Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

সিয়ামের ফযিলত ব্যাখ্যা সহ

সিয়ামের ফযিলত ব্যাখ্যা সহ

হাদীস: যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াবের আশায় রমযানের সাওম পালন করে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াবের আশায় রমযানের সাওম পালন করে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়।” [সহীহ- মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

🔘ব্যাখ্যা:

হাদীসটির অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান, তার প্রতিশ্রুতির প্রতি বিশ্বাস, তার থেকে সাওয়াব লাভের আশা এবং কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির ইচ্ছায় কোনো রকম লৌকিকতা ও সুখ্যাতির উদ্দেশ্য ছাড়া রমযান মাসের সাওম পালন করে, তার অতীতের গুণাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

🔘ফায়দাসমূহ:

আপনার জীবনে এই গুলি প্রতিষ্ঠিত করুন

1)রমযানের ফযীলত ও তার উচ্চ মর্যাদার বর্ণনা। এটি সাওম পালনের মাস। যে ব্যক্তি এ মাসে সাওম পালন করবে তার গুনাহগুলো ক্ষমা করা হবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।

2)মাস সম্পৃক্ত করা ছাড়া শুধু রমযান বলাও বৈধ।

হাদীস:

আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মহান আল্লাহ বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকর্ম তার জন্যই; কিন্তু সিয়াম স্বতন্ত্র, তা আমারই জন্য, আর আমিই তার প্রতিদান দেব।’ সিয়াম ঢাল স্বরূপ অতএব তোমাদের কেউ যেন সিয়ামের দিনে অশ্লীল না বলে এবং হৈ-হট্টগোল না করে। আর যদি কেউ তাকে গালি-গালাজ করে অথবা তার সাথে লড়াই-ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, ‘আমি সিয়াম রেখেছি।’ সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে, নিঃসন্দেহে সায়িমের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা বেশী উৎকৃষ্ট। সায়িমের জন্য দু’টি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে, তখন সে আনন্দিত হয়; [১] যখন সে ইফতার করে [ইফতারের জন্য সে আনন্দিত হয়]।

আর [২] যখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, স্বীয় সিয়ামের জন্য সে আনন্দিত হবে।’’ [বুখারী ও মুসলিম, এই শব্দগুলি বুখারীর] বুখারীর অন্য বর্ণনায় আছে, ‘সে [সায়িম] পানাহার ও যৌনাচার বর্জন করে একমাত্র আমারই জন্য। সিয়াম আমার জন্যই। আর আমি নিজে তার পুরস্কার দেব। আর প্রত্যেক নেকী দশগুণ বর্ধিত হয়।’ মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ‘‘আদম সন্তানের প্রত্যেক সৎকর্ম কয়েকগুণ বর্ধিত করা হয়। একটি নেকী দশগুণ থেকে নিয়ে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কিন্তু সিয়াম ছাড়া। কেননা, তা আমার উদ্দেশ্যে [পালিত] হয়। আর আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। সে পানাহার ও কাম প্রবৃত্তি আমার [সন্তুষ্টি অর্জনের] উদ্দেশ্যেই বর্জন করে।’ সায়িমের জন্য দু’টি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে। একটি আনন্দ হল ইফতারের সময়, আর অপরটি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎকালে। আর নিশ্চয় তার মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা অধিক উৎকৃষ্ট।”  [সহীহ-এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।] (বুখারী- ১৯০৪, মুসলিম- ২৭৬২)

🔘ব্যাখ্যা:

এ হাদীসে কুদসীটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দেন যে, মৌখিক হোক বা দৈহিক হোক, প্রকাশ্য হোকা বা অপ্রকাশ্য হোক এবং আল্লাহর হকের সাথে সম্পৃক্ত হোক বা বান্দার হকের সাথে সম্পৃক্ত হোক যাবতীয় সব ধরনের আমলের সাওয়াবকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে। আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়া তার বান্দাদের প্রতি যে, কত মহান এটিই তার প্রমাণ। কারণ, তিনি তাদের একটি অপরাধ ও বিরোধিতার বিনিময় একটি গুনাহ দ্বারা নির্ধারণ করেন এবং আবার তার ওপর রয়েছে ক্ষমা।

