_______________________________________________________________
‘তাকবীরে তাহরীমার’ সময় কানের লতি স্পর্শ করা।
🔵আমাদের সমাজে অনেক মুসল্লিদের ‘তাকবীরে তাহরীমার’ সময় কানের লতি স্পর্শ করতে দেখা যায় যা সুন্নাহ বিরোধী আমল।
সঠিক পদ্ধতিঃ
মালিক ইবনু হুওয়াইরিস(রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম) যখন সালাত শুরু করতেন তখন উভয় হাত কাঁধ বরাবর বা কান বরাবর অথবা কান পর্যন্ত উঠাতেন। কিন্তু কানের লতি ধরেননি বা কান স্পর্শ করেননি।
প্রমান-[সহীহ্ বুখারী-২ হা/ইফাঃ ৬৯৯-৭০০-৭০১-৭০২-৭০৩,৭৩৫,৭৩৭, সহীহ্ মুসলিম-২ হা/ ৭৪৫-৭৪৬-৭৪৮,৩৯১,) (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ, সহীহ্ মুসলিম-২/১৪২ হা/৭৪৯-৭৫০,৭৫২,৩৯১,৭৬২,৭৬৩]
১. জামা'আত চলাকালীন সুন্নাত নামায পড়া
🔵কোন কোন
মুসল্লি জামায়াতে নামায চলাকালীন সময়েও সুন্নাত নামায পড়তে থাকেন, বিশেষ করে
ফজরের নামাযে; অথচ এটি
হাদীসের মাধ্যমে নিষিদ্ধ বা হারাম। এমনটি করতে রাসূলুল্লাহ(সাঃ) নিষেধ
করেছেন।
আবু হোরায়রা(রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ(স) বলেছেন, “যখন
জামায়াতের ইকামাত হয়ে যায়, তখন ফরয নামায ব্যতীত আর কোন নামায নেই।”
[মুসলিম: ৭১০, ১৫৩১, ১৫১৬, ১৫২৩, ‘মুসনাদ’ হাঃ ৮৬৮]
বায়হাকীর এক
বর্ণনায় এসেছে “রাসূলুল্লাহ(স)-কে জিজ্ঞাসা
করা হলো, হে আল্লাহর
রাসূল, ফজরের দু'রাকাআত
সুন্নাতও পড়া যাবে না? উত্তরে তিনি
বললেন, ফজরের দু'রাকাআত
সুন্নাতও না।”
(হাদীসটিকে ইন্ হাজার ফতহুল বারীতে হাসান বলেছেন )।
🔵অতএব, যখনই
জামায়াতে নামায চলমান দেখবে তখনই মুসল্লীর কর্তব্য হলো কোন প্রকার সুন্নাতের
নিয়ত না করে সঙ্গে সঙ্গে জামায়াতে শরীক হয়ে যাওয়া। হাদিসে এসেছে যখন যে
অবস্থায় পাবে তাতেই সামিল হবে। আর ফজরের নামাযের বেলায়ও একই মাসআলা। ফজরের বাদ
পড়ে যাওয়া দু'রাকাআত
সুন্নাত ফরযের পরপরই আদায় করা জায়েয আছে।
[সুনানে আত-তিরমিযী ৪২২, আবু দাউদ: ১২৬৭, ইবনু মাজাহ ১১৫১]
তাছাড়া সূর্যোদয়ের পরও তা আদায় করা যায়।
0 Comments