হানাফি মাজহাবের কিতাব সমুহে কোরআন ও সহীহ হাদীস, ইসলাম বিরোধী ফতোয়া

👇হানাফি মাজহাবের কিতাব সমুহে কোরআন ও সহীহ হাদীস, ইসলাম বিরোধী ফতোয়া এই পোষ্ট পড়লেই আপনাদর বিবেকও স্বাক্ষী দিবে যে এটা চরম ভুল।❌

📃প্রশ্ন :-

 👉হানাফি মাজহাবের নামাজ সুন্নত বিহীন এবং সহীহ হাদীসের বিপরীত কেন?

👉 হানাফি মাজহাবে নারী ও পুরুষের নামাজের মধ্যে পার্থক্য কেন? তাদের আমল মুসলমানদের সাথে কোন অংশে মিলে না কেন? ❓

👉হানাফী মাযহাব বা ধর্মকে শয়তানের অনুসারীদের রচিত ধর্ম বলা হয় কেন?❓

🗞উত্তর :- আশা করি এই পোষ্ট পড়ার পর আপনারা ভাল ভাবে জেনে নিবেন, বুঝতে পারবেন এবং আপনার অন্তরআত্মাও মেনে নিবে- সাক্ষীও দিবে যে হাঁ "হানাফি মাজহাব"  দ্বীন ইসলামের একটি বিকৃত রূপ প্রকৃতপক্ষে

সম্পূর্ণ একটি আলাদা ধর্ম।⚠️

হানাফি মাজহাবী আকাবিররা স্বয়ং সম্পূর্ণ আল্লাহর দ্বীনকে রদবদল করেছে এবং রাসূল সাঃ এর প্রদর্শীত পদ্ধতি নামাজকেও নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী নতুন হিসাবে সুন্নত বিহীন করে জাল ও যঈফ হাদীসের সাহায্যে তৈরি করেছে, 

নাউযুবিল্লাহি মিন জালিক !⚠️

🔰হানাফি মাজহাবি ভাই বোনদের যখন বলা হয় যে মক্কা মদিনার দিকে দেখিয়া মুসলমানদের  মত কুরআন ও সহীহ হাদীসে আমল করো তখন তারা বলে - দুর বেটা ফেতনাবাজ! মক্কা মদীনা দলিল নাকি? দলিল তো কুরআন ও হাদিস, আমরা দলিল অনুযায়ী আমল করবো এবং আমাদের বাপ্ দাদা, এত বড় বুজুর্গ, বড়  হুজুরেরা কি ভুল করে গেছেন? তিনিরা খুব ভালভাবে কুরআন ও হাদিস বুঝে আমল করে গেছেন তাই আমরা একেবারে সঠিক পথে আছি, আস্তাগফিরুল্লাহ ! যেহেতু.. 

মহান আল্লাহ বলেন, 

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لا يَعْقِلُونَ شَيْئًا وَلا يَهْتَدُونَ 

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা অনুসরণ কর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন’, তারা বলে, ‘বরং আমরা তারই অনুসরণ করব যার উপর আমাদের বাপ- দাদাদেরকে পেয়েছি’। যদিও তাদের বাপ-দাদারা কিছুই না বুঝে এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত না হয়, তবুও কি? (আল-বাকারাহ, ২/১৭০)

মহান আল্লাহ আরও বলেন, 

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ الشَّيْطَانُ يَدْعُوهُمْ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ 

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা অনুসরণ কর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন, তারা বলে, ‘বরং আমরা তারই অনুসরণ করবো যার উপর আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে পেয়েছি’; যদিও শয়তান তাদেরকে কঠোর শাস্তির দিকে ডাকে তবুও কি? (লুকমান, ৩১/২১)

👹 হানাফি মাযহাবের সবচেয়ে বড় কিতাব 'আল হিদায়া' এবং অন্যান্য কিতাব সমূহে আছে ইসলাম বিরুধী, মানব জাতী বিরুধী, আজব ও গাজাখুরী ফতোয়া :-- 👇

🔥১. ইমাম আবু হানিফার মতে ফারসি বা যে কোন ভাষায় নামাজে সুরা পড়া জায়েজ।(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী, ইফা, ১৮৬, হিদায়া,ইফা ৭৮, ফতোয়ায়ে আলমগীরি বাংলা অনুবাদ ১ম খন্ড ,ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পৃঃ১৮৬)   নাউযুবিল্লাহ!

