রাষ্ট্র
ধর্ম ইসলাম (পর্ব-১)
___________________________________
(এক)
ভারতীয়
উপমহাদেশে মুসলমানদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন এবং বঞ্চনার ইতিহাস
২০১১
সালে পরিচালিত সর্বশেষ আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী ভারতের মোট জনসংখ্যার শতকরা ১৪.২ ভাগ
মুসলমান। Worldometer-এর জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে (নভেম্বর, ২০২১ইং) ভারতে মোট জনসংখ্যা
প্রায় ১৪০ কোটি। এই হিসাব অনুযায়ী বর্তমান ভারতে মুসলমানদের জনসংখ্যা প্রায় ২০ কোটি।
ভারতে এতো বৃহৎ জনসংখ্যা মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও আজ মুসলমানরা প্রতিটা ক্ষেত্রে নির্যাতিত
এবং বঞ্চিত হচ্ছে। ভারতে মুসলমান নির্যাতন এবং বঞ্চিত হওয়ার সামান্য ঘটনা উদাহরণ হিসেবে
তুলে ধরা হলো।
(১)
২০০২ সালে গুজরাটে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাংগা সৃষ্টি করে উগ্রপন্থী হিন্দুরা
এক হাজারের অধিক মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে, মুসলমান নারীদেরকে গণধর্ষণ করে আগুনে
পুড়ানো হয়, হাজার হাজার মুসলমানদেরকে তাদের ভিটে-মাটি থেকে উচ্ছেদ করা হয়, যারা আজ
পর্যন্ত যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসা তাদের পৈতৃক নিবাসে ফেরত যেতে পারেনি। সরকারের প্রত্যক্ষ
মদদে এবং আর্মি এবং পুলিশের উপস্থিতিতে সংঘটিত সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মূল নায়ক নরেন্দ্র
সিং মোদীকে ভারতের হিন্দুরা প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে তাকে পুরস্কৃত করেছে।
আপনারা
যারা গুজরাট গণহত্যার স্বরূপ এবং মুসলমানদের দুর্দশার বাস্তব চিত্র জানতে চান, তারা
ভারতের মানবাধিকার কর্মী রাকেশ শর্মার নির্মিত এই ডকুমেন্টারি অবশ্যই দেখবেন -
(২)
২০১৯ সালে “Citizenship Amendment Act” বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করা হয়েছে, যার
মূল লক্ষ্য হচ্ছে ভারতের বিশাল মুসলমান জনসংখ্যার নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে তাদেরকে রোহিংগাদের
মতো শরণার্থী হিসেবে শরণার্থী শিবিরে বন্দী করা।
(৩)
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের রেশ ধরেই ২০২০ সালে দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাংগায় বহু মুসলমানদেরকে
হত্যা করা হয়।
(৪)
গরু হত্যার অভিযোগে বা সন্দেহে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে মুসলিম হত্যা করা বর্তমান
ভারতে নিত্য-নৈমত্তিক ঘটনা হয়ে গেছে।
(৫)
এ বছর (২০২১ সালের) অক্টোবর মাসে ভারত সরকার আসামে মুসলমানদেরকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ
করা আরম্ভ করেছে। তাদের দোষ একটাই, তারা মুসলিম! বিবিসির প্রতিনিধি অমিতাভ ভট্টশালীর
প্রতিবেদনা -
https://www.bbc.com/bengali/news-58751671
(৬)
ত্রিপুরায় মুসলিমদের উপর হামলা -
(৭)
কাশ্মীরে মুসলমানদের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন সম্পর্কে আজ সারা বিশ্ব অবগত আছে। ভারতের
হিন্দুত্ববাদী সরকার মুসলমানদের ভূমি কাশ্মীরকে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় একটি কারাগারে
পরিণত করেছে।
(৮)
সমগ্র ভারতে শিক্ষা-দীক্ষা, চাকুরী, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মুসলমানদেরকে বঞ্চিত
এবং কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে। এক জরিপে দেখা গেছে, ভারতের ১২টি অংগরাজ্যে যেখানে মুসলমানদের
জনসংখ্যা ১৫.৪%; সেখানে সরকারী চাকুরীতে মুসলিমদের সংখ্যা ৫.৭%। কেরালা অংগরাজ্যে যেখানে
মুসলিমদের জনসংখ্যা ২৪.৭%; সেখানে সরকারী চাকুরীতে মুসলিমদের সংখ্যা ১০.৪%।
(৯)
সুযোগ সুবিধার দিক থেকে ভারতে সবচেয়ে বঞ্চিত এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী দলিতদের চেয়ে মুসলিমরা
পিছিয়ে, কিন্তু জেল-জুলুমের শিকারে মুসলমানরা সবচেয়ে এগিয়ে। যেমন মহারাষ্ট্রে মুসলিমদের
জনসংখ্যা ১০.৬% কিন্তু সেখানে জেলখানাতে বন্দী মুসলিমদের সংখ্য ৪০.৬%!