এ হাদীসটি থেকে সাওম পালনের সাওয়াবকে বাদ দেওয়া হবে। কারণ, সায়িমের সাওয়াব হিসাব ছাড়া দেওয়া হবে। অর্থাৎ তার সাওয়াব অনেক গুণে বৃদ্ধি করা হবে। কারণ, সাওম এমন একটি ইবাদত যা তিন প্রকার ধৈর্যকে অর্ন্তভুক্ত করে। তাতে রয়েছে আল্লাহর ইবাদতের ওপর ধৈর্য ধারণ করা, গুনাহ থেকে ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত আপদের ওপর ধৈর্য ধারন করা। আল্লাহর ইবাদাতের ওপর ধৈর্য ধারণ করা হলো, একজন মানুষ কখনো কখনো সিয়াম রাখাকে অপছন্দ করা সত্বেও তা পালন করে থাকে। আর তা অপছন্দ কষ্টের কারণে হয় এ কারণে নয় যে, আল্লাহ তা ফরয করেছেন।

 

যদি কোন মানুষ আল্লাহ ফরয করেছেন বলে সিয়ামকে অপছন্দ করে তাহলে তার আমল নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু সে কষ্টের কারণে অপছন্দ করে। তা সত্বেও সে সাওম পালন করে এবং খাওয়া, পান করা ও বিবাহ করা থেকে কেবল আল্লাহর জন্য বিরত থাকে। আর এ কারণেই আল্লাহ তা‘আলা হাদীসে কুদসীতে বলেন, সে আমার জন্য খাওয়া, পান করা ও যৌনতা ছেড়ে দেয়।

ধৈর্যের দ্বিতীয় প্রকার হলো, আল্লাহর নাফরমানি থেকে ধৈর্য ধারণ করা। এটি একজন সাওম পালনকারীর জন্য অবশ্যই হাসিল হয়। কারণ, সে আল্লাহর নাফরমানি বা অবাধ্য হওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকে। ফলে সে অনর্থক কতা-বার্তা, অশ্লীলতা ও মিথ্যা কথা বলা ইত্যাদি আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকে।

তৃতীয় প্রকার ধৈর্য হলো, আল্লাহর কর্তৃক নির্ধারিত বিপদ আপদে ধৈর্য ধারণ করা। একজন ব্যক্তি যখন সিয়াম রাখে সিয়ামের দিনে তাকে বিভিন্ন বিপদের মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষ করে যখন খুব গরম হয় এবং দিন লম্বা হয়। তখন একজন সাওম পালনকারী পিপাসা, দূর্বলতা অলসতা ইত্যাদি তাকে পেয়ে বসার কারণে সে কষ্ট পায়। কিন্তু তা সত্বেও সে আল্লাহ তা‘আলা সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ধৈর্য ধরে। যেহেতু সাওম তিন প্রকার ধৈর্যকে অর্ন্তভুক্ত করে থাকে তাই তার সাওয়াবও হবে অগণিত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ধৈর্যশীলদের প্রতিদান দেওয়া হবে হিসাব ছাড়া। হাদীসটি প্রমান করে যে, পূর্ণাঙ্গ সাওম

প্রচারেঃ- rasikul Islam

আপনার জীবনে এই গুলি প্রতিষ্ঠিত করুন

পালনে একজন বান্দা দুইটি জিনিস ছেড়ে দেন: এক—দৈহিক সাওম ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ; খাওয়া, পান করা, যৌনাচার এবং তার আনুসাঙ্গিক বিষয়সমূহ। দুই—আমলী অপরাধসমূহ। যেমন, অশ্লীলতা, অনর্থক কথা, মিথ্যা কথা এবং যাবতীয় ধরনের গুনাহ ও ঝগড়া বিবাদ যা মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ চড়ায়। এ কারণেই তিনি বলেন, সে যেন অশ্লীল কথা-বাতা না বলে এবং এমন কথা না বলে যা ফিতনা ও ঝগড়া সৃষ্টি করে।

সুতরাং যে ব্যক্তি দুটি বিষয়কে বাস্তবায়ন করবে—সিয়াম ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ ছেড়ে দেবে এবং নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ ছেড়ে দেবে, তার সায়িমদের বিনিময় পুরোপুরি লাভ হবে।

আর যে ব্যক্তি তা করবে না তার সিয়ামের সাওয়াব তার এ সব গুনাহের আধিক্য অনুযায়ী কমবে। তারপর একজন সায়িমকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, যখন কেউ তার সাথে বিবাদ করে অথবা তাকে গাল দেয়, সে যেন তাকে মুখে বলে আমি সায়িম। অর্থাৎ তার গালের কোন উত্তর দেবে না। বরং তাকে জানিয়ে দেবে যে সে সায়িম (রোজাদার)। এ কথা এ জন্য বলবে, যাতে যে তাকে গাল দিয়েছে সে তার ওপর চড়াও না হয়। যেন সে তাকে বলছে তুমি যা বলছ তার মুকাবালাহ করতে আমি অক্ষম নই।

