হজ্জ ও উমরাহ
✔ ২৪০. প্রশ্নঃ এক ব্যক্তি হজ্জের ফরয পালন করার আগে মারা গেছে। এখন কী করা উচিত?
উত্তরঃ এখন উচিত হল, তাঁর পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে
হজ্জের খরচ নিয়ে কোন হাজীকে দিয়ে বদল হজ্জ করানো। ৩১৮ (লাজনাহ দায়েমাহ)
✔ ২৪১. প্রশ্নঃ এক মহিলা উমরাহ আদায়ে একাকিনী যেতে চায়। তাঁর
এগানা আত্মীয় রিয়াদ এয়ারপোর্টে প্লেনে উঠিয়ে দিয়ে আসে এবং অন্য এগানা আত্মীয়
জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে তাকে উমরাহ করিয়ে অনুরূপ বাড়ী ফিরিয়ে দিলে তাতে কোন সমস্যা
আছে কি?
উত্তরঃ উমরাহ বা অন্য কোন ইবাদতের সফর হলেও কোন মহিলার একাকিনী সফর বৈধ নয়। যেহেতু
মহানবী (ﷺ) বলেছেন, “কোন পুরুষ যেন কোন বেগানা নারীর সঙ্গে তাঁর সাথে এগানা পুরুষ ছাড়া
অবশ্যই নির্জনতা অবলম্বন না করে। আর মাহরাম ব্যতিরেকে কোন নারী যেন সফর না করে।”
এক ব্যক্তি আবেদন করল, “হে রাসুন! আমার
স্ত্রী হজ্জ পালন করতে বের হয়েছে। আর আমি অমুক অমুক যুদ্ধে নাম লিখিয়েছি।” তিনি বললেন, “যাও, তুমি
তোমার স্ত্রীর সঙ্গে হজ্জ কর।” ৩১৯ (বুখারী ও মুসলিম)
এখানে এ কথা বলা ঠিক নয় যে, প্লেনের সফর নিরাপদ। এক এয়ারপোর্টে চড়ে পরবর্তী এয়ারপোর্টে সহজেই নামতে
পারবে। কারণ হাদীসে সে শর্ত আরোপ করা হয়নি যে, সফর
বিপদজ্জনক হলে মহিলা এগানা পুরুষ ছাড়া সফর করতে পারবে না। ৩২০ (ইবনে উষাইমীন)
উত্তরঃ স্পেশালিষ্ট ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে যদি জানা যায় যে, তাঁর ফলে মহিলার স্বাস্থ্যগত কোন ক্ষতি হবে না, তাহলে মাসিক বন্ধ রেখে হজ্জ-উমরাহ করতে পারে। ৩২১ (লাজনাহ দায়েমাহ)
✔ ২৪৩ প্রশ্নঃ আমি এক ধনী মহিলা। আমার উপর হজ্জ ফরয হয়েছে।
কিন্তু আমার স্বামী সাথে যেতে রাজী নয়, আমাকে
কারো সঙ্গে ছাড়তেও রাজী নয়। এ বছরে আমার বড় ভাই হজ্জে যাচ্ছেন। আমি কি তাঁর সাথে
স্বামীর তোয়াক্কা না করে হজ্জ করতে পারি? নাকি স্বামীর
অনুমতি জরুরী?
উত্তরঃ আপনার স্বামীর উচিত নয়, ফরয পালনে আপনাকে বাধা দেওয়া।
সুতরাং স্বলাত রোযার মতোই হজ্জ করতে স্বামীর অনুমতি না থাকলেও আদায় করতে হবে। ৩২২
(ইবনে জিবরীন)যেহেতু আল্লাহর ফরয হক সবার উপরে। আর নবী (ﷺ) বলেছেন, “স্রষ্টার অবাধ্যতা করে কোন সৃষ্টির অনুগত্য নেই।” ৩২৩ (আহমাদ)
উত্তরঃ স্ত্রী হজ্জ করতে চাইলে এবং স্বামী তাতে বাধা দিলে স্বামীর কথা না মেনে কোন
মাহরামের সাথে অবশ্যই হজ্জ করবে। এ ক্ষেত্রে স্বামীর বাধা মানলে তাকে গোনাহগার হয়ে
মরতে হবে। ৩২৪ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ)
উত্তরঃ ঋণ করে হজ্জ করা যায়, যদি পরিশোধ করার সহজ উপায় থাকে
(অথবা ঋণের তাগাদা না থাকে) তবে। অন্যথা ঋণ করে হজ্জ না করাই ভাল। কারণ সম্ভবতঃ ঋণ
করার পরে পরিশোধ করার সামর্থ্য নাও হতে পারে। রোগাক্রান্ত বা মৃত্যু কবলিত হলে
পরিশোধ নাও হতে পারে। অতএব পূর্ণ সামর্থ্যবান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই শ্রেয়ঃ।
৩২৫ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১৮৪)
উত্তরঃ সরকারকে ধোঁকা দিয়ে জাল নাম ও পাসপোর্ট নিয়ে হজ্জ করলে হজ্জ হয়ে যাবে, তবে ধোঁকা দেওয়ার জন্য গোনাহগার হতে হবে। ৩২৬ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন
২/৬৭৫)
✔ ২৪৭ প্রশ্নঃ বহু দিন সাউদিয়ায় থেকে ছুটির সময় হজ্জ হলে এবং
পরিবার পরিজন হজ্জ না করে বাড়ী ফিরতে আদেশ করলে এবং হজ্জ করাতে তাঁদের সম্মতি না
হলে কি করা যাবে?
উত্তরঃ বহু দিন সাউদিয়ায় থেকে ছুটির সময় হজ্জ হলে এবং পরিবার পরিজন হজ্জ না করে
বাড়ী ফিরতে আদেশ করলে এবং হজ্জ করাতে তাঁদের সম্মতি না হলে, যদি ফরয হজ্জ হয়, তবে তাঁদের কথা না মেনে হজ্জ
করবে অতঃপর বাড়ী ফিরবে। নফল হলে তাঁদের মন খুশী করার জন্য হজ্জ নাকরে বাড়ী ফিরবে।
৩২৭ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৩/৬৭)
✔ ২৪৮. প্রশ্নঃ উপমহাদেশ থেকে হজ্জ উমরায় যেতে কোথায় ইহরাম বাঁধতে
হবে? জিদ্দায় নেমে ইহরাম বাঁধলে হবে কি?
উত্তরঃ উড়ো কিংবা পানি জাহাজে হজ্জ বা উমরায় এলে নির্দিষ্ট মীকাত ববাবর জায়গায়
আসার পূর্বে (জাহাজের কর্মীদের ইঙ্গিত পেলে) ইহরাম বাঁধতে হবে। অবশ্য চড়ার পূর্বে
এয়ারপোর্ট থেকে গোসলাদি সেরে কাপড় পরে কেবল নিয়ত করা ভালো। জিদ্দা থেকে ইহরাম
বাঁধা যথেষ্ট নয়। বিনা ইহরামে জেদ্দায় নামলে নির্দিষ্ট মীকাতে ফিরে গিয়ে ইহরাম
বাঁধতে হবে। জেদ্দা থেকে ইহরাম বেঁধে উমরাহ করে থাকলে দম (একটি ছাগল অথবা একটি
ভেড়া অথবা সাত ভাগের এক ভাগ গরু বা উট) লাগবে; যা
মক্কায় যবেহ করে মক্কার ফকীরদের মাঝে বণ্ঠন করতে হবে। ৩২৮ (ফাতাওয়া মুহিম্মাহ ৩৪
পৃঃ)
অবশ্য যদি কেউ না জেনে কোন আলেমকে জিজ্ঞেসা করে ‘জেদ্দা থেকে ইহরাম বাঁধা হবে’
এই ফতোয়া নিয়ে জেদ্দা থেকে ইহরাম বেঁধে হজ্জ উমরাহ করে ফেলে,
তবে তাঁর উপর দম নেই। কারণ, সে তাঁর
ওয়াজেব পালন করেছে। আর ঐ ভুলের মাসূল ঐ মুফতীর ঘাড়ে।৩২৯ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন
২/৫৬৯)
উত্তরঃ সফরের শুরুতেই মদীনা যাওয়ার নিয়ত থাকলে পথে মীকাতে ইহরাম না বেঁধে মদীনার
যিয়ারতের পর মদীনা থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা এসে হজ্জ উমরাহ করা চলবে।
উত্তরঃ নির্দিষ্ট মীকাতের পূর্বেই ইহরাম বাঁধা চলে ৩৩০ (মানাসিকুল হাজ্জ, আলবানী ১২ পৃঃ)অবশ্য নির্দিষ্ট মীকাত হতেই ইহরাম বাঁধাই উত্তম।
✔ ২৫১. প্রশ্নঃ ভুলবশতঃ গাড়ী চালক মীকাত অতিক্রম করে বহুদূর চলে
গেলে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে উমরাহ হবে কি?
উত্তরঃ ভুলবশতঃ মীকাত অতিক্রম করে বহুদূর চলে গেলেও মীকাতে ফিরে এসে ইহরাম বাঁধা
ওয়াজেব। যেখান থেকে ইহরাম বাঁধলে দম লাগবে। ৩৩১ (ইবনে উষাইমীন)
মক্কায় পৌঁছে পরবর্তীতে হজ্জ উমরার নিয়ত হলে কথা
থেকে ইহরাম বাঁধতে হবে?
উত্তরঃ হজ্জ ও উমরার নিয়ত না থাকলে মক্কা প্রবেশের জন্য ইহরাম বাঁধতে হবে না।
কিন্তু মক্কায় কোন আত্মীয় বা বন্ধুর বাড়ী বা ব্যবসার জন্য আসার পর উমরাহ করার
ইচ্ছা হলে হারাম সীমার বাইরে বের হয়ে ইহরাম বেঁধে এসে উমরাহ করবে। হজ্জ করার ইচ্ছা
হলে ঐ বাসস্থান থেকেই হজ্জের ইহরাম বাঁধবে ৩৩২ (ফাতাওয়া মুহাম্মাহ ২২ পৃঃ)মিনায়
থাকলে মিনা থেকেই হজ্জের ইহরাম বাঁধবে। ৩৩৩ (ঐ ২৬পৃঃ)
✔ ২৫৩. প্রশ্নঃ ইচ্ছা ছিল আগে আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াব। অতঃপর সময়মত
উমরাহ বা হজ্জ করব। এই জন্য ইহরাম না বেঁধে মক্কায় এসেছি। এখন উপায় কি?
উত্তরঃ পূর্ব থেকেই হজ্জ বা
উমরার নিয়তে বিনা ইহরামে মীকাতে সিমা অতিক্রম করে সিমার ভিতরে কোন শহরে আত্মীয়ের
বাড়ীতে থেকে সেখানে থেকেই ইহরাম বা হজ্জ করলে দম লাগবে। নচেৎ মীকাতে ফিরে গিয়ে
ইহরাম বেঁধে আসবে। অবশ্য মীকাতে অতিক্রম করার সময় হজ্জ বা উমরার নিয়ত না থাকলে এবং
পরে আত্মীয় বাড়ীতে ঐ নিয়ত হলে এ বাড়ী থেকেই ইহরাম বাঁধতে পারে। ৩৩৪(মাজাল্লাতুল
বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৯/ ১৬৯)
✔ ২৫৪ প্রশ্নঃ সঙ্গে পারমিট না থাকার কারণে পুলিশ মক্কা প্রবেশ
করতে না দিলে অথবা কোন অসুস্থতার কারণে ইহরাম বেঁধে উমরাহ বা হজ্জ করতে না পারলে
করণীয় কি?
উত্তরঃ ইহরাম বাধার পর কোন কারনবশতঃ হজ্জ (বা উমরাহ) সারতে না পারলে যথাস্থানে
একটি কুরবানি করে মাথার কেশ মুণ্ডন বা কর্তন করে হালাল হয়ে বাড়ী ফিরবে। অবশ্য
ইহরামের সময় শর্ত লাগিয়ে থাকলে তাঁর উপর কিছু ওয়জেব নয়। ৩৩৫ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল
ইসলামিয়্যাহ ১৪/ ১৩৮)
✔ ২৫৫ প্রশ্নঃ তামাত্তু হজ্জের নিয়তে উমরাহর ইহরাম বেঁধে উমরাহ
সেরে হজ্জের ইহরাম বাঁধার পূর্বে উমরাহ যদি কোন কারনবশতঃ বাড়ী ফিরতে হয় বা হজ্জ
করা না হয়, তাহলে করণীয় কী?
উত্তরঃ তামাত্তু হজ্জের নিয়তে উমরাহর ইহরাম বেঁধে উমরাহ সেরে হজ্জের ইহরাম বাঁধার
পূর্বে যদি কোন কারণবশতঃ বাড়ী ফিরতে হয় বা হজ্জ করা না হয়, তাহলে তাঁর উপরও কিছু ওয়াজেব হবে না। ৩৩৬ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২১০)
✔ ২৫৬ প্রশ্নঃ উমরার ইহরাম
বেঁধে কেউ অকারণে উমরাহ না করে ফিরে গিয়ে জেনে শুনে ইহরাম খুলে ফেললে তাকে কি করতে
হবে?
উত্তরঃ উমরার ইহরাম বেঁধে কেউ অকারণে উমরাহ না করে ফিরে গিয়ে জেনে শুনে ইহরাম খুলে
ফেললে ১টি কুরবানি করবে, অথবা তিন দিন রোযা পালন করবে
অথবা ছয়টি মিসকিন (নিঃস্ব)কে মাথা পিছু অর্ধ সা’ (সাওয়া
এক কিলো) করে খাদ্য (চাল)সাদকাহ করবে। (আর এই খাদ্য বা মাংস হারাম শরীফের
মিসকীনদের মাঝে বণ্ঠন করতে হবে।) স্ত্রী সহবাস করলে দম লাগবে এবং মক্কা ফিরে এসে
উমরাহ অবশ্যই পুরা করতে হবে। ৩৩৭ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৩০০)
✔ ২৫৭ প্রশ্নঃ তামাত্তুর উমরাহ করার পর মদীনার যিয়ারতে গেলে অথবা
কোন প্রয়োজনে মীকাতে বাইরে গেলে পুনরায় হজ্জের জন্য আসার সময় মীকাত থেকে ইহরাম
বাঁধতে হবে কী?
