ইলম ও দাওয়াত
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞান পেতে runing update)< -https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন). Main Websaite- esoislamerpothe.in , comming soon my best world websaite
ইলম ও দাওয়াতবিষয়ক প্রবন্ধ_❓
❓প্রশ্নঃ মহিলারা নিজেদের মধ্যে তা‘লীম করতে পারে কী?
ANSWER
🎤 মহিলারা নিজেদের মধ্যে তা‘লীম করতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন কোন কওম কোন গৃহে বসে, অতঃপর কুরআন তেলাওয়াত করে এবং তা পর্যালোচনা করে, সেখানে তাদের উপর আল্লাহর পক্ষ হ’তে প্রশান্তি নাযিল হয় ও ফেরেশতারা তাদেরকে ঘিরে রাখে... (মুসলিম হা/২৬৯৯; মিশকাত হা/২০৪)। যেমন তা‘লীমী বৈঠক, ওয়ায মাহফিল, প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে অন্য যেকোন দ্বীন শিক্ষার মজলিস ইত্যাদি। আর ইসলামী বিধান পালনের ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের সমগোত্রীয় (আবুদাউদ হা/২৩৬; মিশকাত হা/৪৪১; ছহীহাহ হা/২৮৬৩)। তবে সেখানে শারঈ পর্দা, পূর্ণ নিরাপত্তা ও অভিভাবকের অনুমতি অবশ্যই থাকতে হবে।
স্মর্তব্য যে, মহিলারা যেমন নিজেদের মধ্যে তা‘লীমী বৈঠক করতে পারেন, তেমনি দ্বীনী বিষয়ে অভিজ্ঞ কোন পুরুষ আলেমের নিকটেও দ্বীন শিখতে পারেন। যেমন রাসূল (ছাঃ) নারীদের উপদেশ দেওয়ার জন্য তাদের দাবীক্রমে পৃথক একটি দিন নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৭৫৩)।
স্মর্তব্য যে, মহিলারা যেমন নিজেদের মধ্যে তা‘লীমী বৈঠক করতে পারেন, তেমনি দ্বীনী বিষয়ে অভিজ্ঞ কোন পুরুষ আলেমের নিকটেও দ্বীন শিখতে পারেন। যেমন রাসূল (ছাঃ) নারীদের উপদেশ দেওয়ার জন্য তাদের দাবীক্রমে পৃথক একটি দিন নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৭৫৩)।
❓প্রশ্নঃ আমার ইচ্ছা আলেম হওয়া। কিন্তু পিতা-মাতা আমাকে মাদরাসায় পড়াতে রাযী নন। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
ANSWER
🎤 এরূপ ইচ্ছা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কারণ যারা দ্বীনের জ্ঞানার্জন করে, তারা আল্লাহর নিকট উচ্চ মর্যাদা লাভ করে (মুজাদালাহ ৫৮/১১)। যে ব্যক্তি দ্বীনী ইলম শিক্ষা করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন’ (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/২৫৫, হাদীছ ছহীহ)। এক্ষণে আপনার পিতা-মাতাকে নিজে কিংবা কোন ভাল আলেমের মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করুন।
❓প্রশ্নঃ যেখানে রাসূল (ছাঃ) অমুসলিম দেশে কুরআন নিয়ে গমন করতে নিষেধ করেছেন সেখানে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ইতালিয়ানদেরকে কুরআনের অনূদিত কপি উপহার দেওয়া যাবে কি?
ANSWER
🎤 কুরআনের অনূদিত কপি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে অমুসলিমদের উপহার দেওয়া যাবে। অমুসলিমদের জন্য কুরআন শ্রবণ, কুরআনের তাফসীর বা অনুবাদ সহ কুরআন স্পর্শ করে পড়ায় কোন বাধা নেই (মাজমূ‘ ফাতাওয়া বিন বায ২৪/৩৪০)। রাসূল (ছাঃ) কুরআনের আয়াত সম্বলিত পত্র অমুসলিম শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে পাঠিয়েছেন’ (বুখারী হা/০৭, ১৯; মুসলিম হা/১৭৭৩; মিশকাত হা/৩৯২৬)। তবে আরবী মূল মুছহাফ তাদেরকে দেওয়া যাবেনা। কেননা তা স্পর্শ করা মুশরিকদের জন্য জায়েয নয় (ওয়াক্বি‘আহ ৫৬/৭৯; ত্বাবারাণী, ছহীহুল জামে‘ হা/৭৭৮০)।
❓প্রশ্নঃ জনৈক আলেম বলেন, যে ব্যক্তি সারা জীবন আমল করেছে, কিন্তু অন্য মানুষকে কখনো দ্বীনের দাওয়াত দেয়নি। ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। উক্ত বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি?