🔥২. ইমাম আবু হানিফার মতে নামাজে আল্লাহু আকবর এর পরিবর্তে সুবহানআল্লাহ বা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দ্বারা নামাজ শুরু করা জায়েজ।(আলমগীরি ১৮২,  হিদায়া  ৭৭, ঐ পৃঃ১৮২ মাসয়ালা ২)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥৩. ইকামতের সময় মসজিদে প্রবেশ করলে দাড়িয়ে থাকা মাকরুহ বসে যাবে, মুয়াযযিন "হাইয়া আলাল ফালাহ" বলার সময় দাড়াবে (আলমগীর ১৫৭)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥৪. কাদ কামাতিস সালাহ বলার সামান্য পূর্বে ইমাম তাকবীর দিবে (আলমগীর ১৫৭)

নাউযুবিল্লাহ!❌

🔥৫. কোন ব্যক্তি যদি রুকু না করে সোজা দাঁড়ানো থেকে সিজদায় চলে যায় তাহলে রুকু আদায় হয়ে যাবে,  (আলমগীর ১৮৬)

নাউযুবিল্লাহ!❌

যদি কোন ব্যাক্তি স্বলাতে রুকু না করে সোজা খাড়া থাকে এবং সেজদায় চলে গেলে বা সুন্নতের বিপরীতে সামান্য ঝুঁকে উঠের মত গেলেও রুকু হবে , স্বলাত হয়ে যাবে৷(ঐ মাসয়ালা নং২৪ পৃঃ১৮৬)

নাউযুবিল্লাহ!❌

🔥৬. মহিলাদের জন্য জামাতে শরীক হওয়া মাকরুহ (আলমগীর ২২৭) নাউযুবিল্লাহ!❌

🔥৭. মুক্তাদি যদি সমস্ত রাকাতে ইমামের আগে রুকু সিজদাহ করে তবে কিরাত বাদে অতিরিক্ত ১ রাকাত আদায় করা ওয়াজিব (আলমগীর ২৯৭)   নাউযুবিল্লাহ!

🔥৮. ঈদের নামাজের পর বাড়িতে গিয়ে ৪ রাকাত নফল পড়বে (আলমগীর ৩৬৬)

নাউযুবিল্লাহ!

🔥৯. গ্রামে জুমা জায়েজ নেই। জুমার দিন আযান- ইকামত সহ যোহর পড়বে (আলমগীর ৩৬৫, হিদায়া ১৫৫)   নাউযুবিল্লাহ!

🔥10. শহর ছাড়া জুমআ হবে না৷ 

(হেদায়া ১ম খন্ড পৃঃ১৫৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাংলা)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥11. ঈদের নামাজের পূর্বে খুৎবা পড়া জায়িজ (আলমগীর ৩৬৬)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥12. জানাযার সালাতে কিরাতের নিয়তে সূরা ফাতিহা পড়া জায়েজ নেই (আলমগীর ৩৯৮)   নাউযুবিল্লাহ!

🔥13. স্বামী স্ত্রীকে গোসল করানো জায়েজ নেই (আলমগীর ৩৮৭)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥14. একজন ব্যক্তির যাকাতুল ফিতর দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে দেওয়া জায়েজ নেই (আলমগীর ৩৯৮)  নাউযুবিল্লাহ!❌

🔥15. দুই সিজদার মাঝে বসা ও সাজদাহ সুস্থির হওয়া ফরয নয় (হিদায়া৮২) নাউযুবিল্লাহ!

🔥16. শুধু আল্লাহর যিকিরের উপর খুৎবা শেষ করে দেয় তা জায়েজ (হিদায়া ১৫৬)

নাউযুবিল্লাহ!

🔥17. ঈদুল আযহার সালাত ছুটে গেলে তার পরের দিন আদায় করবে ( হিদায়া ১৬৩)

নাউযুবিল্লাহ!

🔥18. জামায়াত হয় এমন মসজিদে জানাযা পড়বে না (হিদায়া ১৭৬)   নাউযুবিল্লাহ!

