Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

▌সাইয়্যিদ কুতুবের কুফরী ‘আক্বীদাহ,



সাইয়্যিদ কুতুবের কুফরী আক্বীদাহ,
আব্দুল্লাহ আযযামের সত্যবাদিতা
·বিগত শতাব্দীর মুজাদ্দিদ সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরউদ্দিন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
"আপনারা কি আব্দুল্লাহ আযযামের ব্যাপারে শুনেছেন?"
জনৈক ব্যক্তি: জি।
আল-আলবানী: আব্দুল্লাহ আযযাম এখানে ইখওয়ানুল মুসলিমীনের সাথে ছিল। ইখওয়ানুল মুসলিমীন আমাকে প্রায় সাত বছর আগে বর্জন করেছে। তারা আমাদের দারস এবং দাওয়াহ বর্জন করেছে, এবং আব্দুল্লাহ আযযাম ইখওয়ানুল মুসলিমীনের একমাত্র ব্যক্তি ছিল, যে একটা ছোটো খাতা খুব ছোটো কলম নিয়ে আমার দারসে আসত। যখন আমাকে বর্জন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসল, সে আর কখনো আসেনি। নামাজান্তে তার সাথে একবার আমার সুহাইব মাসজিদে দেখা হয়। আমি তাকে সালাম দেই এবং সে লজ্জার সাথে সালামের জবাব দেয়। কারণ সে চুক্তি ভঙ্গ করতে চায়নি।
আমি তাকে বললাম, ইসলাম কি আপনাকে এই আদেশ দেয়? সে বলল, গ্রীষ্মের মেঘ শীঘ্রই আলোকিত হবে। দিন যেতে লাগল, একদিন সে আমার বাড়িতে এল। কিন্তু আমি বাড়িতে ছিলাম না। সে জানতে পারল, আমি নিজামের বাড়িতে ছিলাম, সে (সেখানে গিয়ে) দরজা নক করল এবং ভেতরে আসল। তারপর সে বলল, আমি আপনার বাড়িতে গিয়েছিলাম, কিন্তু আপনাকে পাইনি। আমি আপনার ইলম থেকে উপকৃত হতে চাই। তারপর আমি তাকে বললাম, আমি তা জানি, কিন্তু এই বর্জন করার কারণ কী? সে তারপর বলল, আপনি সাইয়্যিদ কুতুবকে তাকফীর করেছেন, এটাই হলো কারণ। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কীভাবে? সে জবাব দিল, আপনি বলেছেন যে, সূরাহ হাদীদ সূরাহ ইখলাসের ব্যাপারে সে ওয়াহদাতুল উজূদের (সর্বেশ্বরবাদের) মতানুযায়ী কথা বলেছে।
আমি বললাম, হ্যাঁ, সে সূফীদের মতো কিছু কথা বলেছে। এটা থেকে একজন ব্যক্তি শুধু এটাই বুঝতে পারে যে, সে ওয়াহদাতুল উজূদের মতানুযায়ী কথা বলেছে। তবে আমাদের মূলনীতি অনুযায়ী আমরা কুফরে পতিত কোন ব্যক্তিকে কাফির ঘোষণা করি না, যতক্ষণ না তার কাছে হক পোঁছায়। আপনারা কীভাবে এই বর্জন করার ঘোষণা দিতে পারেন, যেখানে আমি আপনাদের মাঝেই আছি? আপনি যদি না আসেন, তাহলে কাউকে পাঠাতে পারতেন, এটা জানার জন্য যে, আমি সত্যিই সাইয়্যিদ কুতুবকে তাকফীর করি কিনা। সাইয়্যিদ কুতুব এটা ওটা এখানে ওখানে বলেছে।
সে বিস্ফোরিত হলো, আর বলল, লোকটি আল্লাহ, তার রাসূল তাওহীদে বিশ্বাস করে! অতঃপর আমরা বললাম, হে ভাই, আমরা তার বলা সঠিক কথা রদ করি না, ভুল কথা রদ করি। এই বৈঠক সত্ত্বেও সে কুয়েতি জার্নাল আল-মুজতামা তে বড়ো হেডলাইন দিয়ে দুই তিনটি আর্টিকেল ছাপিয়েছিল—“শাইখ আলবানী সাইয়্যিদ কুতুবকে তাকফীর করেন।
এটা একটা দীর্ঘ কাহিনী। যে বলে আলবানী সাইয়্যিদ কুতুবকে তাকফীর করে, সে তার মতোই, যে বলে, আলবানী কখনো কখনো সাইয়্যিদ কুতুবকে প্রশংসা করে। এরা হলো প্রবৃত্তির অনুসারী। এদের সামাল দেওয়ার একমাত্র পথ হলো এদের জন্য আল্লাহর কাছে দু করা। তাহলে কি তুমি ঈমান আনার জন্য মানুষদের উপর জবরদস্তি করবে? (সূরাহ ইউনুস, আয়াত ৯৯)তথ্যসূত্র:
·অনুবাদক: রিফাত রাহমান সিয়াম
সম্পাদক: মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ মৃধা
সালাফী: আক্বীদাহ্ মানহাজে

Post a Comment

0 Comments