🔵তাশাহুদের সময় আঙ্গুল না নড়ানো ও তাওর্য়ারুক

২৪)) দুসিজদার মধ্যে তর্জনী আঙ্গুল নাড়ানোঃ

🔵একাজ সুন্নাত থেকে প্রমাণিত নয়; বরং প্রমাণিত হচ্ছে, তাশাহ্‌হুদে বসে তাশাহ্‌হুদ পড়াবস্থায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তর্জনী আঙ্গুল নড়াতে হবে। আর এটাই হচ্ছে সুন্নাত।

২৫) 🔵) তাশাহুদের সময় আঙ্গুল না নড়ানোঃ

🔵অধিকাংশ মানুষ শুধুমাত্র আশহাদু আন লাইলাহা বলার সময় তর্জনী বা শাহাদত আঙ্গুল উঠায় এবং ইল্লাল্লাহু… বলার সময় আঙ্গুল নামিয়ে দেয়। এ ধরণের নিয়ম হাদীছে কোথাও বর্ণিত হয়নি। বরং সহীহ্ হাদীছ অনুযায়ী নিয়ম হচ্ছে তাশাহ্হুদে বসে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উক্ত আঙ্গুল উঠিয়ে রাখতে হবে এবং নাড়াতে হবে। “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাম হাতের তালু বাম হাঁটুর উপর বিছিয়ে দিতেন, আর ডান হাতের সবগুলো অঙ্গুলী মুষ্টিবদ্ধ করে তর্জনী দ্বারা কিবলার দিকে ইঙ্গিত করতেন এবং সেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেন।” অনেকে আবার নিজের কোলের দিকে তাকিয়ে থাকে আসলে তা ঠিক নয়।

[ তুহফাতুল আহওয়াযীঃ ১/২৪২), (সহীহ্ মুসলিমঃ ৯০৬-৯০৭) নাসাঈ হা/১২৭৫; (আবুদাউদঃ ৯৮৭,) মুসনাদেঃ (১৩১/১), সহীহ ইবনু হিব্বানঃ ৪৮৫ ]

_______________________________________________________________

২৬) তিন বা চার রাকাআত বিশিষ্ট সালাতের শেষ তাশাহ্হুদে তাওর্য়ারুক না করাঃ

🔵অধিকাংশ মুসল্লী সব ধরণের তাশাহ্হুদে বসে ইফতেরাশ করে। (ইফতেরাশ হচ্ছে, ডান পা খাড়া রেখে বাম পায়ের উপর বসা। আর তাওর্য়ারুক হচ্ছে, ডান পা খাড়া রেখে বাম পাকে ডান পায়ের নীচ দিয়ে সামনের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে নিতম্বের উপর বসা।)

🔵আবু হুমাইদ সায়েদী(রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন দুরাকাতে বসতেন তখন বাম পায়ের উপর বসতেন, ডান পা খাড়া রাখতেন। আর যখন শেষ রাকাতে বসতেন তখন বাম পাকে (ডান পার নীচ দিয়ে) সামনের দিকে বাড়িয়ে দিতেন এবং ডান পা খাড়া করতেন তারপর নিতম্বের উপর বসতেন।

[ সহীহ বুখারি, তাওঃ ৮২৮, ইফাঃ ৭৯০, আধুঃ ৭৮২ ]

উম্মু দারদা (রাযি.) তাঁর সালাতে পুরুষের মত বসতেন, তিনি ছিলেন দ্বীন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞানী।[বুখারিঃ তাওঃ  ৮২৭,ইফাঃ ৭৮৯,]