কোনো অসহায় মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব গ্রহণ ও তার প্রয়োজনীয় খরচ বহন করত: তাকে বিবাহ করা বিরাট সওয়াবের কাজ
▬▬▬▲❥❥▲▬▬▬
প্রশ্ন: একজন ছেলে যদি কোনো অসহায় মেয়ের কিছু খরচ চালায় তাতে কি দুজনের গুনাহ হবে?
উল্লেখ্য যে, খরচ দেয়ার পাশাপাশি ছেলেটি মেয়েটিকে মাদরাসায় পড়ানো ও কুরআন শিক্ষার দায়িত্বও নিতে চায়। ছেলেটি মেয়েটিকে বিয়ের আশায় এসব করবে না কিন্তু সে মেয়েটিকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক।
উত্তর:
কোনো নন মাহরাম ছেলে যদি কোনো অসহায় মেয়ের মাদরাসা শিক্ষা, পড়াশোনা বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অর্থ খরচ করে তাহলে তা খুবেই প্রশংসনীয় কাজ। এতে সে একজন অসহায় মানুষের কল্যাণে অবদান রাখার কারণে বিশাল সওয়াবের অধিকারী হবে। কিন্তু শর্ত হল, খরচ দেয়ার বিষয়টি সম্পন্ন হতে হবে মেয়েটির পিতা/অভিভাবকের মাধ্যমে এবং সে যদি মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায় তাহলে তাও হতে হবে মেয়ের পিতা/অভিভাবকের মাধ্যমে শরিয়ত সম্মত পদ্ধতিতে।
কিন্তু খরচ দেয়ার নামে ছেলে-মেয়ের পারষ্পারিক যোগাযোগ, সম্পর্ক, আর্থিক লেনদেন, দেখাসাক্ষাৎ, বিবাহ নিয়ে কথাবার্তা ইত্যাদি বৈধ নয়। কেননা এতে ক্রমান্বয়ে শয়তান তাদেরকে গুনাহের দিকে ধাবিত করতে পারে-যা উভয়ের জন্য ধ্বংসের কারণ হবে। বিশেষ করে যখন ছেলেটি মেয়েটির জন্য অর্থ খরচ করবে এবং তার সাহায্য ও উপকার করবে তখন খুব স্বাভাবিকভাবে মেয়েটি তার দিকে ঝুঁকে পড়বে এবং তার প্রতি দূর্বলতা অনুভব করবে। যার ফলে এটি উভয়ের সামনে ফেতনার রাস্তাকে উন্মোচিত করার পর্যাপ্ত সম্ভাবনা রয়েছে।
সুতরাং উক্ত ছেলেটি যদি মেয়ের সাথে পার্সনোলভাবে যোগাযোগ বা কথাবার্তা ব্যতিরেকে মেয়ের পিতা/অভিভাবকের মাধ্যমে আর্থিকভাবে সাহায্য করে তাহলে মেয়েটির তা গ্রহন করতে কোনো আপত্তি নাই। অনুরূপভাবে সে মেয়ের অভিভাবকের সম্মতিতে বৈধপন্থায় তাকে বিবাহও করতে পারে। এতে ছেলেটি একটি অসহায় মেয়েকে সহযোগিতা করা এবং তাকে বিবাহ করার কারণে বিশাল সওয়াবের অধিকারী হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমীন।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল (মাদানী)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
▬▬▬▲❥❥▲▬▬▬
প্রশ্ন: একজন ছেলে যদি কোনো অসহায় মেয়ের কিছু খরচ চালায় তাতে কি দুজনের গুনাহ হবে?
উল্লেখ্য যে, খরচ দেয়ার পাশাপাশি ছেলেটি মেয়েটিকে মাদরাসায় পড়ানো ও কুরআন শিক্ষার দায়িত্বও নিতে চায়। ছেলেটি মেয়েটিকে বিয়ের আশায় এসব করবে না কিন্তু সে মেয়েটিকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক।
উত্তর:
কোনো নন মাহরাম ছেলে যদি কোনো অসহায় মেয়ের মাদরাসা শিক্ষা, পড়াশোনা বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অর্থ খরচ করে তাহলে তা খুবেই প্রশংসনীয় কাজ। এতে সে একজন অসহায় মানুষের কল্যাণে অবদান রাখার কারণে বিশাল সওয়াবের অধিকারী হবে। কিন্তু শর্ত হল, খরচ দেয়ার বিষয়টি সম্পন্ন হতে হবে মেয়েটির পিতা/অভিভাবকের মাধ্যমে এবং সে যদি মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায় তাহলে তাও হতে হবে মেয়ের পিতা/অভিভাবকের মাধ্যমে শরিয়ত সম্মত পদ্ধতিতে।
কিন্তু খরচ দেয়ার নামে ছেলে-মেয়ের পারষ্পারিক যোগাযোগ, সম্পর্ক, আর্থিক লেনদেন, দেখাসাক্ষাৎ, বিবাহ নিয়ে কথাবার্তা ইত্যাদি বৈধ নয়। কেননা এতে ক্রমান্বয়ে শয়তান তাদেরকে গুনাহের দিকে ধাবিত করতে পারে-যা উভয়ের জন্য ধ্বংসের কারণ হবে। বিশেষ করে যখন ছেলেটি মেয়েটির জন্য অর্থ খরচ করবে এবং তার সাহায্য ও উপকার করবে তখন খুব স্বাভাবিকভাবে মেয়েটি তার দিকে ঝুঁকে পড়বে এবং তার প্রতি দূর্বলতা অনুভব করবে। যার ফলে এটি উভয়ের সামনে ফেতনার রাস্তাকে উন্মোচিত করার পর্যাপ্ত সম্ভাবনা রয়েছে।
সুতরাং উক্ত ছেলেটি যদি মেয়ের সাথে পার্সনোলভাবে যোগাযোগ বা কথাবার্তা ব্যতিরেকে মেয়ের পিতা/অভিভাবকের মাধ্যমে আর্থিকভাবে সাহায্য করে তাহলে মেয়েটির তা গ্রহন করতে কোনো আপত্তি নাই। অনুরূপভাবে সে মেয়ের অভিভাবকের সম্মতিতে বৈধপন্থায় তাকে বিবাহও করতে পারে। এতে ছেলেটি একটি অসহায় মেয়েকে সহযোগিতা করা এবং তাকে বিবাহ করার কারণে বিশাল সওয়াবের অধিকারী হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমীন।
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল (মাদানী)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
0 Comments