🔥19. কুরবানির দিন রোজার মানত করলে পরে কাযা করবে (হিদায়া ২৬১)নাউযুবিল্লাহ!

🔥20. সূরা ফাতিহা সালাতের রুকন নয়,

(হিদায়া ৮০)    নাউযুবিল্লাহ!❌

🔥21. সাজদায় কপাল ও নাকের যে কোন ১টি ভূমি স্পর্শ করলে হবে (হিদায়া ৮৪)

নাউযুবিল্লাহ!❌

🔥22. জুমার দিনে কেউ বিনা ওযরে যদি গৃহে যোহর পড়ে তা জায়িজ (হিদায়া ১৫৮)

নাউযুবিল্লাহ!

🔥23. ইমামের পূর্বে মুক্তাদি রুকুতে গেলে সলাত জায়েজ (হিদায়া ১৩০) নাউযুবিল্লাহ!

🔥24. শুকর বা মদ নিয়ে গেলে মদের উপর উশর দিতে হবে (হিদায়া ২০৭) নাউযুবিল্লাহ!

🔥25. সালাম না ফিরিয়ে ইচ্ছা করে বায়ু ছাড়লে বা কথা বললে সালাত ভঙ্গ হবে না (হিদায়া ১৩০)  নাউযুবিল্লাহ!

                 ✅বিবাহ,তালাক অধ্যায়📚

🔥26:-নিজের স্ত্রীর পরিবর্তে অন্য মহিলা যদি বলে আমি তোমার স্ত্রী তবে তারসাথে যিনা করলে শাস্তি নাই! (হেদায়া পৃঃ৩৬৪) নাউযুবিল্লাহ! ❌

🔥27. কোন ব্যক্তি এক মহিলাকে বলল আমি যতবার তোমাকে বিবাহ করব ততবার তুমি তালাক। এ কথা বলার পর সে একই দিনে তাকে তিনবার বিবাহ করল এবং প্রত্যেকবার সহবাস করল। তবে এ মহিলার উপর দু' তালাক পতিহ হবে (আলমগীর ২/১৬৬)

নাউযুবিল্লাহ!⚠️

🔥28. চার স্ত্রীকে পর্যায়ক্রমে তালাক দিলে শুধুমাত্র ৪র্থ স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হবে (আলমগীর ২/২৭০)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥29. মদ বা শুকুরের বিনিময়ে বিবাহ করা জায়েজ (হিদায়া ৪৮)   নাউযুবিল্লাহ!

🔥30. সন্তানের বা সন্তানের দাসীর সঙ্গে সহবাস করলে হদ্দ (শাস্তি) জারি হবে না (হিদায়া ৩৬২)   নাউযুবিল্লাহ!

🔥31. স্ত্রী ছাড়া অন্য মহিলার সঙ্গে সহবাস করলে হদ্দ (শাস্তি) জারি হবে না (হিদায়া ৩৬৪)    নাউযুবিল্লাহ!

🔥32. বালক যদি মহিলার সাথে সহবাস করে তাহলে বালকের উপর হদ্দ (শাস্তি) জারি হবে না (আলমগীর ৩/৩৯৬)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥33. হিল্লা বিয়ে জায়েজ (আলমগীর)

নাউযুবিল্লাহ!❌

🔥34. মৃতদেহ বা নাবালিকা মেয়ের সাথে সহবাস করার উদ্দেশ্যে উভয়ের লিঙ্গ একত্র হয়ে কিছু অংশ প্রবেশ করলেও অযু নষ্ট হবে না (দুররে মুখতার,অযু অধ্যায়)নাউযুবিল্লাহ!

🔥35. মৃত স্ত্রী বা জন্তুর স্ত্রী অংশে বলাৎকার করলে রোজা নষ্ট হবে না (বিকায়া ২৩৮)

নাউযুবিল্লাহ!

🔥36. যাদেরকে বিবাহ করা হারাম তাদের সাথে সহবাস করলে হদ্দ (শাস্তি) জারি হবে না(আলমগীর ১৬৫ হিদায়া ৫১৬)

নাউযুবিল্লাহ!