ভারতে
মুসলিমদের বঞ্চনার আরও কিছু উদাহরণ জানার জন্য এই লিংকে দেখুন -
https://www.tni.org/my/node/8559
ভারতে
সংখ্যালঘু হিসেবে মুসলমানদের বিপরীতে বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থান তুলনা করলে ভারতের
মুসলমানদের দুর্দশা কতটুকু, সে সম্পর্কে সামান্য ধারণা পাবেন। ২০০৬ সালে ডেইলি স্টারে
প্রকাশিত টিআইবি’র গবেষক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের একটি জরিপ অনুযায়ী সরকারী চাকুরীতে
হিন্দুদের উপস্থিতি ১০.৬%, যা তাদের মোট জনসংখ্যার সাথে সম্পূর্ণ সামাজস্যপূর্ণ। এ
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যাদি দেখুন এই লিংকে -
https://groups.google.com/g/pfc-friends/c/nQq9XRGfdfs?pli=1
অবশ্য
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের ক্ষমতায়ন করা হয়েছে।
এমনকি নাগরিকত্ব জালিয়াতি করে বহু ভারতীয় নাগরিককেও সরকারী চাকুরীতে ঢুকানো হয়েছে।
হিন্দুদের জন্য এতকিছু করা সত্ত্বেও হিন্দুদের মন রক্ষার্থে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে।
“বাংলাদেশ
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ”-এর নেত্রী প্রিয়া সাহা ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ পেশ করে। এরই প্রেক্ষিতে
বাংলাদেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের দালালী করে কুখ্যাতি অর্জন করা বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিল “বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধসহ
মোট ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ শতাংশ। কিন্তু সরকারী চাকুরীতে তাদের অংশগ্রহণ
মোট ২৫ শতাংশ।”
___________________________________
(দুই)
১৯৪৭
সালে দেশ ভাগের কারণ
ভারতে
উগ্রপন্থী হিন্দু কর্তৃক মুসলমানদের নির্যাতন এবং বঞ্চনার শিকার হওয়ার ইতিহাস নতুন
কোন ঘটনা নয়। শুধুমাত্র ২০১৪ সালে “গুজরাটের কসাই” নরেন্দ্র সিং মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির
মতো উগ্রপন্থী দল ক্ষমতায় আসার পর ভারতে মুসলমানদের উপর নির্যাতন শুরু হয়েছে, বিষয়টা
মোটেও এমন নয়। বরং ১৭৫৭ সালে ব্রিটিশরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের
কর্তৃক মুসলমানেরা নির্যাতন এবং বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছে। যেমন,
(১)
ব্রিটিশদের উপনৈবেশিক শাসন আমলে ভারতবর্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বারা
মুসলমান সম্প্রদায় নানাভাবে নির্যাতিত হতো। শুধু তাই নয়, যেসব প্রদেশে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠতা
ছিল, সেইসব প্রদেশেও ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রশাসন, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে হিন্দুরা মুসলমানদের
থেকে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতো এবং মুসলমানদের থেকে এগিয়ে ছিল।
(২)
১৯০৫ সালে ব্রিটিশরা তাদের “Divide and Rule” পলিসি অনুযায়ী বাংলাকে দুইটি ভাগে বিভক্ত
করেছিল। এতে বাংলাদেশের মুসলমানেরা খুশি হয়েছিল, কারণ এতে সরকার কলকাতারা পাশাপাশি
মুসলমান অধ্যুষিত বাংলা উন্নয়নের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু
বাংলার মুসলমানদের উপর থেকে হিন্দুদের আধিপত্য চলে যাবে এই ভয়ে কলকাতার হিন্দুরা এতে
অসন্তুষ্ট হয় এবং বংগভংগের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এরই প্রেক্ষাপটে বর্ণবাদী রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর বংগভংগকে রদ করার জন্য “আমার সোনার বাংলা...” কবিতাটি রচনা করেছিল। যদিও বাংলাদেশের
স্বার্থ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এই কবিতা লিখা হয়েছিলো, কিন্তু ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের
কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর অদূরদর্শী নেতারা বাংলাদেশ বিরোধী কবিতাকে তাদের জাতীয়
সংগীত হিসেবে বাছাই করেছিল।
(৩)
১৯৩৫ সালে প্রস্তাবিত “ভারত স্বাধীনতা আইন” অনুযায়ী ১৯৩৭ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সেই নির্বাচনে মুসলিম লীগ দুইটি প্রদেশে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। সাতটি প্রদেশে
কংগ্রেস সরকার গঠন করে, কিন্তু এই সাতটি প্রদেশের কোথাও কংগ্রেস সরকার মুসলিম লীগের
কোন সদস্যকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়নি।
এই
