ডঃ জাকির নায়েক এর প্রশ্ন - উত্তর পর্ব সমগ্র:: পর্ব ০২


পার্ট ০২ ১৭- ৫৫ ---
 ১৭ :- প্রশ্নঃ একজন পুরুষ যদি একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি পায় , তাহলে ইসলাম একজন নারীকে কেন একাধিক স্বামী রাখতে নিষেধ করে?

✔ জবাব:-
অসংখ্য মানুষ যার মধ্যে অনেক মুসলিমও রয়েছে, প্রশ্ন করেন-মুসলিম পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি পাচ্ছে অথচ নারীর ক্ষেত্রে সে অধিকার অস্বীকার করা হচ্ছে, এর যৌক্তিকতা কি? অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে যে কথাটি প্রথমেই আমাকে বলে নিতে হবে, তা হলো ভারসাম্যপূর্ণ ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তির ওপরেই একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত। মানুষ হিসেবে আল্লাহ তা’আলা নারী ও পুরুষকে সমান মান দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু সাথে সাথে সামর্থ ও যোগ্যতার ভিন্নতা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব কর্তব্যের বিভিন্নতা দিয়ে। শারিরীক ও মানসিক ভাবে নারী ও পুরুষ সম্পূর্ন ভিন্ন। জীবনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা এবং দায়িত্ব-কর্তব্যও বিভিন্ন। ইসলামে নারী ও পুরুষ সমান কিন্তু একই রকম নয়।
সূরায়ে নিসার ২২ থেকে ২৪ আয়াতে একটি তালিকা দেয়া হয়েছে যে, মুসলিম পুরুষ কোন কোন নারীকে বিবাহ করতে পারবে না। এর পরে ২৪ আয়াতে আলাদা করে বলা হয়েছে সেই সব নারীও (নিষিদ্ধ) যারা অন্যের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ আছে- অর্থাৎ অন্যের বউ।
ইসলামে নারীর জন্য বহু-স্বামী গ্রহণ নিষিদ্ধ কেন, নিম্নোদ্ধৃত বিষয়গুলো তা পরিষ্কার করে দেবে-
ক. একজন পুরুষের একধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তার পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের মাতা-পিতার পরিচয় খুব সহজেই পাওয়া যায়। শিশুর পিতা কে আর মাতা কে। অপরদিকে একজন নারী যদি একাধিক স্বামী গ্রহণ করে তবে এ পরিবার জন্ম নেয়া শিশুর শুধু মায়ের পরিচয় পাওয়া যাবে-বাবার নয়। পিতা ও মাতার সুস্পষ্ট পরিচয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম আপোসহীন। আধুনিক মনোবিজ্ঞানিরা বলেন, যে শিশু তার মাতা-পিতার পরিচয় জানে না, বিশেষ করে পিতার- সে শিশু তীব্র মানসিক জটিলতা ও হীনমন্যতায় ভোগে। এ শিশুদের শৈশব নিকৃষ্টতর এবং আনন্দহীন । দেহপসারিণী বা বেশ্যাদের সন্তানরা এর জলন্ত প্রমাণ। এদের শিশুকাল ও কৈশোর মর্মান্তিক। বহু স্বামী গ্রহণকারী পরিবারে জন্ম পাওয়া শিশুকে নিয়ে কোনো স্কুলে ভর্তী করতে গেলে যদি মাকে প্রশ্ন করা হয় শিশুর পিতার নাম? তা হলে সে মাকে দু’জন অথবা তার বেশি পুরুষের নাম বলতে হবে। বিজ্ঞানের অগ্রগতি এখন জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে মাতা ও পিতা উভয়কে সনাক্ত করার কৌশল আবিষ্কার করেছে। কাজেই যে বিষয়টা অতীতে অসম্ভব ছিল বর্তমানে তা খুব সহজেই হতে পারে।
খ. প্রকৃতি প্রদত্ত যোগ্যতা ও বৈশিষ্ট্য, বহুগামীতায় নারীর চাইতে পুরুষের প্রবনতা বেশি।
গ. শারীরিক যোগ্যতায় একজন পুরুষের পক্ষে কয়েকজন স্ত্রীর স্বামীর দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন সহজ। একজন নারী সেই একই অবস্থানে, অর্থাৎ যার কয়েকজন স্বামী আছে, তাদের স্ত্রী হিসেবে যে দায়িত্ব ও কর্তব্য তার ওপর বর্তায় তা পালন করা তার পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। কেননা মাসিক ঋতুচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে মানসিক ও আচরণগত বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্যে তাকে পড়তে হয়।
ঘ. একজন নারী যার একাধিক স্বামী থাকবে-তাকে তো একই সাথে কয়েকজনের যৌন-সঙ্গী হতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমূহ সম্ভাবনা থাকবে যৌন রোগের এবং যৌনতার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ার। উপরন্তু তার মাধ্যমেই সে সব রোগে তার স্বামীর আক্রান্ত হবে। এমনকি যদি তার স্বামীদের কারো অন্য কোনো নারীর সাথে বিবাহ বহির্র্ভূত যৌন সম্পর্ক নাও থাকে। পক্ষান্তরে একজন পুরুষ- যার একাধিক স্ত্রী রয়েছে, স্ত্রীদের কারো যদি বিবাহ বহির্ভূত অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক না থাকে তাহলে যৌনতা সংক্রান্ত কোনো রোগে আক্রান্ত হবার আদৌ কোনো সম্ভাবনা নেই।
উপরোল্লেখিত কারণগুলো এমন যা যে কারো পক্ষে চেনা এবং বুঝে নেয়া সম্ভব। এছাড়া হয়তো আরো অসংখ্য কারণ থাকতে পারে যে কারণে অন্তহীন জ্ঞানের আধার সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলা নারীদের জন্য বহু স্বামী বরণ নিষিদ্ধ করেছেন।
 ১৮ :- প্রশ্নঃ ইসলাম পর্দার আড়ালে রেখে নারীদেরকে কেন অবমূল্যায়ন করেছে?
✔ জবাব:-
ইসলামে নারীর মর্যাদা’- ধর্মহীন প্রচার মাধ্যমগুলোর উপর্যপুরি আক্রমণের লক্ষ্যস্থল- ‘হিজাব’ বা ইসলামী পোশাক। ইসলামী বিধি বিধানে নারী নিগ্রহের সবচাইতে বড় প্রমাণ হিসেবে যা কথায় কথায় দেখানো হয়। ধর্মীয়ভাবে নারীর জন্য রক্ষণশীল পোশাক বা পর্দা ফরয করার নেপথ্য কারণগুলো আলোচনার পূর্বে ইসলাম আগমনের পূর্বে বিশ্বসমাজে সামগ্রীকভাবে নারীর অবস্থা ও অবস্থান কি ছিল তা নিয়ে কিঞ্চিৎ পর্যালোচনা প্রয়োজন-
ক. ইসলাম-পূর্ব কালে নারীর-মর্যাদা বলতে কোনো ধারণার অস্তিত্ব ছিলনা। তারা ব্যবহৃত হতো ভোগ্য সামগ্রী হিসেবে।
নিম্নে বর্ণিত বিষয়গুলো সর্বজনমান্য বিশ্ব-ইতিহাস থেকে তুলে আনা হয়েছে। সমুদয় মিলে যে চিত্র আমাদের চোখের সামনে উঠে আসবে তাতে আমরা সুস্পষ্ট দেখতে পাবো ইসলাম-পূর্ব সভ্যতাগুলোতে নারীর ‘মর্যাদা’ বলতে কিছুই ছিলনা। হীন নীচ এমনকি নুন্যতম ‘মানুষ’ হিসেবেও তারা গণ্য ছিল না।
১. ব্যাবিলনীয় সভ্যতাঃ ব্যাবিলনীয় আইনে নারীর কোনো ধরণের কোনো অধিকার স্বীকৃত ছিলনা। মূল্য-মর্যাদা কি ছিল একটি উদাহরণে তা স্পষ্ট করে দেবে। কোনো পুরুষ যদি ঘটনাক্রমে কোনো নারীকে হত্যা করে তাহলে তাকে শাস্তি দেবার পরিবর্তে তার স্ত্রীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হতো।
২. গ্রীক সভ্যতাঃ গ্রীক সভ্যতাকে পূর্বকালের সকল সভ্যতার শ্রেষ্ঠতম ও উজ্জ্বলতম গণ্য করা হয়। তথাকথিত এই উজ্জ্বলতম সভ্যতায় নারী ছিল সব রকম অধিকার থেকে বঞ্চিত। উপরন্তু অস্তিত্বগত ভাবে অত্যন্ত নিকৃষ্ট। একারণে তাদেরকে ঘৃণার চোখে দেখা হতো। গ্রীক পৌরাণিক শাস্ত্রের এক কাল্পনিক নারী যার নাম “প্যানডোরা”। বিশ্ব মানবতার সকল দুর্ভাগ্যের মূল কারণ সেই নারী। তাই গ্রীকরা নারীকে ‘প্রায় মানুষ’ অর্থাৎ মানুষের মতো বটে, কিন্তু সম্পূর্ণ নয় বলে মনে করত। পুরুষের সাথে তার কোনো তুলনাই হয় না । অপরদিকে কিছু নারীর সতীত্ব ছিল মহামূল্যবান এবং দেবীর মতো সম্মানও করা হতো। কিছুকাল পরেই এই গ্রীকরা আত্ম-অহংকারের তুঙ্গে উঠে ধরা পড়ে বিকৃত যৌনাচারের হাতে, তাদের ঘরে স্ত্রী ছিল ও বেশ্যালয়ে গমনাগমন করাও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছিল।
৩. রোমান সভ্যতাঃ যখন তার বিকাশের শিখর চূড়ায় তখন একজন পুরুষ যে-কোনো সময় তার স্ত্রীকে হত্যা করার অধিকার রাখতো। নগ্ন নারী যে-কোনো আসরের সৌন্দর্য এবং বেশ্যালয় যাতায়াত পুরুষের সংস্কৃতি।
৪. মিসরীয় সভ্যতাঃ মিসরীয় সভ্যতায় নারী ‘ডাইনী’ এবং শয়তানের নিদর্শন হিসেবে গণ্য হতো।
ইসলাম পূর্ব আরবঃ ইসলাম পূর্ব আরবে নারীর অবস্থান ছিল ঘরের অন্যান্য ব্যবহারীক আসবাবপত্রের মতো। অনেক পিতা অসম্মানের হেতু হিসেবে তার শিশুকণ্যাকে জীবন্ত কবর দিত।
খ. ইসলাম নারীকে সম্মানেরে উচ্চস্তরে উঠিয়েছে। দিয়েছে তাদেরকে সমতা এবং প্রত্যাশা করে- তারা তাদের মর্যাদা রক্ষা করবে।
ইসলাম নারীর মর্যাদাকে ওপরে উঠিয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে। ইসলাম নারীর মর্যাদাকে সংরক্ষণ করতে চায়।
পুরুষের পর্দাঃ মানুষ সাধারণত পর্দা নিয়ে আলোচনা করে নারীদের ক্ষেত্রে। অথচ জ্যোতীর্ময় কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা নারীর পর্দার আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন। সূরা নূরে বলা হয়েছে-
বলো! বিশ্বাসী পুরুষদেরকে- তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের শালীনতা রক্ষা করে। এটা তাদেরকে আরো পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন (মানসিকতার) করে তুলবে, আর আল্লাহ কিন্তু সেই সব কিছুই জানেন যা তোমরা করো। ” (২৪:৩০)
যে মুহুর্তে কোনো পুরুষ একজন নারীর দিকে তাকাবে- লজ্জাকর অশ্লীল চিন্তা তার মনে এসে যেতে পারে। কাজেই তার দৃষ্টি অবনত রাখাই তার জন্য কল্যাণকর।
নারীর জন্য পর্দাঃ সূরা নূরের পরবর্তী আয়াতে বলা হচ্ছেঃ
এবং বলো, বিশ্বাসী নারীদেরকে- তারা তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের সযত্ন সংরক্ষণ করে এবং তাদের দৈহীক সৌন্দর্য ও অলংকারের প্রদর্শনী না করে। তবে অনিবার্য্য ভাবে যা উন্মুক্ত থাকে। তারা যেন তাদের বক্ষের ওপরে চাদর ঝুলিয়ে দেয় এবং প্রদর্শন না করে তাদের সৌন্দর্য, তাদের স্বামী তাদের পিতা তাদের স্বামীর পিতা (শশুর) এবং সন্তানদের ছাড়া। ” (২৪:৩১)
গ. হিজাবের ছয়টি শর্ত
কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী হিজাব পালনের ছয়টি শর্ত।
১. মাত্রা বা পরিমাণঃ প্রথম শর্ত হলো দেহের সীমানা যা যতটুকু-অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে। নারী ও পুরুষের জন্য এটা ভিন্ন ভিন্ন। পুরুষের জন্য ঢেকে রাখার বাধ্যতামূলক পরিসীমা তার দেহের নুন্যতম নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত। নারীর জন্য এই পরিসীমা আরো বিস্তৃত- কব্জী পর্যন্ত হাত এবং মুখমন্ডল ছাড়া বাদবাকি শরীরের সকল অংশ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। তারা যদি চায় তাহলে তা-ও আবৃত করে নিতে পারে। ইসলামের বিশেষজ্ঞ আলেমগণের অনেকেই হাত ও মুখমন্ডলকেও বাধ্যতামূলক ঢেকে রাখার অংশ মনে করেন। বাদবাকি পাঁচটি শর্ত নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে একই রকম প্রযোজ্য-
২. পরিধেয় পোষাক ডিলেডালা হতে হবে। যেন দেহের মূল কাঠামো প্রকাশ না পায়।
৩. পরিধেয় কাপড় এতটা পাতলা ও স্বচ্ছ হতে পারবেনা যাতে ভেতরটা দেখা যায়।
৪. পোশাক এতটা আকর্শণীয় ও জাকজমকপূর্ণ হতে পারবে না যাতে বিপরীত লিঙ্গ আকর্ষিত হয়।
৫. পোশাক এমন হতে পারবে না যা বিপরীত লিঙ্গের পোশাকের মতো বা সমরুপ।
৬. পোশাক এমন হতে পারবে না দেখতে অবিশ্বাসীদের মতো। তাদের এমন কোনো পোশাক পরা উচিৎ নয় যা বিশেষভাবে পরিচিত এবং চিহ্নিত অন্য ধর্মাবলম্বীদের (যারা মূলত অবিশ্বাসী)।
ঘ. অন্যান্য জিনিসের মধ্যে আচার-আচারণও হিজাবের অন্তর্ভুক্ত
ছয় ধরনের পরিচ্ছদের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ পর্দা ব্যক্তির নৈতিক চরিত্র, আচার-আচারণ, অভিব্যক্তি এবং লক্ষ উদ্দেশ্যকেও একিভূত করে। একজন ব্যক্তি সে যদিও শুধু কাপড়-চোপড়ে হিজাব পালন করে তাহলে সে ‘হিজাব’ পালক করলো ন্যূনতম পর্যায়ের। পোশাকের পর্দা পালনের সাথে সাথে চোখের পর্দা, মনের পর্দা ,চিন্তা-ভাবনার পর্দা এবং লক্ষ্য উদ্দেশ্যের পর্দাও থাকতে হবে। পর্দার সীমার মধ্যে আরো যা পড়ে, তা হলো- ব্যক্তির চলা, কথা বলা এবং তার সার্বিক আচরণ ইত্যাদি।
ঙ. হিজাব বা পর্দা অহেতুক উৎপীড়ন প্রতিরোধ করে
নারীকে কেন পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে কুরআন তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। সূরা আহযাবে বলা হয়েছেঃ-
হে নবী! বলুন আপনার স্ত্রী ও কন্যাদেরকে এবং বিশ্বাসী নারীদেরকে যে, তারা যেন তাদের বহিরাবরণ পরে থাকে (যখন বাইরে যাবে)। এটা তাদের পরিচিতির অত্যন্ত উপযোগী। (তারা যেন পরিচিত হয়ে বিশ্বাসী-নারী হিসাবে) তাহলে আর অহেতুক উৎপিড়ীত হবে না। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল দয়াবান। ” (৩৩:৫৯)
জ্যোতীময় কুরআন বলছেঃ- নারীকে পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে এই জন্য যে, তারা যেন রুচিশীলা পরিচ্ছন্ন নারী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। এবং এটা তাদেরকে লজ্জাকর উৎপীড়নের হাত থেকে রক্ষা করবে।
চ. দু’টি জমজ বোনের উদাহরণ
ধরা যাক জমজ দু’টি বোন। উভয়ই অপূর্ব সুন্দরী। ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তাদের একজন পরেছে ইসলামী হিজাব। অর্থাৎ সম্পূর্ণ দেহ আবৃত। শুধু কব্জী পর্যন্ত হাত ও মুখমন্ডল খোলা। অন্যজন পরেছে পশ্চিমা পোশাক। শরীরের অধিকাংশ খোলা এবং প্রায় অর্ধ-উলঙ্গ। সামনেই এক মোড়ে আড্ডা দিচ্ছে একদল উশৃঙ্খল যুবক মেয়েদেরকে দেখে হৈ-হল্লা করা, শীশ দেয়া আর বাগে পেলে উত্ত্যক্ত করাই তাদের কাজ। এখন এই দুই বোনকে যেতে দেখে তারা কাকে উদ্দেশ্য করে হল্লা করবে ? শীশ দেবে ? যে মেয়েটি নিজেকে ঢেকে রেখেছে তাকে দেখে? না যে মেয়েটি প্রায় উদোম হয়ে আছে তাকে দেখে? খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাদের চোখ যাবে যে কিনা দেখাতে চায় তার দিকে। কার্যত এ ধরনের পোশাক বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ‘ভাষাহীন নিরব আমন্ত্রণ’। যে কারণে বিপরীত লিঙ্গ উত্তেজিত হতে বাধ্য হয়। জ্যোর্তীময় কুরআন যথার্থই বলেছে- ‘হিজাব নারীদের উৎপীড়ন থেকে রক্ষা করে’।
ছ. ধর্ষকের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি মৃত্যুদন্ড
ইসলামের বিধান অনুযায়ী একজন পুরুষ যদি কোনো নারী ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তার শাস্তি প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন এই কঠিন বাক্য শুনে। কেউ কেউ তো বলেই বসেন, ইসলাম অত্যন্ত নিষ্ঠুর, বর্বরদের ধর্ম। শত শত অমুসলিম পুরুষের কাছে আন্তরিকভাবে জানতে চেয়েছি- ধরুন, আল্লাহ না করুন কেউ একজন আপনার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে অথবা আপনার বোন বা কন্যা। আপনাকে বিচারকের আসনে বসানো হয়েছে এবং ধর্ষণকারীকে আপনার সামনে হাজির করা হয়েছে। কি শাস্তি দেবেন তাকে? প্রত্যেকেই উত্তর একটিই-“মৃত্যুদন্ড”। কেউ বলেছেন, ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে আমার চোখের সামনে ব্রাস ফায়ার করে ঝাঝরা করে দিতে বলব। কেউ বলেছেন ওকে তিল তিল করে মৃত্যুর স্বাদ দিয়ে মারতে বলব। এই উত্তর দাতাদের কাছেই আমার প্রশ্ন, আপনার মা-বোন স্ত্রী কন্যাকে কেউ ধর্ষণ করলে তাকে ওভাবে মেরে ফেলতে চান। কিন্তু এই একই অপরাধ যদি অন্য কারো স্ত্রী-কন্যার ওপর ঘটে তখন এই আপনিই বলেন মৃত্যুদন্ড অত্যন্ত কঠোর ও নিষ্ঠুর হয়ে যায়। কেন ভাই, একই অপরাধের জন্য ক্ষেত্রভেদে দুই রকম দন্ড?
জ.নারীকে মর্যাদা দেবার পশ্চিমা সমাজের দাবি সর্বৈভ মিথ্যাচার
নারী স্বাধীনতার পশ্চিমা শ্লোগান একটি প্রকাশ্য প্রতারণা। তার দেহের সৌন্দর্যকে খুলে খুলে ব্যবসা করার একটি লোভনীয় ফাঁদ। তার আত্মার অবমাননা এবং তার সম্মান ও মর্যাদাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আর প্রকাশ্য বাস্তবতা হলো তাদেরকে তাদের সম্মানিত অবস্থান থেকে নামিয়ে উপপত্নী, রক্ষিতা এবং সৌখিন সমাজের লালসা পূরনের জন্য উড়ন্ত প্রজাপতি বানিয়ে ছেড়েছে। ফলে তারা এখন বিলাসী পুরুষের নাগালের মধ্যে থাকা ভোগের পুতুল আর যৌন কারবারীদের ব্যবসায়ের সস্তা পণ্য। যা আড়াল করা হয়েছে শিল্প ও সংস্কৃতির মনোলোভা রঙিন পর্দা দিয়ে।
ঝ. নারী ধর্ষণের হার আমেরিকায় সর্বোচ্চ
উন্নত বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অবস্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট। নৈমিত্যিক সংঘটিত নারী ধর্ষণের হার সারা বিশ্বে তার রেকর্ড কেউ স্পর্শও করতে পারবে না। ১৯৯০ সালের এফবিআই-এর দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা আমেরিকা জুড়ে প্রতিদিন গড়ে ১৭৫৬ টি নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরবর্তী পর্যায়ে আরো একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয় যাতে প্রতিদিন সংঘটিত ধর্ষণ অপরাধে সংখ্যা ১৯০০ উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে সন উল্লেখ করা নেই তবে অনুমান করা হয় তা ১৯৯২ বা ১৯৯৩ সালের কথা। হয়তো আমেরিকানরা পরবর্তী দু’তিন বছরে আরো ‘সাহসী’ হয়ে উঠেছে।
আবার একটা কাল্পনিক দৃর্শপট পর্যবেক্ষণ করা যাক- আমেরিকান নারী সমাজ ইসলামী হিজাব পালন করছে। যখনি কোনো পুরুষ কোনো নারীর দিকে তাকাচ্ছে, কোনো অশ্লীল চিন্তা মনে এসে যেতে পারে ভাবার সাথে সাথে সে তার দৃষ্টিকে নীচে নামিয়ে নিচ্ছে। পথে ঘাটে যেখানেই কোনো নারী দৃশ্য হচ্ছে, কব্জী পর্যন্ত তার দুটি হাত আর নেহায়েত সাদামাটা সাজগোজহীন মুখমন্ডলের কিয়দাংশ ব্যাস, বাদবাকি সব ডোলাডালা হিজাবে ডাকা। তদুপুরি রাষ্ট্রীয় বিধান এমন যে, যদি কোনো পুরুষ ধর্ষণের অপরাধ করে তার জন্য নির্দিষ্ট-জনসমক্ষে প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ড।
এবার আপনাকে প্রশ্ন করছি, গোটা পরিবেশটা যদি সত্যি সত্যিই এমন হয় তাহলে আমেরিকার এই নারী ধর্ষণের ভঙ্ককর হার বাড়তে থাকবে না একই অবস্থানে থাকবে? নাকি কমে যাবে এবং কমতে কমতে একদিন এই জঘন্য অপরাধ নিঃশেষ হয়ে যাবে।
ঞ. ইসলামী শরীয়তের পুর্ণাঙ্গ বিধান কার্যকর হলে ধর্ষনের হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই। কেননা শরীয়তের বিধান, মানুষেরই জন্য তাদের সৃষ্টিকর্তা বিধাতার নির্বাচিত বিধিবিধান যদি কার্যকর হয় তাহলে তার ফলাফল কল্যাণী অমিয় ধারা হযে বেরিয়ে আসতে শুরু করবে। ইসলামী শরীয়ত যদি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় পৃথিবীর যে কোনো ভূখন্ডে- তা আমেরিকাই হোক অথবা ইউরোপ বা পৃথিবীর অন্যান্য যে কোনো দেশে। তার প্রথম প্রতিক্রিয়া হবে এই যে, সে দেশের গোটা সমাজ একসাথে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেবে।
কাজেই ‘হিজাব’ নারীকে অপদস্ত করেনি বরং উপরে তুলে সম্মানের আসন দিয়েছে। আর সংরক্ষণ করেছে তার শালীনতা ও পবিত্রতা।
 ১৯:- প্রশ্নঃ ইসলাম একজন পুরুষকে একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি দেয় কেন? অথবা ইসলামে বহু-বিবাহ অনুমোদিত কেন?
✔ জবাব:-
ক. বহু-বিবাহের সংজ্ঞা
বহু-বিবাহ’ মানে এমন একটি বিবাহ পদ্ধতি যেখানে এক ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী থাকে। বহু-বিবাহ দুই ধরনের- একজন পুরুষ একাধিক নারীকে বিবাহ করে। আর একটি ’বহু স্বামীবরণ’। অর্থাৎ একজন স্ত্রীলোক একাধিক পুরুষ বিবাহ করে। ইসলামে পুরুষের জন্য সীমিত সংখ্যক ‘বহু-বিবাহ’ অনুমোদিত। অপর দিকে নারীর জন্য একাধিক পুরুষ বিবাহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ‘হারাম’।
এবার মূল প্রশ্নে আসা যাক। কেন একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি পায়?
খ. পৃথিবীতে কুরআ’নই একমাত্র ধর্ম-গ্রন্থ, যে বলে “বিবাহ করো মাত্র একজনকে”
ভূ-পৃষ্টের ওপরে কুরআনই একমাত্র ধর্ম-গ্রন্থ যা এই বাক্যাংশ ধারণ করে আছে-“বিবাহ করো মাত্র একজনকে” আর কোনো ধর্ম-গ্রন্থ নেই, যা পুরুষকে নির্দেশ একজন স্ত্রীতে সন্তুষ্ট থাকতে। অন্য কোনো ধর্ম-গ্রন্থ -হোক তা বেদ, রামায়ন, মহাভারত, গীতা, অন্যদিকে তালমুদ অথবা বাইবেল। এ সবের মধ্যে স্ত্রীদের সংখ্যার ওপর কোনো বিধিনিষেধ বের করতে পারবে কি কেউ? বরং এসব ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী একজন পুরুষ বিবাহ করতে পারে যতজন তার ইচ্ছা। এটা অনেক পরের কথা যে, হিন্দু ধর্ম গুরু এবং খ্রীস্টান চার্চ স্ত্রীর সংখ্যা ‘এক’ এ নিয়ন্ত্রিত করে দিয়েছে।
অসংখ্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব তাদের ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী একাধিক স্ত্রী রেখেছে। যেমন রামের পিতা রাজা দশরথ। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের তো অনেক স্ত্রী ছিল!
বাইবেল যেহেতু স্ত্রীদের সংখ্যার ওপর কোনো বিধিনিষেধই নেই। সেহেতু আগের কালের খ্রীস্টান পুরুষরা যে-ক’জন খুশি স্ত্রী রাখতে পারত। মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে তাহাদের চার্চ্চ স্ত্রীর সংখ্যা ‘এক’ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। ইহুদীবাদে বহু বিবাহ অনুমোদিত। তাদের তালমুদিয় বিধান অনুযায়ী আব্রাহামের [ইব্রাহীম (আ)] তিনজন স্ত্রী ছিল এবং সলোমনের [সুলাইমান (আ)]-এর ছিল শতাধিক স্ত্রী। বহু-বিবাহের এই প্রথা চলে আসছিল তাদের “রাব্বাঈ” জারসম বিন ইয়াহুদাহ্ পর্যন্ত। (৯৬০ সি.ই থেকে ১০৩০ সি.ই) তিনিই এর বিরুদ্ধে একটি অনুশাসন জারি করেন। ইহুদীদের ‘সেফারডিক’ সমাজ যারা প্রধানত মুসলিমদের দেশগুলোতে বসবাস করে তারা এই প্রথাকে নিকট অতীতের ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ধরে রাখে। অতঃপর ইসরাঈলের প্রধান রাব্বাঈ একাধিক স্ত্রী রাখার ওপর বিধিনিষেধ জারি করে দেয়।
একটি লক্ষণীয় বিষয়ঃ ১৯৭৫ সালের আদম-শুমারী অনুযায়ী ভারতীয় হিন্দুরা বহু বিবাহের ক্ষেত্রে মুসলিমদের চাইতে অগ্রগামী। কমিটি অফ দি স্টাটাস অফ ওমেন ইন ইসলাম (ইসলামে নারীর মর্যাদা কমিটি) নামে এ বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৭৫ সালে। বইয়ের ৬৬ ও ৬৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯৫১ থেকে ১৯৬১ পর্যন্ত একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, একাধিক স্ত্রী গ্রহণ-সংক্রান্ত বিবাহ, হিন্দুদের মধ্যে শতকরা পাঁচ দশমিক শূন্য ছয় (৫.০৬%) আর মুসলিমদের মধ্যে চার দশমিক তিন এক (৪.৩১%)। ভারতীয় আইন অনুযায়ী একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অনুমোদন শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য নির্ধারিত। ভারতে যেকোনো অমুসলিমের জন্য একাধিক স্ত্রী রাখা অবৈধ। এটা অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও মুসলিমদের তুলনায় হিন্দুরাই একাধিক স্ত্রী বেশি রাখছে। এর আগে তো কোনো বিধিনিষেধই ছিলনা। এমনকি হিন্দু পুরুষদের ক্ষেত্রেও একাধিক স্ত্রী রাখা অনুমোদিত ছিল। এই তো সেদিন ১৯৫৮ সালে হিন্দু বিবাহ-বিধি অনুমোদিত হলো এভাবে যে, একজন হিন্দুর জন্য একাধিক স্ত্রী রাখা অবৈধ। বর্তমানে এটা একটা ভারতীয় রাষ্ট্রীয় আইন। যা নিয়ন্ত্রিত করেছে একজন হিন্দু পুরুষকে একাধিক স্ত্রী রাখতে- “হিন্দু ধর্ম-গ্রন্থ” নয়।
আসুন এবার দেখা যাক ইসলাম কেন একজন পুরুষকে একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি দেয়।
 গ. কুরআন একাধিক বিবাহের নিয়ন্ত্রিত রূপকে অনুমতি দেয়
আমি আগে যেমন বলে এসেছি ভূ-পৃষ্ঠের ওপরে কুরআনই একমাত্র ধর্মীয় গ্রন্থ যা বলে ‘বিবাহ করো মাত্র একজনকে’। কথাটি জ্যোতির্ময় কুরআনের সূরা নিসার নিম্নদ্ধৃত আয়াতের অংশ-
বিবাহ করো তোমাদের পছন্দের নারী- দু’জন অথবা তিনজন অথবা চারজন কিন্তু যদি আশঙ্কা করো যে, তোমরা (তাদের সাথে) ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করতে না-ও পারতে পারো- তাহলে মাত্র একজন। ” (৪:৩)
কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে বহু-বিবাহের কোনো মাত্রা নির্ধারিত ছিল না এবং ক্ষমতাবান প্রায় প্রতিটি মানুষ এতে অভ্যস্ত ছিল। কেউ কেউ তো শ’ এর মাত্রা ছাড়ালে ক্ষান্ত হতো না। কুরআন সর্বোচ্চ চার জনের একটা মাত্রা নির্ধারণ করে দিল। ইসলাম একজন পুরুষকে দুজন, তিনজন অথবা চারজনের যে অনুমতি দিয়েছে তা কঠিন শর্তের মধ্যে আবদ্ধ যে, কেবলমাত্র তখনই তা সম্ভব যখন তাদের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সুবিচারমূলক আচরণ করতে পারবে।
একই সূরার ১২৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
তুমি কষ্মিকালেও পেরে উঠবে না স্ত্রীদের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে। ” (৪:১২৯)
কাজেই ইসলামে বহু-বিবাহ কোনো বিধান নয় বরং ব্যতিক্রম। বহু মানুষ এই ভুল ধারণায় নিমজ্জিত যে, একজন মুসলিম পুরুষের জন্য একাধিক স্ত্রী রাখা বাধ্যতামূলক। করা এবং না করার ক্ষেত্রে ইসলামের পাঁচটি শ্রেণী-বিন্যাস করা আছে।
১. ফরজ-অবশ্য করণীয় বা বাধ্যতামূলক।
২. মুস্তাহাব-অনুমোদিত অথবা উৎসাহিত।
৩. মুবাহ-অনুমোদন যোগ্য বা গ্রহণ যোগ্য।
৪. মাকরুহ- অনুমোদিত নয় বা নিরুৎসাহিত।
৫. হারাম- বে-আইনী বা নিষিদ্ধ।
এর মধ্যে বহু-বিবাহ মধ্যম শ্রেণীতে পড়ে। অর্থাৎ অনুমোদন যোগ্য এবং কোনো ভাবে এমন কথা বলা যাবে না যে, একজন মুসলিম, যার দুজন, তিনজন অথবা চারজন স্ত্রী আছে, সে তার তুলনায় ভালো মুসলিম যার স্ত্রী মাত্র একজন।
 ঘ. গড় আয়ুস্কাল পুরুষের তুলনায় নারীর বেশি
প্রাকৃতিকভাবে নারী ও পুরুষের জন্মহার প্রায় সমান। একটি নারী শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরুষ শিশুর চাইতে বেশী। একটি নারী শিশু রোগ-জীবানু ও রোগ-ব্যাধির বিরুদ্ধে পুরুষ শিশুর চাইতে লড়াই করতে পারে। এ কারণে শিশুকালে নারীর তুলনায় পুরুষের মুত্যু হার বেশি।
যে কোনো যুদ্ধের সময় নারীর তুলনায় পুরুষ বেশি মারা যায়। সাধারণ দুর্ঘটনা ও রোগ-ব্যাধিতে নারীর তুলনায় পুরুষ বেশি মারা যায়। গড় আয়ুষ্কাল পুরুষের চাইতে নারীর বেশি। মহাকালে যে কোনো যুগে খুঁজে দেখলে দেখা যাবে-বিপত্নীকের চাইতে বিধবার পরিমাণ অনেক বেশি।
 ঙ. ভারতে পুরুষের জন্ম-সংখ্যা নারীর তুলনায় বেশি। এর কারণ নারী শিশুর ভ্রুণ-হত্যা ও নারী শিশু হত্যা।
প্রতিবেশি কয়েকটি দেশের মধ্যে তুলনামুলক ভাবে ভারতীয় পুরুষ-জনসংখ্যা নারী-জন সংখ্যার চাইতে বেশি। এর নেপথ্য কারণ, নারী শিশু হত্যার উচ্চ হার। প্রতি বছর নুন্যতম দশলাখ ‘নারী-ভ্রূনের’ গর্ভপাত ঘটানো হয় এই দেশে যখনই মায়ের গর্ভে তাকে নারী হিসাবে সনাক্ত করা যায়। যদি এই অভিশপ্ত চর্চ্চা বন্ধ করা যায় তাহলে ভারতেও পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি হয়ে যাবে।
 চ. বিশ্বব্যাপী নারী জনসংখ্যা পুরুষের চাইতে অধিক
আমেরিকায় পুরুষের চাইতে সত্তুর লক্ষ আশি হাজার নারী বেশি।
✔ শুধু নিউইয়র্কে পুরুষের চেয়ে দশলাখ নারী।
✔ উপরন্তু নিউইয়র্কের এক তৃতীয়াংশ পুরুষ সমকামী। অর্থাৎ এই লোকেরা কোনা নারী-সঙ্গ বা বিবাহ করতে আদৌ আগ্রহী নয়।
✔ ইংল্যান্ডে পুরুষ জনসংখ্যার সমসংখ্যক নারী বাদ দিলে চল্লিশ লক্ষ অতিরিক্ত নারী।
✔ একই ভাবে জার্মানীতে পঞ্চাশ লাখ অতিরিক্ত নারী।
✔ রাশিয়ায় নব্বুই লাখ।
এরপর শুধু আল্লাহই বলতে পারেন গোটা পৃথিবীতে একজন পুরুষের বিপরীতে একজন নারী ধরে নিলে তারপর কত নারী অতিরিক্ত থেকে যাবে।
 ছ. প্রতিটি পুরুষের জন্য মাত্র একজন স্ত্রী এই নিয়ন্ত্রণ বাস্তবতা বিবর্জিত
আমেরিকার প্রতিটি পুরুষ যদি একজন করে নারীকে বিবাহ করে তারপরেও তিন কোটির বেশি নারী থেকে যাবে এমন, যারা তার জন্য কোনো স্বামী পাবে না। উপরন্তু মনে রাখতে হবে, সারা আমেরিকায় সমকামী পুরুষের সংখ্যা দুই কোটি পঞ্চাশ লাখের বেশী। এভাবে চল্লিশ লাখের বেশি নারী ইংল্যান্ডে। পঞ্চাশ লাখের বেশি জার্মানিতে এবং প্রায় এক কোটি নারী রাশিয়ায়- যারা কোনো স্বামী পাবে না।
ধরা যাক, আমার বোন আমেরিকা নিবাসী একজন অবিবাহিতা মহিলা অথবা আপনার বোন আমেরিকায় বসবাসকারী একজন অবিবাহিতা নারী। সেখানে তার জন্য দুটি বিকল্প পথ খোলা আছে- হয় সে এমন একজন পুরুষকে বিবাহ করবে যার একজন স্ত্রী আছে অথবা তাকে হতে হবে “জনগণের সম্পত্তি”-অন্য কিছুই হওয়া সম্ভব নয়। তাহলে যারা রুচিশীলা তারা প্রথমটাই বেছে নেবে।
অধিকাংশ নারী অন্য নারীর সাথে তার স্বামীকে ভাগাভাগি করতে রাজি হবে না। কিন্তু ইসলামে পরিস্থিতি বিবেচনায় তা-ই অপরিহার্য হয়ে ওঠে-“মুসলিম নারী তার যথার্থ ঈমানের কারণে এই সামান্য ক্ষতির বিনিময়ে অনেক বড় ক্ষতি ঠেকাতে তার আর এক মুসলিম বোনকে জনগণের সম্পত্তি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন”।
 জ. জনগনের সম্পত্তি হওয়ার চাইতে একজন বিবাহিতা পুরুষ বিয়ে করা শ্রেয়
পশ্চিমা সমাজের একজন পুরুষের ‘মেয়ে-বন্ধু’ খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। অথবা একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। এক্ষেত্রে নারীরা যাপন করে মর্যাদাহীন এক অনিশ্চিত-অরক্ষিত জীবন। অথচ সেই একই সমাজ একজন পুরুষের জন্য একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করতে রাজি নয়। যেখানে নারী হতে পারতো একজন সম্মানিতা, মর্যাদাময় অবস্থানের অধিকারিণী এবং যাপন করতো নিরাপত্তাপূর্ণ নিরাপদ জীবন।
যেখানে নারীর সামনে দুটি পথ খোলা। যে স্বাভাবিকভাবে কোনো স্বামী পাবেনা তাকে হয় একজন বিবাহিত পুরুষকেই বিয়ে করতে হবে নতুবা হতে হবে জনগনের সম্পত্তি। ইসলাম পছন্দ করে নারীকে সম্মানজনক অবস্থান দিতে, প্রথম পথের অনুমোদন দিয়ে এবং ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করে দ্বিতীয়টিকে। আরো একটি ব্যাপার লক্ষনীয় যে সব পুরুষের একাধিক স্ত্রী রাখার অর্থনৈতিক বা অনেকের দৈহিক সামর্থ্য থাকেনা।
আরো কিছু রয়েছে যে সবের জন্য ইসলাম নিয়ন্ত্রিত বহু-বিবাহ অনুমোদন করে। কিন্তু প্রধানত নারীর সম্মান-মর্যাদা ও সম্ভ্রম সুরক্ষাই লক্ষ্য।
 
