সুরা আল ইমরান_ ১৬ থেকে ৩৪ পর্যন্ত
তাফসীরঃ ফাতহুল মাজীদ
ইসলামিক এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এই. ই. আর. এফ)
অনুবাদ ও গবেষণা বিভাগ কর্তৃক সংকলিত।ও সম্পাদিত
সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ-আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী
সম্পাদনা পরিষদঃ-
প্রফেসর এ.কে.এম শামসুল আলম
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মুযযাম্মিল আলী
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ লাকমান হুসেন
অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ফারুক সালাফী |
অধ্যাপক ড. সাইফুল্লাহ আল-মাদানী
শায়খ মুস্তফা বিন বাহারুদ্দীন সালাফী
শায়খ ড. হাফিয় রফিকুল আল-মাদানী
শায়খ মাসউদুল আলম উমরী
শায়খ মুফায়যাল হুসাইন আল-মাদানী
শায়খ মুহাম্মদ ঈসা মিয়া আল-মাদানী
শায়খ মুহাম্মদ ইরফান আলী আব্বাস আল-মাদানী
শায়খ হাবিবুর রহমান আল-মাদানী |
শায়খ হাফিয় আনিসুর রহমান আল-মাদানী |
শায়খ ইব্রাহীম বিন আবদুল হালীম আল-মাদানী
শায়খ আব্দুন নূর আবু সাঈদ আল-মাদানী |
শায়খ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ খান আল-মাদানী
শায়খ হাফিয় আনিসুর রহমান আল-মাদানী
শায়খ ইব্রাহীম বিন আবদুল হালীম আল-মাদানী
শায়খ আব্দুন নূর আবু সাঈদ আল-মাদানী
শায়খ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ খান আল-মাদানী
পরিবেশনায়ঃ আল খাইর পাবলিকেশন্ম, নাজির বাজার, | ঢাকা।
সাম্প্রতিককালে সংকলিত অন্যতম কিছু তাফসীরের মধ্যে তাফসীর ফাতহুল মাজীদ উল্লেখযোগ্য। এই তাফসীরটি শাইখ মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান মাদানীর তত্ত্বাবধানে সংকলন করা হয়েছে।
খণ্ড সংখ্যাঃ ৩
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৫৯৮ (৮২৪ + ৯৬০ + ৮১৪)
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫৫০ (৯০০ + ৮৫০ + ৮০০)
তাফসীর ফাতহুল মাজীদ-এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
০১. আরবী আয়াতের পাশাপাশি অতি সহজ - সরল বাংলা অনুবাদ।
০২. জটিল ও কঠিন শব্দার্থ।
০৩. গ্রহণযোগ্য বর্ণনার আলোকে শানে নুযুল।
০৪. কুরআনুল কারীম ও স্বহীহ হাদীছ ও নির্ভরযোগ্য তাফসীরগ্রন্থের আলোকে সংক্ষিপ্ত তাফসীর সংকলন।
০৫. স্বহীহ আক্বীদাহ ও শারয়ী বিধানমূলক আয়াতের শিক্ষা।
০৬. কুরআন ও সহীহ হাদীছের আলোকে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সমাধান।
০৭. ভিত্তিহীন প্রচলিত তাফসীর সম্পর্কে সতর্কীকরণ।
০৮. তাফসীরে ব্যবহৃত আয়াতসমূহ নম্বর ও সূরাসহ উল্লেখ করা হয়েছে।
০৯. যথাসাধ্য হাদীছের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
১০. সাধ্যানুযায়ী স্বহীহ বুখারী, স্বহীহ মুসলিম, সুনান আবূ দাউদ, সুনান তিরমিযি, সুনান নাসাঈ, সুনান ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক ও মুসনাদে আহমাদ ইত্যাদি হাদীস গ্রন্থের হাদীসসমূহে মাকতাবাহ শামিলার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।
১১. বাংলাভাষী পাঠকদের সহজ পাঠের জন্য আরবী বিশেষ ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
১২. সর্বোপরি উন্নতমানের কাগজে মুদ্রণ, মজবুত ও আকর্ষণীয় বাইন্ডিং করা হয়েছে।প্রথম খণ্ডে সূরাহ আল ফাতিহাহ থেকে সূরাহ আত তাওবাহ্, দ্বিতীয় খণ্ডে সূরাহ ইউনুস থেকে সূরাহ আল ফাথির এবং তৃতীয় খণ্ডে সূরাহ ইয়াসীন থেকে সূরাহ আন নাসের তাফসীর রয়েছে।
০২. জটিল ও কঠিন শব্দার্থ।
০৩. গ্রহণযোগ্য বর্ণনার আলোকে শানে নুযুল।
০৪. কুরআনুল কারীম ও স্বহীহ হাদীছ ও নির্ভরযোগ্য তাফসীরগ্রন্থের আলোকে সংক্ষিপ্ত তাফসীর সংকলন।
০৫. স্বহীহ আক্বীদাহ ও শারয়ী বিধানমূলক আয়াতের শিক্ষা।
০৬. কুরআন ও সহীহ হাদীছের আলোকে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ের সমাধান।
০৭. ভিত্তিহীন প্রচলিত তাফসীর সম্পর্কে সতর্কীকরণ।
০৮. তাফসীরে ব্যবহৃত আয়াতসমূহ নম্বর ও সূরাসহ উল্লেখ করা হয়েছে।
০৯. যথাসাধ্য হাদীছের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
১০. সাধ্যানুযায়ী স্বহীহ বুখারী, স্বহীহ মুসলিম, সুনান আবূ দাউদ, সুনান তিরমিযি, সুনান নাসাঈ, সুনান ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক ও মুসনাদে আহমাদ ইত্যাদি হাদীস গ্রন্থের হাদীসসমূহে মাকতাবাহ শামিলার নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।
১১. বাংলাভাষী পাঠকদের সহজ পাঠের জন্য আরবী বিশেষ ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
১২. সর্বোপরি উন্নতমানের কাগজে মুদ্রণ, মজবুত ও আকর্ষণীয় বাইন্ডিং করা হয়েছে।প্রথম খণ্ডে সূরাহ আল ফাতিহাহ থেকে সূরাহ আত তাওবাহ্, দ্বিতীয় খণ্ডে সূরাহ ইউনুস থেকে সূরাহ আল ফাথির এবং তৃতীয় খণ্ডে সূরাহ ইয়াসীন থেকে সূরাহ আন নাসের তাফসীর রয়েছে।
সুরার নাম-আল ইমরান_( ইমরানের পরিবার)
সুরার ধরনঃ- মাদানী। মোট আয়াত-২০০..
3:16
اَلَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اِنَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوۡبَنَا وَ قِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿ۚ۱۶﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১৬ ও ১৭ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করছেন। যাদেরকে শ্রেষ্ঠ প্রতিদানের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। যাদের প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা ঈমান আনবে। দ্বিতীয়তঃ তারা কৃত অপরাধের জন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা চাইবে। তৃতীয়তঃ জাহান্নামের শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে।
এসব বৈশিষ্ট্যধারী মুত্তাকীরাই আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ পালনে ও নিষেধ থেকে বিরত থাকার ওপর ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সংবাদ দিয়েছেন তা সত্য বলে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি আনুগত্যশীল এবং সাহরীর সময় তথা ফজরের পূর্বে আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন এ হাদীসটি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: কেউ চাওয়ার আছ কি? আমি তাকে দেব। কেউ দু‘আ করার আছ কি? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি ক্ষমা করব। (সহীহ বুখারী হা: ১১৪৫)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্যসমূহ জানা গেল।
২. রাতের শেষভাগে ক্ষমা চাওয়া অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ এবং এ সময় কবূল হওয়াও আশাব্যঞ্জক।
৩. আল্লাহ তা‘আলা রাতের শেষভাগে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, তবে তা কিভাবে, তা তিনিই জানেন।
অত্র আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করছেন। যাদেরকে শ্রেষ্ঠ প্রতিদানের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। যাদের প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা ঈমান আনবে। দ্বিতীয়তঃ তারা কৃত অপরাধের জন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা চাইবে। তৃতীয়তঃ জাহান্নামের শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে।
এসব বৈশিষ্ট্যধারী মুত্তাকীরাই আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ পালনে ও নিষেধ থেকে বিরত থাকার ওপর ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সংবাদ দিয়েছেন তা সত্য বলে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি আনুগত্যশীল এবং সাহরীর সময় তথা ফজরের পূর্বে আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন এ হাদীসটি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: কেউ চাওয়ার আছ কি? আমি তাকে দেব। কেউ দু‘আ করার আছ কি? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি ক্ষমা করব। (সহীহ বুখারী হা: ১১৪৫)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্যসমূহ জানা গেল।
২. রাতের শেষভাগে ক্ষমা চাওয়া অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ এবং এ সময় কবূল হওয়াও আশাব্যঞ্জক।
৩. আল্লাহ তা‘আলা রাতের শেষভাগে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, তবে তা কিভাবে, তা তিনিই জানেন।
3:17
اَلصّٰبِرِیۡنَ وَ الصّٰدِقِیۡنَ وَ الۡقٰنِتِیۡنَ وَ الۡمُنۡفِقِیۡنَ وَ الۡمُسۡتَغۡفِرِیۡنَ بِالۡاَسۡحَارِ ﴿۱۷﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১৬ ও ১৭ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করছেন। যাদেরকে শ্রেষ্ঠ প্রতিদানের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। যাদের প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা ঈমান আনবে। দ্বিতীয়তঃ তারা কৃত অপরাধের জন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা চাইবে। তৃতীয়তঃ জাহান্নামের শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে।
এসব বৈশিষ্ট্যধারী মুত্তাকীরাই আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ পালনে ও নিষেধ থেকে বিরত থাকার ওপর ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সংবাদ দিয়েছেন তা সত্য বলে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি আনুগত্যশীল এবং সাহরীর সময় তথা ফজরের পূর্বে আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন এ হাদীসটি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: কেউ চাওয়ার আছ কি? আমি তাকে দেব। কেউ দু‘আ করার আছ কি? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি ক্ষমা করব। (সহীহ বুখারী হা: ১১৪৫)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্যসমূহ জানা গেল।
২. রাতের শেষভাগে ক্ষমা চাওয়া অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ এবং এ সময় কবূল হওয়াও আশাব্যঞ্জক।
৩. আল্লাহ তা‘আলা রাতের শেষভাগে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, তবে তা কিভাবে, তা তিনিই জানেন।
অত্র আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করছেন। যাদেরকে শ্রেষ্ঠ প্রতিদানের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। যাদের প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা ঈমান আনবে। দ্বিতীয়তঃ তারা কৃত অপরাধের জন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা চাইবে। তৃতীয়তঃ জাহান্নামের শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে।
এসব বৈশিষ্ট্যধারী মুত্তাকীরাই আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশ পালনে ও নিষেধ থেকে বিরত থাকার ওপর ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সংবাদ দিয়েছেন তা সত্য বলে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি আনুগত্যশীল এবং সাহরীর সময় তথা ফজরের পূর্বে আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন এ হাদীসটি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: কেউ চাওয়ার আছ কি? আমি তাকে দেব। কেউ দু‘আ করার আছ কি? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ কি? আমি ক্ষমা করব। (সহীহ বুখারী হা: ১১৪৫)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুত্তাকীদের বৈশিষ্ট্যসমূহ জানা গেল।
২. রাতের শেষভাগে ক্ষমা চাওয়া অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ এবং এ সময় কবূল হওয়াও আশাব্যঞ্জক।
৩. আল্লাহ তা‘আলা রাতের শেষভাগে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, তবে তা কিভাবে, তা তিনিই জানেন।
3:18
شَہِدَ اللّٰہُ اَنَّہٗ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۙ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ اُولُوا الۡعِلۡمِ قَآئِمًۢا بِالۡقِسۡطِ ؕ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿ؕ۱۸﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১৮-২০ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা নিজেই নিজের এককত্বের সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মা‘বূদ নেই। তিনিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। তিনি সাক্ষ্য দানকারীদের মধ্যে অধিক সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ। অতঃপর তিনি নিজের সাক্ষ্যের সাথে ফেরেশতাদের সাক্ষ্যকে সম্পৃক্ত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لٰکِنِ اللہُ یَشْھَدُ بِمَآ اَنْزَلَ اِلَیْکَ اَنْزَلَھ۫ بِعِلْمِھ۪ﺆ وَالْمَلٰ۬ئِکَةُ یَشْھَدُوْنَﺚ وَکَفٰی بِاللہِ شَھِیْدًا)
“কিন্তু আল্লাহ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন এর মাধ্যমে সাক্ষ্য দেন। তিনি তা নিজ জ্ঞানে নাযিল করেছেন নিজ জ্ঞানে এবং ফেরেশতাগণও সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।” (সূরা নিসা ৪:১৬৬)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের ব্যাপারে নিজের সাক্ষ্যের সাথে শুধু ফেরেশতাদের সাক্ষ্য সম্পৃক্ত করেননি; বরং আলিম সমাজকেও স্বীয় সাক্ষ্যের সাথে সম্পৃক্ত করে মর্যাদাশীল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আলিমরা নাবীদের ওয়ারিশ। আমি তাদেরকে টাকা-পয়সার ওয়ারিশ বানিয়ে যাননি। তাদেরকে কেবল ইলম বা জ্ঞানের ওয়ারিশ বানিয়েছি। (তিরমিযী হা: ২৬৮২ আবূ দাঊদ হা: ৩৬৪১, সহীহ)
অতএব এ আয়াত ও হাদীস প্রমাণ করে যে, সেসব আলিমই সম্মানিত ও মর্যাদাশীল যারা তাওহীদের সাক্ষ্যে দৃঢ় থাকেন। আর যাদের তাওহীদের বিষয়ে পদস্খলন ঘটেছে, শির্কে লিপ্ত হয়েছে আকীদাহ-বিশ্বাস অথবা ইবাদত-বন্দেগীতে, তারা যতই জ্ঞানের সাগর হোক না কেন, তারা কখনও সম্মানিত নয়, তারা লাঞ্চিত ধিকৃত।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের সাক্ষ্য দেয়ার পর দীন ইসলামের কথা বলছেন। দীন-ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন তিনি গ্রহণ করবেন না। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সকলে এ দীনকে গ্রহণ করে নিতে বাধ্য। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُ ج وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে কখনই তা কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫)
সকল নাবী-রাসূল এ দীন নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করেছেন। সর্বশেষ আগমন করেছেন আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি এ দীন-ইসলাম সারা জাহানের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِنِّيْ رَسُوْلُ اللّٰهِ إِلَيْكُمْ جَمِيْعَا)
