✔ ২৩১. প্রশ্নঃ ফজর উদয় হওয়ার পরেও নাপাক থাকা সায়িমের জন্য বৈধ কি?
🎤উত্তরঃ স্ত্রী সঙ্গমে অথবা স্বপ্নদোষে হওয়ার পরেও সময় অভাবে গোসল না করে নাপাক অবস্থাতেই সায়িম রোযার নিয়ত করতে এবং সেহেরী খেতে পারে। এমন কি সেহেরীর সময় শেষ হয়ে গেলেও আযানের পর গোসল করতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোযার গুরুত্ব কিছু অংশ নাপাকে অতিবাহিত হলেও রোযার কোন ক্ষতি হবে না। অবশ্য স্বলাতের জন্য গোসল জরুরী।
মা আয়েশা ও উম্মে সালামাহ (রঃ) বলেন, “আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এর (কখনো কখনো) স্ত্রী মিলন করে অপবিত্র অবস্থায় ফজর হয়ে যেত। তারপর তিনি গোসল করতেন এবং রোযা রাখতেন।”
তাছাড়া মহান আল্লাহ ফজর উদয় হওয়ার সময় পর্যন্ত স্ত্রী মিলনের অনুমতি দিয়েছেন এবং তাঁর পর থেকে রোযা রাখার আদেশ দিয়েছেন। আর তাঁর মানেই হল যে, সায়িমদের জন্য (ফজর উদয়ের পূর্বে) মিলনের পর (ফজর উদয়ের পর) নাপাকীর গোসল করা বৈধ।
তদনুরূপ নিফাস ও ঋতুমতী মহিলার রাত্রে খুন বন্ধ হলে (রোযার নিয়তে করে এবং সেহেরী খেয়ে) ফজরের পর রোযায় থেকে পরে গোসল করে স্বলাত পড়তে পারে। উপর্যুক্ত নাপাক পুরুষ ও মহিলার জন্য নাপাকীর গোসলকে সকাল বা দুপুরের সময় পর্যন্ত বিলম্বিত করা বৈধ নয়। বরং সূর্য উদয়ের পূর্বেই গোসল করে যথাসময়ে স্বলাত আদায় করা তাঁদের জন্য ওয়াজেব। যেমন পুরুষের জন্য ওয়াজেব এমন সময়ের ভিতরে সত্বর গোসল করা, যাতে ফজরের স্বলাত জামাআত সহকারে মসজিদে আদায় করতে সক্ষম হয়। ✔৩১৩ (ফীক্বহুস সুন্নাহ ১/৪১১, ইবনে বায, ফাতাওয়াস সওম ৫১ পৃঃ)
জ্ঞ্যাতব্য যে, রমযানের দিনের বেলায় সায়িমের স্বপ্নদোষ হয়ে গেলে তাঁর রোযা বাতিল নয়। কেননা, তা তাঁর ইখতিয়ারকৃত নয়। অতএব তাঁর জন্য জরুরী হল, নাপাকীর গোসল করা। অবশ্য ফজরের স্বলাত পড়ার পর ঘুমতে গিয়ে স্বপ্নদোষ হলে, সঙ্গে সঙ্গে গোসল না করে যদি যোহরের আগে পর্যন্ত বিলম্ব করে গোসল করে, তাহলে তাতে দোষ হবে না। ৩৪১ অবশ্য উত্তম হল, নাপাকে না থেকে সম্ভব হলে সঙ্গে সঙ্গে গোসল করে বিভিন্নভাবে আল্লাহর যিকর করা।
0 Comments