২০ . প্রশ্ন:--মুসলিমগন ‘GOD’ কে আল্লাহ বলেন না কেন?
✔ জবাব:-
আল্লাহ বলেন -
‘‘ আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়, আল্লাহ আত্ননির্ভর ,তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকে কেউ জন্ম দেয়নি । তাঁর মত আর কেউ নেই ’’ সুরা ইখলাস-১১২, আয়াত-১-৪
‘‘বলো-তোমরা আল্লাহ বলে ডাকো বা রহমান বলে ডাকো। বস্ততঃ যে নামেই তোমরা ডকো, তারই কিন্তু সকল সুন্দর নাম’’ সুরা ইসরা ১৭- আয়াত-১১০
এছারাও ‘আল্লাহ’ শব্দটি কুরআনের বিভিন্নস্থানে উল্লেখ রয়েছে। সুরা আরাফ-৭, আয়াত-১৮০/সুরা হাশর-৫৯-আয়াত-২৪,/সুরা ত্বাহা-২০, আয়াত-৮-
যে নামে আল্লাহকে ডাকা হোকনা কেন সেই নামটি হতে হবে সবচাইতে সুন্দর ও অদ্বিতীয়-
মুসলিমগন কেন আল্লাহকে ইংরেজী শব্দ ‘GOD’ বলতে পছন্দ করেনা, কারণ আরবী শব্দ ’আল্লাহ’ অতি পবিত্র এবং শব্দের দিক হতে অতিরঞ্জিত নয়। ইংরেজী ‘GOD’ এর সাথে S যোগ করলে হয়ে যায় ‘GODs’ কিন্তু আরবীতে আল্লাহর বহুবচন নেই, আল্লাহ এক, আপনি যদি GOD এর সাথে ESS যুক্ত করেন তাহলে হবে GODESS অর্থাৎ স্ত্রী- GOD’ আরবীতে পূরুষ বা স্ত্রী আল্লাহর কোন স্থান নেই, আল্লাহ পূরুষ বা স্ত্রী নন। যদি GOD’ এর ক্ষেত্রে g-অক্ষর ছোট লিখেন তাহলে হবে মিথ্যা- GOD’ আর G-যদি বড় লিখেন তাহলে হবে সত্য- GOD , আল্লাহ শব্দে মিথ্যা আল্লাহ বলতে কিছুই নেই, তিনি সত্য GOD এর সাথে FATHER-যোগ করলে হয়-GOD- FATHER, আল্লাহর কোন পিতা নেই। GOD এর সাথে MOTHER যোগ করলে হবে GOD MOTHER আল্লাহর কোন মাতা নেই, একই ভাবে ইংরেজী শব্দ GOD কে নিয়ে অনেক রকমারি নাম তৈরি করা হয়েছে এবং হচ্ছে, যা আল্লাহ শব্দে নেই, তিনি এক ও অদ্বিতীয় এজন্য মুসলিমগন আল্লাহকে তাই GOD-বলেন না।
 ২১.প্রশ্ন:- ইসলাম যদি শান্তির বানী প্রচার করে থাকে তবে পৃথিবীর বিভিন্ন্ দেশে জিহাদী মুসলিমগন সন্ত্রাসবাদের ভীতি ছড়াচ্ছে কেন?
✔ জবাব:-
জিহাদ অর্থ:-
জিহাদ সর্ম্পকে শুধু অমুসলিমই নয় মুসলিমদের মধ্যে ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে প্রচুর। বেশিরভাগ মুসলিম অমুসলিমদের ধারনা কোন যুদ্ধ যদি কোন মুসলিম দ্বারা হয় ব্যক্তিত্ব বা জাতিগত রাজনীতিক বা যে কোন কারনই হোক তা হলো ‘জিহাদ’। জিহাদ শব্দের উৎপত্তি ‘জাহাদা’ হতে যার অর্থ ‘চেষ্টা করা, সংগ্রাম করা’ ইসলামের পথে শয়তানের কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে নিজেদের সাথে যুদ্ধ করার অর্থই জিহাদ। অন্যার্থে সামাজকে উন্নত করতে চেষ্টা করা, আত্নরর্ক্ষাথে যুদ্ধ করা, অত্যাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা,
সবাই জিহাদ করছে:-
যদি কোন ছাত্র পাস করার জন্য চেষ্টা করে তাহলে আরবী অর্থে সে পাস করার জন্য জিহাদ করেছেন, যদি একজন শ্রমিক তাঁর মালিককে সন্তুষ্ট করার জন্য পরিশ্রম করে তা ভালো বা মন্দ হোক সে জিহাদ করেছে, যদি কোন রাজনীতিক ভোটের জন্য পরিশ্রম করে তা সে ভালো বা খারাপ পর্যায় হোক সে জিহাদ করেছে ভোটের জন্য।
জিহাদ অর্থ ধর্মযুদ্ধ নয়?:-
ধর্মযুদ্ধ’ বা ‘হারবুমমুকাদ্দাসা’ বলতে কোন শব্দ কুরআন বা হাদীসে নেই। সর্বপ্রথম ধর্মযুদ্ধ শব্দটি ব্যবহার হয়েছিল জেরুযালেম নগরীকে কেন্দ্র করে ইউরোপের খ্রীষ্টান পোপগন সম্মিলিত হয়ে খ্রীষ্টীয় তের শতাব্দীর সময়কালে নিজেদের (ধর্মীয় শহর) ঘোষনা দেয়ে এবং শান্তিকামী মুসলিমদের বিরুদ্ধে “Crused” বা তথাকথিত ধর্মযুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাসের সুচনা করে। সে শহর তারা দখল করে মুসলিমদের উপর রক্ত-সাগর বইয়ে দেয়। জোর করে মুসলিমদের ধর্মান্তরিত করা হয় অথচ অত্যাচারীত মুসলিমদের ডাকে অকুতভয় সৈনিক গাজী সালাহদীন জেরুযালেম জয় করেন এবং ইসলামের মহানুভবতা প্রদশর্ন করে প্রত্যেক অমুসলিমকে সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করেন, তাদের উপাসনালয়ে তাদেরই কর্তৃত্ব বজায় রাখেন।
প্রতিটি ধর্মেই অপরাধী রয়েছে-
যেমন পৃথিবীর ১ নং সন্ত্রাসী হিটলার সে একাই ৬০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে। মুসোলিনি সে খ্রীষ্টান লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে সে। পৃথিবীর সমস্ত সন্ত্রাসী হত্যাকর্ম একসাথে করলেও হিটলারের হত্যাকান্ডের সমান কেউ হতে পারবেনা। এরজন্য খ্রীষ্টানধর্মকে দায়ী করা অনুচিৎ।
কেন এসব হচ্ছে?
✔ কোন কোন মুসলিম হয়তো ভুল পথে রয়েছে তারা হয়তো কুরআনকে অনুসরন করছেনা।
✔ এটা এমনও হতেপারে তাদের অহেতুক হয়রানি করা হয়েছে। আপনি যদি প্যালেস্টাইন বা আফগানিস্তান বা পৃথিবীর অন্য দেশ দেখেন এবং ইতিহাস বলে তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে, সন্তান-সন্ততিকে হত্যা করা হয়েছে নির্মমভাবে অথবা তারা অবিচারের সম্মুখীন। তাদের অধিকার কেউ ফিরিয়ে দিচ্ছেনা, কেউ সাহায্য করছেনা। আমরা প্রায়ই টিভিতে দেখি তারা ট্যাংক,ফাইটার প্লেন, মেশিনগানের বিরুদ্ধে ছোট ছোট শিশু-কিশোররা হাতে তুলে নিয়েছে পাথর বা যা সম্বল।
✔ তাহলে দোষ কাদের? দোষ আমাদের। যদি কোন সন্ত্রাসী দল বা সংগঠন থেকেই থাকে তাহলে আমাদের উচিৎ তার শিকড় খুঁজে বের করা এবং কেন তারা এসব কর্মকান্ড করছে তার যথাযথ কারন খুজেঁ বের করা।
✔ শুধু তথাকথিত সন্ত্রাসীদের হত্যা করলে হবেনা আপনি একজন খুন করবেন ১০ জন তার পরিবর্তে আসবে। ঘটনার গোড়ায় গিয়ে সত্যিকারের কারন খুজেঁ বের করতে হবে, কেন এসব সংগঠিত হচ্ছে ও সে অনুযায়ী সমাধান করতে হবে।
যেমন- হিটলার যখন ইহুদিদের দেশ হতে বের করে দিল তারা আশ্রয় গ্রহন করলো ফিলিস্তিনে স্বভাবতই ফিলিস্তিনের মুসলিমরা তাদের আহলান-সাহলান জানিয়ে থাকতে দিল ভায়ের মতো। কিন্তু তারাই ফিলিস্তিনিদের ঘর হতে বের করে দিল যখন ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ঘর ফিরে পাবার জন্য সংগ্রাম শুরু করলে তাদের বলা হলো সন্ত্রাসী। আত্নঘাতী বোমা হামলার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায় ফিলিস্তিনে, আফগানিস্তানে। কে নিজের দেহে বোমা বেঁধে নিশ্চিন্তে মরতে চায়?
মনো-বিজ্ঞানীগন বলেন-
আসল কারন খুজে বের করা উচিৎ কেন তারা এসব করছে? অবশ্যই কোথাওনা কোথাও গন্ডগোল আছে, কেউ বোমাবাজি করছে টাকার জন্য, কেউবা ক্ষমতার জন্য, কেউবা রাজনৈতিক কুশ্রি অভিলাষ পুরনের প্রত্যাশায়\ তবে আমি মনে করি সে হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান যেই হোক নিশ্চই সে অবিচার অথবা হয়রানির স্বীকার। অনেক সময় মিথ্যার রঙ্গিন কর্মকান্ডের পেছনে সত্য লুকিয়ে থাকে। তাই মিথ্যাকে হটিয়ে সত্যকে খুজে বের করা উচিৎ। মনো-বিজ্ঞানীগন বলেন যখন কারো উপর অনাকাঙ্খিত অবিচার বা শোষন করা হয় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তখন সে তা আত্নরক্ষার জন্য ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। অতএব প্রকৃত সত্যকে খুজেঁ বের করে সমস্যার সমাধান করা উচিৎ ফলে সমগ্র মানবজাতি শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। অবিচার বা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া চলবেনা তা সে হিন্দু, মুসলিম যেই হোক।
 ২২ . প্রশ্ন : সৌদি-আরব কেন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফানিস্তানের মতো দেশে মাদ্রাসা তেরির জন্য অর্থায়ন করছে যেখান হতে দাঙ্গাবাজ, বোমাবাজ জিহাদী ছাত্র তৈরী হচ্ছে?
✔ জবাব:-
প্রশ্ন করি-এই খবর কোত্থেকে শুনেছেন?
আমি বলি আপনি শুনেছেন BBC, CNN, ABC টিভি হতে। আপনি কি পাকিস্তান বা আফানিস্তান গেছেন? বেশিরভাগই উত্তর হবে না যাননি। আপনি পশ্চাত্যের প্রচারমাধ্যমের দ্বারা জানতে পেরেছেন যা তারা অজ্ঞতাবশত স্বার্থ উদ্ধারের নিমিত্তে অপপ্রচার চালায়।
প্রচারমাধ্যম সাধারন মানুষের সরল চিন্তা অতি সহজেই দুষিত করতে পারে।
অনেকে বলে তালেবানরা খুব খারাপ, বদমেজাজী, মূর্খ তারা স্ত্রীকে পেটায় অকারনে। আপনি কোথায় দেখেছেন? উত্তর BBCঅত্যন্ত আশ্চর্যজনক যে অনেক মুসলিমই তা বিস্বাস করে তাদের মধ্যে অনেকেরই দাড়ি, টুপি আছে ৫ ওয়াক্ত নামায পড়েন একথা স্বীকার করছেন শুধুমাত্র মিডিয়া অপপ্রচারের ভিত্তিতে। দেখুন এটা খুব সহজ গনমাধ্যম ব্যবহার করে আপনি হিরো কে ভিলেন ও ভিলেনকে হিরো বানাতে পারেন নিমেষেই। রাতকে দিন ও দিনকে রাত বানানো যায় নিদ্ধিধায়। আপনি না বলেছেন মিডিয়া সেটাকে হ্যাঁ খুব সহজেই বানাতে পারে।
মাদ্রাসা’ অর্থ কি?
ইংরেজিতে এর অর্থ হলো স্কুল বা Universityআমেরিকা University তৈরির জন্য অর্থায়ন করেনা? প্রত্যেক ধর্মের মধ্যে খারাপ চরিত্র ও অপরাধী ব্যক্তি আছে। প্রচারমাধ্যম এমন কিছু চরিত্রের মানুষকে তুলে এনে বিভিন্ন রং-চং মাখিয়ে এমনভাবে প্রকাশ করে যেন সেই ইসলাম ধমের্র অগ্রনায়ক ও উদাহরন। হিটলার কি স্কুলে পড়েননি? তাহলে বারাক ওবামা কেন স্কুল তৈরির জন্য অর্থায়ন করেন?
সন্ত্রাসীদের তালিকা ও শিক্ষা কেন্দ্র -
ধর্মের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে যদি আমরা সন্ত্রাসীদের তালিকা করি তাহলে সর্বপ্রথম থাকবে-
✔ হিটলারের নাম যে ৬০ লক্ষ ইহুদী হত্যা করেছিল।আপনি যদি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হত্যার পরিসংখ্যান দেখেন তাহলে দেখবেন ১৬০ লক্ষ হত্যা হয়েছে, সে একই খুন করেছে ৬০ লক্ষ, সে কি মুসলিম ছিল? সে ছিল খ্রীষ্টান।
✔ জোসেক স্তালিন সাথে ‘আঙ্কেল জো’ বলা হত তিনি নিজেই ২ কোটি মানুষ হত্যা করেছেন যার মধ্যে ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ ক্ষুধায় মৃত্যুবরন করেছে, সেটি মুসলিম ছিল? সে ছিল খ্রীষ্টান। আরও শুনুন
✔ চীনের মাও ফি সাং তিনি ১৪০ থেকে ২০০ লক্ষ মানুষ খুন করেছেন। সে ছিল বৌদ্ধ সে মুসলিম ছিলনা।
✔ মুসোলিনি ইঁটালির একনায়কতন্ত্রের অধিকারী ছিলেন তিনি ৪,০০০০০ মানুষ খুন করেছেন।
✔ মেক্রেমিলিন ফ্রান্সের একচ্ছত্র অধিপতি ছিলেন তিনি ২ লক্ষ মানুষকে দৈহিক যন্ত্রনা দিয়ে ক্ষুধার কষ্ট দিয়ে খুন করেছেন এবং ৪০ হাজার মানুষকে প্রানদন্ধ দিয়েছেন।
✔ সম্রাট অশোকা কালিঞ্জা যুদ্ধে সে ১ লক্ষ মানুষ খুন করেছিল।
✔ এরা সবাই স্কুলে গিয়েছিল, আপনার স্কুল বন্ধ করা উচিৎ নয় কি? প্রকৃত বিচারে হিটলার স্কুলে গেছেন তার জন্য আপনি স্কুলে অর্থায়ন বা সমর্থন করবেননাএটা অযৌক্তিক। সৌদি-আরব শিক্ষার প্রসারের জন্য অর্থায়ন করছে। আপনি আমাকে একটি মাদ্রাসা দেখান যেখানে ছাত্রদেরকে সন্ত্রাসী ও বোমাবাজির প্রশিক্ষন দেয়া হয়। সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের মহড়ার কথা আপনাকে উল্লেখ করা নিষ্প্রোয়োজন কারন এটা open secret matter.
 ২৩ .প্রশ্ন :ইসলাম মানুষকে তথ্য প্রকাশে স্বাধীনতা দেয় তবে, সালমান রুশদি অথবা তাসলিমা নাসরিনের মৃত্যুদন্ড জারি করা হয়েছে কেন?
✔ জবাব:-
ইসলামি শরীয়াত অনুযায়ী-
প্রথমত :- যে কারো প্রশংসা অথবা গুনকীর্তন করা যাবে যদি এর ফলে কারো ক্ষতি না হয়।
দ্বিতীয়ত:- যদি কারো ক্ষতি করা হয় প্রমান সহ বা প্রমান ছাড়া অথবা অপবাদ দেয়া হয় এটা অগ্রহনযোগ্য। যে কারো সম্পর্কে অভিযোগ বা দোষারোপ ইসলাম সমর্থন করে যদি তার বিরুদ্ধে প্রমান থাকে। প্রমান ব্যতিত কাউকে অপবাদ দেয়া অপরাধের নামান্তর। যদি কেউ ভদ্র মহিলার সতীত্বের বিরুদ্ধ দুর্নাম উপস্থাপন করে তাকে চারজন প্রমান হাজির কনতে হবে যদি সে না পারে কুরআনের আইন অনুযায়ী তাকে ৮০টি বার চাবুকাঘাত করা হবে। যদি আপনি মনে করেন কোন কারন ব্যতিত যে কাউকে অথবা কারও ধর্মীয় অনুভুতিকে আপনি আঘাত করবেন, কুৎসা রটাবেন ইসলাম এর অনুমতি দেয়না।
রুশদি ও ... ing'-
মার্গারেট থেচার নামক ভদ্রমহিলা ইংল্যান্ডে বিশেষ সম্মানিতা, তাঁর বিরুদ্ধে যখন আমেরিকার একজন লেখক বিশ্রি ভাষায় ‘ .. ’ বইতে উক্তি করানো বইটির প্রচার বন্ধ করা হয়েছিল ঠিক একইভাবে সালমান রুশদি যখন একই ভাষা +‘... ing' ব্যবহার করে ইংল্যান্ডের সরকার তা সমর্থন জানিয়েছে। এছাড়াও রুশদি ইসলামকে সহ পুরো মানব জাতিকে অপমান করেছে
একইভাবে তাসলিমা উল্লেখ করেছেন -
ইসলামি শরিয়ত মেয়েদের গরুর চইতেও নীচুস্তরের প্রানীতে ভুষিত করেছে ‘লজ্জা’ নামক বইতে যদি তিনি ইসলামি শরিয়ত সম্পর্কে অবগত হতেন একথা তিনি উচ্চারন করতে পারতেননা,
এমনকি রুশদি রাম-সীতাকে অপমান করতে ছাড়েনি। ইন্ডিয়া সর্বপ্রথম বইটির উপর নিষেধাঙ্গা আরোপ করে। যদি কেউ আপনার বা আমার মা-বোন কে কারন ব্যতিত কুৎসা রটনা করে তা অগ্রহনযোগ্য এবং গুরুতর পাপের শামিল। বাইবেলে উল্লেখ আছে লেবীয় অধ্যায়--
সৃষ্টিকর্তার কেউ যদি অপবাদ রটায় পাথর মেরে তাকে হত্যা কর।’
✔ জবাব:-
২৪.প্রশ্ন ::-ওসামা-বিন লাদেন কি আমেরিকার সন্ত্রাসবাদের জন্য দায়ী?
✔ জবাব:-
✔ তথ্যের সত্যতা পরীক্ষা-
যখন আমরা কোন তথ্য পাবো আমাদের উচি  হবে তার প্রমান খতিয়ে দেখা। আল্লাহ বলেন -
‘‘ মুমিনগণ! যদি কোন ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশত: তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। ’’ সুরা হুজুরাত-৪৯, আয়াত-৬
 ✔ আমেরিকার আইন অনুষদের ওয়েবসাইটে লাদেন প্রাথমিক সন্ত্রাসী-
এখনও প্রচারকেন্দ্রে লাদেনকে সন্দেহজনক প্রাথমিক সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করছে। আপনি যদি আমেরিকার আইন অনুষদের ওয়েবসাইটে দেখন তাহলে লক্ষ্য করবেন তারা ৪৩টি সন্ত্রাসী সংগঠনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যার মধ্যে ৬%ই মুসলিম আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় সবচাইতে জনপ্রিয় ইসলামী জঙ্গী সংগঠন কোনটি। উত্তর হবে- আল কায়েদা আমেরিকার আইন পরিসংখ্যান অনুসারী ‘উলফা’ ৭৪৯টি সাফাল্যজনক হামলা চালিয়েছে আর আল কায়েদা শুধু-২৮টি এমনকি এখনো পর্যন্ত একটিও প্রমানিত হয়নি যে এসব মুসলমান দ্বারা সংগঠিত হয়েছে।
 ✔ নও-মুসলিমা ইউভুন রেডলী-
লন্ডনের বিখ্যাত সাংবাদিক ইউভুন রেডলী আফগানিস্থানের হতে আসার পর তাকেঁ আল কায়েদা সম্বন্ধে প্রাশ্ন করা হলে তিনি বলেন আল কায়েদার অস্তিত্ব বলতে আমি সন্দেহ করি কিছুই নেই। মাত্র একজন প্রাথমিক সন্দেহের করলে একটি দেশের উপর আমেরিক আক্রমন করতে পারেনা। কোন প্রমান সুতরাং কোন তথ্য এলে আমাদের উচি  হবে খবরটা কোথেকে এলো কেন ও কি কারনে এলো তার পেছনে উদ্দেশ্য কি যাচাই করে দেখা।
 ২৫.প্রশ্ন ::-আপনি কিভাবে প্রমান করবেন আমেরিকায ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনা একটি সুপরিকল্পিত?
✔ জবাব:-
আল্লাহ বলেন -
‘‘ মুমিনগণ! যদি কোন ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশত: তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। ’’ সুরা হুজুরাত-৪৯, আয়াত-৬
সাজানো নাটক:-
বেশ কিছুদিন আগে পত্রিকায় একটি সংবাদ ছাপানো রয়েছে যে ৭৫%আমেরিকান বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরগন বিশ্বাস করেন ১১ই সেপ্টেম্বর একটি সাজানো নাটক, যা রাজনীতিবিদের একটি ঘৃন্য পূর্বপরিকল্পনা। যার মূল কারণ হলো এই আক্রমনের সূত্র ধরে তৈলসমৃদ্ধ দেশকে আক্রমন করা। ষ্টিভ জোন নামে একজন প্রফেসার বলেন -
