ওযুর ক্ষেত্রে কয়েকটি ভূল-ত্রুটি:

ওযুর ক্ষেত্রে কয়েকটি ভূল-ত্রুটি:

🔵)ঘাড় মাসেহ করা। এরূপ করা রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণীত নয়। (অবশ্য এ প্রসঙ্গে কয়েকটি হাদীস রয়েছে, তবে তার সবগুলোই দূর্বল হাদীস বিধায় তা আমোল যোগ্য নয়।) (সহীহ বুখারী তাওঃ প্র. টীকা ১১১ পৃঃ)

🔵)পরিপূর্ণরূপে ওযু না করা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতিটি অংশে পানি পোঁছানোর ব্যাপারে গুরুত্ব না দেওয়া।

🔵)বিসমিল্লাহ্‌ না বলে ওযু শুরু করা। [আবু দাউদ: ১০১, ইবনে মাজাহ: ৩৯৮] 

রাসূলুল্লাহ(সাঃ)ওযূর শুরুতেবিসমিল্লাহ' বলতেন। আর যে অজুতে বিসমিল্লাহ্‌ বলেনা তার ওযু হয়না।[ তিরমিযী: ২৪; সুনান আদদারেমিঃ ৭০৯, ৭১৪, আহমাদঃ ৭৫, ১১৩৮]

🔵)বিভিন্ন অঙ্গ ধোয়ার সময় নির্দিষ্ট কোন দূ;আ পড়া। কারন, এরূপ দুআ নাবী(সাঃ) থেকে প্রমানিত নেই।

🔵)পানি অপচয় করা।

🔵)অজুর শুরুতে নিয়ত পড়া যা বিদআত

🔵)ওযুর শেষের দোউল্লিখিত দু পাঠ করার সময় আসমানে দিকে তাকায় অথচ উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীসটি মুনকার বা যঈফ(দুর্বল)

[আলবানী, ইরাওয়াউল গালীল-/১৩৪ পৃঃ; আহমাদঃ /১৫০; দারিমিঃ ৭১৬,৭৩৯; সুনান আবুদাউদঃ ১৭০]

সঠিক হলোঃ এই শাহাদাত দোআটি আসমানের দিকে না তাকিয়ে বলবে- "আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয় আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু" তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে আসমানের দিকে না তাকিয়ে[ সহীহ মুসলিম,হাদিঃ একাঃ ৪৪১, ২৩৪,ইসেঃ ৪৬০,ইফাঃ ৪৪৪; সুনান আবুদাউদঃ ১৬৯,মিশকাত হা/ ২৮৯, সহীহ্ তিরমিযী-/৪৯ পৃঃ, হা/৫৫, ইবনে মাজাহঃ ৪৭০ ]

Post a Comment

0 Comments