূল্যে বই-পুস্তক ও দ্বীন শিক্ষার উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করা।
- গরীব অসহায় তালিবুল ইলম (দ্বীন শিক্ষার্থী)এর লেখাপড়ার পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং তার বই-পুস্তক এর ব্যবস্থা করে দেয়া।
- গরিব ও অসমর্থ লোকদের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করা।
- গরিব অথবা সর্ব সাধারণের পানি পানের উদ্দেশ্য টিউব ওয়েল স্থাপন।
- রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের জীবন রক্ষা করা ইত্যাদি।
সাদকায়ে জারিয়ার মাধ্যমে মানুষ মৃত্যুর পরেও কবরে থেকে সওয়াব লাভ করতে থাকে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ ».
অর্থ: মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩ টি আমল বন্ধ হয় না-
- ১. সদকায়ে জারিয়া
- ২. এমন জ্ঞান-যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়
- ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দু‘আ করে [সহিহ মুসলিম, হা/৪৩১০]
এক কথায় বলা যায়, সাদকায়ে জারিয়া হল, আখিরাতের জন্য ইনভেস্ট।
যার বেনিফিট মৃত্যুর পরেও একজন মানুষের আমলনামায় জমা হতেই থাকে।
সুতরাং মৃত্যুর পূর্বে যথাসম্ভব প্রত্যেকের কিছু সদকায়ে জারিয়ার কাজ করার চেষ্টা করে যাওয়া উচিত।
▬▬▬➰▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
fb/AbdullaahilHadi
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
▬▬▬➰▬▬▬
প্রশ্ন: সদকায়ে জারিয়া কাদের দেয়া যাবে কুরআন সুন্নাহর আলোকে জানতে চাই।
উত্তর:
সাদকায়ে জারিয়া (প্রবহমান/স্থায়ী দান) হল এমন দান, যা থেকে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে মানুষ উপকৃত হয়।
যেমন:
- মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণ।
- জনকল্যাণ মূলক কাজের উদ্দেশ্যে জায়গা-জমি ওয়াকফ (দান)।
- রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণ।
- দুঃস্থ, অসহায় ও এতিমদের জন্য বাসস্থান।
- দাতব্য চিকিৎলয় স্থাপন।
- ইসলামি লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা বা তাতে বই-পুস্তক কিনে দেয়া।
- কুরআন শিক্ষা দেয়া বা কুরআন দান করা।
- ইসলাম সম্পর্কে বই-পুস্তক লেখা।
- ইন্টারনেট বা বিনামূল্যে বই-পুস্তক ও দ্বীন শিক্ষার উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করা।
- গরীব অসহায় তালিবুল ইলম (দ্বীন শিক্ষার্থী)এর লেখাপড়ার পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং তার বই-পুস্তক এর ব্যবস্থা করে দেয়া।
- গরিব ও অসমর্থ লোকদের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করা।
- গরিব অথবা সর্ব সাধারণের পানি পানের উদ্দেশ্য টিউব ওয়েল স্থাপন।
- রক্তদানের মাধ্যমে মানুষের জীবন রক্ষা করা ইত্যাদি।
সাদকায়ে জারিয়ার মাধ্যমে মানুষ মৃত্যুর পরেও কবরে থেকে সওয়াব লাভ করতে থাকে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ ».
অর্থ: মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩ টি আমল বন্ধ হয় না-
- ১. সদকায়ে জারিয়া
- ২. এমন জ্ঞান-যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়
- ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দু‘আ করে [সহিহ মুসলিম, হা/৪৩১০]
এক কথায় বলা যায়, সাদকায়ে জারিয়া হল, আখিরাতের জন্য ইনভেস্ট।
যার বেনিফিট মৃত্যুর পরেও একজন মানুষের আমলনামায় জমা হতেই থাকে।
সুতরাং মৃত্যুর পূর্বে যথাসম্ভব প্রত্যেকের কিছু সদকায়ে জারিয়ার কাজ করার চেষ্টা করে যাওয়া উচিত।
▬▬▬➰▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানি
fb/AbdullaahilHadi
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
0 Comments