ANSWER
🎤 ইসলামের মূল দর্শন হ’ল তাওহীদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা দান। মানব সমাজে আল্লাহ্র দ্বীনের বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কুরআন ও হাদীছে মুসলিম উম্মাহকে জোরালো নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এমনকি যদি একটি আয়াতও কেউ জানে, তা প্রচার করার জন্য রাসূল (ছাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৮)। সুতরাং দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ থেকে কারো পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। বরং কেউ যদি শারঈ ওযর ব্যতীত দৈনন্দিন ব্যস্ততার অজুহাতে বা অলসতাবশতঃ তাবলীগ বা দ্বীনের প্রচার না করে, তাহ’লে সে নিঃসন্দেহে গোনাহগার হবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫১৪০, সনদ হাসান)। তবে এর জন্য আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন এমনটি নয়। কেননা একদিন ছাহাবায়ে কেরাম রাসূল (ছাঃ)-কে সর্বোত্তম মুমিন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, যে মুমিন আল্লাহ রাস্তায় জান ও মাল দ্বারা জিহাদ করে। ছাহাবীগণ বললেন, অতঃপর কে? তিনি বললেন, যে মুমিন আল্লাহ্র ভয়ে পাহাড়ের কোন গুহায় আশ্রয় নিয়ে আল্লাহ্র ইবাদত করে এবং স্বীয় অনিষ্ট থেকে লোকদেরকে নিরাপদ রাখে (বুখারী হা/২৭৮৬, মুসলিম হা/১৮৮৮)।
❓প্রশ্নঃ রাসূল (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণের সংখ্যা কত ছিল?
ANSWER
🎤 ছাহাবায়ে কেরামের সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে ছহীহ সূত্রে কিছু বর্ণিত হয়নি। তবে ইমাম মুসলিম (রহঃ)-এর উস্তাদ আবূ যুর‘আহ্ রাযী এর সংখ্যা এক লক্ষ চৌদ্দ হাযার বলে উল্লেখ করেছেন (খতীব বাগদাদী, আল-জামে‘ ২/২৯৩)। কারো মতে, এর সংখ্যা এক লক্ষ চবিবশ হাযার। সৈয়ূতী এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন (সাফারীনী, গিযাউল আলবাব ১/৩১)। ৯ম হিজরীতে তাবুক অভিযানে গমনকালে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সৈন্য সংখ্যা ছিল ত্রিশ হাযার (যাদুল মা‘আদ ৩/৫২৬)। এদের প্রত্যেকের পরিবারে গড়ে পাঁচজন করে সদস্য থাকলেও তাদের সংখ্যা দেড় লাখে পৌঁছে যাবে। তাছাড়া যুদ্ধে সবাই যাননি এবং যেতে পারেননি। অতঃপর বিদায় হজ্জে উপস্থিত তাঁর সাথী সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৪ হাযার (সাখাবী, ফাৎহুল মুগীছ ৪/৪৯-৫৪)। তাদের বাইরেও সারা আরবে বহু মুসলিম ছিলেন। যারা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে দর্শন করেছেন ও তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। অতএব ছাহাবীদের সংখ্যা সঠিক জানা না গেলেও তা যে অগণিত ছিল, তাতে কোন সন্দেহ নেই। আল্লাহ সর্বাধিক অবগত।
❓প্রশ্নঃ হযরত আবু হুরায়রা
(রাঃ)
বলেন,
তাঁর নিকটে এমন গোপন ইলম রয়েছে, যা প্রকাশ করলে তার কণ্ঠনালী কর্তিত হবে। কেউ কেউ এই গোপন ইলম দ্বারা ছূফীদের বাতেনী ইলমকে বুঝাতে চান। এক্ষণে উক্ত গোপন ইলম বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
ANSWER
🎤 উক্ত গোপন ইলম সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রাঃ) স্বয়ং কিছু বলেননি। তবে মুহাদ্দিছগণ এ হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেন, তিনি যা গোপন করেছিলেন, সেগুলি খুলাফায়ে রাশেদীন পরবর্তী মন্দ আমীর-ওমারাদের নাম, পরিচয়, সময়কাল, অবস্থা ইত্যাদি সংক্রান্ত ছিল। আবু হুরায়রা (রাঃ) তাদের কারু প্রতি ইঙ্গিত করলেও স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি (ফাৎহুল বারী হা/১২০-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
কুরতুবী বলেন, এগুলি ছিল তৎকালীন ফিৎনা-ফাসাদ, হত্যা এবং মুনাফিক ও মুরতাদ নেতাদের পরিচয় সম্পর্কিত বিষয় (তাফসীর কুরতুবী ২/১৮৬, বাক্বারাহ ১৫৯ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)। এর সাথে ভ্রান্ত ছূফীদের বাতেনী ইলমের কোন সম্পর্ক নেই। কেননা এগুলি অনেক পরের সৃষ্টি। তাছাড়া তার গোপনকৃত বিষয়টি কোন শরী‘আত সংশ্লিষ্ট বিষয় ছিল না (কুরতুবী ২/১৮৬; যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ২/৫৯৭; ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ১/২১৬)।
এছাড়া ‘আজকের দিনে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম’(মায়েদাহ ৫/৩) আয়াত দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ বলে ঘোষণা করেছেন। অতএব সেখানে বাতেনী বা গোপন কোন ইলম বাকী থাকার প্রশ্নই আসে না।
