Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

হাদিস বিষয়ক পার্ট ০৪



হাদিস  বিষয়ক
প্রশ্নঃ পিতার অবর্তমানে বড় ভাই পিতার সমতুল্য। এ মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়েছে কি?
ANSWER
🎤 এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৩৭০)। তবে বড় ভাই অবশ্যই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের মর্যাদা বুঝে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (আবুদাঊদ হা/৪৯৩৯, তিরমিযী হা/১৯২০)।
প্রশ্নঃ ফেরেশতাগণকে জিবরীল, আযরাঈল, মিকাঈল ইত্যাদি নামে নামকরণ করার বিষয়টি কি কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত? যেমন মালাকুল মাউতকে আযরাঈল বলা ইত্যাদি।

ANSWER
🎤 ফেরেশতাগণের নামগুলি কুরআন এবং ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। জিবরীল এবং মীকাঈলের নাম কুরআনে বর্ণিত হয়েছে (বাক্বারাহ ৯৮)। কুরআনে মীকাল আসলেও হাদীছে মীকাঈল শব্দে এসেছে (বুখারী হা/৩২৩৬)। এছাড়া ইসরাফীলের নাম হাদীছে পাওয়া যায় (মুসলিম হা/৭৭০, মিশকাত হা/১২১২)। আর যে ফেরেশতা জান কবয করেন তার নাম মালাকুল মাঊত (সাজদাহ ১১)। ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে যিনি সিংগায় ফুঁক দিবেন তার নাম ইসরাফীল (ইবনু কাছীর, সূরা বাক্বারাহ ৯৮ আয়াতের ব্যাখ্যা)। যারা কবরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাদের নাম মুনকার এবং নাকীর (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩০)। আব্দুর রহমান বিন সাবাত্ব বলেন, দুনিয়াবী কর্মসমূহ পরিচালনা করেন চার জন ফেরেশতা। জিব্রীল, মীকাঈল, মালাকুল মাঊত যার নাম আযরাঈল এবং ইস্রাফীল (কুরতুবী, তাফসীর সূরা নাযে‘আত ৭৯/৫)। তিনি বলেন, মালাকুল মউতের নাম হ’ল আযরাঈল। যার অর্থ আব্দুল্লাহ (কুরতুবী, শাওকানী, আয়সারুত তাফাসীর, তাফসীর সূরা সাজদাহ ৩২/১১)। তবে আলবানী (রহঃ) বলেন, ‘মালাকুল মাঊত’ কুরআনে বর্ণিত নাম। কিন্তু মানুষের মাঝে প্রচলিত তার ‘আযরাঈল’ নামকরণের কোন শারঈ ভিত্তি নেই। এটা ইসরাঈলী বর্ণনা মাত্র (আলবানী, তা‘লীক্ব ‘আলাত তাহাবী পৃঃ ৭২)।
প্রশ্নঃ আগে শোনা যেত গিরগিটি মারলে ১০০ নেকী হয়। এখন জানলাম সেটা টিকটিকি। এক্ষণে কোনটি সঠিক?
ANSWER
🎤 গিরগিটি নয়। বরং টিকিটিকিই সঠিক। প্রকাশ থাকে যে, ‘আল-ওয়াযাগ’ (اَلْوَزَغُ ) শব্দের উর্দূ অনুবাদ ‘ছিপকলী’ (মিছবাহুল লুগাত (আরবী-উর্দূ অভিধান), পৃঃ ৯৪৩; আল-মুনজিদ (আরবী-উর্দূ) পৃঃ ১০৮২)। যার বাংলা অর্থ টিকটিকি (ফ‘রহঙ্গ-ই-রববানী; পৃঃ ২৬০; ফরহঙ্গ-এ-জাদীদ (উর্দূ-বাংলা অভিধান), পৃঃ ৩৫৬)। আর ‘আল-হিরবাউ’ (اَلْحِرْبَاءُ )-এর উর্দূ অর্থ গিরগিট্ (মিছবাহুল লুগাত পৃঃ ১৪৪; আল-মুনজিদ পৃঃ ১৯৮)। যার বাংলা গিরগিটি বা কাকলাস ব্যবহৃত হয় (ফরহঙ্গ-এ-জাদীদ, পৃঃ ৬৯১; ফ‘রহঙ্গ-ই-রববানী, পৃঃ ৫০৭-৮)। গিরগিটি মুহূর্তের মধ্যে গায়ের রং পরিবর্তন করতে পারে, কিন্তু টিকটিকি তা পারে না। ফলে গিরগিটির গায়ের পরিবর্তিত রং দেখেই আমাদের দেশের লোকজন মারতে বেশী উদ্যত হয়। (বিস্তারিত দেখুন : আল-ক্বামূস; আল-মু‘জামুল ওয়াসীত্ব পৃঃ ১০২৯; আরবী-বাংলা অভিধান (ঢাকা : বাংলা একাডেমী), ৩/২৫৫৪ পৃঃ)। উল্লেখ্য যে, ভারতের কতিপয় লেখক স্ব স্ব লেখনীতে এবং এ দেশের বাংলা অনুবাদ মিশকাতে ও ‘আল-কাওছার’ আরবী-বাংলা অভিধানে ‘আল-ওয়াযাগ’ অর্থ গিরগিটি লেখা হয়েছে, যা শুদ্ধ নয়।

