▌ সংক্ষিপ্ত নবিচরিত

▌                        সংক্ষিপ্ত নবিচরিত

.[‘আল-মুনিরাহ ফি মুহিম্মি ইলমিস সিরাহ (সংক্ষিপ্ত নবিচরিত)’—শাইখ সালিহ আল-উসাইমী হাফিযাহুল্লাহর লেখা বিশ চরণের কবিতা। নবিজির জীবনী সম্পর্কে মৌলিক বিষয় জেনে রাখা একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের সকলের কর্তব্য। তাই আমরা কবিতাটির ভাবানুবাদ মুসলিম বাঙালি পাঠকবর্গের করকমলে পেশ করছি। – অনুবাদক]

·সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সাবেক সদস্য, মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদে নাবাউয়ীর সম্মানিত মুদার্রিস, প্রখ্যাত মুহাদ্দিস, মুসনিদ, ফাক্বীহ ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল আল্লামাহ সালিহ বিন আব্দুল্লাহ বিন হামাদ আল-উসাইমী হাফিযাহুল্লাহ (জন্ম: ১৩৯১ হি.) বলেছেন—

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

আমার রবের স্তুতিযোগে আরম্ভ করছি ‘উদ্ভাসিকা’ পদাবলি,

অনন্তর নিবেদন করছি সালাত ও সালাম আমার নবির প্রতি।

আমার নবির নাম মুহাম্মাদ, পিতা আব্দুল্লাহর একমাত্র সন্তান তিনি।

দাদা শাইবা আব্দুল মুত্তালিব [১], আদনানের বংশধর,

তাঁর বংশধারার মূলে আছে পূর্বপুরুষ আরব।

মা ওয়াহব তনয়া আমিনা,

পিতামাতা উভয়কুলের পূর্বসূরিরা কুরাইশ বংশের।

জন্ম—নিরাপদ নগরী মক্কায়, হস্তী আগমনের বছরে, যা সুস্পষ্ট ও প্রমাণিত। [২]

তাঁর শুভাগমন যে হয়েছিল সোমবার ১২ই রবিউল আউয়ালে, এ তথ্যে তুমি আস্থা রাখতে পার। [৩]

দুগ্ধপানের জন্য মা হালিমার কাছে তিনি চার বছর কাটান।

ছয় বছর বয়সে তাঁর মাতৃবিয়োগ ঘটে,

আর পিতামহের যখন মৃত্যু হয়, তখন তিনি আট বছরের বালক।

এরপর পিতৃব্য আবু তালিব তাঁর দেখভাল করেন, চাচার সাথে তিনি শামের বুশরা নগরীতে যান ভ্রমণে।

পরবর্তীতে খাদিজার সম্পদ নিয়ে আবার বুশরায় যান বাণিজ্যে, অনন্তর তাঁর শুভবিবাহ হয় খাদিজার সাথে।

জীবনের চল্লিশটি বসন্ত কাটানোর পর মানুষের কাছে প্রেরিত হন রসুল হিসেবে,

মানবতাকে তিনি মহান দ্বীনের পথ দেখান, যে দ্বীনের ভার অর্পণ করা হয়েছে তাঁর প্রতি।

মক্কায় তেরোটি বছর দাওয়াত দেন তাওহিদের, এরপর তাইবা শহরে হিজরত করার অমোঘ বিধান আসে [৪], ফরজ হয় স্বশস্ত্র জিহাদ।

আল্লাহপ্রদত্ত সাহায্যে তিনি যুদ্ধ করেন মোট সাতাশটি; আর তাঁর মৃত্যু হয় এগারো হিজরি বর্ষে।

খাদিজার তিরোধানের পরে তিনি বিয়ে করেন আরও দশজন নারীকে।

যথাক্রমে তাঁরা সাওদা, সতী-পবিত্রা আইশা, যাইনাব বিনতে খুযাইমা, উম্মু সালামা, সম্মানীয়া যাইনাব বিনতে জাহ্শ, উম্মু হাবিবা রমলা, সাফিয়্যা এবং মাইমুনা।

সাফিয়্যা বাদে সহধর্মিনীরা সবাই নবি ইসমাইলের বংশধর।

তাঁর সন্তান—কাসিম, আব্দুল্লাহ আত-তাহির আত-তায়্যিব, যাইনাব, রুকাইয়্যা, ফাতিমা, উম্মু কুলসুম, আর সবশেষে ইবরাহিম।

·পাদটীকা:

▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

[১]. নবিজির দাদার নাম শাইবা। আব্দুল মুত্তালিব তার উপাধী।

[২]. ইথিওপিয়ার রাজা নাজাশির কর্মচারি আবরাহা যে বছর হস্তীবাহিনী নিয়ে কাবাগৃহ আক্রমণ করতে এসেছিল, সে বছর নবিজির জন্ম হয়। খ্রিষ্টীয়বর্ষ মোতাবেক ৫৭০ বা ৫৭১ হিজরিতে এ ঘটনা ঘটেছিল।

[৩]. নবিজির জন্মতারিখ নিয়ে উলামা ও ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। ১২ই রবিউল আওয়াল সবচেয়ে প্রসিদ্ধ মত। শাইখ উসাইমির মতে এই অভিমত বিশুদ্ধসূত্রে প্রমাণিত। ৮ই রবিউল আওয়াল ও ৯ই রবিউল আওয়ালের মতও যথেষ্ট শক্তিশালী। আর আল্লাহই সর্বাধিক অবগত।

[৪]. মদিনা শহরের একটি নাম ‘তাইবা’।

·উৎস: https://www.mimham(ডট)net/mat-2603।

·অনুবাদক: মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ মৃধা

www.facebook.com/SunniSalafiAthari

 

Post a Comment

0 Comments