🔥37. মা বোন মেয়ে খালা ফুফিদের সাথে সহবাস করলে বা বিবাহ করলে কোনো হদ বা শাস্তি নেই, (ফতোয়ায়ে আলমগীরি 3/468) নাউযুবিল্লাহ!

🔥38. কেউ যদি তার পিতার কৃতদাসীর সঙ্গে সহবাস করলে হদ্দ (শাস্তি) জারি হবে না (হিদায়া ৫১৫)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥39. বাদশাহ যদি জিনা করে তার কোন হদ্দ (শাস্তি) নেই (হিদায়া ৫২০) নাউযুবিল্লাহ!

                  📚  চুরি, শপথ অধ্যায়✅

🔥40. কাফন চোরের হস্ত কর্তন নেই (হিদায়া ৪০৩)   নাউযুবিল্লাহ!

🔥41. ঘরে সিট কেটে ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে চুরি করলে হাত কাটা যাবে না (হিদায়া ৪০৮)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥42. দশটি খেজুর খেয়ে কসম করে ৫ টি বললে কসম ভঙ্গ হবে না (আলমগীর  ৩/১৭৭)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥43. তরমুজ খাবে না কসম করে ছোট কাঁচা তরমুজ খেলে কসম ভঙ্গ হবে না (আলমগীর ৩/২২৮)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥44. স্ত্রী জন্য কাপড় ক্রয় করবে না বলে কসম করে ওড়না ক্রয় করলে কসম ভঙ্গ হবে না, (আলমগীর ৩/৩০৬)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥45. কুরআন চুরিতে হস্ত কর্তন নেই, 

 (আলমগীর ৩/৪৬২)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥46. মদের তলানি পান করে মাতাল না হওয়া পর্যন্ত হদ্দ জারি হবে না (আলমগীর ৩/৪২১)   নাউযুবিল্লাহ!

🔥47. বিসমিল্লাহ বলে কুকুর জবেহ করে মাংস বিক্রয় করা জায়েজ (শরহে বেকায়া)

নাউযুবিল্লাহ!

🔥48. গম, যব, মধু দিয়ে তৈরি করা মদ হালাল, যদিও তাতে নেশা সৃষ্টি হয় (আল হিদায়া,৪র্থ খন্ড,পৃঃ ২৩৩,ইফা)নাউযুবিল্লাহ!

.🔥49. মহিলার বুকের দিকে,পায়ের নলার দিকে, বাহুর ও মাজার দিকে তাকানো জায়িজ, (আল হিদায়া,৪র্থ খন্ড, পৃঃ ১৭৪,ইফা)  নাউযুবিল্লাহ!❌

.🔥50. স্ত্রীর যৌনাংগের দিকে তাকানো উত্তম কাজ,(আল হিদায়া,৪র্থ খন্ড, পৃঃ ১৭৪,ইফা)

.নাউযুবিল্লাহ!

🔥51. আরবী জানার পরও কেউ ফার্সিতে নামাজ পড়লে হবে.(আল হিদায়া, ১ম খন্ড, পৃঃ ৭৮,ইফা ফাতোয়ায়ে আলমগীরি,পৃঃ১২০ মিনা বুক হাউস)  নাউযুবিল্লাহ!

.🔥52. মৃতের সাথেও সহবাস করা যায়, এতে কোন কাফফারা নেই.(আল হিদায়া,১ম খন্ড,পৃঃ ২৪৮,ইফা)   নাউযুবিল্লাহ!

.🔥53. কাপড় না পেলে উলংগ হয়েও নামাজ পড়া জায়িজ, (আল হিদায়া, ১ম খন্ড, পৃঃ ৭৮,ইফা ফতোয়ায়ে আলমগীরি,পৃঃ ১০৪ মিনা বুক হাউস)   নাউযুবিল্লাহ!

.🔥54. আল্লাহু আকবার তাকবীর না বলে সুবহানাল্লাহ, লাইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেও নামাজ শুরু করা যায়, (আল হিদায়া, ১ম খন্ড, পৃঃ ৭৭, ইফা ফতোয়ায়ে আলমগীরি,পৃঃ ১১৮ মিনা বুক হাউস)  নাউযুবিল্লাহ!