উত্তরঃ তামাত্তুর উমরাহ করার পর মদীনার যিয়ারতে গেলে অথবা কোন প্রয়োজনে মীকাতে
বাইরে গেলে পুনরায় হজ্জের জন্য আসার সময় মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা জরুরী। (মতান্তরে
জরুরী নয়।) এই ইহরামে আর একটি উমরাহও করতে পারা যায়।
উত্তরঃ ক্বিরান বা তামাত্তু হজ্জের নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে পুনরায় ইফরাদের নিয়ত হয়
না। যেমন হজ্জের মাসে উমরাহ সেরে মদীনা বা কোন (স্বগৃহ ছাড়া)সফরে গেলে হজ্জের সময়
ফিরে এসে ইফরাদ হয় না। অবশ্য ক্বিরানের নিয়ত করে তামাত্তুর নিয়ত করা যায়। ৩৩৮
(ফাতাওয়া মুহিম্মাহ ৩৬ পৃঃ)
✔ ২৫৯. প্রশ্নঃ আমি ইহরাম বেঁধে মীকাত পার হয়ে গেছি। তখন এক
পরিচিত আমাকে মোবাইলে বললেন, ‘আপনি আমার নামে বদল হজ্জ
করুন।’ কিন্তু নিজের নামে নিয়ত করে অন্যের নামে পরিবর্তন
করা যায় কি?
উত্তরঃ নিজের নামে হজ্জ বা উমরার নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে মীকাত পার হয়ে পরে অন্যের
নামে পরিবর্তন করা যায় না।৩৩৯ ((ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৭৬)
✔ ২৬০. প্রশ্নঃ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী দেওয়ার ভয়ে
ইফরাদের ইহরাম বেঁধে হজ্জ সেরে পুনরায় তানঈম এ গিয়ে উমরাহর ইহরাম বেঁধে উমরাহ করার
চালাকি শরীয়তসম্মত কি?
উত্তরঃ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী দেওয়ার ভয়ে ইফরাদের ইহরাম বেঁধে হজ্জ সেরে
পুনরায় তানঈম এ গিয়ে উমরাহর ইহরাম বেঁধে উমরাহ করা শরীয়তের নির্দেশে ও নিয়মের
পরিপন্থী এবং এমন করা শরীয়তের সাথে ছল-বাহানা করার নামান্তর। ৩৪০ (হাজ্জাতুন্নাবী, আলবানী ২০ পৃঃ)
✔ ২৬১. প্রশ্নঃ মীকাতে গোসল করা কি জরুরী? ঠাণ্ডা বা ভিড়ের ভয়ে যদি বাসা বা হোটেল থেকে গোসল করে যাই অথবা গোসল না
করতে পারি, তাহলে কোন ক্ষতি আছে কি?
উত্তরঃ মীকাতে গোসল করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। বাসা থেকেও গোসল করা চলে। গোসল না
করতে পারলে ইহরাম বা হজ্জ উমরাহর কোন ক্ষতি হয় না।
উত্তরঃ পেশাব ঝরার রোগ থাকলে ইহরামের কোন ক্ষতি হয় না। স্বলাত ও তাওয়াফের পূর্বে
ইস্তিনজা করে (কাপড়ে লাগলে তা ধুয়ে) ওযু জরুরী। ৩৪১ (ফাতাওয়া মহিম্মাহ ২৪ পৃঃ)
উত্তরঃ তালবিয়্যাহ পড়তে ভুলে গেলে কোন ক্ষতি হয় না। কারণ তা সুন্নত। ৩৪২ (ফাতাওয়া
মুহিম্মাহ ১৭ পৃঃ)
উত্তরঃ ইহরাম অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে বিড়াল মেরে ফেললে কিছু ওয়াজেব নয়। ৩৪৩
(ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৭৬)
উত্তরঃ উমরাহ করতে গিয়ে পূর্বেই মহিলার মাসিক শুরু হয়ে গেলে পবিত্রতার অপেক্ষা
করবে। সফর করা জরুরী হলে ইহরাম অবস্থায় থেকে সফর করে পুনরায় ফিরে এসে উমরাহ আদায়
করবে। কিন্তু বহির্দেশের হলে খরচ, ভিসা ইত্যাদির ঝামেলা থেকে
বাঁচতে উমরাহ করে নিতে পারবে। অর্থাৎ ভিসা শেষ হওয়ার ভয় থাকলে লজ্জাস্থানে পটি
বেঁধে নিয়ে তাওয়াফ ও সাঈ করে চুলের ডগা কেটে উমরাহ সম্পন্ন করে হালাল হয়ে যাবে। যেহেতু
ঐ সময় তাওয়াফ করা তাঁর জন্য জরুরী প্রয়োজন। আর অতি প্রয়োজনে ও অসুবিধার ক্ষেত্রে
নিষিদ্ধ জিনিস বৈধ হয়ে যায়। ৩৪৪ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৪৩)তবে হজ্জের উমরাহ হলে
হজ্জের কাজ সারার পর উমরাহ করে নেবে।
উত্তরঃ তাওয়াফ ইফায্বার পূর্বে মাসিক শুরু হলে তওয়াফ ও সাঈ ছাড়া হজ্জের সব কিছুই
করবে। অতঃপর সফর করার আগে পবিত্রা না হলে এবং সফর জরুরী হলে সফর করবে। কিন্তু
বাড়ীতে ঐ ইহরাম অবস্থাতেই থাকবে। সুগন্ধি ইত্যাদি ব্যাবহার করবে না। স্বামীর সাথে
কোন প্রকার যৌনাচারে লিপ্ত হবে না। অতঃপর পবিত্র হলে মক্কায় ফিরে এসে তাওয়াফ ও সাঈ
করবে। যদি ফিরে আসা অসম্ভভ মনে হয়, তাহলে
মক্কায় মাসিক বন্ধ করার ইঞ্জেকশন (বা ট্যাবলেট)ব্যবহার করবে। তা সম্ভভ না হলে
লজ্জাস্থানে পটি বেঁধে তওয়াফ করে নেবে। ৩৪৫ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৩৭)
উত্তরঃ উমরাহ তওয়াফ অ সাঈ করার পর পুনরায় খুন দেখলে, যদি তা সত্যই মাসিকের খুন হয়, তবে পুনরায়
তওয়াফ অ সাঈ করতে হবে। যেহেতু অপবিত্রতার কারণে পূর্বেই তয়াফ-আদি বাতিল হএয় যাবে।
৩৪৬ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৪৭)আর উমরাহতে তওয়াফের আগে সাঈ শুদ্ধ নয়। হজ্জের
তওয়াফ সাঈ হলে আর সাঈ করতে হতো না। কারণ মাসিক অবস্থায় সাঈ করা চলে।
✔ ২৬৮. প্রশ্নঃ তওয়াফ ইফায্বাহ করা কালীন সময়ে কোন মহিলার মাসিক
শুরু হলে কি করবে? অভিভাবককে লজ্জায় বলতে না পেরে
কেউ যদি সেই অবস্থাতেই তওয়াফ-আদি সেরে বাড়ী ফিরে প্রকাশ করে, তাহলে করণীয় কি?
উত্তরঃ তওয়াফ ইফায্বাহ করা কালীন সময়ে কোন মহিলার মাসিক শুরু হলে তওয়াফ ছেড়ে
মসজিদের বাইরে চলে যাবে। কিন্তু লজ্জায় বলতে না পারে কেউ যদি সেই অবস্থাতেই
তওয়াফ-আদি সেরে বাড়ী ফিরে প্রকাশ করে, তাহলে
তাঁর স্বামী বা অভিভাবকের উচিত, তাকে পুনরায় মক্কায় নিয়ে
এসে তওয়াফ করানো। (আর সাঈ শুদ্ধ হয়ে গেছে।)এর মধ্যে যদি সে সুগন্ধি ইত্যাদি
ব্যবহার করে থাকে, তাহলে ৩টি রোযা রাখবে অথবা ৬টি মিসকিন
মিসকীনকে (সওয়া ১কিলো করে চাল)খাদ্য দান করবে অথবা ১টি ছাগল বা ভেড়া কুরবানী দিতে
হবে। স্বামী-সহবাস করে থাকলে মক্কায় ১টি কুরবানী দিয়ে তাঁর গোশত হারামের ফকীরদের
মাঝে বিতরণ করবে। আর এমন মহিলাকে উক্ত কাজের জন্য অবশ্যই তওবা করতে হবে। ৩৪৭
(ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৩৮)
উত্তরঃ তওয়াফের পর সাঈ করার পূর্বে মাসিক শুরু হলে সাঈ সেরে নেবে। কারণ, সাঈর জন্য পবিত্রতা শর্ত অ জরুরী নয় এবং সাঈর স্থানও মসজিদের মধ্যে
গণ্য নয়। তাই সে সেখানে অবস্থান ও অপেক্ষাও করতে পারে। ৩৪৮ (ঐ ২/২৩৯)
এ সব ঝামেলার হাত থেকে বাঁচার জন্য মহিলা মাসিক
আসার সময় বুঝে মাসিক বন্ধ রাখার ট্যাবলেট ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারে।৩৪৯ (ঐ ২/১৮৫)
উত্তরঃ ইফরাদের নিয়ত হলে তওয়াফে কুদূম না করতে পারলেও কোন ক্ষতি নেই। ৩৫০(ফাতাওয়া
ইসলামিয়্যাহ ২/২৩৮)কেবল হজ্জের তওয়াফই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে সে সরাসরি মিনায় যেতে
পারে।
উত্তরঃ তওয়াফ করতে করতে ওযু নষ্ট হলে তওয়াফ ছেড়ে ওযু করে পুনরায় তওয়াফ করতে হবে।
উত্তরঃ তওয়াফে নারীদেহ স্পর্শ হলে যদি লজ্জাস্থানে তরল পদার্থ অনুভূত না হয়, তাহলে কোন ক্ষতি হবে না। অবশ্য সকলের উচিত, বেগানা
নারীর স্পর্শ থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করা। ৩৫১ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৩১)
উত্তরঃ তওয়াফ ও সাঈ এর জন্য যদি কেউ কাউকে বহন করে, তবে বাহকের জন্যও তা যথেষ্ট হবে। বাহককে আর নতুন করে পৃথকভাবে তওয়াফ ও
সাঈ করতে হবে না। ৩৫২ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ২৩/ ৯৫)
উত্তরঃ তাওয়াফের পর ২ রাকাআত স্বলাত সুন্নত। কেউ ভুলে তা না পড়লে কোন ক্ষতি নেই।
৩৫৩ (ফাতাওয়া মুহিম্মাহ ৪০ পৃঃ)
উত্তরঃ তওয়াফ করাকালে জরুরী কথাবার্তা বলা দূষণীয় নয়। মহানবী (ﷺ) বলেছেন, “তওয়াফ হল স্বলাত। তবে আল্লাহ তাতে কথা বলা বৈধ করেছেন। সুতরাং কেউ কথা
বললে, সে যেন ভাল কথা বলে।”(তিরমিযী,
দারাক্বত্বনী, হাকেম, ইবনে খুযাইমা) তিনি আর বলেছেন, “তওয়াফ হল
স্বলাত। সুতরাং তোমরা তওয়াফ করলে কথা কম বলো।” ৩৫৪ (আহমাদ
৩/২১৪, সহিহুল জামে ৩৯৫৬ নং)
উত্তরঃ তওয়াফ ও সাঈ করতে করতে বৈধ কথা বলা, পানি পান
করা, ক্লান্ত হয়ে পড়লে একটু আরাম নেওয়া বৈধ। ৩৫৫ (ঐ
২/৬২০)
✔ ২৭৭. প্রশ্নঃ হজ্জের সময় হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করা বড় কঠিন।
সুতরাং ধাক্কাধাক্কি করে অথবা কাউকে ঘুস দিয়ে চুম্বন করলে কি সওয়াব হবে কি?
উত্তরঃ হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করা সুন্নত। তা চুমতে গিয়ে লড়াই করা বা কাউকে ঘুস
দেওয়া মহাপাপ। ৩৫৬ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৩/১৭)
উত্তরঃ ভিড়ের কারণে দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলায় উঠে তওয়াফ বা সাঈ করা যায় তাতে কোন
সমস্যা নেই। ৩৫৭ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১/১৯৪)
✔ ২৭৯. প্রশ্নঃ তওয়াফ করার পর আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। অতঃপর হাসপাতাল
থেকে সুস্থ হয়ে সাঈ করি। এতে কোন ক্ষতি হবে কি?
উত্তরঃ কারনবশতঃ তওয়াফের ২/৩ দিন পরেও সাঈ করতে পারা যায়। যেহেতু তা তওয়াফের পরপরই
করা কোন শর্ত নয়। ৩৫৮ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৫২)
উত্তরঃ হজ্জের তওয়াফের আগে সাঈ করে নেওয়া যায়। অবশ্য উত্তম হল, তওয়াফের পর সাঈ করা। তবে উমরার তওয়াফের পূর্বে সাঈ করা যায় না; করলে তওয়াফের পর পুনরায় সাঈ করতে হবে। ৩৫৯ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬২২,
৬২৪)
✔ ২৮১. প্রশ্নঃ ভুলক্রমে সাঈ এর একটি চক্কর ছুটে গেলে এবং পরে মনে
পড়লে করণীয় কি?হালাল হয়ে সফর করার পর বাড়ীতে
এসে মনে পড়লে কি করা যাবে?
