ওযুর ক্ষেত্রে কয়েকটি ভূল-ত্রুটি:
🔵১)ঘাড় মাসেহ করা। এরূপ করা রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)
থেকে প্রমাণীত নয়। (অবশ্য এ প্রসঙ্গে কয়েকটি হাদীস রয়েছে,
তবে তার সবগুলোই দূর্বল হাদীস
বিধায় তা আমোল যোগ্য নয়।) (সহীহ বুখারী তাওঃ প্র. টীকা ১১১ পৃঃ)
🔵২)পরিপূর্ণরূপে ওযু না করা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতিটি অংশে পানি পোঁছানোর ব্যাপারে গুরুত্ব না দেওয়া।
🔵৩)বিসমিল্লাহ্ না বলে ওযু শুরু করা। [আবু দাউদ: ১০১, ইবনে মাজাহ: ৩৯৮]
রাসূলুল্লাহ(সাঃ)ওযূর শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ' বলতেন। আর যে অজুতে বিসমিল্লাহ্ বলেনা তার ওযু হয়না।[ তিরমিযী: ২৪; সুনান আদদারেমিঃ ৭০৯, ৭১৪, আহমাদঃ ৭৫, ১১৩৮]
🔵৪)বিভিন্ন অঙ্গ ধোয়ার সময় নির্দিষ্ট কোন দূ;আ পড়া। কারন, এরূপ দু’আ নাবী(সাঃ) থেকে প্রমানিত নেই।
🔵৫)পানি অপচয় করা।
🔵৬)অজুর শুরুতে নিয়ত পড়া। যা বিদ’আত।
🔵৭)ওযুর শেষের দো’আ উল্লিখিত দু‘আ পাঠ করার সময় আসমানে দিকে তাকায়। অথচ উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীসটি ‘মুনকার’ বা যঈফ(দুর্বল)
[আলবানী, ইরাওয়াউল গালীল-১/১৩৪ পৃঃ; আহমাদঃ ৪/১৫০; দারিমিঃ ৭১৬,৭৩৯; সুনান আবুদাউদঃ ১৭০]
সঠিক হলোঃ এই শাহাদাত দো’আটি আসমানের দিকে না তাকিয়ে বলবে- "আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয় আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু"। তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। আসমানের দিকে না তাকিয়ে।[ সহীহ মুসলিম,হাদিঃ একাঃ ৪৪১, ২৩৪,ইসেঃ ৪৬০,ইফাঃ ৪৪৪; সুনান আবুদাউদঃ ১৬৯,মিশকাত হা/ ২৮৯, সহীহ্ তিরমিযী-১/৪৯ পৃঃ, হা/৫৫, ইবনে মাজাহঃ ৪৭০ ]
0 Comments