“বল ‘হে মানুষ সকল! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূল।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সেই সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! এ উম্মাতের মধ্যে ইয়াহূদী হোক বা খ্রিস্টান হোক যারাই আমার নবুওয়াতের কথা শুনেছে আর আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার প্রতি ঈমান না এনে মারা যাবে সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৩৪, ২৪০)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের অবাধ্যতা ও হিংসার কথা বলেছেন, তাদের নিকট কিতাব ও রাসূলগণ আসার পরেও তারা মতভেদ করেছে একমাত্র তাদের হিংসার কারণে। তারা জানত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী এবং তিনি যা নিয়ে এসেছেন তাও সত্য; কিন্তু তারা জেনেশুনে অহংকারবশতঃ সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা সত্য গ্রহণে অহংকারী হয়ে থাকে তারা কোন দিন সঠিক পথ পায় না।الأُمِّيِّيْنَ
‘নিরক্ষর’ বলতে আরবের মুশরিকদেরকে বুঝানো হয়েছে।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন- এরপরেও যদি তারা বাদানুবাদ করে তা হলে বলে দাও, আমি ও আমার অনুসারীগণ আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। তাদেরকে আরো বলে দাও, তারা যদি আত্মসমর্পণ করে তা হলে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। অন্যথায় তুমি দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর অনুসারীদের কাজ হল দাওয়াত প্রদান, মানা আর না মানার দায়িত্ব তাদের।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:১. আহলে কিতাবগণ সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কোন কথা বললে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে; অন্যথায় নয়।
২. আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ প্রমাণের জন্য তাঁর কথাই যথেষ্ট।
৩. যারা কুরআন ও সহীহ হাদীসের কোন বিধানকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে ত্যাগ করে তারা তা প্রত্যাখ্যানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
৪. ইসলাম ব্যতীত সকল দীন বাতিল।
৫. সত্যের পথে দাওয়াত দেয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রত্যেক অনুসারীর ওপর আবশ্যক।
৬. হিংসা মানুষের সঠিক পথ গ্রহণে অন্যতম অন্তরায়।
এ আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা নিজেই নিজের এককত্বের সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মা‘বূদ নেই। তিনিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। তিনি সাক্ষ্য দানকারীদের মধ্যে অধিক সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ। অতঃপর তিনি নিজের সাক্ষ্যের সাথে ফেরেশতাদের সাক্ষ্যকে সম্পৃক্ত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لٰکِنِ اللہُ یَشْھَدُ بِمَآ اَنْزَلَ اِلَیْکَ اَنْزَلَھ۫ بِعِلْمِھ۪ﺆ وَالْمَلٰ۬ئِکَةُ یَشْھَدُوْنَﺚ وَکَفٰی بِاللہِ شَھِیْدًا)
“কিন্তু আল্লাহ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন এর মাধ্যমে সাক্ষ্য দেন। তিনি তা নিজ জ্ঞানে নাযিল করেছেন নিজ জ্ঞানে এবং ফেরেশতাগণও সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।” (সূরা নিসা ৪:১৬৬)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের ব্যাপারে নিজের সাক্ষ্যের সাথে শুধু ফেরেশতাদের সাক্ষ্য সম্পৃক্ত করেননি; বরং আলিম সমাজকেও স্বীয় সাক্ষ্যের সাথে সম্পৃক্ত করে মর্যাদাশীল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আলিমরা নাবীদের ওয়ারিশ। আমি তাদেরকে টাকা-পয়সার ওয়ারিশ বানিয়ে যাননি। তাদেরকে কেবল ইলম বা জ্ঞানের ওয়ারিশ বানিয়েছি। (তিরমিযী হা: ২৬৮২ আবূ দাঊদ হা: ৩৬৪১, সহীহ)
অতএব এ আয়াত ও হাদীস প্রমাণ করে যে, সেসব আলিমই সম্মানিত ও মর্যাদাশীল যারা তাওহীদের সাক্ষ্যে দৃঢ় থাকেন। আর যাদের তাওহীদের বিষয়ে পদস্খলন ঘটেছে, শির্কে লিপ্ত হয়েছে আকীদাহ-বিশ্বাস অথবা ইবাদত-বন্দেগীতে, তারা যতই জ্ঞানের সাগর হোক না কেন, তারা কখনও সম্মানিত নয়, তারা লাঞ্চিত ধিকৃত।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের সাক্ষ্য দেয়ার পর দীন ইসলামের কথা বলছেন। দীন-ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন তিনি গ্রহণ করবেন না। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সকলে এ দীনকে গ্রহণ করে নিতে বাধ্য। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُ ج وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে কখনই তা কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫)
সকল নাবী-রাসূল এ দীন নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করেছেন। সর্বশেষ আগমন করেছেন আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি এ দীন-ইসলাম সারা জাহানের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِنِّيْ رَسُوْلُ اللّٰهِ إِلَيْكُمْ جَمِيْعَا)
“বল ‘হে মানুষ সকল! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূল।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সেই সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! এ উম্মাতের মধ্যে ইয়াহূদী হোক বা খ্রিস্টান হোক যারাই আমার নবুওয়াতের কথা শুনেছে আর আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার প্রতি ঈমান না এনে মারা যাবে সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৩৪, ২৪০)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের অবাধ্যতা ও হিংসার কথা বলেছেন, তাদের নিকট কিতাব ও রাসূলগণ আসার পরেও তারা মতভেদ করেছে একমাত্র তাদের হিংসার কারণে। তারা জানত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী এবং তিনি যা নিয়ে এসেছেন তাও সত্য; কিন্তু তারা জেনেশুনে অহংকারবশতঃ সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা সত্য গ্রহণে অহংকারী হয়ে থাকে তারা কোন দিন সঠিক পথ পায় না।الأُمِّيِّيْنَ
‘নিরক্ষর’ বলতে আরবের মুশরিকদেরকে বুঝানো হয়েছে।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন- এরপরেও যদি তারা বাদানুবাদ করে তা হলে বলে দাও, আমি ও আমার অনুসারীগণ আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। তাদেরকে আরো বলে দাও, তারা যদি আত্মসমর্পণ করে তা হলে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। অন্যথায় তুমি দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর অনুসারীদের কাজ হল দাওয়াত প্রদান, মানা আর না মানার দায়িত্ব তাদের।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:১. আহলে কিতাবগণ সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কোন কথা বললে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে; অন্যথায় নয়।
২. আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ প্রমাণের জন্য তাঁর কথাই যথেষ্ট।
৩. যারা কুরআন ও সহীহ হাদীসের কোন বিধানকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে ত্যাগ করে তারা তা প্রত্যাখ্যানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
৪. ইসলাম ব্যতীত সকল দীন বাতিল।
৫. সত্যের পথে দাওয়াত দেয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রত্যেক অনুসারীর ওপর আবশ্যক।
৬. হিংসা মানুষের সঠিক পথ গ্রহণে অন্যতম অন্তরায়।
3:19
اِنَّ الدِّیۡنَ عِنۡدَ اللّٰہِ الۡاِسۡلَامُ ۟ وَ مَا اخۡتَلَفَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ اِلَّا مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَہُمُ الۡعِلۡمُ بَغۡیًۢا بَیۡنَہُمۡ ؕ وَ مَنۡ یَّکۡفُرۡ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ فَاِنَّ اللّٰہَ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ ﴿۱۹﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১৮-২০ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা নিজেই নিজের এককত্বের সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মা‘বূদ নেই। তিনিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। তিনি সাক্ষ্য দানকারীদের মধ্যে অধিক সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ। অতঃপর তিনি নিজের সাক্ষ্যের সাথে ফেরেশতাদের সাক্ষ্যকে সম্পৃক্ত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لٰکِنِ اللہُ یَشْھَدُ بِمَآ اَنْزَلَ اِلَیْکَ اَنْزَلَھ۫ بِعِلْمِھ۪ﺆ وَالْمَلٰ۬ئِکَةُ یَشْھَدُوْنَﺚ وَکَفٰی بِاللہِ شَھِیْدًا)
“কিন্তু আল্লাহ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন এর মাধ্যমে সাক্ষ্য দেন। তিনি তা নিজ জ্ঞানে নাযিল করেছেন নিজ জ্ঞানে এবং ফেরেশতাগণও সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।” (সূরা নিসা ৪:১৬৬)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের ব্যাপারে নিজের সাক্ষ্যের সাথে শুধু ফেরেশতাদের সাক্ষ্য সম্পৃক্ত করেননি; বরং আলিম সমাজকেও স্বীয় সাক্ষ্যের সাথে সম্পৃক্ত করে মর্যাদাশীল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আলিমরা নাবীদের ওয়ারিশ। আমি তাদেরকে টাকা-পয়সার ওয়ারিশ বানিয়ে যাননি। তাদেরকে কেবল ইলম বা জ্ঞানের ওয়ারিশ বানিয়েছি। (তিরমিযী হা: ২৬৮২ আবূ দাঊদ হা: ৩৬৪১, সহীহ)
অতএব এ আয়াত ও হাদীস প্রমাণ করে যে, সেসব আলিমই সম্মানিত ও মর্যাদাশীল যারা তাওহীদের সাক্ষ্যে দৃঢ় থাকেন। আর যাদের তাওহীদের বিষয়ে পদস্খলন ঘটেছে, শির্কে লিপ্ত হয়েছে আকীদাহ-বিশ্বাস অথবা ইবাদত-বন্দেগীতে, তারা যতই জ্ঞানের সাগর হোক না কেন, তারা কখনও সম্মানিত নয়, তারা লাঞ্চিত ধিকৃত।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের সাক্ষ্য দেয়ার পর দীন ইসলামের কথা বলছেন। দীন-ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন তিনি গ্রহণ করবেন না। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সকলে এ দীনকে গ্রহণ করে নিতে বাধ্য। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُ ج وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে কখনই তা কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫)
সকল নাবী-রাসূল এ দীন নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করেছেন। সর্বশেষ আগমন করেছেন আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি এ দীন-ইসলাম সারা জাহানের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِنِّيْ رَسُوْلُ اللّٰهِ إِلَيْكُمْ جَمِيْعَا)
“বল ‘হে মানুষ সকল! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূল।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সেই সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! এ উম্মাতের মধ্যে ইয়াহূদী হোক বা খ্রিস্টান হোক যারাই আমার নবুওয়াতের কথা শুনেছে আর আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার প্রতি ঈমান না এনে মারা যাবে সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৩৪, ২৪০)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের অবাধ্যতা ও হিংসার কথা বলেছেন, তাদের নিকট কিতাব ও রাসূলগণ আসার পরেও তারা মতভেদ করেছে একমাত্র তাদের হিংসার কারণে। তারা জানত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী এবং তিনি যা নিয়ে এসেছেন তাও সত্য; কিন্তু তারা জেনেশুনে অহংকারবশতঃ সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা সত্য গ্রহণে অহংকারী হয়ে থাকে তারা কোন দিন সঠিক পথ পায় না।
الأُمِّيِّيْنَ
‘নিরক্ষর’ বলতে আরবের মুশরিকদেরকে বুঝানো হয়েছে।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন- এরপরেও যদি তারা বাদানুবাদ করে তা হলে বলে দাও, আমি ও আমার অনুসারীগণ আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। তাদেরকে আরো বলে দাও, তারা যদি আত্মসমর্পণ করে তা হলে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। অন্যথায় তুমি দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর অনুসারীদের কাজ হল দাওয়াত প্রদান, মানা আর না মানার দায়িত্ব তাদের।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবগণ সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কোন কথা বললে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে; অন্যথায় নয়।
২. আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ প্রমাণের জন্য তাঁর কথাই যথেষ্ট।
৩. যারা কুরআন ও সহীহ হাদীসের কোন বিধানকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে ত্যাগ করে তারা তা প্রত্যাখ্যানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
৪. ইসলাম ব্যতীত সকল দীন বাতিল।
৫. সত্যের পথে দাওয়াত দেয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রত্যেক অনুসারীর ওপর আবশ্যক।
৬. হিংসা মানুষের সঠিক পথ গ্রহণে অন্যতম অন্তরায়।
এ আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা নিজেই নিজের এককত্বের সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মা‘বূদ নেই। তিনিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। তিনি সাক্ষ্য দানকারীদের মধ্যে অধিক সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ। অতঃপর তিনি নিজের সাক্ষ্যের সাথে ফেরেশতাদের সাক্ষ্যকে সম্পৃক্ত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لٰکِنِ اللہُ یَشْھَدُ بِمَآ اَنْزَلَ اِلَیْکَ اَنْزَلَھ۫ بِعِلْمِھ۪ﺆ وَالْمَلٰ۬ئِکَةُ یَشْھَدُوْنَﺚ وَکَفٰی بِاللہِ شَھِیْدًا)
“কিন্তু আল্লাহ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন এর মাধ্যমে সাক্ষ্য দেন। তিনি তা নিজ জ্ঞানে নাযিল করেছেন নিজ জ্ঞানে এবং ফেরেশতাগণও সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।” (সূরা নিসা ৪:১৬৬)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের ব্যাপারে নিজের সাক্ষ্যের সাথে শুধু ফেরেশতাদের সাক্ষ্য সম্পৃক্ত করেননি; বরং আলিম সমাজকেও স্বীয় সাক্ষ্যের সাথে সম্পৃক্ত করে মর্যাদাশীল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আলিমরা নাবীদের ওয়ারিশ। আমি তাদেরকে টাকা-পয়সার ওয়ারিশ বানিয়ে যাননি। তাদেরকে কেবল ইলম বা জ্ঞানের ওয়ারিশ বানিয়েছি। (তিরমিযী হা: ২৬৮২ আবূ দাঊদ হা: ৩৬৪১, সহীহ)
