Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

কে ভালো দাঈ আর কে মন্দ?

কে ভালো দাঈ আর কে মন্দ?

পৃথিবীর বহু কিছুতে নিম্ন প্রকার সমূহ স্বীকৃত।

  1. অতিউত্তম
  2. উত্তম
  3. সাধারণ
  4. এবং মন্দ

আহলে ঈমানরাও এমনিভাবে তিন ভাগে বিভক্ত:

  1. এক পূর্ণ ঈমান ওয়ালা; যাকে কামেল ঈমান ও বলা হয়।
  2. মধ্যম ঈমান ওয়ালা।
  3. মৌল ঈমান ওয়ালা, যার মধ্যে ঈমানের কেবল মূল বিষয় লক্ষ্য করা যায়।

এ ভাবে যদি আপনি বিশ্বের দাঈদের প্রকার করতে চান তাহলে করতে পারেন। অবশ্য করাটা জরুরি নয় তবে বুঝা জরুরি।

  1. প্রকৃত পূর্ণ দাঈ, যার মধ্যে দাওয়াতের সঠিক নীতি আছে, সালাফে সালেহীনের আদলে কিতাব সুন্নাহ বুঝার জ্ঞান আছে এবং যারা যুক্তির আশ্রয় না নিয়ে আসার ( কুরআন, সুন্নাহ্ এবং সাহাবাগণের আমলকে) সবসময় প্রাধান্য দেয়।
  2. মধ্যম মানের দাঈ, যারা উপরের নিয়ম সবসময় ধরে রাখে না বা মানে না। যাদের কাছে কোনো সঠিক নীতি নেই, না আছে সরাসরি আরবী ভাষায় কিতাব সুন্নাহ্ বুঝার জ্ঞান। আর অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে তাদের সালাফদের বুঝার মত বুঝার উপায় তাদের থাকে না; বরং তারা অনুবাদের মুখাপেক্ষী। অন্য দিকে কুরআন সুন্নাহ্ এবং আরবী ভাষায় পান্ডিত্য না থাকায় শেষ মেষ লজিক তথা যুক্তিই তখন তাদের বড় হাতিয়ার। আর বিশ্বের অধিক মুসলিম ভাই যেহেতু জাগতিক যুক্তি তর্ক তথা দর্শন বিদ্যা অর্জনকারী তাই এই প্রকার দাঈ তাদের নিকট বেশি পছন্দনীয়। সোনায় সোহাগা হিসাবে কাজ করে তাদের ইংলিশ ভাষা। কে জানি কিছু ভাইয়ের মন্তব্য এমন যেন কুরআন সুন্নাহ্ এর আরবী ভাষার তুলনায় ইংলিশ ভাষার মূল্য বেশী। এ কারণেই তারা হয়ে যান বড় দাঈ আর কুরআন ও সুন্নাহর প্রকৃত দাঈ হয়ে যান ছোট দাঈ। তার খিদমত হয়ে পড়ে নগণ্য। এমন দাঈ যদি প্রকৃত দাঈ বাছাই করতে ও চিনতে ভুল করে তো আশ্চর্যের কিছু না।
  3. দূর্বল দাঈ, না আছে কোনো মানহাজ, না আছে কুরআন হাদীসের জ্ঞান, আছে তো শুধু সুর, দাপট, ও নাটক করার যোগ্যতা। তবে এদের উম্মতও কম না
  4. তারা দাঈ নয় কিন্তু মানুষ তাদের দাঈ বলে। যেমন শিরকপন্থী ও বিদআতীরা। উল্লেখ্য, বিদআতী ও শিরককারী দাঈ হয় না কারণ তার ইলম শিরক ও বিদআতকে বৃদ্ধি করে যা হারাম।

আর যারা এদের সমর্থন করে, তাদের বিচারটা আপনারাই করুন এটি আমার ব্যাক্তিগত বিশ্লেষণ, হয়তবা কারো বুঝতে সহায়ক হবে।

WRITER: Abdur Rakib Bukhari

____________________________________________

আমরা সকলেই জানি যে, মহান আল্লাহ তা‘আলার পথের দা‘য়ীদের প্রকাশ্য ও গোপনে তাকওয়ার এ গুণ অবলম্বন করা খুবই প্রয়োজন। আমি এখানে আল্লাহ তা‘আলার পথের দা‘য়ীদের আল্লাহর সাহায্য পাওয়া ও তাদের যে সব সম্বল সংগ্রহ করা উচিত সেসব বিষয়ে আলোচনা করব। 

১) আল্লাহ পথের দা‘য়ীরা যে দিকে মানুষকে ডাকবে সে সম্পর্কে ইলম তথা জ্ঞান থাকা ।
২) দাওয়াতের ক্ষেত্রে ধৈর্যশীল হওয়া ।৩) হিকমত বা প্রজ্ঞা অবলম্বন ।
 ৪) দা‘য়ীকে উত্তম চরিত্রে চরিত্রবান হওয়া ।
৫) দা‘য়ীকে জড়তা ও প্রতিবন্ধকতা পরিহার করা ।৬) দা‘য়ীর অন্তর বিরোধীদের প্রতি উদার হওয়া ।
 

Post a Comment

0 Comments