তাফসীরঃ ফাতহুল মাজীদ
ইসলামিক এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এই. ই.
আর. এফ)
অনুবাদ ও গবেষণা বিভাগ কর্তৃক সংকলিত।ও সম্পাদিত
সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ-আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী
সম্পাদনা পরিষদঃ-
প্রফেসর এ.কে.এম শামসুল আলম
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মুযযাম্মিল আলী
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ লাকমান হুসেন
অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ফারুক সালাফী |
অধ্যাপক ড. সাইফুল্লাহ আল-মাদানী
শায়খ মুস্তফা বিন বাহারুদ্দীন সালাফী
শায়খ ড. হাফিয় রফিকুল আল-মাদানী
শায়খ মাসউদুল আলম উমরী
শায়খ মুফায়যাল হুসাইন আল-মাদানী
শায়খ মুহাম্মদ ঈসা মিয়া আল-মাদানী
শায়খ মুহাম্মদ ইরফান আলী আব্বাস আল-মাদানী
শায়খ হাবিবুর রহমান আল-মাদানী |
শায়খ হাফিয় আনিসুর রহমান আল-মাদানী |
শায়খ ইব্রাহীম বিন আবদুল হালীম আল-মাদানী
শায়খ আব্দুন নূর আবু সাঈদ আল-মাদানী |
শায়খ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ খান আল-মাদানী
শায়খ হাফিয় আনিসুর রহমান আল-মাদানী
শায়খ ইব্রাহীম বিন আবদুল হালীম আল-মাদানী
শায়খ আব্দুন নূর আবু সাঈদ আল-মাদানী
শায়খ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ খান আল-মাদানী
পরিবেশনায়ঃ আল খাইর
পাবলিকেশন্ম, নাজির বাজার, | ঢাকা।
সাম্প্রতিককালে সংকলিত অন্যতম কিছু তাফসীরের মধ্যে
তাফসীর ফাতহুল মাজীদ উল্লেখযোগ্য। এই তাফসীরটি শাইখ মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান
মাদানীর তত্ত্বাবধানে সংকলন করা হয়েছে।
খণ্ড সংখ্যাঃ ৩
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৫৯৮ (৮২৪ + ৯৬০ + ৮১৪)
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫৫০ (৯০০ + ৮৫০ + ৮০০)
তাফসীর ফাতহুল মাজীদ-এর উল্লেখযোগ্য
বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
০১. আরবী আয়াতের পাশাপাশি অতি সহজ - সরল বাংলা
অনুবাদ।
০২. জটিল ও কঠিন শব্দার্থ।
০৩. গ্রহণযোগ্য বর্ণনার আলোকে শানে নুযুল।
০৪. কুরআনুল কারীম ও স্বহীহ হাদীছ ও নির্ভরযোগ্য তাফসীরগ্রন্থের আলোকে সংক্ষিপ্ত তাফসীর সংকলন।
০৫. স্বহীহ আক্বীদাহ ও শারয়ী বিধানমূলক আয়াতের শিক্ষা।
০৬. কুরআন ও সহীহ হাদীছের আলোকে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সমাধান।
০৭. ভিত্তিহীন প্রচলিত তাফসীর সম্পর্কে সতর্কীকরণ।
০৮. তাফসীরে ব্যবহৃত আয়াতসমূহ নম্বর ও সূরাসহ উল্লেখ করা হয়েছে।
০৯. যথাসাধ্য হাদীছের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
১০. সাধ্যানুযায়ী স্বহীহ বুখারী, স্বহীহ মুসলিম, সুনান আবূ দাউদ, সুনান তিরমিযি, সুনান নাসাঈ, সুনান ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক ও মুসনাদে আহমাদ ইত্যাদি হাদীস গ্রন্থের হাদীসসমূহে মাকতাবাহ শামিলার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।
১১. বাংলাভাষী পাঠকদের সহজ পাঠের জন্য আরবী বিশেষ ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
১২. সর্বোপরি উন্নতমানের কাগজে মুদ্রণ, মজবুত ও আকর্ষণীয় বাইন্ডিং করা হয়েছে।প্রথম খণ্ডে সূরাহ আল ফাতিহাহ থেকে সূরাহ আত তাওবাহ্, দ্বিতীয় খণ্ডে সূরাহ ইউনুস থেকে সূরাহ আল ফাথির এবং তৃতীয় খণ্ডে সূরাহ ইয়াসীন থেকে সূরাহ আন নাসের তাফসীর রয়েছে।
০২. জটিল ও কঠিন শব্দার্থ।
০৩. গ্রহণযোগ্য বর্ণনার আলোকে শানে নুযুল।
০৪. কুরআনুল কারীম ও স্বহীহ হাদীছ ও নির্ভরযোগ্য তাফসীরগ্রন্থের আলোকে সংক্ষিপ্ত তাফসীর সংকলন।
০৫. স্বহীহ আক্বীদাহ ও শারয়ী বিধানমূলক আয়াতের শিক্ষা।
০৬. কুরআন ও সহীহ হাদীছের আলোকে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সমাধান।
০৭. ভিত্তিহীন প্রচলিত তাফসীর সম্পর্কে সতর্কীকরণ।
০৮. তাফসীরে ব্যবহৃত আয়াতসমূহ নম্বর ও সূরাসহ উল্লেখ করা হয়েছে।
০৯. যথাসাধ্য হাদীছের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
১০. সাধ্যানুযায়ী স্বহীহ বুখারী, স্বহীহ মুসলিম, সুনান আবূ দাউদ, সুনান তিরমিযি, সুনান নাসাঈ, সুনান ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক ও মুসনাদে আহমাদ ইত্যাদি হাদীস গ্রন্থের হাদীসসমূহে মাকতাবাহ শামিলার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।
১১. বাংলাভাষী পাঠকদের সহজ পাঠের জন্য আরবী বিশেষ ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
১২. সর্বোপরি উন্নতমানের কাগজে মুদ্রণ, মজবুত ও আকর্ষণীয় বাইন্ডিং করা হয়েছে।প্রথম খণ্ডে সূরাহ আল ফাতিহাহ থেকে সূরাহ আত তাওবাহ্, দ্বিতীয় খণ্ডে সূরাহ ইউনুস থেকে সূরাহ আল ফাথির এবং তৃতীয় খণ্ডে সূরাহ ইয়াসীন থেকে সূরাহ আন নাসের তাফসীর রয়েছে।
সুরার নাম-আল
ইমরান_( ইমরানের পরিবার)
সুরার ধরনঃ- মাদানী। মোট আয়াত-২০০..
فَمَنۡ حَآجَّکَ فِیۡہِ
مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَکَ مِنَ الۡعِلۡمِ فَقُلۡ تَعَالَوۡا نَدۡعُ اَبۡنَآءَنَا
وَ اَبۡنَآءَکُمۡ وَ نِسَآءَنَا وَ نِسَآءَکُمۡ وَ اَنۡفُسَنَا وَ اَنۡفُسَکُمۡ
۟ ثُمَّ نَبۡتَہِلۡ فَنَجۡعَلۡ لَّعۡنَتَ اللّٰہِ عَلَی الۡکٰذِبِیۡنَ ﴿۶۱﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৬১-৬৩ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতকে ‘মুবাহালা’-এর আয়াত বলা হয়। ‘মুবাহালা’ অর্থ হল, দু’ পক্ষের একে অপরের প্রতি অভিশম্পাত করা। অর্থাৎ দু’ পক্ষের মধ্যে কোন বিষয়ের সত্য ও মিথ্যা হবার ব্যাপারে বিরোধ সৃষ্টি হলে এবং দলীলাদির ভিত্তিতে মীমাংসা না হলে, তারা সকলে মিলে আল্লাহ তা‘আলার কাছে এ বলে দু‘আ করবে যে, হে আল্লাহ! আমাদের উভয়ের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী তার ওপর তোমার অভিশাপ বর্ষিত হোক। এর সংক্ষিপ্ত পটভুমি এই যে, ৯ম হিজরীতে নাজরান থেকে এক খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে অতিরঞ্জিত আকীদা পোষণ করত সে বিষয়ে তর্ক-বির্তক শুরু করল। যার প্রেক্ষিতে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে মুবাহালার আহ্বান জানান। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন (রাঃ) সকলকে সাথে নিয়ে মুবাহালার জন্য প্রস্তুত হয়ে আসেন এবং খ্রিস্টানদেরকে বলেন যে, তোমরাও তোমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আস। আমরা মিথ্যাবাদীর ওপর বদদু‘আ করব; কিন্তু তারা আপোষে মুবাহালা ত্যাগ করে এবং বলে আপনি আমাদের কাছে যা চাইবেন তাই দেব। পরে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জন্য জিযিয়া ধার্য করেন। (ইবনে কাসীর ও ফাতহুল কাদীর, সংক্ষেপিত)
ভারতবর্ষে আল্লামা সানাউল্লাহ অমৃতসরী গোলাম আহমদ কাদীয়ানীর সাথে মুবাহালা করেছিলেন। ফলে চল্লিশ দিন পর গোলাম আহমদ কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এসব কাহিনী (অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর বিষয়ে মুবাহালা) সত্য। এর পরেও যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে তারাই প্রকৃতপক্ষে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুবাহালা পদ্ধতি শরীয়তসম্মত।
২. সত্য প্রত্যাখ্যানকারীই ক্ষতিগ্রস্ত।
এ আয়াতকে ‘মুবাহালা’-এর আয়াত বলা হয়। ‘মুবাহালা’ অর্থ হল, দু’ পক্ষের একে অপরের প্রতি অভিশম্পাত করা। অর্থাৎ দু’ পক্ষের মধ্যে কোন বিষয়ের সত্য ও মিথ্যা হবার ব্যাপারে বিরোধ সৃষ্টি হলে এবং দলীলাদির ভিত্তিতে মীমাংসা না হলে, তারা সকলে মিলে আল্লাহ তা‘আলার কাছে এ বলে দু‘আ করবে যে, হে আল্লাহ! আমাদের উভয়ের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী তার ওপর তোমার অভিশাপ বর্ষিত হোক। এর সংক্ষিপ্ত পটভুমি এই যে, ৯ম হিজরীতে নাজরান থেকে এক খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে অতিরঞ্জিত আকীদা পোষণ করত সে বিষয়ে তর্ক-বির্তক শুরু করল। যার প্রেক্ষিতে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে মুবাহালার আহ্বান জানান। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন (রাঃ) সকলকে সাথে নিয়ে মুবাহালার জন্য প্রস্তুত হয়ে আসেন এবং খ্রিস্টানদেরকে বলেন যে, তোমরাও তোমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আস। আমরা মিথ্যাবাদীর ওপর বদদু‘আ করব; কিন্তু তারা আপোষে মুবাহালা ত্যাগ করে এবং বলে আপনি আমাদের কাছে যা চাইবেন তাই দেব। পরে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জন্য জিযিয়া ধার্য করেন। (ইবনে কাসীর ও ফাতহুল কাদীর, সংক্ষেপিত)
ভারতবর্ষে আল্লামা সানাউল্লাহ অমৃতসরী গোলাম আহমদ কাদীয়ানীর সাথে মুবাহালা করেছিলেন। ফলে চল্লিশ দিন পর গোলাম আহমদ কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এসব কাহিনী (অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর বিষয়ে মুবাহালা) সত্য। এর পরেও যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে তারাই প্রকৃতপক্ষে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুবাহালা পদ্ধতি শরীয়তসম্মত।
২. সত্য প্রত্যাখ্যানকারীই ক্ষতিগ্রস্ত।
3:62
اِنَّ ہٰذَا لَہُوَ
الۡقَصَصُ الۡحَقُّ ۚ وَ مَا مِنۡ اِلٰہٍ اِلَّا اللّٰہُ ؕ وَ اِنَّ اللّٰہَ
لَہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۶۲﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৬১-৬৩ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতকে ‘মুবাহালা’-এর আয়াত বলা হয়। ‘মুবাহালা’ অর্থ হল, দু’ পক্ষের একে অপরের প্রতি অভিশম্পাত করা। অর্থাৎ দু’ পক্ষের মধ্যে কোন বিষয়ের সত্য ও মিথ্যা হবার ব্যাপারে বিরোধ সৃষ্টি হলে এবং দলীলাদির ভিত্তিতে মীমাংসা না হলে, তারা সকলে মিলে আল্লাহ তা‘আলার কাছে এ বলে দু‘আ করবে যে, হে আল্লাহ! আমাদের উভয়ের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী তার ওপর তোমার অভিশাপ বর্ষিত হোক। এর সংক্ষিপ্ত পটভুমি এই যে, ৯ম হিজরীতে নাজরান থেকে এক খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে অতিরঞ্জিত আকীদা পোষণ করত সে বিষয়ে তর্ক-বির্তক শুরু করল। যার প্রেক্ষিতে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে মুবাহালার আহ্বান জানান। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন (রাঃ) সকলকে সাথে নিয়ে মুবাহালার জন্য প্রস্তুত হয়ে আসেন এবং খ্রিস্টানদেরকে বলেন যে, তোমরাও তোমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আস। আমরা মিথ্যাবাদীর ওপর বদদু‘আ করব; কিন্তু তারা আপোষে মুবাহালা ত্যাগ করে এবং বলে আপনি আমাদের কাছে যা চাইবেন তাই দেব। পরে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জন্য জিযিয়া ধার্য করেন। (ইবনে কাসীর ও ফাতহুল কাদীর, সংক্ষেপিত)
ভারতবর্ষে আল্লামা সানাউল্লাহ অমৃতসরী গোলাম আহমদ কাদীয়ানীর সাথে মুবাহালা করেছিলেন। ফলে চল্লিশ দিন পর গোলাম আহমদ কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এসব কাহিনী (অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর বিষয়ে মুবাহালা) সত্য। এর পরেও যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে তারাই প্রকৃতপক্ষে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুবাহালা পদ্ধতি শরীয়তসম্মত।
২. সত্য প্রত্যাখ্যানকারীই ক্ষতিগ্রস্ত।
এ আয়াতকে ‘মুবাহালা’-এর আয়াত বলা হয়। ‘মুবাহালা’ অর্থ হল, দু’ পক্ষের একে অপরের প্রতি অভিশম্পাত করা। অর্থাৎ দু’ পক্ষের মধ্যে কোন বিষয়ের সত্য ও মিথ্যা হবার ব্যাপারে বিরোধ সৃষ্টি হলে এবং দলীলাদির ভিত্তিতে মীমাংসা না হলে, তারা সকলে মিলে আল্লাহ তা‘আলার কাছে এ বলে দু‘আ করবে যে, হে আল্লাহ! আমাদের উভয়ের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী তার ওপর তোমার অভিশাপ বর্ষিত হোক। এর সংক্ষিপ্ত পটভুমি এই যে, ৯ম হিজরীতে নাজরান থেকে এক খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে অতিরঞ্জিত আকীদা পোষণ করত সে বিষয়ে তর্ক-বির্তক শুরু করল। যার প্রেক্ষিতে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে মুবাহালার আহ্বান জানান। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন (রাঃ) সকলকে সাথে নিয়ে মুবাহালার জন্য প্রস্তুত হয়ে আসেন এবং খ্রিস্টানদেরকে বলেন যে, তোমরাও তোমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আস। আমরা মিথ্যাবাদীর ওপর বদদু‘আ করব; কিন্তু তারা আপোষে মুবাহালা ত্যাগ করে এবং বলে আপনি আমাদের কাছে যা চাইবেন তাই দেব। পরে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জন্য জিযিয়া ধার্য করেন। (ইবনে কাসীর ও ফাতহুল কাদীর, সংক্ষেপিত)
ভারতবর্ষে আল্লামা সানাউল্লাহ অমৃতসরী গোলাম আহমদ কাদীয়ানীর সাথে মুবাহালা করেছিলেন। ফলে চল্লিশ দিন পর গোলাম আহমদ কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এসব কাহিনী (অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর বিষয়ে মুবাহালা) সত্য। এর পরেও যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে তারাই প্রকৃতপক্ষে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুবাহালা পদ্ধতি শরীয়তসম্মত।
২. সত্য প্রত্যাখ্যানকারীই ক্ষতিগ্রস্ত।
3:63
فَاِنۡ تَوَلَّوۡا
فَاِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌۢ بِالۡمُفۡسِدِیۡنَ ﴿٪۶۳﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৬১-৬৩ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতকে ‘মুবাহালা’-এর আয়াত বলা হয়। ‘মুবাহালা’ অর্থ হল, দু’ পক্ষের একে অপরের প্রতি অভিশম্পাত করা। অর্থাৎ দু’ পক্ষের মধ্যে কোন বিষয়ের সত্য ও মিথ্যা হবার ব্যাপারে বিরোধ সৃষ্টি হলে এবং দলীলাদির ভিত্তিতে মীমাংসা না হলে, তারা সকলে মিলে আল্লাহ তা‘আলার কাছে এ বলে দু‘আ করবে যে, হে আল্লাহ! আমাদের উভয়ের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী তার ওপর তোমার অভিশাপ বর্ষিত হোক। এর সংক্ষিপ্ত পটভুমি এই যে, ৯ম হিজরীতে নাজরান থেকে এক খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে অতিরঞ্জিত আকীদা পোষণ করত সে বিষয়ে তর্ক-বির্তক শুরু করল। যার প্রেক্ষিতে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে মুবাহালার আহ্বান জানান। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন (রাঃ) সকলকে সাথে নিয়ে মুবাহালার জন্য প্রস্তুত হয়ে আসেন এবং খ্রিস্টানদেরকে বলেন যে, তোমরাও তোমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আস। আমরা মিথ্যাবাদীর ওপর বদদু‘আ করব; কিন্তু তারা আপোষে মুবাহালা ত্যাগ করে এবং বলে আপনি আমাদের কাছে যা চাইবেন তাই দেব। পরে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জন্য জিযিয়া ধার্য করেন। (ইবনে কাসীর ও ফাতহুল কাদীর, সংক্ষেপিত)
ভারতবর্ষে আল্লামা সানাউল্লাহ অমৃতসরী গোলাম আহমদ কাদীয়ানীর সাথে মুবাহালা করেছিলেন। ফলে চল্লিশ দিন পর গোলাম আহমদ কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এসব কাহিনী (অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর বিষয়ে মুবাহালা) সত্য। এর পরেও যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে তারাই প্রকৃতপক্ষে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুবাহালা পদ্ধতি শরীয়তসম্মত।
