আমি
লম্বা দাড়িওয়ালা কোন ইখওয়ানী দেখিনি...
.বিগত শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও মুজাদ্দিদ, আশ-শাইখ, আল-'আল্লামাহ, আল-ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরউদ্দীন আল-আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
."আমি কিছু বিষয় লক্ষ্য করেছি। আমি দেখেছি আগে ইখওয়ানুল মুসলিমীনের তরুণরা কীভাবে পশ্চিমা স্টাইলে পোশাক পরিধান করতো। এটা কেন? কারণ তাদের নেতা হাসান আল-বান্না ওরকম স্টাইলে পোশাক পরিধান করতো। কিন্তু তার সাহিত্যিক সাহসিকতার সাহায্যে সে নিজেকে ঐ স্থানে প্রচলিত মুসলিম পরিবেশ থেকে পৃথক করতে পেরেছিল, এবং সে এটা করেছিল মাত্র একটা বিষয়ের মধ্যেই। অর্থাৎ সে তার পুরো দাড়ি না, বরং শুধু এর অংশবিশেষ বড়ো করেছিল। এর সাথে তাল মিলিয়ে, মুসলিম দেশগুলোতে ইখওয়ানুল মুসলিমীনের সবাই তার বেশ ধারণ করা শুরু করলো। তুমি লম্বা দাড়িওয়ালা ইখওয়ানুল মুসলিমীনের অন্তর্ভুক্ত একজন লোককেও দেখবে না। এটা তাদের বৈশিষ্ট্য। আমি তাদের কাউকে দেখিনি। আমি ইখওয়ানের অন্তর্ভুক্ত সম্পূর্ণ দাড়িওয়ালা কাউকে দেখিনি। হতে পারে যে, সে ইখওয়ানী হওয়ার আগে তার এটা ছিল। তবে আমি এমন কিছুর ব্যাপারে জ্ঞাত নই যে, একজন লোক ইখওয়ানুল মুসলিমীনের মাঝে বেড়ে ওঠে আর সে হাসান আল-বান্নার সুন্নাহর বদলে (রাসূলুল্লাহ ﷺ এর) সুন্নাহ অনুসরণ করে। সকল মুসলিম তরুণরা, বিশেষ করে যারা ইউরোপে আছে, তারা হাসান আল-বান্নার সাদৃশ্য গ্রহণ করে। এটা কেন? কারণ তারা তার মানহাজ দ্বারা প্রভাবিত এবং তাদের নাবী ﷺ এর মানহাজ দ্বারা নয়। এই উদাহরণই এটা দেখানোর জন্য যথেষ্ট যে, দলান্ধতা এর অনুসারীদের কীসের দিকে নিয়ে যায়।
.উৎস: https://youtu.be/YrrnxbrH1tE
.অনুবাদক: রিফাত রাহমান সিয়াম
0 Comments