▌আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় আখিরাত...
.
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদ ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সদস্য, বর্তমানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস ও উসূলবিদ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ড. সা‘দ বিন নাসির আশ-শাসরী (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,
❝যখন আপনার লক্ষ্য হবে আখিরাত, আল্লাহ আপনার জন্য দুনিয়ার জীবনকে সংশোধন করে দেবেন। আখিরাত আপনার উদ্দেশ্য হওয়ায় দুনিয়া আপনার কাছে আসবে, যখন কিনা আপনি তা চান না! আপনি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন, আপনার হৃদয় প্রশান্ত থাকবে, আপনি নিশ্চয়তা লাভ করবেন। আপনার কাছে আসবে হালাল ও উত্তম রিজিক। দুনিয়ার যা কিছু আপনি অন্বেষণ করেছিলেন, আপনার কাছে এসে যাবে। না‘আম। এই দুনিয়া কি আল্লাহর কর্তৃত্বাধীন নয়? আল্লাহ আপনার জন্য নির্ধারণ করেছেন এমন কিছু যদি প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের সকল লোক আপনার থেকে স্থগিত রাখার চেষ্টা করে, তারা কি সক্ষম হবে?
মনে রাখবেন, আপনার কোনো উপকারের জন্য সমগ্র জাতি যদি জমায়েত হয়, তথাপি আল্লাহ আপনার জন্য যা নির্ধারণ করেছেন, তার বাইরে তারা আপনার কোনো উপকার করতে পারবে না। তদ্রুপ তারা যদি আপনার ক্ষতির জন্য জমায়েত হয়, তথাপি আল্লাহ আপনার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে যা নির্ধারণ করেছেন, তার বাইরে তারা আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। অতএব সমস্ত বিষয়াদি রয়েছে রাব্বুল ‘ইযযাতি ওয়াল জালালের হাতে। আল্লাহ জাল্লা ওয়া ‘আলা বলেন, “আর জমিনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহরই।” (সূরা হূদ: ৬) রাব্বুল ‘ইযযাতি ওয়াল জালাল বলেন, “বান্দা আমার, তুমি যখনই আমার সন্তোষের জন্য প্রচেষ্টা কর, আমি তখনই তোমার সন্তুষ্টির বন্দোবস্ত করি।”
যে কেউ সৃষ্টির ক্রোধের বিনিময়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে, আল্লাহ তার ওপর সন্তুষ্ট হবেন, আর সন্তুষ্ট করবেন মানুষদের। তিনি আপনাদের কাছে ওয়াদা করেছেন, আপনাদের বিষয়াদি সংশোধন করে দেবেন এবং আপনারা হবেন সৌভাগ্যবান। “যারা ইমান আনে এবং আল্লাহর জিকিরে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়; জেনে রেখ, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়।” (সূরা রা‘দ: ২৮) আর আল্লাহর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জিকির হচ্ছে, আপনি সব আমলের ক্ষেত্রে আল্লাহকে আপনার সামনে রাখবেন। কোনো আমল করবেন না, যে পর্যন্ত না আপনি অন্তরে উপলব্ধি করছেন, আপনার আমল খালেসভাবে আল্লাহর জন্যই হচ্ছে। তখন আপনার অন্তর প্রশান্ত হবে।❞
·
0 Comments