জেনা বিষয়ক সাওয়াল ❓

জেনা বাঁ ব্যাভিচার  বিষয়ক প্রবন্ধ_
প্রশ্নঃ যেনা কত প্রকার ও কি কি? ব্যভিচারীর শাস্তি কি? ব্যভিচারীর তওবা কবুল হয় কি?
🎤 যিনা বিভিন্ন প্রকার হ’তে পারে। নিজের স্ত্রী বা দাসী ব্যতীত অন্য মহিলার সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করাকে যৌনাঙ্গের যিনা বলে। এছাড়া চোখের যেনা হচ্ছে মাহরাম ব্যতীত অন্য মহিলার দিকে কামনার দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। মুখের বা জিহবার যেনা হচ্ছে কামভাবে কথা বলা (বুখারী, ফাতহুল বারী হা/৬২৪৩, ১১/৩০)। অবিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি ১০০ বেত্রাঘাত এবং বিবাহিতের শাস্তি হচ্ছে রজম (কোমর পর্যন্ত পুতে পাথর মেরে হত্যা) (ইবনু মাজাহ হা/২৫৫০; ইরওয়া হা/২৩৪১)। উল্লেখ্য, দেশের শাসক বা তার প্রতিনিধিই কেবল এ শাস্তি কার্যকর করতে পারেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়িমাহ, ২২/৩৫)। যেনা-ব্যভিচার কবীরা গোনাহ। তওবা ব্যতীত এ গোনাহ মাফ হয় না। ব্যভিচারী ব্যক্তি ঐ গর্হিত কর্ম থেকে ফিরে আসার জন্য অনুতপ্ত হয়ে খালেছ অন্তরে তওবা করলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ (তওবা ৯/৮২; ফুরক্বান ৬৮-৭০)।
প্রশ্নঃ বিবাহের পূর্বে অবৈধ সম্পর্ক হ’লে বিবাহের পর ঐ পাপ মাফ হবে কি?
🎤 অবৈধ সম্পর্ক গড়া মহা পাপ। যার শাস্তি হচ্ছে ১০০ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর (বুখারী, মিশকাত হা/৩৫৫৬)। এ অবস্থায় অনুতপ্ত হয়ে খালেছ তওবা করা আবশ্যক। নইলে গুনাহ মাফ হবে না।
প্রশ্নঃ ব্যভিচারী ব্যভিচার করার সময় মুমিন থাকে কি? এ অবস্থায় মারা গেলে স্থায়ী জাহান্নামী হবে কি?
🎤 এ সময় সে পূর্ণ মুমিন থাকে না। আবু হুরায়রা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছা:) বলেছেন, ‘যখন কোন মানুষ যেনা করে তখন ঈমান তার থেকে বের হয়ে যায় এবং তার মাথার উপর ছায়ার মত হয়ে থাকে। যখন সে এ কাজ থেকে বিরত হয় তখন ঈমান তার কাছে ফিরে আসে’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৬০)। ইমাম বুখারী (রহ:) বলেন, তার ঈমান পূর্ণ থাকে না। তার জন্য ঈমানের আলো থাকে না (বুখারী, মিশকাত হা/৫৪)। এ অবস্থায় মারা গেলে সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না।
প্রশ্নঃ যেনা ও সূদের কারণে গযব নাযিল হয়। এটা কি সত্য? আমরাতো অনেককে এই জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত থাকে অথচ তাদের প্রতি তো কোন গযব অবতীর্ণ হয় না? অনেকে সামান্য পাপে জড়িয়ে বিভিন্ন বিপদাপদে পতিত হয়। এর কারণ কী?