অতএব এ আয়াত ও হাদীস প্রমাণ করে যে, সেসব আলিমই সম্মানিত ও মর্যাদাশীল যারা তাওহীদের সাক্ষ্যে দৃঢ় থাকেন। আর যাদের তাওহীদের বিষয়ে পদস্খলন ঘটেছে, শির্কে লিপ্ত হয়েছে আকীদাহ-বিশ্বাস অথবা ইবাদত-বন্দেগীতে, তারা যতই জ্ঞানের সাগর হোক না কেন, তারা কখনও সম্মানিত নয়, তারা লাঞ্চিত ধিকৃত।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের সাক্ষ্য দেয়ার পর দীন ইসলামের কথা বলছেন। দীন-ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন তিনি গ্রহণ করবেন না। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সকলে এ দীনকে গ্রহণ করে নিতে বাধ্য। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُ ج وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে কখনই তা কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫)
সকল নাবী-রাসূল এ দীন নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করেছেন। সর্বশেষ আগমন করেছেন আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি এ দীন-ইসলাম সারা জাহানের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِنِّيْ رَسُوْلُ اللّٰهِ إِلَيْكُمْ جَمِيْعَا)
“বল ‘হে মানুষ সকল! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূল।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সেই সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! এ উম্মাতের মধ্যে ইয়াহূদী হোক বা খ্রিস্টান হোক যারাই আমার নবুওয়াতের কথা শুনেছে আর আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার প্রতি ঈমান না এনে মারা যাবে সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৩৪, ২৪০)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের অবাধ্যতা ও হিংসার কথা বলেছেন, তাদের নিকট কিতাব ও রাসূলগণ আসার পরেও তারা মতভেদ করেছে একমাত্র তাদের হিংসার কারণে। তারা জানত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী এবং তিনি যা নিয়ে এসেছেন তাও সত্য; কিন্তু তারা জেনেশুনে অহংকারবশতঃ সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা সত্য গ্রহণে অহংকারী হয়ে থাকে তারা কোন দিন সঠিক পথ পায় না।
الأُمِّيِّيْنَ
‘নিরক্ষর’ বলতে আরবের মুশরিকদেরকে বুঝানো হয়েছে।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন- এরপরেও যদি তারা বাদানুবাদ করে তা হলে বলে দাও, আমি ও আমার অনুসারীগণ আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। তাদেরকে আরো বলে দাও, তারা যদি আত্মসমর্পণ করে তা হলে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। অন্যথায় তুমি দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর অনুসারীদের কাজ হল দাওয়াত প্রদান, মানা আর না মানার দায়িত্ব তাদের।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবগণ সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কোন কথা বললে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে; অন্যথায় নয়।
২. আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ প্রমাণের জন্য তাঁর কথাই যথেষ্ট।
৩. যারা কুরআন ও সহীহ হাদীসের কোন বিধানকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে ত্যাগ করে তারা তা প্রত্যাখ্যানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
৪. ইসলাম ব্যতীত সকল দীন বাতিল।
৫. সত্যের পথে দাওয়াত দেয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রত্যেক অনুসারীর ওপর আবশ্যক।
৬. হিংসা মানুষের সঠিক পথ গ্রহণে অন্যতম অন্তরায়।
3:20
فَاِنۡ حَآجُّوۡکَ فَقُلۡ اَسۡلَمۡتُ وَجۡہِیَ لِلّٰہِ وَ مَنِ اتَّبَعَنِ ؕ وَ قُلۡ لِّلَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ وَ الۡاُمِّیّٖنَ ءَاَسۡلَمۡتُمۡ ؕ فَاِنۡ اَسۡلَمُوۡا فَقَدِ اہۡتَدَوۡا ۚ وَ اِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنَّمَا عَلَیۡکَ الۡبَلٰغُ ؕ وَ اللّٰہُ بَصِیۡرٌۢ بِالۡعِبَادِ ﴿٪۲۰﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
১৮-২০ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা নিজেই নিজের এককত্বের সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মা‘বূদ নেই। তিনিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। তিনি সাক্ষ্য দানকারীদের মধ্যে অধিক সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ। অতঃপর তিনি নিজের সাক্ষ্যের সাথে ফেরেশতাদের সাক্ষ্যকে সম্পৃক্ত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لٰکِنِ اللہُ یَشْھَدُ بِمَآ اَنْزَلَ اِلَیْکَ اَنْزَلَھ۫ بِعِلْمِھ۪ﺆ وَالْمَلٰ۬ئِکَةُ یَشْھَدُوْنَﺚ وَکَفٰی بِاللہِ شَھِیْدًا)
“কিন্তু আল্লাহ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন এর মাধ্যমে সাক্ষ্য দেন। তিনি তা নিজ জ্ঞানে নাযিল করেছেন নিজ জ্ঞানে এবং ফেরেশতাগণও সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।” (সূরা নিসা ৪:১৬৬)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের ব্যাপারে নিজের সাক্ষ্যের সাথে শুধু ফেরেশতাদের সাক্ষ্য সম্পৃক্ত করেননি; বরং আলিম সমাজকেও স্বীয় সাক্ষ্যের সাথে সম্পৃক্ত করে মর্যাদাশীল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আলিমরা নাবীদের ওয়ারিশ। আমি তাদেরকে টাকা-পয়সার ওয়ারিশ বানিয়ে যাননি। তাদেরকে কেবল ইলম বা জ্ঞানের ওয়ারিশ বানিয়েছি। (তিরমিযী হা: ২৬৮২ আবূ দাঊদ হা: ৩৬৪১, সহীহ)
অতএব এ আয়াত ও হাদীস প্রমাণ করে যে, সেসব আলিমই সম্মানিত ও মর্যাদাশীল যারা তাওহীদের সাক্ষ্যে দৃঢ় থাকেন। আর যাদের তাওহীদের বিষয়ে পদস্খলন ঘটেছে, শির্কে লিপ্ত হয়েছে আকীদাহ-বিশ্বাস অথবা ইবাদত-বন্দেগীতে, তারা যতই জ্ঞানের সাগর হোক না কেন, তারা কখনও সম্মানিত নয়, তারা লাঞ্চিত ধিকৃত।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের সাক্ষ্য দেয়ার পর দীন ইসলামের কথা বলছেন। দীন-ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন তিনি গ্রহণ করবেন না। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সকলে এ দীনকে গ্রহণ করে নিতে বাধ্য। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُ ج وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে কখনই তা কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫)
সকল নাবী-রাসূল এ দীন নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করেছেন। সর্বশেষ আগমন করেছেন আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি এ দীন-ইসলাম সারা জাহানের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِنِّيْ رَسُوْلُ اللّٰهِ إِلَيْكُمْ جَمِيْعَا)
“বল ‘হে মানুষ সকল! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূল।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সেই সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! এ উম্মাতের মধ্যে ইয়াহূদী হোক বা খ্রিস্টান হোক যারাই আমার নবুওয়াতের কথা শুনেছে আর আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার প্রতি ঈমান না এনে মারা যাবে সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৩৪, ২৪০)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের অবাধ্যতা ও হিংসার কথা বলেছেন, তাদের নিকট কিতাব ও রাসূলগণ আসার পরেও তারা মতভেদ করেছে একমাত্র তাদের হিংসার কারণে। তারা জানত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী এবং তিনি যা নিয়ে এসেছেন তাও সত্য; কিন্তু তারা জেনেশুনে অহংকারবশতঃ সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা সত্য গ্রহণে অহংকারী হয়ে থাকে তারা কোন দিন সঠিক পথ পায় না।الأُمِّيِّيْنَ
‘নিরক্ষর’ বলতে আরবের মুশরিকদেরকে বুঝানো হয়েছে।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন- এরপরেও যদি তারা বাদানুবাদ করে তা হলে বলে দাও, আমি ও আমার অনুসারীগণ আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। তাদেরকে আরো বলে দাও, তারা যদি আত্মসমর্পণ করে তা হলে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। অন্যথায় তুমি দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর অনুসারীদের কাজ হল দাওয়াত প্রদান, মানা আর না মানার দায়িত্ব তাদের।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবগণ সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কোন কথা বললে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে; অন্যথায় নয়।
২. আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ প্রমাণের জন্য তাঁর কথাই যথেষ্ট।
৩. যারা কুরআন ও সহীহ হাদীসের কোন বিধানকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে ত্যাগ করে তারা তা প্রত্যাখ্যানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
৪. ইসলাম ব্যতীত সকল দীন বাতিল।
৫. সত্যের পথে দাওয়াত দেয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রত্যেক অনুসারীর ওপর আবশ্যক।
৬. হিংসা মানুষের সঠিক পথ গ্রহণে অন্যতম অন্তরায়।
এ আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা নিজেই নিজের এককত্বের সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মা‘বূদ নেই। তিনিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। তিনি সাক্ষ্য দানকারীদের মধ্যে অধিক সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ। অতঃপর তিনি নিজের সাক্ষ্যের সাথে ফেরেশতাদের সাক্ষ্যকে সম্পৃক্ত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لٰکِنِ اللہُ یَشْھَدُ بِمَآ اَنْزَلَ اِلَیْکَ اَنْزَلَھ۫ بِعِلْمِھ۪ﺆ وَالْمَلٰ۬ئِکَةُ یَشْھَدُوْنَﺚ وَکَفٰی بِاللہِ شَھِیْدًا)
“কিন্তু আল্লাহ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন এর মাধ্যমে সাক্ষ্য দেন। তিনি তা নিজ জ্ঞানে নাযিল করেছেন নিজ জ্ঞানে এবং ফেরেশতাগণও সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।” (সূরা নিসা ৪:১৬৬)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের ব্যাপারে নিজের সাক্ষ্যের সাথে শুধু ফেরেশতাদের সাক্ষ্য সম্পৃক্ত করেননি; বরং আলিম সমাজকেও স্বীয় সাক্ষ্যের সাথে সম্পৃক্ত করে মর্যাদাশীল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আলিমরা নাবীদের ওয়ারিশ। আমি তাদেরকে টাকা-পয়সার ওয়ারিশ বানিয়ে যাননি। তাদেরকে কেবল ইলম বা জ্ঞানের ওয়ারিশ বানিয়েছি। (তিরমিযী হা: ২৬৮২ আবূ দাঊদ হা: ৩৬৪১, সহীহ)
অতএব এ আয়াত ও হাদীস প্রমাণ করে যে, সেসব আলিমই সম্মানিত ও মর্যাদাশীল যারা তাওহীদের সাক্ষ্যে দৃঢ় থাকেন। আর যাদের তাওহীদের বিষয়ে পদস্খলন ঘটেছে, শির্কে লিপ্ত হয়েছে আকীদাহ-বিশ্বাস অথবা ইবাদত-বন্দেগীতে, তারা যতই জ্ঞানের সাগর হোক না কেন, তারা কখনও সম্মানিত নয়, তারা লাঞ্চিত ধিকৃত।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের সাক্ষ্য দেয়ার পর দীন ইসলামের কথা বলছেন। দীন-ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন তিনি গ্রহণ করবেন না। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সকলে এ দীনকে গ্রহণ করে নিতে বাধ্য। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُ ج وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে কখনই তা কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫)
সকল নাবী-রাসূল এ দীন নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করেছেন। সর্বশেষ আগমন করেছেন আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি এ দীন-ইসলাম সারা জাহানের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِنِّيْ رَسُوْلُ اللّٰهِ إِلَيْكُمْ جَمِيْعَا)
“বল ‘হে মানুষ সকল! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূল।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সেই সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! এ উম্মাতের মধ্যে ইয়াহূদী হোক বা খ্রিস্টান হোক যারাই আমার নবুওয়াতের কথা শুনেছে আর আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার প্রতি ঈমান না এনে মারা যাবে সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৩৪, ২৪০)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের অবাধ্যতা ও হিংসার কথা বলেছেন, তাদের নিকট কিতাব ও রাসূলগণ আসার পরেও তারা মতভেদ করেছে একমাত্র তাদের হিংসার কারণে। তারা জানত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী এবং তিনি যা নিয়ে এসেছেন তাও সত্য; কিন্তু তারা জেনেশুনে অহংকারবশতঃ সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা সত্য গ্রহণে অহংকারী হয়ে থাকে তারা কোন দিন সঠিক পথ পায় না।الأُمِّيِّيْنَ
‘নিরক্ষর’ বলতে আরবের মুশরিকদেরকে বুঝানো হয়েছে।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন- এরপরেও যদি তারা বাদানুবাদ করে তা হলে বলে দাও, আমি ও আমার অনুসারীগণ আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। তাদেরকে আরো বলে দাও, তারা যদি আত্মসমর্পণ করে তা হলে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। অন্যথায় তুমি দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর অনুসারীদের কাজ হল দাওয়াত প্রদান, মানা আর না মানার দায়িত্ব তাদের।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবগণ সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কোন কথা বললে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে; অন্যথায় নয়।
২. আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ প্রমাণের জন্য তাঁর কথাই যথেষ্ট।
৩. যারা কুরআন ও সহীহ হাদীসের কোন বিধানকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে ত্যাগ করে তারা তা প্রত্যাখ্যানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
৪. ইসলাম ব্যতীত সকল দীন বাতিল।
৫. সত্যের পথে দাওয়াত দেয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রত্যেক অনুসারীর ওপর আবশ্যক।
৬. হিংসা মানুষের সঠিক পথ গ্রহণে অন্যতম অন্তরায়।
3:21
اِنَّ الَّذِیۡنَ یَکۡفُرُوۡنَ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ وَ یَقۡتُلُوۡنَ النَّبِیّٖنَ بِغَیۡرِ حَقٍّ ۙ وَّ یَقۡتُلُوۡنَ الَّذِیۡنَ یَاۡمُرُوۡنَ بِالۡقِسۡطِ مِنَ النَّاسِ ۙ فَبَشِّرۡہُمۡ بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ ﴿۲۱﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