উল্লেখ্য, টিকটিকির লেজে মাদকতা আছে। ইবনুল মালেক বলেন, এটি একটি কষ্টদানকারী ও বিষাক্ত প্রাণী। শয়তান একে ইবরাহীমের অগ্নিকুন্ডে ফুঁক দেওয়া ছাড়াও অন্যান্য পাপের কাজে ব্যবহার করে থাকে (মিরক্বাত হা/৪১১৯-এর ব্যাখ্যা)। আয়েশা (রাঃ) তার পাশে একটি বর্শা রাখতেন। যা দিয়ে টিকটিকি মারতেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের খবর দিয়েছেন যে, ইবরাহীম (আঃ)-কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, তখন পৃথিবীর সকল প্রাণী তা নিভানোর চেষ্টা করেছিল। কেবল এই টিকটিকি ব্যতীত। সে তাতে ফুঁক দিয়েছিল। যাতে আগুন আরও বেশী জ্বলে ওঠে। সেকারণ তিনি এদের মারতে বলেছেন’ (ইবনু মাজাহ হা/৩২৩১; ছহীহাহ হা/১৫৮১)। উম্মে শারীক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) টিকটিকি মারতে বলেছেন। তিনি আরো বলেন, টিকটিকি ইবরাহীম (আঃ)-এর বিরুদ্ধে আগুনে ফুঁক দিয়েছিল (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪১১৯)। তিনি বলেন, ‘প্রথমবারে টিকটিকি মারতে পারলে ১০০ নেকী, দ্বিতীয়বারে তার চেয়ে কম, তৃতীয় বারে তার চেয়ে কম নেকী পাবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪১২১)।
প্রশ্নঃ আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) যখন কোন যুবককে দেখতেন তখন তাকে রাসূল (ছাঃ)-এর অছিয়ত অনুযায়ী স্বাগত জানাতেন মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ?
ANSWER
🎤 হাদীছটির প্রথমাংশ সনদে ও মতনে ছহীহ এবং শেষাংশের খবর ছহীহ। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) যখন কোন যুবককে, অন্য বর্ণনায় কোন ইলমে হাদীছ অন্বেষণকারীকে দেখতেন, তখন তাকে বলতেন, রাসূল (ছাঃ)-এর অছিয়ত অনুযায়ী আমি তোমাকে মারহাবা জানাচ্ছি। রাসূল (ছাঃ) তোমাদের ব্যাপারে আমাদের অছিয়ত করেছেন’ (হাকেম ১/৮৮, হা/২৯৮; যাহাবী সনদ ছহীহ; আলবানী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৮০)। কিন্তু শেষাংশ তথা- (আমারানা ... আহলুল হাদীছে বা‘দানা) ‘রাসূল (ছাঃ) আমাদেরকে তোমাদের জন্য মজলিস প্রশস্ত করার এবং তোমাদেরকে হাদীছ বুঝাবার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। কেননা তোমরা আমাদের পরবর্তী বংশধর এবং তোমরাই আমাদের পরবর্তী আহলেহাদীছ’ অংশটুকুর বর্ণনাসূত্রে আবু হারূণ আম্মারা বিন জুওয়াইন আবাদী ও মুহাম্মদ ইবনু যাকওয়ান আযদী নামক দু’জন অত্যন্ত দুর্বল রাবী রয়েছেন। সেকারণ শেষাংশটুকুর সনদ দুর্বল (তাকরীবুত তাহযীব ১/৪০৮, রাবী নং ৪৮৪০; ১/৭১১; তাহযীবুত-তাহযীব ৭/৪১২, রাবী নং ৬৭০, মীযান ৩/১৭৩, রাবী নং ৬০১৮)। কিন্তু মর্ম এবং খবর ছহীহ। কেননা তখন ছাহাবীগণই ছিলেন হাদীছের ধারক-বাহক ও প্রচারক, তথা আহলুল হাদীছ।