কুরতুবী বলেন, এগুলি ছিল তৎকালীন ফিৎনা-ফাসাদ, হত্যা এবং মুনাফিক ও মুরতাদ নেতাদের পরিচয় সম্পর্কিত বিষয় (তাফসীর কুরতুবী ২/১৮৬, বাক্বারাহ ১৫৯ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)। এর সাথে ভ্রান্ত ছূফীদের বাতেনী ইলমের কোন সম্পর্ক নেই। কেননা এগুলি অনেক পরের সৃষ্টি। তাছাড়া তার গোপনকৃত বিষয়টি কোন শরী‘আত সংশ্লিষ্ট বিষয় ছিল না (কুরতুবী ২/১৮৬; যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ২/৫৯৭; ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ১/২১৬)।
এছাড়া ‘আজকের দিনে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম’(মায়েদাহ ৫/৩) আয়াত দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ বলে ঘোষণা করেছেন। অতএব সেখানে বাতেনী বা গোপন কোন ইলম বাকী থাকার প্রশ্নই আসে না।
❓প্রশ্নঃ জনৈক ব্যক্তি কাদিয়ানী মতবাদের অসারতা প্রমাণের জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর পর কোন নবী আসবেন না বলে আল্লাহর নামে কসম খেয়ে ৫ম বার বলেন ‘আমি যদি মিথ্যা বলি তবে আমার উপর গযব নাযিল হৌক’। দাওয়াতী ক্ষেত্রে এভাবে কসম খাওয়ায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
ANSWER
🎤 বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য এভাবে গযব কামনা করা দাওয়াতী কাজের শরী‘আত সম্মত পদ্ধতি নয়। বরং দাওয়াতী ময়দানে সর্বদা সর্বোত্তম পন্থা অবলম্বন করা যরূরী। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি হিকমত (কুরআন ও সুন্নাহ) ও উত্তম নছীহতের সাথে আল্লাহর পথে দাওয়াত দাও এবং তাদের সাথে বিতর্ক করো উত্তম পন্থায়’ (নাহল ১২৫)। তবে এরূপ ক্ষেত্রে আল্লাহর নামে কসম খাওয়া যাবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বিভিন্ন ক্ষেত্রে বলতেন, ‘সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন নিহিত’ (বুখারী হা/২৬১৫, আবুদাঊদ হা/১৪৬১)।
❓প্রশ্নঃ কোন মুশরিক ব্যক্তিকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য মসজিদের কোন দায়িত্ব দেওয়া যাবে কি?
ANSWER
🎤 যাবে না (তওবা ১৭)। তবে এজন্য যাকাতের একটি খাত থেকে তাদেরকে সাহায্য করা যেতে পারে (তওবা ৬০)।
❓প্রশ্নঃ মহিলারা দাওয়াতী কাজে বাড়ীর বাইরে যেতে পারবে কি?
ANSWER
🎤 সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ বিবেচনায় এবং স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে ইসলামী পর্দা সহকারে মহিলাগণ দ্বীনের কাজে বাড়ীর বাইরে যেতে পারেন। আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে বলেন, ‘বল, এটাই আমার পথ। আহবান করি আল্লাহর দিকে আমি এবং আমার অনুসারীগণ জাগ্রত জ্ঞান সহকারে’ (ইউসুফ ১২/১০৮)। ‘অনুসারীগণ’ বলতে এখানে মুসলিম নারী ও পুরুষ উভয়কে বুঝানো হয়েছে। হযরত আয়েশা (রাঃ) হাদীছ শাস্ত্রে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) বলেন, আমরা আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করে তাঁর নিকট থেকে জ্ঞান হাছিল করতাম’ (তিরমিযী, সনদ ছহীহ, হা/৬১৮৫)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সময়ে মুসলিম মহিলাগণ ৫ম হিজরীতে পর্দা ফরয হওয়ার আগে ও পরে পর্দার সঙ্গে দ্বীনের কাজে ও দুনিয়ার কাজে বাড়ীর বাইরে যেতেন। তারা যেমন মসজিদে ও ঈদের জামা‘আতে যোগদান করতেন। তেমনি বাজারে, ক্ষেতে-খামারে ও জিহাদেও গমন করতেন (বুখারী হা/৫২২৪, মুসলিম হা/১৮১০)। অতএব দ্বীনী কাজে বিশেষ করে দ্বীন শিক্ষা করা বা দ্বীন শিক্ষা দেওয়া দু’টি কাজই পুরুষের ন্যায় মেয়েরা ঘরে বসে কিংবা প্রয়োজনে বাইরে গিয়ে করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘দ্বীন শিক্ষা করা প্রত্যেক মুমিনের (পুরুষ ও নারী উভয়ের) উপর ফরয’ (ইবনু মাজাহ হা/২২৪, বায়হাক্বী, মিশকাত হা/২১৮)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে কুরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়’ (বুখারী, মিশকাত হা/২১০৯)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা একটি আয়াত জানলেও তা আমার পক্ষ হ’তে অন্যকে পৌছে দাও’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৮)।