২. সত্য প্রত্যাখ্যানকারীই ক্ষতিগ্রস্ত।
এ আয়াতকে ‘মুবাহালা’-এর আয়াত বলা হয়। ‘মুবাহালা’ অর্থ হল, দু’ পক্ষের একে অপরের প্রতি অভিশম্পাত করা। অর্থাৎ দু’ পক্ষের মধ্যে কোন বিষয়ের সত্য ও মিথ্যা হবার ব্যাপারে বিরোধ সৃষ্টি হলে এবং দলীলাদির ভিত্তিতে মীমাংসা না হলে, তারা সকলে মিলে আল্লাহ তা‘আলার কাছে এ বলে দু‘আ করবে যে, হে আল্লাহ! আমাদের উভয়ের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী তার ওপর তোমার অভিশাপ বর্ষিত হোক। এর সংক্ষিপ্ত পটভুমি এই যে, ৯ম হিজরীতে নাজরান থেকে এক খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে অতিরঞ্জিত আকীদা পোষণ করত সে বিষয়ে তর্ক-বির্তক শুরু করল। যার প্রেক্ষিতে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে মুবাহালার আহ্বান জানান। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসাইন (রাঃ) সকলকে সাথে নিয়ে মুবাহালার জন্য প্রস্তুত হয়ে আসেন এবং খ্রিস্টানদেরকে বলেন যে, তোমরাও তোমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আস। আমরা মিথ্যাবাদীর ওপর বদদু‘আ করব; কিন্তু তারা আপোষে মুবাহালা ত্যাগ করে এবং বলে আপনি আমাদের কাছে যা চাইবেন তাই দেব। পরে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জন্য জিযিয়া ধার্য করেন। (ইবনে কাসীর ও ফাতহুল কাদীর, সংক্ষেপিত)
ভারতবর্ষে আল্লামা সানাউল্লাহ অমৃতসরী গোলাম আহমদ কাদীয়ানীর সাথে মুবাহালা করেছিলেন। ফলে চল্লিশ দিন পর গোলাম আহমদ কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এসব কাহিনী (অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর বিষয়ে মুবাহালা) সত্য। এর পরেও যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে তারাই প্রকৃতপক্ষে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুবাহালা পদ্ধতি শরীয়তসম্মত।
২. সত্য প্রত্যাখ্যানকারীই ক্ষতিগ্রস্ত।
3:64
قُلۡ یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ
تَعَالَوۡا اِلٰی کَلِمَۃٍ سَوَآءٍۢ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکُمۡ اَلَّا نَعۡبُدَ
اِلَّا اللّٰہَ وَ لَا نُشۡرِکَ بِہٖ شَیۡئًا وَّ لَا یَتَّخِذَ بَعۡضُنَا بَعۡضًا
اَرۡبَابًا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَقُوۡلُوا اشۡہَدُوۡا
بِاَنَّا مُسۡلِمُوۡنَ ﴿۶۴﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৬৪ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতের সম্বোধনে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানসহ সকল অমুসলিম অন্তর্ভুক্ত। সবাইকে দু’টি বিষয়ের দিকে আহ্বান করা হয়েছে:
১. আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করব না এবং কাউকে তাঁর সাথে শরীক করব না।
২. আমাদের মধ্য থেকে কেউ কাউকে রব বানিয়ে নেব না।
এখানে যে বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে তা হলো, সবাই এক আল্লাহর ইবাদত করব, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করব না। আল্লাহর এ এককত্বের বাণী গ্রহণের জন্য আহলে কিতাবসহ সকল ধর্মের লোককে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তাই বলা হয়েছে, ‘আস এমন একটি কালেমার দিকে যা তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে সমান’। আর আমাদের মধ্য হতে কোন পণ্ডিত, ধর্মযাজক, ইমাম, সংসার বিরাগী, ওলী, গাউস-কুতুব ও রাজনৈতিক নেতার হালাল-হারাম বিধান দেয়ার অধিকার নেই। তারা আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত হালালকে হারাম করবে আর হারামকে হালাল করবে এ অধিকার তাদেরকে দেয়া হয়নি। যারা তাদেরকে এক্ষেত্রে মান্য করে তারা তাদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করে।
সাহাবী ‘আদী বিন হাতিম (রাঃ) বলেন: একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলাম এমতাবস্থায় যে, আমার গর্দানে স্বর্ণের ক্রুশ ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: হে ‘আদী! তোমার থেকে এ মূর্তিটা সরিয়ে ফেল। ‘আদী (রাঃ) বলেন: এ সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা তাওবার এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন,
(اِتَّخَذُوْٓا اَحْبَارَھُمْ وَرُھْبَانَھُمْ اَرْبَابًا مِّنْ دُوْنِ اللہِ)
‘তারা আল্লাহ ব্যতীত তাদের পণ্ডিত ও সংসার-বিরাগিদেরকে প্রভুরূপে গ্রহণ করেছে।’ (সূরা তাওবা ৯:৩১)
‘আদী (রাঃ) বললেন: আমরা (ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা) তো তাদের ইবাদত করি না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বললেন, আল্লাহ তা‘আলা হারাম করে দিয়েছেন এমন বিধানকে তারা হালাল বললে তোমরা কি তা হালাল হিসেবে গ্রহণ করে নাও না? আবার আল্লাহ তা‘আলা হালাল করে দিয়েছেন এমন বিধানকে তারা হারাম বললে তোমরা কি তা হারাম হিসেবে গ্রহণ করে নাও না? ‘আদি বলল: হ্যাঁ। তিনি বললেন, এটাই তাদের ইবাদত করা। (তিরমিযী হা: ৩০৯৫) সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার বিধানের বিপরীত বিধান চালু করা এবং তা গ্রহণ করা সবই শির্ক। এ অপরাধ স্বেচ্ছায় বুঝে-শুনে করলে মু’মিন থাকা যাবে না।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর এ আয়াত অবতীর্ণ হলে রোম ও পারস্যসহ বিভিন্ন বাদশার প্রতি তিনি দাওয়াতনামা লিখে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানান এবং সে দাওয়াতনামায় এ আয়াত উল্লেখ করেন। (সহীহ বুখারী হা: ৭)
অমুসলিমদের দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে এ আয়াত একটি মূলনীতি। এ আয়াতের সমর্থক মুয়ায (রাঃ)-এর হাদীস। যখন তাঁকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়ামানের আহলে কিতাবদের নিকট দাওয়াতের জন্য প্রেরণ করেছিলেন তখন সেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: হে মুয়ায! তুমি এমন একটি সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ যারা আহলে কিতাব। অতএব তুমি সর্বপ্রথম যে দাওয়াত দেবে তা হল, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই আর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত রাসূল। (সহীহ বুখারী হা: ১৩৩১)
সুতরাং অমুসলিমদেরকে প্রথম যে দাওয়াত দিতে হবে তা হল তাওহীদের দাওয়াত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইসলামের মূল ভত্তি হল তাওহীদ।
২. অমুসলিমদের সর্বপ্রথম তাওহীদের দিকে আহ্বান করতে হবে।
৩. অমুসলিমদের থেকে সর্ব প্রথম শির্ক দূর করার ব্যাপারে চেষ্টা করতে হবে।
এ আয়াতের সম্বোধনে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানসহ সকল অমুসলিম অন্তর্ভুক্ত। সবাইকে দু’টি বিষয়ের দিকে আহ্বান করা হয়েছে:
১. আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করব না এবং কাউকে তাঁর সাথে শরীক করব না।
২. আমাদের মধ্য থেকে কেউ কাউকে রব বানিয়ে নেব না।
এখানে যে বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে তা হলো, সবাই এক আল্লাহর ইবাদত করব, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করব না। আল্লাহর এ এককত্বের বাণী গ্রহণের জন্য আহলে কিতাবসহ সকল ধর্মের লোককে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তাই বলা হয়েছে, ‘আস এমন একটি কালেমার দিকে যা তোমাদের এবং আমাদের মধ্যে সমান’। আর আমাদের মধ্য হতে কোন পণ্ডিত, ধর্মযাজক, ইমাম, সংসার বিরাগী, ওলী, গাউস-কুতুব ও রাজনৈতিক নেতার হালাল-হারাম বিধান দেয়ার অধিকার নেই। তারা আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত হালালকে হারাম করবে আর হারামকে হালাল করবে এ অধিকার তাদেরকে দেয়া হয়নি। যারা তাদেরকে এক্ষেত্রে মান্য করে তারা তাদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করে।
সাহাবী ‘আদী বিন হাতিম (রাঃ) বলেন: একদা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলাম এমতাবস্থায় যে, আমার গর্দানে স্বর্ণের ক্রুশ ছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: হে ‘আদী! তোমার থেকে এ মূর্তিটা সরিয়ে ফেল। ‘আদী (রাঃ) বলেন: এ সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূরা তাওবার এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন,
(اِتَّخَذُوْٓا اَحْبَارَھُمْ وَرُھْبَانَھُمْ اَرْبَابًا مِّنْ دُوْنِ اللہِ)
‘তারা আল্লাহ ব্যতীত তাদের পণ্ডিত ও সংসার-বিরাগিদেরকে প্রভুরূপে গ্রহণ করেছে।’ (সূরা তাওবা ৯:৩১)
‘আদী (রাঃ) বললেন: আমরা (ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা) তো তাদের ইবাদত করি না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বললেন, আল্লাহ তা‘আলা হারাম করে দিয়েছেন এমন বিধানকে তারা হালাল বললে তোমরা কি তা হালাল হিসেবে গ্রহণ করে নাও না? আবার আল্লাহ তা‘আলা হালাল করে দিয়েছেন এমন বিধানকে তারা হারাম বললে তোমরা কি তা হারাম হিসেবে গ্রহণ করে নাও না? ‘আদি বলল: হ্যাঁ। তিনি বললেন, এটাই তাদের ইবাদত করা। (তিরমিযী হা: ৩০৯৫) সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার বিধানের বিপরীত বিধান চালু করা এবং তা গ্রহণ করা সবই শির্ক। এ অপরাধ স্বেচ্ছায় বুঝে-শুনে করলে মু’মিন থাকা যাবে না।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর এ আয়াত অবতীর্ণ হলে রোম ও পারস্যসহ বিভিন্ন বাদশার প্রতি তিনি দাওয়াতনামা লিখে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানান এবং সে দাওয়াতনামায় এ আয়াত উল্লেখ করেন। (সহীহ বুখারী হা: ৭)
অমুসলিমদের দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে এ আয়াত একটি মূলনীতি। এ আয়াতের সমর্থক মুয়ায (রাঃ)-এর হাদীস। যখন তাঁকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়ামানের আহলে কিতাবদের নিকট দাওয়াতের জন্য প্রেরণ করেছিলেন তখন সেখানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: হে মুয়ায! তুমি এমন একটি সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ যারা আহলে কিতাব। অতএব তুমি সর্বপ্রথম যে দাওয়াত দেবে তা হল, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই আর মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত রাসূল। (সহীহ বুখারী হা: ১৩৩১)
সুতরাং অমুসলিমদেরকে প্রথম যে দাওয়াত দিতে হবে তা হল তাওহীদের দাওয়াত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইসলামের মূল ভত্তি হল তাওহীদ।
২. অমুসলিমদের সর্বপ্রথম তাওহীদের দিকে আহ্বান করতে হবে।
৩. অমুসলিমদের থেকে সর্ব প্রথম শির্ক দূর করার ব্যাপারে চেষ্টা করতে হবে।
3:65
یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ لِمَ
تُحَآجُّوۡنَ فِیۡۤ اِبۡرٰہِیۡمَ وَ مَاۤ اُنۡزِلَتِ التَّوۡرٰىۃُ وَ
الۡاِنۡجِیۡلُ اِلَّا مِنۡۢ بَعۡدِہٖ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۶۵﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৬৫-৬৮ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতগুলোতে ইবরাহীম (আঃ)-এর ব্যাপারে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের বাদানুবাদ আল্লাহ তা‘আলা তিরস্কারের সাথে উল্লেখ করেছেন।
খ্রিস্টানরা বলে ইবরাহীম (আঃ) খ্রিস্টান ছিলেন আর ইয়াহূদীরা বলে তিনি ইয়াহূদী ছিলেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ تَقُوْلُوْنَ إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوْا هُوْدًا أَوْ نَصٰرٰي)
“তোমরা কি বলছ যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব , ইয়াকুব ও তাদের বংশধর ইয়াহূদী কিংবা খ্রিস্টান ছিলেন?” (সূরা বাকারাহ ২:১৪০)
ইবরাহীম (আঃ) ইয়াহূদীও ছিলেন না, খ্রিস্টানও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَا كَانَ إِبْرَاهِيْمُ يَهُوْدِيًّا وَّلَا نَصْرَانِيًّا وَّلٰكِنْ كَانَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًا)
“ইবরাহীম ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান কিছুই ছিলেন না, বরং তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন।” (সূরা আল-ইমরান ৩:৬৭)
তাছাড়া তাওরাত ও ইঞ্জিল ইবরাহীম (আঃ)-এর তিরোধানের অনেক বছর পর অবতীর্ণ হয়েছে। ইবরাহীম ও মূসা (আঃ)-এর মাঝে এক হাজার বছরের ব্যবধান ছিল, আর ঈসা ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মাঝে দু’হাজার বছরের ব্যবধান ছিল। অতএব ইবরাহীম (আঃ)-এর ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান হওয়ার প্রশ্নই উঠে না বরং তিনি একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-এর ঘনিষ্ঠতর হল তারা যারা তাঁর দীনের অনুসরণ করে এবং আমাদের নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), মুহাজির ও আনসারসহ সকল মু’মিনগণ যারা পরবর্তীতে ঈমান এনেছে ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মিল্লাত অনুসরণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক নাবীর নাবীদের থেকে একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকেন। আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হল আমার পিতা আল্লাহ তা‘আলার বন্ধু ইবরাহীম (আঃ)। অতঃপর এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৫, মুসতাদরাক হাকেম হা: ৩১৫১, সহীহ)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে বিতর্ক করা নিন্দনীয়।
২. মু’মিনগণ পরস্পর বন্ধু যদিও তারা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকে।
৩. ইবরাহীম (আঃ) একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন, ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান ছিলেন না।
এ আয়াতগুলোতে ইবরাহীম (আঃ)-এর ব্যাপারে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের বাদানুবাদ আল্লাহ তা‘আলা তিরস্কারের সাথে উল্লেখ করেছেন।
খ্রিস্টানরা বলে ইবরাহীম (আঃ) খ্রিস্টান ছিলেন আর ইয়াহূদীরা বলে তিনি ইয়াহূদী ছিলেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ تَقُوْلُوْنَ إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوْا هُوْدًا أَوْ نَصٰرٰي)
“তোমরা কি বলছ যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব , ইয়াকুব ও তাদের বংশধর ইয়াহূদী কিংবা খ্রিস্টান ছিলেন?” (সূরা বাকারাহ ২:১৪০)
ইবরাহীম (আঃ) ইয়াহূদীও ছিলেন না, খ্রিস্টানও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَا كَانَ إِبْرَاهِيْمُ يَهُوْدِيًّا وَّلَا نَصْرَانِيًّا وَّلٰكِنْ كَانَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًا)
“ইবরাহীম ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান কিছুই ছিলেন না, বরং তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন।” (সূরা আল-ইমরান ৩:৬৭)
