৩৮) রুকু না পেলে জামাতে শরিক হওয়ার জন্যে পরবর্তী রাকাতের অপেক্ষা করা

৩৮) রুকু না পেলে জামাতে শরিক হওয়ার জন্যে পরবর্তী রাকাতের অপেক্ষা করা..

🔵রুকু না পেলে কিছু অনেকে জামাতে শরীক না হয়ে এমনিই দাঁড়িয়ে থাকে। ইমাম যখন চলমান রাকাত শেষ করে পরবর্তী রাকাতের জন্য দাঁড়ান তখন সে নামাযে শরীক হয়। এ পদ্ধতিটিও ঠিক নয়। কেউ কেউ তো নামায শুরু করার পরও যদি ইমাম সাহেবকে রুকুতে না পায়, তাহলে নামায ছেড়ে দেয় এবং পরের রাকাতে সে নামাযে শরিক হয়। এসবই ভুল। কেননা হাদীসের নির্দেশ হলো,

অর্থাৎ তোমরা ইমামকে যে অবস্থায় পাও নামাযে শরীক হয়ে যাও, আর যতটুকু ছুটে গেছে তা (জামাত শেষে) আদায় কর। [ বুখারীঃ ৬৩৬]

🔵সুতরাং ইমামকে যে অবস্থায়ই পাওয়া যাক নামাযে শরীক হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, ইমামকে রুকু অবস্থায় পাক বা রুকু থেকে দাঁড়ানো অবস্থায়- উভয় ক্ষেত্রে হাত বাঁধতে হবে না। বরং দুহাত তুলেআল্লাহ্‌ আকবরবলে হাত না বেঁধে রুকুর তাকবীর বলে রুকুতে যাবে বা ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে হাত না বেঁধে ইমামের সাথে নামাজে শরীক হবে।

আর যদি এমন হয় যে, ইমাম রুকু থেকে উঠে গিয়েছেন আর মুক্তাদী রুকু পায়নি ঠিকই কিন্তু সে রুকুতে চলে গিয়েছে; তাহলে তার করণীয় হল, রুকু থেকে উঠে যাওয়া এবং ইমামের অনুসরণ করা। (ইমাম যে অবস্থায় আছেন সে অবস্থায় ফিরে আসা।) আর যেহেতু সে ইমামকে রুকুতে পায়নি তাই সে রাকাতও পায় নি। কারণ, রাকাত পাওয়ার জন্য ইমামকে রুকুতে কমপক্ষে ১বার তাসবীহ্ পাওয়া শর্ত।

হাদীস: যখন তোমাদের কেউ সালাতে উপস্থিত হয় আর ইমাম একটি অবস্থায় থাকে, তখন সে তাই করবে যেমন ইমাম করবে।

عن علي بن أبي طالب، ومعاذ بن جبل رضي الله عنهما مرفوعا: «إذا أتى أحدكم الصلاة والإمام على حال، فليصنع كما يصنع الإمام».

🔵হাদিসঃ আলী ইবন আবি তালিব ও মু‘আয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “যখন তোমাদের কেউ সালাতে উপস্থিত হয় আর ইমাম একটি অবস্থায় থাকে, তখন সে তাই করবে যেমন ইমাম করবে।” [এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। সহীহ]

🔵ব্যাক্ষাঃ-যখন তোমাদের কেউ সালাতে উপস্থিত হয় আর ইমাম একটি অবস্থায় থাকে, যেমন দাঁড়ানো বা রুকূ বা সিজদা বা বসা অবস্থায় আছে সে যেন দাঁড়ানো বা রুকূ ইত্যাদিতে ইমামের অনুসরণ করে। ইমামের দাঁড়ানোর অপেক্ষা করবে না। যেমনটি সাধারণ মানুষ করে থাকে।

🔵ফায়দাসমূহ

জামাত শুরু হয়ে যাওয়ার পরে আসা ব্যক্তি (লাহিক) সালাতের যে অংশে ইমামকে পাবে রুকু, সিজদা ও বসা কোনটির মধ্যে প্রার্থক্য না করে তাতেই ইমামের সাথে সালাতে প্রবেশ করবে। সালাতের যে অংশে ইমামের সাথে শরীক হয়েছে সে অংশের রুকু পাওয়া দ্বারা রাকাত পাওয়া সাব্যস্ত হবে। যেমনটি অন্যান প্রমাণ দ্বারা তা প্রমাণিত।

Post a Comment

0 Comments