উত্তরঃ সাঈ এর একটি চক্কর ছুটে গেলে এবং বহু পরে মনে পড়লে অথবা সুযোগ হলে পুনরায়
নতুনভাবে ৭ চক্কর সাঈ করবে। ৩৬০ (ঐ ২/৬২৩)হালাল হয়ে সফর করে থাকলে মনে পরা মাত্র
পুনরায় ইহরাম বেঁধে মক্কায় এসে নতুনভাবে সাঈ করে চুল কাটবে। ৩৬১ (ঐ ২/৬২৮)
✔ ২৮২. প্রশ্নঃ না জেনে ঠিক তওয়াফের মত সাঈও ৭ চক্কর (অর্থাৎ ১৪
বার যাতায়াত)করে ফেললে সাঈ শুদ্ধ হবে কি?
উত্তরঃ না জেনে ঠিক তওয়াফের মত সাঈও ৭ চক্কর (অর্থাৎ ১৪ বার যাতায়াত) করে থাকলেও ৭
বারই গণ্য হবে এবং অজান্তে বাড়তি করায় কোন ক্ষতি হবে না। ৩৬২ (ঐ ৬২৬)
উত্তরঃ সাফার পরিবর্তে মারওয়া থেকে সাঈ শুরু করলে সাঈ শুদ্ধ হবে না। পুনরায় সাফা
থেকে শুরু করে সাঈ করতে হবে। ৩৬৩ (ঐ ২/৬২৮)
✔ ২৮৪. প্রশ্নঃ যুল-হজ্জের ৮ তারিখে মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত স্বলাত না
পড়লে এবং রাত্রি বাস না করলে হজ্জের কোন ক্ষতি হয় কি?
উত্তরঃ যুল হজ্জের ৮ তারিখে
মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত স্বলাত না পড়লে এবং রাত্রি বাস না করলে কোন ক্ষতি হয় না। অবশ্য
তা সুন্নত। মতান্তরে ওয়াজেব। ৩৬৪ (মানাসিকুল হাজ্জ, আলবানী
৭ পৃঃ)
উত্তরঃ আরাফার ময়দানে হাত তুলে দুআ করা যায়। জামাআতের একজন দুআ ও বাকী ‘আমীন আমীন’ করলেও দোষ নেই। তবে একাকী দুআই
এখানে শরীয়ত সম্মত ও উত্তম। ৩৬৫ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৬৭-২৬৮, আল-মুমতে ৭/৩২৯-৩৩০)
উত্তরঃ আরাফার সীমা থেকে সূর্য ডোবার পূর্বেই বের হয়ে এলে ফিদয়্যাহ লাগবে; যা মক্কায় যবেহ করে সেখানকার গরীবদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। দেশে ফিরে
গেলে এবং পুনরায় মক্কায় যাওয়া সম্ভভ না হলে মক্কার মুসাফির বা পরিচিত কাউকে এ
দায়িত্বভার সমর্পণ করবে। কেউ না থাকলে দেশেই যবেহ করে গোশত গরীবদের মাঝে বণ্ঠন করে
দেবে। ৩৬৬ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ৬/২৫৪, ফাতাওয়া
ইসলামিয়্যাহ ২/২৬৪)
উত্তরঃ মুযদালিফায় রাত্রিবাস ওয়াজেব। ত্যাগ করলে দম লাগবে। মুযদালিফায় ফজরের
স্বলাত পেলে সেটুকুই যথেষ্ট।৩৬৭ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৭১)
✔ ২৮৮. প্রশ্নঃ নিয়ম হল মুযদালিফায় পৌঁছে মাগরিব ও এশা জমা করে
পড়া। কিন্তু ভিড়ের চাপে আরাফা থেকে মুযদালিফা আসতে আসতে যদি অর্ধরাত্রি পার হওয়ার
আশঙ্কা হয়, তাহলে করণীয় কি?
উত্তরঃ আরাফা থেকে মুযদালিফা আসতে আসতে যদি অর্ধরাত্রি পার হওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে
মাগরিব এশার স্বলাত চলার পথে মুযদালিফার বাইরে হলেও পড়ে নেবে। ৩৬৮ (ফাতাওয়া
ইসলামিয়্যাহ ২/২৭০)
✔ ২৮৯. প্রশ্নঃ ভিড়ের কারণে মাশআরুল হারামের নিকট গিয়ে দুআ করা
যদি সম্ভভ না হয়, তাহলে কোন ক্ষতি হবে কি?
উত্তরঃ মাশআরুল হারামে গিয়ে দুআ করা ওয়াজেব নয়; করা ভাল।
৩৬৯ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৭১)
উত্তরঃ ভিড় অথবা অন্য কোন কারণে মুযদালিফার সিমানায় প্রবেশ না করতে পারলে সেখানে
রাত্রিবাস মাফ হয়ে যাবে এবং দম লাগবে না। যেহেতু যা সাধ্যের বাইরে, তা ক্ষমার্হ। ৩৭০ (ঐ)
অবশ্য সতর্কতামূলকভাবে মক্কায় একটি কুরবানী করা
উচিত। সামর্থ্য না থাকলে মাফ। ৩৭১ (ইবনে উষাইমীন)
✔ ২৯১. প্রশ্নঃ মুযদালিফা থেকে মুআল্লিমের বাস অর্ধরাত্রি পূর্বে
তাড়াহুড়া করে চলে যেতে চাইলে করণীয় কি?
উত্তরঃ মুযদালিফা থেকে মুআল্লিমের বাস অর্ধরাত্রির পূর্বে তাড়াহুড়া করে চলে যেতে
চাইলে বাস ছেড়ে পায়ে হেঁটে ফজরের পর মিনায় যাবে। হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে বাসেই
যাবে। বাধ্য হওয়ার কারণেই তাঁর উপর দম ওয়াজেব হবে না। ৩৭২ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন
২/৬০০)
উত্তরঃ মুযদালিফা থেকে অর্ধরাত্রি পর মিনায় যাওয়া যায়। তবে চন্দ্র অস্ত যাওয়া
পর্যন্ত অপেক্ষা করা উত্তম। আর এ শুধু দুর্বল শ্রেণীর মানুষ (ও তাঁদের সহযোগী
সঙ্গী)দের জন্য। ৩৭৩ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৭২)অর্ধরাত্রির পর এই শ্রেণীর
মানুষের জামরায়ে আক্বাবায় পাথর মেরে মক্কায় হজ্জের তওয়াফও করতে পারে। ৩৭৪
(মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৩/ ৮৬)তবে অর্ধরাত্রির পূর্বে রমই ও তওয়াফ করলে
তা শুদ্ধ হবে না। করে ফেললে পুনরায় করতে হবে। নচেৎ রমইর জন্য মক্কায় দম দেবে এবং
তওয়াফ যূল হজ্জের বা মুহরামের শেষে অথবা যখন ভুল বুঝতে পারবে তখনই মক্কা এসে পূর্ণ
করবে। নচেৎ হজ্জ হবে না।
উত্তরঃ তওয়াফে ইফায্বাহ সফর করা পর্যন্ত পিছিয়ে রাখা যায়। ভিড়ের ভয়ে যূল হজ্জের
শেষের দিকেও করা যায়। বরং সঠিক ওযর থাকলে যুল হজ্জ মাসের পরেও করতে পারে। ৩৭৫ (ঐ
২/৬৪০)
উত্তরঃ তওয়াফে ইফায্বার পূর্বে কেউ মারা গেলে তাঁর তরফ থেকে তওয়াফ পূর্ণ করতে হবে
না। ৩৭৬ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬১২)
✔ ২৯৫. প্রশ্নঃ পাথর মেরে কেশ মুণ্ডন করার পর তওয়াফে ইফায্বাহর
পূর্বে স্ত্রী চুম্বন বা আলিঙ্গনের ফলে বীর্যপাত করলে করণীয় কি?
উত্তরঃ পাথর মেরে কেশ মুণ্ডন করার পর তওয়াফে ইফায্বাহর পূর্বে স্ত্রী চুম্বন বা
আলিঙ্গনের ফলে বীর্যপাত করলে তওবা সহ দম লাগবে। ৩৭৭ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৩/ ৭৪)
উত্তরঃ প্রথম হালালের পূর্বে যদি কেউ স্ত্রী সহবাস করে ফেলে, তাহলে তাঁর হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে। অবশ্য বাকী হজ্জের কাজ তাকে পূরণ করতে
হবে এবং কাফফারা স্বরূপ একটি উট কুরবানী দিয়ে তাঁর গোশত মক্কার মিসকীনদের মাঝে
বিতরণ করতে হবে। আর ঐ বাতিল হজ্জ নফল হলেও তাকে আগামীতে নতুনভাবে পালন করতে হবে।
৩৭৮ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৭২)
উত্তরঃ স্বপ্নদোষে বীর্যপাত ঘটলে হজ্জ বা উমরার কোন ক্ষতি হয় না। যেহেতু তা নিজের
এখতিয়ারভুক্ত নয়। ৩৭৯ (ঐ ২/২৩৩-২৩৪)
উত্তরঃ তওয়াফ ইফায্বাহ বা সাঈ কেউ করতে সক্ষম না হলে অন্য কেউ তাঁর নায়েব হয়ে করে
দিতে পারে না। খাট বা ঠেলা গাড়িতে বসে অথবা কারো কাঁধে বা পিঠে চড়ে তাকে নিজে করতে
হবে। যদি সম্ভভ না হয়, তবে রোগ বা দুর্বলতা দূর হওয়া
পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং ইহরাম খুলবে না। যদি আরোগ্যের আশা না থাকে, তবে একটি ছাগল বা ভেড়া যবেহ করে তাঁর গোশত মক্কার গরীবদের মাঝে বিতরণ
করে হালাল হয়ে যাবে এবং হজ্জ আগামীতে কাযা করবে। ৩৮০ (ঐ ২/২৪৩)
উত্তরঃ কোন কারনবশতঃ হজ্জের কুরবানী দিতে না পারলে ১০ টি রোযা রাখবে। ৩ টি হজ্জে, আরাফার দিনের পূর্বে রেখে নেবে এবং বাকী ৭ টি দেশে ফিরে রাখবে। আরাফার
দিন রোযা রাখবে না। ৩৮১ (ফাতাওয়া মুহিম্মাহ ৩৮ পৃঃ) হজ্জের মধ্যে ঐ তিনটি রোযা
তাশরীকের দিনগুলোতে ১১, ১২, ১৩
তারিখেও রাখতে পারে। আর এটা ঐ দিনগুলিতে রোযা রাখা নিষিদ্ধ আইনের ব্যতিক্রম। তবে
আরাফার দিনের পুবেই রোযা রেখে নেওয়া উত্তম; যদি তাঁর
পূর্ব থেকেই জানা যায় যে, সে কুরবানী দিতে পারবে না। ৩৮২
(ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৯৫-২৯৬)
মক্কাবাসী হাজীদের জন্য ঐ কুরবানী নেই। মহান
আল্লাহ বলেছেন, “অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে,
তখন তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজ্জের প্রাক্কালে উমরাহ দ্বারা
লাভবান হতে চায়, সে সহজলভ্য কুরবানী করবে। কিন্তু যদি কেউ
কুরবানী না পায় (বা দিতে অক্ষম হয়), তাহলে তাকে হজ্জের
সময় তিন দিন এবং গৃহে প্রত্যাবর্তনের পর সাত দিন--- এই পূর্ণ দশ দিন রোযা পালন
করতে হবে। এই নিয়ম সেই ব্যক্তির জন্য, যার পরিবার পরিজন
পবিত্র কা’বার নিকটে (মক্কায়)বাস করে না।” (বাকারাহঃ ১৯৬)
✔ ৩০০ প্রশ্নঃ ভেবেছিলাম কুরবানী দিতে পারব না। তাই তাশরীকের
দিনগুলিতে রোযা রাখলাম। কিন্তু ১৩ তারিখের রাত্রে মনে হল, আমার কাছে যে টাকা আছে, তাঁতে কুরবানী দেওয়া
যেতো। তাছাড়া বাড়ী ফিরে ৭ টি রোযা রাখাও কঠিন। সুতরাং ১৪ তারিখের রাতে বা দিনে
কুরবানী দিলে কি তা যথেষ্ট হবে?