.🔥55. রুকু সিজদা থেকে সুজা হয়ে না বসলেও নামাজ হবে, (আল হিদায়া, ১ম খন্ড, পৃঃ ৮২ ইফা (ফতোয়ায়ে আলমগীরি,পৃঃ ১২৯)

.নাউযুবিল্লাহ!

🔥56. ইমাম তাশাহুদ পড়ার পর মুসল্লী যে কোন কথা বলতে পারে তাতে তার নামাজ হয়ে যাবে,(আল হিদায়া, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০৫ইফা)  নাউযুবিল্লাহ!

.🔥57. চোখ দিয়ে ডানে বামে তাকানো যাবে, এতে নামাজ নষ্ট হবেনা,(আল হিদায়া, পৃঃ ১১৪,১ম খন্ড ইফা)   নাউযুবিল্লাহ!

.🔥58. এক রাকাত পেলেও নামাজ হবেনা

(আল হিদায়া, পৃঃ ১২৯,১ম খন্ড, ইফা)

.নাউযুবিল্লাহ!

🔥59. নামাজে ভুল হলেও সাহু সিজদা লাগববেনা,(ফতোয়ায়ে আলমগীরি,পৃঃ ১২৯ মিনা বুক হাউস)  নাউযুবিল্লাহ!

🔥60. যদি আঙ্গুলে নাযাসাত লেগে যায়, তাহলে সেটি  মুখ দিয়ে চুষে নিলে, চেটে-চেটে পরিষ্কার করে দিলে-  পাক হয়ে যাবে! 

(দারু মুখতার জীল্দ্ ১ এর ১১৮ নং পৃষ্ঠা এবং

ফাতয়ায়ে আলমগিরী জীল্দ্ ১ এর ৭০ নং পৃষ্ঠা)  নাউযুবিল্লাহ!

👹শয়তানের পথ 'মাজহাব' অনুসরণ করিলে মলমুত্র, গু বিষ্ঠা ত খাওয়াবেই, এতে কোন আশ্চর্যের কথা নয়!

কুরআন ও সহীহ হাদীসের বিরুদ্ধে এতো জঘন্য, নিকৃষ্ট এবং ঘৃণাত্মক ফতোয়া, এমন কার্যের হুকুম আমার মনে হয় এই দুনিয়াতে ইহুদি নাসারা বা অন্য কোন ধৰ্মই করে নাই, সুতরাং মুসলমানের বেশভূষায় ইসলাম ধর্মের ছায়াতলে আছে এই দুনিয়ার সবথেকে নিকৃষ্ট নীচ, ঘৃণাত্মক ও বিস্বাসঘাতক ধৰ্ম "হানাফি মাজহাব"l 

মহা বিনাশক পথভ্রষ্টতার শিরকী ফতোয়া :-❌

🔥61.'নির্দিষ্ট কোন ইমামের 'তাক্বলীদ' করা ফরয।(আল মুখতাছারুল কুদূরীতে) নাউযুবিল্লাহ!

এজন্যই হানাফীরা আবূ হানীাফা(রহ:) এর অন্ধ ভাবে মুকাল্লাীদ' এবং তারা হানাফী মাযহাবের চৌহুদ্দীর মধ্যে বন্ধী। যেহেতু 

মহান আল্লাহ বলেন,

"যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে পথ সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান।(সূরা আন নিসা:115 )

✅কুরআন ও হাদীসকে রদবদল করার  হুকুমজারী:-👇

62. ইমাম কারখি লিখছে,ঐসব কুরআনের আয়াত যে সব আমাদের আসহাবের কথার বিপরীত হয়, তবে সেই আয়াত কে মনশুক বুঝতে হবে, আর না হয় ঐ সব প্রত্যেক আয়াতকে রদবদল করে আমাদের আসহাবের কথা অনুযায়ী তৈরি করতে হবে। 

নাউযুবিল্লাহ!