শায়খ বিন বায (রহঃ) বলেন, উপরোক্ত মর্মের আয়াত (ও হাদীছ) সমূহ পুরুষ ও নারী উভয়কে শামিল করে’ (মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ৭/৩২৫ পৃঃ)। তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) ইয়ামনে ও অন্যান্য বহু গোত্রে দাঈদের প্রেরণ করতেন এবং এতে কোন বাধা ছিল না যে, তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে করে নিয়ে যেতেন’ (ঐ, ৯/২৯৫ পৃঃ)। এছাড়া শায়খ উছায়মীন, শায়খ আলবানীসহ অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন(আলবানী, সিলসিলা হুদা ওয়ান নূর, অডিও ফাইল নং ১৮৯, ফৎওয়া নং ১৮; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ‘ইলম’ অধ্যায়)।
উল্লেখ্য যে, নারীর মূল দায়িত্ব হ’ল তার ঘরে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নারী তার স্বামীর গৃহের ও সন্তানদের দায়িত্বশীল। এজন্য সে আল্লাহর নিকট জিজ্ঞাসিত হবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৮৫)।
অতএব মূল পারিবারিক দায়িত্ব পালনের পর সময়-সুযোগ পেলে পর্দা-পুশিদা সহকারে দ্বীনের দাওয়াত দান ও দ্বীন শিক্ষার কাজে অবশ্যই মহিলাগণ বাইরে যেতে পারবেন। আর দ্বীন শিক্ষা বলতে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক শিক্ষাকে বুঝায়। অন্য কোন উদ্দেশ্য নয়। নারীদের কণ্ঠস্বর তাদের লজ্জার অন্তর্ভুক্ত। অতএব তাদের কণ্ঠস্বর যেন পরপুরুষ শুনতে না পায় বা তাদের দৃষ্টি না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং দাওয়াতী কাজের জন্য পোষ্টারিং করা বা মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সময়ে মুসলিম মহিলাগণ ৫ম হিজরীতে পর্দা ফরয হওয়ার আগে ও পরে পর্দার সঙ্গে দ্বীনের কাজে ও দুনিয়ার কাজে বাড়ীর বাইরে যেতেন। তারা যেমন মসজিদে ও ঈদের জামা‘আতে যোগদান করতেন। তেমনি বাজারে, ক্ষেতে-খামারে ও জিহাদেও গমন করতেন (বুখারী হা/৫২২৪, মুসলিম হা/১৮১০)। অতএব দ্বীনী কাজে বিশেষ করে দ্বীন শিক্ষা করা বা দ্বীন শিক্ষা দেওয়া দু’টি কাজই পুরুষের ন্যায় মেয়েরা ঘরে বসে কিংবা প্রয়োজনে বাইরে গিয়ে করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘দ্বীন শিক্ষা করা প্রত্যেক মুমিনের (পুরুষ ও নারী উভয়ের) উপর ফরয’ (ইবনু মাজাহ হা/২২৪, বায়হাক্বী, মিশকাত হা/২১৮)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে কুরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়’ (বুখারী, মিশকাত হা/২১০৯)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা একটি আয়াত জানলেও তা আমার পক্ষ হ’তে অন্যকে পৌছে দাও’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৮)।
শায়খ বিন বায (রহঃ) বলেন, উপরোক্ত মর্মের আয়াত (ও হাদীছ) সমূহ পুরুষ ও নারী উভয়কে শামিল করে’ (মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ৭/৩২৫ পৃঃ)। তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) ইয়ামনে ও অন্যান্য বহু গোত্রে দাঈদের প্রেরণ করতেন এবং এতে কোন বাধা ছিল না যে, তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে করে নিয়ে যেতেন’ (ঐ, ৯/২৯৫ পৃঃ)। এছাড়া শায়খ উছায়মীন, শায়খ আলবানীসহ অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন(আলবানী, সিলসিলা হুদা ওয়ান নূর, অডিও ফাইল নং ১৮৯, ফৎওয়া নং ১৮; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ‘ইলম’ অধ্যায়)।
উল্লেখ্য যে, নারীর মূল দায়িত্ব হ’ল তার ঘরে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নারী তার স্বামীর গৃহের ও সন্তানদের দায়িত্বশীল। এজন্য সে আল্লাহর নিকট জিজ্ঞাসিত হবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৮৫)।
অতএব মূল পারিবারিক দায়িত্ব পালনের পর সময়-সুযোগ পেলে পর্দা-পুশিদা সহকারে দ্বীনের দাওয়াত দান ও দ্বীন শিক্ষার কাজে অবশ্যই মহিলাগণ বাইরে যেতে পারবেন। আর দ্বীন শিক্ষা বলতে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক শিক্ষাকে বুঝায়। অন্য কোন উদ্দেশ্য নয়। নারীদের কণ্ঠস্বর তাদের লজ্জার অন্তর্ভুক্ত। অতএব তাদের কণ্ঠস্বর যেন পরপুরুষ শুনতে না পায় বা তাদের দৃষ্টি না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং দাওয়াতী কাজের জন্য পোষ্টারিং করা বা মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
❓প্রশ্নঃ আল্লাহ তা‘আলা সাত আসমান ও সাত যমীন সৃষ্টি করেছেন। তাহ’লে কি আরো ছয়টি পৃথিবী বিদ্যমান রয়েছে। এ ব্যাপারে কুরআন-হাদীছ থেকে কিছু জানা যায় কি?