উত্তরঃ ১৩ তারিখের সূর্য অস্ত গেলে আর কুরবানী শুদ্ধ হবে না। ৩৮৩ (ঐ ২/২৯৬) অতঃএব
৩টি রোযা রেখে তাশরীকের দিনসমূহ অতিবাহিত করে পুনরায় কুরবানী দিতে চাইলে আর হবে
না। বাকী ৭টি রোযা দেশে পূর্ণ করতে হবে।
উত্তরঃ কুরবানী মিনাতেই যবেহ করা জরুরী নয়। মক্কার হারামের সীমার ভিতরে যে কোন
স্থানে কুরবানী যবেহ করা যায়। হারামের সীমার বাইরে হজ্জের কুরবানী সিদ্ধ হবে না; যদিও তাঁর গোশত হারামের ভিতরে বিতরণ করা হয়।
উত্তরঃ কুরবানী যবেহ করে সম্পূর্ণ ফেলে দেওয়া বৈধ নয়। বরং তাঁর কিছু খাওয়া ও দান
করা কর্তব্য। তাঁতে কষ্ট আছে মনে করলে নির্দিষ্ট সংস্থায় টাকা জমা দেওয়া যায়।
উত্তরঃ চুল কাটতে ভুলে গিয়ে সফর করার পর স্মরণ হলে, স্মরণ হওয়া মাত্র (পুরুষ হলে এবং ইহরামের কাপড় খুলে ফেললে)ইহরামের কাপড়
পরবে এবং হজ্জ পুরা করার নিয়তে চুল কাটে নেবে। অতঃপর যদি এর পূর্বে মক্কায় স্ত্রী
সহবাস করে থাকে তবে মক্কায় ১টি (ছাগল বা ভেড়া, নচেৎ উট বা
গরুর ৭ ভাগের এক ভাগ)দম লাগবে। আর সে গোশত সেখানকার গরীবদের মাঝে বিতরণ বিতরণ করতে
হবে। তবে যদি
সহবাস মক্কার বাইরে কোথাও হয় তবে দেশেই ঐ ফিদিয়্যাহ যবেহ করে দেশের গরীবদের মাঝে
তাঁর গোশত বিতরণ করতে পারে। ৩৮৫ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ)তদনুরূপ যে
ব্যক্তি না জেনে মাথার সম্পূর্ণ চুল না ছেঁটে কেবল এখান ওখান থেকে কিছু চুল কেটে
হালাল হয়েছে সে ব্যক্তির জন্যও বিধান এই। ৩৮৬ ( ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৩৪)
উত্তরঃ তাশরীকের রাত্রিগুলো মিনায় যাপন করা জরুরী। অবশ্য ১২ তারিখের সূর্যাস্তের
পূর্বে বের হয়ে গেলে ১৩ তারিখের রাত্রি যাপন করতে হয় না। কিন্তু যদি কেউ ১১ তারিখে
মিনা ত্যাগ করে চলে যায়, তবে তাকে ফিদয়্যাহ দিতে হবে।
৩৮৭ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৩/৮৮)অবশ্য অসুখের কারণে ত্যাগ করতে বাধ্য
হলে কোন কিছু ওয়াজেব নয়। আল্লাহ কাউকে তাঁর সামর্থ্যের অধিক দায়িত্ব অর্পণ করেন
না। ৩৮৮ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৭৬)
✔ ৩০৫ প্রশ্নঃ রাত্রির অধিকাংশ সময় মিনায় কাটিয়ে বাকী সময় (অথবা
সারা দিন) অন্য কোথাও বা মাসজিদুল হারামে কাটানো যায় কি?
উত্তরঃ রাত্রির অধিকাংশ সময় মিনায় কাটিয়ে বাকী সময় (অথবা সারা দিন) অন্য কোথাও বা
মাসজিদুল হারামে কাটানো যায়। তাঁতে কোন ক্ষতি হয় না। ৩৮৯ (ঐ ২/২৭৪)
উত্তরঃ মিনায় থাকার জন্য জায়গা না পেলে মিনার সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী কোন জায়গায়
মিনায় অবস্থানকারী অন্যান্য হাজীদের পাশাপাশি স্থান নিয়ে বাস করবে। মিনার সীমানার
ভিতরে জায়গা পায়নি বলে মক্কায় রাত্রিযাপন বৈধ হবে না। ৩৯০(ফাতাওয়া ইবনে উষাইমিন
২/৬০৪)যেমন সামর্থ্য থাকতে কম ভাড়া পেয়ে মিনা ছেড়ে মুযদালিফায় খিমা নেওয়া বৈধ নয়।
উত্তরঃ নিরুপায় হলে রাত্রিতেও পাথর মারা যায়। এক দিনের পাথর পর দিনে মেরে কাযা করা
যায়। ৩৯১ (ঐ ২/২৮৪) অবশ্য আগামী কালের পাথর আজ আগাম মারা যায় না।
উত্তরঃ শেষ দিনে তিন দিনের পাথর এক সাথে মারতে হলে প্রথম ১১ তারিখের পাথর যথা
নিয়মে তিনটি জামরাতেই মারতে হবে। তারপর ছোট জামরায় ফিরে গিয়ে ১২ তারিখের পাথর যথা
নিয়মে তিনটি জামরাতেই মারতে হবে। সর্বশেষে ১৩ তারিখের পাথর যথা নিয়মে তিনটি
জামরাতেই মারতে হবে। ৩৯২ (ইবনে বায)
✔ ৩০৯ প্রশ্নঃ পাথর মারতে সক্ষম অপরকে ব্যক্তি অপরকে প্রতিনিধি
করতে পারে কি? কোন অহাজী নায়েব হয়ে পাথর মেরে
দিতে পারে কি?
উত্তরঃ পাথর মারতে সক্ষম অপরকে ব্যক্তি অপরকে প্রতিনিধি করতে পারে না; করলে দম লাগবে। যাকে প্রতিনিধি করা হবে তাকে বর্তমানে হাজী হতে হবে।
৩৯৩ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৪/১৪০)
✔ ৩১০ প্রশ্নঃ কাউকে পাথর মারার প্রতিনিধি বানিয়ে দিয়ে তাঁর পাথর
মারার পূর্বে হাজীর মিনা ত্যাগ করা যাবে কি?
উত্তরঃ প্রতিনিধি পাথর না মারা পর্যন্ত হাজীর মিনা ত্যাগ করা যাবে না। সুতরাং ১২
তারিখের সকালে কাউকে পাথর মারতে প্রতিনিধি নিযুক্ত করে মিনা ত্যাগ করা বৈধ নয়। ৩৯৪
(ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৪০-২৪২)
উত্তরঃ তাশরীকের (১১, ১২ ও ১৩ তারিখের) দিনগুলিতে
সূর্য ঢলার আগে পাথর মারা শুদ্ধ ও যথেষ্ট নয়। সূর্য ঢলার পূর্বে পাথর মেরে সফর করে
থাকলে মক্কায় ফিদয়্যাহ লাগবে। (তবে ভিড়ের চাপে হাজী মরার ফলে আধুনিক ফতোয়া অনুযায়ী
সকালেও পাথর মারা চলবে।)
✔ ৩১২ প্রশ্নঃ ৭ টি পাথরকেই একই সঙ্গে ছুঁড়ে মারলে, ছোট জামরাহ থেকে শুরু না করে বিপরীত দিকে বড় জামরাহ থেকে শুরু করে পাথর
মেরে থাকলে শুদ্ধ হবে কি?
উত্তরঃ ৭ টি পাথরকেই একই সঙ্গে ছুঁড়ে মারলে, ছোট
জামরাহ থেকে শুরু না করে বিপরীত দিকে বড় জামরাহ থেকে শুরু করে পাথর মেরে থাকলেও
মক্কায় দম লাগবে। ৩৯৫ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/২৮৫, ২৮৬)অবশ্য
সময় থাকতে কাযা করে নিলে দম লাগবে না।
✔ ৩১৩ প্রশ্নঃ পাথর কি দেওয়ালে লাগা জরুরী? দেওয়ালে লেগে যদি হওযে না পড়ে, তাহলে যথেষ্ট
কি? পাথর যদি না ছুঁড়ে হওযের কিনারায় দাঁড়িয়ে তাতে ছেড়ে
দেওয়া হয়, তাহলে শুদ্ধ হবে কি?
উত্তরঃ পাথর কি দেওয়ালে লাগা জরুরী নয়। জরুরী হল হওযে পড়া। হওযে না পড়লে দম লাগবে।
৩৯৬ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৩৫-৬৩৬) যেমন পাথর হওযে ফেলে দিলে যথেষ্ট নয়; বরং তা ছুঁড়ে মেরে হওযে ফেলতে হবে।
✔ ৩১৪ প্রশ্নঃ রমই শেষ হওয়ার পূর্বে পাথর শেষ হয়ে গেলে কি করা
যাবে? হওযের নিকটবর্তী পাথর নিয়ে মারা যাবে কি?
উত্তরঃ রমই শেষ হওয়ার পূর্বে পাথর শেষ হয়ে গেলে হওয থেকে দূরে কোন জায়গা হতে পাথর
কুড়িয়ে এনে বাকী রমই পূর্ণ করে নেওয়া যাবে। ৩৯৭ (ঐ ২৩৬)
উত্তরঃ রমইর পাথর পাথরই হতে হবে। রত্ন, মাটি
সিমেন্ট বা পিচের ঢেলা হলে তা দিয়ে রমই সহীহ নয়। ৩৯৮ (আল-মুমতে ৭/৩৫৭)
উত্তরঃ মিনায় রাত্রিবাস ও সমস্ত রমই ত্যাগ করলে ১টি মাত্র ফিদয়্যাহ দিলেই যথেষ্ট
হবে। ৩৯৯ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ২৩/৯৪)অবশ্য ফিদয়্যাহ দেওয়ার পর পুনরায়
কোন ওয়াজেব ত্যাগ করলে পুনরায় ফিদয়্যাহ লাগবে।
✔ ৩১৭ প্রশ্নঃ বিদায়ী তওয়াফ করার আগে মহিলার মাসিক শুরু হয়েছে।
কেউ কেউ দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ওদিকে সফর সঙ্গীরা যথাসময়ে বিদায় নিচ্ছে।
তাহলে মহিলা ও অসুস্থ ব্যক্তি বিদায়ী তওয়াফ না করতে পারলে কি দম লাগবে?
উত্তরঃ ঋতুমতী মহিলার জন্য তওয়াফ বিদা মাফ। দুর্বল ও রোগী হাজীদের বহন করে বিদায়ী
তওয়াফ করতে হবে। ত্যাগ করলে দম লাগবে। ৪০০ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ৬/২৫৪, ১৪/১৩৭)
উত্তরঃ তওয়াফে বিদা’র পরপরই মক্কা ত্যাগ করতে হবে।
বহু দেরী করে ফেললে পুনরায় তওয়াফ করতে হবে। অবশ্য তওয়াফের পর কিছু কেনা কাটা করায়
ও সঙ্গীদের অপেক্ষায় কিছু দেরী হওয়ার দোষ নেই। ৪০১ (ফাতাওয়া মুহিম্মাহ ৪৩ পৃঃ)
✔ ৩১৯ প্রশ্নঃ সময় বাঁচাতে গিয়ে সফরের দিন মক্কায় গিয়ে বিদায়ী
তওয়াফ করে পুনরায় মিনায় এসে কাঁকর মেরে বাড়ী ফেরা যায় কি?
উত্তরঃ সফরের দিন মক্কায় গিয়ে বিদায়ী তওয়াফ করে পুনরায় মিনায় এসে কাঁকর মেরে বাড়ী
ফেরা বৈধ নয়। বরং মিনা ত্যাগ করে মক্কায় গিয়ে বিদায়ী তওয়াফ করে বাড়ী ফিরতে হবে।
৪০২ (দালীলুল হাজ্জ দ্রঃ)
উত্তরঃ বিদায়ী তওয়াফের পর না জেনে ভুলক্রমে সাঈ করে ফেললে কোন কিছু ওয়াজেব হয় না।
৪০৩ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬২৫)
✔ ৩২১ প্রশ্নঃ অনেককে দেখা যায়, বিদায়কালে কাবার মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় উল্টা পায়ে পিছিয়ে পিছিয়ে
বের হয়ে যাচ্ছে। এটা কি শরীয়তসম্মত?
উত্তরঃ বিদায়কালে কাবার মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় উল্টা পায়ে বের হয়ে সন্মান
প্রদর্শন এবং মসজিদের দরজায় বিশেষ বিদায়ী দুআ পাঠ শরিয়ত সম্মত নয়।
উত্তরঃ পুরুষ মহিলার তরফ থেকে এবং মহিলা পুরুষের তরফ থেকে হজ্জের বদল করতে পারে।
তবে এর জন্য শর্ত এই যে, তাকে নিজের হজ্জ আগে করে থাকতে
হবে। একদা মহানবী (ﷺ) শুনলেন, একটি লোক বলছে, ‘শুবরুমার পক্ষ থেকে লাব্বাইক।’
তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘শুবরুমা কে?’
সে বলল, ‘আমার এক ভাই (অথবা আত্মীয়)।’
তিনি বললেন, ‘তুমি নিজের হজ্জ করেছ?’
সে বলল, ‘জি না।’ তিনি বললেন, ‘তুমি নিজের হজ্জ আগে কর, তারপর শুবরুমার হজ্জ (পরে) করো’। ৪০৪ (আবূ
দাঊদ ১৮১১, ইবনে মাজাহ ২৯০৩ প্রমুখ)
✔ ৩২৩ প্রশ্নঃ আমি সাউদি আরবে কাজ করি। নিজের হজ্জ করছি। এখন
গরীব পিতামাতার তরফ থেকে বদল হজ্জ করা যায় কি?
উত্তরঃ গরীব সামর্থ্যহীন পিতা-মাতার তরফ থেকে হজ্জ করা যায়। ৪০৫(মাজাল্লাতুল
বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৩/৭২-৭৩)
উত্তরঃ জীবিত অবস্থায় কেউ একাধিকবার হজ্জ করে মারা গেলেও তাঁর তরফ থেকে ঈসালে
সওয়াবের উদেশ্যে নফল হজ্জ করা যায়। ৪০৬(ঐ ১৮/১১৮)
উত্তরঃ একই সফরে পিতার নামে উমরাহ ও মাতার নামে হজ্জ পালন করা যায়। ৪০৭ (ঐ ১২/৯৭)
উত্তরঃ শক্তি সামর্থ্য থাকতে কারো দ্বারা হজ্জে বদল করানো শুদ্ধ নয়। তাঁতে ফরয আদায়
হবে না। ৪০৮ (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৫০)
উত্তরঃ মৃত মা বাপের তরফ থেকে নায়েব বানিয়ে হজ্জ করানো যায়। ৪০৯(ঐ ২/৬৫১)
উত্তরঃ হজ্জে বদলের জন্য খরচ নিয়ে বেড়ে গেলে যদি দেওয়ার সময় মুওয়াক্কেল বলে যে, ‘যা খরচ হয় কারো বা এই অর্থ থেকে খরচ করো’ তাহলে
বাকী অর্থ ফেরত দিতে হবে। অনথ্যা যদি অর্থ দেওয়ার সময় বলে যে, ‘এ অর্থ তোমাকে আমার নামে হজ্জ করার জন্য দিলাম’ তাহলে ফেরত না দিলেও দোষ নেই। ৪১০ (ঐ ২/৬৫২)
উত্তরঃ এক বছরে কি দুজনের তরফ থেকে হজ্জ করা যায় না। এক সাথে দুই জনের নায়েব হওয়া
যায় না। ৪১১ (লাজনাহ দায়েমাহ)
✔ ৩৩০ প্রশ্নঃ এক সফরে একাধিক উমরাহ করা যায় কি? প্রথমে মীকাত থেকে একবার এবং পরে আয়েশা মসজিদ থেকে ইহরাম বেঁধে বরাবর
উমরাহ শুদ্ধ হবে কি?
