ফজরের সালাতের পরে ঘুমানো যাবে কি?
.সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ ও মুজাদ্দিদ, শাইখুল ইসলাম, ইমাম 'আব্দুল 'আযীয বিন 'আবদুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়,
প্রশ্ন: ফজরের সালাতের পর ঘুমানোর বিধান কি? এটা কি অন্তরকে শক্ত করে দেয়, এবং এটা কি মন্দ কিছু হিসেবে বিবেচিত? আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
উত্তর: ফজরের সালাতের পর ঘুমানোর মধ্যে কোন ক্ষতি নেই আর আমরা এতে কোন অসুবিধা আছে বলে জানিনা। লোকদের মাঝে প্রচলিত হয়েছে যে এটা ভালো নয় বা এটা অমুক তমুক, এর পক্ষে কোন নির্ভরযোগ্য দলীল নেই। তাই ফজরের পরে ঘুমানো, এতে কোন ক্ষতি নেই, এবং আসরের পরে ঘুমানো, এতে কোন ক্ষতি নেই। তবে ফজরের পরে সূর্যোদয় পর্যন্ত ব্যক্তির সালাতের স্থানে বসে থাকা, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাসবীহ পাঠ করা, আল্লাহর প্রশংসা করা এবং অনুরূপ, এটা অধিক উত্তম। নাবী ﷺ এটাই করতেন। আর যে কেউ এটা বর্জন করে, তাহলে তার জন্য কোন ক্ষতি নেই। যে বর্জন করে এবং তার প্রয়োজন পূরণ করতে যায় বা ঘুমায় বা অন্যান্য বিষয়ে নিজেকে ব্যস্ত করে, তাহলে এটাতে কোন অসুবিধা নেই।
.অনুবাদক: রিফাত রাহমান সিয়াম
MPEG4 Download
_____________________________________________________________________________________________________
প্রশ্ন : ফজরের
নামাজ পড়ার পর ঘুমানো কি অকল্যাণকর হবে?
উত্তর : ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য। ফজরের নামাজ আদায়ের পর আপনি ঘুমাতে পারবেন। এটা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এটি জায়েজ আছে। এটি নিষিদ্ধ বিষয় নয়। তবে, স্বাস্থ্যের জন্য এটি ক্ষতিকর। যে ধরনের ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, যাতে অলসতা এসে যায়, সেটার একটি হলো ফজরের সালাতের পরের ঘুম। তাই, ফজরের নামাজ পড়ার পর না ঘুমানোই উত্তম। ফজরের সালাতের পর বরকত কমে যাবে—এমন কোনো বিষয় হাদিসে আসেনি। তবে, ফজরের আজানের পর থেকে এই সময়টা বরকতের সময়। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
0 Comments