।ইফতার করার ফযীলত।
🔷সূর্যাস্তের সাথে সাথে দেরী
না করে ইফতার করার ফযীলত,
কোন খাদ্য দ্বারা ইফতার করবে ও তার পরের দু‘আ
🔷সাহল
ইবনে সা’দ(রাঃ) হতে বর্ণিত,
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যতদিন
পর্যন্ত মুসলিমেরা শীঘ্র ইফতার করবে ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।
(বুখারী
মুসলিম) হাদীস সম্ভার(১০৬১)
🔷আবূ হুরাইরা(রাঃ) কর্তৃক
বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দ্বীন ততকাল বিজয়ী
থাকবে, যতকাল লোকেরা ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে। কারণ, ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা
দেরী করে ইফতার করে। হাদীস সম্ভার(১০৬২)
(আবূ দাঊদ ২৩৫৫, হাকেম ১৫৭৩, ইবনে হিব্বান ৩৫০৩, ইবনে খুযাইমা ২০৬০, সঃ জামে’ ৭৬৮৯)
🔷সূর্যাস্তের সাথে সাথে দেরী না করে ইফতার করার ফযীলত, কোন খাদ্য দ্বারা ইফতার করবে ও তার পরের দু‘আ।
🔷আবূ
আত্বিয়্যাহ হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, আমি ও মাসরূক আয়েশা (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত
হলাম। মাসরুক তাঁকে বললেন,
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহচরদের মধ্যে
দু’জন সহচর কল্যাণের ব্যাপারে আদৌ ত্রুটি করেন না। তাঁদের একজন মাগরিব ও ইফতার
সত্বর সম্পাদন করেন এবং অপরজন মাগরিব ও ইফতার দেরীতে সম্পাদন করেন। এ কথা শুনে
আয়েশা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, কে মাগরিব ও ইফতার সত্বর করেন? তিনি
বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ)। তিনি বললেন, ’আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপই করতেন। হাদীস
সম্ভার(১০৬৩);(মুসলিম ২৬১১)
🔷সূর্যাস্তের সাথে সাথে দেরী না করে ইফতার করার ফযীলত, কোন খাদ্য দ্বারা ইফতার করবে ও তার পরের দু‘আ
🔷উমার
ইবনে খাত্তাব(রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন রাত্রি এ (পূর্ব) দিক
থেকে আগমন করবে এবং দিন এ (পশ্চিম) দিক থেকে প্রস্থান করবে এবং সূর্য ডুবে যাবে, তখন
অবশ্যই সিয়াম পালনকারী ইফতার করবে।(বুখারী
১৯৫৪, মুসলিম ২৬১২) হাদীস
সম্ভার(১০৬৪)
সূর্যাস্তের সাথে সাথে দেরী না করে ইফতার করার ফযীলত, কোন খাদ্য দ্বারা ইফতার করবে ও তার পরের দু‘আ
🔷আবূ
ইব্রাহীম আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি
বলেন, (একবার) আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্যে পথ
চলছিলাম, তখন তিনি সিয়াম পালনকারী ছিলেন। অতঃপর যখন সূর্য অস্ত গেল, তখন
তিনি সফররত সঙ্গীদের একজনকে বললেন, হে অমুক! বাহন থেকে নেমে
আমাদের জন্য ছাতু ঘুলে দাও। সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! যদি আর
একটু সন্ধ্যা করতেন (তাহলে ভাল হত।) তিনি বললেন, তুমি বাহন থেকে নামো
এবং আমাদের জন্য ছাতু ঘুলে দাও। [হাদীস সম্ভার(১০৬৫)]
সে বলল,
এখনো দিন হয়ে আছে। তিনি আবার বললেন, তুমি
নামো এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে দাও। বর্ণনাকারী বলেন, সুতরাং
সে নেমে তাঁদের জন্য ছাতু গুলে দিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
পান করলেন এবং বললেন,
যখন তোমরা প্রত্যক্ষ করবে যে, রাত্রি এ(পূর্ব) দিক
থেকে এসে পড়েছে,
তখন অবশ্যই সিয়াম পালনকারী ইফতার করবে। আর সেই সাথে তিনি
পূর্বদিকে ইঙ্গিত করলেন।(বুখারী ১৯৪১, ১৯৫৫, মুসলিম ২৬১৩-২৬১৫)
🔷ইবনে
উমার(রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত,
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম যখন ইফতার করতেন, তখন এই দু’আ বলতেন, যাহাবায
যামা-উ অবতাল্লাতিল উরুক্বু অসাবাতাল আজরু ইন শা-আল্লাহ।
অর্থাৎ, পিপাসা দূরীভূত হল, শিরা-উপশিরা সতেজ হল এবং ইন শাআল্লাহ সওয়াব সাব্যস্ত হল। (আবূ দাঊদ ২৩৫৯)
🔷যায়েদ ইবনে খালেদ জুহানী(রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন সিয়াম পালনকারী-কে ইফতার করাবে, সে(রোযাদারের) সমান নেকীর অধিকারী হবে। আর তাতে রোযাদারের নেকীর কিছুই কমবে না।
(তিরমিযী ৮০৭, নাসাঈর কুবরা ৩৩৩১-৩৩৩২, ইবনে মাজাহ ১৭৪৬, ইবনে হিব্বান ৩৪২৯, সহীহ তারগীব ১০৬৫ নং)
0 Comments