উত্তরঃ একই সফরে বারবার উমরাহ; একবার মায়ের জন্য, দ্বিতীয়বার বাবার জন্য, তৃতীয়বার দাদীর জন্য
এবং একইভাবে আর কারো জন্য (বা নিজের জন্য) তানঈম থেকে আসা যাওয়া করে আদায় করা
বিধিসম্মত নয়। তাছাড়া মৃতের নামে হজ্জ করার চেয়ে দুআ করাই উত্তম। ৪১২ (ঐ ২/১৯৮,
২৬৬)
“ইবাদতে মৌলিক দুটি শর্ত পূরণ হওয়া জরুরী; ইখলাস ও মুহাম্মাদি তরীকা। (যারা এক সফরে বার বার উমরাহ করে)তারা কি
সাহাবা থেকেও ভাল কাজে বেশী আগ্রহী? আল্লাহর কসম! না।
তারা তাঁদের থেকে বেশী আগ্রহী নয়। আল্লাহর শরীয়তের ব্যপারে সাহাবা থেকে বেশী
জ্ঞানী নয়। তারা একটি হাদিস পেশ করে প্রমাণ করুক যে, সাহাবাগন
রমযান অথবা অরমযানে বরাবর উমরাহ করতেন। জেনে রাখুন, এ
ব্যপারে কোন সহীহ অথবা যয়ীফ একটি হরফ ও নেই, যাতে প্রমাণ
হয় যে, সাহাবাগন রমযান বা অন্য মাসে বরাবর উমরাহ করেছেন।
অথবা কেউ উমরাহ থেকে হালাল হলে আবার তানঈম গিয়ে আর একটি উমরাহ করবে। এমনকি
মক্কাবাসীদের ফাক্বীহ ইমাম আত্বা (রাহিমাহুল্লাহ)বলেছেন, ‘জানি না যে, যারা তানঈম গিয়ে উমরাহ করেছে,
তারা গোনাহগার হবে, নাকি সওয়াব পাবে!’
অর্থাৎ, তাঁদের এ কাজে কষ্ট আছে,
কোন সওয়াব নেই; আল্লাহর পানাহ। যেহেতু
তারা শরীয়তের বহির্ভূত কাজ করে।” ৪১৩ (ইউঃ আল-লিক্বাউশ
শাহরী ৪১/১)
আর বিদিত যে, সে যুগে
সফর অতিশয় কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও মহানবী (ﷺ) তথা সাহাবাগন এক
সফরে একাধিক উমরার সুযোগ গ্রহণ করেননি। তাহলে এ যুগে সফর সহজ হওয়া সত্ত্বেও সে
সুযোগ গ্রহণ করার কি যুক্তি থাকতে পারে?
✔ ৩৩১ প্রশ্নঃ আমরা সঊদি আরবে অল্প বেতনে কাজ করি। হজ্জ করার মত
টাকা জমাতে পারি না। ইসলামিক দাওয়াত সেন্টারের সহযোগিতায় আমরা হজ্জ করেছি।
পরবর্তীতে নিজে হজ্জ করার মতো সামর্থ্য হয়েছে। এখন আমাদের হজ্জের ফরয আদায় হয়ে
গেছে, নাকি দ্বিতীয়বার নিজের টাকায় হজ্জ করতে হবে?
উত্তরঃ হজ্জ করার জন্য কেউ অর্থ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করলে তা গ্রহণ করা বৈধ এবং
দানের টাকায় হজ্জ করলেও ফরয আদায় হয়ে যায়।
উত্তরঃ পিতার পয়সায় হজ্জ করলে পুত্রের ফরয আদায় হয়ে যাবে।
অনুরূপ অন্যের পয়সাতে হজ্জ করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। ৪১৪ (ঐ ২/১৮৮)
✔ ৩৩৩ প্রশ্নঃ আমার উপর হজ্জ ফরয নয়। কেউ আমার প্রতি ইহসানী করে হজ্জের খরচ দিতে এলে তা
গ্রহণ করা কি জরুরী। তাঁর ফলে কি আমার উপর হজ্জ ফরয হয়ে যাবে?
উত্তরঃ অপরের ইহসানী গ্রহণ করা জরুরী নয় এবং তাঁর ফলে হজ্জ ফরযও হয় না। তবে দাতা
যদি বাপ বা ভাই হয়, তাহলে তা গ্রহণ করে হজ্জ করা
উচিত। কারণ বাপ ভাই ইহসানী করে কিছু দেয় না। ৪১৫ (ইবনে উষাইমীন)
উত্তরঃ ফরয হওয়া সত্ত্বেও পিতা হজ্জ না করে মারা গেলে পুত্র বা ওয়ারেসের উচিত, নিজের হজ্জ আদায় করে তাঁর তরফ থেকে হজ্জ করা, অথবা
পিতার ছেড়ে যাওয়া অর্থ থেকে কোন হাজীকে খরচ দিয়ে তাঁর তরফ থেকে হজ্জ করার দায়িত্ব
দেওয়া। ৪১৬ (ঐ ২/১৯৪)যেমন ছেলে হজ্জ ফরয রেখে মারা গেলে তাঁর পিতা বা অভিভাবকের
উচিত, তাঁর তরফ থেকে ফরয হজ্জ পালন করে দেওয়া। ৪১৭ (ঐ
২/১৯৫)
উত্তরঃ নফল হজ্জ উমরাহ করতে অর্থ ব্যয় করার চেয়ে ঐ অর্থ জিহাদের খাতে ব্যয় করা
অধিক উত্তম। ৪১৮(ঐ ২/১৯৫)
✔ ৩৩৬ প্রশ্নঃ শিশুকে হজ্জ করালে, শিশু যদি এমন কাজ করে বসে যাতে ফিদয়্যাহ ওয়াজেব, তাহলে অভিভাবককে কি তা আদায় করতে হবে?
উত্তরঃ শিশুকে হজ্জ করালে, শিশু যদি এমন কাজ করে বসে যাতে
ফিদয়্যাহ ওয়াজেব, তাহলে অভিভাবককে তাঁর তরফ থেকে তা আদায়
করতে হবে। ৪১৯ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১৮২)
✔ ৩৩৭ প্রশ্নঃ অনেক হাজী আছে, যার
পয়সার জোরে হজ্জ তো করে, কিন্তু পাপাচার বর্জন করতে পারে
না। তাদের হজ্জের অবস্থা কি?
উত্তরঃ পাপকর্মে অটল থেকে হজ্জ করলে হজ্জ শুদ্ধ, তবে অসম্পূর্ণ। পাপ থেকে তওবা জরুরী। শিরক করা অবস্থায় হজ্জ করলে তো তা
মকবূলই নয়। ৪২০ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৪/ ১৪০)
✔ ৩৩৮ প্রশ্নঃ স্বলাত পড়ে না। কিন্তু অর্থশালী বলে হজ্জ করে ‘হাজী সাহেব’ হয়েছে। বেস্বলাতীর হজ্জ কি কবুল
হবে?
উত্তরঃ কোন বেস্বলাতী হাজীর হজ্জ গৃহীত নয়। যেহেতু বাস্বলাতী আসলে ‘মুসলিম’ থাকে না। রাসুলুল্লাহ (ﷺ)বলেছেন, “মানুষ ও
কুফরীর মধ্যে (পর্দা) হল, স্বলাত ত্যাগ করা।” ৪২১ (মুসলিম)
তিনি আর বলেছেন, “যে চুক্তি আমাদের ও তাদের (কাফেরদের) মধ্যে বিদ্যমান, তা হচ্ছে স্বলাত (পড়া)। অতএব যে স্বলাত ত্যাগ করবে, সে নিশ্চয় কাফের হয়ে যাবে।” ৪২২ (তিরমিযী)
শাক্বীক ইবনে আব্দুল্লাহ তাবেঈ (রহিমাহুল্লাহ)
বলেন, “মুহাম্মাদ (ﷺ)এর সহচরবৃন্দ স্বলাত ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ
করাকে কুফরীমূলক কাজ বলে মনে করতেন না।” ৪২৩
(তিরমিযী)(ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৮৭)
✔ ৩৩৯ প্রশ্নঃ আমার আব্বা মারা গেছেন। আমি তাঁর তরফ থেকে হজ্জ
করলে তাঁর উপকার হবে কি? উল্লেখ্য যে, তিনি বেস্বলাতী ছিলেন। কেবল জুমআর স্বলাত পড়তেন।
উত্তরঃ মৃত বেস্বলাতীর তরফ থেকে হজ্জ গৃহীত হবে না। যেহেতু সঠিক মতে বেস্বলাতী
কাফের। ৪২৪ (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১৮৬)
✔ ৩৪০ প্রশ্নঃ অনেক হাজী আছে, যারা
কেবল অর্থ উপার্জনের জন্য বদল-হজ্জ করে। অনেক হজ্জ করতে গিয়ে মাল নিয়ে গিয়ে,
নিয়ে এসে ব্যবসা করে। তাদের হজ্জ শুদ্ধ হবে কি?
উত্তরঃ হজ্জের নামে উদ্দেশ্য ভিন্ন হলে হজ্জ হয় না। ৪২৫ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল
ইসলামিয়্যাহ ১৩/৬৮)
মহানবী (ﷺ) বলেছেন, “যাবতীয় কার্য নিয়ত বা সংকল্পের উপর নির্ভরশীল। আর মানুষের জন্য তাঁর
প্রাপ্য হবে, যার সে নিয়ত করবে। অতএব যে ব্যক্তির হিজরত
(স্বদেশত্যাগ) আল্লাহর (সন্তোষ লাভের) উদ্দেশ্যে ও তাঁর রসূলের জন্য হবে; তাঁর হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের জন্যই হবে। আর যে ব্যক্তির হিজরত
পার্থিব সম্পদ অর্জন কিংবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যেই হবে, তাঁর হিজরত যে সংকল্প নিয়ে করবে তারই জন্য হবে।” ৪২৬ (বুখারী মুসলিম)
তিনি আর বলেছেন, “যে ব্যক্তি আখেরাতের কর্ম দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যে করবে, তাঁর জন্য আখেরাতের কোন ভাগ থাকবে না।” ৪২৭
(আহমাদ)
তবে আসল উদ্দেশ্য হজ্জ হলে এবং তাঁর সাথে কিছু
ক্রয় বিক্রয় ও বৈধ ব্যবসা করলে হজ্জের কোন ক্ষতি হয় না। মহান আল্লাহ বলেছেন, “(হজ্জের সময়) তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ কামনায় (ব্যবসা
বানিজ্যে) কোন দোষ নেই। যখন তোমরা আরাফাত (প্রান্তর)হতে প্রত্যাবর্তন করবে,
তখন (মুযদালিফায়) মাশআরুল হারামের নিকটে পৌঁছে আলাহকে স্মরণ কর
এবং তিনি যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, ঠিক সেভাবে তাকে স্মরণ
কর; যদিও পূর্বে তোমরা বিভ্রান্তদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।”(বাকারাহঃ ১৯৮)
✔ ৩৪১ প্রশ্নঃ বিড়ি ফ্যাক্টরি, তামাক ফ্যাক্টরি, মদ্য ভাটি প্রভৃতি অবৈধ
ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানের মালিকরা হজ্জ করতে আসে। তাদের হজ্জ কি শুদ্ধ হয়?
উত্তরঃ হজ্জ করার জন্য হালাল উপায়ে অর্জিত অর্থ হওয়া জরুরী। বিড়ি সিগারেট প্রভৃতি
মাদকদ্রব্যের ব্যবসার অর্থে হজ্জ হয় না। ৪২৮ (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৬/
১১৬)
✔ ৩৪২ প্রশ্নঃ বিকলাঙ্গ হওয়া দরুন অথবা অন্য কোন কারণে যদি কোন
পুরুষ ইহরামের কাপড় পড়তে না পারে, তাহলে কি যে কাপড় পরে আছে,
সেই কাপড়েই হজ্জ উমরাহ শুদ্ধ হবে?
উত্তরঃ হজ্জ উমরাহ হয়ে যাবে। কিন্তু ইহরামের নিষেধ অমান্য করার দরুন তাকে তিনটির
মধ্যে একটি করতে হবে; মক্কায় একটি ছাগল বা ভেড়া
কুরবানী দিতে হবে অথবা ছয়টি মিসকীন খাওয়াতে হবে অথবা তিনটি রোযা রাখতে হবে। মহান
আল্লাহ বলেছেন, “যে পর্যন্ত কুরবানীর (পশু) তাঁর
যবেহস্থলে উপস্থিত না হয়, তোমরা মস্তক মুণ্ডন করো না
(হালাল হয়ো না)। অতএব তোমাদের মধ্যে কেউ পীড়িত হলে, অথবা
মাথায় কোন ব্যাধি থাকলে (এবং তাঁর জন্য মস্তক মুণ্ডন করতে হলে, তাঁর পরিবর্তে) সে রোযা রাখবে কিংবা সাদকাহ করবে, কিংবা কুরবানী দ্বারা তাঁর ফিদইয়া(বিনিময়) দেবে।” (বাকারাহঃ ১৯৬)
✔ ৩৪৩ প্রশ্নঃ আমি হজ্জ করতে যাব, কিন্তু আমার মাথায় টাক আছে। তাঁতে রোদ সইতে পারি না। সুতরাঙ্গামি ইহরাম
অবস্থায় যদি মাথা ঢেকে থাকি, তাহলে কোন ক্ষতি আছে কি?
