Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

▋আসিম আল হাকিমের বিভ্রান্তি। (পর্ব-২)

▋আসিম আল হাকিমের বিভ্রান্তি। (পর্ব-২)
. আসিম সাহেব তার এক বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, একদল সালাফি অন্য দল সালাফিকে খারেজি, সুরুরী, কুতুবী ইত্যাদি বলে। বিপরীতে অন্যদল তাদের মাদখালি, মুরজি ইত্যাদি বলে। এই নামের আদান প্রদান উম্মাকে ধ্বংস করছে বলে উল্লেখ করেন বক্তা সাহেব। 
পর্যালোচনা: মাদখালি বলার ব্যাপারে সুন্নাহপন্থি অলেমগণ প্রথম থেকেই সতর্ক করে আসছেন। বরং বর্তমানে ইখওয়ানী বাতিলপন্থিদের একটি সিফাত হলো তারা সুন্নাহপন্থিদের মাদখালি, জামী ইত্যাদি বলে অপদস্ত করতে চায়। মাদখালি বলার বিধান নিয়ে বিস্তারিত: https://www.facebook.com/100013819720094/posts/981923718944943/?app=fbl
তবে সুরুরি কিংবা কুতুবী বলা সবক্ষেত্রে নিন্দনীয় নয়। আহলুস সুন্নাহর আলেমগণ এই পরিভাষাকে বিদআতিদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে আসছেন। যারা সৈয়দ কুতুব ও মুহাম্মদ ইবনে সুরুরের অনুসারী তাদের থেকে সতর্ক করতে সুরুরী-কুতুবী বলা নিন্দনীয় নয় বরং প্রশংসনীয়। কারণ এর ফলে ভ্রষ্টতার দিকে আহ্বানকারী বক্তা থেকে উম্মাহ সতর্ক থাকতে পারবে। উদাহরণ সরূপ ইয়ামিনের মুজাদ্দিদ আলিম শাইখ মুকবিল বিন হাদী রাহিমাহুল্লাহ সালাফি মশায়েখদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকারী সম্পর্কে বলেন, “সে একজন সুরুরী” 
►: https://youtu.be/8iInY8rmx2s অনুরূপভাবে শাইখ উবেইদ আল জাবির হাফেজাহুল্লাহ এক ব্যাক্তির নাম ধরে বলেন, “সে একজন কুতুবী” 
শাইখ রাবী আল মাদখালি হাফেজাহুল্লাহ তার এক বক্তব্যে বলেন, “আমরা তাবলীগি, ইখওয়ানী এবং কুতুবীদের সম্পর্কে জানি। ইসলামের উসুল এবং ফুরূয়তে তাদের বিভ্রান্তি আছে।” 
►: https://youtu.be/g4g27Wk6ew8 (২ মিনিট ১০ সেকেন্ড থেকে শুনুন) .
উক্ত বক্তব্য গুলো প্রমাণ করে যে, সুরুরী-কুতুবী; পরিভাষার ব্যবহার সালাফি কিবারুল উলামাদের মধ্যে রয়েছে। তাই এধরণের নামের আদান প্রদান উম্মাকে ধ্বংস করছে বলে উল্লেখ করা বক্তা সাহেবের জাহালতের প্রমাণ।

Post a Comment

0 Comments