🎤 উক্ত পাপগুলো আযাব নাযিল হওয়ার কারণ হতে পারে। কিন্তু এলাহী গযব নাযিলের বিধি এটা নয় যে, কেউ অন্যায় করার সাথে সাথে আল্লাহ তাকে পাকড়াও করেন। বরং তিনি তাকে তওবা করার অবকাশ দেন। তওবা না করলে প্রথমে ছোট ছোট আযাব দিয়ে তাকে হুঁশিয়ার করেন। এরপরেও তওবা না করলে বড় শাস্তি নাযিল করেন। এছাড়া তার জন্য আখেরাতে চূড়ান্ত শাস্তি নির্ধারিত থাকে। উল্লেখ্য যে, নেককার ব্যক্তিগণের জীবনে যে কষ্ট হয় এগুলি তাদের জন্য ঈমানের পরীক্ষা স্বরূপ। সেকারণ নবীগণই হ’লেন দুনিয়ায় সর্বাপেক্ষা বিপদগ্রস্ত মানুষ (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৫৬২)। বিস্তারিত দেখুন: দরসে কুরআন ১২/১০ সংখ্যা জুলাই ’০৯ ‘এলাহী গযব নাযিলের বিধি, কারণ ও করণীয়’।
প্রশ্নঃ জনৈক ব্যক্তি তার পুত্রবধুর সাথে যেনায় লিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় তার পুত্রের বিবাহ বিচ্ছেদ হবে কি? স্বামী যদি ঐ স্ত্রীর সাথে ঘর-সংসার করে তাহ’লে সে গোনাহগার হবে কি?
🎤 ঐ ব্যক্তি জঘন্যতম পাপ করেছে, যার জন্য শরী‘আতে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে এই অবৈধ কর্মের জন্য স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ হবে না। কারণ কোন অবৈধ সম্পর্ক কোন বৈধ বিবাহকে হারাম করে না। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘যেনা বৈবাহিক বন্ধনকে হারাম করে না’ (মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, বায়হাক্বী, ইরওয়া ৬/২৮৭ পৃঃ, হা/১৮৮১)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, এক লোক তার শাশুড়ীর সাথে যেনা করলে ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘তারা পাপী। কিন্তু এ পাপ তার স্ত্রীকে তার জন্য হারাম করে না’ (বায়হাক্বী, ইরওয়া ৬/২৮৮ পৃঃ)। আলী (রাঃ) বলেন, যেনা বৈধ বিবাহ বন্ধনকে হারাম করতে পারে না (ইরওয়া ৬/২৮৮ পৃঃ, তা‘লীক্ব বুখারী)। স্বামী ঐ স্ত্রীর সাথে ঘর-সংসার করায় দোষ হবে না। কিন্তু যদি সে স্ত্রীর উক্ত অবৈধ কর্মকে মেনে নেয় ও তাকে আরও সুযোগ দেয়, তাহ’লে সে ‘দাইঊছ’ হবে এবং তার জন্য জান্নাত হারাম হবে’ (আহমাদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৩৬৫৫ ‘দন্ড বিধি’ অধ্যায় ৬ অনুচ্ছেদ)।
প্রশ্নঃ পুরুষের সাথে বেগানা নারীর অঙ্গ স্পর্শ হ’লে যেনার পাপ হয়। একথা কি সঠিক? যানবাহনে যাতায়াতের সময় এমন সাধারণতঃ হয়ে থাকে। তাহ’লে করণীয় কি?
🎤 কথাটি সঠিক। শুধু তাই নয়, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেগানা নারীর দিকে কুদৃষ্টি দেয়া বা তার কথা শ্রবণ করা এবং যে কোন প্রকারে তার প্রতি কুচিন্তা নিয়ে অগ্রসর হওয়া-সবই যেনার পাপের অংশ হিসাবে গণ্য হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৮৬)। তাই এই পাপ থেকে অবশ্যই আত্মরক্ষা করতে হবে। অসাবধানতাবশতও যেন এরূপ অবস্থার সম্মুখীন হ’তে না হয়, সে ব্যাপারে সর্বদা সতর্ক থাকা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ফরয।
প্রশ্নঃ যেনাকারীকে আ¬ল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিনে কেমন শাস্তি দিবেন?