উত্তরঃ অবশ্যই ক্ষতি আছে। ইহরামের নিষেধ অমান্য করার দরুন আপনাকে তিনটির মধ্যে
একটি করতে হবে; মক্কায় একটি ছাগল বা ভেড়া
কিরবানী দিতে হবে অথবা ছয়টি মিসকীন খাওয়াতে হবে অথবা তিনটি রোযা রাখতে হবে।
✔ ৩৪৪ প্রশ্নঃ হজ্জে বেশি হাঁটাহাঁটির ফলে মোটা মানুষদের দু’পায়ের জাঙ্গে লেগে ছিলে যায় এবং জ্বালাপোড়া শুরু হলে হাঁটতে বড় কষ্ট
হয়। এদের জন্য কি আন্দার-প্যান্ট পরা জায়েয হবে?
উত্তরঃ তাদের জন্য আন্ডার প্যান্ট পরা জায়েয় হবে না। তবে পটি বেঁধে নিতে পারে।
আন্ডার প্যান্ট পড়তেই হলে ফিদয়্যাহ লাগবে; মক্কায়
একটু ছাগল বা ভেড়া কুরবানী দিতে হবে অথবা ছয়টি মিসকীন খাওয়াতে হবে অথবা তিনটি রোযা
রাখতে হবে। ৪২৯ (ইবনে উষাইমীন)
উত্তরঃ মাথায় কোন চুল না থাকলে, মাথা নেড়া করা ওয়াজেব নয়।
ব্লেড বুলানোও বিধেয় নয়। ৪৩০ (ইবনে উষাইমীন)
✔ ৩৪৬ প্রশ্নঃ মক্কা ও জিদ্দার হাজীরা কি তাশরীকের রাত্রি মিনায়
বাস করে দিনে নিজ নিজ বাসা বা ব্যবসায় ফিরে আসতে পারে?
উত্তরঃ তাশরীকের দিনগুলিতে মিনায় রাত্রিবাস ওয়াজেব। দিনবাস করা ওয়াজেব নয়। সুতরাং
প্রয়োজনে মক্কা বা জিদ্দা গিয়ে ফিরে এসে মিনায় রাত্রিবাস করলে যথেষ্ট। তবে অবশ্যই
মিনায় তাশরীকের দিনগুলিও বাস করা সুন্নত। অপ্রয়োজনে তা ছাড়া উচিত নয়। যেহেতু
মহানবী (ﷺ) ঐ দিনগুলিতে
মিনায় বাস করেছেন। ৪৩১ (ইবনে উষাইমীন)
✔ ৩৪৭ প্রশ্নঃ ১১ তারিখের কোন সময়ে কোন জরুরী প্রয়োজনে যদি
জিদ্দা বা অন্য কোথাও যেতে হয়, তাহলে কি বিদায়ী তওয়াফ করতে
হবে?
উত্তরঃ না। বিদায়ী তওয়াফ হজ্জের সমস্ত কাজ শেষ করে একেবারে মক্কা ত্যাগ করার সময়
ওয়াজেব। ৪৩২ (ইবনে বায)
উত্তরঃ না। ঈদের দিন হাজীর জিদ্দা বা অন্য কোথাও যাওয়া বৈধও নয়। ৪৩৩ (ইবনে বায)
উত্তরঃ মক্কার বাইরের যে কোন জায়গা থেকে কুরবানী কেনা বৈধ। তবে যবেহ হতে হবে
মক্কায়। ৪৩৪ (ইবনে বায)
উত্তরঃ হজ্জের কুরবানী, ফিদয়্যাহ অথবা দম মক্কাতেই
যবেহ করা কি জরুরী। তা জিদ্দা বা অন্য কোথাও যবেহ করা বৈধ নয়। ৪৩৫ (ইবনে বায)
✔ ৩৫১ প্রশ্নঃ জিদ্দার বাসিন্দা হজ্জের কাজ শেষ করে ভিড় দেখে বিদায়ী তওয়াফ না করে যদি
জিদ্দায় ফিরে যায় এবং দু এক সপ্তাহ পরে মক্কায় এসে তা করে, তাহলে শুদ্ধ হবে কি?
উত্তরঃ না। সে তওয়াফ বিদায়ী বলে গণ্য হবে না। বিদায়ী তওয়াফ হজ্জের কাজ শেষ করে
মক্কা ত্যাগ করার পূর্বেই করতে হবে। কেউ এরূপ না করে থাকলে তাকে দম দিতে হবে। ৪৩৬
(ইবনে বায)
উত্তরঃ স্বামী মৃত্যুর ইদ্দতে থাকলে সে ঘর ছেড়ে বের হতে পারবে না। যেহেতু মহান
আল্লাহ বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী
রেখে মারা যায়, তাদের স্ত্রীগণ চার মাস দশ দিন অপেক্ষা
করবে।”(বাকারাহঃ ২৩৪)
তালাকের ইদ্দতে স্বামীর অনুমতি হলে যেতে পারবে।৪৩৭
(ইবনে জিবরীন)
উত্তরঃ এ কাজে ভিত্তি মীনে না শরীয়তে। কাবা গৃহের যে অংশ স্পর্শ করানো নবী (ﷺ) কর্তৃক প্রমাণিত, কেবল সেই অংশই স্পর্শ করেই তওয়াফ বা দুআ করা উচিত। একদা আমির মুআবিয়া
(রঃ) কাবা গৃহের তওয়াফ করছিলেন। তিনি হাজারে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানী ছাড়াও অন্য
দুটি রুকন (কোন) কে স্পর্শ করেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ইবনে আব্বাস (রঃ) । তাঁর এই আমল
দেখে তাকে বললেন, “আল্লাহর রাসুল (ﷺ) হাজরে আসওয়াদ ও
রুকনে ইয়ামিনী ছাড়া অন্য রুকন স্পর্শ করতেন না।” মুআবিয়া বললেন, “আল্লাহর গৃহে কোন কিছুই তো
পরিত্যাজ্য নয়।” ইবনে আব্বাস বললেন, “কিন্তু (মহান আল্লাহ বলেন,) ‘তোমাদের জন্য
রাসুলুল্লাহর (চরিত্রের) মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।” (সূরা
আহযাব ২১ আয়াত) এ কথা শুনে মুআবিয়া বললেন, তুমি ঠিকই
বলেছ।” ৪৩৮ (তিরমিযী, শাফেয়ী,
আহমাদ)
✔ ৩৫৪ প্রশ্নঃ কিছু হাজী আছে, যারা
হজ্জ সফরে বিড়ি সিগারেট খেতে ছাড়ে না, গাড়িতে বসে জগান
বাজনা শোনা বর্জন করে না। এদের ব্যাপারে শরীয়তের নির্দেশ কি?
উত্তরঃ এরা হল পাপাচারী। আর মহান আল্লাহ বলেছেন, “সুবিদিত মাসে (জথাঃ শওয়াল, জিলক্বদ ও
যিলহজ্জে) হজ্জ হয়। সুতরাং যে কেউ মাসগুলিতে হজ্জ করার সংকল্প করে, সে যেন হজ্জের সময় স্ত্রী সহবাস (কোন প্রকার যৌনাচার), কোন পাপ কাজ এবং কোন প্রকার ঝগড়া বিবাদ না করে।”(বাকারাহঃ ১৯৭)
কিন্তু যদি ইবাদতের সফরেও হারামখোরির মাধ্যমে পাপাচার
বর্জন না করতে পারে, তাহলে তাদের প্রতি আক্ষেপ
প্রকাশ ছাড়া বলার আর কি থাকতে পারে? ৪৩৯ (ইবনে উষাইমীন)
উত্তরঃ অসুস্থতা একটু ওজর। সুতরাং দম ওয়াজেব হবে না। প্রয়োজনের তাকীদে মিনায়
রাত্রিবাস বর্জনে অনুমতি আছে। নবী (ﷺ) পানি পরিবেশক ও
পশু রক্ষকদেরকে মিনায় রাত্রিবাস বর্জনের অনুমতি দিয়েছিলেন। ৪৪০(ইবনে বায)
উত্তরঃ মিনায় জায়গা না পেলে মিনার লাগালাগি শেষ খীমার ধরে রাত্রিবাস করতে হবে।
মক্কায় রাত্রিবাস করা বৈধ হবে না। যেমন মসজিদে জায়গা না পেলে মসজিদের লাগালাগি
জায়গায় পাশাপাশি কাতার বেঁধে স্বলাত পড়তে হবে। সে ক্ষেত্রে ঘরে গিয়ে স্বলাত পড়লে
চলবে না। ৪৪১ (ইবনে উষাইমীন)
✔ ৩৫৭ প্রশ্নঃ এক শ্রেণীর হাজী আছে, যারা জোরেশোরে দুআ পড়ে। প্রত্যেক চক্করে নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত দুআ পাঠ
করে। একজন বলে, তার পিছনে সকলে বলে চলে। এতে ডিস্টার্ব হয়
বড়। এ ব্যাপারে শরীয়তের বিধান কি?
উত্তরঃ পবিত্র কাবায় তওয়াফ একটি ইবাদত, যাতে আছে
মহান আল্লাহর দরবারে বিনয় নম্রতা প্রকাশ। তওয়াফকারীর কর্তব্য হল, সত্য হৃদয় নিয়ে দুআ ও প্রশংসা, আশা, ভয় ও ভরসার সাথে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা। কিন্তু তওয়াফের
চক্করে চক্করে কোন নির্দিষ্ট দুআ বর্ণিত হয়নি। কেবল দুই পাথরের মধ্যবর্তী জায়গায় ‘রাব্বানা আ-তিনা’ দুআ বলতে হয়। অথচ প্রচলিত
ভুলগুলির মধ্যে একটি ভুল এই যে, লোকেরা সঙ্গে এমন বই পত্র
নিয়ে দেখে দেখে প্রত্যেক চক্করের জন্য খাস এমন সব দুআ পড়ে থাকে, কিতাব ও সুন্নাহতে যার দলীল নেই। বরং তা মনগড়া বিদআত। অনেকে হয়তো যা
পড়ে, তার মানেও বুঝে না। বরং তার সঠিক উচ্চারণও জানে না।
অনেকে দোহারের মত অপরের পঠিত দুআর সম্পূর্ণ বুঝতে বা শুনতে না পেয়ে শেষের শব্দগুলি
বলে। অথচ তাতে অর্থ বিগড়ে যায়। তাছাড়া এতে পার্শ্ববর্তী তওয়াফকারীদের বড় ডিস্টার্ব
হয়। আল্লাহর রাসুল (ﷺ) সাহাবাগণকে
সশব্দে কুরআন পড়তে নিষেধ করে বলেন, ‘তোমরা
একে অপরকে কষ্ট দিয়ো না এবং একে অপরের উপর কিরাআতে শব্দ উঁচু করো না।’ ৪৪২ (আহমাদ ৩/৯৪, আবূ দাঊদ ১২৩২ নং, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ প্রমুখ) এ যদি কুরআন পড়ার
কথা হয়, তাহলে মনগড়া বিদআতী দুআ জোরেশোরে পড়ে অপরকে
ডিস্টার্ব করা কত বড় ভুল? যে দুআ পড়ে তওয়াফকারী কোন
মিষ্টতা অনুভব করে না। পক্ষান্তরে তারা যদি এমন দুআ ও যিকর পড়ত, যার মানে বুঝে এবং যা তাদের মুখস্থ আছে, তাহলে
তা-ই তাদের জন্য উত্তম হত এবং কবুল হওয়ার অধিক উপযুক্ত হত। পরন্ত তা-ই যথেষ্ট ও
বরকতময় হত।
উত্তরঃ যদি উমরাহ করেই কেউ সাথে সাথে ফিরে আসে, তাহলে
তাকে বিদায়ী তওয়াফ করতে হবে না, উমরাহ তওয়াফই যথেষ্ট।
কিন্তু কেউ যদি উমরাহর পর দীর্ঘ সময় অবস্থান করে, তাহলে
সঠিক মতে বিদায়ী তওয়াফ ওয়াজেব। কারণ (এক) নবী (ﷺ) বলেছন, “তোমাদের কেউ যেন (কাবা)গৃহের সাথে শেষ সময় অতিবাহিত না করে প্রস্থান না
করে।” ৪৪৩ (আহমাদ ১/২২২, মুশলিম ১৩২৭
নং)
(দুই) উমরাহকে ‘ছোট হজ্জ’
বলা হয়। সুতরাং হজ্জে বিদায়ী তওয়াফ ওয়াজেব হলে, উমরাহতেও। (তিন) এক উমরাহকারী য়্যা’লা বিন
উমইয়াকে বলেছিলেন, “তুমি তোমার উমরাতে তাই কর, যা হজ্জে করে থাকো।” ৪৪৪ (বুখারী মুসলিম)
মতান্তরে উমরাহতে বিদায়ী তওয়াফ ওয়াজেব নয়। যেহেতু
নবী (ﷺ)এর উক্ত আদেশ ছিল হাজীদের জন্য। ৪৪৬(লাজনাহে
দায়েমাহ)
উত্তরঃ সিলাইকৃত কাপড় মানে হল, যা দেহের অঙ্গসমূহের মাপে কেটে
জামা ও পায়জামা আকারে সিলাই করা হয়। কাটা লুঙ্গি বা চাদর সিলাই থাকা দোষ নয়। ফেটে
বা ছিঁড়ে গেলে তা সিলাই করাও দোষ নয়। বেল্ট, ঘড়ি, ব্যাগ বা জুতার সিলাই থাকলে তা পরা দূষণীয় নয়। ৪৪৭ (ইবনে বায)
উত্তরঃ হজ্জ কবুল হওয়ার স্পষ্ট আলামত হল, হাজীর
জীবনের অমুল পরিবর্তন। হজ্জের পূর্বের অবস্থা থেকে যদি পরের অবস্থা ভাল হয়,
তাহলে জানতে হবে, তার হজ্জ কবুল হয়েছে।
৪৪৮ (ইবনে উষাইমীন)
✔ ৩৬১ প্রশ্নঃ তওয়াফ চত্বরে কোন কোন জামাআতের দেখা যায়, তারা তাদের মহিলাদেরকে পরপুরুষের দেহ স্পর্শ থেকে বাঁচাতে হাতে হাত
দিয়ে ঘিরে রাখে। ফলে তাদের কারো কারো বুক বা পিঠ কাবার দিকে হয়। তাদের তওয়াফ কি
শুদ্ধ হবে?