আরও লিখছে- আমাদের আসহাবের কথার বিপরীত যদি কোন হাদীস এসে যায় ঐ সব হাদীস,  মনশুক।( Raddul Mukhtar, Usul-al Karki- 373), 

👉 এই সব ইমামরা যখন আল্লাহর কে ভয় করে নাই তবে কি মনে করেন রাসূল(সাঃ)কে ভয় করিবে? কোন দিন না। তারা সর্বদা চেষ্টা করেছে উম্মতে মুহাম্মদীয়াকে পথভ্রষ্ট করার জন্য যাতে সবাই  মুশরিক কাফের হয়ে মরে এবং সবাই জাহান্নামী হউক বলে। 

এধরণের হুকুম পেয়ে হানাফি বড় হুজুররা  বেধড়ক কুরআন ও হাদিসের অপব্যাখ্যা রদবদল ও বিকৃত করেছে এবং সম্পূর্ণ আমলকে এমনকি  সম্পূর্ণ নামাজকে সুন্নত বিহীন করেছে। নাউযুবিল্লাহ!

✅এরকম আরো হাজারো গাজাখুরী ফতোয়া দেওয়া আছে হানাফি মাযহাবে = জেনা, ব্যভিচার, চুরি, ডাকাতি, মাস্তানি,খুন, মদপানের জন্য সরকারি লাইসেন্সের দরকার নেই হেদায়া, কুদুরী, আলমগীরী, শামীর লাইসেন্সই যথেষ্ট।  তথ্যসূত্র:-👇

১.হিদায়া -ইসলামিক ফাউন্ডেশন

২.ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী -ইসলামিক ফাউন্ডেশন

৩.তরীকায়ে মুহাম্মাদীয়া -মতিউর রহমান মাদানি

৪.ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীর একি আজব ফাতাওয়া

৫.হিদায়া কিতাবের একি হিদায়াত

৬.সঠিক ইতিহাস সত্য কথাই বলে

৭.আপন গৃহে অপরিচিত ও সত্যের পথে প্রতিবন্ধকতা

🎤আপনারা একটু চিন্তা করেন ইমাম নুমাম বিন সাবিত(রঃ) মৃত্যুর প্রায় ৪৫০ বছর পর এসব ফতোয়া লিখে সরাসরি ওনার নাম লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে এসব ফতুয়া আদৌও কি ওনার দেওয়া? এগুলো কার ফাতওয়া? ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর? সে বিষয়েও একটা বড় প্রশ্ন থেকে যায়। কোন মুসলমান কি সুন্নতের বিরুদ্ধে এধরণের ফতোয়া দিতে পারে? ❓

না-কোন মুসলমান রাসূল সা: এর বিরুদ্ধে এই ধরণের ফতোয়া দিতে পারে না, সুতরাং যারা সহীহ হাদীসের, সুন্নতের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছে, লিখেছে  তারা নিঃসন্দেহে কাফির হয়েছে তারাছিল দ্বীন ইসলামের দুশমনl

✅সুতরাং উপরোক্ত ফাতওয়া গুলিতে যদি কেউ  বিশ্বাস করে বা অন্ধভাবে আমল করে সে নিঃসন্দেহে কাফির হইবে এতে কোন সন্দেহ নাই, তাই সাবধান!

✅হানাফি মাজহাবের ফিকহ্ শাস্ত্র সম্পর্কে মনীষীদের অভিমত~  👇

✅🌸১। মিনহাজুস সুন্নাহ গ্রন্থের ৪র্থ খন্ড ৬৬ পৃষ্টায় লিখা আছে রয়েছে-

 হানাফিগণ মোতাযিলা, কারামিয়া ও কালাবিয়া মতের নিয়ম পদ্ধতি গুলো আবু হানিফার মাযহাবের সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আর এগুলো হচ্ছে রাফেযী শিয়াদের জিনিস বা অভিমত। 

🌸২। মাওলানা আব্দুল কাদের বদায়ুনী হানাফী বাওয়ারের শেখ নজদী গ্রন্থে লিখেছেন- 

হানাফীগণের পুস্তক সমূহে খাওয়ারেজ, মুতাযিলা ও কদরীয়াগণ হানাফী ফিকার শত শত মাসআলায় একমত। (কালামুল মতীন ২৪০ পৃষ্টা) 

🌼৩। মাওলানা আব্দুল হাই লখনোবী হানাফী আযবেবায় ফাযেলা নামক কিতাব এ লিখেছেন- 

এ জন্যই আলেমগণ স্পষ্ট বলেছেন যে, ফিকার বড় বড় কিতাবে যে সকল হাদিস উদ্ধৃত করা হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। 