 

কিন্তু আমি সায়িম, আমি আমার সিয়ামের সম্মান করব, তার পূর্ণতা এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশের প্রতি খেয়াল রাখবো। আর তার বাণী: “সিয়াম ডাল স্বরূপ” অর্থাৎ ডাল যার দ্বারা একজন বান্দা দুনিয়াতে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে এবং ভালোর অনুশীলন করে। আর আযাব থেকে আত্মরক্ষা। আর একজন সায়িমের জন্য দু’টি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে। একটি আনন্দ হল ইফতারের সময়, আর অপরটি তার রবের সাথে সাক্ষাৎকালে।

 

এ দুটি সাওয়াব একটি নগদ এবং অপরটি বাকী। নগদটি আমরা দুনিয়াতে প্রতক্ষ্য করি। যখন একজন সায়িম ইফতার করে তখন সে সিয়াম পূর্ণ করা দ্বারা আল্লাহর নি‘আমতের প্রতি খুশি হয়। আর সে তার চাহিদাসমূহ যা থেকে সিয়ামের কারণে দিনের বেলা বিরত ছিল তা পাওয়া দ্বারাও খুশি হয়। আর বাকী আনন্দ হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সম্মানের সাথে আল্লাহর সাক্ষাতের সময়। এই নগদ খুশি সেই বাকি খুশির একটি নমুনা। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে রবের নামে সপথ করে যার হাতে তার জীবন, নিশ্চয় তার মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা অধিক উৎকৃষ্ট।’ সহীহ মুসলিমের অপর বর্ণনায় বর্ণিত: অধিক সুঘ্রাণ আল্লাহর নিকট কিয়ামাতের দিন। সুতরাং কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার দুগর্ন্ধকে সুঘ্রাণ দ্বারা বিনিময় দান করবে। এমনকি তা মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা অধিক উৎকৃষ্ট হবে।

 

হাদীস: হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সমর্থ রাখে সে যেন অবশ্যই বিয়ে করে। কারণ, এটা চোখকে অধিক সংযত করে ও লজ্জাস্থানকে সবচেয়ে বেশি হিফাযত করে, আর যে সমর্থ রাখে না সে সিয়ামকে আবশ্যক করে নিবে। কারণ, সিয়াম তার যৌন চাহিদাকে দমনকারী।

আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সমর্থ রাখে সে যেন অবশ্যই বিয়ে করে। কারণ, এটা চোখকে অধিক সংযত করে ও

প্রচারেঃ- rasikul Islam

আপনার জীবনে এই গুলি প্রতিষ্ঠিত করুন

লজ্জাস্থানকে সবচেয়ে বেশি হিফাযত করে, আর যে সমর্থ রাখে না সে সিয়ামকে আবশ্যক করে নিবে। কারণ, সিয়াম তার যৌন চাহিদাকে দমনকারী।” [সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

🔘ব্যাখ্যা:

নিরাপত্তা গ্রহণ করা ও নিরাপদ থাকা ওয়াজিব, তার বিপরীত অবস্থা হারাম। আর এটা আসে ঈমানের দুর্বলতা ও প্রবৃত্তির প্রাবল্য থেকে। স্বাভাবিকভাবেই যুবকদের ভেতর প্রবৃত্তি বেশি। তাই তাদেরকে উপদেশ দিয়ে পবিত্রতার পথ দেখিয়েছেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম। আর সেটা হচ্ছে তাদের যে মোহর, ভরণপোষণ ও স্ত্রীকে থাকার জায়গা দিতে পারবে, সে বিয়ে করবে। কারণ, বিয়ে চোখকে হারাম থেকে অবনত ও লজ্জাস্থানকে অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখবে। আর যে বিবাহের সমর্থ রাখে না, অথচ বিয়ের প্রতি আগ্রহী, তাকে তিনি সিয়াম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে যেমন আছে সাওয়াব তেমন খানা ও পানীয় ত্যাগ করে প্রবৃত্তি দমন করার মহৌষধ। ফলে নফস দুর্বল হবে এবং রক্ত চলাচলের সে পথগুলো বন্ধ হবে, যেগুলো দিয়ে শয়তান চলাচল করে। অতএব, সিয়াম প্রবৃত্তি ভেঙ্গে দেয়, অণ্ডকোষদ্বয়ের দমন করার মতো, যা বীর্য তেরি করে এবং তার থেকে প্রবৃত্তি তৈরি হয়।