🎤 যেনা অতীব জঘন্য কর্ম। তওবা ছাড়া আল্লাহ তাকে মাফ করবেন না। আল্লাহ বলেন, ক্বিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ হবে এবং সেখানে সে স্থায়ী হবে হীন অবস্থায়(ফুরক্বান ৬৯)। হাদীছে এসেছে, তাদেরকে উলঙ্গ অবস্থায় একটি পেটমোটা সরু মুখ সম্পন্ন চুলায় জ্বলন্ত আগুনের মাঝে পোড়ানো হবে (বুখারী হা/১৩৮৬; মিশকাত হা/৪৬২১)।
প্রশ্নঃ আমাদের সমাজে নারী-পুরুষ সম্পর্ক করে অশ্লীল কাজে জড়িয়ে পড়ছে। পরে অনেকের বিবাহ হচ্ছে, অনেকের হয় না। এর পরিণতি কি?
🎤 পরবর্তীতে বিবাহ হোক আর না হোক এ কাজ কবীরা গোনাহ। যা তওবা ব্যতীত মাফ হবে না। এমন মানুষ অবিবাহিত হলে তার শাস্তি হচ্ছে একশ’ বেত্রাঘাত(নূর ২)। আর বিবাহিত হলে শারঈ ফায়ছালা অনুযায়ী তাকে রজম করতে হবে (বুখারী হা/৬৮৩১; মিশকাত হা/৩৫৫৬ ও ৩৫৫৭ ‘দন্ডবিধি’ অধ্যায়)। যেটি আদালতের দায়িত্ব।
প্রশ্নঃ বিয়ের পূর্বে অবৈধ সম্পর্কের কারণে গর্ভে আসা সন্তান পরবর্তীতে সন্তান জন্মের পূর্বেই তাদের বিবাহ হয়ে থাকলে সন্তান কি উক্ত পিতার দিকে সম্পর্কিত হবে?
🎤 সন্তান উক্ত পিতার দিকে সম্পর্কিত হবে না এবং সে পিতার সম্পদের ওয়ারিছ হবে না; বরং তার মায়ের দিকে সম্পর্কিত হবে এবং সে কেবল মায়ের সম্পদের ওয়ারিছ হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) লি‘আনের ফায়ছালায় সন্তানকে তার মায়ের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন (বুখারী হা/৬৭৪৮)।

প্রশ্নঃ বুখারীর ৩৮৪৯ নং হাদীছ রয়েছে, জাহেলী যুগে কিছু বানর একটি বানরকে ব্যভিচারের কারণে হত্যা করেছিল। এর দ্বারা অনুমিত হয় যে পশুদের মাঝেও রজমের বিধান রয়েছে। হাদীছটির বোধগম্য ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
🎤 এটি রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছ নয়। বরং আমর ইবনু মায়মূন আবু আব্দুল্লাহ কূফী(মৃ : ৭৪ হিঃ) নামক একজন জ্যেষ্ঠ তাবেঈ কর্তৃক বর্ণিত ‘আছার’। ইমাম বুখারী ‘আনছারগণের মর্যাদা’ অধ্যায়ের ২৭ নং অনুচ্ছেদে নবুঅতপূর্ব যুগের বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনার মধ্যে এ ঘটনাটি এনেছেন। তীক্ষ্ণ ধীসম্পন্ন প্রাণী বানরের মধ্যে যে অন্য প্রাণীসমূহের চাইতে অধিকতর সতর্কতা ছিল, ঘটনাটি তার অন্যতম প্রমাণ। যেমন ঘোড়া সম্পর্কেও অনুরূপ ঘটনা জানা যায়। যে নিজের মায়ের উপর অপগত হয়ে তাকে চিনতে পারায় নিজের লিঙ্গ নিজে কামড়ে ছিন্ন করে ফেলে (ফৎহুল বারী)। এর মাধ্যমে ‘রজম’টাই যে ব্যভিচারের স্বাভাবিক দন্ড, সেটাও প্রমাণিত হয়। এ ঘটনার মধ্যে মানুষের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে।
প্রশ্নঃ কোন নারী ধর্ষণের শিকার হ’লে সে কি অপরাধী হিসাবে গণ্য হবে?