২১-২২ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতদ্বয়ে আহলে কিতাবের মধ্যকার যারা কুফরী করেছে, অন্যায়ভাবে নাবীদের ও যারা ন্যায় পরায়ণতার নির্দেশ দিত তাদেরকে হত্যা করেছে, তারা নাবী ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের সাথে এরূপ করেছিল এ জন্য যে, নাবী ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের কথা তাদের মনঃপুত হয়নি। দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের সব আমল বরবাদ হয়ে গেছে। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
আজও সঠিক বিধান ও ফায়সালা যাদের মর্জি মত হয় না, দলের মতের ও তরিকার সাথে মিলে না বলে প্রত্যাখ্যান করে তাদের পরিণতি ভাল হবার আশা করা যায় না।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবগণ (ইয়াহূদী ও খ্রিস্টান) জেনেশুনে সত্য ত্যাগ করেছে।
২. আহলে কিতাবদের অবাধ্যতা এতদূর পর্যন্ত পৌঁছেছিল যে, তারা নাবীদের হত্যা করতে ইতস্ততবোধ করেনি।
৩. যারা জেনেশুনে সত্য ত্যাগ করে তাদের পরিণতি শুভ হয় না।
অত্র আয়াতদ্বয়ে আহলে কিতাবের মধ্যকার যারা কুফরী করেছে, অন্যায়ভাবে নাবীদের ও যারা ন্যায় পরায়ণতার নির্দেশ দিত তাদেরকে হত্যা করেছে, তারা নাবী ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের সাথে এরূপ করেছিল এ জন্য যে, নাবী ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের কথা তাদের মনঃপুত হয়নি। দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের সব আমল বরবাদ হয়ে গেছে। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
আজও সঠিক বিধান ও ফায়সালা যাদের মর্জি মত হয় না, দলের মতের ও তরিকার সাথে মিলে না বলে প্রত্যাখ্যান করে তাদের পরিণতি ভাল হবার আশা করা যায় না।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবগণ (ইয়াহূদী ও খ্রিস্টান) জেনেশুনে সত্য ত্যাগ করেছে।
২. আহলে কিতাবদের অবাধ্যতা এতদূর পর্যন্ত পৌঁছেছিল যে, তারা নাবীদের হত্যা করতে ইতস্ততবোধ করেনি।
৩. যারা জেনেশুনে সত্য ত্যাগ করে তাদের পরিণতি শুভ হয় না।
3:22
اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ حَبِطَتۡ اَعۡمَالُہُمۡ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ۫ وَ مَا لَہُمۡ مِّنۡ نّٰصِرِیۡنَ ﴿۲۲﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
২১-২২ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতদ্বয়ে আহলে কিতাবের মধ্যকার যারা কুফরী করেছে, অন্যায়ভাবে নাবীদের ও যারা ন্যায় পরায়ণতার নির্দেশ দিত তাদেরকে হত্যা করেছে, তারা নাবী ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের সাথে এরূপ করেছিল এ জন্য যে, নাবী ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের কথা তাদের মনঃপুত হয়নি। দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের সব আমল বরবাদ হয়ে গেছে। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
আজও সঠিক বিধান ও ফায়সালা যাদের মর্জি মত হয় না, দলের মতের ও তরিকার সাথে মিলে না বলে প্রত্যাখ্যান করে তাদের পরিণতি ভাল হবার আশা করা যায় না।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবগণ (ইয়াহূদী ও খ্রিস্টান) জেনেশুনে সত্য ত্যাগ করেছে।
২. আহলে কিতাবদের অবাধ্যতা এতদূর পর্যন্ত পৌঁছেছিল যে, তারা নাবীদের হত্যা করতে ইতস্ততবোধ করেনি।
৩. যারা জেনেশুনে সত্য ত্যাগ করে তাদের পরিণতি শুভ হয় না।
অত্র আয়াতদ্বয়ে আহলে কিতাবের মধ্যকার যারা কুফরী করেছে, অন্যায়ভাবে নাবীদের ও যারা ন্যায় পরায়ণতার নির্দেশ দিত তাদেরকে হত্যা করেছে, তারা নাবী ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের সাথে এরূপ করেছিল এ জন্য যে, নাবী ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিদের কথা তাদের মনঃপুত হয়নি। দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের সব আমল বরবাদ হয়ে গেছে। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
আজও সঠিক বিধান ও ফায়সালা যাদের মর্জি মত হয় না, দলের মতের ও তরিকার সাথে মিলে না বলে প্রত্যাখ্যান করে তাদের পরিণতি ভাল হবার আশা করা যায় না।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবগণ (ইয়াহূদী ও খ্রিস্টান) জেনেশুনে সত্য ত্যাগ করেছে।
২. আহলে কিতাবদের অবাধ্যতা এতদূর পর্যন্ত পৌঁছেছিল যে, তারা নাবীদের হত্যা করতে ইতস্ততবোধ করেনি।
৩. যারা জেনেশুনে সত্য ত্যাগ করে তাদের পরিণতি শুভ হয় না।
3:23
اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ اُوۡتُوۡا نَصِیۡبًا مِّنَ الۡکِتٰبِ یُدۡعَوۡنَ اِلٰی کِتٰبِ اللّٰہِ لِیَحۡکُمَ بَیۡنَہُمۡ ثُمَّ یَتَوَلّٰی فَرِیۡقٌ مِّنۡہُمۡ وَ ہُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ ﴿۲۳﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
২৩-২৫ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূলঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদীদের একটি দলের সাথে তাদের পাঠশালায় প্রবেশ করে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার দিকে আহ্বান করেন। নু‘আইম বিন আমর ও হারেস বিন যায়েদ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল: হে মুহাম্মাদ! তুমি কোন্ দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আমি ইবরাহীম (আঃ)-এর দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তারা দু’জন বলল: ইবরাহীম (আঃ) তো ইয়াহূদী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তা হলে তাওরাত নিয়ে আস! তা আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দেবে। তারা তাওরাত নিয়ে আসতে অস্বীকার করল। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (তাফসীর কুরতুবী ২/৩৯)
এ আয়াতগুলোতে মদীনার ইয়াহূদীদেরকে বুঝানো হয়েছে। তাদের অধিকাংশেরই ইসলাম গ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়নি। তারা ইসলাম, মুসলিম ও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)্-এর বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র করার কাজে লিপ্ত থাকত। ফলে তাদের দু’টি গোত্রকে মদীনা থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিল এবং একটি গোত্রের লোকেদেরকে চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে হত্যা করা হয়েছিল। এসব ইয়াহূদীদেরকে তাদের মাঝে ফায়সালার জন্য কুরআনের বিধানের দিকে আহ্বান করলে মুখ ফিরিয়ে নিত। তাদের এ অবাধ্যতার কারণ হল, তারা বলতো: আমরা কিছু দিন মাত্র জাহান্নামে থাকব এরপর জান্নাতে চলে যাব।
এটা তাদের মৌখিক দাবী। কিয়ামাতের দিন এ দাবী খাটবে না, সেদিন যে যা আমল করেছে তার প্রতিদান পুরোপুরি পাবে।
এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, পূর্ববর্তীদের শরীয়ত আমাদের জন্য প্রযোজ্য; তবে আমাদের শরীয়ত তাদের যা রহিত করে দিয়েছে তা প্রযোজ্য নয়।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীরা হল ইসলাম ও মুসলিমদের প্রধান শত্র“।
২. কুরআন ও হাদীসের সঠিক ফায়সালা মেনে না নেয়া দীনকে প্রত্যাখ্যান করার শামিল।
শানে নুযূলঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদীদের একটি দলের সাথে তাদের পাঠশালায় প্রবেশ করে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার দিকে আহ্বান করেন। নু‘আইম বিন আমর ও হারেস বিন যায়েদ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল: হে মুহাম্মাদ! তুমি কোন্ দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আমি ইবরাহীম (আঃ)-এর দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তারা দু’জন বলল: ইবরাহীম (আঃ) তো ইয়াহূদী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তা হলে তাওরাত নিয়ে আস! তা আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দেবে। তারা তাওরাত নিয়ে আসতে অস্বীকার করল। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (তাফসীর কুরতুবী ২/৩৯)
এ আয়াতগুলোতে মদীনার ইয়াহূদীদেরকে বুঝানো হয়েছে। তাদের অধিকাংশেরই ইসলাম গ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়নি। তারা ইসলাম, মুসলিম ও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)্-এর বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র করার কাজে লিপ্ত থাকত। ফলে তাদের দু’টি গোত্রকে মদীনা থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিল এবং একটি গোত্রের লোকেদেরকে চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে হত্যা করা হয়েছিল। এসব ইয়াহূদীদেরকে তাদের মাঝে ফায়সালার জন্য কুরআনের বিধানের দিকে আহ্বান করলে মুখ ফিরিয়ে নিত। তাদের এ অবাধ্যতার কারণ হল, তারা বলতো: আমরা কিছু দিন মাত্র জাহান্নামে থাকব এরপর জান্নাতে চলে যাব।
এটা তাদের মৌখিক দাবী। কিয়ামাতের দিন এ দাবী খাটবে না, সেদিন যে যা আমল করেছে তার প্রতিদান পুরোপুরি পাবে।
এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, পূর্ববর্তীদের শরীয়ত আমাদের জন্য প্রযোজ্য; তবে আমাদের শরীয়ত তাদের যা রহিত করে দিয়েছে তা প্রযোজ্য নয়।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীরা হল ইসলাম ও মুসলিমদের প্রধান শত্র“।
২. কুরআন ও হাদীসের সঠিক ফায়সালা মেনে না নেয়া দীনকে প্রত্যাখ্যান করার শামিল।
3:24
ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَالُوۡا لَنۡ تَمَسَّنَا النَّارُ اِلَّاۤ اَیَّامًا مَّعۡدُوۡدٰتٍ ۪ وَ غَرَّہُمۡ فِیۡ دِیۡنِہِمۡ مَّا کَانُوۡا یَفۡتَرُوۡنَ ﴿۲۴﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
২৩-২৫ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূলঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদীদের একটি দলের সাথে তাদের পাঠশালায় প্রবেশ করে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার দিকে আহ্বান করেন। নু‘আইম বিন আমর ও হারেস বিন যায়েদ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল: হে মুহাম্মাদ! তুমি কোন্ দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আমি ইবরাহীম (আঃ)-এর দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তারা দু’জন বলল: ইবরাহীম (আঃ) তো ইয়াহূদী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তা হলে তাওরাত নিয়ে আস! তা আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দেবে। তারা তাওরাত নিয়ে আসতে অস্বীকার করল। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (তাফসীর কুরতুবী ২/৩৯)
এ আয়াতগুলোতে মদীনার ইয়াহূদীদেরকে বুঝানো হয়েছে। তাদের অধিকাংশেরই ইসলাম গ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়নি। তারা ইসলাম, মুসলিম ও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)্-এর বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র করার কাজে লিপ্ত থাকত। ফলে তাদের দু’টি গোত্রকে মদীনা থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিল এবং একটি গোত্রের লোকেদেরকে চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে হত্যা করা হয়েছিল। এসব ইয়াহূদীদেরকে তাদের মাঝে ফায়সালার জন্য কুরআনের বিধানের দিকে আহ্বান করলে মুখ ফিরিয়ে নিত। তাদের এ অবাধ্যতার কারণ হল, তারা বলতো: আমরা কিছু দিন মাত্র জাহান্নামে থাকব এরপর জান্নাতে চলে যাব।
এটা তাদের মৌখিক দাবী। কিয়ামাতের দিন এ দাবী খাটবে না, সেদিন যে যা আমল করেছে তার প্রতিদান পুরোপুরি পাবে।
এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, পূর্ববর্তীদের শরীয়ত আমাদের জন্য প্রযোজ্য; তবে আমাদের শরীয়ত তাদের যা রহিত করে দিয়েছে তা প্রযোজ্য নয়।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীরা হল ইসলাম ও মুসলিমদের প্রধান শত্র“।
২. কুরআন ও হাদীসের সঠিক ফায়সালা মেনে না নেয়া দীনকে প্রত্যাখ্যান করার শামিল।
শানে নুযূলঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদীদের একটি দলের সাথে তাদের পাঠশালায় প্রবেশ করে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার দিকে আহ্বান করেন। নু‘আইম বিন আমর ও হারেস বিন যায়েদ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল: হে মুহাম্মাদ! তুমি কোন্ দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আমি ইবরাহীম (আঃ)-এর দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তারা দু’জন বলল: ইবরাহীম (আঃ) তো ইয়াহূদী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তা হলে তাওরাত নিয়ে আস! তা আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দেবে। তারা তাওরাত নিয়ে আসতে অস্বীকার করল। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (তাফসীর কুরতুবী ২/৩৯)
এ আয়াতগুলোতে মদীনার ইয়াহূদীদেরকে বুঝানো হয়েছে। তাদের অধিকাংশেরই ইসলাম গ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়নি। তারা ইসলাম, মুসলিম ও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)্-এর বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র করার কাজে লিপ্ত থাকত। ফলে তাদের দু’টি গোত্রকে মদীনা থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিল এবং একটি গোত্রের লোকেদেরকে চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে হত্যা করা হয়েছিল। এসব ইয়াহূদীদেরকে তাদের মাঝে ফায়সালার জন্য কুরআনের বিধানের দিকে আহ্বান করলে মুখ ফিরিয়ে নিত। তাদের এ অবাধ্যতার কারণ হল, তারা বলতো: আমরা কিছু দিন মাত্র জাহান্নামে থাকব এরপর জান্নাতে চলে যাব।
এটা তাদের মৌখিক দাবী। কিয়ামাতের দিন এ দাবী খাটবে না, সেদিন যে যা আমল করেছে তার প্রতিদান পুরোপুরি পাবে।
এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, পূর্ববর্তীদের শরীয়ত আমাদের জন্য প্রযোজ্য; তবে আমাদের শরীয়ত তাদের যা রহিত করে দিয়েছে তা প্রযোজ্য নয়।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীরা হল ইসলাম ও মুসলিমদের প্রধান শত্র“।
২. কুরআন ও হাদীসের সঠিক ফায়সালা মেনে না নেয়া দীনকে প্রত্যাখ্যান করার শামিল।
3:25