হাদীস: যখন রমযান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে শিকলে বন্দী করা হয়।

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন রমযান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে শিকলে বন্দী করা হয়।” [সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]

🔘ব্যাখ্যা:

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন রমযান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানগুলোকে শিকলে বন্দী করা হয়।” এ তিনটি জিনিস শুধু রমযান মাসেই সংঘটিত হয়। প্রথমত: জান্নাতের দরজাসমূহ রমযান মাসে খুলে দেওয়া হয়, যাতে আমলকারীদেরকে সালাত, সদকা, যিকির, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি আমলের মাধ্যমে বেশি বেশি করে আল্লাহর আনুগত্য করতে উৎসাহ দেয়া যায়। দ্বিতীয়ত: জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়; কেননা রমযান মাসে মুমিনের দ্বারা খুব অল্প গুনাহ সংঘটিত হয়। তৃতীয়ত: শয়তানকে শৃঙ্খলবদ্ধ করা হয়। অর্থাৎ অবাধ্য শয়তানকে শিকলে বন্দী করা হয় যেমনটি অন্য বর্ণনায় এসেছে। [নাসায়ী রহ. তার সুনানে (৪/৪৩৪, হাদীস নং ২১০৫)] এবং ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে (২/২৯২) এসব হাদীস বর্ণনা করেছেন। আলবানী রহ. বলেছেন, হাদীসটি তার শাওয়াহেদের কারণে জাইয়্যেদ বা উত্তম। দেখুন, মিশকাতুল মাসাবীহ, (১/৬১২, হাদীস নং ১৯৬২)। (المَرَدةُ) শব্দের অর্থ: বনী আদমের সাথে যেসব শয়তানের চরম শত্রুতা রয়েছে। (التصفيد) অর্থ বেড়ী তথা শিকল। অর্থাৎ তাদের হাতে-পায়ে শিকল পড়ানো হয় যাতে তারা ছুটে গিয়ে ক্ষতি করতে না পারে। এসব কিছু

প্রচারেঃ- rasikul Islam

আপনার জীবনে এই গুলি প্রতিষ্ঠিত করুন

আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে অবহিত করেছেন নসিহতস্বরূপ এবং কল্যাণকর কাজের প্রতি উৎসাহ দেয়া ও অন্যায় থেকে বিরত থাকার জন্য।দেখুন, শরহে রিয়াদুস সালিহীন, (৫/২৭৩)।

 

হাদীস: জান্নাতের মধ্যে এমন একটি দরজা আছে, যার নাম হল ‘রাইয়ান’; সেখান দিয়ে কেবল রোযাদারগণই কিয়ামতের দিনে প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ সেদিক দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা করা হবে, ‘রোযাদাররা কোথায়?’ তখন তারা দণ্ডায়মান হবে। (এবং ঐ দরজা দিয়ে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে) তারপর যখন তাদের সর্বশেষ ব্যক্তি প্রবেশ করবে, তখন দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখান দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

সাহল ইবনে সা’দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতের মধ্যে এমন একটি দরজা আছে, যার নাম হল ‘রাইয়ান’; সেখান দিয়ে কেবল রোযাদারগণই কিয়ামতের দিনে প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ সেদিক দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা করা হবে, ‘রোযাদাররা কোথায়?তখন তারা দণ্ডায়মান হবে। (এবং ঐ দরজা দিয়ে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে) তারপর যখন তাদের সর্বশেষ ব্যক্তি প্রবেশ করবে, তখন দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর সেখান দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।” [বুখারীঃ ১৮৯৬ , মুসলিমঃ ২৭৬৬, নাসাঈ, তিরমিযী)]

🔘ব্যাখ্যা:

হাদীসটির অর্থ: জান্নাতের মধ্যে এমন একটি দরজা আছে, যার নাম হল ‘রাইয়ান’; তা সাওম পালনকারীদের জন্য খাস। তারা ছাড়া অন্য কেউ তা দিয়ে প্রবেশ করবে না। যে ব্যক্তি সাওমের হেফাযত করবে এবং ফরয নফল সব প্রকারের সাওম পালন করবে কিয়ামত দিবসে ফিরিশতাগণ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করার জন্য তাকে আহ্বান করবে। যখন তারা প্রবেশ করবে তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, তা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করবে না।