🎤 এক্ষেত্রে উক্ত নারী অত্যাচারিতা ও নিরপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। ওয়ায়েল ইবনু হুজর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে জনৈকা মহিলা মসজিদে ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হন। একজন লোক তাকে একা পেয়ে কাপড়ে ঢেকে নেয় এবং তাকে ধর্ষণ করে। মহিলা চিৎকার শুরু করলে লোকটি চলে যায়। সেখান দিয়ে মুহাজিরদের একদল লোক যাচ্ছিলেন। মহিলাটি তাদেরকে বললেন যে, ঐ লোক আমার সাথে এরূপ আচরণ করেছে। তখন লোকেরা তাকে ধরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে নিয়ে আসলে তিনি মহিলাকে বললেন, তুমি চলে যাও। আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন। অতঃপর তিনি ঐ ধর্ষণকারী পুরুষকে রজম করার আদেশ দিলেন (আবুদাঊদ হা/৪৩৭৯; তিরমিযী হা/১৪৫৪, মিশকাত হা/৩৫৭২, হাদীছটি হাসান, ‘হুদূদ’ অধ্যায়)।
প্রশ্নঃ বিয়ের পূর্বে অবৈধ সম্পর্কের কারণে গর্ভে আসা সন্তান পরবর্তীতে সন্তান জন্মের পূর্বেই তাদের বিবাহ হয়ে থাকলে সন্তান কি উক্ত পিতার দিকে সম্পর্কিত হবে?
🎤 সন্তান উক্ত পিতার দিকে সম্পর্কিত হবে না এবং সে পিতার সম্পদের ওয়ারিছ হবে না; বরং তার মায়ের দিকে সম্পর্কিত হবে এবং সে কেবল মায়ের সম্পদের ওয়ারিছ হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) লি‘আনের ফায়ছালায় সন্তানকে তার মায়ের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন (বুখারী হা/৬৭৪৮)।
প্রশ্নঃ ব্যভিচারে লিপ্ত হলে স্ত্রীকে তালাক প্রদান করা কি আবশ্যক হয়ে যায়? বার বার সতর্ক করার পরও এরূপ করলে সে ব্যাপারে স্বামীর করণীয় কি?
🎤 ভিচার কাবীরা গুনাহ। আল্লাহ বলেন, তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না, এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। (ইসরা ১৭/ ৩২)। উক্ত অবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে (নিসা ৪/১৯-২০)। আর যদি স্ত্রী তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হয়ে খালেছ অন্তরে তওবা করে, তাহ’লে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে পূর্বের ন্যায় সংসার করবে (আলে-ইমরান ৩/১৩৫)।
প্রশ্নঃ সমকামিতা কিরূপ গোনাহের কাজ? এর শাস্তি কি?
🎤 সমকামিতা একটি ঘৃণ্য অপরাধ এবং কবীরা গুনাহ। এই পাপের কারণেই বর্তমান পৃথিবী এইডস-এর মত মরণ ব্যধিতে ভরে গেছে। এটাই আল্লাহর গযব। এ অপরাধের কারণে বিগত যুগে আল্লাহ তা‘আলা কওমে লূতকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন (আ‘রাফ ৭/৮০-৮৪; হিজর ১৫/৭২-৭৬)। এর শাস্তি হ’ল সমকামীদের উভয়কে হত্যা করা। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা যাকে লুৎ (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের মত পুরুষে পুরুষে অপকর্ম করতে দেখবে তাদের উভয়কে হত্যা কর (তিরমিযী হা/১৪৫৬; আবুদাউদ হা/৪৪৬২; মিশকাত হা/৩৫৭৫)। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তা‘আলা কওমে লূতের ন্যায় অপকর্মকারীদের প্রতি লা‘নত করেছেন, তিনি একথাটি তিনবার বললেন (আহমাদ হা/২৯১৫; ছহীহাহ হা/৩৪৬২)। তবে এ শাস্তি বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীলদের (কুরতুবী)। না করলে সরকার গোনাহগার হবে।
প্রশ্নঃ ব্যভিচারে লিপ্ত হলে স্ত্রীকে তালাক প্রদান করা কি আবশ্যক হয়ে যায়? বার বার সতর্ক করার পরও এরূপ করলে সে ব্যাপারে স্বামীর করণীয় কি?