আমরা বিশ্বাস করিনা ১৯ জন ছিনতাইকারী এবং গুহায় বসবাসকারী লোকজন (আফগানিস্তান) এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা সরকারের এই সন্ত্রাসবাদের ব্যাখ্যাটি সমর্থন করিনা। তিনি আরও বলেন আমরা বিশ্বাস করিনা বিমান বিল্ডিং-এ আঘাত করা পর, যে তেল বিমানে মজুদ ছিল তা দ্বারা এতবড় অট্রালিকা ধ্বংস হওয়া সম্ভব, ধারাবাহিকভাবে বিল্ডিং -এর ভেতরে বোমার বিষ্ফোরন না হলে ১১০ তলা সদৃশ্য অট্রালিকা ২ তলায় রুপান্তরিত হওয়া অসম্ভব।
অনেক বই ও সিডি -ডিভিডি প্রকাশিত হয়েছে সরকারের এই অসত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে অসমর্থন করে, প্রফেসর ষ্টিভ জোনের এই সংবাদ ছাপা হবার তিনদিন পরই তাকে উপরমহল থেকে আবসর গ্রহনে বাধ্য করা হলো,
‘LOOSE CHUNAGE’ –
নামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এক আমেরিকান যুবক যা বিভিন্ন চ্যানেল (BBC, CNN, Fox channel)-হতে ভিডিও চিত্র নিয়ে এবং বিভিন্ন জনের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তিনি দেখিয়াছেন ডকুমেন্টারিতে-
✔ যখন বিমানটি টুইন টাওয়ারে হামলা করতে আসছে সেটা দেখতে সাধারন বিমানের মতো ছিলনা সেটা দেখতে ছিল মেলিটারী বিমানের মত যার কোন জানালা ছিলনা।
✔ একটি টুইন টাওয়ারে আঘাত করার আগে প্লেনের পাখা হতে আগুনের সৃষ্টি হয়েছিল যা বিল্ডিং-এ আঘাত করে যারা (প্লেন হতে মিসাইল বা রকেট ছোঁড়া হয়েছিল)
✔ এই বিল্ডিং-টির ডিজাইন যেসব প্রকৌশলিগন করেছেন তারাঁ বলেন-টুইন টাওয়ারকে এমন ভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে ঝড়, টর্নেডো হতে রক্ষা পায়। একটি প্লেনের তেলের তাপের আধিক্ষ্য হয় ১০০০˚ সেলসিয়াস এই বিল্ডিংটি ২০০০˚ সেলসিয়াসের অধিক তাপমাত্রা সহ্য করতে সক্ষম এভাবেই সেটি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু হাস্যকার বিষয় ১০দিন পর সেসব প্রকৌশলিগন বেশিরভাগই নিজের সাক্ষাৎকার অস্বীকার করে বললো-এটা হতে পারে বিমান হামলা হলে। অন্য প্রফেসর একই মন্তব্য প্রকাশ করেছেন, অপ্রত্যাশিতভাবে আগের মন্তব্য ফিরিয়ে নিয়েছেন।
✔ বিল্ডিংটি নামিয়া আনা হয়েছে এই ভিডিও চিত্রটি পুরোপুরি তা প্রকাশ করে।
✔ যেসব পাইলট বড়বড় এয়ার বোয়িং চালান তাদের জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা বলেন- যে এয়ারর্পোট হতে প্লেনটি ছিনতাই হয়েছে বা সে যেখানে হতে টুইন টাওয়ার বিল্ডিং এ ঘুরিয়ে আনা অসম্ভব বিশেষজ্ঞরা বলেন- এটা একমাত্র সম্ভব যদি মিলিটারি প্লেন হয়।
✔ সরকার বিমান ছিনতায়ের প্রমান দিয়েছেন-সেই প্লেনের বিমানবালা সে আতঙ্কিত হয়ে বলেছিল-বিল্ডিং, পানি, আগুন ওহ গড.. ওহ গড। আর্শ্চযের ব্যাপার এতদিন ধরে প্লেনের চাকরী করছে কখনো সে বিল্ডিং দেখেনি?
✔ আরো তারা প্রমান দিয়েছে একজন যাত্রী দ্বারা যে তার মাকে ফোন করে বলেছিল যা এটা আমি র্মাক বিমহ্যাম আমাদের প্লেন হাইজ্যেক হয়েছে। আমাকে শুনতে পাচ্ছ? হাস্যকর ব্যাপারে ছেলে মাকে নিজের পুরো নামটাই বলছিল বংশের নাম সহ, আপনি ফোন করে কখনোই আপনার মাকে নিজের পুরো নামটা বলবেন না যে মা আমি সৈয়দ মোহাম্মদ শাহাবউদ্দীন কাদের বলছি। এটা একটা বানানো হাস্যকর পরিকল্পিত ঘটনা।
✔ তারপর একটা পরিসংখ্যান করা হয় ৩২,০০০ফুট উপরে র্মাক বিমহ্যাম কিভাবে মোবাইলের নেটওয়ার্ক পেলো?আমেরিকার মোবাইল কোম্পানীর সূত্র অনুযায়ী ৩০০০ফুট উপরে মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাওয়ার সম্ভবনা ০.৪%, ৮০০০ ফুট উপরে ০ .১%, আর ৩২,০০০ ফুট উপরে .০০৬%। এখনো পর্যন্ত আমেরিকার চেষ্টা করছে সে তার মোবাইল নেটাওর্য়ার পৌছানোর ২০০৯ সালে এখানে তা সম্ভব হয়নি,
✔ প্রত্যেক প্লেনের ব্যাক বক্স থাকে যার মাধ্যমে প্লেনের প্রতিটি কাজের ভিডিও রেকর্ড হয়ে থাকে যা ৩০০০˚ সেন্টিগ্রেড উত্তাপে কিছু হয়না। শুধুমাত্র ১০০০-˚ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় তা গলে গেল? উম্মাহ ম্যগাজিনে ওসামা-বিন লাদেন সাক্ষাৎকর প্রদান করে বলেন আমি মুসলিম আমি মিথ্যে বলবোনা। আমার মতে নিরপরাধ শিশু, মানুষ হত্যা করা ভুল এবং ইসলাম তা নিন্দা জানায়।
✔ পেন্টাগনে তৃতীয় যে ঘটনাটি ঘটেছিল সেখানে প্লেন এতো নিচ দিয়ে গিয়েছিল কিন্তু একটা ঘাসের কোন ক্ষতি হয়নি সেটা কি করে সম্ভব? প্রমান স্বরুপ শুধু বিল্ডিং এর মধ্যে একটা বড় র্গত দেখানো হয়েছিল। কিন্তু প্লেনের পাখার আঘাত কোথায়? প্লেন যদি বিল্ডিং-এ প্রবেশ করে পাখা সহ প্রবেশ করবেনা? পাখার আঘাত ছিল অনুপস্থিত, এটা পূর্বপরিকাল্পিত এই বিল্ডিং-এর গর্ত একমাত্র সম্ভব যদি শক্তিশালি রকেট লাঞ্চার ব্যবহার করা হয়।
✔ আর ৪০ ফুট উপর দিয়ে প্লেন গেলে জলজ্যান্ত গাড়ি, গরু খরখুটার মত উরে যাবে সেখানে একটা ঘাসের কিছু হলো না? কোন ধবংশযজ্ঞ বা প্লেনের কোন আহত -নিহত ব্যক্তি যেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি ।
অতএব সুষ্পষ্ট যে- এইটা করার একমাত্র মূল লক্ষ্য ছিল প্রথমে ইরাক আক্রমন তারপর ইরান, এই আয়োজন জর্জ বুশ নিজেই শুরু করেছেন।
 ২৬.প্রশ্ন:-ইসলাম একটি বর্বর ধর্ম কারন কুরআনে বলা হয়েছে যেখানে কাফের পাও হত্যা কর?
✔ জবাব:-
ইসলামকে নিন্দা করার অন্যতম পদ্বতি হলো কুরআনের আয়াতকে র্পূবসুত্র হতে সরিয়ে উপস্থাপন করা। অপপ্রচারের হাতিয়ার হিসেবে সবচাইতে যে আয়াতটির অপব্যবহার করা হয় তা হলো সুরা তওবা-৯, আয়াত-৫-
‘‘যেখানেই কাফেরদের খুঁজে পাবে হত্যা কর।’’ সুরা তওবা-৯, আয়াত-৫
আয়াতটি প্রসঙ্গ ও পূর্বসুত্রতার বহিভূত-
এবং আপনি যদি পবিত্র কুরআন খুলে দেখেন সে আয়াতটি দেখতে পাবেন। কিন্তু আয়াতটি প্রসঙ্গ ও পূর্বসুত্রতার বহিভূত। মিডিয়া কুরআনের আয়াতকে অপ্রাসঙ্গিকরুপে সাধারন মুসলিম ও অমুসলিমগনের নিকট উত্থাপন করছে। এই আয়াতখানি নাযিল হয়েছে মুসলিম ও মক্কার মুসলিমদেও চুক্তির উপর ভিত্তি করে এবং এই শান্তি চুক্তিটি অমুসলিমগন অযাচিতভাবে ভঙ্গ করে। তাই আল্লাহ অমুসলিমদের সতর্ক সংকেত দিয়ে বলছেন ৪ মাসের মধ্যে শান্তিচুক্তি সঠিক করতে অথবা যুদ্ধের জন্য প্রস্ত্তত হতে এবং যুদ্ধের ময়দানে আল্লাহ মুসলিমদের উৎসাহিত করছেন ভয় পাবেনা যেখানেই শত্রুকে দেখবে হত্যা করবে। এটা অতি সাধারন যে কোন সেনা প্রধান সৈন্যদের উদ্দীপিত করা জন্য অবশ্যই বলবেন যেখানেই শত্রু পাবে হত্যা করবে, সেতো আর নিজের সৈন্যকে বলবেনা-‘ যেখানে শত্রু খুজে পাও অস্ত্র ফেলে দিয়ে খুন হও’। উদাহরন স্বরুপ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যখন হানাদার পাকিস্তানীদের সাথে লড়ছিল তখন প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধাকে কমান্ডারগন অনুপ্রানিত করছিলেন ‘যেখানেই পাকিস্তানী র্ববরদের পাও হত্যা কর’ দেশ স্বাধীনের জন্য পাকিস্তানীদের অত্যাচারী, চরিত্রহীন পাষন্ডদের হামলার জবাব দেয়া জন্য প্রতিটি আর্মি জেনারেল এই উক্তিটি করবেন। কিন্তু এখন যুদ্ধ নেই ২০০৯ সালে কেউ যদি কোন সেনাপ্রধান বলেন-‘পাকিস্তানী হত্যা কর’ তবে তা হবে অপরাধ ও পূর্বসুত্রের বাইরে। অতএব আয়াতটির প্রাসঙ্গিকতা হলো যুদ্ধের পরিস্থতির উপর নির্ভর করে।
কট্টরপন্থি অমুসলিম লেখক অরুনসূরি-
ইসলামের বিরুদ্ধে কট্টরপন্থি অমুসলিম লেখক অরুনসূরি ‘ফতওয়া’ নামক বইতে এই আয়াতটির অপব্যখ্যা দিয়েছেন, তিনি সুরা তওবার ৫ নং আয়াত হতে ৭ নং আয়াতে long jump দিয়ে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। কেন? কারন ৬ নং আয়াতে তার সমস্যা সমাধান আছে তা হলো-
‘‘আর যদি মুশরিকদের কোন একজন তোমার কাছে আশ্রয় চায় তবে তাকে আশ্রয় দাও, যেন সে আল্লাহর বানী শোনে তারপর তাকে নিরাপদ জায়গায় পৌছেঁ দিয়ো।’’
শান্তিই শ্রেষ্ঠতর-
বর্তমানে পৃথিবীর সদয়পূর্ন সেনাপ্রধান হয়তো বলতে পারেন শত্রুকে ছেড়ে দাও বা যেতে দাও। কুরআন বলছে যদি শত্রুরা শান্তি চায় তবে যুদ্ধ করো অধিকন্তু তাদের এমন স্থানে পৌছেঁ দাও যেখানে তারা নিরাপদ বোধ করে ও আল্লাহর বানী অনুধাবন করতে পারে। আপনি কুআনের আয়াত পড়বেন যা যুদ্ধ সমন্ধে অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে, জালিমের বিরুদ্ধে, নির্মম-পাশবিকতার বিরুদ্ধে বেশিরভাগ আয়াতের শেষে আল্লাহপাক উল্লেখ করেছেন ‘শান্তিই শ্রেষ্ঠতর’ কারন ইসলাম শান্তির ধর্ম। অকারনে কারো রক্তপাত বা যুদ্ধের আহবান সেটি অমুসলিমদের বিরুদ্ধে হোক ইসলাম তা কখনোই সমর্থন করেনা। আল্লাহপাক বলেন -
‘‘ যে কেউ হত্যা করে একজন মানুষকে আরেকজন ব্যতীত অথবা দেশে ফ্যাসাদ সৃষ্টি কওে, সে যেন মানবজাতিকে সর্বসাকল্যে হত্য করলো। আর যে কেউ তাকে বাচিঁয়ে রাখে সে যেন সমস্ত মানবজাতিকে বাচাঁলো।’’ মায়েদা-৫:আয়াত-৩২
✔ তৃতীয় অপপ্রচার হলো কুরআন অথবা হাদীসের অনুবাদকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা যা প্রকৃতপক্ষে ইসলামের মধ্যে নেই এবং কোন সময় ছিলনা উদ্দেশ্য ইসলামের দূর্নাম রটানো।
✔ আরেকটি হলো ইসলামের ন্যায্য অনুবাদ প্রকাশ করে ঠিকই কিন্তু তা বিকৃত কৌশলে প্রয়োগ করে,ইসলাম বিদ্বেষীদের দাবী ইসলাম পৃথিবীর জন্য মানবজাতির জন্য সমস্যা।
আসলে ইসলাম সমস্যা তো নয়ই ইসলাম মানবজাতির সকল সমস্যার একমাত্র উজ্জ্বল সমাধান.
 ২৭ .প্রশ্ন :ইসলামই যদি আল্লাহর মনোনিত ধর্ম হয় তবে কেন আল্লাহ খ্রীষ্টান, হিন্দু এবং ইহুদি বানিয়ে দুনিয়াতে পাঠান?
✔ জবাব:-
রাসূল () বলেন-
‘‘প্রত্যেক শিশুই মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহন করে’’ -
মুসলিম অর্থ নিজের ইচ্ছা বা আকাংখা আল্লাহর নিকট সমর্পন করে দেয়া। সে বড় হবার পর মা-বাবা বা তার অভিভাবকের ধর্ম অনুসরন করে। সে হয়তো আগুনের পুজা করে ,পাথরের পূজা করে, মূর্তির পূজা করে। যদি কোন শিশু হিন্দু ঘরে জন্মগ্রহন করে মৃত্যু বরন করে তবে সে স্বর্গবাসী হবে কারন সে নিরাপরাধ। কিন্তু পরবর্তীতে সে বেড়ে ওঠার পর যখন সে জানতে ও বুঝতে শিখে এরেপরও যদি সে ভ্রান্ত ধারনায নিমজ্জিত থাকে তবে তার ভুলের সমূহ মাশুল তাকেই বহন করতে হবে।
কুরআনের দিকেই ফিরে আসতে হবে-
যদিও হিন্দু ধর্ম অনেকাংশে মানুষের দ্বারা বিকৃত হয়েছে তবুও সেখানে উল্লেখ রয়েছে অন্তিম ঋষি মুহাম্মদ ()-এর নাম । খ্রীষ্টানদের ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে তিনি পথপ্রদর্শক হয়ে আসবেন এবং তাঁকে পবিত্র কুরআন দেয়া হবে। হিন্দুধর্মগ্রন্থ ,খ্রীষ্টানধর্মগ্রন্থ বা বৌদ্ধধর্মগ্রন্থ যাই পড়েন আপনাকে কুরআনের দিকেই ফিরে আসতে হবে। প্রত্যেকেই নিজের জ্ঞান, বিবেক ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে চিন্তা ভাবনা করা উচিৎ সঠিক পথ কোনটি। আল্লাহ বলেন সুরা ফুসিলাত-৪১, আয়াত-৫৩-
‘‘ আমরা অচিরেই তাদের দেখবো আমার নির্দেশ বানী দিগন্তে এবং তাঁদের নিজেদের মধ্যেও; যে পর্যন্ত না তাদের কাছে সষ্পষ্ট হয়ে যায় এটা ধ্রুবসত্য নিঃসন্দেহে।’’
সৃষ্টিকর্তা একত্ববাদের বার্তা পৌঁছে দিবেনই-
অতএব আল্লাহ প্রত্যেককেই সত্যের আলোক শিখায় পথ দেখাবেন কিন্তু সত্য অনুধাবন করার পরও সে যদি ভাবে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি আমি অসৎ হতে পারবোনা, মিথ্যা বলতে পারবোনা, মদ-গাঁজা খেতে পারবোনা, জুয়া খেলা যাবেনা, রাস্তাঘাটে মহিলাদের উক্তক্ত করার সুযোগ পাওয়া যাবে না আমাকে ইসলামী পোষাক পড়তে হবে, এসব ভেবে যদি সে পিছু হটে যায় তাহলে তার দায়িত্ব বহন করতে হবে ভবিষ্যৎ পরিনতির জন্য। সৃষ্টিকর্তা আপনার নিকট যেকোন না কোন ভাবে তারঁ একত্ববাদের বার্তা পৌছে দিবেনই পবিএ কুরআনে এটা তারঁ চ্যালেঞ্জ সত্য আপনার সামনে তিনি উম্মোচিত করবেন এরপরও আপনার দায়-দায়িত্ব আপনার যুক্তিকতার মাধ্যমে বাছ-বিচার করে মিথ্যাকে ছুড়েঁ ফেলে যেকোন মুল্যে সত্যকে আকড়েঁ ধরার বাধ্য-বাধকতা আপনার।
যেদিন প্রতিটি মানুষের কর্মের হিসাব নেয়া হবে তখন আপনি এই অনুযোগ সৃষ্টিকর্তার নিকট করতে পারবেননা আপনি সত্যের সন্ধান পাননি। আজ আপনি যদি ইসলাম গ্রহন করেন পূর্বের সমস্ত পাপ আপনার ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং আপনার সৎ কর্মের পুরষ্কার দেয়া হবে দ্বিগুন অন্যান্য মুসলিমদের চাইতে।
প্রতিটি মুসলিমদের উচিত অমুসলিমগনের নিকট ইসলামের বার্তা পৌছে দেয়া-
ইসলাম জোর- জবরদস্তিতে বিশ্বাসী নয় । আপনার কাজ বার্তা পৌছে দেয়া, আল্লাহ বলেন-
‘‘ তোমার কাজ বার্তা পৌছেঁ দেয়া।’’ সুরা গাশিয়া -৮৮,আয়াত -২১,২২
আপনার কর্মের জন্য দায়ী হতে হবে আপনাকেই-
যখনই আপনি বার্তার সত্যতা বুঝতে পারবেন আপনার ইসলামের ছায়াতলে আসতে হবে আর যদি না আসেন আপনার কর্মের জন্য দায়ী হতে হবে আপনাকেই। একই ভাবে অনেকে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করে কিন্তু কর্মে এবং চিন্তায় তারা মুসলিম নয় তারা নামে মাত্র মুসলিম , তারা বেহেশতে যাবেনা। এটা ভুল ধারনা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করে, নাম মোহাম্মদ, কাদের, মানিক, হলেই সে স্বর্গে যাবে, অনেকেই বলে কলেমা পড়লেই বেহেশতে প্রবেশ করবে ,কলেমা পড়ে তার মর্ম অনুযায়ী কাজ করা না হয় তবে তা নিরর্থক । এমনকি মদিনার মুনাফিকরা কলেমা পড়েছিল তারা কি বেহেশতে প্রবেশ করবে? কখোনই না।
 ২৮ .প্রশ্ন :- যদি কোন অমুসলিম পর্দা না করে শাড়ি অথবা কামিজ ব্যবহার করে তবে কি সে পোষাক পরিমিত শিষ্টাচার নয়?
✔ জবাব:-
আসুন আমরা ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করি-
ব্যাবিলনের সভ্যতা- কোন পুরুষ যদি কাউকে হত্যা করতো তারা শাস্তি হিসেবে তার স্ত্রীকে হত্যা করতো।
গ্রীক সভ্যতা- তারা মেয়েদের সম্পূর্ন মানুষ বলে মনে করতোনা। কুমারী মেযেদের মূল্য দিত। পতিতাবৃত্তি ছিল খুবই সাধারন।
রোমান সভ্যতা-তারা বলে স্বামী যেকোন সময় ইচ্ছা করলে তার স্ত্রীকে হত্যা করতে পারে।
মিশরী সভ্যতা-তারা মনে করে নারী হলো শয়তানের বাদ্যযন্ত্র।
প্রাক-ইসলামী যুগে-মেয়ে শিশুদের জীবন্ত কবর দেয়া হতো।
বর্তমান সমাজে শিষ্টাচারের বিশেষতঃ নির্ভর করে তার পারিপাশ্বিক পরিবেশের উপর ভিত্তি করে। উদাহরন স্বরুপ ✔ কিছু আরব দেশ আছে নারীদের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই অশিষ্টাচার্
✔ আপনি বাংলাদেশে মেয়েদের স্পর্শ না করে কথা বললে তা শিষ্টাচার,
✔ ইন্ডিয়াতে পুরুষ মহিলা দেখা হলে উঢ়ুঁ করে দুহাত জোর করে অভিবাদন জানানো শিষ্টাচারের একটা পর্যায়।
✔ অনেক দেশে যদি হাতে হাত মিলানো না হয় তবে শিষ্টাচারের বহিভূত কাজ।
✔ অনেক দেশে মেয়েদের চুমু খাওয়া শিষ্টাচারের লক্ষন।
✔ কিছু পাশ্চাত্য দেশে পুরুষ বা মহিলা নিজেদের ইচ্ছে মাফিক যাই করুক তা শিষ্টাচারের অন্তর্ক্তূক্ত। সুতরাং শিষ্টাচার নির্ভর করে পরিবেশ ও সংষ্কৃতির উপর। উদাহরন স্বরুপ
✔ কোন মেয়ে আমেরিকাতে শর্টস্কাট ও মিনি পড়ে তবে তা গ্রহনযোগ্য কিন্তু সে যদি তা বাংলাদেশে পড়ে তা অশিষ্ট ও সংষ্কৃতি বর্হিভূত।