তাছাড়া তাওরাত ও ইঞ্জিল ইবরাহীম (আঃ)-এর তিরোধানের অনেক বছর পর অবতীর্ণ হয়েছে। ইবরাহীম ও মূসা (আঃ)-এর মাঝে এক হাজার বছরের ব্যবধান ছিল, আর ঈসা ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মাঝে দু’হাজার বছরের ব্যবধান ছিল। অতএব ইবরাহীম (আঃ)-এর ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান হওয়ার প্রশ্নই উঠে না বরং তিনি একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-এর ঘনিষ্ঠতর হল তারা যারা তাঁর দীনের অনুসরণ করে এবং আমাদের নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), মুহাজির ও আনসারসহ সকল মু’মিনগণ যারা পরবর্তীতে ঈমান এনেছে ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মিল্লাত অনুসরণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক নাবীর নাবীদের থেকে একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকেন। আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হল আমার পিতা আল্লাহ তা‘আলার বন্ধু ইবরাহীম (আঃ)। অতঃপর এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৫, মুসতাদরাক হাকেম হা: ৩১৫১, সহীহ)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে বিতর্ক করা নিন্দনীয়।
২. মু’মিনগণ পরস্পর বন্ধু যদিও তারা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকে।
৩. ইবরাহীম (আঃ) একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন, ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান ছিলেন না।
3:66
ہٰۤاَنۡتُمۡ ہٰۤؤُلَآءِ
حَاجَجۡتُمۡ فِیۡمَا لَکُمۡ بِہٖ عِلۡمٌ فَلِمَ تُحَآجُّوۡنَ فِیۡمَا لَیۡسَ
لَکُمۡ بِہٖ عِلۡمٌ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۶۶﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৬৫-৬৮ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতগুলোতে ইবরাহীম (আঃ)-এর ব্যাপারে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের বাদানুবাদ আল্লাহ তা‘আলা তিরস্কারের সাথে উল্লেখ করেছেন।
খ্রিস্টানরা বলে ইবরাহীম (আঃ) খ্রিস্টান ছিলেন আর ইয়াহূদীরা বলে তিনি ইয়াহূদী ছিলেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ تَقُوْلُوْنَ إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوْا هُوْدًا أَوْ نَصٰرٰي)
“তোমরা কি বলছ যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব , ইয়াকুব ও তাদের বংশধর ইয়াহূদী কিংবা খ্রিস্টান ছিলেন?” (সূরা বাকারাহ ২:১৪০)
ইবরাহীম (আঃ) ইয়াহূদীও ছিলেন না, খ্রিস্টানও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَا كَانَ إِبْرَاهِيْمُ يَهُوْدِيًّا وَّلَا نَصْرَانِيًّا وَّلٰكِنْ كَانَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًا)
“ইবরাহীম ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান কিছুই ছিলেন না, বরং তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন।” (সূরা আল-ইমরান ৩:৬৭)
তাছাড়া তাওরাত ও ইঞ্জিল ইবরাহীম (আঃ)-এর তিরোধানের অনেক বছর পর অবতীর্ণ হয়েছে। ইবরাহীম ও মূসা (আঃ)-এর মাঝে এক হাজার বছরের ব্যবধান ছিল, আর ঈসা ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মাঝে দু’হাজার বছরের ব্যবধান ছিল। অতএব ইবরাহীম (আঃ)-এর ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান হওয়ার প্রশ্নই উঠে না বরং তিনি একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-এর ঘনিষ্ঠতর হল তারা যারা তাঁর দীনের অনুসরণ করে এবং আমাদের নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), মুহাজির ও আনসারসহ সকল মু’মিনগণ যারা পরবর্তীতে ঈমান এনেছে ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মিল্লাত অনুসরণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক নাবীর নাবীদের থেকে একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকেন। আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হল আমার পিতা আল্লাহ তা‘আলার বন্ধু ইবরাহীম (আঃ)। অতঃপর এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৫, মুসতাদরাক হাকেম হা: ৩১৫১, সহীহ)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে বিতর্ক করা নিন্দনীয়।
২. মু’মিনগণ পরস্পর বন্ধু যদিও তারা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকে।
৩. ইবরাহীম (আঃ) একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন, ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান ছিলেন না।
এ আয়াতগুলোতে ইবরাহীম (আঃ)-এর ব্যাপারে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের বাদানুবাদ আল্লাহ তা‘আলা তিরস্কারের সাথে উল্লেখ করেছেন।
খ্রিস্টানরা বলে ইবরাহীম (আঃ) খ্রিস্টান ছিলেন আর ইয়াহূদীরা বলে তিনি ইয়াহূদী ছিলেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ تَقُوْلُوْنَ إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوْا هُوْدًا أَوْ نَصٰرٰي)
“তোমরা কি বলছ যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব , ইয়াকুব ও তাদের বংশধর ইয়াহূদী কিংবা খ্রিস্টান ছিলেন?” (সূরা বাকারাহ ২:১৪০)
ইবরাহীম (আঃ) ইয়াহূদীও ছিলেন না, খ্রিস্টানও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَا كَانَ إِبْرَاهِيْمُ يَهُوْدِيًّا وَّلَا نَصْرَانِيًّا وَّلٰكِنْ كَانَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًا)
“ইবরাহীম ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান কিছুই ছিলেন না, বরং তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন।” (সূরা আল-ইমরান ৩:৬৭)
তাছাড়া তাওরাত ও ইঞ্জিল ইবরাহীম (আঃ)-এর তিরোধানের অনেক বছর পর অবতীর্ণ হয়েছে। ইবরাহীম ও মূসা (আঃ)-এর মাঝে এক হাজার বছরের ব্যবধান ছিল, আর ঈসা ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মাঝে দু’হাজার বছরের ব্যবধান ছিল। অতএব ইবরাহীম (আঃ)-এর ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান হওয়ার প্রশ্নই উঠে না বরং তিনি একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-এর ঘনিষ্ঠতর হল তারা যারা তাঁর দীনের অনুসরণ করে এবং আমাদের নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), মুহাজির ও আনসারসহ সকল মু’মিনগণ যারা পরবর্তীতে ঈমান এনেছে ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মিল্লাত অনুসরণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক নাবীর নাবীদের থেকে একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকেন। আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হল আমার পিতা আল্লাহ তা‘আলার বন্ধু ইবরাহীম (আঃ)। অতঃপর এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৫, মুসতাদরাক হাকেম হা: ৩১৫১, সহীহ)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে বিতর্ক করা নিন্দনীয়।
২. মু’মিনগণ পরস্পর বন্ধু যদিও তারা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকে।
৩. ইবরাহীম (আঃ) একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন, ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান ছিলেন না।
3:67
مَا کَانَ اِبۡرٰہِیۡمُ
یَہُوۡدِیًّا وَّ لَا نَصۡرَانِیًّا وَّ لٰکِنۡ کَانَ حَنِیۡفًا مُّسۡلِمًا ؕ وَ
مَا کَانَ مِنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ ﴿۶۷﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৬৫-৬৮ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতগুলোতে ইবরাহীম (আঃ)-এর ব্যাপারে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের বাদানুবাদ আল্লাহ তা‘আলা তিরস্কারের সাথে উল্লেখ করেছেন।
খ্রিস্টানরা বলে ইবরাহীম (আঃ) খ্রিস্টান ছিলেন আর ইয়াহূদীরা বলে তিনি ইয়াহূদী ছিলেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ تَقُوْلُوْنَ إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوْا هُوْدًا أَوْ نَصٰرٰي)
“তোমরা কি বলছ যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব , ইয়াকুব ও তাদের বংশধর ইয়াহূদী কিংবা খ্রিস্টান ছিলেন?” (সূরা বাকারাহ ২:১৪০)
ইবরাহীম (আঃ) ইয়াহূদীও ছিলেন না, খ্রিস্টানও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَا كَانَ إِبْرَاهِيْمُ يَهُوْدِيًّا وَّلَا نَصْرَانِيًّا وَّلٰكِنْ كَانَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًا)
“ইবরাহীম ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান কিছুই ছিলেন না, বরং তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন।” (সূরা আল-ইমরান ৩:৬৭)
তাছাড়া তাওরাত ও ইঞ্জিল ইবরাহীম (আঃ)-এর তিরোধানের অনেক বছর পর অবতীর্ণ হয়েছে। ইবরাহীম ও মূসা (আঃ)-এর মাঝে এক হাজার বছরের ব্যবধান ছিল, আর ঈসা ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মাঝে দু’হাজার বছরের ব্যবধান ছিল। অতএব ইবরাহীম (আঃ)-এর ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান হওয়ার প্রশ্নই উঠে না বরং তিনি একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-এর ঘনিষ্ঠতর হল তারা যারা তাঁর দীনের অনুসরণ করে এবং আমাদের নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), মুহাজির ও আনসারসহ সকল মু’মিনগণ যারা পরবর্তীতে ঈমান এনেছে ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মিল্লাত অনুসরণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক নাবীর নাবীদের থেকে একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকেন। আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হল আমার পিতা আল্লাহ তা‘আলার বন্ধু ইবরাহীম (আঃ)। অতঃপর এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৫, মুসতাদরাক হাকেম হা: ৩১৫১, সহীহ)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে বিতর্ক করা নিন্দনীয়।
২. মু’মিনগণ পরস্পর বন্ধু যদিও তারা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকে।
৩. ইবরাহীম (আঃ) একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন, ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান ছিলেন না।
এ আয়াতগুলোতে ইবরাহীম (আঃ)-এর ব্যাপারে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের বাদানুবাদ আল্লাহ তা‘আলা তিরস্কারের সাথে উল্লেখ করেছেন।
খ্রিস্টানরা বলে ইবরাহীম (আঃ) খ্রিস্টান ছিলেন আর ইয়াহূদীরা বলে তিনি ইয়াহূদী ছিলেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ تَقُوْلُوْنَ إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوْا هُوْدًا أَوْ نَصٰرٰي)
“তোমরা কি বলছ যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব , ইয়াকুব ও তাদের বংশধর ইয়াহূদী কিংবা খ্রিস্টান ছিলেন?” (সূরা বাকারাহ ২:১৪০)
ইবরাহীম (আঃ) ইয়াহূদীও ছিলেন না, খ্রিস্টানও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَا كَانَ إِبْرَاهِيْمُ يَهُوْدِيًّا وَّلَا نَصْرَانِيًّا وَّلٰكِنْ كَانَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًا)
“ইবরাহীম ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান কিছুই ছিলেন না, বরং তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন।” (সূরা আল-ইমরান ৩:৬৭)
তাছাড়া তাওরাত ও ইঞ্জিল ইবরাহীম (আঃ)-এর তিরোধানের অনেক বছর পর অবতীর্ণ হয়েছে। ইবরাহীম ও মূসা (আঃ)-এর মাঝে এক হাজার বছরের ব্যবধান ছিল, আর ঈসা ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মাঝে দু’হাজার বছরের ব্যবধান ছিল। অতএব ইবরাহীম (আঃ)-এর ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান হওয়ার প্রশ্নই উঠে না বরং তিনি একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-এর ঘনিষ্ঠতর হল তারা যারা তাঁর দীনের অনুসরণ করে এবং আমাদের নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), মুহাজির ও আনসারসহ সকল মু’মিনগণ যারা পরবর্তীতে ঈমান এনেছে ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মিল্লাত অনুসরণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক নাবীর নাবীদের থেকে একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকেন। আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হল আমার পিতা আল্লাহ তা‘আলার বন্ধু ইবরাহীম (আঃ)। অতঃপর এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৫, মুসতাদরাক হাকেম হা: ৩১৫১, সহীহ)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে বিতর্ক করা নিন্দনীয়।
২. মু’মিনগণ পরস্পর বন্ধু যদিও তারা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকে।
৩. ইবরাহীম (আঃ) একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন, ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান ছিলেন না।
3:68
اِنَّ اَوۡلَی النَّاسِ
بِاِبۡرٰہِیۡمَ لَلَّذِیۡنَ اتَّبَعُوۡہُ وَ ہٰذَا النَّبِیُّ وَ الَّذِیۡنَ
اٰمَنُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ وَلِیُّ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۶۸﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৬৫-৬৮ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতগুলোতে ইবরাহীম (আঃ)-এর ব্যাপারে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের বাদানুবাদ আল্লাহ তা‘আলা তিরস্কারের সাথে উল্লেখ করেছেন।
খ্রিস্টানরা বলে ইবরাহীম (আঃ) খ্রিস্টান ছিলেন আর ইয়াহূদীরা বলে তিনি ইয়াহূদী ছিলেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ تَقُوْلُوْنَ إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوْا هُوْدًا أَوْ نَصٰرٰي)
“তোমরা কি বলছ যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব , ইয়াকুব ও তাদের বংশধর ইয়াহূদী কিংবা খ্রিস্টান ছিলেন?” (সূরা বাকারাহ ২:১৪০)
ইবরাহীম (আঃ) ইয়াহূদীও ছিলেন না, খ্রিস্টানও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَا كَانَ إِبْرَاهِيْمُ يَهُوْدِيًّا وَّلَا نَصْرَانِيًّا وَّلٰكِنْ كَانَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًا)
“ইবরাহীম ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান কিছুই ছিলেন না, বরং তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন।” (সূরা আল-ইমরান ৩:৬৭)
তাছাড়া তাওরাত ও ইঞ্জিল ইবরাহীম (আঃ)-এর তিরোধানের অনেক বছর পর অবতীর্ণ হয়েছে। ইবরাহীম ও মূসা (আঃ)-এর মাঝে এক হাজার বছরের ব্যবধান ছিল, আর ঈসা ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মাঝে দু’হাজার বছরের ব্যবধান ছিল। অতএব ইবরাহীম (আঃ)-এর ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান হওয়ার প্রশ্নই উঠে না বরং তিনি একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-এর ঘনিষ্ঠতর হল তারা যারা তাঁর দীনের অনুসরণ করে এবং আমাদের নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), মুহাজির ও আনসারসহ সকল মু’মিনগণ যারা পরবর্তীতে ঈমান এনেছে ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মিল্লাত অনুসরণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক নাবীর নাবীদের থেকে একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকেন। আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হল আমার পিতা আল্লাহ তা‘আলার বন্ধু ইবরাহীম (আঃ)। অতঃপর এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৫, মুসতাদরাক হাকেম হা: ৩১৫১, সহীহ)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে বিতর্ক করা নিন্দনীয়।