🌸৪। বিপুল সংখ্যক বিদ্বানদের দ্বারা রচিত হানাফীদের একশত ত্রিশ পৃষ্টার একটা পুস্তক ইমাম শাফিঈ (রহঃ) -এর হস্তগত হয়। ইমাম শাফীঈ (রহঃ) পুস্তক এর আদ্যোপান্ত পাঠান্তে বলেনঃ আমি হানাফীদের পুস্তক গুলোর ১৩০ পাতা সম্বলিত একটি পুস্তক পাঠ করেছি, তার ৮০ পাতাই কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী, সেখানে হাজার হাজার ভুল মাসায়ালা পরিবেশন করা হয়েছে। (খতিব বাগদাদীর জুযে তারিখ ১৩৩ পৃষ্টা) 

🌼৫। মাওলানা শিবলী নো'মানী তাঁর সীরাতুন নো'মান গ্রন্থে লিখেছেন - ফিকহে আকবার গ্রন্থখানী ইমাম আযম সাহেবের প্রণীত বলে প্রচার করা হয় কিন্তু আসলে তা ইমাম সাহেবের লেখা নয়, বরং কোন গ্রন্থই তাঁর নেই। তিনি তাঁর গ্রন্থের ২০৪০ পৃষ্টায় আরও লিখেছেন ফিকার কিতাবগুলি যদিও হানাফী মাযহাবের বলে প্রকাশ কিন্তু হানাফী আলিমগণ এতে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেছেন। ` 

তাহলে একবার চিন্তা করুন ফিকাহ কিতাব গুলোতে কি পরিমাণ জাল-যইফ হাদিস লিপিবদ্ধ হয়েছে, সে সময় থেকে আজ অব্দী! শত শত বছর আগে বিকৃত কিতাব সমূহ আজ কতটা ভেজাল যুক্ত হতে পারে কখনো কি ভেবে দেখেছেন?

🌼 6. আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ স্পষ্ট বলে গেছেন, সাবধান করে গেছেন যে  হানাফি মাজহাবিরা হইল বাতিল দল এবং ৭৩ দলের/ ফিরকার মধ্যে একটি - তাই জাহান্নামী ফিরকা । সূত্রঃ গুনিয়াতুত ত্বালেবীণ, ফিরকার অধ্যায় এবং গুনিয়াতু তোলেবিন ও ফিকহুল আকবর কিতাবেও পেয়ে যাবেন।

🌺7. ইমাম বুখারী (রা:) যখন এক নাজদ ইরাকীকে দেখেন সুন্নত ছেড়ে নামাজ পড়তে তখনই এক খানা হাদীসের কিতাব "যুজ রাফা-আল-ইয়াদাইন"লিখে  বিতরণ করে ছিলেন,  সেই কিতাবে নাজদ ইরাকি কে "বিদআতী" বলে সম্মোধন করেছেন সেই কিতাবের ভূমিকায় লিখেন:-

 “রাফুল্য়াদেন” হইল নামাজের সুন্নত এবং যে ব্যক্তি জেনেশুনে ছেড়ে দিচ্ছে বা অস্বীকার করছে তার রগে-রগে এবং সম্পূর্ণ মাংস পেশীতে এমন কি মগজ পর্যন্ত বিদআতে পরিপূর্ণ ঠিক যে ভাবে পাগল কুকুর কামড় দিলে তার বিষ সম্পূর্ণ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। 

তার অন্তরে আছে রাসূল(সাঃ)এর জন্য নফরত, এবং আহলুল সুন্নতের সঙ্গে দুশ্মনী।

হে আল্লাহ🤲!  আমাদের মায্হাবী ভাই বোনদের সবাইকে শয়তানের অনুসারীদের রচিত হানাফি মাজহাব থেকে রক্ষা কর, এবং সঠিক বোঝ ও হিদায়ত দান কর,  কুরআন ও সুন্নাহ (সহীহ হাদীস) অনুযায়ী আমল করার এবং সঠিক ও সরল পথে চলার তৌফিক দিন। আমীন!

💝 (جزاك اللهُ خيرًا)🌷

(সংগৃহীত পোষ্ট)🆗 admin rasikul🔰 🌐 https://sarolpoth.blogspot.com/2020/05/blog-post_10.html