فَکَیۡفَ اِذَا جَمَعۡنٰہُمۡ لِیَوۡمٍ لَّا رَیۡبَ فِیۡہِ ۟ وَ وُفِّیَتۡ کُلُّ نَفۡسٍ مَّا کَسَبَتۡ وَ ہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ ﴿۲۵﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
২৩-২৫ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূলঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদীদের একটি দলের সাথে তাদের পাঠশালায় প্রবেশ করে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার দিকে আহ্বান করেন। নু‘আইম বিন আমর ও হারেস বিন যায়েদ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল: হে মুহাম্মাদ! তুমি কোন্ দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আমি ইবরাহীম (আঃ)-এর দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তারা দু’জন বলল: ইবরাহীম (আঃ) তো ইয়াহূদী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তা হলে তাওরাত নিয়ে আস! তা আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দেবে। তারা তাওরাত নিয়ে আসতে অস্বীকার করল। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (তাফসীর কুরতুবী ২/৩৯)
এ আয়াতগুলোতে মদীনার ইয়াহূদীদেরকে বুঝানো হয়েছে। তাদের অধিকাংশেরই ইসলাম গ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়নি। তারা ইসলাম, মুসলিম ও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)্-এর বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র করার কাজে লিপ্ত থাকত। ফলে তাদের দু’টি গোত্রকে মদীনা থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিল এবং একটি গোত্রের লোকেদেরকে চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে হত্যা করা হয়েছিল। এসব ইয়াহূদীদেরকে তাদের মাঝে ফায়সালার জন্য কুরআনের বিধানের দিকে আহ্বান করলে মুখ ফিরিয়ে নিত। তাদের এ অবাধ্যতার কারণ হল, তারা বলতো: আমরা কিছু দিন মাত্র জাহান্নামে থাকব এরপর জান্নাতে চলে যাব।
এটা তাদের মৌখিক দাবী। কিয়ামাতের দিন এ দাবী খাটবে না, সেদিন যে যা আমল করেছে তার প্রতিদান পুরোপুরি পাবে।
এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, পূর্ববর্তীদের শরীয়ত আমাদের জন্য প্রযোজ্য; তবে আমাদের শরীয়ত তাদের যা রহিত করে দিয়েছে তা প্রযোজ্য নয়।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীরা হল ইসলাম ও মুসলিমদের প্রধান শত্র“।
২. কুরআন ও হাদীসের সঠিক ফায়সালা মেনে না নেয়া দীনকে প্রত্যাখ্যান করার শামিল।
শানে নুযূলঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইয়াহূদীদের একটি দলের সাথে তাদের পাঠশালায় প্রবেশ করে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার দিকে আহ্বান করেন। নু‘আইম বিন আমর ও হারেস বিন যায়েদ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল: হে মুহাম্মাদ! তুমি কোন্ দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আমি ইবরাহীম (আঃ)-এর দীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। তারা দু’জন বলল: ইবরাহীম (আঃ) তো ইয়াহূদী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: তা হলে তাওরাত নিয়ে আস! তা আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দেবে। তারা তাওরাত নিয়ে আসতে অস্বীকার করল। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (তাফসীর কুরতুবী ২/৩৯)
এ আয়াতগুলোতে মদীনার ইয়াহূদীদেরকে বুঝানো হয়েছে। তাদের অধিকাংশেরই ইসলাম গ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়নি। তারা ইসলাম, মুসলিম ও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)্-এর বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র করার কাজে লিপ্ত থাকত। ফলে তাদের দু’টি গোত্রকে মদীনা থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছিল এবং একটি গোত্রের লোকেদেরকে চুক্তি ভঙ্গের অপরাধে হত্যা করা হয়েছিল। এসব ইয়াহূদীদেরকে তাদের মাঝে ফায়সালার জন্য কুরআনের বিধানের দিকে আহ্বান করলে মুখ ফিরিয়ে নিত। তাদের এ অবাধ্যতার কারণ হল, তারা বলতো: আমরা কিছু দিন মাত্র জাহান্নামে থাকব এরপর জান্নাতে চলে যাব।
এটা তাদের মৌখিক দাবী। কিয়ামাতের দিন এ দাবী খাটবে না, সেদিন যে যা আমল করেছে তার প্রতিদান পুরোপুরি পাবে।
এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, পূর্ববর্তীদের শরীয়ত আমাদের জন্য প্রযোজ্য; তবে আমাদের শরীয়ত তাদের যা রহিত করে দিয়েছে তা প্রযোজ্য নয়।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইয়াহূদীরা হল ইসলাম ও মুসলিমদের প্রধান শত্র“।
২. কুরআন ও হাদীসের সঠিক ফায়সালা মেনে না নেয়া দীনকে প্রত্যাখ্যান করার শামিল।
3:26
قُلِ اللّٰہُمَّ مٰلِکَ الۡمُلۡکِ تُؤۡتِی الۡمُلۡکَ مَنۡ تَشَآءُ وَ تَنۡزِعُ الۡمُلۡکَ مِمَّنۡ تَشَآءُ ۫ وَ تُعِزُّ مَنۡ تَشَآءُ وَ تُذِلُّ مَنۡ تَشَآءُ ؕ بِیَدِکَ الۡخَیۡرُ ؕ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۲۶﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
২৬-২৭ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াত দু’টিতে আল্লাহ তা‘আলার সীমাহীন শক্তি, সার্বভৌমত্ব ও মালিকানার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তিনি সমস্ত কর্তৃত্বের মালিক। তিনি বাদশাকে ফকির করেন ফকিরকে বাদশা বানান। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। তাঁর হাতেই সকল কল্যাণ। সকল ক্ষমতার উৎস একমাত্র তিনি, তিনিই সার্বভৌমত্বের মালিক। তিনি যেভাবে ইচ্ছা পৃথিবী পরিচালনা করেন, যখন যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন। তাঁকে কারো কাছে কৈফিয়ত দিতে হয় না; বরং তাঁর কাছে সকলেই কৈফিয়ত দিতে বাধ্য।
দিন রাতের আবর্তন, দিন রাত ছোট-বড়করণ, ঋতুর পরিবর্তন ইত্যাদি তিনিই করেন।
মৃতকে জীবিত করেন ও জীবিতকে করেন মৃত। যেমন মৃত বীর্য থেকে জীবন্ত মানুষ বের করেন আবার সেই জীবন্ত মানুষ থেকে মৃত বীর্য বের হয়। অনুরূপ মৃত ডিম থেকে প্রথমে মুরগী, তারপর জীবন্ত মুরগী থেকে মৃত ডিম। আবার কাফির থেকে মু’মিন এবং মু’মিন থেকে কাফির সৃষ্টি করেন।
কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, মুয়ায (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ার অভিযোগ করলে তিনি তাকে বললেন: তুমি
(اللّٰھُمَّ مٰلِکَ الْمُلْکِ)
আয়াতটি তেলাওয়াত করে এ দু‘আটি পাঠ কর:اللّٰھُمَّ مٰلِکَ الْمُلْکِ تُؤْتِی الْمُلْکَ مَنْ تَشَا۬ئُﺑ وَتَنْزِعُ الْمُلْکَ مِمَّنْ تَشَا۬ئُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَا۬ئُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَا۬ئُﺚ بِیَدِکَ الْخَیْرُﺚ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ، رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، تُعْطِيهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ
হে আল্লাহ! আপনিই রাজত্বের মালিক, যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আবার যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন। আর যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন আবার যাকে চান অপদস্থ করেন। আপনার হাতেই সকল কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান। আপনি দুনিয়া ও পরকালে দয়ালু ও দয়াময়। আপনি যাকে ইচ্ছা উভয় জগতের কল্যাণ দান করেন আবার যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করেন। আমাকে এমনভাবে দয়া করুন যাতে অন্যের দয়ার মুখাপেক্ষী না হতে হয়। (তাবারানী হা: ৩২৩) অপর এক বর্ণনায় এসেছে এটা এমন একটি দু‘আ যে, তোমার উহুদ পাহাড় সমান ঋণ থাকলেও আল্লাহ তা‘আলা তা আদায় করার ব্যবস্থা করে দেবেন। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১৮৬, হাদীসের বর্ণনাকারীরা সবাই নির্ভরযোগ্য)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার হাত আছে তার প্রমাণ পেলাম, তবে কোন মাখলুকের সাথে এর তুলনা হয় না বরং মহান আল্লাহ তা‘আলার জন্য যেমন শোভা পায় তেমনই তাঁর হাত রয়েছে।
২. সকল কল্যাণের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা; কোন গাউস, কুতুব, পীর-ফকির নয়। তাই সব কিছু শুধু আল্লাহ তা‘আলার কাছেই চাইতে হবে।
৩. দিন-রাত, ঋতু ও যুগের পরিবর্তন আল্লাহ তা‘আলার কর্তৃত্বাধীন। কালের পরিক্রমায় নয়।
৪. পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের একমাত্র মালিক আল্লাহ তা‘আলা।
এ আয়াত দু’টিতে আল্লাহ তা‘আলার সীমাহীন শক্তি, সার্বভৌমত্ব ও মালিকানার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তিনি সমস্ত কর্তৃত্বের মালিক। তিনি বাদশাকে ফকির করেন ফকিরকে বাদশা বানান। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। তাঁর হাতেই সকল কল্যাণ। সকল ক্ষমতার উৎস একমাত্র তিনি, তিনিই সার্বভৌমত্বের মালিক। তিনি যেভাবে ইচ্ছা পৃথিবী পরিচালনা করেন, যখন যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন। তাঁকে কারো কাছে কৈফিয়ত দিতে হয় না; বরং তাঁর কাছে সকলেই কৈফিয়ত দিতে বাধ্য।
দিন রাতের আবর্তন, দিন রাত ছোট-বড়করণ, ঋতুর পরিবর্তন ইত্যাদি তিনিই করেন।
মৃতকে জীবিত করেন ও জীবিতকে করেন মৃত। যেমন মৃত বীর্য থেকে জীবন্ত মানুষ বের করেন আবার সেই জীবন্ত মানুষ থেকে মৃত বীর্য বের হয়। অনুরূপ মৃত ডিম থেকে প্রথমে মুরগী, তারপর জীবন্ত মুরগী থেকে মৃত ডিম। আবার কাফির থেকে মু’মিন এবং মু’মিন থেকে কাফির সৃষ্টি করেন।
কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, মুয়ায (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ার অভিযোগ করলে তিনি তাকে বললেন: তুমি
(اللّٰھُمَّ مٰلِکَ الْمُلْکِ)
আয়াতটি তেলাওয়াত করে এ দু‘আটি পাঠ কর:اللّٰھُمَّ مٰلِکَ الْمُلْکِ تُؤْتِی الْمُلْکَ مَنْ تَشَا۬ئُﺑ وَتَنْزِعُ الْمُلْکَ مِمَّنْ تَشَا۬ئُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَا۬ئُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَا۬ئُﺚ بِیَدِکَ الْخَیْرُﺚ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ، رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، تُعْطِيهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ
হে আল্লাহ! আপনিই রাজত্বের মালিক, যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আবার যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন। আর যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন আবার যাকে চান অপদস্থ করেন। আপনার হাতেই সকল কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান। আপনি দুনিয়া ও পরকালে দয়ালু ও দয়াময়। আপনি যাকে ইচ্ছা উভয় জগতের কল্যাণ দান করেন আবার যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করেন। আমাকে এমনভাবে দয়া করুন যাতে অন্যের দয়ার মুখাপেক্ষী না হতে হয়। (তাবারানী হা: ৩২৩) অপর এক বর্ণনায় এসেছে এটা এমন একটি দু‘আ যে, তোমার উহুদ পাহাড় সমান ঋণ থাকলেও আল্লাহ তা‘আলা তা আদায় করার ব্যবস্থা করে দেবেন। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১৮৬, হাদীসের বর্ণনাকারীরা সবাই নির্ভরযোগ্য)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার হাত আছে তার প্রমাণ পেলাম, তবে কোন মাখলুকের সাথে এর তুলনা হয় না বরং মহান আল্লাহ তা‘আলার জন্য যেমন শোভা পায় তেমনই তাঁর হাত রয়েছে।
২. সকল কল্যাণের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা; কোন গাউস, কুতুব, পীর-ফকির নয়। তাই সব কিছু শুধু আল্লাহ তা‘আলার কাছেই চাইতে হবে।
৩. দিন-রাত, ঋতু ও যুগের পরিবর্তন আল্লাহ তা‘আলার কর্তৃত্বাধীন। কালের পরিক্রমায় নয়।
৪. পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের একমাত্র মালিক আল্লাহ তা‘আলা।
3:27
تُوۡلِجُ الَّیۡلَ فِی النَّہَارِ وَ تُوۡلِجُ النَّہَارَ فِی الَّیۡلِ ۫ وَ تُخۡرِجُ الۡحَیَّ مِنَ الۡمَیِّتِ وَ تُخۡرِجُ الۡمَیِّتَ مِنَ الۡحَیِّ ۫ وَ تَرۡزُقُ مَنۡ تَشَآءُ بِغَیۡرِ حِسَابٍ ﴿۲۷﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
২৬-২৭ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াত দু’টিতে আল্লাহ তা‘আলার সীমাহীন শক্তি, সার্বভৌমত্ব ও মালিকানার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তিনি সমস্ত কর্তৃত্বের মালিক। তিনি বাদশাকে ফকির করেন ফকিরকে বাদশা বানান। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। তাঁর হাতেই সকল কল্যাণ। সকল ক্ষমতার উৎস একমাত্র তিনি, তিনিই সার্বভৌমত্বের মালিক। তিনি যেভাবে ইচ্ছা পৃথিবী পরিচালনা করেন, যখন যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন। তাঁকে কারো কাছে কৈফিয়ত দিতে হয় না; বরং তাঁর কাছে সকলেই কৈফিয়ত দিতে বাধ্য।
দিন রাতের আবর্তন, দিন রাত ছোট-বড়করণ, ঋতুর পরিবর্তন ইত্যাদি তিনিই করেন।
মৃতকে জীবিত করেন ও জীবিতকে করেন মৃত। যেমন মৃত বীর্য থেকে জীবন্ত মানুষ বের করেন আবার সেই জীবন্ত মানুষ থেকে মৃত বীর্য বের হয়। অনুরূপ মৃত ডিম থেকে প্রথমে মুরগী, তারপর জীবন্ত মুরগী থেকে মৃত ডিম। আবার কাফির থেকে মু’মিন এবং মু’মিন থেকে কাফির সৃষ্টি করেন।
কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, মুয়ায (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ার অভিযোগ করলে তিনি তাকে বললেন: তুমি
(اللّٰھُمَّ مٰلِکَ الْمُلْکِ)
আয়াতটি তেলাওয়াত করে এ দু‘আটি পাঠ কর:اللّٰھُمَّ مٰلِکَ الْمُلْکِ تُؤْتِی الْمُلْکَ مَنْ تَشَا۬ئُﺑ وَتَنْزِعُ الْمُلْکَ مِمَّنْ تَشَا۬ئُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَا۬ئُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَا۬ئُﺚ بِیَدِکَ الْخَیْرُﺚ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ، رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، تُعْطِيهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ
হে আল্লাহ! আপনিই রাজত্বের মালিক, যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আবার যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন। আর যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন আবার যাকে চান অপদস্থ করেন। আপনার হাতেই সকল কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান। আপনি দুনিয়া ও পরকালে দয়ালু ও দয়াময়। আপনি যাকে ইচ্ছা উভয় জগতের কল্যাণ দান করেন আবার যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করেন। আমাকে এমনভাবে দয়া করুন যাতে অন্যের দয়ার মুখাপেক্ষী না হতে হয়। (তাবারানী হা: ৩২৩) অপর এক বর্ণনায় এসেছে এটা এমন একটি দু‘আ যে, তোমার উহুদ পাহাড় সমান ঋণ থাকলেও আল্লাহ তা‘আলা তা আদায় করার ব্যবস্থা করে দেবেন। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১৮৬, হাদীসের বর্ণনাকারীরা সবাই নির্ভরযোগ্য)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার হাত আছে তার প্রমাণ পেলাম, তবে কোন মাখলুকের সাথে এর তুলনা হয় না বরং মহান আল্লাহ তা‘আলার জন্য যেমন শোভা পায় তেমনই তাঁর হাত রয়েছে।
২. সকল কল্যাণের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা; কোন গাউস, কুতুব, পীর-ফকির নয়। তাই সব কিছু শুধু আল্লাহ তা‘আলার কাছেই চাইতে হবে।
৩. দিন-রাত, ঋতু ও যুগের পরিবর্তন আল্লাহ তা‘আলার কর্তৃত্বাধীন। কালের পরিক্রমায় নয়।
৪. পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের একমাত্র মালিক আল্লাহ তা‘আলা।
এ আয়াত দু’টিতে আল্লাহ তা‘আলার সীমাহীন শক্তি, সার্বভৌমত্ব ও মালিকানার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তিনি সমস্ত কর্তৃত্বের মালিক। তিনি বাদশাকে ফকির করেন ফকিরকে বাদশা বানান। যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। তাঁর হাতেই সকল কল্যাণ। সকল ক্ষমতার উৎস একমাত্র তিনি, তিনিই সার্বভৌমত্বের মালিক। তিনি যেভাবে ইচ্ছা পৃথিবী পরিচালনা করেন, যখন যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন। তাঁকে কারো কাছে কৈফিয়ত দিতে হয় না; বরং তাঁর কাছে সকলেই কৈফিয়ত দিতে বাধ্য।
দিন রাতের আবর্তন, দিন রাত ছোট-বড়করণ, ঋতুর পরিবর্তন ইত্যাদি তিনিই করেন।
মৃতকে জীবিত করেন ও জীবিতকে করেন মৃত। যেমন মৃত বীর্য থেকে জীবন্ত মানুষ বের করেন আবার সেই জীবন্ত মানুষ থেকে মৃত বীর্য বের হয়। অনুরূপ মৃত ডিম থেকে প্রথমে মুরগী, তারপর জীবন্ত মুরগী থেকে মৃত ডিম। আবার কাফির থেকে মু’মিন এবং মু’মিন থেকে কাফির সৃষ্টি করেন।
কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, মুয়ায (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ার অভিযোগ করলে তিনি তাকে বললেন: তুমি
(اللّٰھُمَّ مٰلِکَ الْمُلْکِ)
আয়াতটি তেলাওয়াত করে এ দু‘আটি পাঠ কর:اللّٰھُمَّ مٰلِکَ الْمُلْکِ تُؤْتِی الْمُلْکَ مَنْ تَشَا۬ئُﺑ وَتَنْزِعُ الْمُلْکَ مِمَّنْ تَشَا۬ئُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَا۬ئُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَا۬ئُﺚ بِیَدِکَ الْخَیْرُﺚ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ، رَحْمَانُ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، تُعْطِيهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، وَتَمْنَعُ مِنْهُمَا مَنْ تَشَاءُ ، ارْحَمْنِي رَحْمَةً تُغْنِينِي بِهَا عَنْ رَحْمَةِ مَنْ سِوَاكَ
হে আল্লাহ! আপনিই রাজত্বের মালিক, যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আবার যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন। আর যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন আবার যাকে চান অপদস্থ করেন। আপনার হাতেই সকল কল্যাণ। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান। আপনি দুনিয়া ও পরকালে দয়ালু ও দয়াময়। আপনি যাকে ইচ্ছা উভয় জগতের কল্যাণ দান করেন আবার যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করেন। আমাকে এমনভাবে দয়া করুন যাতে অন্যের দয়ার মুখাপেক্ষী না হতে হয়। (তাবারানী হা: ৩২৩) অপর এক বর্ণনায় এসেছে এটা এমন একটি দু‘আ যে, তোমার উহুদ পাহাড় সমান ঋণ থাকলেও আল্লাহ তা‘আলা তা আদায় করার ব্যবস্থা করে দেবেন। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১০/১৮৬, হাদীসের বর্ণনাকারীরা সবাই নির্ভরযোগ্য)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলার হাত আছে তার প্রমাণ পেলাম, তবে কোন মাখলুকের সাথে এর তুলনা হয় না বরং মহান আল্লাহ তা‘আলার জন্য যেমন শোভা পায় তেমনই তাঁর হাত রয়েছে।
২. সকল কল্যাণের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা; কোন গাউস, কুতুব, পীর-ফকির নয়। তাই সব কিছু শুধু আল্লাহ তা‘আলার কাছেই চাইতে হবে।
৩. দিন-রাত, ঋতু ও যুগের পরিবর্তন আল্লাহ তা‘আলার কর্তৃত্বাধীন। কালের পরিক্রমায় নয়।
৪. পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের একমাত্র মালিক আল্লাহ তা‘আলা।
3:28
لَا یَتَّخِذِ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الۡکٰفِرِیۡنَ اَوۡلِیَآءَ مِنۡ دُوۡنِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ فَلَیۡسَ مِنَ اللّٰہِ فِیۡ شَیۡءٍ اِلَّاۤ اَنۡ تَتَّقُوۡا مِنۡہُمۡ تُقٰىۃً ؕ وَ یُحَذِّرُکُمُ اللّٰہُ نَفۡسَہٗ ؕ وَ اِلَی اللّٰہِ الۡمَصِیۡرُ ﴿۲۸﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
২৮ নং আয়াতের তাফসীরঃ
এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে মু’মিন ব্যতীত কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করছেন। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْكٰفِرِيْنَ أَوْلِيَا۬ءَ مِنْ دُوْنِ الْمُؤْمِنِيْنَ)
“হে মু’মিনগণ! তোমরা মু’মিনগণের পরিবর্তে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।” (সূরা নিসা ৪:১৪৪)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(یٰٓاَیُّھَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْیَھُوْدَ وَالنَّصٰرٰٓی اَوْلِیَا۬ئَﺮ بَعْضُھُمْ اَوْلِیَا۬ئُ بَعْضٍﺚ وَمَنْ یَّتَوَلَّھُمْ مِّنْکُمْ فَاِنَّھ۫ مِنْھُمْﺚ اِنَّ اللہَ لَا یَھْدِی الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَ)
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ কর না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে সে তাদেরই একজন গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ অত্যাচারী লোকেদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৫১) আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَا۬ءَ)
“হে মু’মিনগণ! আমার শত্র“ ও তোমাদের শত্র“কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।” (সূরা মুমতাহিনা ৬০:১)
সুতরাং অমুসলিমদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা নিষিদ্ধ ও কবীরা গুনাহ। যে ব্যক্তি এ কবীরা গুনায় লিপ্ত হবে সে আল্লাহ তা‘আলার দায়িত্ব থেকে মুক্ত থাকবে। এ বন্ধুত্ব হলো মুশরিকদেরকে ভালবাসার বন্ধুত্ব আর এটাই হলো কুফরী ও ধর্মহীনতা। মুশরিকদেরকে ভালবাসার মূলে হলো কুফরী ও ধর্মহীনতা। এ ভালবাসা থেকেই তাদেরকে সহযোগিতা করার প্রেরণা জাগে। অতত্রব মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সহযোগিতা করাই তাদের সাথে বন্ধুত্বের প্রমাণ করে। আর মুশরিকদের সাথে এ বন্ধুত্বই হলো ধর্মহীনতার প্রমাণ। সুতরাং মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকরদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা ইসলাম বিনষ্টের অন্যতম কারণ। মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকরদেরকে সাহায্য করার অর্থ হলো কাফিরদেরকে ভালবাসা। আর কাফিরদেরকে ভালবাসা হলো ইসলাম ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে যাওয়া। যা কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। তবে তাদের সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্ব রাখা যাবে যখন তাদের থেকে কোন অনিষ্টতার আশংকা হয়। শুধু বাহ্যিক বন্ধুত্ব হবে কিন্তু অন্তরে ঘৃণা থাকবে। যেমন ইমাম বুখারী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন, আবূ দারদা (রাঃ) বলেন,
بَاب الْمُدَارَاةِ مَعَ النَّاسِ وَيُذْكَرُ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ إِنَّا لَنَكْشِرُ فِي وُجُوهِ أَقْوَامٍ وَإِنَّ قُلُوبَنَا لَتَلْعَنُهُمْ
কোন কোন জাতির সাথে আমরা হাসি মুখে মিলিত হই কিন্তু আমাদের অন্তর তাদের প্রতি অভিশম্পাত করে। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল আদাব, অনুচ্ছেদ দীনের স্বার্থে মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করা)
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তার শাস্তি সম্পর্কে অবগত করছেন। তাঁর কাছেই সকলকে ফিরে যেতে হবে। সুতরাং কে কোন্ উদ্দেশ্যে অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব রাখে মানুষ তা না জানলেও আল্লাহ তা‘আলা তা জানেন, সে অনুযায়ী তিনি বিচার করবেন।
আয়াতের শিক্ষাঃ
১. অমুসলিমদের সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্ক রাখা হারাম।
২. অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা ও ভালবাসা এবং সহযোগিতা করা কুফরী যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়।
৩. মুসলিমদের থেকে কাফিরদের শক্তি সামর্থ্য বেশি থাকলে কিম্বা তাদের থেকে কোন ক্ষতির আশংকা করলে তাদের সাথে বাহ্যিক সম্পর্ক রাখা যেতে পারে তবে অন্তরে ঘৃণা থাকতে হবে।
এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে মু’মিন ব্যতীত কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করছেন। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْكٰفِرِيْنَ أَوْلِيَا۬ءَ مِنْ دُوْنِ الْمُؤْمِنِيْنَ)
“হে মু’মিনগণ! তোমরা মু’মিনগণের পরিবর্তে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।” (সূরা নিসা ৪:১৪৪)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(یٰٓاَیُّھَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْیَھُوْدَ وَالنَّصٰرٰٓی اَوْلِیَا۬ئَﺮ بَعْضُھُمْ اَوْلِیَا۬ئُ بَعْضٍﺚ وَمَنْ یَّتَوَلَّھُمْ مِّنْکُمْ فَاِنَّھ۫ مِنْھُمْﺚ اِنَّ اللہَ لَا یَھْدِی الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَ)
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ কর না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে সে তাদেরই একজন গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ অত্যাচারী লোকেদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।” (সূরা মায়িদাহ ৫:৫১) আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(يٰٓأَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَا۬ءَ)
“হে মু’মিনগণ! আমার শত্র“ ও তোমাদের শত্র“কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।” (সূরা মুমতাহিনা ৬০:১)
সুতরাং অমুসলিমদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা নিষিদ্ধ ও কবীরা গুনাহ। যে ব্যক্তি এ কবীরা গুনায় লিপ্ত হবে সে আল্লাহ তা‘আলার দায়িত্ব থেকে মুক্ত থাকবে। এ বন্ধুত্ব হলো মুশরিকদেরকে ভালবাসার বন্ধুত্ব আর এটাই হলো কুফরী ও ধর্মহীনতা। মুশরিকদেরকে ভালবাসার মূলে হলো কুফরী ও ধর্মহীনতা। এ ভালবাসা থেকেই তাদেরকে সহযোগিতা করার প্রেরণা জাগে। অতত্রব মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সহযোগিতা করাই তাদের সাথে বন্ধুত্বের প্রমাণ করে। আর মুশরিকদের সাথে এ বন্ধুত্বই হলো ধর্মহীনতার প্রমাণ। সুতরাং মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকরদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা ইসলাম বিনষ্টের অন্যতম কারণ। মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকরদেরকে সাহায্য করার অর্থ হলো কাফিরদেরকে ভালবাসা। আর কাফিরদেরকে ভালবাসা হলো ইসলাম ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে যাওয়া। যা কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। তবে তাদের সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্ব রাখা যাবে যখন তাদের থেকে কোন অনিষ্টতার আশংকা হয়। শুধু বাহ্যিক বন্ধুত্ব হবে কিন্তু অন্তরে ঘৃণা থাকবে। যেমন ইমাম বুখারী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন, আবূ দারদা (রাঃ) বলেন,
بَاب الْمُدَارَاةِ مَعَ النَّاسِ وَيُذْكَرُ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ إِنَّا لَنَكْشِرُ فِي وُجُوهِ أَقْوَامٍ وَإِنَّ قُلُوبَنَا لَتَلْعَنُهُمْ
কোন কোন জাতির সাথে আমরা হাসি মুখে মিলিত হই কিন্তু আমাদের অন্তর তাদের প্রতি অভিশম্পাত করে। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল আদাব, অনুচ্ছেদ দীনের স্বার্থে মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করা)
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তার শাস্তি সম্পর্কে অবগত করছেন। তাঁর কাছেই সকলকে ফিরে যেতে হবে। সুতরাং কে কোন্ উদ্দেশ্যে অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব রাখে মানুষ তা না জানলেও আল্লাহ তা‘আলা তা জানেন, সে অনুযায়ী তিনি বিচার করবেন।
আয়াতের শিক্ষাঃ
১. অমুসলিমদের সাথে সর্বপ্রকার সম্পর্ক রাখা হারাম।
২. অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা ও ভালবাসা এবং সহযোগিতা করা কুফরী যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়।
৩. মুসলিমদের থেকে কাফিরদের শক্তি সামর্থ্য বেশি থাকলে কিম্বা তাদের থেকে কোন ক্ষতির আশংকা করলে তাদের সাথে বাহ্যিক সম্পর্ক রাখা যেতে পারে তবে অন্তরে ঘৃণা থাকতে হবে।
3:29
قُلۡ اِنۡ تُخۡفُوۡا مَا فِیۡ صُدُوۡرِکُمۡ اَوۡ تُبۡدُوۡہُ یَعۡلَمۡہُ اللّٰہُ ؕ وَ یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۲۹﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
২৯-৩০ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সবকিছু জানেন, কিছুই তার কাছে গোপন নেই- সে কথাই এ আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
কিয়ামাতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তি তার আমলনামা উপস্থিত পাবে। যাদের আমলনামা খারাপ হবে তারা আফসোস করে বলবে, হায়! যদি আমার ও আমার এ খারাপ আমলের মধ্যে অনেক দূরত্ব হতো। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاَمَّا مَنْ اُوْتِیَ کِتٰبَھ۫ بِشِمَالِھ۪ﺃ فَیَقُوْلُ یٰلَیْتَنِیْ لَمْ اُوْتَ کِتٰبِیَھْﭨﺆ وَلَمْ اَدْرِ مَا حِسَابِیَھْ)
“আর যার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবে: হায়! আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেয়া হত। এবং আমি যদি আমার হিসাব কী, তা না জানতাম!” (সূরা হাক্কাহ ৬৯:২৫-২৬)
