বসে পানি পানের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি জানলে অবাক হবেন আপনিও!

আমরা জানি শরীরের মোট ওজনের শতকরা ৬০ ভাগ হচ্ছে পানি। দেহের কোষ, কলা বা টিস্যু, বিভিন্ন অঙ্গ তথা মস্তিষ্ক, কিডনী, পাকস্থলী, ত্বক, চুল ইত্যাদির যথাযথ কার্যকারীতার জন্য পানি অত্যাবশ্যকীয়। শরীরের সকল প্রকার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন। কিন্তু আপনি জানেন কী পানি দাঁড়িয়ে না বসে পান করতে হয়? যদি বসে পান করতে হয় তবে কেন? আবার দাঁড়িয়ে পান করলে সমস্যা কী?
সাধারণত আমরা জানি পানি বসে পান করা উচিৎ। কিন্তু এই কথার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ক’জন জানি? চলুন জানা যাক:
পানির স্বাস্থ্যগত উপকারীতা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই পানি পানের নিয়মাবলীর দিকে গভীর নজর রাখতে হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, দাঁড়িয়ে পানি পান না করে অবশ্যই বসে থেকে পানি পান করা উচিৎ।
দাঁড়িয়ে পানি পান করা হলে তা দ্রুত কোলন বা মলাশয়ে চলে যায়। ফলে পানির প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপকরণ শরীরে শোষিত হয় না।
দাঁড়িয়ে পান করলে আরও অনেক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি হচ্ছে হজমজনিত সমস্যা, পেট ব্যথা, কিডনী নষ্ট হয়ে যাওয়া, স্নায়ু উত্তেজনা ইত্যাদি। এছাড়াও দাঁড়িয়ে পানি পান করলে অস্থিসন্ধিতে ফ্লুইড জমে গিয়ে আর্থ্রাইটিসের সৃষ্টি করতে পারে।
এসব বিষয় চিন্তা করেই আপনাকে বসে বসেই পানি পান করতে হবে। বসে পান করলে অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আরেকটি কথা, বসে বসে পানি পান করার পাশাপাশি অবশ্যই ছোট ছোট চুমুক বা অল্প অল্প করে পান করবেন। যদি দ্রুত পানি পান করতে থাকেন তবে শরীরের ক্ষতি করছেন।
গরমকাল এসেই গেল। এই গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর পানি পান করা আবশ্যক। সারাদিন কর্মচঞ্চল থাকার জন্য জাপানিরা সকালবেলা খালি পেটে চার গ্লাস পানি পান করে থাকে। পানি পানের ৩০ মিনিট পর নাস্তা করে। সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত থাকতে যথাযথ নিয়ম মেনে পানি পানের বিকল্প নেই। তাহলে আজ থেকেই শত ব্যস্ততার মাঝেও বসে থেকে পানি পানের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তো?

Post a Comment

0 Comments