একদিন এক আমেরিকান বললেন বাংলাদেশীরা শিষ্টাচারের নিয়ম জানেনা। আমি আশ্চর্য হলাম কেন জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন বাঙালিরা যখন শাড়ি পড়ে তখন পেট দেখা যায়। অতএব আমেরিকানদের দৃষ্টিতে পেট দেখা গেলে অশিষ্ট । এবার দেখা যাক আল্লাহ শিষ্টাচার সম্বন্ধে কি বলেছেন পবিত্র কুরআনে সুরা নুর-২৪, আয়াত-৩০-
‘‘তুমি মুমিন পুরুষদের বলো তারা তাদের দৃষ্টি অবনত করুক এবং আঙ্গিক কর্তব্যাবলীর হেফযত করুক, আর মুমিন নারীদের বলো যে তারা তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে,আর তাদের আঙ্গিক কর্তব্যাবলীর হেফাজত করে, আর তাদের অঙ্গ শোভা যেন প্রদর্শন না করে শুধু তার মধ্যে যা প্রকাশ হয়ে তাকে ভিন্ন; আর যেন তারা তাদেও মাথার কাপড় দিযে তাদের বুকের উপরটা ঢেকে রাখে আর তারা যেন তাদের শোভা সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে।’’
আল্লাহ বলেন-
‘‘হে নবী ! আপনার স্ত্রীগন ও বিশ্বাসী মহিলাদের বলুন যেন তারা তাদের ঢেকে বের হন যাতে তারা অনাকাঙ্খিত উত্যক্ত হওয়া থেকে রক্ষা পান ও তাঁদের চেনা যায় ( সম্মানিতা রূপে)।’’ সুরা আহযাব-৩৩, আয়াত-৫৯
 সমপর্যায়ের সুন্দরীর দৃষ্টান্ত-
ধরুন দুজন বোন সমপর্যায়ে সুন্দরী একজন পরিহিতা ইসলামী পোষাক অন্যজন খোলামেলা পোষাক তারা যদি রাস্তা দিয়ে হেটে যান এবং রাস্তায় মোড়ে রয়েছে কিছু ছেলে যারা মেয়েদের উক্তক্ত করতে সদা তৎপর তবে তারা কাকে উক্তক্ত করবে? সহজ উত্তর যে খোলামেলা পোষাক পড়ে নিজের দেহ প্রদর্শন করে বের হবে তাকেই বিরক্ত করবে যদি আপনি বাইবেল পড়েন -
‘‘মহিলাগন এমন পোষাক পরবেননা যা পুরুষের দৃষ্টিকাড়ে এবং পুরুষরাও নারীগনের পোষাক পড়বেননা যারা তা করে সৃষ্টিকর্তার নিকট ঘৃনার পাত্র তারা Book of Duet-২৩, Verse-
বেদ ও বাইবেলের বক্তব্য কি?-
বাইবেলে বর্নিত-
`নারীগন শিষ্টাচারের সহিত পোষাক পরবেন, প্রশান্তভাবে থাকবেন তারাঁ স্বর্ন ও মুক্তা ব্যবহার করবেননা।’ 1st Timothy-,V-9
বাইবেলের নিয়ম-কানুন অনুযায়ী একজন খ্রীষ্টান নারীর উচিৎ সম্ভ্রম হয়ে সম্মানিতা হয়ে রাস্তায় বের হওয়া। আপনি যদি খ্রীষ্টান নানদের পোষাক লক্ষ্য করেন তারা মুসলিম মেয়েদের মতো পর্দাও পোষাক পড়েন। মা মেরির ছবি যদি দেখেন তারঁ হাতের কব্জি এবং মুখমন্ডল ব্যতীত বাকী সব কাপড়ে ঢাকা। প্রত্যেক মুসলিম নারী যারাঁ সঠিকভাবে পর্দা করেন তারাঁ খ্রীষ্টান নানের মতোই সম্মানিতা। আপনি যদি হিন্দুধর্মে প্রধান ধর্মীয় বই পড়েন রিগবেদ-৮, হিম-৩৩, শোকা-১৯-
‘‘ব্রাহ্মা যখন তোমায় নারী আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন তুমি নিজেকে পর্দা দিবে, দৃষ্টি নিচু রাখবে উপরে দেখবেনা। পা একসাথে রাখবে এবং পর্দা যে সৌন্দর্য লুকায় তা প্রকাশ করবেনা।"
আরো বলা হয়েছে -
‘‘রমনীরা নরের পোষাক পরিধান করবেনা, পুরুষগনও অনুরুপ।’’ রিগবেদ-১০, হিম-৮৫, শোকা-৩০

