🔵দাঁড়ানো
ও রুকু অবস্থায় রাসূলুল্লাহ(সাঃ)-এর দৃষ্টি থাকত সিজদার স্থানে, কিন্তু প্রচলিত
ইমাম আবু হানিফা(রহ.)এর নিয়ম চালিয়ে দেয় যে, নামাজের সময় দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার দিকে থাকবে, রুকু অবস্থায় থাকবে দুই পায়ের মাঝখানে, বসা অবস্থায় থাকবে কোলের দিকে, সিজদা অবস্থায় থাকবে নাকের দিকে এই কথা সহীহ হাদিস বিরোধী যা ভিত্তিহীন। আবু হানিফা করেছেন এর কোন প্রমান নেই কারন আবু হানিফা সহীহ হাদিস মেনে চলতেন। [ সহিহ বুখারীর হাদিস অনুযায়ী; বায়হাক্বী, হাকেম, ফাতহুলবারী ]
শুধুমাত্র তাশাহুদের সময় ডান হাতের তর্জনী নাড়ানোর দিকে
দৃষ্টি রাখতে হয়।[সহিহ মুসলিমের ৪৮; সহীহ ইবনু হিব্বান (৪৮৫) সহীহ
সনদে ]
🔵বর্তমান সমাজে দেখা যায় অধিকাংশকেই রুকুতে দৃষ্টি রাখতে শেখানো
হয়েছে পায়ের আঙ্গুলের দিকে!! কয়েকটা বিষয় গুরুত্বের সাথে লক্ষনীয়।
রুকু করার সময় পায়ের আঙ্গুলের দিকে দৃষ্টি দিতে গিয়ে
অধিকাংশ মানুষ মাথাকে নিচের দিকে ঝুকিয়ে দেন তাতে পিঠ সোজা রাখা যায় না যা
সুস্পষ্ট হাদিসের বিরোধী আমল। হাদিস কি বলে দেখুন…
________________________________________________________________________________________________________________________
🔵আয়িশাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম যখন রুকূ করতেন, তখন তাঁর মাথা উঁচুও করতেন না,
নিচুও করতেন না, বরং সোজা রাখতেন।
[ তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ্ মুসলিমঃ ৪১৮;
আবুদাউদঃ ৭৮৩; আহমাদঃ ২৩৫১০,২৫০৮১]
[ তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী:
সহীহ আবী দাউদ ৭৬২; সুনান ইবনু মাজাহঃ ১/৮৬৯]
আর পায়ের আঙ্গুলে দৃষ্টি দিতে গেলে মাথা একটু ঝুকতে হয়ই!!!
তাতে পিঠ সোজা থাকে না।
🔵ওয়াবিসা ইবনু মাবাদ(রাঃ) বলেন,
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাত আদায় করতে দেখেছি। তিনি যখন রুকূ করতেন তখন তাঁর পিঠ
এমনভাবে সোজা করতেন যে, তার উপর পানি ঢাললে অবশ্যি তার স্থির থাকতো। [সুনান ইবনু মাজাহঃ ৪/৮৭২]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করে বলেনঃ হে
মুসলিম সমাজ! যে ব্যাক্তি রুকূ ও সিজদাা্য় তার পিঠ সোজা করে না তার সালাত হয় না।
এই ভাবে কতো মানুষের নামাযই হয় না, ধরতে গেলে ৯০% মানুষের।
(ইবনু মাজাহ, আবু দাউদ;
মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস নং ১/৪৭৯,৩/৮৭১; ২/৮৭০],
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: আহমাদ: ১৫৮৬২
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ; তাখরীজ আলবানী: সহীহাহ ২৫৩৬;
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ২৬৫,
নাসায়ী ১০২৭,
১১০১১;
আবূ দাঊদ ৮৫৫,
আহমাদ ১৬৬২৫,
১৬৬৫৪;
দারিমী ১৩২৭। তাহক্বীক্ব
আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৮৭৮, সহীহ আবী দাউদ ৮০১]
0 Comments