🌎তাবেয়ী বিদ্বান আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহি’মাহুল্লাহ (১১৮-১৮১ হিজরী) বলেছেন, “দ্বীনকে ধ্বংস করে তিন শ্রেণীর লোকেরাঃ
(১) জালিম শাসক,
(২) উলামায়ে সু এবং
(৩) সূফী পীর-মাশায়েখ।
=> জালেম শাসকদের সামনে ইসলামী শরীয়ত ও রাজনীতি সাংঘর্ষিক হলে তারা রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দেয় এবং শরীয়তকে দূরে সরিয়ে দেয়।
=> উলামায়ে সু বা পথভ্রষ্ট, ভন্ড আলেমরা তাদের রায় (মতামত বা ফতোয়া) কিংবা কিয়াস (যুক্তির) সংগে শরীয়ত সাংঘর্ষিক হলে তারা তাদের রায় বা কিয়াসকে অগ্রাধিকার দেয় এবং হারামকে হালাল বানিয়ে দেয়।
=> সূফী পীর ফকিরেরা তাদের কথিত কাশফ ও রুচির বিরোধী হলে শরীয়তের প্রকাশ্য হুকুম ত্যাগ করে এবং কাশফকে অগ্রাধিকার দেয়।”
🌎উৎসঃ শারহু আক্বীদাহ আত-তাহাভীয়াঃ ২০৪-নং পৃষ্ঠা; বৈরুত ছাপা, ১৪০৪ হিজরী বা ১৯৮৪ খ্রীস্টাব্দ।
___________________________________________________
হযরত উ’মার রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেছেন, “আমি সকল শহরের আমীরদের ব্যাপারে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি তাদেরকে (আমীর বানিয়ে) এই জন্যেই পাঠিয়েছি, যেন তাঁরা জনগণকে ইসলামী শিক্ষা দেন, তাদেরকে তাঁদের নবীর অনুসৃত সুন্নত তথা রীতিনীতি জানিয়ে দেন এবং তাঁরা যেসব বিষয় অবগত নয়, তা যেন আমার কাছে তুলে ধরেন।”
🌎সহীহ মুসলিম, ইবনে খুযাইমা, মুসনাদে আহমাদঃ ৮৯, হাদীষটি সহীহ।
0 Comments