Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

🔵সালাতে সিজদা করার সময় সাতটি অঙ্গ পরিপূর্ণরূপে মাটিতে না রাখা:

২২)সালাতে সিজদা করার সময় সাতটি অঙ্গ পরিপূর্ণরূপে মাটিতে না রাখা:

🔵আব্দুল্লাহ্‌ ইবনে আব্বাস(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী() সাতটি অঙ্গের উপর সিজদা করতে আদিষ্ট হয়েছেন। মুখমণ্ডল(নাক ও কপাল), দুই হাত, দুই হাঁটু ও দুই পা। [বুখারীঃ ৮১৫,৭৭৫, মিশকাত হা/৮৮৭, মুসলিমঃ ৪৩/৪৪, হাঃ ৪৯০, আহমাদঃ ২৫৮৪; (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৭২ ]

কিছু লোক সিজদা করার সময় দুটি পা সামান্য একটু উঠিয়ে রাখে বা এক পা অন্যটির উপর রাখে অথবা ফাঁকা রাখে বরং সুন্নাহ হচ্ছে দুপায়ের আঙ্গুলসমূহ কিবলামূখী করে রাখা এবং জোড়া রাখা। অনুরূপভাবে কেউ কেউ শুধু কপাল মাটিতে রাখে, নাক রাখে না। এরূপ করা সুন্নাহের পরিপন্থী।

🔵ব্যাখ্যা:

হাদীসটির অর্থ, আমাকে সিজদা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। অপর বর্ণনায়, আমাদের আদেশ করা হয়েছে। অপর বর্ণনায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদেশ করেছেন। তিনটি বর্ণনাই বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী। শরঈ কায়েদা হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যে বিষয়ে আদেশ করা হয়, তা তার ও উম্মাত উভয়ের জন্যই আদেশ। “সাত অঙ্গের ওপর” অর্থাৎ, আমাকে আদেশ করা হয়েছে যে, আমি যেন সাত অঙ্গের ওপর সিজদা করি। এখানে হাড্ডিসমূহ দ্বারা উদ্দেশ্য সিজদার অঙ্গ। যেমন অন্য বর্ণনায় তার ব্যাখ্যা এসেছে। তারপর তিনি এ বলে ব্যাখ্যা করেন যে, “কপালের ওপরঅর্থাৎ, আমাকে নাকসহ কপালের ওপর সিজদা করতে আদেশ করা হয়েছে। যেমনটি তার ওপর প্রমাণ বহন করে তার বাণী তিনি তার হাত দ্বারা নাকের ওপর ইশারা করলেন। অর্থাৎ নাকের দিকে ইশারা করলেন যাতে তিনি স্পষ্ট করেন যে, এ দুটি একই অঙ্গ।দুই হাতঅর্থাৎ, দুই হাতের তালুর উপর। দুই হাত ব্যবহার দ্বারা এটিই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। দুই হাঁটু ও দুই পায়ের আঙ্গুল। অর্থাৎ আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, আমি যেন দুই হাঁটি ও দুই পায়ের আঙ্গুলসমূহের ওপর সাজদাহ করি। আর সালাতের পদ্ধতি অধ্যায়ে আবূ হুমাইদ আস-সাআদীর হাদীসে এ শব্দে বর্ণিত, সিজদা অবস্থায় দুই পায়ের আঙ্গুলসমূহকে কিবলামুখ করলেন। আর আমরা যেন চুল ও কাপড় গুটিয়ে না নেই। আল `কাফতঅর্থ একত্র করা ও মিলানো। অর্থাৎ, আমরা রুকূ ও সিজদা করার সময় কাপড় ও চুলকে ছড়িয়ে পড়া থেকে বাঁধা দিতে গিয়ে একত্র করব না এবং মিলিয়ে ফেলব না। বরং আমরা আপন অবস্থায় ছেড়ে দেই যাতে তা জমিনে ছড়িয়ে পরে। যাতে সে তার সমস্থ অঙ্গ, কাপড়, চুল ইত্যাদি নিয়েই সিজদা করে। 

🔵 ফায়দাসমূহ:

1.  সালাতে সাত অঙ্গের ওপর সিজদা করা ওয়াজিব। কারণ, আদেশের আসল হলো ওয়াজিব হওয়া। 

2.নাক বাদ দিয়ে কপালের উপর বা কপাল বাদ দিয়ে শুধু নাকের উপর সিজদা করলে তা বিশুদ্ধ হবে না। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কপালের কথা উল্লেখ করেন তখন নাকের দিকে ইশারাহ করেন। 

3.  সমগ্র অঙ্গের ওপর সিজদা করা ওয়াজিব। কিছু অঙ্গের উপর সিজদা করলে তা শুদ্ধ হবে না। যতটুকু সম্ভব জমিনের ওপর কপাল রাখবে। 

4.  হাদীসটির বাহ্যিক অর্থ দ্বারা বুঝা যায়, এ অঙ্গগুলোর কোন একটি খোলা রাখা ওয়াজিব নয়। কারণ, এগুলো খোলা ছাড়া জমিনের ওপর রাখলেই তার ওপর সিজদা করা বলা হয়। এ বিষয়ে কোন মতবিরোধ নাই যে, দুই হাটু খোলা ওয়াজিব নয়। অনুরূপভাবে দুই পা। কারণ, মোজা পরে সালাত বৈধ। 

5.  সালাতে কাপড় গোছানো মাকরুহ। 

6. পেছন দিয়ে চুল বাধা বা বেণী বাধা মাকরুহ। চাই সে এটি সালাতের ইচ্ছায় করুক বা সালাতের পূর্ব থেকে ছিল এবং অন্য কোনো উদ্দেশ্যে করেছিল আর বিনা প্রয়োজনে আপন অবস্থায় সালাত আদায় করল।

Post a Comment

0 Comments