উত্তরঃ তওয়াফের সময় শর্ত ও ওয়াজেব হল কাবা তয়াফকারীর বাম দিকে থাকবে। অতএব যারা
কাবাকে সামনে অথবা পিছনে করে তওয়াফ করবে তাদের তওয়াফ শুদ্ধ হবে না, বিধায় তাদের হজ্জ বা উমরাহও শুদ্ধ হবে না। ৪৪৯(ইবনে উষাইমীন)
উত্তরঃ হজ্জ করতে গিয়ে নবী (ﷺ) এর কবর যিয়ারত
জরুরী হওয়ার ব্যাপারে যে হাদিস বর্ণনা করা হয়, তা সহিহ
নয়। ৪৫০ (দিফাউন আনিল হাদীসিন নাবাবী, আলবানী ১/৪৬)
উত্তরঃ বরং এমন ধারনা করাটা বিদআত। ৪৫১ (মানাসিকুল হাজ্জ আলবানী ৬৩ পৃঃ)মদিনার
মসজিদে ৪০ ওয়াক্তের স্বলাত পড়ার হাদিসটি মুনকার।(যযীফ) ৪৫২ (সিঃ যয়ীফাহ ৩৬৪ নং)
✔ ৩৬৪ প্রশ্নঃ হজ্জ করার পর যদি কোন মুসলিম ‘মুরতাদ্দ’ হয়ে যায়, তারপর
আবার তওবা করে ইসলামে ফিরে আসে, তাহলে কি তার প্রথম হজ্জ
বাতিল হয়ে যাব এবং তাকে দ্বিতীয়বার হজ্জ করতে হবে?
উত্তরঃ তার প্রথম হজ্জ বাতিল হবে যাবে না এবং তাকে দ্বিতীয়বার হজ্জ করতে হবে না।
৪৫৩ (আলবানী, সিঃ সহীহাহ ২৪৮ নং)
উত্তরঃ সওয়াব হয়ে হজ্জ করাই উত্তম। যেহেতু মহানবী (ﷺ) সওয়ার হয়েই হজ্জ
করেছেন। যদি পায়ে হেঁটে হজ্জ করা উত্তর হতো, তাহলে
নিশ্চয় তিনি সওয়ার হয়ে হজ্জ করতেন না। ৪৫৪ (আলবানী, সিঃ
যয়ীফাহ ৪৯৫ নং)
হজ্জ ও উমরাহ বিষয়ে প্রশ্নোত্তর
নং
|
হজ্জ ও উমরাহ বিষয়ে প্রশ্নোত্তর
|
২৪০
|
এক ব্যক্তি হজ্জের ফরয পালন করার আগে মারা গেছে। এখন কী করা উচিত?
|
২৪১
|
এক মহিলা উমরাহ আদায়ে একাকিনী যেতে চায়।
|
২৪২
|
হজ্জ আদায় করার সময় মহিলাদের ট্যাবলেট খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখা বৈধ কি?
|
২৪৩
|
আমি এক ধনী মহিলা। আমার উপর হজ্জ ফরয হয়েছে। কিন্তু আমার স্বামী সাথে যেতে রাজী নয়, ...
|
২৪৪
|
স্ত্রী হজ্জ করতে চাইলে এবং স্বামী তাতে বাধা দিলে সে কী করবে?
|
২৪৫
|
ঋণ করে কি হজ্জ করা যায়?
|
২৪৬
|
জাল পাসপোর্ট বানিয়ে হজ্জে গেলে হজ্জ হবে কি?
|
২৪৭
|
বহু দিন সাউদিয়ায় থেকে ছুটির সময় হজ্জ হলে এবং পরিবার পরিজন হজ্জ না করে বাড়ী ফিরতে আদেশ করলে এবং হজ্জ করাতে তাঁদের সম্মতি না হলে কি করা যাবে?
|
২৪৮
|
উপমহাদেশ থেকে হজ্জ উমরায় যেতে কোথায় ইহরাম বাঁধতে হবে? জিদ্দায় নেমে ইহরাম বাঁধলে হবে কি?
|
২৪৯
|
প্লেনে সরাসরি মদীনা এয়ারপোর্ট গেলে ইহরাম কোথায় বাঁধতে হবে?
|
২৫০
|
মীকাতে আসার আগে ইহরাম বাঁধা হলে কোন ক্ষতি হবে কি?
|
২৫১
|
ভুলবশতঃ গাড়ী চালক মীকাত অতিক্রম করে বহুদূর চলে গেলে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে উমরাহ হবে কি?
|
২৫২
|
হজ্জ ও উমরার নিয়ত না থাকলে মক্কা প্রবেশের সময় ইহরাম বাঁধতে হবে কি?
|
২৫৩
|
ইচ্ছা ছিল আগে আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াব। অতঃপর সময়মত উমরাহ বা হজ্জ করব। এই জন্য ইহরাম না বেঁধে মক্কায় এসেছি। এখন উপায় কি?
|
২৫৪
|
সঙ্গে পারমিট না থাকার কারণে পুলিশ মক্কা প্রবেশ করতে না দিলে অথবা কোন অসুস্থতার কারণে ইহরাম বেঁধে উমরাহ বা হজ্জ করতে না পারলে করণীয় কি?
|
২৫৫
|
তামাত্তু হজ্জের নিয়তে উমরাহর ইহরাম বেঁধে উমরাহ সেরে হজ্জের ইহরাম বাঁধার পূর্বে উমরাহ যদি কোন কারনবশতঃ বাড়ী ফিরতে হয়
|
২৫৬
|
উমরার ইহরাম বেঁধে কেউ অকারণে উমরাহ না করে ফিরে গিয়ে জেনে শুনে ইহরাম খুলে ফেললে তাকে কি করতে হবে?
|
২৫৭
|
তামাত্তুর উমরাহ করার পর মদীনার যিয়ারতে গেলে অথবা কোন প্রয়োজনে মীকাতে বাইরে গেলে পুনরায় হজ্জের জন্য আসার সময় মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধতে হবে কী?
|
২৫৮
|
তিন প্রকার হজ্জের নিয়তে কি পরিবর্তন করা যায়?
|
২৫৯
|
আমি ইহরাম বেঁধে মীকাত পার হয়ে গেছি। তখন এক পরিচিত আমাকে মোবাইলে বললেন, ‘আপনি আমার নামে বদল হজ্জ করুন।’
|
২৬০
|
সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানী দেওয়ার ভয়ে ইফরাদের ইহরাম বেঁধে হজ্জ সেরে পুনরায় তানঈম এ গিয়ে উমরাহর ইহরাম
|
২৬১
|
মীকাতে গোসল করা কি জরুরী? ঠাণ্ডা বা ভিড়ের ভয়ে যদি বাসা বা হোটেল থেকে গোসল করে যাই অথবা গোসল না করতে পারি, তাহলে কোন ক্ষতি আছে কি?
|
২৬২
|
সর্বদা পেশাব ঝরার রোগ থাকলে ইহরামের কোন ক্ষতি হবে না?
|
২৬৩
|
ইহরাম বেঁধে মক্কার পথে যদি কেউ তালবিয়্যাহ পড়তে ভুলে যায়, তাহলে কোন ক্ষতি হবে কি?
|
২৬৪
|
ইহরাম অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে গাড়ীর ধাক্কায় বিড়াল মেরে ফেললে কোন দম আছে কি?
|
২৬৫
|
উমরাহ করতে গিয়ে পূর্বেই মহিলার মাসিক শুরু হয়ে গেলে কি করবে?
|
২৬৬
|
তাওয়াফ ইফায্বার পূর্বেই মাসিক শুরু হলে মহিলার কর্তব্য কি?
|
২৬৭
|
কোন মহিলা পবিত্রা হওয়ার পর উমরার তওয়াফ অ সাঈ করে পুনরায় খুন দেখলে কি করবে?
|
২৬৮
|
তওয়াফ ইফায্বাহ করা কালীন সময়ে কোন মহিলার মাসিক শুরু হলে কি করবে?
|
২৬৯
|
তওয়াফের পর সাঈ করার পূর্বে মাসিক শুরু হলে মহিলা কি করবে?
|
২৭০
|
ইফরাদের নিয়ত হলে তওয়াফে কুদূম না করতে পারলে কোন ক্ষতি হবে কি?
|
২৭১
|
তওয়াফ করতে করতে ওযু নষ্ট হলে কি করতে হবে?
|
২৭২
|
তওয়াফ করতে করতে ভিরের চাপে পরনারীর দেহ স্পর্শ হলে করণীয় কি?
|
২৭৩
|
কাউকে বহন করে তওয়াফ সাঈ করালে নিজের তওয়াফও কি যথেষ্ট হবে?
|
২৭৪
|
তাহিয়্যাতুত তাওয়াফ পড়তে যদি কেউ ভুলে যায়, তাহলে কি করবে?
|
২৭৫
|
তওয়াফ করতে করতে কথা বলা কি বৈধ?
|
২৭৬
|
তাওয়াফ ও সাঈ করতে করতে একটু বিশ্রাম নেওয়া, পানি পান করা যায় কি?
|
২৭৭
|
হজ্জের সময় হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করা বড় কঠিন। সুতরাং ধাক্কাধাক্কি করে অথবা কাউকে ঘুস দিয়ে চুম্বন করলে কি সওয়াব হবে কি?
|
২৭৮
|
ভিড়ের কারণে দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলে কি তওয়াফ সাঈ করা যায়?
|
২৭৯
|
তওয়াফ করার পর আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। অতঃপর হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে সাঈ করি। এতে কোন ক্ষতি হবে কি?
|
২৮০
|
তওয়াফের আগে যদি কেউ সাঈ করে নেয়, তাহলে তাঁতে কোন ক্ষতি আছে কি?
|
২৮১
|
ভুলক্রমে সাঈ এর একটি চক্কর ছুটে গেলে এবং পরে মনে পড়লে করণীয় কি?হালাল হয়ে সফর করার পর বাড়ীতে এসে মনে পড়লে কি করা যাবে?
|
২৮২
|
না জেনে ঠিক তওয়াফের মত সাঈও ৭ চক্কর (অর্থাৎ ১৪ বার যাতায়াত)করে ফেললে সাঈ শুদ্ধ হবে কি?
|
২৮৩
|
সাফার পরিবর্তে মারওয়া থেকে সাঈ শুরু করলে শুদ্ধ হবে কি?
|
২৮৪
|
যুল-হজ্জের ৮ তারিখে মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত স্বলাত না পড়লে এবং রাত্রি বাস না করলে হজ্জের কোন ক্ষতি হয় কি?
|
২৮৫
|
আরাফার ময়দানে হাত তুলে দুয়া করা যায় কি?
|
২৮৬
|
আরাফার সীমা থেকে সূর্য ডোবার পূর্বেই বের হয়ে এলে কোন ক্ষতি হবে কি?
|
২৮৭
|
মুযদালিফায় রাত্রিবাস না করতে পারলে করণীয় কি?
|
২৮৮
|
নিয়ম হল মুযদালিফায় পৌঁছে মাগরিব ও এশা জমা করে পড়া। কিন্তু ভিড়ের চাপে আরাফা থেকে মুযদালিফা আসতে আসতে যদি অর্ধরাত্রি পার হওয়ার আশঙ্কা হয়,....
|
২৮৯
|
ভিড়ের কারণে মাশআরুল হারামের নিকট গিয়ে দুআ করা যদি সম্ভভ না হয়, তাহলে কোন ক্ষতি হবে কি?
|
২৯০
|
ভিড়ের কারণে ফজরের আগে পর্যন্ত মুযদালিফার সিমানায় প্রবেশ না করতে পারলে করণীয় কি?
|
২৯১
|
মুযদালিফা থেকে মুআল্লিমের বাস অর্ধরাত্রি পূর্বে তাড়াহুড়া করে চলে যেতে চাইলে করণীয় কি?
|
২৯২
|
মুযদালিফা থেকে মিনায় কত আগে যাওয়া যায়?
|
২৯৩
|
ভিড়ের ভয়ে তওয়াফ ইফায্বাহ সফর করা পর্যন্ত পিছিয়ে রাখা যায় কি? কতদিন পর তা করা যায়?
|
২৯৪
|
তওয়াফে ইফায্বার পূর্বে কেউ মারা গেলে তাঁর তরফ থেকে তওয়াফ পূর্ণ করতে হবে কি?
|
২৯৫
|
পাথর মেরে কেশ মুণ্ডন করার পর তওয়াফে ইফায্বাহর পূর্বে স্ত্রী চুম্বন বা আলিঙ্গনের ফলে বীর্যপাত করলে করণীয় কি?
|
২৯৬
|
প্রথম হালালের পূর্বে যদি কেউ স্ত্রী সহবাস করে ফেলে, তাহলে তাঁর হজ্জ হবে কি?
|
২৯৭
|
ইহরাম অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকাকালে স্বপ্নদোষ হলে কোন ক্ষতি হয় কি?
|
২৯৮
|
তওয়াফ ইফায্বাহ বা সাঈ কেউ করতে সক্ষম না হলে অন্য কেউ তাঁর নায়েব হয়ে করে দিতে পারে কি?