২. মু’মিনগণ পরস্পর বন্ধু যদিও তারা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকে।
৩. ইবরাহীম (আঃ) একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন, ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান ছিলেন না।
এ আয়াতগুলোতে ইবরাহীম (আঃ)-এর ব্যাপারে ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের বাদানুবাদ আল্লাহ তা‘আলা তিরস্কারের সাথে উল্লেখ করেছেন।
খ্রিস্টানরা বলে ইবরাহীম (আঃ) খ্রিস্টান ছিলেন আর ইয়াহূদীরা বলে তিনি ইয়াহূদী ছিলেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَمْ تَقُوْلُوْنَ إِنَّ إِبْرَاهِيْمَ وَإِسْمَاعِيْلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوْبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوْا هُوْدًا أَوْ نَصٰرٰي)
“তোমরা কি বলছ যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব , ইয়াকুব ও তাদের বংশধর ইয়াহূদী কিংবা খ্রিস্টান ছিলেন?” (সূরা বাকারাহ ২:১৪০)
ইবরাহীম (আঃ) ইয়াহূদীও ছিলেন না, খ্রিস্টানও ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَا كَانَ إِبْرَاهِيْمُ يَهُوْدِيًّا وَّلَا نَصْرَانِيًّا وَّلٰكِنْ كَانَ حَنِيْفًا مُّسْلِمًا)
“ইবরাহীম ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান কিছুই ছিলেন না, বরং তিনি একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন।” (সূরা আল-ইমরান ৩:৬৭)
তাছাড়া তাওরাত ও ইঞ্জিল ইবরাহীম (আঃ)-এর তিরোধানের অনেক বছর পর অবতীর্ণ হয়েছে। ইবরাহীম ও মূসা (আঃ)-এর মাঝে এক হাজার বছরের ব্যবধান ছিল, আর ঈসা ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মাঝে দু’হাজার বছরের ব্যবধান ছিল। অতএব ইবরাহীম (আঃ)-এর ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান হওয়ার প্রশ্নই উঠে না বরং তিনি একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-এর ঘনিষ্ঠতর হল তারা যারা তাঁর দীনের অনুসরণ করে এবং আমাদের নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), মুহাজির ও আনসারসহ সকল মু’মিনগণ যারা পরবর্তীতে ঈমান এনেছে ও ইবরাহীম (আঃ)-এর মিল্লাত অনুসরণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক নাবীর নাবীদের থেকে একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকেন। আমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হল আমার পিতা আল্লাহ তা‘আলার বন্ধু ইবরাহীম (আঃ)। অতঃপর এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন। (তিরমিযী হা: ২৯৯৫, মুসতাদরাক হাকেম হা: ৩১৫১, সহীহ)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে বিতর্ক করা নিন্দনীয়।
২. মু’মিনগণ পরস্পর বন্ধু যদিও তারা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকে।
৩. ইবরাহীম (আঃ) একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন, ইয়াহূদী বা খ্রিস্টান ছিলেন না।
3:69
وَدَّتۡ طَّآئِفَۃٌ
مِّنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ لَوۡ یُضِلُّوۡنَکُمۡ ؕ وَ مَا یُضِلُّوۡنَ اِلَّاۤ
اَنۡفُسَہُمۡ وَ مَا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿۶۹﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৬৯-৭১ নং আয়াতের তাফসীর:
ঈমানদারদের সাথে ইয়াহূদীরা যে হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করত এবং যার কারণে তারা মুসলিমদেরকে পথভ্রষ্ট করতে চাইত, সে কথাই এ আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: এভাবে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ভ্রষ্টতার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না।
এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ১০৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আহলে কিতাবগণ জেনেশুনে আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করত অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যবাদিতা ও সততা সম্পর্কে জানত, তা সত্ত্বেও কুফরী করত।
অতঃপর ৭১ নং আয়াতে ইয়াহূদীদের দু’টি বড় অপরাধের কথা তুলে ধরা হয়েছে:
১. সত্যের সাথে মিথ্যার সংমিশ্রণ করত; যাতে সাধারণ মানুষ সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করতে না পারে।
২. সত্যকে গোপন করত। অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যে সকল নিদর্শন ও গুণাবলী তাওরাতে বর্ণিত হয়েছে তা মানুষ থেকে গোপন করত, যাতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যতা প্রকাশ না পেয়ে যায়। এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের উচিত এহেন ঘৃণিত আচরণ থেকে নিজেদের মুক্ত করা।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুসলিমদের প্রধান শত্র“ ইয়াহূদীরা, তারপর মুশরিকরা।
২. মন্দ কর্মের পরিণতি নিজের ওপর বর্তায়।
৩. যে কোন ক্ষেত্রেই সত্য গোপন করা হারাম।
৪. সত্যের সাথে মিথ্যা সংমিশ্রণ করা মারাত্মক অপরাধ।
ঈমানদারদের সাথে ইয়াহূদীরা যে হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করত এবং যার কারণে তারা মুসলিমদেরকে পথভ্রষ্ট করতে চাইত, সে কথাই এ আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: এভাবে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ভ্রষ্টতার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না।
এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ১০৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আহলে কিতাবগণ জেনেশুনে আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করত অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যবাদিতা ও সততা সম্পর্কে জানত, তা সত্ত্বেও কুফরী করত।
অতঃপর ৭১ নং আয়াতে ইয়াহূদীদের দু’টি বড় অপরাধের কথা তুলে ধরা হয়েছে:
১. সত্যের সাথে মিথ্যার সংমিশ্রণ করত; যাতে সাধারণ মানুষ সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করতে না পারে।
২. সত্যকে গোপন করত। অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যে সকল নিদর্শন ও গুণাবলী তাওরাতে বর্ণিত হয়েছে তা মানুষ থেকে গোপন করত, যাতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যতা প্রকাশ না পেয়ে যায়। এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের উচিত এহেন ঘৃণিত আচরণ থেকে নিজেদের মুক্ত করা।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুসলিমদের প্রধান শত্র“ ইয়াহূদীরা, তারপর মুশরিকরা।
২. মন্দ কর্মের পরিণতি নিজের ওপর বর্তায়।
৩. যে কোন ক্ষেত্রেই সত্য গোপন করা হারাম।
৪. সত্যের সাথে মিথ্যা সংমিশ্রণ করা মারাত্মক অপরাধ।
3:70
یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ لِمَ
تَکۡفُرُوۡنَ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ وَ اَنۡتُمۡ تَشۡہَدُوۡنَ ﴿۷۰﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৬৯-৭১ নং আয়াতের তাফসীর:
ঈমানদারদের সাথে ইয়াহূদীরা যে হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করত এবং যার কারণে তারা মুসলিমদেরকে পথভ্রষ্ট করতে চাইত, সে কথাই এ আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: এভাবে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ভ্রষ্টতার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না।
এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ১০৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আহলে কিতাবগণ জেনেশুনে আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করত অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যবাদিতা ও সততা সম্পর্কে জানত, তা সত্ত্বেও কুফরী করত।
অতঃপর ৭১ নং আয়াতে ইয়াহূদীদের দু’টি বড় অপরাধের কথা তুলে ধরা হয়েছে:
১. সত্যের সাথে মিথ্যার সংমিশ্রণ করত; যাতে সাধারণ মানুষ সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করতে না পারে।
২. সত্যকে গোপন করত। অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যে সকল নিদর্শন ও গুণাবলী তাওরাতে বর্ণিত হয়েছে তা মানুষ থেকে গোপন করত, যাতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যতা প্রকাশ না পেয়ে যায়। এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের উচিত এহেন ঘৃণিত আচরণ থেকে নিজেদের মুক্ত করা।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুসলিমদের প্রধান শত্র“ ইয়াহূদীরা, তারপর মুশরিকরা।
২. মন্দ কর্মের পরিণতি নিজের ওপর বর্তায়।
৩. যে কোন ক্ষেত্রেই সত্য গোপন করা হারাম।
৪. সত্যের সাথে মিথ্যা সংমিশ্রণ করা মারাত্মক অপরাধ।
ঈমানদারদের সাথে ইয়াহূদীরা যে হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করত এবং যার কারণে তারা মুসলিমদেরকে পথভ্রষ্ট করতে চাইত, সে কথাই এ আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: এভাবে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ভ্রষ্টতার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না।
এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ১০৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আহলে কিতাবগণ জেনেশুনে আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করত অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যবাদিতা ও সততা সম্পর্কে জানত, তা সত্ত্বেও কুফরী করত।
অতঃপর ৭১ নং আয়াতে ইয়াহূদীদের দু’টি বড় অপরাধের কথা তুলে ধরা হয়েছে:
১. সত্যের সাথে মিথ্যার সংমিশ্রণ করত; যাতে সাধারণ মানুষ সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করতে না পারে।
২. সত্যকে গোপন করত। অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যে সকল নিদর্শন ও গুণাবলী তাওরাতে বর্ণিত হয়েছে তা মানুষ থেকে গোপন করত, যাতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যতা প্রকাশ না পেয়ে যায়। এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের উচিত এহেন ঘৃণিত আচরণ থেকে নিজেদের মুক্ত করা।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুসলিমদের প্রধান শত্র“ ইয়াহূদীরা, তারপর মুশরিকরা।
২. মন্দ কর্মের পরিণতি নিজের ওপর বর্তায়।
৩. যে কোন ক্ষেত্রেই সত্য গোপন করা হারাম।
৪. সত্যের সাথে মিথ্যা সংমিশ্রণ করা মারাত্মক অপরাধ।
3:71
یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ لِمَ
تَلۡبِسُوۡنَ الۡحَقَّ بِالۡبَاطِلِ وَ تَکۡتُمُوۡنَ الۡحَقَّ وَ اَنۡتُمۡ
تَعۡلَمُوۡنَ ﴿٪۷۱﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৬৯-৭১ নং আয়াতের তাফসীর:
ঈমানদারদের সাথে ইয়াহূদীরা যে হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করত এবং যার কারণে তারা মুসলিমদেরকে পথভ্রষ্ট করতে চাইত, সে কথাই এ আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: এভাবে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ভ্রষ্টতার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না।
এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ১০৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আহলে কিতাবগণ জেনেশুনে আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করত অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যবাদিতা ও সততা সম্পর্কে জানত, তা সত্ত্বেও কুফরী করত।
অতঃপর ৭১ নং আয়াতে ইয়াহূদীদের দু’টি বড় অপরাধের কথা তুলে ধরা হয়েছে:
১. সত্যের সাথে মিথ্যার সংমিশ্রণ করত; যাতে সাধারণ মানুষ সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করতে না পারে।
২. সত্যকে গোপন করত। অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যে সকল নিদর্শন ও গুণাবলী তাওরাতে বর্ণিত হয়েছে তা মানুষ থেকে গোপন করত, যাতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যতা প্রকাশ না পেয়ে যায়। এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের উচিত এহেন ঘৃণিত আচরণ থেকে নিজেদের মুক্ত করা।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুসলিমদের প্রধান শত্র“ ইয়াহূদীরা, তারপর মুশরিকরা।
২. মন্দ কর্মের পরিণতি নিজের ওপর বর্তায়।
৩. যে কোন ক্ষেত্রেই সত্য গোপন করা হারাম।
৪. সত্যের সাথে মিথ্যা সংমিশ্রণ করা মারাত্মক অপরাধ।
ঈমানদারদের সাথে ইয়াহূদীরা যে হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করত এবং যার কারণে তারা মুসলিমদেরকে পথভ্রষ্ট করতে চাইত, সে কথাই এ আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: এভাবে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ভ্রষ্টতার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না।
এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ১০৯ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আহলে কিতাবগণ জেনেশুনে আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনসমূহকে প্রত্যাখ্যান করত অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যবাদিতা ও সততা সম্পর্কে জানত, তা সত্ত্বেও কুফরী করত।
অতঃপর ৭১ নং আয়াতে ইয়াহূদীদের দু’টি বড় অপরাধের কথা তুলে ধরা হয়েছে:
১. সত্যের সাথে মিথ্যার সংমিশ্রণ করত; যাতে সাধারণ মানুষ সত্য ও মিথ্যা নির্ণয় করতে না পারে।
২. সত্যকে গোপন করত। অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর যে সকল নিদর্শন ও গুণাবলী তাওরাতে বর্ণিত হয়েছে তা মানুষ থেকে গোপন করত, যাতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সত্যতা প্রকাশ না পেয়ে যায়। এ সম্পর্কে সূরা বাকারার ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের উচিত এহেন ঘৃণিত আচরণ থেকে নিজেদের মুক্ত করা।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুসলিমদের প্রধান শত্র“ ইয়াহূদীরা, তারপর মুশরিকরা।
২. মন্দ কর্মের পরিণতি নিজের ওপর বর্তায়।
৩. যে কোন ক্ষেত্রেই সত্য গোপন করা হারাম।
৪. সত্যের সাথে মিথ্যা সংমিশ্রণ করা মারাত্মক অপরাধ।
3:72
وَ قَالَتۡ طَّآئِفَۃٌ
مِّنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ اٰمِنُوۡا بِالَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ عَلَی الَّذِیۡنَ
اٰمَنُوۡا وَجۡہَ النَّہَارِ وَ اکۡفُرُوۡۤا اٰخِرَہٗ لَعَلَّہُمۡ یَرۡجِعُوۡنَ
﴿ۚۖ۷۲﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৭২-৭৪ নং আয়াতের তাফসীর:
পূর্বের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে ইয়াহূদীরা সর্বক্ষণ কামনা করত মুসলিমগণ পথভ্রষ্ট হয়ে যাক, সূরা নিসার ৮৯ নং আয়াতে (আসবে) উল্লেখ করা হয়েছে তারা চায় মুসলিমরা আবার কাফির হয়ে যাক।
তাদের এ নিকৃষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অপকৌশল করত। তাদের সাথীদের বলতো দিনের প্রথমভাগে মুসলিমদের প্রতি যে কিতাব নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান আন, আর বিকাল বেলা কুফরী কর। ফলে সাধারণ মুর্খ মানুষেরা মনে করবে মুহাম্মাদের দীন ত্র“টিপূর্ণ তাই এরা ঈমান আনার পর আবার ফিরে এসেছে।
তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী সকালে ঈমান এনে মুসলিমদের সাথে জামাআতে সালাত আদায় করত আবার বিকালে সব ত্যাগ করে নিজ ধর্মে ফিরে যেত। ইয়াহূদীরা আজও মুসলিমদেরকে নিধন ও ধর্ম ত্যাগ করার জন্য সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সুতরাং আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত কোন ক্রমেই যেন তাদের ষড়যন্ত্রের জালে নিজেরা আবদ্ধ না হই।
তারা সাধারণ জনগণকে এ কথাও বলত, যারা তোমাদের ধর্মের অনুসারী তাদের ছাড়া অন্য কারো অনুসরণ করবে না।
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলে দিচ্ছেন বল: আল্লাহ তা‘আলার হিদায়াতই সঠিক হিদায়াত। তোমরা ঈমান না আনলেও আমি ও আমার সাথে যারা ঈমান এনেছে আমরা আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত সঠিক হিদায়াতের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আল্লাহ তা‘আলার হাতেই সকল অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সাধারণ মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইয়াহূদীদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা নবুওয়াত দেন। এতে কারো কোন হাত নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পর নবুওয়াতের দাবী করার সুযোগ নেই, যেহেতু তিনি শেষ নাবী।
পূর্বের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে ইয়াহূদীরা সর্বক্ষণ কামনা করত মুসলিমগণ পথভ্রষ্ট হয়ে যাক, সূরা নিসার ৮৯ নং আয়াতে (আসবে) উল্লেখ করা হয়েছে তারা চায় মুসলিমরা আবার কাফির হয়ে যাক।
তাদের এ নিকৃষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অপকৌশল করত। তাদের সাথীদের বলতো দিনের প্রথমভাগে মুসলিমদের প্রতি যে কিতাব নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান আন, আর বিকাল বেলা কুফরী কর। ফলে সাধারণ মুর্খ মানুষেরা মনে করবে মুহাম্মাদের দীন ত্র“টিপূর্ণ তাই এরা ঈমান আনার পর আবার ফিরে এসেছে।
তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী সকালে ঈমান এনে মুসলিমদের সাথে জামাআতে সালাত আদায় করত আবার বিকালে সব ত্যাগ করে নিজ ধর্মে ফিরে যেত। ইয়াহূদীরা আজও মুসলিমদেরকে নিধন ও ধর্ম ত্যাগ করার জন্য সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সুতরাং আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত কোন ক্রমেই যেন তাদের ষড়যন্ত্রের জালে নিজেরা আবদ্ধ না হই।
তারা সাধারণ জনগণকে এ কথাও বলত, যারা তোমাদের ধর্মের অনুসারী তাদের ছাড়া অন্য কারো অনুসরণ করবে না।
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলে দিচ্ছেন বল: আল্লাহ তা‘আলার হিদায়াতই সঠিক হিদায়াত। তোমরা ঈমান না আনলেও আমি ও আমার সাথে যারা ঈমান এনেছে আমরা আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত সঠিক হিদায়াতের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আল্লাহ তা‘আলার হাতেই সকল অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সাধারণ মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইয়াহূদীদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা নবুওয়াত দেন। এতে কারো কোন হাত নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পর নবুওয়াতের দাবী করার সুযোগ নেই, যেহেতু তিনি শেষ নাবী।
3:73
وَ لَا تُؤۡمِنُوۡۤا
اِلَّا لِمَنۡ تَبِعَ دِیۡنَکُمۡ ؕ قُلۡ اِنَّ الۡہُدٰی ہُدَی اللّٰہِ ۙ اَنۡ
یُّؤۡتٰۤی اَحَدٌ مِّثۡلَ مَاۤ اُوۡتِیۡتُمۡ اَوۡ یُحَآجُّوۡکُمۡ عِنۡدَ
رَبِّکُمۡ ؕ قُلۡ اِنَّ الۡفَضۡلَ بِیَدِ اللّٰہِ ۚ یُؤۡتِیۡہِ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ
وَ اللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿ۚۙ۷۳﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৭২-৭৪ নং আয়াতের তাফসীর:
পূর্বের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে ইয়াহূদীরা সর্বক্ষণ কামনা করত মুসলিমগণ পথভ্রষ্ট হয়ে যাক, সূরা নিসার ৮৯ নং আয়াতে (আসবে) উল্লেখ করা হয়েছে তারা চায় মুসলিমরা আবার কাফির হয়ে যাক।
তাদের এ নিকৃষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অপকৌশল করত। তাদের সাথীদের বলতো দিনের প্রথমভাগে মুসলিমদের প্রতি যে কিতাব নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান আন, আর বিকাল বেলা কুফরী কর। ফলে সাধারণ মুর্খ মানুষেরা মনে করবে মুহাম্মাদের দীন ত্র“টিপূর্ণ তাই এরা ঈমান আনার পর আবার ফিরে এসেছে।
তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী সকালে ঈমান এনে মুসলিমদের সাথে জামাআতে সালাত আদায় করত আবার বিকালে সব ত্যাগ করে নিজ ধর্মে ফিরে যেত। ইয়াহূদীরা আজও মুসলিমদেরকে নিধন ও ধর্ম ত্যাগ করার জন্য সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সুতরাং আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত কোন ক্রমেই যেন তাদের ষড়যন্ত্রের জালে নিজেরা আবদ্ধ না হই।
তারা সাধারণ জনগণকে এ কথাও বলত, যারা তোমাদের ধর্মের অনুসারী তাদের ছাড়া অন্য কারো অনুসরণ করবে না।
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলে দিচ্ছেন বল: আল্লাহ তা‘আলার হিদায়াতই সঠিক হিদায়াত। তোমরা ঈমান না আনলেও আমি ও আমার সাথে যারা ঈমান এনেছে আমরা আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত সঠিক হিদায়াতের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আল্লাহ তা‘আলার হাতেই সকল অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সাধারণ মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইয়াহূদীদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা নবুওয়াত দেন। এতে কারো কোন হাত নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পর নবুওয়াতের দাবী করার সুযোগ নেই, যেহেতু তিনি শেষ নাবী।
পূর্বের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে ইয়াহূদীরা সর্বক্ষণ কামনা করত মুসলিমগণ পথভ্রষ্ট হয়ে যাক, সূরা নিসার ৮৯ নং আয়াতে (আসবে) উল্লেখ করা হয়েছে তারা চায় মুসলিমরা আবার কাফির হয়ে যাক।
তাদের এ নিকৃষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অপকৌশল করত। তাদের সাথীদের বলতো দিনের প্রথমভাগে মুসলিমদের প্রতি যে কিতাব নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান আন, আর বিকাল বেলা কুফরী কর। ফলে সাধারণ মুর্খ মানুষেরা মনে করবে মুহাম্মাদের দীন ত্র“টিপূর্ণ তাই এরা ঈমান আনার পর আবার ফিরে এসেছে।
তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী সকালে ঈমান এনে মুসলিমদের সাথে জামাআতে সালাত আদায় করত আবার বিকালে সব ত্যাগ করে নিজ ধর্মে ফিরে যেত। ইয়াহূদীরা আজও মুসলিমদেরকে নিধন ও ধর্ম ত্যাগ করার জন্য সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সুতরাং আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত কোন ক্রমেই যেন তাদের ষড়যন্ত্রের জালে নিজেরা আবদ্ধ না হই।
তারা সাধারণ জনগণকে এ কথাও বলত, যারা তোমাদের ধর্মের অনুসারী তাদের ছাড়া অন্য কারো অনুসরণ করবে না।
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলে দিচ্ছেন বল: আল্লাহ তা‘আলার হিদায়াতই সঠিক হিদায়াত। তোমরা ঈমান না আনলেও আমি ও আমার সাথে যারা ঈমান এনেছে আমরা আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত সঠিক হিদায়াতের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আল্লাহ তা‘আলার হাতেই সকল অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সাধারণ মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইয়াহূদীদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা নবুওয়াত দেন। এতে কারো কোন হাত নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পর নবুওয়াতের দাবী করার সুযোগ নেই, যেহেতু তিনি শেষ নাবী।
3:74
یَّخۡتَصُّ بِرَحۡمَتِہٖ
مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ ذُو الۡفَضۡلِ الۡعَظِیۡمِ ﴿۷۴﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৭২-৭৪ নং আয়াতের তাফসীর:
পূর্বের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে ইয়াহূদীরা সর্বক্ষণ কামনা করত মুসলিমগণ পথভ্রষ্ট হয়ে যাক, সূরা নিসার ৮৯ নং আয়াতে (আসবে) উল্লেখ করা হয়েছে তারা চায় মুসলিমরা আবার কাফির হয়ে যাক।
তাদের এ নিকৃষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অপকৌশল করত। তাদের সাথীদের বলতো দিনের প্রথমভাগে মুসলিমদের প্রতি যে কিতাব নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান আন, আর বিকাল বেলা কুফরী কর। ফলে সাধারণ মুর্খ মানুষেরা মনে করবে মুহাম্মাদের দীন ত্র“টিপূর্ণ তাই এরা ঈমান আনার পর আবার ফিরে এসেছে।
তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী সকালে ঈমান এনে মুসলিমদের সাথে জামাআতে সালাত আদায় করত আবার বিকালে সব ত্যাগ করে নিজ ধর্মে ফিরে যেত। ইয়াহূদীরা আজও মুসলিমদেরকে নিধন ও ধর্ম ত্যাগ করার জন্য সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সুতরাং আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত কোন ক্রমেই যেন তাদের ষড়যন্ত্রের জালে নিজেরা আবদ্ধ না হই।
তারা সাধারণ জনগণকে এ কথাও বলত, যারা তোমাদের ধর্মের অনুসারী তাদের ছাড়া অন্য কারো অনুসরণ করবে না।
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলে দিচ্ছেন বল: আল্লাহ তা‘আলার হিদায়াতই সঠিক হিদায়াত। তোমরা ঈমান না আনলেও আমি ও আমার সাথে যারা ঈমান এনেছে আমরা আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত সঠিক হিদায়াতের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আল্লাহ তা‘আলার হাতেই সকল অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সাধারণ মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইয়াহূদীদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা নবুওয়াত দেন। এতে কারো কোন হাত নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পর নবুওয়াতের দাবী করার সুযোগ নেই, যেহেতু তিনি শেষ নাবী।
পূর্বের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে ইয়াহূদীরা সর্বক্ষণ কামনা করত মুসলিমগণ পথভ্রষ্ট হয়ে যাক, সূরা নিসার ৮৯ নং আয়াতে (আসবে) উল্লেখ করা হয়েছে তারা চায় মুসলিমরা আবার কাফির হয়ে যাক।
তাদের এ নিকৃষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অপকৌশল করত। তাদের সাথীদের বলতো দিনের প্রথমভাগে মুসলিমদের প্রতি যে কিতাব নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান আন, আর বিকাল বেলা কুফরী কর। ফলে সাধারণ মুর্খ মানুষেরা মনে করবে মুহাম্মাদের দীন ত্র“টিপূর্ণ তাই এরা ঈমান আনার পর আবার ফিরে এসেছে।
তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী সকালে ঈমান এনে মুসলিমদের সাথে জামাআতে সালাত আদায় করত আবার বিকালে সব ত্যাগ করে নিজ ধর্মে ফিরে যেত। ইয়াহূদীরা আজও মুসলিমদেরকে নিধন ও ধর্ম ত্যাগ করার জন্য সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সুতরাং আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত কোন ক্রমেই যেন তাদের ষড়যন্ত্রের জালে নিজেরা আবদ্ধ না হই।
তারা সাধারণ জনগণকে এ কথাও বলত, যারা তোমাদের ধর্মের অনুসারী তাদের ছাড়া অন্য কারো অনুসরণ করবে না।
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলে দিচ্ছেন বল: আল্লাহ তা‘আলার হিদায়াতই সঠিক হিদায়াত। তোমরা ঈমান না আনলেও আমি ও আমার সাথে যারা ঈমান এনেছে আমরা আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত সঠিক হিদায়াতের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি। আল্লাহ তা‘আলার হাতেই সকল অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সাধারণ মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইয়াহূদীদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা নবুওয়াত দেন। এতে কারো কোন হাত নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পর নবুওয়াতের দাবী করার সুযোগ নেই, যেহেতু তিনি শেষ নাবী।
3:75
وَ مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ
مَنۡ اِنۡ تَاۡمَنۡہُ بِقِنۡطَارٍ یُّؤَدِّہٖۤ اِلَیۡکَ ۚ وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ اِنۡ
تَاۡمَنۡہُ بِدِیۡنَارٍ لَّا یُؤَدِّہٖۤ اِلَیۡکَ اِلَّا مَادُمۡتَ عَلَیۡہِ
قَآئِمًا ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَالُوۡا لَیۡسَ عَلَیۡنَا فِی الۡاُمِّیّٖنَ
سَبِیۡلٌ ۚ وَ یَقُوۡلُوۡنَ عَلَی اللّٰہِ الۡکَذِبَ وَ ہُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۷۵﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৭৫-৭৬ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তা‘আলা দীনের ব্যাপারে ইয়াহূদীদের খিয়ানতের আলোচনা করার পর সম্পদের খিয়ানতের আলোচনা শুরু করেছেন।
আহলে কিতাবদের একশ্রেণি আছে যাদের কাছে “কিনতার” তথা অঢেল সম্পদ আমানত রাখলেও তারা খিয়ানত করবে না; বরং যথাযথভাবে আমানত ফিরিয়ে দেবে। ইকরামা (রহঃ) বলেন, এরা হল খ্রিস্টান। আবার একশ্রেণি আছে যাদের কাছে এক দিনার আমানত রাখলেও খিয়ানত করবে। ইকরামা (রহঃ) বলেন, এরা হল ইয়াহূদী। (ফাতহুল কাদীর, ১/৪৭৮)
এর কারণ হল, ইয়াহূদীরা বলে থাকে: উম্মি তথা আরবের মুশরিকদের সম্পদ হরণ করে নিলে আমাদের কোন গুনাহ হবে না; কেননা আল্লাহ তা‘আলা আমাদের জন্য তা বৈধ করে দিয়েছেন।
তারা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়। মূলত জেনে-শুনে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে হরণ করার অনুমতি আল্লাহ তা‘আলা কখনো প্রদান করেননি।
(بَلٰي مَنْ أَوْفٰي بِعَهْدِه۪):
“অঙ্গীকার পালন করা”-এর অর্থ হল: সে অঙ্গীকার রক্ষা করা যা আহলে কিতাব এবং প্রত্যেক নাবী-রাসূলের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ উম্মাতের কাছ থেকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর ঈমান আনার ব্যাপারে নেয়া হয়েছে। আর “আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করা”-এর অর্থ হল: আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক হারাম জিনিস থেকে দূরে থাকা এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক নির্দেশিত সমস্ত বিষয়ের ওপর আমল করা। যারা এ রকম করে তারা অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলার পাকড়াও থেকে রক্ষা পাবে এবং তাঁর প্রিয় বান্দা বলেও গণ্য হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবের কিছু লোক ভাল যারা আমানতদার ছিল।
২. অধিকাংশ আহলে কিতাব আমানতদার ছিল না।
৩. যে বেশি টাকা সংরক্ষণে আমানতদার সে কম টাকা সংরক্ষণে বেশি আমানতদার। আর যে কম টাকা খিয়ানত করে সে বেশি টাকার ক্ষেত্রে বেশি খিয়ানত করবে।
আল্লাহ তা‘আলা দীনের ব্যাপারে ইয়াহূদীদের খিয়ানতের আলোচনা করার পর সম্পদের খিয়ানতের আলোচনা শুরু করেছেন।