হাদীস: “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম পালন করবে, আল্লাহ তার ও জাহান্নামের মধ্যে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যেকার দূরত্বসম একটি গর্ত খনন করে দিবেন।”

আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম পালন করবে, আল্লাহ তার ও জাহান্নামের মধ্যে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যেকার দূরত্বসম একটি গর্ত খনন করে দিবেন।”  হাসান - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।,

ব্যাখ্যা:

যে ব্যক্তি নিরেট আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একদিন সাওম পালন করে তার ফযীলত সম্পর্কে হাদীসটি বর্ণিত। আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেবেন এবং তাকে জাহান্নাম থেকে আসমান ও যমীনের দূরত্বের সমপরিমাণ দূরে রাখবেন।

আপনার জীবনে এই গুলি প্রতিষ্ঠিত করুন

হাদীস: যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম পালন করবে, আল্লাহ তার ও জাহান্নামের মধ্যে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যেকার দূরত্বসম একটি গর্ত খনন করে দিবেন।

আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম পালন করবে, আল্লাহ তার ও জাহান্নামের মধ্যে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যেকার দূরত্বসম একটি গর্ত খনন করে দিবেন।”  [সহীহ-এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।]

🔘ব্যাখ্যা:

আল্লাহ তা‘আ‘লার নিকট সাওয়াবের আশায় যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম পালন করবে, “আল্লাহ তার ও জাহান্নামের মধ্যে একটি গর্ত খনন করে দিবেন।” অর্থাৎ বিশাল একটি পর্দা এবং দূরবর্তী একটি প্রতিবন্ধক যার পরিমাণ “আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যেকার দূরত্বসম” অর্থাৎ পাঁচশত বছরের দূরত্ব; যেমন আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন, “আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাহমের কাছে বসা ছিলাম, এমন সময় তিনি বললেন, তোমরা কি জানো আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যেকার দূরত্বর কত? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তখন তিনি বললেন, উভয়ের মাঝে পাঁচশত বছরের দূরত্ব।”

হাদিস সম্ভারঃ (১০৩৭) আবু সাঈদ(রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে বান্দা আল্লাহর রাস্তায় একদিন মাত্র সিয়াম রাখবে সেই বান্দাকে আল্লাহ ঐ সিয়ামের বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে ৭০ বছরের পথ পরিমাণ দূরত্বে রাখবেন। (বুখারী ২৮৪০, মুসলিম ১১৫৩)

আমর বিন আবাসাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন মাত্র সিয়াম রাখবে, সেই ব্যক্তি থেকে জাহান্নাম ১০০ বছরের পথ পরিমাণ দূরে সরে যাবে। [(ত্বাবারানীর কাবীর ও আওসাত্ব ৩২৪৯, সহীহ তারগীব ৯৮৮)]

হুযাইফা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বুকে হেলান দিয়ে ছিলেন। সেই সময় তিনি বললেন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে একদিন সিয়াম রাখার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের আশায় কিছু সাদকাহ করার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে সেও জান্নাত প্রবেশ করবে।

[(আহমাদ, সহীহ তারগীব ৯৮৫)] (১০৩৫)

 

(ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে📚 এখানে পাবেন🎶প্রচুর অডিও সিরিজ🎶100 এর বেশী শায়খ ভিত্তিক অডিও 90 এর উপর 🎶বিষয় ভিত্তিক অডিও🌎অডিও কুরআন এবং অনলাইনে অডিও শুনুন🎶এছাড়াও বিষয় ভিত্তিক ভিডিও,♂সহীহ-সুন্নাহ-ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল,ইসলামিক পত্রিকা 📚 and অনেক জানা-অজানা-আর্টিকল 📚 বিষয় ভিত্তিক সিরিজ আকারে http://islamicebookandpic.in/ ইসলামিক গালারি 👇বিশেষ দ্রস্টব্যঃ-👇 ওয়েবসাইট sarolpoth.blogspot.com/ ইসলামিক সমস্থ প্রগ্রাম একসাথে পেতে http://salafimp3web.blogspot.com/👉 অডিও সমাহার👈 👉 https://salafi-pdfbooks.blogspot.com/ সমস্ত ইসলামিক বই👆

Post a Comment

0 Comments