ANSWER
🎤 আল্লাহ তা‘আলা সাত আসমান ও সাত যমীন সৃষ্টি করেছেন (তালাক ১২), তা বিদ্যমান রয়েছে এবং ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা সাতটি যমীন চাপিয়ে দিয়ে জমি জবর দখলকারীদেরকে শাস্তি দিবেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৯৩৮)। ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, এর দ্বারা যমীনের সাতটি স্তরকে বুঝানো হয়েছে। কুরআনে আসমানকে ‘দুখান’ বলা হয়েছে (হা-মীম সাজদাহ ১১, দুখান ১০)। যার অর্থ ধূম্রকুঞ্জ। অতএব আমাদের কেবল এটুকুতেই বিশ্বাস রাখতে হবে। অন্য আয়াতে ‘কঠিন সপ্তস্তর’(নাবা ১২) বলা হয়েছে। এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, ঐসব আসমানের গঠন-প্রকৃতি এমন, যা ভেদ করা কঠিন ও দুরূহ। আমরা কেবল আসমানের নীচের স্তরটিই দেখতে পাই, যাকে কুরআনে ‘সুরক্ষিত ছাদ’ (আম্বিয়া ৩২) বলা হয়েছে।
❓প্রশ্নঃ আমি মানুষকে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করছি। কিন্তু তার অধিকাংশই নিজে পালন করতে পারি না। অথচ আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যা কর না তা বল কেন?’। এক্ষণে আমি কি দাওয়াত থেকে বিরত থাকব?
ANSWER
🎤 নিজে সৎকাজ করা এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকা যেমন ওয়াজিব, তেমনি অপরকে সৎকাজের উপদেশ দেওয়া এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করাও ওয়াজিব। প্রকৃত মুসলিমের জন্য উভয়টিই পরিপূর্ণ করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। একটি ওয়াজিব পালন করতে না পারলে আরেকটি ওয়াজিব ত্যাগ করা যাবে না। সাঈদ বিন জুবায়ের (রহঃ) বলেন, ‘মানুষ যদি নিজে করতে না পারার কারণে সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা থেকে বিরত থাকত, তাহ’লে সৎ-অসৎ কাজের আদেশ-নিষেধকারী খুঁজে পাওয়া যেত না’ (আলোচনা দ্রঃ ইবনু কাছীর, বাক্বারাহ ৪৪ আয়াতের ব্যাখ্যা)। আল্লাহর বাণী, ‘তোমরা যা কর না তা বল কেন?’-এর ব্যাখ্যা হ’ল, এখানে আল্লাহ তা‘আলা বনী ইসরাঈলদেরকে অন্যকে উপদেশ দানের পরও নিজেরা না করার কারণে তিরস্কার করেছেন, অন্যকে উপদেশ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেননি। বরং ন্যায়ের আদেশ দেওয়া প্রত্যেক মানুষের জন্য ওয়াজিব। তবে অন্যকে উপদেশ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজে না করলে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে (বুখারী হা/৩২৬৭, মুসলিম, মিশকাত হা/৫১৩৯)।
❓প্রশ্নঃ ‘সকল বিধান বাতিল কর, অহি-র বিধান কায়েম কর’ কেবল এই শ্লোগান দিলেই কি দ্বীন কায়েম হয়ে যাবে? না দ্বীন কায়েমের জন্য আরো কিছু করণীয় আছে? বুলেট বা ব্যালট ব্যতীত কেবল দাওয়াতের মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কোন সম্ভাবনা আছে কি?