আরও বলা হয়েছে -
‘‘পরশুরাম আসার পর রাম সীতাকে বলছেন-তিনি আমাদের অগ্রজ অতএব দৃষ্টি নিচু রাখ ও পর্দা টেনে নাও। মহাবীর চরিত্-২, পৃষ্ঠা-৭১
আপনি যদি হিন্দুস্তানের ইতিহাস পড়েন পাল বংশ, সেন বংশ মৌর্য বংশের মুদ্রায় ঘোমটা পরিহিতা রমনির ছবি দেখা যায়।
১২৫ বার ধর্ষন করে তার শাস্তি পাবার সম্ভাবনা মাত্র ১বার!!-
১৯৯০ সালে আমেরিকার গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ১০২৫৫৫টি ধর্ষনের মামলা হয়েছে শুধু আমেরিকাতেই। অন্য এক রিপোর্টে বলা হয়েছে ১৯০০-র বেশি ধর্ষন হচ্ছে প্রতিদিন আমেরিকাতে। এখন ২০০৯ সাল না জানি আমেরিকানরা আরো কত দুঃসাহসী হয়েছে এই গত ১৮ বছরে। এই মামলার মাত্র ১০% গ্রেফতার হয় এবং এই ১০% এর মধ্যে ৫০% কে প্রাথমিক ক্ষমা ঘোষনা দেয়া হয় পরীক্ষামূলকভাবে। তারমানে কেউ যদি ১২৫বার ধর্ষন করে তার শাস্তি পাবার সম্ভাবনা মাত্র ১বার। এই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যারা শাস্তি পায় ৫০%-ই ১ বছরের নিচে কারা ভোগ করে।
ইসলামের শরীয়া আমেরিকাতে প্রয়োগ-
আমি বলি আপনি ইসলামের শুধুমাত্র তিনটি শরীয়া আমেরিকাতে প্রয়োগ করেন-
✔ যে যখনই কোন পুরুষ কোন মহিলার দিকে তাকাবে সে তার দৃষ্টি নিচে রাখবে
✔ ও মহিলারা ইসলামের শরীয়া অনুযায়ী নিজেদের ঢেকে বের হবে
✔ এবং এরপর কেউ যদি বলৎকার করে তবে তার গর্দান কর্তন করা হবে
তবে কি আমেরিকাতে ধর্ষনের সংখ্যা বাড়বে নাকি কমবে? অবশ্যই কমবে। এটাই হাতেনাতে প্রমান, এজন্যই সৌদি আরবে পৃথিবীর সবচাইতে অপরাধের সংখ্যা নগন্য।
 ২৯.প্রশ্ন :ইসলাম কি বহু খোদায় বিস্বাস করে কারন অনেক স্থানে আমি-র পরিবর্তে আমরা ব্যবহার করা হয়েছে?
✔ জবাব:-
বহু ভাষায় দু’ধরনের বহুবচন আছে-
ইসলাম এক সৃষ্টিকর্তায় বিস্বাসী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ নিজেই পবিত্র কুরআনে আমরা শব্দটি ব্যবহার করেছেন তারমানে এই নয় তিনি বহু। ভাষায় দু’ধরনের বহুবচন আছে একটি হল পরিমান বোঝাতে আরেকটি হল সম্মানার্থে।
ইংরেজিতে ইংল্যান্ডের রানীকে আমরা বলে সম্মানার্থে সম্বোধন করা হয়। যা রাজকীয় মর্যাদা। ইন্ডিয়াতেও রাজিব গান্ধি বলেন-‘হাম দেখনা চাতেহে’ এখানে হাম মানে আমরা এটি সম্মানার্থে ব্যবহার হয়েছে। একইভাবে আরবীতে ‘নাহনু’ শব্দটি মর্যাদা অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে।
ইসলাম এক সৃষ্টিকর্তায় বিস্বাসী-
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে :-
‘‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’’।অর্থাৎ তিনি এক ও অদ্বিতীয়। সুরা ইখলাস-১১২,আয়াত-১
 ৩০ .প্রশ্ন :যদি সকল ধর্মই এক সৃষ্টিকর্তার ধারনা প্রকাশ করে তার মানে এই নয় যে -সকল ধর্ম একই?
✔ জবাব:-
সবধর্মই এক”- এক অর্থহীন প্রলাপ-
পৃথিবীর অনেক দেশেই দেখা যায় বিভিন্ন ধর্মের ব্যক্তিগন বা সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদগন একই মঞ্চে দাড়িয়ে উক্তি করেন--” সবধর্মই এক” । এসব অর্থহীন প্রলাপ ব্যতীত আর কিছুই নয়। আপনি যদি উক্ত হিন্দু ব্যক্তিকে বলেন মুসলিম হতে বা মুসলিম ব্যক্তিকে বলেন খ্রীষ্টান হতে তারাঁ কি নিজের ধর্ম পরিহার করবেন? উত্তর-না। তাহলে সবধর্ম কি করে একই হয়? এসব ব্যক্তিগন ধর্মকে ব্যবহার করে স্বার্থসিদ্ধতে পটু।
২+২=কত?-
ব্যাপারটা এমনই যে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করা হল ২+২=কত? কেউ বললো ৪ কেই ৫ আবার কেউ বললো ৬। তিনজন শিক্ষক মঞ্চে উঠে বললেন তিনটা উত্তরই সঠিক।
আমাদের পরস্পরের মিলগুলো অনুসরন করি-
অমিল রয়েছে অনেক সেটা ভুলে গিয়ে ভ্রাতৃঃ ও সৌহার্দ্যের নিদর্শন স্থাপন করার লক্ষ্যে এই সুত্রটা প্রত্যেকের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করি - ধরুন আমরা বাইবেল, কুরআন, বেদ সব একসাথে করি তারপর সবগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্যতা নিরুপন করি,প্রত্যেকটির মধ্য হতে মিলগুলো আমরা একসাথে আনয়ন করি এবং সেটা অনুসরন করি। । আল্লাহপাক আমাদের শিক্ষা দেন -
‘‘ বলো- হে গ্রন্থপ্রাপ্ত লোকেরা আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে পরস্পর সমঝোথার সাথে এসো যেন আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো এবাদত করবোনা আর আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে মনিব বলে স্বীকার করবোনা। কিন্তু তারা যদি ফিরে যায় তবে বলো-সাক্ষী থেকো আমরা কিন্তু মুসলিম।’’ সুরা ইমরান-৩,আয়াত-৬৪
মোহাম্মদ () ইসলাম ধর্ম নিয়ে এসেছেন?-
অনেকের ভ্রান্ত ধারনা বিশেষ করে অমুসলিমগনের এমনকি মুসলিমদের মধ্যেও যে হযরত মোহাম্মদ () ইসলাম ধর্ম নিয়ে এসেছেন ১৪০০ বছর পূর্বে। ইসলাম তখনই এসেছে যখন মানুষ সর্বপ্রথম পৃথিবীতে পর্দাপন করেছে। এক সৃষ্টিকর্তা হতে যুগে যুগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তথা স্থানে নবী বা বার্তাবাহক এসেছেন যেমন:- আদম (আঃ), নূহ (আঃ), ইব্রাহিম (আঃ), মুসা(আঃ) এবং সর্বশেষ বার্তাবাহক হযরত মোহাম্মদ ()পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে -
‘‘আর এমন কোন সম্প্রদায় নেই যার মধ্যে একজন সতর্ককারী না গেছেন।’’ সুরা ফাতির-৩৫, আয়াত-২৪
কুরআনে ২৫ জন নবীর নাম উল্লেখ রয়েছে । চারজন নবীর উপর আসমানী গ্রন্থ নাযিল হয়েছিল। হযরত ঈসা (আঃ) -এর উপর তাওরাত ,দাউদ (আঃ)-যবুর ,ঈসা (আঃ)ইঞ্জিল এবং কুরআন-হযরত মোহাম্মদ ()-এর উপর ।
ইঞ্জিল=বাইবেলে?
বর্তমানে খ্রীষ্টানগন ইঞ্জিল কিতাব যেটাকে বাইবেল বলেন, সেটা সেই ইঞ্জিল বা বাইবেল নয় যা মুসলিমগন বিশ্বাস করেন । বর্তমান বাইবেলে বিভিন্ন রং-বেরঙ্গের মতবাদে পরিপূর্ন । আপনি বাইবেল পড়লে সেখানে
✔ ঐতিহাসিকদের মন্তব্য দেখতে পাবেন
✔ ছবি দেখতে পাবেন ,
✔ কিছু তথাকথিত নবীর বাণী দেখতে পাবেন,
✔ সৃষ্টিকর্তার হতে নিয়ম কানুন দেখবেন
✔ এমনকি মা-ছেলে অশালীন সম্পর্ক ও বাবা-মেয়ের সাথে কুরুচিপূর্ন ঘটনার বর্ননা ও পরিলক্ষিত হবে
World Top update version-বাইবেল নাম্বার ১-
এসব ধর্মগ্রন্থে আছে ভাবতেই আর্শ্চয লাগে। বাইবেল পুরোপুরি সৃষ্টিকর্তার শব্দ বা আয়াত নয়। প্রতিবছরই কিছু খ্রীষ্টান স্কলারগন নিজের ইচ্ছামত শব্দ বা আয়াত সংযোজন বা বিয়োজন বা বাতিল করেন সামনের বছরের জন্য নতুন তথ্য পরিবেশন করেন (বাইবেলের মোড়কে) নিজেদের সুবিধার্থে যা Software update version এর মতো। যেমন আপনার কাছে ২০১২ সালের KJB (King James bible) আছে কিন্তু ২০১৩ সালে সেটা হতে সংযোযন ও বিয়োজন করে update ২০১৩ KJB বিক্রয় করা হবে। এটা স্রেফ নেহাতই এক রমরমা ব্যবসা। আর্শ্চযের ব্যপার এই যে দেদারসে লোকজন update version কিনছে এবং সব মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে এ বছর update version-এ কত মুনাফা হয়েছে! আমার মনে হয় পৃথিবীতে যদি Top update পরিসংখ্যান হয় নিঃসন্দেহে বাইবেল স্থান হবে নাম্বার-১।
 নবীগন এসেছিলেন নিদিষ্ট জাতির ও নিদির্ষ্ট একটি সময় পর্যন্ত-
এছাড়াও বিভিন্ন নবী যে বানী নিয়ে এসেছিলেন মানুষের কাছে তা বিকৃত হয়ে গেছে। নবীগন এসেছিলেন শুধু তাদের নিদিষ্ট জাতির জন্য এবং নিদির্ষ্ট একটি সময় পর্যন্ত । সুরা সাফ-৬১,আয়াত-৬ এ আল্লাহ বলেন -
‘‘ঈসা (আঃ)-কে শুধু বনী ইসরাঈল গোত্রের জন্য প্রেরন করা হয়েছে ।’’
বাইবেলে বর্নিত আছে -
‘‘ইহুদীগন ব্যতিত অন্য কারো কাছে যাবেনা’’ Gospel of mathew -10 ,verse 5-6
বাইবেলে বর্নিত আছে -
আমি শুধু বনী ইসরঈলের জন্য প্রেরিত হয়েছি ।’’ Gospel of mathew -15,verse-24
কিন্তু ইসলাম শুধু কোন গোত্র বা নিদির্ষ্ট সংখ্যক জাতির প্রতি আসেনি। আল্লাহ বলেন -
‘‘আমরা আপনাকে পাঠিয়েছি সমস্ত মানবজাতির রহমত সরূপ ।’’ সুরা আম্বিয়া-২১, আয়াত-১০৭
 আপনাকে অনুসরন করতে হবে সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন-
হিন্দুধর্ম গ্রন্থ অথবা অন্য ধর্মগ্রন্থ হতে পারে সৃষ্টিকর্তা হতে আগত কিন্তু তা এসেছে নিদির্ষ্ট সময়ের জন্য নিদির্ষ্ট জতিকে ভিত্তি করে। প্রখ্যাত ঈতিহাসিক উইলিয়াম মূর বলেন-
‘‘ ১২০০বছর ধরে একমাত্র কুরআনই নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখেছে।
তা তিনি বলেছেন আরও ২০০ বছর পূর্বে। এখনো কুরআন অবিকৃত রয়েছে। যদিও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ সৃষ্টিকর্তা হতে আগত হয়ে থাকে আপনাকে অনুসরন করতে হবে সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন। ঈসা (আঃ), মুসা (আঃ), ইব্রাহিম (আঃ) ছিলেন মুসলিম । তারাঁ শান্তির বানী ইসলাম নিয়ে এসেছিলেন কালের আবর্তে মানুষ তা বিকৃত করেছে। ইসলামকেই অনুসরন করতে হবে ,অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদ নয় যা মানুষের তৈরি, আল্লাহ বলেন -সুরা আল -ইমরান -৩, আয়াত-৮৫-
‘‘আর যে কেউ ইসলাম পরিত্যাগ করে অন্য ধর্ম অনুসরন করে তাহলে তার কাছ থেকে কখনো তা কবুল করা হবেনা। আর আখেরে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তভূর্ক্ত।’’
 ৩১.প্রশ্ন :পৃথিবীর প্রথম মানুষ কোন জাতি বা গোত্রের ছিলেন?
✔ জবাব:-
কুরআনের বর্ননা অনুযায়ী পৃথিবীর প্রথম মানব আদম(আঃ)। তিনি ছিলেন মুসলিম। শুধু তিনিই নন মোহাম্মদ () বলেন-
পৃথীবীতে প্রতিটি বাচ্চাই নিষ্পাপ মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহন করে। ”
মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করলেই কি মুসলিম?
মুসলিম মানেই রহিম, করিম নয় এর অর্থ নিজের ইচ্ছা আল্লাহর নিকট সমর্পন করা। যে কোন বাচ্চা হিন্দু, খ্রীষ্টান বা বৌদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহন করুক সে প্রথমত জন্মায় মুসলিম হয়ে। নবী () বলেন-
মা-বাবার কর্মে প্রভাবিত হয়ে বাচ্চাটি তা অনুসকরন করে আগুন, পাথর বা মূর্তির পূজা করে, পাপ করতে শুরু করে। ”
কারন একটি নিষ্পাপ শিশুকে যাই শেখানো হয় তাই সে করার চেষ্টা করে।
আফ্রিকান-কাপাকু ও অষ্ট্রেলিয়ান- গোঁড়া জাতি-
অতি সম্প্রতি দুটি জাতির জীবন-পদ্বতি গবেষনা করে দেখা গেছে। আফ্রিকান কাপাকু ও অষ্ট্রেলিয়ান গোঁড়া জাতি এই দুজাতি ১৯৫০ সালের আগ পর্যন্ত সভ্যতার দেখা পায়নি। গবেষনায় দেখা গেছে তারা যা করতো প্রায় প্রতিটি কর্মই ইসলামের সাথে মিল রয়েছে।
✔ তারা এক সৃষ্টিকর্তার বিস্বাস করতো,
✔ তারা সিজদা করতো,
✔ তারা কোন মূর্তিপুজা করতো না।
আপনি যদি কোন বাচ্চাকে ধর্মীয় শিক্ষা না দেন বেদ, কুরআন, বাইবেল ইত্যাদি না পড়ান সে বড় হয়ে এক সৃষ্টিকর্তার মতবাদে বিস্বাসী হবে এবং সে অনুযায়ী জীবনকে গড়ে নেবে।
১৯৯৯ সালে নিউরো সায়েন্টিষ্টের অবাক করা তথ্য-
আমাদের মস্তিষ্কের সামনের অংশে বহুল গবেষনা করে তিনি বলেন- “প্রত্যেকের মস্তিষ্কের সামনের একটি ছোট অংশ রয়েছে যা সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে চিন্তা করার সময় একটিভ হয়, অন্যসময় তা নিষ্ক্রিয় থাকে।”
 ৩২.প্রশ্ন :অমুসলিমকে সালাম দেয়া যাবে কি?
✔ জবাব:-
ঈব্রাহীম (আঃ) তাঁর পিতাকে বলেন যিনি ছিলেন অমুসলিম -
‘‘তিনি বললেন- তোমাকে সালাম, আমি অবশ্যই আমার প্রভুর কাছে তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব।’’ সুরা মরিয়াম-১৯, আয়াত-৪৭
যদি আল্লাহর নবী অমুসলিমকে সালাম দিতে পারে তবে আমরা কেন পারবোনা। আল্লাহ আরো বলেন -
‘‘মুসা ও হারুন (আঃ) ফিরআউনের কাছে গিয়ে বলছিলেন ‘‘আমরা নিশ্চই তোমার কাছে এসেছি তোমার প্রভুর কাছ হতে নির্দেশ নিয়ে। আর সালাম তাদের উপরে যে পর্থনির্দেশ অনুকরন করে’’ সুরা ত্বাহা-২০, আয়াত-৪৭
এছাড়াও -
‘‘আমাদের জন্য আমাদের কাজ আর তোমাদের জন্য তোমাদের কাজ। তোমাদের প্রতি সালাম’’। সুরা কাস-২৮, আয়াত-৫৫
রাসূল () যখন বিভিন্ন দেশের শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে চিঠি লিখছিলেন সেখনেও তিনি বলছিলেন -
‘‘তাদেঁর উপর সালাম যারা সঠিক পথ অনুসরন করে।’’
এছাড়াও সুরা ফুরকান-২৫, আয়াত-৬৩-তে অমুসলিমগনকে সালাম দেয়া উল্লেখ রয়েছে, যখন মুসলিমকে সালামদেবে তার প্রতি উত্তর দেয়া উচিৎ-‘ ওয়ালাইকুম’ যা রাসূল() দিয়েছেন।
 ৩৩ .প্রশ্ন :-সকল ধর্মইনিজেদের সঠিক বলে দাবী করে, তবে একজন মানুষ কিভাবে বুঝতে পারবে কোন ধর্ম এর ধর্মগ্রন্থ সঠিক?
✔ জবাব:-
কুরআনে উল্লেখ রয়েছে-
‘‘আর অবশ্যই তোমার পূর্বে প্রত্যেক জাতির জন্য রাসূল পাঠিয়েছি।’’ সুরা রদ-১৩, আয়াত-৩৮
আর এমন কোন জাতি নেই যাদের জন্য একজন সতর্ককারী না গেছেন।’ সুরা ফাতির-৩৫,আয়াত -২৪
বেদ ও পূরানে মোহাম্মদ (صلى الله عليه و سلم)-এর আগমনী তথ্য-
যত ধর্মগ্রন্থ পৃথিবীতে রয়েছে বেদ, পুরাণ, রামায়ন, ধর্মপাঠ, বাইবেল বেশিরভাগ ধর্মগ্রন্থই একজন শেষ ঋষি বা বার্তাবাহকের নাম মোহাম্মদ () উল্লেখ করেছে যিনি ভবিষ্যতে আসবেন। বেদে যা বিশদভাবে বর্ননা রয়েছে-
বেদ-বই
হিম নং
শ্লোকা নং
বেদ-বই
অধ্যায় নং
শ্লোকা নং
রিগবেদ-১
১৮
ইয়াজুরবেদ
২০
৩৭
রিগবেদ-১
১০৬
ইয়াজুরবেদ
২০
৫৭
রিগবেদ-১
১৪২
ইয়াজুরবেদ
২১
৩১
রিগবেদ-২
ইয়াজুরবেদ
২১
৫৫
রিগবেদ-৫
ইয়াজুরবেদ
২৮
রিগবেদ-৭
ইয়াজুরবেদ
২৮
১৯
রিগবেদ-১০
৬৪
ইয়াজুরবেদ
২৮
৪২
রিগবেদ-১
১৩