ছাহাবীগণসহ যুগে যুগে আহলুল হাদীছগণই যে ত্বায়েফাহ মানছূরাহ (তিরমিযী হা/২১৯২) বা ফিরক্বা নাজিয়াহ সে ব্যাপারে সালাফে ছালেহীনের মধ্যে কোন মতভেদ নেই। যেমন ‘ত্বায়েফাহ মানছূরাহ’-এর পরিচয় দিতে গিয়ে ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর উস্তাদ ইমাম আলী ইবনুল মাদীনী (রহঃ) বলেছেন, ‘তারা হ’লেন আছহাবুল হাদীছ’ (তিরমিযী হা/২১৯২)। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, ‘তারা হ’লেন আহলেহাদীছ’ (খত্বীব বাগদাদী, মাসআলাতুল ইহতিজাজ বিশ-শাফেঈ, পৃঃ ৪৭, সনদ ছহীহ)। ইমাম ইবনু হিববান ‘ইলম’ অধ্যায়ে উপরোক্ত হাদীছের উপর অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন,ذِكْرُ إِثْبَاتِ النُّصْرَةِ لِأَصْحَابِ الْحَدِيثِ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِক্বিয়ামত অবধি আল্লাহ কর্তৃক আহলেহাদীছদের সাহায্যপ্রাপ্তি প্রমাণিত হওয়ার বিবরণ’ (ছহীহ ইবনু হিববান, ১/২৬১, হা/৬১)। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) বলেন, ‘সাহায্যপ্রাপ্ত এই দলটি যদি আছহাবুল হাদীছ (আহলেহাদীছ) না হয়, তবে আমি জানি না তারা কারা’? (হাকেম, মা‘রিফাতু উলূমিল হাদীছ হা/২, সনদ হাসান)। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘আমি যখন কোন ‘আহলেহাদীছ’-কে দেখি তখন যেন রাসূল (ছাঃ)-কেই জীবন্ত দেখি’ (খত্বীব বাগদাদী, শারফু আছহাবিল হাদীছ, হা/৮৫)। (বিস্তারিত দ্রঃ আলবানী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭০ ও ২৮০-এর আলোচনা; যুবায়ের আলী যাঈ, ‘আহলেহাদীছ একটি বৈশিষ্ট্যগত নাম’ (মাসিক আত-তাহরীক এপ্রিল-জুলাই ২০১৫)।
প্রশ্নঃ জনৈক আলেম বলেন, যঈফ হাদীছের বিপরীতে ছহীহ হাদীছ না থাকলে, ঐ যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যাবে। একথা কি ঠিক?
ANSWER
🎤 উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। যঈফ হাদীছ কোন ক্ষেত্রেই আমলযোগ্য নয়। ইমাম বুখারী, মুসলিম, ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন, ইবনুল ‘আরাবী, ইবনু হাযম, ইবনু তায়মিয়াহ প্রমুখ শীর্ষস্থানীয় মুহাদ্দিছগণ সকল ক্ষেত্রে যঈফ হাদীছ বর্জনযোগ্য বলেছেন (দ্রঃ জামালুদ্দীন ক্বাসেমী, ক্বাওয়াইদুত তাহদীছ; আশরাফ বিন সাঈদ, হুকমুল ‘আমাল বিল হাদীছিয যঈফ)। শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, ‘যঈফ হাদীছ অতিরিক্ত ধারণার ফায়েদা দেয় মাত্র। তবে এ বিষয়ে সকল বিদ্বান একমত যে, আহকাম ও ফাযায়েল কোন বিষয়েই যঈফ হাদীছের উপর আমল করা বৈধ নয়’ (তামামুল মিন্নাহ ৩৪ পৃঃ)।
প্রশ্নঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘চল্লিশটি (উত্তম) স্বভাব রয়েছে। তন্মধ্যে সবচেয়ে উন্নত স্বভাব হ’ল দুধেল প্রাণী কাউকে দান করা। যে কোন আমলকারী ঐ স্বভাবগুলির কোনটির উপর ছওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে ও তার জন্য প্রতিশ্রুত প্রতিদানের বিষয়কে সত্য জেনে আমল করবে তাকে অবশ্যই মহান আল্লাহ জান্নাতে দাখিল করবেন’ (বুখারী হা/২৬৩১)। উক্ত হাদীছে বর্ণিত চল্লিশটি স্বভাব কি কি?
ANSWER
🎤 প্রশ্নে উল্লেখিত চল্লিশটি উত্তম স্বভাব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অবগত ছিলেন। কিন্তু তিনি সেগুলির বর্ণনা দেননি। কারণ তাতে উম্মতে মুহাম্মাদী কেবল ঐগুলিই আমল করবে এবং অন্যান্য উত্তম স্বভাবগুলির প্রতি উদাসীন হবে। তবে উক্ত চল্লিশটি উত্তম স্বভাবের মধ্য থেকে কতিপয় উত্তম স্বভাব বিভিন্ন ছহীহ হাদীছ থেকে ইবনু বাত্ত্বাল উল্লেখ করেছেন, যেগুলি নিম্নরূপ :