ANSWER
🎤 উপরোক্ত শ্লোগানটি যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ যে দাওয়াত নিয়ে আগমন করেছিলেন, তারই প্রতিধ্বনি। সকল নবী-রাসূলই দুনিয়াতে এসেছিলেন এই দাওয়াত নিয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগূত থেকে বেঁচে থাকো (নাহল ১৬/৩৬)। নূহ (আঃ) ৯৫০ বছর যাবৎ দাওয়াত দিয়ে মাত্র ৪০ জন অনুসারী পেয়েছিলেন। ক্বিয়ামতের দিন কোন নবী উম্মতশূন্য, কেউ একজন, কেউ দু’জন উম্মত নিয়ে হাযির হবেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫২৯৬)। দ্বীনকে রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কোন নবী দাওয়াত দেননি। বরং মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই তারা দাওয়াত দিয়ে গেছেন। বুলেট ও প্রচলিত ব্যালট পদ্ধতি দু’টিই নবীদের আদর্শের বিরোধী। আল্লাহ তা‘আলা জোরপূর্বক দাওয়াত গ্রহণ করানো থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন(বাক্বারাহ ২৫৬; গাশিয়া ৬৮/২২)। শরী‘আত প্রদর্শিত বৈধ পন্থায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া সকলের ঈমানী দায়িত্ব। ফলাফলের মালিক আল্লাহ। ‘খেলাফত’ ইসলামী জীবন-যাপনের সহায়ক মাধ্যম মাত্র, কখনোই অপরিহার্য অঙ্গ নয়। যে নে‘মত স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা মুমিন বান্দাদেরকে দান করার ওয়াদা করেছেন (নূর ২৪/৫৫)। তা অর্জনের জন্য কোন অবৈধ পন্থা অবলম্বনের সুযোগ নেই। দেশে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য অহি-র বিধান অনুসরণের গুরুত্ব এবং তা অনুসরণ না করলে পরকালীন জীবনের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা ওলামায়ে কেরামের প্রধান দায়িত্ব। সেই সাথে দল ও প্রার্থীবিহীন ইসলামী নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতির কল্যাণকারিতা বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যাতে জাতি ক্ষমতার লড়াইয়ে আপোষে মারামারি ও হানাহানি থেকে বেঁচে যায়। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ একনিষ্ঠভাবে সে কাজটিই করে যাচ্ছে। আল্লাহ কবুল করলে কেবল বাংলাদেশেই নয় সমগ্র পৃথিবীতে একদিন অহি-র বিধান প্রতিষ্ঠা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ (বিস্তারিত দ্রঃ ‘ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন’ বই)।
❓প্রশ্নঃ কি কি কারণে ইবাদত কবুল হয় না। বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
ANSWER
🎤 ইবাদত কবুল হওয়ার মৌলিক শর্ত ৩টি : (১) আক্বীদা ছহীহ হওয়া। অর্থাৎ শিরকবিমুক্ত নির্ভেজাল তাওহীদ বিশ্বাসী হওয়া (কাহফ ১১০) (২) তরীকা ছহীহ হওয়া। অর্থাৎ রাসূল (ছাঃ)-এর ছহীহ সুন্নাহ অনুযায়ী হওয়া (মুসলিম হা/১৭১৮)। (৩) ইখলাছপূর্ণ হওয়া (যুমার ১১)। এছাড়া হাদীছে খাদ্য-পানীয় ও পোষাক হালাল হওয়াকে ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত বলা হয়েছে (মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০)।
❓প্রশ্নঃ কুরআন ও হাদীছে ইহুদী-খ্রিষ্টান সহ অন্যান্য বিকৃত ধর্ম বিশেষ করে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে কিছু বলা হয়েছে কি? এসব ধর্মগুলো কি আসমানী কিতাব ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছে?
ANSWER
🎤 আল্লাহ বলেন, আমরা অবশ্যই প্রত্যেক জনপদে রাসূল পাঠিয়েছি এই দাওয়াত দিয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং ত্বাগুত থেকে বিরত হও (নাহল ৩৬)। তিনি বলেন, অতঃপর তাদের পরবর্তী বংশধররা আসে, যারা ছালাত বিনষ্ট করে এবং প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে যায়। ফলে তারা দ্রুত পথভ্রষ্ট হয় (মারিয়াম ৪৯)। উপরোক্ত আলোচনায় বুঝা যায় যে, যুগে যুগে আল্লাহ বিভিন্ন জনপদে নবী পাঠিয়েছেন। কিন্তু মানুষ তাঁদের অবাধ্যতা করেছে। ফলে মূল ইলাহী ধর্ম বিকৃত হয়ে মানুষের মনগড়া ধর্মই এখন অবশিষ্ট রয়েছে। যা হিন্দু-বৌদ্ধ, ইহুদী-খৃষ্টান ইত্যাদি নামে অভিহিত হয়েছে। ‘ইসলাম’ আসার পরে বিগত সকল ইলাহী ধর্ম বাতিল হয়ে গেছে। ‘ইসলাম’-ই এখন ক্বিয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির জন্য আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম (আলে ইমরান ১৯)। অন্যান্য ধর্মে যেসব কল্যাণময় উপদেশ পাওয়া যায়, তা বিগত ইলাহী ধর্মসমূহ থেকে গৃহীত হওয়াটা বিচিত্র নয়। কুরআনে আহলে কিতাব হিসাবে ইহুদী ও নাছারাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে। তারা হযরত মূসা ও ঈসা (আঃ)-এর অনুসারী ছিলেন। তাদের নিকটে আল্লাহর কিতাব তাওরাত ও ইঞ্জীল এসেছিল। কিন্তু তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বিকৃত করে ফেলে (বাক্বারাহ ৭৯, নিসা ৪৬ প্রভৃতি)। ফলে তারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট হয়ে যায় (ফাতিহা ৭)। উক্ত কিতাবদ্বয়ের অস্তিত্ব দুনিয়া থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। হিন্দুদের সম্পর্কে কুরআনে কিছু বলা হয়নি। তবে তাদের ধর্মের মূল বৈশিষ্ট্য মূর্তিপূজার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে (আন‘আম ৭৪ প্রভৃতি)।
❓প্রশ্নঃ জনৈক আলেম বলেন, আল্লাহ তা‘আলা চারটি বস্ত্ত নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। অন্যগুলোকে তার নির্দেশে আপনা আপনি হয়েছে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
ANSWER
🎤 উক্ত বক্তব্য সঠিক। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা চারটি বস্ত্ত তাঁর নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, (১) আরশ (২) কলম (৩) আদম (৪) জান্নাতু ‘আদন। অতঃপর যাবতীয় সৃষ্টিকে লক্ষ্য করে বলেন, হয়ে যাও, ফলে তা হয়ে গেছে। (হাকেম হা/৩২৪৪, মুখতাছারুল ‘উলূ ১/৭৫, আলবানী সনদ ছহীহ)।
❓প্রশ্নঃ ঈসা (আঃ)-এর উপর ইঞ্জীল কত বছর বয়সে, কখন ও কিভাবে নাযিল হয়েছিল?