রিগবেদ-৬
১৬
ইয়াজুরবেদ
৩২
ভগবৎগীতা
২০
ইয়াজুরবেদ
৪০
ভগবৎগীতা
১০
ইয়াজুরবেদ
৪০
ভবিষ্যৎ পুরানের বর্ননায় -
একজন মালিচ্চার (বিদেশীর) আগমন হবে । তাঁর নাম হবে মোহাম্মদ। আরবদেশে এই মহাঋষী এবং তাঁর সঙ্গীদের আগমনের পর রাজা (ভোজ)‘পঞ্চগয়া’ ও গঙ্গার পানি আন্তরিকতার সাথে তাঁকে (মোহাম্মদ()-কে) উৎসসর্গ করে সমস্ত সম্মান দিয়ে বলবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি ক্ষমা চাই ।ওহে! মানবজাতির গর্ব, আরবের অধিবাসী তুমি অনিষ্ঠের রিপু (শয়তান) দমন করার জন্য শক্তিশালী যোদ্ধা দল গঠন করেছো এবং শত্রু হতে তুমি নিজেকে রক্ষা করবে ’’ প্রতিস্বর্গ পর্ব-৩,খন্ড-৩,অধ্যায়-৩,শ্লোকা-৫-৮

 
এই ভবিষাৎবানী পরিস্কারভাবে নির্দেশনা দেয়-
✔ ঋষী বা নবীর নাম হবে মোহাম্মদ ।
✔ তিনি আরবের অধিবাসী হবেন ,সংস্কৃতে ‘মরুসৃল’ অর্থ মরুভুমি ।
✔ বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর অনুসারী বা সাহাবাগনকে কোন নবীর এতো অনুসারী ছিলো না যা তাঁর ছিলো ।
✔ তাঁকে বলা হয়েছে মানবজাতির গর্ব (পর্বতিসনাথ),পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে সূরা আহযাব-৩৩,আয়াত-২১-‘‘নিশ্চই আপনি আল্লাহর বার্তাবাহক এবং সচ্চরিত্রের অধিকারী’’
✔ তিনি রিপু (শয়তান)দমন করবেন অর্থাৎ মূর্তিপুজা এবং অন্যায় রোধ করবেন।
✔ বলা হয়েছে তিনি নবী () কে শত্রু হবে রক্ষা করা হবে । মক্কার পৌত্তলিকরা অনেকবারই তাঁর জীবন সংহারের অপ্রান চেষ্ঠা করেছে কিন্তু সক্ষম হয়নি ।
✔ রাসূল () সরাসরি দৈহিকভাবে গঙ্গার স্নান করেননি সাধারনত ধারনা করা হয় গঙ্গা বা পঞ্চগয়ার পানি পবিত্র এই অর্থে বোঝানো হয়েছে যে তিনি সকল পাপ ধুয়ে মুছে দুর করে দেবেন, অর্থ হলো তিনি পাপমুক্ত মাসুম।
 বাইবেলেও কি উল্লেখ আছে?-
বাইবেলেও বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে মোহাম্মদ () পৃথিবীতে আসবেন -
‘‘তোমাদের অনেক কিছুই বলার আছে যা তোমরা অনুবাধন করনা, তিনি পবিত্র আত্না আসবেন সত্যের দিশারী হয়ে তিনি সত্যের দিকে তোমাদের আহবান করবেন। তাঁর উপর যা আকাশবানী হবে তিনি তা প্রকাশ করবেন যা নিজ হতে নয়, তিনি আল্লাহর প্রশংসা করবেন।’’ Gospel of john-16, ver-12-14
এছাড়াও Books of Barnebas- এ তাঁর নাম ‘মোহাম্মদ’ নামে সুপষ্ট আখ্যায়িত করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন-সুরা আরাফ-৭, আয়াত-১৫৭-
‘‘সেসমস্ত লোক, যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের, যিনি উম্মী (অশিক্ষিত) নবী, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তাওরাত ও ইঞ্জীলে লেখা দেখতে পায়।’’
পূর্ববর্তী ধর্মগ্রন্থ মানুষের দ্বারা তা বিকৃত হয়ে গেছে-
অতএব আপনি দেখবেন প্রায় সব ধর্মগ্রন্থে মোহাম্মদ () এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে যে তিনি সত্যের বার্তা নিয়ে আসবেন। যত ধর্মগ্রন্থ পৃথিবীতে এসেছে তা শুধু নির্দ্দিষ্ট জাতি এবং নির্দ্দিষ্টলোকের জন্য এবং মানুষের দ্বারা তা বিকৃত হয়ে গেছে। সর্বশেষ বার্তাবাহক মোহাম্মদ () পবিত্র কুরআন পেয়েছেন এবং সৃষ্টিকর্তা তা মানুষের হাতে বিকৃত হতে রক্ষা করছেন। আল্লাহ বলেন সুরা হিজর-১৫,আয়াত-৯-
‘‘আমরা কুরআন অবতীর্ন করেছি এবং এর সংরক্ষনকারী আমরা নিজেই।’’
অতএব সঠিক ধর্ম অনুসরন করতে হলে আপনাকে এক সৃষ্টিকর্তাকে অনুরন করতে হবে এবং সর্বশেষ বার্তাবাহক বা নবীকে স্বীকার করতে হবে।
 ৩৪.প্রশ্ন :-রাসুল (صلى الله عليه و سلم) নারী আসক্ত ছিলেন তাই ১১টি বিয়ে করেছেন। ৪টি বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে কিন্তু কেন তিনি ১১টি বিয়ে করলেন?
✔ জবাব:-
এরপরে নারীরা তোমার জন্য বৈধ নয়-
পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে -
‘‘স্ত্রী লোকের মধ্যের যাকে তোমাদের ভালো লাগে তাকে বিয়ে করতে পারো - দুই,তিন বা চার, কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা করো যে তোমরা সমব্যবহার করতে পারবেনা তাহলে একজনকেই......’’। সুরা নিসা-৪, আয়াত-৩
কিন্তু এরপরে অন্য একটি আয়াতে বলা হয়েছে -
‘‘এরপরে নারীরা তোমার জন্য বৈধ নয় আর তাও নয় তাদের স্থলে অন্য স্ত্রীদের তুমি বদলে নিতে পারো, যদিওবা তাদের সৌন্দর্য তোমাকে তাজ্জব বানিয়ে দেয়-তোমার ডান হাত যাদেরকে ধরে রেখেছে তাদের ব্যতীত।’’ সুরা আহযাব-৩৩, আয়াত-৫২
 সামাজিক শান্তি, এবং রাজনৈতিক স্থিরতা ও উভয় গোত্রের পারস্পরিক শত্রুতা নিমূল করে ভাতৃত্বের সামাজিক বন্ধন বন্ধন স্থাপন করা-
আপনি যদি গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করে দেখেন তারঁ ১১টি বিবাহ বিশেষ করে সামাজিক শান্তি, এবং রাজনৈতিক স্থিরতা ও উভয় গোত্রের পারস্পরিক শত্রুতা নিমূল করে ভাতৃত্বের সামাজিক বন্ধন বন্ধন স্থাপন করা কখোই দৈহিক চাহিদার জন্য নয়-
✔ প্রথম বিয়ে তিনি করেছিলেন বিবি খাদিজা h-কে যিনি ছিলেন ৪০ বছর বয়স্কা এবং পরপর দুবার বিধবা ও রাসুল () ছিলেন ২৫ বছর বয়সী। ভাবুন যদি তিনি (নাউজুবিল্লাহ) নারী আসক্তই হতেন তবে এমন একজন বয়স্কা মহিলাকে কেন তিনি বিবাহ করলেন যিনি ছিলেন ৪০ বছর বয়স্কা ও পরপর দুবার বিধবা? তিনি বেচেঁ থাকা অবস্থায় রাসুল () দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। তার বয়স যখন ৫০ তখন বিবি খাদীজা ইন্তেকাল করেন।
✔ তারঁ ৫৩ থেকে ৫৬ বয়সের মধ্যেই তিনি বাকী বিয়ে গুলো করেছিলেন ।যদি রাসুল() নারী আসক্ত হতেন তবে তিনি যুবক বয়সেই বিয়ে করতেন।
✔ বর্তমান বিজ্ঞান বলে মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে যৌনস্পৃহা কমতে থাকে।
✔ তার মাত্র দুজন স্ত্রী ছিলেন যারাঁ ছিলেন ৩৬ বছরের নীচে বাকী সবাই ছিলেন ৩৬-৫০ বছর বয়স্কা।
 বিয়ের ঐতিহাসিক তাৎপর্য-
প্রতিটি বিয়ের ঘটনা উপলব্ধি করলে বোঝা য়ায় প্রতিটিই ঐতিহাসিক তাৎপর্য বিদ্যমান। উদাহরন স্বরুপ উল্লেখ করা যায়
✔ বিবি জোয়াইরিরা বনু মুসাতালিক গোত্রের যাদের সাথে মুসলিমদের শত্রুতা ছিল। বিয়ের পর যখন আত্নীয়তার বন্ধনে তারাঁ আবদ্ধ হলেন তখন গোত্র সকলেই শত্রুতা ভুলে গিয়ে বন্ধু ও ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন, বন্দীদের মুক্তি দিয়ে আবদ্ধ হলেন সুসম্পর্কে।
✔ নাযদ গোত্রের মেয়ে বিবি মায়মুনাকে যখন তিনি বিয়ে করলেন তারা মীনার মুসলিম শাসনকে স্বীকারোত্তী দিলো এবং তারা মোহাম্মদ ()-কে নেতা বলে স্বীকার করলো। পূর্বে তারা ৭০ জন মুসলিম হত্যা করেছিলেন অন্যায়ভাবে।
✔ তিনি উম্মে হাবীবাকে বিয়ে করেন যিনি মক্কার নেতা আবু সুফিয়ানের কন্যা ছিলেন যা মক্কা জয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছিল।
✔ বিবি সাফিয়া ছিলেন ইহুদী গোত্র প্রধানের কন্যা। বিবাহের ফলে ইহুদীরা বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করেছিল।
অতএব আপনি যদি ভালো করে পর্যবেক্ষন করেন তবে আপনার নিকট প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সুষ্পষ্ট হয়ে যাবে তারঁ প্রতিটি বিয়ে ছিল সমাজে শান্তি স্থাপন ও পারস্পরিক সৌহাদ্য ভিত্তি স্থাপনের নিমিত্তে।
 ৩৫.প্রশ্ন:-শাড়ী পড়ার ক্ষেত্রে মুসলিমগনের কোন সংস্কৃতিকে আকড়েঁ ধরা উচিৎ দেশীয় নাকি ইসলামী সংস্কৃতি?
✔ জবাব:-
মুসলিমের অর্থ যে নিজের ইচ্ছা আল্লাহর নিকট সমর্পন করে দিয়েছে। মুসলিমগন নিজের দেশের সয়স্কৃতি মেনে চলতে পারে যদিনা ইসলামের নিয়ম-কানুনের বিরোধী না হয়। যেমন অনেকেই প্রশ্ন করে যে মুসলিম নারীগন কি শাড়ি পড়তে পারবে? হ্যাঁ পরবে যদি তিনি ইসলামের ছয়টি নিয়ম কানুন মেনে চলেন-
১) পুরো শরীরটা ঢাকা থাকবে শুধু হাতের কব্জি ও মুখ ছাড়া
২) যে কাপরটা পরিধান করবে সেটা আটঁশাট হওয়া চলবেনা ঢোলা হতে হবে
৩) কাপর স্বচ্ছ হতে পারবেনা যা ভেতরে দেখা য়ায়,
৪) অমুসলিমদের পরিধানের সাথে মিল থাকতে পারবেনা,
৫) কাপরটা এমন উজ্বল হতে পারবেনা যা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষন করে,
৬) পুরুষের কাপড়ের সামঞ্জস্য হতে পারবেনা ,আপনার মাথা ঢাকতে হবে যাতে একটা চুলও দেখা না যায়। পেট ঢাকতে হবে যদি আপনি এসব অনুসরন করে শাড়ি পড়তে পারেন তাহলে কোন সমস্যা নেই।
 ৩৬.প্রশ্ন: কে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহকে ?
✔ জবাব:-
ভাই জাফর হাসপাতালে একটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন ,বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে?
এই ধরনের প্রশ্ন সাধারনত করে যারা ‘নাস্তিক বা খোদাবিশ্বাসী নয়, কেউ যদি সৃষ্টির মূল তত্ত্ব বা ফর্মূলা বলতে পারেন তিনিই সৃষ্টিকর্তা বর্তমান বিজ্ঞান দাবী করে অনেক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বা ফর্মূলা ১৪০০ বছর আগে কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে । অতএব সৃষ্টিকর্তাই সৃষ্টির মূল দাবীদার, সৃষ্টি কখনো সৃষ্টিকর্তা হতে পারেনা। আর সৃষ্টিকর্তা যদি সৃষ্টিই হন তাহলে সৃষ্টিকর্তার মৌলিক বিশেষন থাকেনা। প্রশ্নটির উত্তর এক কথায় দেয়া যায়-আমার ভাই জাফর হাসপাতালে একটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন ,বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে? এটা হাস্যকর এবং অসংগত প্রশ্ন ,সাধারনত পুরুষরা বাচ্চার জন্ম দেননা অনুরুপভাবে সৃষ্টিকর্তার কোন সৃষ্টি নেই। অতএব আল্লাহর প্রকৃত বিশ্লেষন হলো তিনি সৃষ্টি নন তাঁর কোন শুরু বা শেষ নেই।
আল্লাহ বলেন -
‘‘ আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়, আল্লাহ আত্ননির্ভর ,তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকে কেউ জন্ম দেয়নি । তাঁর মত আর কেউ নেই ’’ সুরা ইখলাস-১১২, আয়াত-১-৪
 ৩৭ .প্রশ্ন :-আল-কুরআন সংকলন করা হয়েছে তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান h এর আমলে তাহলে তা কিভাবে আল্লাহর আয়াত বলা যায়?
✔ জবাব:-
আয়াত বা সূরা নাযিলের পরপর সাহাবাদের মুখস্ত করতে ও লিখে রাখতে নির্দেশ দেয়া হত:-
এটা বলা ভুল যে হযরত ওসমান h কুরআন সংকলন করেছেন প্রকৃতপক্ষে রাসুল ()-এর জীবিতকালে কুরআন সংকলন ও সংরক্ষিত হয়েছিল। যখন কোন আয়াত রাসুল () এর প্রতি নাযিল হতো তিনি অনতিবিলম্বে তা মুখস্ত করে নিতেন এবং সাহাবাদের শোনাতেন এবং তাদেঁর মুখস্ত করতে ও লিখে রাখতে নির্দেশ দিতেন,এবং তিনি সাহাবাদের পড়িয়ে শোনাতে বলতেন শুদ্ধতা যাচাই করতেন অর্থাৎ সাহাবীদের স্মরন শক্তি পরীক্ষা করে দেখতেন । তিনি সাহাবাদের সুরার ধারাবাহিকতা বলে রাখতেন ,যেমন-প্রথম যে সুরা নাযিল হয়েছে সুরা ইকরা যা পবিত্র কুরআনে ৯৬নং সূরা যা তিনি জীবরঈল (আঃ) এর মাধ্যমে জানতে পেরেছেন । বর্তমানে যে পর্যায় ক্রমিক সূরায় কুরআন সংকলিত আছে তার অনুরূপ ‘লাওহে মাহফুজে’ লিপিবদ্ধ রয়েছে। প্রতি রমজানে রাসুল () জীবরাঈল (আঃ) দ্বারা পুনরাবৃত্তি করতেন । তাঁর মৃত্যুকালীন বছরে রমজানের সময় তিনি দুবার পুনরাবৃত্তি করছিলেন।
 কুরআন একত্রিকরন-
কুরআন সংরক্ষিত হয়েছিল বিভিন্ন আঙ্গিকে-গাছের বাকলে,চমড়ায় ,উটের সেডলে ,সমতল পাথরে,গাছের পাতায়। ১ম খলীফা আবু বকর h এর খিলাফত কালে ইয়ামামার যুদ্ধে বহু কুরআনে হাফেজ শহীদ হন। হযরত আবু বকর h ও ওমর h সাহাবীগনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে যয়িদ-বিন-সাবিদh-কে কুরআন সংকলনের জন্য দায়িত্ব প্রদান করেন। সব সাহাবীদের একসাথে করে যয়িদ-বিন-সাবিদ h সব কুরআনের আয়াতকে একসাথে করেন। এরপর তা দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর h এর তত্তাবধানে আসলে তাঁর হাত হতে হযরত হাফসা h এর নিকট পৌঁছায়।
 হযরত ওসমান h খিলাফতকাল-
তৃতীয় খলীফা হযরত ওসমান hএর সময় ইসলাম যখন প্রসার লাভ করছিল । বিভিন্ন স্থানের মধ্যে উচ্চারনগত সমস্যা দেখা দেয়ায় তিনি বিভিন্ন দেশের কুরআন হাফেজ এবং সংকলকদেরকে ডেকে পাঠান ও হযরত হাফসাh এর নিকট হতে সংরক্ষিত কুরআন লিখে রাখতে বলেন ও তা সম্প্রচার করতে বলেন আর বাকী কুরআন তিনি পুড়িয়ে ফেলতে নির্দেশ দেন, কারন সব সাহাবীদের পক্ষে সমস্ত কুরআনের আয়াত সংরক্ষিত ছিলনা কারো কাছে ছিল ৫০০ আয়াত বা তার কম বা বেশি। পূর্বের কুরআনে হুবহু তুর্কির ফাত্তাকি যাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে । আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন সূরা হিজর-১৫,আয়াত-৯-
‘‘আমরা কুরআন অবতীর্ন করেছি এবং আমরাই এর সংরক্ষনকারী।’’
 ৩৮ .প্রশ্ন :মুসলিমগন কেন দাড়ি রাখেন ও গোঁফ ছেটেঁ রাখেন?
✔ জবাব:-
‘‘ইবনে উমর বলেন-রাসুল () বলেছেন-অমুসলিমরা যা করে তার উল্টা করো, গোঁফ ছেটে নাও ও দাড়ি বড় কর।’’ সহিহ বুখারী-৭, হাদীস-৭৮০-৭৮১
মুসলিমের আনঅফিশিয়াল উপাধী-
এর পেছনে যুক্তি কি - যেমন একজন ছাত্র সে MBBS পাশ করার পরই তার নামের সাথে ডাক্তার উপাধী যুক্ত হয়, এবং কারে যুক্ত হল । নিজেকে ডাক্তার হিসেবে প্রকাশ করতে তার কোন দ্বিধা বা লজ্জাবোধ কাজ করেনা। একইভাবে দাড়ি মুসলিমের চিহ্ন। দাড়ি রাখতে মুসলিমগন গর্ববোধ করেন আর দুটি দৃশ্যমান নির্দশন হলো টুপি পড়া ও টাখনুর উপর কাপর রাখা। যদি কারো দাড়ি, মাথায় টুপি ও সুন্নতি পোষাক থাকে আপনি খুব সহজেই সনাক্ত করতে পারবেন সে মুসলিম। ধরুন আপনি বাসে ভ্রমন করছেন একজন ভদ্রমহিলা হতে পারে পর্দানশীন তিনিও ভ্রমন করছেন, তখন কেউ যদি ভদ্রমহিলাকে কটুক্তি বা বিরক্ত করতে যায় সে আপনাকে দেখে বিরত হবে যদি বাসে আপনার মত আরও ১০ জন থাকে সে অন্ততপক্ষে ১০ বার চিন্তা করবে ভদ্রমহিলাকে বিরক্ত করা সমচিন হবে কিনা। ঐ বাসে ১০ জন বৃদ্ধ হলেও। কারন সে জানে উত্যক্ত করলে সমস্যায় পড়বে। আল্লাহ বলেন -‘‘যারা আমার নিদর্শন বিস্বাস করে তাদের সালাম দিন।’’ সুরা আরাফ-৬, আয়াত-৫৪
 সালাম ও সহোযোগিতা-
একজন লোক সে বেশ কয়েকবার হজ্ব করেছেন তিনি এক বালক ফল বিক্রেতার নিকট ফল কিনতে আসলে জিজ্ঞেস করলেন-তুমি সারাম দিলানা কেন? বালকটি বললো আমি ভেবেছিলাম আপনি অমুসলিম। এবং সালাম দেয়া অপরিহার্য কর্তব্য প্রত্যেক মুসলিমের জন্য। যদি কারো দাড়ি, টুপি থাকে তবে তাকে খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায় এবং এটি মানুষকে সহায়তা করে বিভিন্নভাবে। যখন আপনি অপরিচিত অমুসলিমদের এলাকায় যাবেন (যা সাধারনত পাশ্চাত্য দেশে হয়ে থাকে) স্বভাবতই মসজিদ ও হালাল খাবারের তালাশ আপনাকে করতে হবে। আপনি তখন এমন লোককে খুঁজে বের করবেন যে কিনা মুসলিম।
 ৩৯.প্রশ্ন:-পুরুষদের জন্য বেহেশতে হুর রয়েছেন নারীদের জন্য কি আছে?
✔ জবাব:-
হুর’ শব্দটি কুরআনের ৪টি স্থানে উলেখ রয়েছে সুরা দুখান-৪৪, আয়াত-৫৪/ সুরা তুর-৫২, আয়াত-২০/ সুরা আর রহমান-৫৫, আয়াত-৭২/সুরা ওয়াকিয়া-৪৬, আয়াত-৪২। অনেক অনারবী অনুবাদকারীরা বিশেষ করে বাংলা ও উর্দূ অনুবাদকারীরা হুরকে অনুবাদ করেছেন
সুন্দরী রমনী’।
অনুবাদের তারতম্য ও সঠিক অর্থ-
হুর শব্দটি বহুবচন শব্দ ‘হাহওয়ার’ হতে উৎপত্তি যা মেয়েদের স্বভাবজাত সৌন্দর্য ‘সুন্দর বড় চক্ষু বিশিষ্ট’ বিশেষ করে চোখের সাদা অংশের জৌতিকে জোর দেয়া হয়েছে। বিখ্যাত নওমুসলিম কুরআন অনুবাদক অষ্ট্রিয়ার অধিবাসী-মুহাম্মদ আসাদ ও অনুবাদক আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী দুজনেই পৃথিবীর প্রধান সারির কুরআন অনুবাদক তারাঁ হুরকে সঠিকভাবে অনুবাদ করেছেন ‘সঙ্গী’ হিসেবে। হুরের কোন লিঙ্গভেদ নেই এটা পুরুষ ও নারী উভয় ক্ষেত্রে প্রযোয্য অথাৎ বেহেশতে নারীগন ‘সুন্দর বড় চক্ষু বিশিষ্ট’ পুরুষ ও পুরুষগন ‘সুন্দর বড় চক্ষু বিশিষ্টা’ নারী আল্লাহর তরফ হতে উপহার পাবেন।
 ৪০ .প্রশ্ন:-সব ইবাদতের জবাব আল্লাহ কেন দেননা?
✔ জবাব:-
এর জবাব পবিত্র কুরআনে আছে -
‘‘তামাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছমদসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছমদনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তূত: আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না।’’ সুরা বাকারা-২, আয়াত-২১৬
সামনে কি ঘটবে তা আমরা জানিনা, আল্লাহ জানেন-
ধরুন একজন ধার্মিক ব্যক্তি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলেন মোটর সাইকেলের জন্য কিন্তু তিনি তা পেলেননা। কারন আল্লাহ ভাল জানেন হয়তোবা যদি তিনি মোটর সাইকেল চালাতেন তবে তিনি দূর্ঘটনায় পতিত হতেন। যেমন পবিত্র কুরআনে উপরোক্ত আয়াতে বলা হয়েছে।
আরেকটা সুচিন্তিত উদাহরন-
একজন ব্যক্তি যিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে তারাহুরো করে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওণা করলেন কারন যদি তিনি লন্ডনে সঠিক সময়ে পৌঁছে ব্যবসায়ের চুক্তিটি সম্পাদন করতে পারেন তবে তারঁ কয়েক কোটি টাকা আয় হবে। কিন্তু যানজটের কারনে তিনি সময়মতো এয়ারর্পোটে পৌছাঁতে পারলেননা এবং বিমান চলে গেল। এবং তিনি অত্যন্ত দুঃখ করে বললেন এটা আমার জীবনের সবচাইতে খারাপ সময়। ঘরে ফিরে যাবার সময় তিনি কারের রেডিওতে লেটেষ্ট খবর শুনলেন যে বিমানে করে তারঁ লন্ডন যাবার কথা ছিল সেটি দূর্ঘটনায় পতিত হয়েছে ও সবাই মারা গেছে। এবং তিনি খুশির সাথে বললেন আজকের দিনটা সবচাইতে খুশির দিন।
কিছুক্ষন আগেই তিনি আক্ষেপ করছিলেন ট্রাফিক জ্যামের কারনে কোটি টাকা হাতছাড়া হয়ে গেল কিন্তু কিছু সময় তিনি ট্রাফিক জ্যামকেই ধন্যবাদ জানালেন ফ্লাইট মিস করানোর জন্য। এজন্য আল্লাহ বলেন- আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না। আপনার কোটি টাকা অর্জনের চাইতেও আল্লাহর কাছে আপনার জান বাচানোঁ যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে তাই তিনি আপনার ফ্লাইট মিস করিয়েছেন। এজন্য আপাতঃদৃষ্টিতে ভুল ধারনা করে মানুষ যে-আল্লাহ অনেকসময় প্রার্থনা কবুল করেননা। আল্লাহ বলেন সুরা শুআরা-৪২, আয়াত-২৭-
‘‘ যদি আল্লাহ্ তাঁর সকল বান্দাকে প্রচুর রিযিক দিতেন, তবে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তূ তিনি যে পরিমাণ ইচছা সে পরিমাণ নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বামদাদের খবর রাখেন ও সবকিছু দেখেন। ’’
 আল্লাহ আরো বলেন -
‘‘ আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তূত: আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। ’’ সুরা বাকারা-২, আয়াত-১৮৬
এবং -
‘‘ তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। ’’ সুরা মুমিন-৪০, আয়াত-৬০
আল্লাহ তার প্রার্থনা কবুল না করে তার প্রর্থনার জবাব দিয়েছেন
অনেকে মনে করেন তার প্রর্থনা কবুল হয়নি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তার প্রার্থনা কবুল না করে তার প্রর্থনার জবাব দিয়েছেন। কারন তিনি ভাল জানেন আপনার জন্য কোনটি ভাল বা মন্দ। অনেকে ভুল সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা করে কিন্তু তাদের সম্পদের অভাব নেই আল্লাহ জানেন তাদের সম্পদ তিনি দিয়েছেন আসলে তাদের তা উপকারের চাইতেও অপকার হবে বেশি মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে। একজন সত্যিকার বিস্বাসী সে ধনী বা গরীব হোক সে বলবে আলহামদুলিল্লাহ। কারন তার নিশানা থাকবে আখিরাতের দিকে।
 ৪১ .প্রশ্ন :-ইসলামে মায়ের অধিকার কি?
✔ জবাব:-
রাসুল () বলেন আহমেদ হাদিসে-
‘‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত ’’
যে ব্যক্তি মাকে খেদমত করবে,সেবা করবে কষ্ট দিবেনা তাহলে সে বেহেশতে যাবে -
‘‘একজন সাহাবি রাসুল ()কে জিজ্ঞেস করেন পুরো পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ আছে যে আমার মহাববতের সব চাইতে বেশি হকদার? আল্লাহর নবী বললেন তোমার মা,তারপর কে? তিনি বললেন- তোমার মা,তারপর কে? তিনি বললেন-তোমার মা। তারপর কে? তিনি বললেন তোমার বাবা’’। সহীহ বুখারি-৮:কিতাবুন আদব-২:হাদিস-২
অতএব ৭৫% হিস্যা মায়ের অধিকারে আসে,বাকি ২৫% বাবার দিকে। অর্থাৎ মায়ের জন্য সোনার পদক, সিলভার পদক এবং তামার পদকও মায়ের জন্য, বাবার জন্য শুধু শান্তনা পুরুষ্কার।
 ৪২ .প্রশ্ন-:-আল্লাহ যত নবী পৃথিবীতে প্রেরন করেছেন,তাদেঁর মধ্যে একজনও কেন মহিলা নেই? পুরুষকে কেন নবী হিসাবে পাঠানো হয়েছে?
✔ জবাব:-
দায়িত্বের সমবন্টন ও ন্যায়বিচার-
সাধারন মানুষের চাইতে নবীগনের বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় এবং তা সমাধান করতে হয়। উদাহরন দ্বারা বলা যায়-
✔ নবীকে নামাযে ইমামতি করতে হবে যদি মহিলা ইমাম হয় আর পুরুষরা পেছনে থাকে তাহলেই আল্লাহর দিকে মনযোগের চাইতে উক্ত মহিলার দিকে মনযোগ বেশি যাবে। বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞান সেটাই প্রমান করে।
✔ পয়গম্বরকে মানুষের সাথে মেলামেশা করতে হয়। হাত মেলাতে হয় যা শরীয়া অনুযায়ী নারী নবীর ক্ষেত্রে সম্ভব নয়, একজন পুরুষ নবী সহজে করতে পারে।
✔ নবীকে অনেক মানুষের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে যা নারী নবীর ক্ষেত্রে সম্ভব নয়,
✔ সরকার প্রধান যদি মহিলা হয় তাহলে বিভিন্ন সময় ব্যক্তিবর্গের সাথে রুদ্ধদ্বার ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনা করতে হয় যা ইসলামের আইনের খেলাফ,
✔ এছাড়া নারীগনকে বাচ্চা ১০ মাস ১০দিন গর্ভে ধারন করতে হয়। সংসার ছেলে-মেয়ে দেখাশুনা করতে হয় তার উপর যদি নবীর দায়িত্ব এলে তাহলে তা অবিচার হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন-
‘‘আমি ন্যায়বিচারক ও দয়ালু,
আল্লাহ নারীগনকে পবিত্র কুরআন অনেক সম্মান ও উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন। কুরআনে বলা হয়েছে বিবি মারিয়ম (আঃ) তিনি সমস্ত পৃথিবীর নারীশ্রেষ্ঠা, হযরত আয়েশা হযরত ফাতেমার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহতাআলা দায়িত্বের সমবন্টন করার ক্ষেত্রেই নারীগনকে নবী হিসেবে দুনিয়াতে পাঠাননি।
 ৪৩ .প্রশ্ন :-বিয়ের আগে প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে ইসলামের মতবাদ কি?
✔ জবাব:-
LBW-(Love before weeding) -
ইসলামে বিয়ের আগে অপরিচিত বা পরিচিত নর-নারীর প্রেম-ভালোবাসার কোন স্থান নেই। বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ে উভয় পক্ষকে দেখা সুন্নাত। হাদিস শরীফে বর্নিত-
এক সাহাবী রাসূল ()  কে বললেন আগামীকাল আমার বিয়ে, রাসূল () বললেন- তাকে দেখেছো সে বললো না তিনি বললেন- গিয়ে দেখে আসো।”
সুতারং এটা সুন্নাত দুপক্ষ বিয়ের আগে নিজেদেরা সাক্ষাৎ করতে পারে কিন্তু... শরীয়ত মোতাবেক, এক ঘন্টা ২ ঘন্টা কথা বলতে পারে কিন্তু সাথে অবশ্যই অভিভাবক থাকতে হবে। সাথে অভিভাবক থাকলে তো আর অনাকাঙ্খিত প্রশ্ন করতে পারবেনা। অনেকে বলে এনগেজমেন্ট করে বলে আমি তাকে নিয়ে সিনেমা দেখতে চাই পেছনের সিটে বসতে চাই এর কোন অনুমতি নেই যদি আপনি যদি শোনেন অমুক কলেজে বা পাড়ায় একটি মেয়ে বা ছেলে আছে অনেক পরহেজগার তাহলে খোঁজখবর নিয়ে অভিভাবকের মাধ্যমে সঠিকভাবে পয়গাম পৌঁছান -
রাসূল () বলেন-বিয়ে করার জন্য মানুষ চারটি জিনিস তালাশ করে-
১) সৌন্দর্য
২) সম্পদ
৩)বংশ এবং
৪)আমল (তাকওয়া) সবচাইতে যেটা খতিয়ে দেখা উচিৎ তা হলো আমল, কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষেই সৌন্দর্য ও সম্পদের তালাশ করে।”
 অনেকেই বলে আমি মেয়েকে অমুক Pose- এ দেখতে চাই সেটা সম্ভব না হিযাবের মধ্যে থেকে ব্যপারটা সম্পন্ন করতে হবে এবং অভিভাবক সাথে থাকতে হবে, ১বার ২বার যতবার কথা বলেন-নিজেরা আলোচনা করেন কি করতে চান ভবিষ্যতের পরিকল্পনা বিয়ের আগে আলোচনা করতে পাড়েন কোন সমস্যা নেই, একান্তভাবে অভিভাবক ছাড়া কথা বলতে পারবেনা।
 ৪৪ .প্রশ্ন : কি গুনাগুন থাকলে একজনকে সৃষ্টিকর্তা বলে অবিহিত করা যায়?
✔ জবাব:-
নাজরান শহরের খ্রীষ্টান পাদ্রীদের জিজ্ঞাসা-
একদল অমুসলিম (সিরিয়ার, নাজরান শহরের খ্রীষ্টান পাদ্রীদের একটা প্রতিনিধি দল) যখন (রাসুল) () এর নিকট প্রশ্ন করলেন সৃষ্টিকর্তা কেমন তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন কুরআনের -
‘‘আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়,আল্লাহ আত্ননির্ভর ,তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকে কেউ জন্ম দেয়নি । তাঁর মত আর কেউ নেই ’’ সুরা ইখলাস -১১২, আয়াত-১-৪
 সৃষ্টিকর্তা নিরূপনের জন্য পরশপাথর-
-এই চারটি মৌলিক সুত্র যাকে বলা যায় সৃষ্টিকর্তা নিরূপনের জন্য পরশপাথর। এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার মৌলিকত্ব সহজেই অনুধাবন করা সম্ভব। যদি কেউ বলে মোহাম্মদ() সৃষ্টিকর্তা, তিনি কি মাত্র একজন? না কখনোই নয় পৃথিবীতে তার মত মানুষ লক্ষ লক্ষ রয়েছে । তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা সন্তানের জন্ম দেননি। প্রতিটি মুসলিম মোহাম্মদ () কে সম্মান করে । নিজের চাইতে বেশি ভালবাসে কিন্তু তিনি সৃষ্টিকর্তা নন। সেটা রাম হোক গনেশ, যিশু, বৌদ্ধ যেই হোকনা কেন এই পরশপাথরের সাহায্যে প্রমান করা যাবে তাঁরা সৃষ্টিকর্তা ছিলেন কিনা ,যদি তারা পরশপাথরের পরিক্ষায় উত্তীর্ন হন তারা অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা যদি না হন তাহলে তাঁরা মানুষ সৃষ্টিকর্তা নন কিছুতেই।
 