🎤 ANSWER ব্যভিচার কাবীরা গুনাহ। আল্লাহ বলেন, তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না, এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। (ইসরা ১৭/ ৩২)। উক্ত অবস্থায় স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে (নিসা ৪/১৯-২০)। আর যদি স্ত্রী তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হয়ে খালেছ অন্তরে তওবা করে, তাহ’লে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে পূর্বের ন্যায় সংসার করবে (আলে-ইমরান ৩/১৩৫)।
প্রশ্নঃ জনৈক নারীর সাথে জনৈক পুরুষের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এক্ষণে উক্ত নারীর মেয়েকে সে বিবাহ করতে পারবে কি?
🎤 কাজটি অত্যন্ত গর্হিত হলেও উক্ত নারীকে বিবাহ করতে বাধা নেই। কারণ কোন হারাম সম্পর্ক কোন হালাল সম্পর্ক স্থাপনে বাধা হতে পারে না। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘যেনা বৈবাহিক বন্ধনকে হারাম করে না’ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, বায়হাক্বী, ইরওয়া হা/১৮৮১, ৬/২৮৭ পৃঃ)। এছাড়া শরী‘আতে যে ১৪জন নারীকে বিয়ে করা হারাম করা হয়েছে (নিসা ৪/২৩), উক্ত নারী তাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
প্রশ্নঃ আল্লাহ বলেন, ব্যভিচারী পুরুষ ব্যভিচারিণী নারী ব্যতীত বিবাহ করে না এবং ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ ব্যতীত বিবাহ করে না’ (নূর ৩)। আয়াতটির সঠিক মর্মার্থ কি?
🎤 উক্ত আয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল, কোন সৎকর্মশীল পুরুষের জন্য কোন ব্যভিচারিণী নারীকে বিবাহ করা বৈধ নয়, যতক্ষণ না সে তওবা করে। অনুরূপ এর বিপরীত। অর্থাৎ তওবা করলে বিবাহ করা জায়েয। ইমাম আহমাদ বলেছেন, কোন সৎকর্মশীল পুরুষের সাথে কোন ব্যভিচারিণী নারীর বিবাহ শুদ্ধ হবে না, যতক্ষণ না সে তওবা করে। অনুরূপ কোন সতী নারীর সাথে কোন ব্যভিচারী পুরুষের বিবাহ শুদ্ধ হবে না, যতক্ষণ না সে তওবা করে (ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা নূর ৩ আয়াত)।
প্রশ্নঃ জনৈকা মুসলিম মহিলা এক হিন্দু পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যায়। সেখানে মহিলাটির গর্ভে এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়। পরবর্তীতে মহিলাটি ফিরে আসে। এক্ষণে তার কন্যা সন্তানটি মুসলিম হবে, না হিন্দু হিসাবে গণ্য হবে।

🎤 উক্ত শিশুটি মুসলিম হিসাবে গণ্য হবে। কারণ ‘জারজ’ সন্তান মাতার সাথে সম্পর্কিত হয় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৩১২, ৩৩২০)। এছাড়া প্রত্যেক শিশুই ফিৎরাত তথা ইসলামের উপরে জন্মগ্রহণ করে (বুখারী হা/১৩৮৫, মুসলিম, মিশকাত হা/৯০; রূম ৩০)।
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞান পেতে runing update)< -https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন). Main Websaite- esoislamerpothe.in , comming soon my best world websaite

Post a Comment

0 Comments