৪৩)মসজিদেই ঢুকেই বসে পড়া।

৪৩)মসজিদেই ঢুকেই বসে পড়া।

🔵কোন কোন মুসল্লি বা ইমাম সাহেব মসজিদে প্রবেশ করেই বসে পড়ে। তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ দুখুলু বা দাখিল অর্থ হচ্ছেপ্রবেশ করা অথচ সরাসরি এভাবে বসে পড়তে রাসূলুল্লাহ(.) নিষেধ করেছেন। [ মুসলিমঃ ১৫৪০,১৫৪১, ১৫২৫,১৫৩২]

তাই আল্লাহর ঘরে প্রবেশ করেই সরাসরি বসা যাবে না। এটি বেআদবি। আল্লাহর ঘরে প্রবেশ করেই উপঢৌকন স্বরূপ আল্লাহর নিকট রাকআত সালাত পেশ করতে হবে। জামাত শুরু হতে আরো / মিনিট বাকি থাকা সত্বেও আমরা অনেকেই মসজিদে ঢুকে জামাতের জন্য অপেক্ষা করি। অথচ তখন কমপক্ষে দুই রাকাত নামাজ খুব সহজে পড়তে পারি। যার ফজিলত অনেক বেশি। কিন্তু আমরা তা করিনা। আবার অনেক মসজিদে জামাতের শুরুর পূর্বে কোনো নামাজ না পড়ার জন্য লাল বাতি জ্বালানো হয়। যা মোটেও ঠিক নয়।

 

🔵আবূ কাতাদা সালামী(রাঃ) বর্ণিত এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ(.) বলেছেন, “তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে সে অন্ততঃ দু'রাকাআত সালাত আদায় করা ছাড়া যেন না বসে।

[ সহীহ আল বুখারী ইফাঃ ৪৩১,১০৯৪, ৪৪৪,১১৬৩, সহীহ মুসলিমঃ ১৫২৭]

মসজিদে গিয়ে যদি দেখেন এক বা আধা মিনিট সময় রয়েছে জামাত শুরু হওয়ার সেক্ষেত্রে দু রাকাত তাহিয়াতুল মসজিদের সলাত শুরু না করে দাড়িয়ে থাকবেন। যাতে সঠিক সময়ে জামাতে শরীক হতে পারেন, অবশ্যই বসবেন না, দাড়িয়ে থাকবেন।

_______________________________________________________________

 

🔵আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রাঃ) বলেন, রাসুল(সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের লক্ষণ হচ্ছে মানুষ মসজিদে প্রবেশ করবে কিন্তু তাহিয়াতুল মসজিদ রাকাত সলাত আদায় করবে না।

[ সিলসিলাহ সহিহাহ-৬৪৯]

কিয়ামতের এই আলামতটা প্রায় ১০০ ভাগ সত্য হয়ে গেছে। মানুষ মসজিদে গিয়ে সলাত আদায় না করেই বসে পরে।

এমনকি জুমুআর খুৎবার সময়ও যদি কেউ মসজিদে প্রবেশ করে তাকেও আল্লাহর রাসূল(সাঃ) সে সময় দু'রাকাআত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায আদায় করে বসতে নির্দেশ দিয়েছেন। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

🔵“(কোন এক) জুমু'আর দিন নবী(সাঃ) লোকদের সামনে খুৎবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বসে পড়ল। রাসূলুল্লাহ(সাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে অমুক, তুমি কি সালাত আদায় করেছ? সে বলল, না; তিনি তখন বললেন, উঠ, সালাত আদায় করে নাও।

[ বুখারী: ৯৩০, ইফা: ৮৮৩, আধুনিক: ৮৭৭]

ব্যাখ্যা:-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে মানুষকে খুতবা দিচ্ছিলেন এ অবস্থায় শালিক আল গাতফানী মসজিদে প্রবেশ করল এবং সে খুতবা শোনার জন্য তাহিয়্যাতুল মাসজিদ না আদায় করে বসে পড়ল। হয়তো সে তার বিধান সম্পর্কে জানে না বা সে ভাবছিল খুতবা শোনা গুরুত্বপূর্ণ বেশি। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপদেশ ও খুতবাহ প্রদান তাকে তা‘লীম বা শিক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখেনি। তিনি তাকে সম্বোধন করে বললেনহে অমুক! আমি তোমাকে দেখার পূর্বে সালাত আদায় করছ?” সে বলল, না, তাহলে তুমি দাড়াও, দুই রাকা‘আত সালাত আদায় কর”। সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছেতাকে তিনি নির্দেশ দেন যেন সে তাতে সংক্ষিপ্ত করে”ঘটনাটি ছিল বড় একটি সমাবেসে যেন সময়মত লোকটি তা‘লীম পায় এবং শিক্ষাটি যেন হয় উপস্থিত সবার মাঝে ব্যাপকভাবে। যে ব্যক্তি ইমামের খুতবা চলা অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করবে, তার জন্য সালাত আদায় করা বৈধ। এ হাদীসটি তার প্রমাণ। এ ছাড়াও অপর একটি হাদীসে রয়েছে। যখন তোমাদের কেউ জুমু‘আর দিন ইমামের খুতবা চলা অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন দুই রা‘আত সালাত আদায় করে”এ কারণেই নববী মুসলিমের ব্যখ্যায় রাসূলের বাণী যখন তোমাদের কেউ জুমু‘আর দিন ইমামের খুতবা চলা অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করে।”-এর আলোচনায় বলেন, এটি নস এখানে ব্যাখ্যার কোন সুযোগ নাই। আর আমি মনে করি না যে, এমন কোন আলেম আছে যার কাছে এ শব্দ পৌছছে এবং সে একে সহীহ বলে বিশ্বাস করার পর তার বিরোধিতা করেছে। 

Post a Comment

0 Comments