আহলে কিতাবদের একশ্রেণি আছে যাদের কাছে “কিনতার” তথা অঢেল সম্পদ আমানত রাখলেও তারা খিয়ানত করবে না; বরং যথাযথভাবে আমানত ফিরিয়ে দেবে। ইকরামা (রহঃ) বলেন, এরা হল খ্রিস্টান। আবার একশ্রেণি আছে যাদের কাছে এক দিনার আমানত রাখলেও খিয়ানত করবে। ইকরামা (রহঃ) বলেন, এরা হল ইয়াহূদী। (ফাতহুল কাদীর, ১/৪৭৮)
এর কারণ হল, ইয়াহূদীরা বলে থাকে: উম্মি তথা আরবের মুশরিকদের সম্পদ হরণ করে নিলে আমাদের কোন গুনাহ হবে না; কেননা আল্লাহ তা‘আলা আমাদের জন্য তা বৈধ করে দিয়েছেন।
তারা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়। মূলত জেনে-শুনে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে হরণ করার অনুমতি আল্লাহ তা‘আলা কখনো প্রদান করেননি।
(بَلٰي مَنْ أَوْفٰي بِعَهْدِه۪):
“অঙ্গীকার পালন করা”-এর অর্থ হল: সে অঙ্গীকার রক্ষা করা যা আহলে কিতাব এবং প্রত্যেক নাবী-রাসূলের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ উম্মাতের কাছ থেকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর ঈমান আনার ব্যাপারে নেয়া হয়েছে। আর “আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করা”-এর অর্থ হল: আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক হারাম জিনিস থেকে দূরে থাকা এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক নির্দেশিত সমস্ত বিষয়ের ওপর আমল করা। যারা এ রকম করে তারা অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলার পাকড়াও থেকে রক্ষা পাবে এবং তাঁর প্রিয় বান্দা বলেও গণ্য হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবের কিছু লোক ভাল যারা আমানতদার ছিল।
২. অধিকাংশ আহলে কিতাব আমানতদার ছিল না।
৩. যে বেশি টাকা সংরক্ষণে আমানতদার সে কম টাকা সংরক্ষণে বেশি আমানতদার। আর যে কম টাকা খিয়ানত করে সে বেশি টাকার ক্ষেত্রে বেশি খিয়ানত করবে।
3:76
بَلٰی مَنۡ اَوۡفٰی
بِعَہۡدِہٖ وَ اتَّقٰی فَاِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۷۶﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৭৫-৭৬ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তা‘আলা দীনের ব্যাপারে ইয়াহূদীদের খিয়ানতের আলোচনা করার পর সম্পদের খিয়ানতের আলোচনা শুরু করেছেন।
আহলে কিতাবদের একশ্রেণি আছে যাদের কাছে “কিনতার” তথা অঢেল সম্পদ আমানত রাখলেও তারা খিয়ানত করবে না; বরং যথাযথভাবে আমানত ফিরিয়ে দেবে। ইকরামা (রহঃ) বলেন, এরা হল খ্রিস্টান। আবার একশ্রেণি আছে যাদের কাছে এক দিনার আমানত রাখলেও খিয়ানত করবে। ইকরামা (রহঃ) বলেন, এরা হল ইয়াহূদী। (ফাতহুল কাদীর, ১/৪৭৮)
এর কারণ হল, ইয়াহূদীরা বলে থাকে: উম্মি তথা আরবের মুশরিকদের সম্পদ হরণ করে নিলে আমাদের কোন গুনাহ হবে না; কেননা আল্লাহ তা‘আলা আমাদের জন্য তা বৈধ করে দিয়েছেন।
তারা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়। মূলত জেনে-শুনে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে হরণ করার অনুমতি আল্লাহ তা‘আলা কখনো প্রদান করেননি।
(بَلٰي مَنْ أَوْفٰي بِعَهْدِه۪):
“অঙ্গীকার পালন করা”-এর অর্থ হল: সে অঙ্গীকার রক্ষা করা যা আহলে কিতাব এবং প্রত্যেক নাবী-রাসূলের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ উম্মাতের কাছ থেকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর ঈমান আনার ব্যাপারে নেয়া হয়েছে। আর “আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করা”-এর অর্থ হল: আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক হারাম জিনিস থেকে দূরে থাকা এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক নির্দেশিত সমস্ত বিষয়ের ওপর আমল করা। যারা এ রকম করে তারা অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলার পাকড়াও থেকে রক্ষা পাবে এবং তাঁর প্রিয় বান্দা বলেও গণ্য হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবের কিছু লোক ভাল যারা আমানতদার ছিল।
২. অধিকাংশ আহলে কিতাব আমানতদার ছিল না।
৩. যে বেশি টাকা সংরক্ষণে আমানতদার সে কম টাকা সংরক্ষণে বেশি আমানতদার। আর যে কম টাকা খিয়ানত করে সে বেশি টাকার ক্ষেত্রে বেশি খিয়ানত করবে।
আল্লাহ তা‘আলা দীনের ব্যাপারে ইয়াহূদীদের খিয়ানতের আলোচনা করার পর সম্পদের খিয়ানতের আলোচনা শুরু করেছেন।
আহলে কিতাবদের একশ্রেণি আছে যাদের কাছে “কিনতার” তথা অঢেল সম্পদ আমানত রাখলেও তারা খিয়ানত করবে না; বরং যথাযথভাবে আমানত ফিরিয়ে দেবে। ইকরামা (রহঃ) বলেন, এরা হল খ্রিস্টান। আবার একশ্রেণি আছে যাদের কাছে এক দিনার আমানত রাখলেও খিয়ানত করবে। ইকরামা (রহঃ) বলেন, এরা হল ইয়াহূদী। (ফাতহুল কাদীর, ১/৪৭৮)
এর কারণ হল, ইয়াহূদীরা বলে থাকে: উম্মি তথা আরবের মুশরিকদের সম্পদ হরণ করে নিলে আমাদের কোন গুনাহ হবে না; কেননা আল্লাহ তা‘আলা আমাদের জন্য তা বৈধ করে দিয়েছেন।
তারা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়। মূলত জেনে-শুনে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে হরণ করার অনুমতি আল্লাহ তা‘আলা কখনো প্রদান করেননি।
(بَلٰي مَنْ أَوْفٰي بِعَهْدِه۪):
“অঙ্গীকার পালন করা”-এর অর্থ হল: সে অঙ্গীকার রক্ষা করা যা আহলে কিতাব এবং প্রত্যেক নাবী-রাসূলের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ উম্মাতের কাছ থেকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর ঈমান আনার ব্যাপারে নেয়া হয়েছে। আর “আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করা”-এর অর্থ হল: আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক হারাম জিনিস থেকে দূরে থাকা এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক নির্দেশিত সমস্ত বিষয়ের ওপর আমল করা। যারা এ রকম করে তারা অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলার পাকড়াও থেকে রক্ষা পাবে এবং তাঁর প্রিয় বান্দা বলেও গণ্য হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবের কিছু লোক ভাল যারা আমানতদার ছিল।
২. অধিকাংশ আহলে কিতাব আমানতদার ছিল না।
৩. যে বেশি টাকা সংরক্ষণে আমানতদার সে কম টাকা সংরক্ষণে বেশি আমানতদার। আর যে কম টাকা খিয়ানত করে সে বেশি টাকার ক্ষেত্রে বেশি খিয়ানত করবে।
3:77
اِنَّ الَّذِیۡنَ
یَشۡتَرُوۡنَ بِعَہۡدِ اللّٰہِ وَ اَیۡمَانِہِمۡ ثَمَنًا قَلِیۡلًا اُولٰٓئِکَ لَا
خَلَاقَ لَہُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ وَ لَا یُکَلِّمُہُمُ اللّٰہُ وَ لَا یَنۡظُرُ
اِلَیۡہِمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وَ لَا یُزَکِّیۡہِمۡ ۪ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ
﴿۷۷﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৭৭ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
আশআস বিন কায়েস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার ও একজন ইয়াহূদীর মাঝে একখণ্ড জমি অংশীদারীত্বে ছিল। কিন্তু সে আমার অংশ অস্বীকার করে। আমি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পেশ করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমার প্রমাণ আছে? আমি বললাম, না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদীকে বলেন, তুমি শপথ কর। আমি বললাম, হে আল্লাহ তা‘আলার রাসূল! সে তো শপথ করে আমার সম্পদ নিয়ে যাবে। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী হা: ২৬৬৭, ২৪১৭)
অন্য বর্ণনায় আবদুল্লাহ বিন আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বিক্রি করার জন্য বাজারে কিছু জিনিস আনল এবং কসম করে বলতে শুরু করল যে, আমাকে লোকে এ জিনিসের দাম এতো এতো দিতে চেয়েছিল। অথচ কেউ এরূপ বলেনি। এ মিথ্যা বলার উদ্দেশ্য হলো, মুসলিমরা যাতে তার এ কথা বিশ্বাস করে তার নিকট থেকে জিনিসটা বেশি মূল্যে ক্রয় করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৫১)
যারা দুনিয়ার স্বল্পমূল্যের বিনিময়ে নিজেদের দীনকে বিসর্জন দেয় তাদের জন্য চার প্রকার শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
১. পরকালে তাদের জন্য কল্যাণের কোন অংশ নেই।
২. আল্লাহ তা‘আলা তাদের সাথে কথা বলবেন না।
৩. আল্লাহ তা‘আলা তাদের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না।
৪. তাদেরকে পবিত্রও করবেন না।
হাদীসেও এ ব্যাপারে অনেক বর্ণনা এসেছে: যেমন-
১. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তিন শ্রেণির লোকের সাথে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাতের দিন কথা বলবেন না, পবিত্র করবেন না এবং তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে দেখবেন না। তারা হল: (১) যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরে, (২) মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রি করে, (৩) কারো প্রতি অনুগ্রহ করার পর তা বলে বেড়ায়। (আবূ দাঊদ হা: ৪০৮৭, তিরমিযী হা: ১৬১১, সহীহ)
২. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তিন শ্রেণির মানুষের সাথে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাতের দিন কথা বলবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি: (১) যার নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি রয়েছে কিন্তু কোন মুসাফিরকে সে তা প্রদান করে না। (২) যে মিথ্যা শপথ করে স্বীয় মাল বিক্রি করে এবং (৩) যে মুসলিম বাদশার হাতে বায়আত গ্রহণ করে, অতঃপর যদি বাদশা তাকে সম্পদ প্রদান করে তাহলে বাইআতে বহাল থাকে, আর সম্পদ না দিলে বাইয়াত ভঙ্গ করে। (তিরমিযী হা: ১৫৯৫, সহীহ)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যারা দীনকে দুনিয়ার স্বল্পমূল্যে বিনিময় করে তাদের শাস্তির কথা জানলাম।
২. টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করার শাস্তি সম্পর্কে জানলাম।
৩. শরীয়তে বাইয়াত আছে, তবে তা করতে হবে ইসলামী সরকারের হাতে; কোন পীর-ফকিরের হাতে নয়।
৪. মিথ্যা কসম করে পণ্য বিক্রির শাস্তি সম্পর্কে জানলাম।
শানে নুযূল:
আশআস বিন কায়েস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার ও একজন ইয়াহূদীর মাঝে একখণ্ড জমি অংশীদারীত্বে ছিল। কিন্তু সে আমার অংশ অস্বীকার করে। আমি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট পেশ করলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমার প্রমাণ আছে? আমি বললাম, না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদীকে বলেন, তুমি শপথ কর। আমি বললাম, হে আল্লাহ তা‘আলার রাসূল! সে তো শপথ করে আমার সম্পদ নিয়ে যাবে। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী হা: ২৬৬৭, ২৪১৭)
অন্য বর্ণনায় আবদুল্লাহ বিন আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি বিক্রি করার জন্য বাজারে কিছু জিনিস আনল এবং কসম করে বলতে শুরু করল যে, আমাকে লোকে এ জিনিসের দাম এতো এতো দিতে চেয়েছিল। অথচ কেউ এরূপ বলেনি। এ মিথ্যা বলার উদ্দেশ্য হলো, মুসলিমরা যাতে তার এ কথা বিশ্বাস করে তার নিকট থেকে জিনিসটা বেশি মূল্যে ক্রয় করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াত নাযিল হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৫১)
যারা দুনিয়ার স্বল্পমূল্যের বিনিময়ে নিজেদের দীনকে বিসর্জন দেয় তাদের জন্য চার প্রকার শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
১. পরকালে তাদের জন্য কল্যাণের কোন অংশ নেই।
২. আল্লাহ তা‘আলা তাদের সাথে কথা বলবেন না।
৩. আল্লাহ তা‘আলা তাদের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না।
৪. তাদেরকে পবিত্রও করবেন না।
হাদীসেও এ ব্যাপারে অনেক বর্ণনা এসেছে: যেমন-
১. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তিন শ্রেণির লোকের সাথে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাতের দিন কথা বলবেন না, পবিত্র করবেন না এবং তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে দেখবেন না। তারা হল: (১) যে ব্যক্তি টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরে, (২) মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রি করে, (৩) কারো প্রতি অনুগ্রহ করার পর তা বলে বেড়ায়। (আবূ দাঊদ হা: ৪০৮৭, তিরমিযী হা: ১৬১১, সহীহ)
২. আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তিন শ্রেণির মানুষের সাথে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাতের দিন কথা বলবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি: (১) যার নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি রয়েছে কিন্তু কোন মুসাফিরকে সে তা প্রদান করে না। (২) যে মিথ্যা শপথ করে স্বীয় মাল বিক্রি করে এবং (৩) যে মুসলিম বাদশার হাতে বায়আত গ্রহণ করে, অতঃপর যদি বাদশা তাকে সম্পদ প্রদান করে তাহলে বাইআতে বহাল থাকে, আর সম্পদ না দিলে বাইয়াত ভঙ্গ করে। (তিরমিযী হা: ১৫৯৫, সহীহ)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. যারা দীনকে দুনিয়ার স্বল্পমূল্যে বিনিময় করে তাদের শাস্তির কথা জানলাম।
২. টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করার শাস্তি সম্পর্কে জানলাম।
৩. শরীয়তে বাইয়াত আছে, তবে তা করতে হবে ইসলামী সরকারের হাতে; কোন পীর-ফকিরের হাতে নয়।
৪. মিথ্যা কসম করে পণ্য বিক্রির শাস্তি সম্পর্কে জানলাম।
3:78
وَ اِنَّ مِنۡہُمۡ
لَفَرِیۡقًا یَّلۡوٗنَ اَلۡسِنَتَہُمۡ بِالۡکِتٰبِ لِتَحۡسَبُوۡہُ مِنَ الۡکِتٰبِ
وَ مَا ہُوَ مِنَ الۡکِتٰبِ ۚ وَ یَقُوۡلُوۡنَ ہُوَ مِنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ وَ مَا
ہُوَ مِنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ ۚ وَ یَقُوۡلُوۡنَ عَلَی اللّٰہِ الۡکَذِبَ وَ ہُمۡ
یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۷۸﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৭৮ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতে ইয়াহূদীদের সে সব লোকেদের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যারা আল্লাহ তা‘আলার কিতাবের মধ্যে কেবল হরফের পরিবর্তন সাধন করেনি বরং আরো দু’টি অপরাধ করেছে:
১. বিকৃত উচ্চারণে মুখ বাঁকিয়ে কিতাব পাঠ করে যেন এর দ্বারা তারা জনসাধারণের মধ্যে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়।
২. তারা তাদের মনগড়া কথাগুলোকে আল্লাহ তা‘আলার কথা বলে চালিয়ে দেয়।
দুর্ভাগ্যবশত উম্মাতে মুহাম্মাদীর একশ্রেণির ফিরকাবন্দী আলেম নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী “তোমরা পূর্ববতীদের তরীকার অনুসরণ করবে” অনুযায়ী দুনিয়ার স্বার্থে অথবা নিজের ফিরকা বা তরীকাকে শক্ত করে ধরে থাকার ফলে কুরআনের সাথে ইয়াহূদীদের ঐরূপ আচরণ করে থাকে। তারা কুরআন খুব সুন্দর সূললিত কণ্ঠে তেলাওয়াত করে কিন্তু ব্যাখ্যা নিজের তরীকা অনুযায়ী করে। সাধারণ লোক মনে করে মাওলানা সাহেব মাসআলা কুরআন থেকেই বলছেন। অথচ কুরআনের সাথে ব্যক্ত মাসআলার কোন সম্পর্ক নেই। এটা সম্পূর্ণ ইয়াহূদীদের আচরণ। তারা দুনিয়ার স্বার্থে মাসআলা বিকৃত করে আল্লাহ তা‘আলার নামে চালিয়ে দিত। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এসব কাজ থেকে হেফাযত করুন। আমীন!