৪৫ .প্রশ্ন : ইসলামী পোষাক সামাজিক ও নৈতিক মুল্যবোধ তৈরীতে কতটুকু প্রাধান্য লাভ করে?
✔ জবাব:-
ইসলামি পোষাক মানুষকে একটি নিদর্শন প্রদান করে যে উক্ত ব্যক্তি বা মহিলা মুসলিম। অনেকে ইসলামী পোষাক পড়ে অসৎ এবং শরীয়ত বিরোধী কর্মে লিপ্ত আছে তবে তাদের সংখ্যা নগন্য। যেমন-
✔ একজন যুবক যে ইসলামী পোষাক পড়ে সে মেয়েদের উক্তক্ত্য করতে গেলে বেশ কয়েকবার প্রশ্নের সম্মুখীন হবে যে তার মুখে দাড়ি মাথায় টুপি মুন্নতি পোষাক পরিধানে অতএব মনের দিকদিয়ে সে কমবেশি বাধাগ্রস্ত হবে অন্ততপক্ষে সে নিজের এলাকায় না করে অন্যের এলাকায় মেয়েদের উক্তক্ত্য করতে পারে কারন সম্মান, ইজ্জতের প্রশ্ন নিজের এলাকায় লোকজন তাকে চিনবে অন্য এলাকায় চিনবেনা।
✔ যদি আপনি যুক্তিবাদী সঠিক মুসলিম হন টুপি পড়ার পরপরই আপনি সচেতন হয়ে উঠবেন। ওহ! আমার মাথায় টুপি আমি কি করে সিনেমা দেখতে যাব,
✔ মেয়েদের বিব্রত করতে গেলে আপনি ভাববেন ওহ! আমার মুখে দাড়ি এটা আমি কিভাবে করবো
✔ যদি আপনি এমনটি সৎ ইসলামী শরীয়ার সৃজনশীল চিন্তাবিদ হন তবে আপনার সামাজিক ও নৈতিকতার সৌন্দর্য ও মুল্যবোধ অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
 ৪৬ .প্রশ্ন :শার্ট ও প্যান্ট পরা ইসলামিক না শরীয়ত বিরোধী?
✔ জবাব:-
ধর্মীয় প্রমান নেই যে শার্ট ও প্যান্ট ইহুদী এবং খ্রীষ্টানদের ধর্মীয় নিদর্শন-
কোন বিশ্বাস যোগ্য ধর্মীয় প্রমান নেই যে শার্ট ও প্যান্ট ইহুদী এবং খ্রীষ্টানদের ধর্মীয় নিদর্শন। অনেকে বলে টাই খ্রীষ্টানের চিহ্ন এসব অমুলক এবং অযৌক্তিক চিন্তা, কিছু মুসলিম আছেন যারা সম্পূর্ন পাশ্চাত্য বিরোধী তাঁরা বলেন তাদের সংস্কৃতিই মুসলিমদের জন্য হারাম। এটা যৌক্তিক ভাবনা নয়। ইসলামী শরীয়ার ৬টি নিয়ম আছে পোষাক সমন্ধে যতক্ষন না আপনি শরীয়ার বিরুদ্ধে কোন পোষাক পড়ছেন আপনি তা পড়তে পারেন।
সহিহ হাদিস-
তবুও অনেকে একমত হননা, আপনি যদি সহিহ বুখারী পড়েন-
‘‘ এহরাম (হজ্জ্ব ) অবস্থায় মাহরম শার্ট বা প্যান্ট পড়তে পারবেনা’’ ৬নং ভলিউম, অধ্যায় -৮, হদীস-৬৮৬

সুবিধাবাদীরা এহরাম শব্দটা সরিয়ে দিয়ে শার্ট ও প্যান্ট হারাম বলে অবিহিত করেন, এটা সঠিক নয় -
‘‘ রাসূল () কবরকে নিজ শার্ট দ্বারা ঢেকে দিলেন।’’ সহিহ বুখারী -৭নং ভলিউম, অধ্যায় -৮ , হাদীস-৬৮৭

আপনি কি জানেন শার্ট পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে তা অনেকেই জানেননা-
‘‘ আমার এই শার্টটি নিয়ে যাও এবং এটি আমার বাবার সামনে রেখো তিনি দৃষ্টি ফিরে পাবেন।’’ সুরা ইউসুফ -১২, আয়াত-৯৩
 
হাস্যকর ভাবে অনেক মুসলিম বলেন শার্ট হারাম এটা ভুল-
‘‘ যদি ইদার না পাও প্যান্ট পড়ো ,’’ সহীহ বুখারী এ অধ্যায়-১৪, হাদীস-৬৯৫