ANSWER
🎤 সাধারণতঃ সকল নবীই ৪০ বছর বয়সে নবুঅত লাভ করেছেন। তবে ঈসা (আঃ) সম্ভবতঃ তার কিছু পূর্বেই নবুঅত ও কিতাব প্রাপ্ত হন। কেননা বিভিন্ন রেওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, আকাশে তুলে নেবার সময় তাঁর বয়স ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে ছিল (নবীদের কাহিনী ২/১৯৭)। ইঞ্জীল ১৩ই রামাযান এক সাথেই নাযিল হয়েছিল(আহমাদ হা/১৭০২৫, আরনাঊত্ব যঈফ বলেছেন ও আলবানী ‘হাসান’ বলেছেন; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৫৭৫; ফুরক্বান ২৫/৩২)।
❓প্রশ্নঃ পৃথিবীতে কি এমন কোন দ্বীপ থাকতে পারে, যেখানে এ পর্যন্ত ইসলামের দাওয়াত পৌঁছেনি? যদি থাকে, তাহ’লে সেখানকার লোকজন অমুসলিম অবস্থায় মারা গেলে। মৃত্যুর পর তাদের ব্যাপারে ফায়ছালা কি হবে?
ANSWER
🎤 ভূপৃষ্ঠে এমন কোন স্থান থাকবে না যেখানে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছবে না(আহমাদ হা/২৩৮৬৫, মিশকাত হা/৪২)। এরপরও কারু নিকটে যদি ইসলামের দাওয়াত না পৌঁছে, তবে আল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিন তাদের আনুগত্যের পরীক্ষা নিবেন। এতেই তারা জান্নাতী বা জাহান্নামী হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কিয়ামতের দিন চার ব্যক্তি ঝগড়া করবে। (১) বধির (الأصم) (২) বোকা (الأحمق) (৩) অতিবৃদ্ধ(الهرم) এবং (৪) যে ইসলামের দাওয়াত পায়নি (من ماة في الفةرة)। বধির বলবে, হে আমার প্রতিপালক! ইসলাম এসেছে অথচ আমি কিছুই শুনতে পাইনি। বোকা বলবে, ইসলাম আগমন করেছে। অথচ শিশুরা আমার দিকে পশুর বিষ্ঠা নিক্ষেপ করেছে। অতিবৃদ্ধ বলবে, ইসলাম আগমন করেছে। অথচ আমি কিছুই বুঝতে সক্ষম হইনি। আর ইসলামের দাওয়াত না পাওয়া ব্যক্তি বলবে, হে আল্লাহ! তোমার কোন দাওয়াতদাতা আমার নিকট আসেনি। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের নিকট হ’তে আনুগত্যের শপথ নিবেন। এরপর তাদের নিকট একজন দূত প্রেরণ করবেন এই মর্মে যে, তোমরা আগুনে প্রবেশ কর। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার হাতে আমার জীবন নিহিত, তার কসম করে বলছি, যে ব্যক্তি তাতে প্রবেশ করবে, আগুন তার উপর ঠান্ডা ও শান্তিদায়ক হয়ে যাবে। কিন্তু যে ব্যক্তি প্রবেশ করবে না, তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে (ত্বাবারাণী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৪৩৪)।
❓প্রশ্নঃ এমন কোন আমল আছে কি যা করলে আমি কবরের চাপ থেকে মুক্তি পাব?