যে শয়তান তাকে খারাপ কাজে প্রেরণা দিয়েছে তার কাছ থেকেও দূরে থাকার আফসোস প্রকাশ করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قَالَ يَا لَيْتَ بَيْنِيْ وَبَيْنَكَ بُعْدَ الْمَشْرِقَيْنِ فَبِئْسَ الْقَرِيْنُ)
“সে (শয়তানকে) বলবে: হায়! আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব ও পশ্চিমের ব্যবধান থাকত! কতই না নিকৃষ্ট সহচর সে!” (সূরা যুখরুƒফ ৪৩:৩৮) সুতরাং যে শয়তানের প্রতারণায় আমরা আজ অপরাধের সাগরে ডুবে আছি কিয়ামতের দিন সে শয়তানকে দোষ দেয়ার সুযোগ থাকবে না; বরং নিজের অপরাধের বোঝা নিজেকেই বহন করে লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে যেতে হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষ যা প্রকাশ করে ও গোপন করে এমনকি আকাশে ও জমিনে যা আছে তাও আল্লাহ তা‘আলা জানেন।
২. ভাল-মন্দ সবকিছুর প্রতিদান মানুষ পাবে।
৩. পাপাচারীগণ কিয়ামতের দিন আফসোস করবে; কিন্তু তাদের আফসোস কোন কাজে আসবে না।
আল্লাহ তা‘আলা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সবকিছু জানেন, কিছুই তার কাছে গোপন নেই- সে কথাই এ আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
কিয়ামাতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তি তার আমলনামা উপস্থিত পাবে। যাদের আমলনামা খারাপ হবে তারা আফসোস করে বলবে, হায়! যদি আমার ও আমার এ খারাপ আমলের মধ্যে অনেক দূরত্ব হতো। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاَمَّا مَنْ اُوْتِیَ کِتٰبَھ۫ بِشِمَالِھ۪ﺃ فَیَقُوْلُ یٰلَیْتَنِیْ لَمْ اُوْتَ کِتٰبِیَھْﭨﺆ وَلَمْ اَدْرِ مَا حِسَابِیَھْ)
“আর যার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবে: হায়! আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেয়া হত। এবং আমি যদি আমার হিসাব কী, তা না জানতাম!” (সূরা হাক্কাহ ৬৯:২৫-২৬)
যে শয়তান তাকে খারাপ কাজে প্রেরণা দিয়েছে তার কাছ থেকেও দূরে থাকার আফসোস প্রকাশ করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قَالَ يَا لَيْتَ بَيْنِيْ وَبَيْنَكَ بُعْدَ الْمَشْرِقَيْنِ فَبِئْسَ الْقَرِيْنُ)
“সে (শয়তানকে) বলবে: হায়! আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব ও পশ্চিমের ব্যবধান থাকত! কতই না নিকৃষ্ট সহচর সে!” (সূরা যুখরুƒফ ৪৩:৩৮) সুতরাং যে শয়তানের প্রতারণায় আমরা আজ অপরাধের সাগরে ডুবে আছি কিয়ামতের দিন সে শয়তানকে দোষ দেয়ার সুযোগ থাকবে না; বরং নিজের অপরাধের বোঝা নিজেকেই বহন করে লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে যেতে হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষ যা প্রকাশ করে ও গোপন করে এমনকি আকাশে ও জমিনে যা আছে তাও আল্লাহ তা‘আলা জানেন।
২. ভাল-মন্দ সবকিছুর প্রতিদান মানুষ পাবে।
৩. পাপাচারীগণ কিয়ামতের দিন আফসোস করবে; কিন্তু তাদের আফসোস কোন কাজে আসবে না।
3:30
یَوۡمَ تَجِدُ کُلُّ نَفۡسٍ مَّا عَمِلَتۡ مِنۡ خَیۡرٍ مُّحۡضَرًا ۚۖۛ وَّ مَا عَمِلَتۡ مِنۡ سُوۡٓءٍ ۚۛ تَوَدُّ لَوۡ اَنَّ بَیۡنَہَا وَ بَیۡنَہٗۤ اَمَدًۢا بَعِیۡدًا ؕ وَ یُحَذِّرُکُمُ اللّٰہُ نَفۡسَہٗ ؕ وَ اللّٰہُ رَءُوۡفٌۢ بِالۡعِبَادِ ﴿٪۳۰﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
২৯-৩০ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সবকিছু জানেন, কিছুই তার কাছে গোপন নেই- সে কথাই এ আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
কিয়ামাতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তি তার আমলনামা উপস্থিত পাবে। যাদের আমলনামা খারাপ হবে তারা আফসোস করে বলবে, হায়! যদি আমার ও আমার এ খারাপ আমলের মধ্যে অনেক দূরত্ব হতো। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاَمَّا مَنْ اُوْتِیَ کِتٰبَھ۫ بِشِمَالِھ۪ﺃ فَیَقُوْلُ یٰلَیْتَنِیْ لَمْ اُوْتَ کِتٰبِیَھْﭨﺆ وَلَمْ اَدْرِ مَا حِسَابِیَھْ)
“আর যার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবে: হায়! আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেয়া হত। এবং আমি যদি আমার হিসাব কী, তা না জানতাম!” (সূরা হাক্কাহ ৬৯:২৫-২৬)
যে শয়তান তাকে খারাপ কাজে প্রেরণা দিয়েছে তার কাছ থেকেও দূরে থাকার আফসোস প্রকাশ করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قَالَ يَا لَيْتَ بَيْنِيْ وَبَيْنَكَ بُعْدَ الْمَشْرِقَيْنِ فَبِئْسَ الْقَرِيْنُ)
“সে (শয়তানকে) বলবে: হায়! আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব ও পশ্চিমের ব্যবধান থাকত! কতই না নিকৃষ্ট সহচর সে!” (সূরা যুখরুƒফ ৪৩:৩৮) সুতরাং যে শয়তানের প্রতারণায় আমরা আজ অপরাধের সাগরে ডুবে আছি কিয়ামতের দিন সে শয়তানকে দোষ দেয়ার সুযোগ থাকবে না; বরং নিজের অপরাধের বোঝা নিজেকেই বহন করে লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে যেতে হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষ যা প্রকাশ করে ও গোপন করে এমনকি আকাশে ও জমিনে যা আছে তাও আল্লাহ তা‘আলা জানেন।
২. ভাল-মন্দ সবকিছুর প্রতিদান মানুষ পাবে।
৩. পাপাচারীগণ কিয়ামতের দিন আফসোস করবে; কিন্তু তাদের আফসোস কোন কাজে আসবে না।
আল্লাহ তা‘আলা প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সবকিছু জানেন, কিছুই তার কাছে গোপন নেই- সে কথাই এ আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
কিয়ামাতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তি তার আমলনামা উপস্থিত পাবে। যাদের আমলনামা খারাপ হবে তারা আফসোস করে বলবে, হায়! যদি আমার ও আমার এ খারাপ আমলের মধ্যে অনেক দূরত্ব হতো। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاَمَّا مَنْ اُوْتِیَ کِتٰبَھ۫ بِشِمَالِھ۪ﺃ فَیَقُوْلُ یٰلَیْتَنِیْ لَمْ اُوْتَ کِتٰبِیَھْﭨﺆ وَلَمْ اَدْرِ مَا حِسَابِیَھْ)
“আর যার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবে: হায়! আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেয়া হত। এবং আমি যদি আমার হিসাব কী, তা না জানতাম!” (সূরা হাক্কাহ ৬৯:২৫-২৬)
যে শয়তান তাকে খারাপ কাজে প্রেরণা দিয়েছে তার কাছ থেকেও দূরে থাকার আফসোস প্রকাশ করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قَالَ يَا لَيْتَ بَيْنِيْ وَبَيْنَكَ بُعْدَ الْمَشْرِقَيْنِ فَبِئْسَ الْقَرِيْنُ)
“সে (শয়তানকে) বলবে: হায়! আমার ও তোমার মধ্যে যদি পূর্ব ও পশ্চিমের ব্যবধান থাকত! কতই না নিকৃষ্ট সহচর সে!” (সূরা যুখরুƒফ ৪৩:৩৮) সুতরাং যে শয়তানের প্রতারণায় আমরা আজ অপরাধের সাগরে ডুবে আছি কিয়ামতের দিন সে শয়তানকে দোষ দেয়ার সুযোগ থাকবে না; বরং নিজের অপরাধের বোঝা নিজেকেই বহন করে লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে যেতে হবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মানুষ যা প্রকাশ করে ও গোপন করে এমনকি আকাশে ও জমিনে যা আছে তাও আল্লাহ তা‘আলা জানেন।
২. ভাল-মন্দ সবকিছুর প্রতিদান মানুষ পাবে।
৩. পাপাচারীগণ কিয়ামতের দিন আফসোস করবে; কিন্তু তাদের আফসোস কোন কাজে আসবে না।
3:31
قُلۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰہَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ اللّٰہُ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳۱﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৩১-৩২ নং আয়াতের তাফসীর:
যারা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রকৃতপক্ষে ভালবাসে এ আয়াত তাদের জন্য মাপকাঠি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হল একচ্ছত্রভাবে তাঁর অনুসরণ করা।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করা আল্লাহ তা‘আলাকে অনুসরণ করার শামিল। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসা হল আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসার নামান্তর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّٰهَ)
“কেউ রাসূলের আনুগত্য করলে সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল।” (সূরা নিসা ৪:৮০)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আমার উম্মাতের প্রত্যেকে জান্নাতে যাবে তবে যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তারা ব্যতীত। সাহাবীগণ বললেন: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে আর যে আমার অবাধ্য হবে সে হল অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী। (সহীহ বুখারী হা: ৭২৮০)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَطِيْعُوا اللّٰهَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَلَا تُبْطِلُوْآ أَعْمَالَكُمْ)
“আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য স্বীকার কর। আর নিজেদের আমল নষ্ট কর না।” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩৩)
এরূপ অনেক আয়াতে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। যারা রাসূলকে ভালবাসার নামে আশেকে রাসূল, ঈদে মিলাদুন্নবী, কিয়াম, বর্ণাঢ্য র্যালী, শোভাযাত্রা, নাবী দিবস ইত্যাদি আচার-অনুষ্ঠান করে থাকেন তাদের জানা উচিত, এসব মনগড়া কার্যক্রমে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ভালবাসা দেখানো তো দূরের কথা বরং এ জাতীয় কাজ রাসূলের সাথে বিরোধিতার শামিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ভালবাসা কেবল তাঁর অনুসরণে, অনুকরণে। দল, মত, তরিকা, মাযহাব বর্জন করে তাঁর সহীহ হাদীসের আলোকে আমলে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে বহু জাল (বানোয়াট) হাদীস সমাজে ছড়িয়ে রয়েছে। সে সব জাল-মিথ্যা বানোয়াট হাদীসের আশ্রয় নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণের বৃথা চেষ্টা করলে জান্নাত তো দূরের কথা, জাহান্নামে স্থান পেতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত আমার নামে মিথ্যা কথা বলবে সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। (সহীহ বুখারী হা: ১২১৯)
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যেভাবে ভালবাসা দরকার সেভাবে ভালবাসার তৌফিক দান করুন। আমীন!
(أَطِيْعُوا اللّٰهَ وَالرَّسُوْلَ)
“তোমরা আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্য কর” এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য করার সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য করার প্রতি পুনরায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আর তাঁর আনুগত্য হলো তাঁর সুন্নাতের অনুসরণের মাঝে। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণের মাঝে মুক্তি নিহিত রয়েছে। যারা দল, মত ও তরিকার দোহাই দিয়ে প্রকৃত অনুরসণ থেকে বিমুখ হবে তারা এমন কুফরীর পর্যায়ে চলে যাবে, যে কুফরীর কারণে আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের ভালবাসেন না। তাই দল, তরিকা ও মাযহাবের দোহাই দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহীহ সুন্নাতকে বর্জন করা কত বড় অপরাধ তা অনুধাবন করা উচিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসতে হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ আবশ্যক।
২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে তাঁর সহীহ সুন্নাহর অনুসরণ।
৩. যারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে মনগড়া বিভিন্ন ইবাদত তৈরি করে তারা তাঁর আনুগত্যশীল নয়।
৪. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবেসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করলে আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।
৫. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করা ফরয।
যারা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রকৃতপক্ষে ভালবাসে এ আয়াত তাদের জন্য মাপকাঠি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হল একচ্ছত্রভাবে তাঁর অনুসরণ করা।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করা আল্লাহ তা‘আলাকে অনুসরণ করার শামিল। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসা হল আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসার নামান্তর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّٰهَ)
“কেউ রাসূলের আনুগত্য করলে সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল।” (সূরা নিসা ৪:৮০)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আমার উম্মাতের প্রত্যেকে জান্নাতে যাবে তবে যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তারা ব্যতীত। সাহাবীগণ বললেন: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে আর যে আমার অবাধ্য হবে সে হল অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী। (সহীহ বুখারী হা: ৭২৮০)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَطِيْعُوا اللّٰهَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَلَا تُبْطِلُوْآ أَعْمَالَكُمْ)
“আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য স্বীকার কর। আর নিজেদের আমল নষ্ট কর না।” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩৩)
এরূপ অনেক আয়াতে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। যারা রাসূলকে ভালবাসার নামে আশেকে রাসূল, ঈদে মিলাদুন্নবী, কিয়াম, বর্ণাঢ্য র্যালী, শোভাযাত্রা, নাবী দিবস ইত্যাদি আচার-অনুষ্ঠান করে থাকেন তাদের জানা উচিত, এসব মনগড়া কার্যক্রমে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ভালবাসা দেখানো তো দূরের কথা বরং এ জাতীয় কাজ রাসূলের সাথে বিরোধিতার শামিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ভালবাসা কেবল তাঁর অনুসরণে, অনুকরণে। দল, মত, তরিকা, মাযহাব বর্জন করে তাঁর সহীহ হাদীসের আলোকে আমলে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে বহু জাল (বানোয়াট) হাদীস সমাজে ছড়িয়ে রয়েছে। সে সব জাল-মিথ্যা বানোয়াট হাদীসের আশ্রয় নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণের বৃথা চেষ্টা করলে জান্নাত তো দূরের কথা, জাহান্নামে স্থান পেতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত আমার নামে মিথ্যা কথা বলবে সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। (সহীহ বুখারী হা: ১২১৯)
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যেভাবে ভালবাসা দরকার সেভাবে ভালবাসার তৌফিক দান করুন। আমীন!
