🔵🔵তাকরীরে তাহরীমার আগে [জায়নামাজের দু‘আ] পাঠ।
🔵যেমন, নামাযে দাঁড়ানোর পুর্বে ‘ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু’-পড়া হয়। যা রাসূল(সাঃ) থেকে প্রমানিত নয়। যাহা বিদ’আত ও বর্জনীয়।
রাসূল(সাঃ) যেখানে পড়তেন,
🔵সঠিক পদ্ধতিঃ রাসূল(সাঃ) যে ভাবে নামায শুরু করতেনঃ ‘‘সলাত শুরু হয়
তাকবীর তাহরীমা বা
আল্লাহু আকবার দিয়ে এবং শেষ
হয় সালামের মাধ্যমে। আর ‘ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু’ বুকে হাত
বাঁধার পর বলতেন দো’আ
সানা হিসাবে।
[ সহীহ বুখারী-১/১৩ পৃঃ, সহীহ মুসলিম-২১৯, ২৬৩, ২৬৪ পৃষ্ঠা,হাদিসঃ ৭৭১,১৬৯৮,১৬৮৩,১৬৯০০] আবু দাউদঃ ১/১১০ পৃঃ হাদিসঃ ৭৬০; তিরমিযী-২/১৭৯, ১৮০ পৃঃ, নাসাঈ -১/১৪২ পৃঃ, মিশকাত মাদ্রাসার পাঠ্য-২/৭৫৭, ৭৬৪ ]
🔵উচ্চারনঃ ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাস্বামা ওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। [ 👉 মুসলিম-৭৭১ ]
🔵অর্থঃ নিশ্চয় আমি তাহাঁর দিকে মুখ ফিরাইলাম, যিনি আসমান জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নয়। এই দুয়াটি জায়নামাজের
দুয়া হিসাবে অনেকে পড়ে থাকে যা বিদ’আত বাতিল।
_______________________________________________________________
সলাতে
নারীগণ বুকের উপর এবং পুরুষগণ নাভির নীচে হাঁত বাঁধা।
🔵সলাতে নারীগণ বুকের উপর এবং পুরুষগণ নাভির নীচে হাঁত বাঁধে যার কোন বিশুদ্ধ ভিত্তি নাই। এই গুলি
মনগড়া কথা।
🔵হাদিসঃ রাসূল(সাঃ) এর নির্দেশ নামাযে লোকদের ডান হাত বাম হাতের বাহুর উপর রাখার নির্দেশ দেওয়া হত এবং বুকের উপর বাধতেন।[ প্রমান- সহীহ আবুদাউদঃ; ৭৫৯, সহীহ মুসলিমঃ ৭৮০, বুখারীঃ ৬৯৬ ]
🔵সালাতে প্রত্যেককে ডান হাত বাম হাতের যেরার বা
বাহুর উপর রাখতে হবে এবং বুকের উপর বাঁধবে।
🔵যেরা শব্দের অর্থ, হাতের কনুই থেকে মধ্যমা আঙ্গুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত দীর্ঘ হাত।👉[সহীহ বুখারী ৭০২,৭৪০, আবুদাউদ-৭৫৫, ৭৫৯
]
🔵হাদিসঃ-ওয়াইল বিন হূজুর(রাঃ) রাযিআল্লাহু আনহু, হতে বর্ণনা করেন যে আমি রাসূল(সাঃ) এর সাথে নামায পড়েছি। তিনি(সাঃ) তার ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে বুকের উপর বাঁধলেন।
👉[সহীহ ইবনু খুজাইমাহ পেজ ২, হাদীস- ৪৭৯, আহমাদ হাদিস- ২২৬১০, ★সনদ সহীহ। আহমাদ ৪/৩১৯; বায়হাকী ২/৩০; হাঃ ২৩৩৬ , বুলুগুল মারাম:২৭৮ ]
🔵পুরো একটি হাত, বাম হাতের উপর ডান হাত রাখলে এমনিতেই বুকে চলে আসবে। পরিক্ষা করে দেখতে পারেন। ★প্রমান-[ মিশকাত হাদিস-৭৯৮ ]
🔵আমরা জানি, পুরো ১ গজ বিশিষ্ট্য কে হাত বলে এটা তার মধ্যে★‘মধ্যমা আঙুল থেকে কনুই পর্যন্ত’ কে ‘যিরা’ বা বাহু বলে। কারণ, অজুতে কনুই পর্যন্ত ধৌত করতে বলা হয়েছে। ★আশা করি সহজ ভাষায় বলেছি।
🔵ত্বীবী রহঃ বলেন ‘হৃৎপিণ্ডের উপরে বুকে হাত বাঁধার মধ্যে হুশিয়ারি রয়েছে এ বিষয়ে যে, বান্দা তার মহান আল্লাহ্ সুবহানুতায়ালার সামনে দাঁড়িয়েছে হাতের উপর হাত রেখে মাথা নিচু করে আদব সহকারে আনুগত্যের সহোকারে। 👉প্রমান-[ মি’রআত-পেজ ৩/৫৯ হাদিসঃ ৮০৪ ]
🔵মহিলারা পুরুষদের মত একই নিয়মে সালাত আদায় করবে। [প্রমান-ইবনে আবি শাইবা ১/৭৫/২, সিফাতু সালাতুন্নবী ১৮৯ পৃঃ]
১মহাদীসঃ 🔵“রাসুল(সাঃ) বলেছেন তোমরা সালাত আদায় করো সেভাবে যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখেছো।” [পুরুষ ও মহিলার নামাযের পদ্ধতি একই প্রকার। 👉প্রমাণ-[ সহীহ বুখারীঃ ৬০৩,মিশকাতঃ
৬৮৩]
🔵সমাজের বুকে দেখা যায় যে মেয়েদের বুকের উপর এবং ছেলেদের নাভীর নিচে হাত বাঁধতে হবে এই রকম কোন সহীহ হাদিস নেই। 👉প্রমান-[ মির’আত-১৩৮০/১৯৬১),লাহোর ১ম সংস্কার, তুহফা-২/৮৩]
যারা নামাজের মধ্যে পার্থক্য করেছে কিয়ামতের দিন তাদের
কঠিন হিসাব দিতে হবে।
তাই আসুন কুরআন ও সহীহ হাদিসের উপর আমোল করি। আপনার আমোল
আপনাকেই হিসাব দিতে হবে কেউ আপনাকে হিসাব করে দিবে না কিয়ামতের দিনে। আমাদের কাজ সঠিক
জিনিস গুলি তুলে ধরা আল্লাহ্ আমাদের সবাইক কে সঠিক বুঝ দান করুন আমিন।
0 Comments