ANSWER
🎤 এজন্য সর্বাগ্রে শিরক মুক্ত হ’তে হবে এবং শরী‘আত অনুমোদিত নেক আমল করতে হবে (কাহফ ১১০)। কবরের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল নেই। নবী করীম (ছাঃ) কবরের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দো‘আ পড়তেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) ছালাত হ’তে সালাম ফেরানোর পূর্বে চারটি বস্ত্ত হ’তে পরিত্রাণ চাইতেন। তার একটি হচ্ছে কবরের শাস্তি (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৮), যা ছালাতের শেষ বৈঠকে পড়া হয়।
❓প্রশ্নঃ তাবলীগ জামা‘আতের সাথে ৪০ দিনের চিল্লায় গিয়ে জানতে পারলাম যে, দাওয়াতের কাজে বের হয়ে নিজের প্রয়োজনে ১ টাকা খরচ করলে ৭ লক্ষ টাকা ছাদাক্বা করার সমান ছওয়াব পাওয়া যায়। একবার সুবহানাল্লাহ বললে ৪৯ কোটি ছওয়াব আমলনামায় লেখা হয়। এসব কথা কি সঠিক? দাওয়াতী কাজের সঠিক পদ্ধতি জানিয়ে বাধিত করবেন।
ANSWER
🎤 দু’টি যঈফ হাদীছের ভুল ব্যাখ্যা করে উক্ত ফযীলত সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেমন ‘ছালাত, ছিয়াম ও যিকিরকে আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার উপরে ৭০০ গুণ নেকী বৃদ্ধি করা হয় (আবুদাঊদ, ‘জিহাদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ১৪)। অন্যটি হ’ল, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় টাকা প্রেরণ করল এবং নিজ বাড়ীতে অবস্থান করল সে প্রত্যেক দিরহামের বিনিময়ে ৭০০ দিরহামের নেকী পেল। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করল এবং খরচ করল, সে ব্যক্তি প্রত্যেক দিরহামের বিনিময়ে ৭ লক্ষ নেবী পেল (ইবনু মাজাহ, ‘জিহাদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৪, মিশকাত হা/৩৮৫৭ ‘জিহাদ’ অধ্যায়)। উক্ত দুই হাদীছের আলোকে প্রত্যেক সৎ আমলকে গুণ করে (৭০০´৭,০০,০০০) তারা ৪৯ কোটি বানিয়ে থাকে।
প্রথমতঃ উক্ত দু’টি হাদীছই যঈফ (যঈফ আবুদাঊদ হা/২৪৯৮; যঈফ ইবনু মাজাহ হা/২৭৬১)। দ্বিতীয়তঃ দুই হাদীছে দুই রকম ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু একত্রিত করে গুণ করার এখতিয়ার কে দিল? প্রতি নেকীর বিনিময়ে ঊনপঞ্চাশ কোটি নেকী পেলে তো রাসূল (ছাঃ)ই বলে যেতেন। এ ধরনের উদ্ভট ফযীলতের ধোঁকা থেকে বেঁচে থেকে ছহীহ হাদীছে বর্ণিত ফযীলতের আমল সমূহ করা কর্তব্য।
তাবলীগ জামা‘আতের লোকেরা এরূপ বহু ফযীলতের কথা বলে থাকে। যার সিংহভাগই মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রচলিত চিল্লা পদ্ধতির দাওয়াত সুন্নাতী তরীকার দাওয়াত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ), তাঁর ছাহাবীগণ এবং তাবে‘ঈগণের যুগ থেকে শুরু করে বিগত একশত বছর পূর্বেও এ পদ্ধতি সম্পর্কে মুসলমানগণ জানতেন না। এটি একটি বিদ‘আতী পদ্ধতি। এছাড়া এ জামা‘আতের সাথে যারা বের হন, তারা বহু মিথ্যা কারামতের বানোয়াট কেচ্ছা-কাহিনী এবং জাল-যঈফ হাদীছ বর্ণনা করে থাকেন। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর মিথ্যারোপ করল, সে তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৮)।
প্রথমতঃ উক্ত দু’টি হাদীছই যঈফ (যঈফ আবুদাঊদ হা/২৪৯৮; যঈফ ইবনু মাজাহ হা/২৭৬১)। দ্বিতীয়তঃ দুই হাদীছে দুই রকম ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু একত্রিত করে গুণ করার এখতিয়ার কে দিল? প্রতি নেকীর বিনিময়ে ঊনপঞ্চাশ কোটি নেকী পেলে তো রাসূল (ছাঃ)ই বলে যেতেন। এ ধরনের উদ্ভট ফযীলতের ধোঁকা থেকে বেঁচে থেকে ছহীহ হাদীছে বর্ণিত ফযীলতের আমল সমূহ করা কর্তব্য।
তাবলীগ জামা‘আতের লোকেরা এরূপ বহু ফযীলতের কথা বলে থাকে। যার সিংহভাগই মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রচলিত চিল্লা পদ্ধতির দাওয়াত সুন্নাতী তরীকার দাওয়াত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ), তাঁর ছাহাবীগণ এবং তাবে‘ঈগণের যুগ থেকে শুরু করে বিগত একশত বছর পূর্বেও এ পদ্ধতি সম্পর্কে মুসলমানগণ জানতেন না। এটি একটি বিদ‘আতী পদ্ধতি। এছাড়া এ জামা‘আতের সাথে যারা বের হন, তারা বহু মিথ্যা কারামতের বানোয়াট কেচ্ছা-কাহিনী এবং জাল-যঈফ হাদীছ বর্ণনা করে থাকেন। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর মিথ্যারোপ করল, সে তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৮)।
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞান পেতে runing update)< -https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন). Main Websaite- esoislamerpothe.in , comming soon my best world websaite
0 Comments