পরবর্তী হাদীসে বলা হয়েছে-
‘‘ ইহরামরত অবস্থায় তুমি শার্ট ও প্যান্ট পড়বেনা।’’
হাদীস ও কুরআন শার্ট ও প্যান্ট পড়তে অনুমতি দিয়েছে। পার্থক্য শুধু শব্দের।
 ৪৭ .প্রশ্ন :-যদি আল্লাহর ইচ্ছাই সব হয়ে থাকে তাহলে নিজের ইচ্ছা বলতে কি কিছুই নেই?
✔ জবাব:-
আল্লাহ বলেন-
একটি পাতাও পরেনা আল্লাহর ইচ্ছে ছাড়া। সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে, ”
আমৃত্যু স্বাধীন ইচ্ছা,একটা পরীক্ষা-
তবে প্রত্যেকেরই নিজস্ব ইচ্ছা আছে উদাহরন দ্বারা বলা যায়, ধরুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে আপনার বাড়ি তথা প্রত্যেক এলাকার বিদ্যুৎ আসে। যদি কেউ নিজের আঙ্গুল কারেন্টের লাইনে রাখে সে ধাক্কা খাবে। এটা তার দোষ, আল্লাহ তার ইচ্ছেকে স্বাধীন করে দিয়েছেন সে ইচ্ছে করলে বিদ্যুৎ হাত দেবে আর ইচ্ছা না করলে দেবেনা। কিন্তু তার জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে দায়ী করা যাবেনা সুতরাং দোষটা পড়ে পুরুপুরি মানুষের- কেন সে বিদ্যুতে হাত দিলো? আল্লাহ তার ইচ্ছেকে স্বাধীন করে দিয়েছেন কারন প্রত্যেকের স্বাধীন ইচ্ছা এক একটা পরীক্ষা।
জীবন পদ্দতির সঠিক নিয়ম-কানুন-
আল্লাহ পবিত্র কুরআন ও রাসূল (صلى الله عليه و سلم) জীবনাদর্শে প্রকাশ করেছেন। সে যদি অনুসরন করে যত বছরই সে বাচুঁক ২০ বছর ৫০ বছর ১০০ বছর তার জীবন পদ্দতির ও স্বাধীন ইচ্ছার উপর ভিত্তি করেই বিচারের ফলাফল আল্লাহ প্রকাশ করবেন। আর যে যদি সেভাবে অনুসরন না করে সে অকৃতকার্য, আল্লাহ বলেন সুরা মুলক-৬৭: আয়াত-২-
‘‘ যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদের যাচাই করতে যে তোমাদের মধ্যে কে কাজেকর্মে শ্রেষ্ঠ।’
আল্লাহ বলেন সুরা আনকাবুত ২৯: ২-৭
( ২ ) মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না?
( ৩ ) আমি তাদেরকেও পরীক্ষা করেছি, যারা তাদের পূর্বে ছিল। আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন যারা সত্যবাদী এবং নিশ্চয়ই জেনে নেবেন মিথ্যুকদেরকে।
( ৪ ) যারা মন্দ কাজ করে, তারা কি মনে করে যে, তারা আমার হাত থেকে বেঁচে যাবে? তাদের ফয়সালা খুবই মন্দ।
( ৫ ) যে আল্লাহর সাক্ষাত কামনা করে, আল্লাহর সেই নির্ধারিত কাল অবশ্যই আসবে। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
( ৬ ) যে কষ্ট স্বীকার করে, সে তো নিজের জন্যেই কষ্ট স্বীকার করে। আল্লাহ বিশ্ববাসী থেকে বে-পরওয়া।
( ৭ ) আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদের মন্দ কাজ গুলো মিটিয়ে দেব এবং তাদেরকে কর্মের উৎকৃষ্টতর প্রতিদান দেব।
 ৪৮ .প্রশ্ন : ভ্রাতৃঃ ও সৌহার্দ্যে ইসলামের মতবাদ কি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এবং ব্যক্তিবিশেষে?
✔ জবাব:-
মানুষের মান- সম্মানের মাপকাঠি আল্লাহর কাছে-
আল্লাহর কাছে মানুষের মানুষের মর্যাদা হলো তার কর্মে ও চিন্তায় । মানুষের ধন, দারিদ্রতা, গায়ের রং, জাতি, শিক্ষা, সমৃদ্ধতার উপর আল্লাহ মানুষের সম্মান বিচার করেননা, তিনি তার ধার্মীকতা এবং সত্যবাদিতার উপর বিচার করেন। মুসলিমগন আর্ন্তজাতিক ভ্রাতৃত্ব ও সুসম্পর্ক প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ বার করে প্রমান করে যখন স্বলাতের জন্য দাড়ায় কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে । মুহাম্মদ () বলেন-
‘‘যখন তোমরা স্বলাতে দাঁড়াবে কাধেঁ কাধঁ ও পায়ের সাথে পা মিলিয়ে মিলিয়ে দাড়াঁবে। যার ফলে শয়তান তোমাদের মাঝে অবস্থান করতে না পারে।’’ বুখারী শরীফ-১,খন্ড-৭৫,হাদীস-৬৯২
উক্ত হাদীসে কি দু শিংওয়ালা শয়তানের কথা বলা হয়েছে?-
নবী () দু শিংওয়ালা শয়তানের কথা বলেননি তিনি ধনী দরিদ্রের, বর্ন, গোত্রের শয়তানির কথা উল্লেখ করেছেন, কাধেঁ কাধঁ ও পায়ের সাথে পা মিলিয়ে মিলিয়ে একসাথে সারিবদ্ধ ভাবে স্বলাতে দাড়ালে ধনী বা দরিদ্রতার দুষ্ট শয়তানি চিন্তা তার মধ্যে আসবেনা। ব্যবহারিক ভাবে ইসলাম প্রমান করে
আন্তর্জাতিক সৌহার্দ হজ্জের সময়-
শুধু কাগজে কলমে নয় ব্যবহারিক ভাবে ইসলাম প্রমান করে আন্তর্জাতিক সৌহার্দ হজ্জের সময় যখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে মানুষ হজ্জ্ব করতে আসে কমপক্ষে ৩০ লক্ষ লোক একসাথে বাংলাদেশ, চীন, পাকিস্তান, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশ হতে। মাত্র দুখন্ড সেলাই বিহিন কাপড় সাথে নিয়ে ধনী, দরিদ্র একত্রে হজ্ব করেন এবং সরবে উচ্চারন করেন -এক আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ তোমার বান্দা হাজির। সে সময় কে কোটিপতি বা রাস্তার ভিখারী বোঝার কোন পথ থাকেনা। কাধেঁর সাথে কাধঁ মিলিয়ে প্রায় প্রতি বছর ১৫-২০ লক্ষ হাজী এভাবে সৌহার্দ্যর ও ভাতৃত্বের অপূর্ব প্রমান উপস্থাপন করেন। ইসলাম তাই আন্তজার্তিক ভাতৃত্বের একটি প্র্যাকটিকেল উদাহরন যা অন্য ধর্মে পাওয়া যায়না।
মনুষত্ব ও মানবিকতা-
কোন কারন ব্যতীত কারো ক্ষতি বা মানব হত্যা ইসলাম ধর্মে পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কুরআনে বলা হয়েছে -
‘‘ যে কেউ হত্যা করে একজন মানুষকে আরেকজন ব্যতীত অথবা দেশে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে, সে যেন মানবজাতিকে সর্বসাকল্যে হত্য করলো। আর যে কেউ তাকে বাচিঁয়ে রাখে সে যেন সমস্ত মানবজাতিকে বাচাঁলো।’’ সুরা মায়েদা-৫:আয়াত-৩২
 ৪৯ .প্রশ্ন :-ওসামা-বিন লাদেন কি আমেরিকার সন্ত্রাসবাদের জন্য দায়ী?
✔ জবাব:-
প্রচারকেন্দ্রে নিয়ন্ত্রন করছে খ্রীষ্টানরাই-
অমুসলিমগনের মধ্যে এটি বদ্ধমুল ধারনা হযে গেছে লাদেন আমেরিকার সন্ত্রাসবাদের জন্য দায়ী অমুসলিগনই এর অনেক মুসলিমগনেই ধারনা একই। যখন আপনি জিজ্ঞেস করবেন এই তথ্য আপনি কোথেকে পেলেন সে বলবে-B.B.C অথবা CNN আর প্রচারকেন্দ্রে নিয়ন্ত্রন করছে খ্রীষ্টানরাই। আমি লাদেনের পক্ষ বা বিপক্ষে কথা বলছিনা।
তথ্যের সত্যতা পরীক্ষা-
যখন আমরা কোন তথ্য পাবো আমাদের উচিৎ হবে তার প্রমান খতিয়ে দেখা। আল্লাহ বলেন -
‘‘ মুমিনগণ! যদি কোন ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশত: তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও। ’’ সুরা হুজুরাত-৪৯, আয়াত-৬
আমেরিকার আইন অনুষদের ওয়েবসাইটে লাদেন প্রাথমিক সন্ত্রাসী-
এখনও প্রচারকেন্দ্রে লাদেনকে সন্দেহজনক প্রাথমিক সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করছে। আপনি যদি আমেরিকার আইন অনুষদের ওয়েবসাইটে দেখন তাহলে লক্ষ্য করবেন তারা ৪৩টি সন্ত্রাসী সংগঠনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যার মধ্যে ৬%ই মুসলিম আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় সবচাইতে জনপ্রিয় ইসলামী জঙ্গী সংগঠন কোনটি। উত্তর হবে- আল কায়েদা আমেরিকার আইন পরিসংখ্যান অনুসারী ‘উলফা’ ৭৪৯টি সাফাল্যজনক হামলা চালিয়েছে আর আল কায়েদা শুধু-২৮টি এমনকি এখনো পর্যন্ত একটিও প্রমানিত হয়নি যে এসব মুসলিম দ্বারা সংগঠিত হয়েছে।
নও-মুসলিমা ইউভুন রেডলী-
লন্ডনের বিখ্যাত সাংবাদিক ইউভুন রেডলী আফগানিস্থানের হতে আসার পর তাকেঁ আল কায়েদা সম্বন্ধে প্রাশ্ন করা হলে তিনি বলেন আল কায়েদার অস্তিত্ব বলতে আমি সন্দেহ করি কিছুই নেই। মাত্র একজন প্রাথমিক সন্দেহের করলে একটি দেশের উপর আমেরিক আক্রমন করতে পারেনা। কোন প্রমান সুতরাং কোন তথ্য এলে আমাদের উচিৎ হবে খবরটা কোথেকে এলো কেন ও কি কারনে এলো তার পেছনে উদ্দেশ্য কি যাচাই করে দেখা।
 ৫০ .প্রশ্ন:-মুসলিমগন কুরআনের আয়াত রহিতকরন বিস্বাস করেন তার মানে- সুষ্টিকর্তা ভুল করেছেন ও পরবর্তীতে সংশোধন করেছেন?
✔ জবাব:-
আল্লাহ বলেন -
‘‘আমি কোন আয়াত বা প্রকাশ রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি।’’ সুরা বাকারা-২, আয়াত-১০৬
আয়াতের অর্থ নিদর্শন এবং প্রকাশ। এই আয়াত দুভাবে বিশ্লেষন করা যায়-
১) প্রকাশ রহিত করা মানে পূর্ববর্তী যেসব কিতাব এসেছিল যেমন তাওরাত, যবুর ,ইঞ্জিল ইত্যাদিও চাইতেও তিনি উত্তম প্রকাশ অবর্তীন করি।
২) একে কুরানের আয়াত হিসাবে নিলে বোঝা যায় কোন আয়াত আল্লাহ রহিত করে এর পরিবর্তে তদপেক্ষা উত্তম আয়াত অবর্তীন করেন। দুটোই সঠিক।
দ্বিতীয় বিশ্লেষনকে অনেক অমুসলিমগন ভুল বোঝেন-
অনেকে মনে করেন অন্য আয়াতের সাথে এই আয়াতের গরমিল আছে। আল্লাহপাক বলেন কুরআনে -
"তারা কি বলে? কোরআন তুমি তৈরী করেছ? তুমি বল, তবে তোমরাও অনুরূপ দশটি সূরা তৈরী করে নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া যাকে পার ডেকে নাও, যদি তোমাদের কথা সত্য হয়ে থাকে।" সুরা হুদ আয়াত-১৩
তারা এ দশ আয়াত রচনা করতে অপরাগতা প্রকাশ করলো। তারপর তিনি বলেন যদি তোমাদের ক্ষমতা থাকে তবে একটি-
মানুষ কি বলে যে, এটি বানিয়ে এনেছ? বলে দাও, তোমরা নিয়ে এসো একটিই সূরা, আর ডেকে নাও, যাদেরকে নিতে সক্ষম হও আল্লাহ ব্যতীত, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক।”
এরপর তিনি ফাইনাল চ্যালেঞ্জ দেন এরমতো কাছাকাছি (মিমমিছলিহি) একটি সুরা নিয়ে এস-
এতদসম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, তাহলে এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এস। তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকে সঙ্গে নাও-এক আল্লাহকে ছাড়া, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো।”
তারমানে এটার মধ্যে মতদৈততা নেই-
মতদৈততা হলো দুটো ব্যাপার যেখানে একসাথে ঘটা সম্ভব নয়। যেমন আমি বললাম সে ক্লাস ১০ পাশ করতে পারবেনা এরপর আমি বললাম তুমি এমনকি ৫ম শ্রেনী পাশ করতে পারবেনা এরপর আমি বললাম তোমার ব্রেন এত খারাপ তুমি কেজি পাশ করতে পারবেনা। আমার উপরোক্ত বর্ননা চারটাই সত্যি ও কোন ভিন্নমত নেই। মদের ব্যপারেও তিন স্তরে নিষিদ্ধতা এসেছে। একই সাথে নিষেধ হয়নি। যেমন আমি বললাম আমি বরিশালে থাকিনা এরপর বললাম আমি ঢাকায় থাকিনা এরপর বললাম জামালপুর থাকিনা আমার এই তিন বক্তব্য কোন মতদৈততা নেই উপরন্তু তথ্যবহুল।
 ৫১.প্রশ্ন ::-যদি আল্লাহ কাফেরদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেন তবে তাদের কেন দোষী সাবস্ত্য করা হয়?
✔ জবাব:-
আল্লাহ বলেন -
‘‘আল্লাহ্ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।’’ সুরা বাকারা-২, আয়াত-৭
অভিজ্ঞ শিক্ষক ও ভবিষ্যৎবানী-
আল্লাহ কাফেরদের হটকারিতার জন্য এই উক্তি করেছেন। তাদের কর্মের জন্য এমন দশা হয়েছে। তারমানে এই নয় যে তাদের কর্মফলের জন্য আল্লাহ দোষী। অপরাধী তারা নিজেই উদাহরন স্বরুপ একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক ভবিষ্যৎবানী করলেন কিছু ছাত্র ফেল করবে যেহেতু তারা সঠিক মতো লেখাপড়া ও রুটিন অনুসরন করেনি। যদি ছাত্রগুলো ফেল করে আপনি কাকে দোষ দেবেন ছাত্রকে নাকি শিক্ষককে? দোষ ছাত্ররই একইভাবে আল্লাহ তাদের অন্তরে সিল মেরে দিয়েছেন কারন তারা ছিল অবাধ্য এই অবাধ্যতার দরুন তারা বিপথে চলে গেছে।
 
৫২ .প্রশ্ন ::- কুরআন অন্যান্য কিতাবের আগে মানবজাতির জন্য পাঠানো হয়নি কেন পরে পাঠানো হয়েছে?
✔ জবাব:-
আপনার এই উত্তর হলো কেন আপনাকে সরাসরি ডাক্তারি পাড়ানো হলো না কেন ক্লাস১,,৩-তে আগে পড়ানো হল? আপনাকে ধীরে ধীরে এগুতে হবে অন্যান্য কিতাব এসেছে নিদিষ্ট কওমের জন্য। এজন্য আগের কিতাবগুলো সংরক্ষন করা হয়নি কিন্তু কুরআন এসেছে সমগ্র মানবজাতির জন্য এবং আল্লাহ এর প্রতিটি হরফ সংরক্ষন রেখেছেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ কখন মানুষের জন্য অমর বানী পাঠাতে হবে। শিক্ষকরা বুঝতে পারেন ছাত্রকে কি লেবেলে পড়ানো উচিৎ একইভাবে মানূষ যখন কুরআন বুঝতে সমর্থ হলো তখন তিনি তা অবতীর্ন করলেন সর্বশেষ কিতাব ও নবী মোহাম্মদ ()-এর নিকট যা পৃথিবীর অন্তিম সময় পর্যন্ত টিকে থাকবে। কুরআন আল্লাহর বানী যা ১৪০০ বছর আগে প্রমানিত হয়েছে এবং এখনও প্রমানিত হয়েছে ও ভবিষ্যতেও প্রমানিত হবে ইনশাআল্লাহ।
 ৫৩ .প্রশ্ন:- অমুসলিমদের কেন সৌদি-আরবে ধর্ম প্রচার করতে দেয়া হয়না এবং ধর্মীয় উপাসনালয় তৈরীর অনুমতি দেয়া হয়না?
✔ জবাব:-
ধরুন আপনি যেকোন একটা স্কুলের অধ্যক্ষ। আপনি অঙ্কের শিক্ষকের জন্য সাক্ষাতকার নিচ্ছেন আপনি ১ম শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলেন ১+১=? হয়। তিনি বললেন ২ অপরজনকে জিজ্ঞেস করলেন বললেন ৩ অন্যজন বললেন ৪। তবে আমি আপনাকে প্রশ্ন করি আপনি কি উক্ত শিক্ষকদের মনোনিত করবেন যিনি বলেছেন ৩ বা ৪? আপনি বলবেন না রাখবনা কারন তাদের অঙ্কেও ব্যপারে সঠিক ইলম নেই। একই ভাবে যেখানে দ্বীনের প্রশ্ন আমরা মুসলিমরা জানি ইসলামই সত্য। এজন্য অন্যধর্মকে প্রচারের অনুমতি সৌদি আরব দেয় না এক্ষেত্রে যেখানে ধর্মই ভুল সেখানে সেটার উপাসনালয় বানানোর কোন প্রশ্নই আসেনা। ঈসা (আঃ)-এর নিকট পানাহ চাওয়া অথবা ভূত-প্রেতের প্রার্থনা করা সঠিক নয়। এটা শুধু সৌদি-আরবেই অন্য কোন মুসলিম সংখ্যাধিক দেশে এই নিয়ম নেই, যে কেউ ঘরে ইচ্ছামতো ইবাদত করতে পারে কিন্তু উপসনালয় বা ধর্মপ্রচার নয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ওয়েষ্টানাররা অগ্রগামি তাই সৌদি-আরব তাদের আমন্ত্রন জানায় এদেশে তার বিস্তার করার জন্য কিন্তু ধর্মের ক্ষেত্রে তারা অগ্রগন্য তাই অন্যধর্মের প্রচার ও প্রসারের প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব তারা দেননা।
 ৫৪.প্রশ্ন :-আল্লাহকে প্রশংসা করা কি প্রয়োজন? না করলে তিনি কেন আমাদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন তবে তিনি কি করে রহিম হলেন?
✔ জবাব:-
আল্লাহ অল-রেডিই মহান-
ধরুন কেউ বললো আল্লাহু আকবার বা আল্লাহ মহান তার মানে এই নয় আল্লাহ তার প্রশংসার কারনে আরো মহান হয়ে গেলেন আল্লাহ অলরেডিই মহান যতই তাকে প্রশংসা করা হোক বা না হোক তিনি মহামহিম আছেন ছিলেন ও থাকবেন। আপনি তারঁ সমুদয় লাভের জন্য প্রশংসা করছেন না। আল্লাহ বলেন -
‘‘হে মানুষ, তোমরা আল্লাহ্র গলগ্রহ। আর আল্লাহ্; তিনি অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।’’ সুরা ফাতির-৩৫, আয়াত-১৫
তারঁ প্রশংসা করা প্রয়োজন আমাদের লাভের জন্য-
আল্লাহ সমস্ত চাওয়া-পাওয়া থেকে মুক্ত। তারঁ প্রশংসা করা প্রয়োজন আমাদের লাভের জন্য। আপনি এমন কারো সম্মান করবেন যে সর্বজ্ঞ, অত্যন্ত সুক্ষদর্শী ও সব কিছু যার আয়ত্বাধীন, তারঁ প্রশংসা করে আপনি নিজেকে সন্তুষ্ট করবেন। এজন্যই প্রত্যেক মুসলিম প্রতি নামাযের শুরুই করে তাকে মর্যাদাসূচক উক্তি করে।
আপনি আল্লাহর প্রশংসা যতই করেন তা শেষ হবার নয়-
মুসলিমগন তার প্রশংসা করে নিজেকে পরিতুষ্ট করেন যে তিনিই একমাত্র সাহায্যকারী ও পরিত্রানকারী। ধরুন আপনি হার্টের রোগি, আপনার অসুস্থতার উপশমের জন্য আপনি কি রাস্তার যে কারো থেকে উপদেশ নিবেন নাকি যে হার্টের উপর খুব বিখ্যাত স্পেশালিষ্ট তার কাছ থেকে নিবেন আপাত দৃষ্টিতে তার কাছ থেকেই উপদেশ নিবেন যিনি এ ব্যপারে অভিজ্ঞ। অতএব আল্লাহর প্রশংসা আমাদের নিজেদের উপকার ও র্স্বাথের জন্য। আপনি যতই আল্লাহর প্রশংসা করেন তা শেষ হবার নয় কারন আল্লাহ বলেন-
‘‘হে মুহাম্মাদ! বলো, যদি আমার রবের কথা লেখার জন্য সমুদ্র কালিতে পরিণত হয় তাহলে সেই সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমার রবের কথা শেষ হবে না৷ বরং যদি এ পরিমাণ কালি আবারও আনি তাহলে তাও যথেষ্ট হবে না৷ ’’ সুরা কাহাফ-১৮, আয়াত-১০৯
আরও বলা হয়েছে -
‘‘পৃথিবীতে যত গাছ আছে তা সবই যদি কলম হয়ে যায় এবং সমুদ্র (দোয়াত হয়ে যায়) , তাকে আরো সাতটি সমুদ্র কালি সরবরাহ করে তবুও আল্লাহর কথা (লেখা) শেষ হবে না৷ অবশ্যই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী ও জ্ঞানী৷ সুরা লুকমান-৩১, আয়াত-২৭
আল্লাহ আপনার ইবাদতের মুখাপেক্ষী নন। আপনি যতই প্রশংসা করেন তা শেষ হবেনা। এবং তা করবেন আপনার জন্য।
 ৫৫ .প্রশ্ন:-কুরআন আরবীতে কেন নাযিল হয়েছে?
✔ জবাব:-
পবিত্র কুরআন যদিও এটা সমগ্র মানবজাতির জন্য এবং তা প্রকাশ হয়েছে আরবী ভাষায় কারন-
এটা আরবে নাযিল হয়েছে-
আরবের ভাষা আরবী, অতএব নাযিলকৃত বানীও হওয়া উচিৎ সে দেশের ভাষায়। এটা অন্য ভাষায় নাযিলের যুক্তিকতা নেই। একইভাবে তাওরাত, যবুর, ইঞ্জীল হিব্রু ভাষায় নাযিল হয়েছে কারন সেস্থানের ভাষা ছিল হিব্রু।
নবীর মাতৃভাষা-
২য় পয়েন্ট হলো যেহেতু এটি মোহাম্মদ () বা সর্বশেষ নবীর নিকট অবর্তীন হয়েছে সেভাষা অবশ্যই তাঁর মাতৃভাষায় হওয়া উচিৎ। যদি এটা বিদেশী ভাষায় অবতীর্ন হতো যে ভাষা নবীর জানা নেই তবে তারা যারা এই ভাষা নবীর চাইতেও বেশি জানতো তারা দাবী করতো আপনি যা বলছেন তা আপনার ভাষা নয় আমাদের ভাষা আপনার চাইতোমরা ভাল বুঝি। সুতরাং সাধারন দৃষ্টিতে এমন ভাষায় নাযিল হওয়া উচিৎ যেটা তারঁ মাতৃভাষা।
জীবন্ত ও ব্যবহ্রত ভাষা-
পাশাপাশি আরবী একটি চর্চিত ভাষা যে ভাষা মানুষ এখনও ব্যবহার করে। ১০০ কোটিরও বেশি লোক এই ভাষায় কথা বলে অন্য পক্ষে হিব্রু, সংস্কৃত ইত্যাদি মৃত ভাষা বর্তমানে কেউ এর ব্যবহার করেনা কিছু লোক ব্যতিত। কেউ যদি কুরআন পরিবর্তন করতে চায় তা হবে অসম্ভব কারন এটি জীবন্ত ভাষা, অন্য ধর্মের ভাষা বর্তমানে অব্যবহৃত।
কুরআন একটি টেলিগ্রাফিক বার্তা-
আরবী ভাষা অত্যন্ত সমৃদ্ধ প্রতিটি শব্দের নিগুঢ় বিশ্লেষন আছে ও এর বিভিন্ন অর্থ বিদ্যমান। আরবী ভাষায় কুরআন হলো একটি টেলিগ্রাফিক বার্তা। সংক্ষিপ্ত আকারে এর বিশ্লেষন দাড়ায়ঁ অনেক বড়। আপনি হাজারবারও কুরআন পড়লে ক্লান্ত হবেনা কারন এর অর্থ ব্যপক আপনি তা উপভোগ করবেন। এছাড়াও আরবীতে খুব সংক্ষিপ্ত শব্দ দিয়ে যেকোন কিছু বোঝানো যায় অন্য ভাষার চাইতেও তা লিখা এবং বলার ক্ষেত্রেও। যেমন একজন সার্জন যদি স্পেনের ভাষা না জানেন তবে সে উক্ত ভাষার অনুবাদ পড়ে সে বই থেকে জ্ঞান আহরন করবেন একইভাবে কুরআন সমগ্রজাতির জন্য যেহেতু নাযিল হয়ে যে কেউ আরবী শিখে করআন পড়তে পারে বা এর অনুবাদ পড়তে পারে।


Post a Comment

0 Comments