সব ইতিহাস এবং ঘটনা থেকে ব্রিটিশ শাসনামলেই মুসলমানরা বুঝতে পেরেছিল, কোন হিন্দু সরকারের
অধীনে মুসলমানদের অধিকার নিশ্চিত হবে না। এ কারণে তৎকালীন রাজনৈতিক সচেতন মুসলমান প্রতিনিধিরা
হিন্দু সরকারের অধীনে নয়, বরং মুসলমানদের জন্য পৃথক এবং স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখা
আরম্ভ করে, যেই দেশে তারা নিজেদের ধর্ম এবং জাতিসত্ত্বা নিয়ে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে
পারবে। এই লক্ষ্যে মুসলমানেরা রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করে।
___________________________________
(তিন)
১৯৪০
সালে শেরে বাংলার ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব
সেই
আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় উপমহাদেশের মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের স্বার্থ
সংরক্ষণ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে ১৯৪০ সালের ২৩-শে মার্চ ভারতীয় লাহোরে অনুষ্ঠিত “নিখিল ভারত
মুসলিম লীগ”-এর বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বান করা হয়। উক্ত অধিবেশনে বাংলার কৃতি
সন্তান, “শেরে বাংলা” বা বাংলার বাঘ খ্যাত রাজনীতিবিদ এবং তৎকালীন বাংলার প্রধানমন্ত্রী
একে ফজলুল হক ভারতবর্ষে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে একাধিক রাষ্ট্র গঠনের দাবী
সংবলিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। একে ফজলুল হকের সেই ঐতিহাসিক প্রস্তাবকে
“লাহোর প্রস্তাব” নামে নামকরণ করা হয়। শেরে বাংলার এই প্রস্তাবের ফলে ভারতের রাজনৈতিক
ও শাসনতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয়, যা ধীরে ধীরে ভারত বিভক্তির দিকে ধাবিত
হয়।
লাহোর
প্রস্তাবের মূল বক্তব্যঃ
(১)
ভৌগলিক দিক থেকে সংলগ্ন এলাকাগুলোকে পৃথক অঞ্চল বলে গণ্য করতে হবে।
(২)
উত্তর পশ্চিম ও পূর্ব ভারতের সমস্ত অঞ্চলে “সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের সমন্বয়ে একাধিক
স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র” গঠন করতে হবে।
(৩)
এ সমস্ত স্বাধীন রাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হবে সার্বভৌম ও স্বায়ত্বশাসিত।
(৪)
ভারতের ও নবগঠিত “মুসলিম রাষ্ট্রের” সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংস্কৃতিক, শাসনতান্ত্রিক
ও অন্যান্য অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণের কার্যকর ব্যবস্থা করা হবে। অর্থাৎ সংখ্যালঘুদের
স্বার্থ রক্ষার সার্বিক ব্যবস্থা সংবিধানে থাকতে হবে।
(৫)
দেশের যে কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় উক্ত বিষয়গুলোকে মৌলিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
লাহোর
প্রস্তাবের উপর পর্যালোচনাঃ
২,
৩ এবং ৫-নং পয়েন্ট থেকে স্পষ্ট, লাহোর প্রস্তাবের মূল বক্তব্য হচ্ছে, মুসলমানদের স্বাধীন
রাষ্ট্র গঠন করা হবে, যেখানে সংখ্যালঘু অমুসলিমদের অধিকার সংরক্ষণ করা হবে। এই লাহোর
প্রস্তাবই ছিল ভবিষ্যতে সংগঠিত দেশ ভাগের মাধ্যমে মুসলমানদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র
গঠনের মূল দিক নির্দেশনা। এখানে সেকুলারিজম বা ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ ছিল না, সমাজতন্ত্র,
জাতীয়তাবাদ কিছুই ছিল না।
___________________________________
(চার)
ইসলামী
প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান
যদিও
লাহোর প্রস্তাবের শুরুতে “মুসলমানদের সমন্বয়ে একাধিক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র” লক্ষ্য
হিসেবে স্থিরকৃত ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ একাধিক রাষ্ট্রের পরিবর্তে
একটি মাত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেন। এ কারণে ভারতীয় উপমহাদেশের
মুসলমানদের অনেক রক্ত এবং ত্যাগ স্বীকারের পর ১৯৪৭ সালে মুসলমানদের জন্য একটি স্বাধীন
রাষ্ট্র “ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান” (Islamic Republic of Pakistan) প্রতিষ্ঠিত
হয়েছিল।
নবগঠিত
পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর সৈরাচারী
এবং বৈষম্যমূলক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা অসহযোগ এবং আন্দোলন
শুরু করেন। যার ধারাবাহিকতায় ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম
পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়ে বাংলাদেশ নামে পৃথক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে। copy
0 Comments