(أَطِيْعُوا اللّٰهَ وَالرَّسُوْلَ)
“তোমরা আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্য কর” এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য করার সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য করার প্রতি পুনরায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আর তাঁর আনুগত্য হলো তাঁর সুন্নাতের অনুসরণের মাঝে। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণের মাঝে মুক্তি নিহিত রয়েছে। যারা দল, মত ও তরিকার দোহাই দিয়ে প্রকৃত অনুরসণ থেকে বিমুখ হবে তারা এমন কুফরীর পর্যায়ে চলে যাবে, যে কুফরীর কারণে আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের ভালবাসেন না। তাই দল, তরিকা ও মাযহাবের দোহাই দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহীহ সুন্নাতকে বর্জন করা কত বড় অপরাধ তা অনুধাবন করা উচিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসতে হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ আবশ্যক।
২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে তাঁর সহীহ সুন্নাহর অনুসরণ।
৩. যারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে মনগড়া বিভিন্ন ইবাদত তৈরি করে তারা তাঁর আনুগত্যশীল নয়।
৪. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবেসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করলে আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।
৫. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করা ফরয।
3:32
قُلۡ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ الرَّسُوۡلَ ۚ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۳۲﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৩১-৩২ নং আয়াতের তাফসীর:
যারা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রকৃতপক্ষে ভালবাসে এ আয়াত তাদের জন্য মাপকাঠি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হল একচ্ছত্রভাবে তাঁর অনুসরণ করা।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করা আল্লাহ তা‘আলাকে অনুসরণ করার শামিল। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসা হল আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসার নামান্তর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّٰهَ)
“কেউ রাসূলের আনুগত্য করলে সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল।” (সূরা নিসা ৪:৮০)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আমার উম্মাতের প্রত্যেকে জান্নাতে যাবে তবে যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তারা ব্যতীত। সাহাবীগণ বললেন: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে আর যে আমার অবাধ্য হবে সে হল অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী। (সহীহ বুখারী হা: ৭২৮০)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَطِيْعُوا اللّٰهَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَلَا تُبْطِلُوْآ أَعْمَالَكُمْ)
“আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য স্বীকার কর। আর নিজেদের আমল নষ্ট কর না।” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩৩)
এরূপ অনেক আয়াতে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। যারা রাসূলকে ভালবাসার নামে আশেকে রাসূল, ঈদে মিলাদুন্নবী, কিয়াম, বর্ণাঢ্য র্যালী, শোভাযাত্রা, নাবী দিবস ইত্যাদি আচার-অনুষ্ঠান করে থাকেন তাদের জানা উচিত, এসব মনগড়া কার্যক্রমে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ভালবাসা দেখানো তো দূরের কথা বরং এ জাতীয় কাজ রাসূলের সাথে বিরোধিতার শামিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ভালবাসা কেবল তাঁর অনুসরণে, অনুকরণে। দল, মত, তরিকা, মাযহাব বর্জন করে তাঁর সহীহ হাদীসের আলোকে আমলে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে বহু জাল (বানোয়াট) হাদীস সমাজে ছড়িয়ে রয়েছে। সে সব জাল-মিথ্যা বানোয়াট হাদীসের আশ্রয় নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণের বৃথা চেষ্টা করলে জান্নাত তো দূরের কথা, জাহান্নামে স্থান পেতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত আমার নামে মিথ্যা কথা বলবে সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। (সহীহ বুখারী হা: ১২১৯)
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যেভাবে ভালবাসা দরকার সেভাবে ভালবাসার তৌফিক দান করুন। আমীন!
(أَطِيْعُوا اللّٰهَ وَالرَّسُوْلَ)
“তোমরা আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্য কর” এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য করার সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য করার প্রতি পুনরায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আর তাঁর আনুগত্য হলো তাঁর সুন্নাতের অনুসরণের মাঝে। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণের মাঝে মুক্তি নিহিত রয়েছে। যারা দল, মত ও তরিকার দোহাই দিয়ে প্রকৃত অনুরসণ থেকে বিমুখ হবে তারা এমন কুফরীর পর্যায়ে চলে যাবে, যে কুফরীর কারণে আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের ভালবাসেন না। তাই দল, তরিকা ও মাযহাবের দোহাই দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহীহ সুন্নাতকে বর্জন করা কত বড় অপরাধ তা অনুধাবন করা উচিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসতে হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ আবশ্যক।
২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে তাঁর সহীহ সুন্নাহর অনুসরণ।
৩. যারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে মনগড়া বিভিন্ন ইবাদত তৈরি করে তারা তাঁর আনুগত্যশীল নয়।
৪. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবেসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করলে আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।
৫. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করা ফরয।
যারা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রকৃতপক্ষে ভালবাসে এ আয়াত তাদের জন্য মাপকাঠি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হল একচ্ছত্রভাবে তাঁর অনুসরণ করা।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করা আল্লাহ তা‘আলাকে অনুসরণ করার শামিল। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসা হল আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসার নামান্তর। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّٰهَ)
“কেউ রাসূলের আনুগত্য করলে সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল।” (সূরা নিসা ৪:৮০)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আমার উম্মাতের প্রত্যেকে জান্নাতে যাবে তবে যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তারা ব্যতীত। সাহাবীগণ বললেন: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে কারা? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে আর যে আমার অবাধ্য হবে সে হল অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী। (সহীহ বুখারী হা: ৭২৮০)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَطِيْعُوا اللّٰهَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَلَا تُبْطِلُوْآ أَعْمَالَكُمْ)
“আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য স্বীকার কর। আর নিজেদের আমল নষ্ট কর না।” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩৩)
এরূপ অনেক আয়াতে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। যারা রাসূলকে ভালবাসার নামে আশেকে রাসূল, ঈদে মিলাদুন্নবী, কিয়াম, বর্ণাঢ্য র্যালী, শোভাযাত্রা, নাবী দিবস ইত্যাদি আচার-অনুষ্ঠান করে থাকেন তাদের জানা উচিত, এসব মনগড়া কার্যক্রমে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ভালবাসা দেখানো তো দূরের কথা বরং এ জাতীয় কাজ রাসূলের সাথে বিরোধিতার শামিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ভালবাসা কেবল তাঁর অনুসরণে, অনুকরণে। দল, মত, তরিকা, মাযহাব বর্জন করে তাঁর সহীহ হাদীসের আলোকে আমলে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে বহু জাল (বানোয়াট) হাদীস সমাজে ছড়িয়ে রয়েছে। সে সব জাল-মিথ্যা বানোয়াট হাদীসের আশ্রয় নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণের বৃথা চেষ্টা করলে জান্নাত তো দূরের কথা, জাহান্নামে স্থান পেতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا، فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত আমার নামে মিথ্যা কথা বলবে সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। (সহীহ বুখারী হা: ১২১৯)
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যেভাবে ভালবাসা দরকার সেভাবে ভালবাসার তৌফিক দান করুন। আমীন!
(أَطِيْعُوا اللّٰهَ وَالرَّسُوْلَ)
“তোমরা আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্য কর” এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য করার সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আনুগত্য করার প্রতি পুনরায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আর তাঁর আনুগত্য হলো তাঁর সুন্নাতের অনুসরণের মাঝে। এতে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণের মাঝে মুক্তি নিহিত রয়েছে। যারা দল, মত ও তরিকার দোহাই দিয়ে প্রকৃত অনুরসণ থেকে বিমুখ হবে তারা এমন কুফরীর পর্যায়ে চলে যাবে, যে কুফরীর কারণে আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের ভালবাসেন না। তাই দল, তরিকা ও মাযহাবের দোহাই দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সহীহ সুন্নাতকে বর্জন করা কত বড় অপরাধ তা অনুধাবন করা উচিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবাসতে হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ আবশ্যক।
২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে তাঁর সহীহ সুন্নাহর অনুসরণ।
৩. যারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে মনগড়া বিভিন্ন ইবাদত তৈরি করে তারা তাঁর আনুগত্যশীল নয়।
৪. আল্লাহ তা‘আলাকে ভালবেসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে অনুসরণ করলে আল্লাহ তা‘আলা সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।
৫. আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করা ফরয।
3:33
اِنَّ اللّٰہَ اصۡطَفٰۤی اٰدَمَ وَ نُوۡحًا وَّ اٰلَ اِبۡرٰہِیۡمَ وَ اٰلَ عِمۡرٰنَ عَلَی الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿ۙ۳۳﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৩৩-৩৪ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা আদম, নূহ, ইবরাহীমের (আঃ) বংশধর এবং ইমরানের বংশধরকে চয়ন করে তৎকালীন সময়ে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলেন। আদম (আঃ)-কে স্বয়ং নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, ফেরেশতাদের দ্বারা সিজদাহ করিয়েছেন এবং জান্নাতে বসবাস করিয়েছেন।
নূহ (আঃ)-কে নবুওয়াত দান করেছেন। তিনি মানুষকে একাধারে ৯৫০ বছর এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের দিকে আহ্বান করেছেন এবং মূর্তিপূজা ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁকেসহ তাঁর অনুসারী এবং প্রত্যেক প্রাণীর জোড়াসহ রক্ষা করে বাকি সবাইকে বন্যায় ডুবিয়ে মেরেছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-কে এবং তাঁর বংশে বিভিন্ন সময় নাবী-রাসূল (যেমন: ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়া‘কূব (আঃ) ইত্যাদি) হিসেবে প্রেরণ করে সম্মানিত করেছেন।
ইমরান নামে দু’জন ব্যক্তি ছিলেন: ১. মূসা (আঃ) ও হারুন (আঃ)-এর পিতা। ২. মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এর পিতা। এখানে মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এর পিতাকে বুঝানো হয়েছে। এরা সবাই পরস্পর বংশধর এবং দীনের ব্যাপারে একে অন্যের সম্পূরক ও সহযোগী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
``১. নাবী-রাসূলগণ আদম সন্তান হলেও সাধারণ মানুষ থেকে শ্রেষ্ঠতর।
২. সকল নাবীর দীনের মূল বিষয় ছিল আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ প্রতিষ্ঠা ও তাগুত বর্জন।
৩. নাবীগণ পরস্পর দীনী ভাই।
আল্লাহ তা‘আলা আদম, নূহ, ইবরাহীমের (আঃ) বংশধর এবং ইমরানের বংশধরকে চয়ন করে তৎকালীন সময়ে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলেন। আদম (আঃ)-কে স্বয়ং নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, ফেরেশতাদের দ্বারা সিজদাহ করিয়েছেন এবং জান্নাতে বসবাস করিয়েছেন।
নূহ (আঃ)-কে নবুওয়াত দান করেছেন। তিনি মানুষকে একাধারে ৯৫০ বছর এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের দিকে আহ্বান করেছেন এবং মূর্তিপূজা ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁকেসহ তাঁর অনুসারী এবং প্রত্যেক প্রাণীর জোড়াসহ রক্ষা করে বাকি সবাইকে বন্যায় ডুবিয়ে মেরেছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-কে এবং তাঁর বংশে বিভিন্ন সময় নাবী-রাসূল (যেমন: ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়া‘কূব (আঃ) ইত্যাদি) হিসেবে প্রেরণ করে সম্মানিত করেছেন।
ইমরান নামে দু’জন ব্যক্তি ছিলেন: ১. মূসা (আঃ) ও হারুন (আঃ)-এর পিতা। ২. মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এর পিতা। এখানে মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এর পিতাকে বুঝানো হয়েছে। এরা সবাই পরস্পর বংশধর এবং দীনের ব্যাপারে একে অন্যের সম্পূরক ও সহযোগী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
``১. নাবী-রাসূলগণ আদম সন্তান হলেও সাধারণ মানুষ থেকে শ্রেষ্ঠতর।
২. সকল নাবীর দীনের মূল বিষয় ছিল আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ প্রতিষ্ঠা ও তাগুত বর্জন।
৩. নাবীগণ পরস্পর দীনী ভাই।
3:34
ذُرِّیَّۃًۢ بَعۡضُہَا مِنۡۢ بَعۡضٍ ؕ وَ اللّٰہُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿ۚ۳۴﴾
FATHUL MAJID
আলিফ-লাম-মীম।
FATHUL MAJID
৩৩-৩৪ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা আদম, নূহ, ইবরাহীমের (আঃ) বংশধর এবং ইমরানের বংশধরকে চয়ন করে তৎকালীন সময়ে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলেন। আদম (আঃ)-কে স্বয়ং নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, ফেরেশতাদের দ্বারা সিজদাহ করিয়েছেন এবং জান্নাতে বসবাস করিয়েছেন।
নূহ (আঃ)-কে নবুওয়াত দান করেছেন। তিনি মানুষকে একাধারে ৯৫০ বছর এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের দিকে আহ্বান করেছেন এবং মূর্তিপূজা ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁকেসহ তাঁর অনুসারী এবং প্রত্যেক প্রাণীর জোড়াসহ রক্ষা করে বাকি সবাইকে বন্যায় ডুবিয়ে মেরেছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-কে এবং তাঁর বংশে বিভিন্ন সময় নাবী-রাসূল (যেমন: ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়া‘কূব (আঃ) ইত্যাদি) হিসেবে প্রেরণ করে সম্মানিত করেছেন।
ইমরান নামে দু’জন ব্যক্তি ছিলেন: ১. মূসা (আঃ) ও হারুন (আঃ)-এর পিতা। ২. মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এর পিতা। এখানে মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এর পিতাকে বুঝানো হয়েছে। এরা সবাই পরস্পর বংশধর এবং দীনের ব্যাপারে একে অন্যের সম্পূরক ও সহযোগী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:১. নাবী-রাসূলগণ আদম সন্তান হলেও সাধারণ মানুষ থেকে শ্রেষ্ঠতর।
২. সকল নাবীর দীনের মূল বিষয় ছিল আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ প্রতিষ্ঠা ও তাগুত বর্জন।
৩. নাবীগণ পরস্পর দীনী ভাই।
আল্লাহ তা‘আলা আদম, নূহ, ইবরাহীমের (আঃ) বংশধর এবং ইমরানের বংশধরকে চয়ন করে তৎকালীন সময়ে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলেন। আদম (আঃ)-কে স্বয়ং নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন, ফেরেশতাদের দ্বারা সিজদাহ করিয়েছেন এবং জান্নাতে বসবাস করিয়েছেন।
নূহ (আঃ)-কে নবুওয়াত দান করেছেন। তিনি মানুষকে একাধারে ৯৫০ বছর এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের দিকে আহ্বান করেছেন এবং মূর্তিপূজা ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁকেসহ তাঁর অনুসারী এবং প্রত্যেক প্রাণীর জোড়াসহ রক্ষা করে বাকি সবাইকে বন্যায় ডুবিয়ে মেরেছিলেন।
ইবরাহীম (আঃ)-কে এবং তাঁর বংশে বিভিন্ন সময় নাবী-রাসূল (যেমন: ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়া‘কূব (আঃ) ইত্যাদি) হিসেবে প্রেরণ করে সম্মানিত করেছেন।
ইমরান নামে দু’জন ব্যক্তি ছিলেন: ১. মূসা (আঃ) ও হারুন (আঃ)-এর পিতা। ২. মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এর পিতা। এখানে মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এর পিতাকে বুঝানো হয়েছে। এরা সবাই পরস্পর বংশধর এবং দীনের ব্যাপারে একে অন্যের সম্পূরক ও সহযোগী।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:১. নাবী-রাসূলগণ আদম সন্তান হলেও সাধারণ মানুষ থেকে শ্রেষ্ঠতর।
২. সকল নাবীর দীনের মূল বিষয় ছিল আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ প্রতিষ্ঠা ও তাগুত বর্জন।
৩. নাবীগণ পরস্পর দীনী ভাই।
0 Comments