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীদের চক্রান্ত ও ধোঁকার কথা জানলাম।
২. ইয়াহূদীদের চাল-চলন ও চক্রান্ত থেকে মুসলিমদের সতর্ক থাকা উচিত।
এ আয়াতে ইয়াহূদীদের সে সব লোকেদের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যারা আল্লাহ তা‘আলার কিতাবের মধ্যে কেবল হরফের পরিবর্তন সাধন করেনি বরং আরো দু’টি অপরাধ করেছে:
১. বিকৃত উচ্চারণে মুখ বাঁকিয়ে কিতাব পাঠ করে যেন এর দ্বারা তারা জনসাধারণের মধ্যে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়।
২. তারা তাদের মনগড়া কথাগুলোকে আল্লাহ তা‘আলার কথা বলে চালিয়ে দেয়।
দুর্ভাগ্যবশত উম্মাতে মুহাম্মাদীর একশ্রেণির ফিরকাবন্দী আলেম নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী “তোমরা পূর্ববতীদের তরীকার অনুসরণ করবে” অনুযায়ী দুনিয়ার স্বার্থে অথবা নিজের ফিরকা বা তরীকাকে শক্ত করে ধরে থাকার ফলে কুরআনের সাথে ইয়াহূদীদের ঐরূপ আচরণ করে থাকে। তারা কুরআন খুব সুন্দর সূললিত কণ্ঠে তেলাওয়াত করে কিন্তু ব্যাখ্যা নিজের তরীকা অনুযায়ী করে। সাধারণ লোক মনে করে মাওলানা সাহেব মাসআলা কুরআন থেকেই বলছেন। অথচ কুরআনের সাথে ব্যক্ত মাসআলার কোন সম্পর্ক নেই। এটা সম্পূর্ণ ইয়াহূদীদের আচরণ। তারা দুনিয়ার স্বার্থে মাসআলা বিকৃত করে আল্লাহ তা‘আলার নামে চালিয়ে দিত। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এসব কাজ থেকে হেফাযত করুন। আমীন!
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীদের চক্রান্ত ও ধোঁকার কথা জানলাম।
২. ইয়াহূদীদের চাল-চলন ও চক্রান্ত থেকে মুসলিমদের সতর্ক থাকা উচিত।
3:79
مَا کَانَ لِبَشَرٍ اَنۡ
یُّؤۡتِیَہُ اللّٰہُ الۡکِتٰبَ وَ الۡحُکۡمَ وَ النُّبُوَّۃَ ثُمَّ یَقُوۡلَ
لِلنَّاسِ کُوۡنُوۡا عِبَادًا لِّیۡ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ وَ لٰکِنۡ کُوۡنُوۡا
رَبّٰنِیّٖنَ بِمَا کُنۡتُمۡ تُعَلِّمُوۡنَ الۡکِتٰبَ وَ بِمَا کُنۡتُمۡ
تَدۡرُسُوۡنَ ﴿ۙ۷۹﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৭৯-৮০ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা যাকে কিতাব ও জ্ঞান এবং নবুওয়াত প্রদান করেছেন তিনি মানব জাতিকে বলবেন, হে জনগণ! তোমরা আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে আমার ইবাদত কর এটা কোন দিন হতে পারে না এবং এটাও নির্দেশ দিতে পারে না- “তোমরা ফেরেশতা ও নাবীদেরকে রব বানিয়ে নাও।” মূলত এখানে খ্রিস্টানদের ব্যাপারে বলা হচ্ছে, কারণ তারা ঈসা (আঃ)-কে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাতের দিন ঈসা (আঃ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “আর (স্মরণ কর) আল্লাহ যখন বলবেন: ‘হে মারইয়ামের ছেলে ঈসা! তুমি কি লোকেদেরকে বলেছিলে যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার জননীকে দুই মা‘বূদরূপে গ্রহণ কর?’ সে বলবে, ‘তোমার প্রবিত্রতা বর্ণনা করছি! যা বলার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার পক্ষে শোভনীয় নয়। যদি আমি তা বলতাম তবে তুমি তো তা জানতে। আমার অন্তরের কথা তো তুমি অবগত আছ, কিন্তু তোমার অন্তরের কথা আমি অবগত নই; তুমি তো অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত।’ তুমি আমাকে যে আদেশ করেছ তা ব্যতীত তাদেরকে আমি কিছুই বলিনি, তা এইঃ ‘তোমরা আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত কর এবং যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম তাদের কার্যকলাপের সাক্ষী ছিলাম, কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে নিলে তখন তুমিই তো ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমি সর্ববিষয়ে সাক্ষী।” (সূরা ময়িদাহ ৫:১১৬-১৭)
সুতরাং কোন নাবী বা নেককার ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত বাদ দিয়ে তার ইবাদত করার আহ্বান জানাতে পারে না। যদি কখনও এরূপ আহ্বান কেউ করে থাকে তাহলে সে কখনো মু’মিন থাকতে পারে না বরং সে হবে শয়তানের অনুসারী এবং প্রকাশ্য তাগুত।
رَبَّانِيِّيْنَ শব্দটি رباني এর বহুবচন, অর্থ হলো আল্লাহওয়ালা। রব্বানী বলা হয় এমন ব্যক্তিকে যিনি আল্লাহ তা‘আলার বেশি বেশি ইবাদত করেন এবং দীনের ব্যাপারে গভীর জ্ঞান রাখেন। অথবা সেই ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি মানুষকে দীনের পথে আহ্বান করেন, সমাজ সংস্কার করেন এবং তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। (আইসারুত তাফাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)।
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক নাবীকে প্রেরণ করেছেন কেবল এ নির্দেশ দিয়ে যে, তোমরা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত কর আর তাগুতকে বর্জন কর। কোন নাবীই নিজের ইবাদতের দিকে আহ্বান করেননি।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন নাবী বা রাসূল নিজের বা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো ইবাদতের দিকে আহ্বান করেননি। বরং সকল নাবীদের দাওয়াতী মিশন ছিল একটাই: তাওহীদের প্রতি আহ্বান এবং তাগুত/শির্ক বর্জন।
২. আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে অন্যকে রব হিসাবে গ্রহণ করা প্রকাশ্য কুফরী।
৩. আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির পরিচয় জানলাম।
আল্লাহ তা‘আলা যাকে কিতাব ও জ্ঞান এবং নবুওয়াত প্রদান করেছেন তিনি মানব জাতিকে বলবেন, হে জনগণ! তোমরা আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে আমার ইবাদত কর এটা কোন দিন হতে পারে না এবং এটাও নির্দেশ দিতে পারে না- “তোমরা ফেরেশতা ও নাবীদেরকে রব বানিয়ে নাও।” মূলত এখানে খ্রিস্টানদের ব্যাপারে বলা হচ্ছে, কারণ তারা ঈসা (আঃ)-কে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাতের দিন ঈসা (আঃ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “আর (স্মরণ কর) আল্লাহ যখন বলবেন: ‘হে মারইয়ামের ছেলে ঈসা! তুমি কি লোকেদেরকে বলেছিলে যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার জননীকে দুই মা‘বূদরূপে গ্রহণ কর?’ সে বলবে, ‘তোমার প্রবিত্রতা বর্ণনা করছি! যা বলার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার পক্ষে শোভনীয় নয়। যদি আমি তা বলতাম তবে তুমি তো তা জানতে। আমার অন্তরের কথা তো তুমি অবগত আছ, কিন্তু তোমার অন্তরের কথা আমি অবগত নই; তুমি তো অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত।’ তুমি আমাকে যে আদেশ করেছ তা ব্যতীত তাদেরকে আমি কিছুই বলিনি, তা এইঃ ‘তোমরা আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত কর এবং যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম তাদের কার্যকলাপের সাক্ষী ছিলাম, কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে নিলে তখন তুমিই তো ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমি সর্ববিষয়ে সাক্ষী।” (সূরা ময়িদাহ ৫:১১৬-১৭)
সুতরাং কোন নাবী বা নেককার ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত বাদ দিয়ে তার ইবাদত করার আহ্বান জানাতে পারে না। যদি কখনও এরূপ আহ্বান কেউ করে থাকে তাহলে সে কখনো মু’মিন থাকতে পারে না বরং সে হবে শয়তানের অনুসারী এবং প্রকাশ্য তাগুত।
رَبَّانِيِّيْنَ শব্দটি رباني এর বহুবচন, অর্থ হলো আল্লাহওয়ালা। রব্বানী বলা হয় এমন ব্যক্তিকে যিনি আল্লাহ তা‘আলার বেশি বেশি ইবাদত করেন এবং দীনের ব্যাপারে গভীর জ্ঞান রাখেন। অথবা সেই ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি মানুষকে দীনের পথে আহ্বান করেন, সমাজ সংস্কার করেন এবং তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। (আইসারুত তাফাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)।
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক নাবীকে প্রেরণ করেছেন কেবল এ নির্দেশ দিয়ে যে, তোমরা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত কর আর তাগুতকে বর্জন কর। কোন নাবীই নিজের ইবাদতের দিকে আহ্বান করেননি।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন নাবী বা রাসূল নিজের বা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো ইবাদতের দিকে আহ্বান করেননি। বরং সকল নাবীদের দাওয়াতী মিশন ছিল একটাই: তাওহীদের প্রতি আহ্বান এবং তাগুত/শির্ক বর্জন।
২. আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে অন্যকে রব হিসাবে গ্রহণ করা প্রকাশ্য কুফরী।
৩. আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির পরিচয় জানলাম।
3:80
وَ لَا یَاۡمُرَکُمۡ اَنۡ
تَتَّخِذُوا الۡمَلٰٓئِکَۃَ وَ النَّبِیّٖنَ اَرۡبَابًا ؕ اَیَاۡمُرُکُمۡ
بِالۡکُفۡرِ بَعۡدَ اِذۡ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ ﴿٪۸۰﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৭৯-৮০ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা যাকে কিতাব ও জ্ঞান এবং নবুওয়াত প্রদান করেছেন তিনি মানব জাতিকে বলবেন, হে জনগণ! তোমরা আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে আমার ইবাদত কর এটা কোন দিন হতে পারে না এবং এটাও নির্দেশ দিতে পারে না- “তোমরা ফেরেশতা ও নাবীদেরকে রব বানিয়ে নাও।” মূলত এখানে খ্রিস্টানদের ব্যাপারে বলা হচ্ছে, কারণ তারা ঈসা (আঃ)-কে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাতের দিন ঈসা (আঃ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “আর (স্মরণ কর) আল্লাহ যখন বলবেন: ‘হে মারইয়ামের ছেলে ঈসা! তুমি কি লোকেদেরকে বলেছিলে যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার জননীকে দুই মা‘বূদরূপে গ্রহণ কর?’ সে বলবে, ‘তোমার প্রবিত্রতা বর্ণনা করছি! যা বলার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার পক্ষে শোভনীয় নয়। যদি আমি তা বলতাম তবে তুমি তো তা জানতে। আমার অন্তরের কথা তো তুমি অবগত আছ, কিন্তু তোমার অন্তরের কথা আমি অবগত নই; তুমি তো অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত।’ তুমি আমাকে যে আদেশ করেছ তা ব্যতীত তাদেরকে আমি কিছুই বলিনি, তা এইঃ ‘তোমরা আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত কর এবং যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম তাদের কার্যকলাপের সাক্ষী ছিলাম, কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে নিলে তখন তুমিই তো ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমি সর্ববিষয়ে সাক্ষী।” (সূরা ময়িদাহ ৫:১১৬-১৭)
সুতরাং কোন নাবী বা নেককার ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত বাদ দিয়ে তার ইবাদত করার আহ্বান জানাতে পারে না। যদি কখনও এরূপ আহ্বান কেউ করে থাকে তাহলে সে কখনো মু’মিন থাকতে পারে না বরং সে হবে শয়তানের অনুসারী এবং প্রকাশ্য তাগুত।
رَبَّانِيِّيْنَ শব্দটি رباني এর বহুবচন, অর্থ হলো আল্লাহওয়ালা। রব্বানী বলা হয় এমন ব্যক্তিকে যিনি আল্লাহ তা‘আলার বেশি বেশি ইবাদত করেন এবং দীনের ব্যাপারে গভীর জ্ঞান রাখেন। অথবা সেই ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি মানুষকে দীনের পথে আহ্বান করেন, সমাজ সংস্কার করেন এবং তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। (আইসারুত তাফাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)।
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক নাবীকে প্রেরণ করেছেন কেবল এ নির্দেশ দিয়ে যে, তোমরা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত কর আর তাগুতকে বর্জন কর। কোন নাবীই নিজের ইবাদতের দিকে আহ্বান করেননি।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন নাবী বা রাসূল নিজের বা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো ইবাদতের দিকে আহ্বান করেননি। বরং সকল নাবীদের দাওয়াতী মিশন ছিল একটাই: তাওহীদের প্রতি আহ্বান এবং তাগুত/শির্ক বর্জন।
২. আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে অন্যকে রব হিসাবে গ্রহণ করা প্রকাশ্য কুফরী।
৩. আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির পরিচয় জানলাম।
আল্লাহ তা‘আলা যাকে কিতাব ও জ্ঞান এবং নবুওয়াত প্রদান করেছেন তিনি মানব জাতিকে বলবেন, হে জনগণ! তোমরা আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে আমার ইবাদত কর এটা কোন দিন হতে পারে না এবং এটাও নির্দেশ দিতে পারে না- “তোমরা ফেরেশতা ও নাবীদেরকে রব বানিয়ে নাও।” মূলত এখানে খ্রিস্টানদের ব্যাপারে বলা হচ্ছে, কারণ তারা ঈসা (আঃ)-কে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাতের দিন ঈসা (আঃ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “আর (স্মরণ কর) আল্লাহ যখন বলবেন: ‘হে মারইয়ামের ছেলে ঈসা! তুমি কি লোকেদেরকে বলেছিলে যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার জননীকে দুই মা‘বূদরূপে গ্রহণ কর?’ সে বলবে, ‘তোমার প্রবিত্রতা বর্ণনা করছি! যা বলার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার পক্ষে শোভনীয় নয়। যদি আমি তা বলতাম তবে তুমি তো তা জানতে। আমার অন্তরের কথা তো তুমি অবগত আছ, কিন্তু তোমার অন্তরের কথা আমি অবগত নই; তুমি তো অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত।’ তুমি আমাকে যে আদেশ করেছ তা ব্যতীত তাদেরকে আমি কিছুই বলিনি, তা এইঃ ‘তোমরা আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত কর এবং যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম তাদের কার্যকলাপের সাক্ষী ছিলাম, কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে নিলে তখন তুমিই তো ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমি সর্ববিষয়ে সাক্ষী।” (সূরা ময়িদাহ ৫:১১৬-১৭)
সুতরাং কোন নাবী বা নেককার ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত বাদ দিয়ে তার ইবাদত করার আহ্বান জানাতে পারে না। যদি কখনও এরূপ আহ্বান কেউ করে থাকে তাহলে সে কখনো মু’মিন থাকতে পারে না বরং সে হবে শয়তানের অনুসারী এবং প্রকাশ্য তাগুত।
رَبَّانِيِّيْنَ শব্দটি رباني এর বহুবচন, অর্থ হলো আল্লাহওয়ালা। রব্বানী বলা হয় এমন ব্যক্তিকে যিনি আল্লাহ তা‘আলার বেশি বেশি ইবাদত করেন এবং দীনের ব্যাপারে গভীর জ্ঞান রাখেন। অথবা সেই ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি মানুষকে দীনের পথে আহ্বান করেন, সমাজ সংস্কার করেন এবং তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। (আইসারুত তাফাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)।
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক নাবীকে প্রেরণ করেছেন কেবল এ নির্দেশ দিয়ে যে, তোমরা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত কর আর তাগুতকে বর্জন কর। কোন নাবীই নিজের ইবাদতের দিকে আহ্বান করেননি।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন নাবী বা রাসূল নিজের বা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো ইবাদতের দিকে আহ্বান করেননি। বরং সকল নাবীদের দাওয়াতী মিশন ছিল একটাই: তাওহীদের প্রতি আহ্বান এবং তাগুত/শির্ক বর্জন।
২. আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে অন্যকে রব হিসাবে গ্রহণ করা প্রকাশ্য কুফরী।
৩. আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির পরিচয় জানলাম।
3:81
وَ اِذۡ اَخَذَ اللّٰہُ
مِیۡثَاقَ النَّبِیّٖنَ لَمَاۤ اٰتَیۡتُکُمۡ مِّنۡ کِتٰبٍ وَّ حِکۡمَۃٍ ثُمَّ
جَآءَکُمۡ رَسُوۡلٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَکُمۡ لَتُؤۡمِنُنَّ بِہٖ وَ
لَتَنۡصُرُنَّہٗ ؕ قَالَ ءَاَقۡرَرۡتُمۡ وَ اَخَذۡتُمۡ عَلٰی ذٰلِکُمۡ اِصۡرِیۡ ؕ
قَالُوۡۤا اَقۡرَرۡنَا ؕ قَالَ فَاشۡہَدُوۡا وَ اَنَا مَعَکُمۡ مِّنَ
الشّٰہِدِیۡنَ ﴿۸۱﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৮১-৮৩ নং আয়াতের তাফসীর:
إِصْرِيْ অর্থ আমার অঙ্গীকার, ওয়াদা।
আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ) থেকে ঈসা (আঃ) পর্যন্ত প্রত্যেক নাবীর কাছ থেকে এ অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তাঁর জীবদ্দশায় এবং তাঁর নবুওয়াতকালে যদি কোন নাবীর আগমন ঘটে, তাহলে নবাগত নাবীর প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সহযোগিতা করবে। যদি নাবী বিদ্যমান থাকা অবস্থায় নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা জরুরী হয় তাহলে তার উম্মাতের মাঝে নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা আরো বেশি জরুরী। কেউ কেউ رسول مصدق বলতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ মুহাম্মাদ এর ব্যাপারে অন্যান্য সমস্ত নাবীর কাছ থেকে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে যে, যদি তাঁর যুগে তিনি এসে যান তাহলে নিজের নবুওয়াতের সমাপ্তি ঘটিয়ে এ নাবীর ওপর ঈমান আনবে। প্রথম অর্থের মাঝে দ্বিতীয় অর্থ এমনিই এসে যায়। কেননা সকল নাবীর দাওয়াতের মূল বস্তু একটাই। সকলেই তাওহীদ, ন্যায় ও সত্যের দিকেই আহ্বান করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ঐ সত্ত্বার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ যদি আজ মূসা (আঃ) জীবিত থাকতেন তাহলে আমার আনুগত্য ছাড়া তাঁর কোন পথ ছিল না। (ইরওয়াউল গালীল হা: ১৫৮৯, সহীহ)
আল্লাহ তা‘আলা এ অঙ্গীকার নেয়ার পর স্বীকারোক্তি নিলেন এবং নিজেও তাদের সাথে সাক্ষী রইলেন। এরপরেও যারা (বিশেষ করে ইয়াহূদী-খ্রিস্টান) অমান্য করবে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান আনবে না বরং নিজেদের স্ব-স্ব ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেল। অর্থাৎ কাফির, কেননা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবূওয়াতের অস্বীকৃতি কেবল ‘ফিসক্ব’ নয় বরং একেবারে কুফরী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নাবীদের ধর্ম ছিল একটাই, তা হল ইসলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলার নিকট অঙ্গীকারের গুরুত্ব অপরিসীম।
৩. রাসূলগণ একে অপরের সমর্থক ও সত্যায়নকারী।
৪. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগমনের পর অন্য কোন ধর্ম অবলম্বন করার সুযোগ নেই।
إِصْرِيْ অর্থ আমার অঙ্গীকার, ওয়াদা।
আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ) থেকে ঈসা (আঃ) পর্যন্ত প্রত্যেক নাবীর কাছ থেকে এ অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তাঁর জীবদ্দশায় এবং তাঁর নবুওয়াতকালে যদি কোন নাবীর আগমন ঘটে, তাহলে নবাগত নাবীর প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সহযোগিতা করবে। যদি নাবী বিদ্যমান থাকা অবস্থায় নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা জরুরী হয় তাহলে তার উম্মাতের মাঝে নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা আরো বেশি জরুরী। কেউ কেউ رسول مصدق বলতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ মুহাম্মাদ এর ব্যাপারে অন্যান্য সমস্ত নাবীর কাছ থেকে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে যে, যদি তাঁর যুগে তিনি এসে যান তাহলে নিজের নবুওয়াতের সমাপ্তি ঘটিয়ে এ নাবীর ওপর ঈমান আনবে। প্রথম অর্থের মাঝে দ্বিতীয় অর্থ এমনিই এসে যায়। কেননা সকল নাবীর দাওয়াতের মূল বস্তু একটাই। সকলেই তাওহীদ, ন্যায় ও সত্যের দিকেই আহ্বান করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ঐ সত্ত্বার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ যদি আজ মূসা (আঃ) জীবিত থাকতেন তাহলে আমার আনুগত্য ছাড়া তাঁর কোন পথ ছিল না। (ইরওয়াউল গালীল হা: ১৫৮৯, সহীহ)
আল্লাহ তা‘আলা এ অঙ্গীকার নেয়ার পর স্বীকারোক্তি নিলেন এবং নিজেও তাদের সাথে সাক্ষী রইলেন। এরপরেও যারা (বিশেষ করে ইয়াহূদী-খ্রিস্টান) অমান্য করবে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান আনবে না বরং নিজেদের স্ব-স্ব ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেল। অর্থাৎ কাফির, কেননা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবূওয়াতের অস্বীকৃতি কেবল ‘ফিসক্ব’ নয় বরং একেবারে কুফরী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নাবীদের ধর্ম ছিল একটাই, তা হল ইসলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলার নিকট অঙ্গীকারের গুরুত্ব অপরিসীম।
৩. রাসূলগণ একে অপরের সমর্থক ও সত্যায়নকারী।
৪. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগমনের পর অন্য কোন ধর্ম অবলম্বন করার সুযোগ নেই।
3:82
فَمَنۡ تَوَلّٰی بَعۡدَ
ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ﴿۸۲﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৮১-৮৩ নং আয়াতের তাফসীর:
إِصْرِيْ অর্থ আমার অঙ্গীকার, ওয়াদা।
আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ) থেকে ঈসা (আঃ) পর্যন্ত প্রত্যেক নাবীর কাছ থেকে এ অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তাঁর জীবদ্দশায় এবং তাঁর নবুওয়াতকালে যদি কোন নাবীর আগমন ঘটে, তাহলে নবাগত নাবীর প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সহযোগিতা করবে। যদি নাবী বিদ্যমান থাকা অবস্থায় নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা জরুরী হয় তাহলে তার উম্মাতের মাঝে নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা আরো বেশি জরুরী। কেউ কেউ رسول مصدق বলতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ মুহাম্মাদ এর ব্যাপারে অন্যান্য সমস্ত নাবীর কাছ থেকে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে যে, যদি তাঁর যুগে তিনি এসে যান তাহলে নিজের নবুওয়াতের সমাপ্তি ঘটিয়ে এ নাবীর ওপর ঈমান আনবে। প্রথম অর্থের মাঝে দ্বিতীয় অর্থ এমনিই এসে যায়। কেননা সকল নাবীর দাওয়াতের মূল বস্তু একটাই। সকলেই তাওহীদ, ন্যায় ও সত্যের দিকেই আহ্বান করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ঐ সত্ত্বার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ যদি আজ মূসা (আঃ) জীবিত থাকতেন তাহলে আমার আনুগত্য ছাড়া তাঁর কোন পথ ছিল না। (ইরওয়াউল গালীল হা: ১৫৮৯, সহীহ)
আল্লাহ তা‘আলা এ অঙ্গীকার নেয়ার পর স্বীকারোক্তি নিলেন এবং নিজেও তাদের সাথে সাক্ষী রইলেন। এরপরেও যারা (বিশেষ করে ইয়াহূদী-খ্রিস্টান) অমান্য করবে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান আনবে না বরং নিজেদের স্ব-স্ব ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেল। অর্থাৎ কাফির, কেননা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবূওয়াতের অস্বীকৃতি কেবল ‘ফিসক্ব’ নয় বরং একেবারে কুফরী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নাবীদের ধর্ম ছিল একটাই, তা হল ইসলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলার নিকট অঙ্গীকারের গুরুত্ব অপরিসীম।
৩. রাসূলগণ একে অপরের সমর্থক ও সত্যায়নকারী।
৪. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগমনের পর অন্য কোন ধর্ম অবলম্বন করার সুযোগ নেই।
إِصْرِيْ অর্থ আমার অঙ্গীকার, ওয়াদা।
আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ) থেকে ঈসা (আঃ) পর্যন্ত প্রত্যেক নাবীর কাছ থেকে এ অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তাঁর জীবদ্দশায় এবং তাঁর নবুওয়াতকালে যদি কোন নাবীর আগমন ঘটে, তাহলে নবাগত নাবীর প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সহযোগিতা করবে। যদি নাবী বিদ্যমান থাকা অবস্থায় নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা জরুরী হয় তাহলে তার উম্মাতের মাঝে নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা আরো বেশি জরুরী। কেউ কেউ رسول مصدق বলতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ মুহাম্মাদ এর ব্যাপারে অন্যান্য সমস্ত নাবীর কাছ থেকে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে যে, যদি তাঁর যুগে তিনি এসে যান তাহলে নিজের নবুওয়াতের সমাপ্তি ঘটিয়ে এ নাবীর ওপর ঈমান আনবে। প্রথম অর্থের মাঝে দ্বিতীয় অর্থ এমনিই এসে যায়। কেননা সকল নাবীর দাওয়াতের মূল বস্তু একটাই। সকলেই তাওহীদ, ন্যায় ও সত্যের দিকেই আহ্বান করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ঐ সত্ত্বার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ যদি আজ মূসা (আঃ) জীবিত থাকতেন তাহলে আমার আনুগত্য ছাড়া তাঁর কোন পথ ছিল না। (ইরওয়াউল গালীল হা: ১৫৮৯, সহীহ)
আল্লাহ তা‘আলা এ অঙ্গীকার নেয়ার পর স্বীকারোক্তি নিলেন এবং নিজেও তাদের সাথে সাক্ষী রইলেন। এরপরেও যারা (বিশেষ করে ইয়াহূদী-খ্রিস্টান) অমান্য করবে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান আনবে না বরং নিজেদের স্ব-স্ব ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেল। অর্থাৎ কাফির, কেননা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবূওয়াতের অস্বীকৃতি কেবল ‘ফিসক্ব’ নয় বরং একেবারে কুফরী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নাবীদের ধর্ম ছিল একটাই, তা হল ইসলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলার নিকট অঙ্গীকারের গুরুত্ব অপরিসীম।
৩. রাসূলগণ একে অপরের সমর্থক ও সত্যায়নকারী।
৪. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগমনের পর অন্য কোন ধর্ম অবলম্বন করার সুযোগ নেই।
3:83
اَفَغَیۡرَ دِیۡنِ
اللّٰہِ یَبۡغُوۡنَ وَ لَہٗۤ اَسۡلَمَ مَنۡ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ طَوۡعًا
وَّ کَرۡہًا وَّ اِلَیۡہِ یُرۡجَعُوۡنَ ﴿۸۳﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৮১-৮৩ নং আয়াতের তাফসীর:
إِصْرِيْ অর্থ আমার অঙ্গীকার, ওয়াদা।
আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ) থেকে ঈসা (আঃ) পর্যন্ত প্রত্যেক নাবীর কাছ থেকে এ অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তাঁর জীবদ্দশায় এবং তাঁর নবুওয়াতকালে যদি কোন নাবীর আগমন ঘটে, তাহলে নবাগত নাবীর প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সহযোগিতা করবে। যদি নাবী বিদ্যমান থাকা অবস্থায় নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা জরুরী হয় তাহলে তার উম্মাতের মাঝে নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা আরো বেশি জরুরী। কেউ কেউ رسول مصدق বলতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ মুহাম্মাদ এর ব্যাপারে অন্যান্য সমস্ত নাবীর কাছ থেকে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে যে, যদি তাঁর যুগে তিনি এসে যান তাহলে নিজের নবুওয়াতের সমাপ্তি ঘটিয়ে এ নাবীর ওপর ঈমান আনবে। প্রথম অর্থের মাঝে দ্বিতীয় অর্থ এমনিই এসে যায়। কেননা সকল নাবীর দাওয়াতের মূল বস্তু একটাই। সকলেই তাওহীদ, ন্যায় ও সত্যের দিকেই আহ্বান করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ঐ সত্ত্বার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ যদি আজ মূসা (আঃ) জীবিত থাকতেন তাহলে আমার আনুগত্য ছাড়া তাঁর কোন পথ ছিল না। (ইরওয়াউল গালীল হা: ১৫৮৯, সহীহ)
আল্লাহ তা‘আলা এ অঙ্গীকার নেয়ার পর স্বীকারোক্তি নিলেন এবং নিজেও তাদের সাথে সাক্ষী রইলেন। এরপরেও যারা (বিশেষ করে ইয়াহূদী-খ্রিস্টান) অমান্য করবে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান আনবে না বরং নিজেদের স্ব-স্ব ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেল। অর্থাৎ কাফির, কেননা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবূওয়াতের অস্বীকৃতি কেবল ‘ফিসক্ব’ নয় বরং একেবারে কুফরী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নাবীদের ধর্ম ছিল একটাই, তা হল ইসলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলার নিকট অঙ্গীকারের গুরুত্ব অপরিসীম।
৩. রাসূলগণ একে অপরের সমর্থক ও সত্যায়নকারী।
৪. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগমনের পর অন্য কোন ধর্ম অবলম্বন করার সুযোগ নেই।
إِصْرِيْ অর্থ আমার অঙ্গীকার, ওয়াদা।
আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ) থেকে ঈসা (আঃ) পর্যন্ত প্রত্যেক নাবীর কাছ থেকে এ অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তাঁর জীবদ্দশায় এবং তাঁর নবুওয়াতকালে যদি কোন নাবীর আগমন ঘটে, তাহলে নবাগত নাবীর প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সহযোগিতা করবে। যদি নাবী বিদ্যমান থাকা অবস্থায় নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা জরুরী হয় তাহলে তার উম্মাতের মাঝে নবাগত নাবীর ওপর ঈমান আনা আরো বেশি জরুরী। কেউ কেউ رسول مصدق বলতে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ মুহাম্মাদ এর ব্যাপারে অন্যান্য সমস্ত নাবীর কাছ থেকে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে যে, যদি তাঁর যুগে তিনি এসে যান তাহলে নিজের নবুওয়াতের সমাপ্তি ঘটিয়ে এ নাবীর ওপর ঈমান আনবে। প্রথম অর্থের মাঝে দ্বিতীয় অর্থ এমনিই এসে যায়। কেননা সকল নাবীর দাওয়াতের মূল বস্তু একটাই। সকলেই তাওহীদ, ন্যায় ও সত্যের দিকেই আহ্বান করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: ঐ সত্ত্বার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ যদি আজ মূসা (আঃ) জীবিত থাকতেন তাহলে আমার আনুগত্য ছাড়া তাঁর কোন পথ ছিল না। (ইরওয়াউল গালীল হা: ১৫৮৯, সহীহ)
আল্লাহ তা‘আলা এ অঙ্গীকার নেয়ার পর স্বীকারোক্তি নিলেন এবং নিজেও তাদের সাথে সাক্ষী রইলেন। এরপরেও যারা (বিশেষ করে ইয়াহূদী-খ্রিস্টান) অমান্য করবে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান আনবে না বরং নিজেদের স্ব-স্ব ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তারা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেল। অর্থাৎ কাফির, কেননা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবূওয়াতের অস্বীকৃতি কেবল ‘ফিসক্ব’ নয় বরং একেবারে কুফরী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. নাবীদের ধর্ম ছিল একটাই, তা হল ইসলাম।
২. আল্লাহ তা‘আলার নিকট অঙ্গীকারের গুরুত্ব অপরিসীম।
৩. রাসূলগণ একে অপরের সমর্থক ও সত্যায়নকারী।
৪. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগমনের পর অন্য কোন ধর্ম অবলম্বন করার সুযোগ নেই।
0 Comments