Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

#ইন্ডিয়া #মুসলমান #হিন্দু_ধর্মগ্রন্থ #ইরান....ও কিছু কথা।


ইন্ডিয়ায় চলমান #মোবলিন্ছিং ও সংখ্যালুঘু মুসলমানদের উপর উগ্রবাদী হিন্দুদের এই পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের কারন কি? ইন্ডিয়ায় অন্যান্য সংখ্যালুঘু যেমন খ্রিস্টান বা বৌদ্ধরা কেনো এমন অাক্রমণের শিকার হচ্ছেনা?
অধ্যাপক মাওলানা অাখতার ফারুক তার "বাঙ্গালী জাতির ইতিকথা" বই-এ যথার্থই বলেছেন যতোদিন হিন্দুদের কথিত ধর্মিয় গ্রন্থগুলো থাকবে ততোদিন হিন্দুরা বাঙ্গালী ও মুসলমানদের তাদের শত্রু মনে করবে। কারন হিন্দুদের এসব ধর্মিয় গ্রন্থে দুই চতুরাংশ লেখা হয়েছে হাজার হাজার বছরের হিন্দু-বাঙ্গালি তথা মুসলমানদের সাথে লড়ায়ে পড়াজয়ের হিংসা ও ক্ষোভ থেকে। যাদের ধর্মগ্রন্থে বাংঙ্গালিদের অশূর থেকে শুরু করে জারজ পর্যন্ত বলা হয়েছে। তারা কিভাবে অামাদের সহবস্থান গ্রহন করবে? যুগ যুগ ধরে চলে অাসা ধর্মিয় গ্রন্থে প্রভাব মানুষের উপর অনস্বীকার্য।
অধূনা এই হিন্দু ধর্ম যার প্রকৃত নাম অার্য ধর্ম,সেই ধর্মের অাগমন হয়েছিলো বর্তমান ইরান হতে। অার্যরা ভারতে অাসার অাগে এই বঙ্গে নুহ অাঃ এর সন্তান শামের বংশধরেরা সত্যধর্ম নিয়ে অাসে। শুরু করে উন্নত জীবনযাপন, কারন তাদের জীবনের দিশা ছিলো ইসলাম। অার ইরান হতে কাবিলের অভিশপ্ত বংশধরেরা যখন হিমালয় হয়ে ভারতে অাসে তখন এই বর্বর যাযাবর গোষ্টি যাত্রাপথে হিমালয়ের উচ্চতা দেখে হিমালয়কে স্বর্গরাজ্য ভেবে বসে,যার প্রতিফল হিন্দুদের কিতাবে পাবেন। এই যাযাবরেরা প্রথমবারের মতো গুহা দেখে একে পাতালপুরি ভেবে পুজা দেয়!
কিন্তু হিমালয়ের তীব্র ঠান্ডা অার জীবনযাপনের অপ্রতুলতা তাদেরকে ভারত পেরিয়ে প্রচীন বঙ্গের দিকে ধাবিত করে। কুসংস্কার ও অন্ধত্যের গোলামি করা প্রচীন এই ইরানিরা তখন উন্নত কৃষিকাজ ও বাসস্থান ব্যবস্থায় পরিপুর্ন বাঙ্গালীদের দেখে যারপরনাই হিংসায় জ্বলতে থাকে। ফলশ্রুতিতে হিন্দুদের কিতাবে রাম-রাবন-সিতা,বলরাজ-পৃথ্যিরাজ,ইন্দ্রোজিত-কুম্ভুকর্নের সব ইতিহাসের জন্ম। প্রাচীন বাঙ্গালী-অার্যের হাজার বছরের এই যুদ্ধে নিজেদের লজ্জা ও ব্যর্থতা ঢাকতে প্রনয়ন হয় রঙচঙে রামায়ন,গিতা,বেদ।
প্রায় সারে তিন হাজারের বছরের ইতিহাসে বাঙ্গালীরা যতবার সত্যধর্মের খোজ পেয়েছে তা বিনা দিধায় কবুল করেছে কিন্তু এই দীর্ঘ ইতিহাসে বাঙ্গালী কখনও এই প্রকৃতি পুজারি, কুসংস্কারপুর্ন অার্যদের কথিত মহান(!) অার্য ধর্ম গ্রহন করেনি! কারনটা সহজ! বাঙ্গালী সরাসরি অাল্লাহকে বাদ দিয়ে শির্কে লিপ্ত হয়নি! বাঙ্গালিকে শির্ক করাতে হলে তা অাল্লাহকে সাথে রেখেই করাতে হয়! যার প্রমান মাজার পুজারি,পীর পুজারি,বেদাতিরা!
রাম হয়ে রাবনকে পরাজিত করা,ইন্দ্রোজিতের লঙ্কা অাক্রমন! কুম্ভকর্ণের হত্যা!.. এসবই বাঙ্গালি-অার্য যুদ্ধের বিকৃতকাহীনি! দীর্ঘ ইতিহাসে বাঙ্গালিদের কাছে অার্যরা পরাজিত হতে হতে বাঙ্গালিদের রাবন,কুম্ভকর্ণ, অশুর,জারজ..ইত্যাদি বিশেষনেই চিনে!
পৃথিবীর সব জাতির উপর তাদের ধর্মেরগ্রন্থের প্রভাব ব্যপক,হিন্দুদের বেলায় অারও বেশি! যে যতোবেশি গোড়া হিন্দু সে ততোবেশি বাঙ্গালি তথা মুসলিম বিদ্বেষি!অাজ উগ্রবাদি হিন্দুদের নতুন #রামরাজ্য প্রতিষ্ঠায় হাজার বছর অাগের যে যুদ্ধের নতুন পায়তারা চলছে তা ঐ রাম-রাবনের যুদ্ধের অারেক পর্ব ছারা কিছুনা।
অধ্যাপক অাখতার ফারুকের এই বইয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য পেলাম। ভারতীয় অার্যরা তো ইরান হতে এসেছিল, ইউরোপ থেকে শুরু করে সারা পৃথিবীর অার্যরাও ইরান হতেই ছরিয়েছে! ভরতে এই অার্যরা নিজেদের অন্ধত্যের গোলামির দরুন কালক্রমে হিন্দু,ইউরোপের সহ অন্যন্য স্থানের অার্যরা খ্রিস্টান/ইহুদি/বৌদ্ধ ধর্মে রুপান্তরিত হয়!
কিছু মুসলিম হতে কনভার্টেট অন্য ধর্মাবলম্বী হয়েছে তবে গোড়াটা অার্য তথা ইরান হতেই এসেছে!
ইশতিয়াক অাহমেদ

Post a Comment

0 Comments