|
২৯৯
|
কোন কারনবশতঃ হজ্জের কুরবানী দিতে না পারলে হাজী কি করবে?
|
৩০০
|
ভেবেছিলাম কুরবানী দিতে পারব না। তাই তাশরীকের দিনগুলিতে রোযা রাখলাম। কিন্তু ১৩ তারিখের রাত্রে মনে হল, আমার কাছে যে টাকা আছে, তাঁতে কুরবানী দেওয়া যেতো।
|
৩০১
|
কুরবানী কি মিনাতেই হওয়া জরুরী?
|
৩০২
|
দেখা যায়, অনেকে কুরবানী নিজ হাতে যবেহ করে ফেলে চলে যায়। এটা কি ঠিক?
|
৩০৩
|
চুল কাটতে ভুলে গিয়ে সফর করার পর স্মরণ হলে করণীয় কি?
|
৩০৪
|
তাশরীকের রাত্রিগুলি মিনায় না কাটলে করনীয় কি?
|
৩০৫
|
রাত্রির অধিকাংশ সময় মিনায় কাটিয়ে বাকী সময় (অথবা সারা দিন) অন্য কোথাও বা মাসজিদুল হারামে কাটানো যায় কি?
|
৩০৬
|
মিনায় থাকার জন্য জায়গা না পেলে করণীয় কি?
|
৩০৭
|
রাত্রিতে পাথর মারা যায় কি? তা কি পরের দিন কাযা করা যায়।
|
৩০৮
|
দুই দিনের রমই কি শেষ দিনে কাযা করা যায়? কোন নিয়মে করতে হবে?
|
৩০৯
|
পাথর মারতে সক্ষম অপরকে ব্যক্তি অপরকে প্রতিনিধি করতে পারে কি? কোন অহাজী নায়েব হয়ে পাথর মেরে দিতে পারে কি?
|
৩১০
|
কাউকে পাথর মারার প্রতিনিধি বানিয়ে দিয়ে তাঁর পাথর মারার পূর্বে হাজীর মিনা ত্যাগ করা যাবে কি?
|
৩১১
|
তাশরীকের (১১, ১২ ও ১৩ তারিখের) দিনগুলিতে সকালে পাথর মারলে শুদ্ধ হবে কি?
|
৩১২
|
৭ টি পাথরকেই একই সঙ্গে ছুঁড়ে মারলে, ছোট জামরাহ থেকে শুরু না করে বিপরীত দিকে বড় জামরাহ থেকে শুরু করে পাথর মেরে থাকলে শুদ্ধ হবে কি?
|
৩১৩
|
পাথর কি দেওয়ালে লাগা জরুরী? দেওয়ালে লেগে যদি হওযে না পড়ে, তাহলে যথেষ্ট কি? পাথর যদি না ছুঁড়ে হওযের কিনারায় দাঁড়িয়ে তাতে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে শুদ্ধ হবে কি?
|
৩১৪
|
রমই শেষ হওয়ার পূর্বে পাথর শেষ হয়ে গেলে কি করা যাবে? হওযের নিকটবর্তী পাথর নিয়ে মারা যাবে কি?
|
৩১৫
|
রমইর জন্য কি পাথর বা কাঁকরই হতে হবে?
|
৩১৬
|
মিনায় রাত্রিবাস ও সমস্ত রমই ত্যাগ করলে কি প্রত্যেকটির বিনিময়ে এক একটি ফিদয়্যাহ লাগবে?
|
৩১৭
|
বিদায়ী তওয়াফ করার আগে মহিলার মাসিক শুরু হয়েছে। কেউ কেউ দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ওদিকে সফর সঙ্গীরা যথাসময়ে বিদায় নিচ্ছে।...
|
৩১৮
|
বিদায়ী তওয়াফের পর কিছু কেনা কাটা করায় ও সঙ্গীদের অপেক্ষায় কিছু দেরী হওয়ায় দোষ আছে কি?
|
৩১৯
|
সময় বাঁচাতে গিয়ে সফরের দিন মক্কায় গিয়ে বিদায়ী তওয়াফ করে পুনরায় মিনায় এসে কাঁকর মেরে বাড়ী ফেরা যায় কি?
|
৩২০
|
বিদায়ী তওয়াফের পর না জেনে ভুলক্রমে সাঈ করে ফেললে কোন ক্ষতি হবে কি?
|
৩২১
|
অনেককে দেখা যায়, বিদায়কালে কাবার মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় উল্টা পায়ে পিছিয়ে পিছিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। এটা কি শরীয়তসম্মত?
|
৩২২
|
কোন মহিলার পক্ষ থেকে কোন পুরুষ বদল হজ্জ করতে পারে কি?
|
৩২৩
|
আমি সাউদি আরবে কাজ করি। নিজের হজ্জ করছি। এখন গরীব পিতামাতার তরফ থেকে বদল হজ্জ করা যায় কি?
|
৩২৪
|
জীবিত অবস্থায় কেউ একাধিকবার হজ্জ করে মারা গেলে তাঁর তরফ থেকে বদল হজ্জ করা যায় কি?
|
৩২৫
|
একই সফরে পিতার নামে উমরাহ ও মাতার নামে হজ্জ পালন করা যায় কি?
|
৩২৬
|
শক্তি সামর্থ্য আছে, অথচ অন্য লোক পাঠিয়ে হজ্জ করতে চাচ্ছে। তাকি যথেষ্ট হবে?
|
৩২৭
|
মৃত মা বাপের তরফ থেকে নায়েব বানিয়ে হজ্জ করানো যায় কি?
|
৩২৮
|
হজ্জে বদলের জন্য খরচ নিয়ে বেড়ে গেলে কি করা যাবে?
|
৩২৯
|
এক বছরে কি দুজনের তরফ থেকে হজ্জ করা যায়?
|
৩৩০
|
এক সফরে একাধিক উমরাহ করা যায় কি? প্রথমে মীকাত থেকে একবার এবং পরে আয়েশা মসজিদ থেকে ইহরাম বেঁধে বরাবর উমরাহ শুদ্ধ হবে কি?
|
৩৩১
|
আমরা সঊদি আরবে অল্প বেতনে কাজ করি। হজ্জ করার মত টাকা জমাতে পারি না। ...
|
৩৩২
|
পিতা, শ্বশুর অথবা স্ত্রীর টাকায় হজ্জ করলে ফরয আদায় হবে কি?
|
৩৩৩
|
আমার উপর হজ্জ ফরয নয়। কেউ আমার প্রতি ইহসানী করে হজ্জের খরচ দিতে এলে তা গ্রহণ করা কি জরুরী। তাঁর ফলে কি আমার উপর হজ্জ ফরয হয়ে যাবে?
|
৩৩৪
|
ফরয হওয়া সত্ত্বেও পিতা হজ্জ না করে মারা গেলে পুত্র বা ওয়ারেসের কি করা উচিত?
|
৩৩৫
|
কোনটা বেশি উত্তম? নফল হজ্জ করা, নাকি সেই অর্থ জিহাদের খাতে দান করা?
|
৩৩৬
|
শিশুকে হজ্জ করালে, শিশু যদি এমন কাজ করে বসে যাতে ফিদয়্যাহ ওয়াজেব, তাহলে অভিভাবককে কি তা আদায় করতে হবে?
|
৩৩৭
|
অনেক হাজী আছে, যার পয়সার জোরে হজ্জ তো করে, কিন্তু পাপাচার বর্জন করতে পারে না। তাদের হজ্জের অবস্থা কি?
|
৩৩৮
|
স্বলাত পড়ে না। কিন্তু অর্থশালী বলে হজ্জ করে ‘হাজী সাহেব’ হয়েছে। বেস্বলাতীর হজ্জ কি কবুল হবে?
|
৩৩৯
|
আমার আব্বা মারা গেছেন। আমি তাঁর তরফ থেকে হজ্জ করলে তাঁর উপকার হবে কি? উল্লেখ্য যে, তিনি বেস্বলাতী ছিলেন। কেবল জুমআর স্বলাত পড়তেন।
|
৩৪০
|
অনেক হাজী আছে, যারা কেবল অর্থ উপার্জনের জন্য বদল-হজ্জ করে। অনেক হজ্জ করতে গিয়ে মাল নিয়ে গিয়ে, নিয়ে এসে ব্যবসা করে। তাদের হজ্জ শুদ্ধ হবে কি?
|
৩৪১
|
বিড়ি ফ্যাক্টরি, তামাক ফ্যাক্টরি, মদ্য ভাটি প্রভৃতি অবৈধ ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানের মালিকরা হজ্জ করতে আসে। তাদের হজ্জ কি শুদ্ধ হয়?
|
৩৪২
|
বিকলাঙ্গ হওয়া দরুন অথবা অন্য কোন কারণে যদি কোন পুরুষ ইহরামের কাপড় পড়তে না পারে, তাহলে কি যে কাপড় পরে আছে, সেই কাপড়েই হজ্জ উমরাহ শুদ্ধ হবে?
|
৩৪৩
|
আমি হজ্জ করতে যাব, কিন্তু আমার মাথায় টাক আছে। তাঁতে রোদ সইতে পারি না। সুতরাঙ্গামি ইহরাম অবস্থায় যদি মাথা ঢেকে থাকি, তাহলে কোন ক্ষতি আছে কি?
|
৩৪৪
|
হজ্জে বেশি হাঁটাহাঁটির ফলে মোটা মানুষদের দু’পায়ের জাঙ্গে লেগে ছিলে যায় এবং জ্বালাপোড়া শুরু হলে হাঁটতে বড় কষ্ট হয়। এদের জন্য কি আন্দার-প্যান্ট পরা জায়েয হবে?
|
৩৪৫
|
আমার মাথায় মোটেই চুল নেই।তাহলে হজ্জে মাথা নেড়া করতে কি শুধু ব্লেড বুলিয়ে নিলে হবে?
|
৩৪৬
|
মক্কা ও জিদ্দার হাজীরা কি তাশরীকের রাত্রি মিনায় বাস করে দিনে নিজ নিজ বাসা বা ব্যবসায় ফিরে আসতে পারে?
|
৩৪৭
|
১১ তারিখের কোন সময়ে কোন জরুরী প্রয়োজনে যদি জিদ্দা বা অন্য কোথাও যেতে হয়, তাহলে কি বিদায়ী তওয়াফ করতে হবে?
|
৩৪৮
|
ঈদের দিন কোন জরুরী প্রয়োজনে জিদ্দা বা অন্য কোথাও যেতে হয়, তাহলে তা বৈধ কি?
|
৩৪৯
|
মক্কার বাইরের অন্য জায়গা থেকে কুরবানী কেনা বৈধ কি?
|
৩৫০
|
হজ্জের কুরবানী , ফিদয়্যাহ অথবা দম মক্কাতেই যবেহ করা কি জরুরী?
|
৩৫১
|
জিদ্দার বাসিন্দা হজ্জের কাজ শেষ করে ভিড় দেখে বিদায়ী তওয়াফ না করে যদি জিদ্দায় ফিরে যায় এবং দু এক সপ্তাহ পরে মক্কায় এসে তা করে, তাহলে শুদ্ধ হবে কি?
|
৩৫২
|
ইদ্দতে থাকা অবস্থায় মহিলা এগানার সাথে হজ্জ করতে যেতে পারে কি না?
|
৩৫৩
|
কাবাগৃহের দেওয়ালে বুকে লাগিয়ে দুআ করা অথবা কাবার গিলাফ ধরে দুআ করা কি শরীয়তসম্মত?
|
৩৫৪
|
কিছু হাজী আছে, যারা হজ্জ সফরে বিড়ি সিগারেট খেতে ছাড়ে না, গাড়িতে বসে জগান বাজনা শোনা বর্জন করে না। এদের ব্যাপারে শরীয়তের নির্দেশ কি?
|
৩৫৫
|
তাশরীকের একটা রাত অসুস্থতার কারণে মিনায় অবস্থান করা হয়নি। তাঁর জন্য কি দম দিতে হবে?
|
৩৫৬
|
মিনায় জায়গা না পেলে মক্কায় রাত্রি যাপনের অনুমতি আছে কি?
|
৩৫৭
|
এক শ্রেণীর হাজী আছে, যারা জোরেশোরে দুআ পড়ে। প্রত্যেক চক্করে নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত দুআ পাঠ করে। একজন বলে, তার পিছনে সকলে বলে চলে।...
|
৩৫৮
|
উমরাহ করার পর বিদায়ের সময় বিদায়ী তওয়াফ করা ওয়াজেব কি?
|
৩৫৯
|
ইহরাম সিলাইকৃত কাপড়ে পরা নিষেধ। কাপড়ে সে কোন সিলাই হলেই কি তা পরা যাবে না?
|
৩৬০
|
হজ্জ কবুল হওয়ার কোন স্পষ্ট আলামত আছে কি?
|
৩৬১
|
তওয়াফ চত্বরে কোন কোন জামাআতের দেখা যায়, তারা তাদের মহিলাদেরকে পরপুরুষের দেহ স্পর্শ থেকে বাঁচাতে হাতে হাত দিয়ে ঘিরে রাখে।...
|
৩৬২
|
হজ্জ করতে গিয়ে নবী (ﷺ) এর কবর যিয়ারত করা জরুরী কি?
|
৩৬৩
|
হজ্জ করতে গিয়ে মদীনায় ৪০ অক্তের স্বলাত পরা কি জরুরী?
|
৩৬৪
|
হজ্জ করার পর যদি কোন মুসলিম ‘মুরতাদ্দ’ হয়ে যায়, তারপর আবার তওবা করে ইসলামে ফিরে আসে, তাহলে কি তার প্রথম হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে?
|
৩৬৫
|
হজ্জের কাজগুলি হেঁটে করা উত্তম, নাকি সওয়ার হয়ে করা উত্তম?
|
0 Comments