(
১) বকরী দান করা (২) সালামের জবাব দেওয়া (৩) হাঁচির জবাব দেওয়া (৪) রাস্তা হ’তে কষ্টদায়ক বস্ত্ত সরিয়ে দেওয়া (৫) শিল্প প্রস্ত্ততকারীকে সহায়তা করা (৬) অজ্ঞকে শিক্ষা দান করা (৭) জুতার ফিতা দান করা (৮) মুসলিম ভাইয়ের কোন দোষ গোপন করা (৯) মানহানি থেকে মুসলিম ভাইকে রক্ষা করা (১০) তাকে আনন্দ দান করা (১১) বৈঠকে কেউ আসলে তার জন্য জায়গা করে দেওয়া (১২) উত্তম কাজের পথ প্রদর্শন করা (১৩) উত্তম কথা বলা (১৪) জনকল্যাণে গাছ লাগানো (১৫) চাষাবাদ করা (১৬) অন্যের কল্যাণে সুফারিশ করা (১৭) রোগীকে দেখতে যাওয়া (১৮) মুছাফাহা করা (১৯) আল্লাহ্র জন্যই কাউকে ভালোবাসা (২০) আল্লাহ্র জন্যই কাউকে ঘৃণা করা (২১) আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে পরস্পরে বৈঠক করা (২২) ও সাক্ষাৎ করা (২৩) মানুষের প্রতি শুভ কামনা করা (২৪) অপরের প্রতি অনুগ্রহ করা প্রভৃতি (ফাৎহুল বারী, ৫/৩০৭, হা/২৬৩১-এর আলোচনা ‘দানের মর্যাদা’ অনুচ্ছেদ)।
প্রশ্নঃ তাবলীগের ভাইয়েরা তাদের চিল্লার দলীল হিসাবে একটি হাদীছ বলে থাকেন, যেখানে রাসূল (ছাঃ) বলেন, হিজরত দু’প্রকার বা-ত্তাহ ও বাদিয়াহ। তারা ২য় প্রকার হিজরত করার জন্য দেশের বাইরে যান ও ফিরে আসেন। এ হাদীছটির সত্যতা এবং সঠিক ব্যাখ্যা কি?
ANSWER
🎤 উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (ত্বাবারাণী কাবীর, সিলসিলা যঈফাহ হা/৬৯৪৮)। বিষয়টি এই যে, ওয়াছেলা বিন আসক্বা‘ (রাঃ) মদীনায় হিজরতে করে আসলে রাসূল (ছাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি বা-ত্তাহ অর্থাৎ এখানে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য এসেছ? নাকি বাদিয়াহ অর্থাৎ পুনরায় তোমার দেশে ফিরে যাবে?...বিষয়টির সাথে তাবলীগ জামা‘আতের বিদেশ সফরের কোনই সম্পর্ক নেই। এগুলি নিজেদের বিদ‘আতী রীতিগুলিকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ করার জন্য হাদীছের দোহাই দেওয়া মাত্র।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম সর্বাধিক দাওয়াতী সফর করেছেন। কিন্তু তারা ৩, ১০, ৪০, ১২০ ইত্যাদি কোন সীমা নির্ধারণ করেননি। এগুলি সবই তাবলীগী নেতাদের মনগড়া রীতি বৈ কিছুই নয়। উল্লেখ্য, এ জামা‘আতটির অধিকাংশ প্রচারণাই শিরক ও বিদ‘আতী কাহিনী ও জাল-যঈফ বর্ণনায় ভরা। তাদের মূল পাঠ্য বই ‘তাবলীগী নেছাব’ যার সুস্পষ্ট প্রমাণ। অতএব এসব থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।

Post a Comment

0 Comments