উম্মাহর
জাগরণ: নিয়ামক ও প্রতিবন্ধক
.বর্তমান যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ সালিহ বিন ‘আব্দুল ‘আযীয আলুশ শাইখ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,
.“উম্মাহর জাগরণের অন্যতম নিয়ামক শক্তি হলো, আমদের উম্মাহকে বিভক্ত না করা। বর্তমানে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মপদ্ধতি ও মানহাজ স্পষ্ট হয়েছে। এখন বড়-ছোট সবাই এসব সংগঠনের মানহাজ নিয়ে আলোচনা করছে,—এটার বৈশিষ্ট্য এই, আর ওটার বৈশিষ্ট্য এই— এগুলো এসমস্ত দল বাতিল করারই দাবি করে, যাতে করে উম্মাহ বিভক্ত না হয়ে পড়ে।
কেননা, এ অবস্থা দেখতে দেখতে যে প্রজন্ম গড়ে উঠবে, তারা
এই দলাদলি ও (শতবিভক্ত) বিভিন্ন জামাআতকে সঠিক এবং স্বীকৃত বলে মনে করবে।
‘আলিমগণ বলেছেন, মহান ইমাম চতুষ্ঠয়ের (রহিমাহুমুল্লাহ)
অনুসরণে তাআসসুব ও গোঁড়ামি জায়েয নেই। ইমামু আহলিস সুন্নাহ আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম
শাফিঈ, ইমামু দারিল হিজরহ মালিক বিন আনাস এবং আবু হানীফা (রহিমাল্লাহুল জামী'),—ফিকহের
ক্ষেত্রে তাদের অনুসরণে গোঁড়ামি জায়েয নেই। তাদের অন্ধ অনুকরণ যদি জায়েজ না হয়, তাহলে
অন্যদের অনুসরণে যে গোঁড়ামি সঠিক নয়, এ ব্যাপারে সালাফী ‘আলিমদের মাঝে ইজমা হওয়া আরো
বেশি যুক্তিযুক্ত।
কেননা, এই সমস্ত গোঁড়ামি ও বাড়াবাড়ি উম্মাহকে শতবিভক্ত
করছে, একটিমাত্র জামাআতের অন্তর্ভুক্ত হওয়াটাকে অবাস্তব করে তুলছে। এগুলো উম্মতের মাঝে
বিভক্তিই সৃষ্টি করছে।
মুসলিম দেশেগুলোতে দেখবেন, কোনো মসজিদে একটি কাতারে ২০/৩০
জন সালাত আদায় করছে, তারপর আবার সেই বিভক্তি! এমনকি পারস্পরিক মিলনটুকুও তারা রাখে
না। নিঃসন্দেহে এটা শয়তানের একটি ফাঁদ।
ইসলামের শত্রুদের অন্যতম টার্গেট হলো, পত্রিকা ও সংবাদমাধ্যম।
তারা এ সম্পর্কে বলেছে,—যেমনটি প্রোটোকলে এসেছে—আমাদের এই পত্রিকা ও সংবাদমাধ্যমকে
জাতির মাঝে বিভক্তি ও বিচ্ছিন্নতার একটি হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কেননা, এটা
সার্বজনীন একটা মাধ্যম।
আর এ কারণেই আমরা মুসলিমদের মাঝে একতাবদ্ধতার পরিবর্তে
দিন দিন বিচ্ছিন্নতা আর বিভক্তি দেখছি।
এই দিকগুলোকে কেন্দ্র করে বলছি, এখন উম্মাহর জাগরণের জন্য
শারয়ী মাসলাহা হলো, ইসলামের নামে কর্মরত সমস্ত জামাআত ও সংগঠনকে বাতিল করে দেয়া। এক
কালিমার উপর ঐক্যবদ্ধ হওয়া, এবং এটাকেই পারস্পরিক বন্ধনের মূলভিত্তি হিসেবে গ্রহণ
করা। আর সর্বোপরি সত্যিকার বিচক্ষণ ‘আলিমদের পতাকাতলে সমবেত হওয়া।”
.উৎস: https://youtu.be/Qi--maDAHlM
.অনুবাদক: ইবনে আবিল কালাম
0 Comments