যে সকল কারনে রোযা ভং করে না। fb তে পেতে.
🔘১)ইনজেকশন রোযা ভঙ্গ করে না।
যেসব
ইনজেকশন চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়, পরিপোষণের জন্য নয়; যেমনঃ
ইনসুলিন, পেনেসিলিন,
পেইন কিলার, টীকা ইত্যাদি। মাংশপেশীতে
দেওয়া হোক কিংবা শিরাতে দেওয়া হোক, এগুলো রোযা ভঙ্গ করবে না। [ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আল-দাঈমাহ (১০/৫১৭৬)]
🔘২)চোখের ড্রপ রোযা ভঙ্গ করে না।
যেহেতু
চোখ কোনো পানাহারের রাস্তা নয় এবং এর থেকে কোনো কিছুই পাকস্থলীতে পৌঁছায় না। [ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম(ভল. ২/ পৃ. ৬৬২)],ফাতহুল বারি, খন্ড ৪/২০৭ পেজ)
🔘৩)ইনহেলার রোযা ভঙ্গ করে না।
যেহেতু
এটা ভ্যাপারাইজড হয়ে বাতাসে মিশে যায়, এবং এর কোনো কিছুই
পাকস্থলীতে পৌঁছায় না। [ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম (ভল. ২১/ পৃ. ৬৫৮)]
🔘০৪)রক্ত পরীক্ষা রোযা ভঙ্গ করে না।
যেহেতু
রক্ত পরীক্ষার জন্য অল্প পরিমাণ যেটুকু রক্ত টানা হয় তাতে দেহের উপর শিঙ্গা
লাগানোর মত প্রভাব পড়ে না। [ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম(ভল.২/ পৃ. ৬০)]
🔘০৫)নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ রোযা ভঙ্গ করে না।
যেহেতু
এটা তার ইচ্ছাকৃত নয়। তবে সে যেনো রক্তের কোনো অংশ গিলে না ফেলে।
[ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম(ভল. ২/ পৃ. ৬৬৯)]
🔘০৬)দাঁত তোলা রোযা ভঙ্গ করে না।
কেননা
দাঁত তোলাতে যতোটুকু রক্তক্ষরণ তা দেহের উপর শিঙ্গা লাগানোর মতো প্রভাব ফেলে না। [শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে সালিহ আল-উসাইমীন।
🔘০৭)খাবার চেখে দেখা রোযা ভঙ্গ করে না।
রাধুনীর
জন্য জিহ্বার ডগাতে খাবার চেখে দেখা জায়েজ। তবে তার সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত
যাতে এর কোনো অংশ সে গিলে না ফেলে। তবে অনিচ্ছাকৃত খাবার পেটে চলে গেলে এতে রোযা
ভঙ্গ হবে না। আর প্রয়োজন ছাড়া খাবার চেখে দেখা মাকরুহ, যদিও
এতে রোযা ভঙ্গ হবে না। [ফাতাওয়াস সিয়াম, পৃ. ৩৫৬; (শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে সালিহ আল-উসাইমীন)]
🔘০৮)রোযা ভঙ্গ করে না।
মিথ্যা
বলা কসম খাওয়া গালিগালাজ করা।
তবে
এগুলো রোযার সওয়াবকে কমিয়ে দেয়। [শাইখ
মুহাম্মাদ ইবনে সালিহ আল-উসাইমীন]
🔘০৮)স্বপ্নদোষ রোযা ভঙ্গ করে না।
স্বপ্নদোষ
হোক, কিংবা কেউ যদি আগের রাতে স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার পর সকালে ঘুম থেকে উঠে
নিজেকে জুনুব অবস্থায় পায়-এতে তার রোযা
ভঙ্গ
হবে না। [ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আল-দাঈমাহ; শাইখ ইবনে বায]
🔘০৯)টুথপেস্ট মাউথ ওয়াশ রোযা ভঙ্গ করে না।
তবে
টুথপেস্ট কিংবা মাউথ ওয়াশ ব্যবহার না করাই উত্তম। কেননা অসাবধানতা বশত এগুলো
গলায় চলে যেতে পারে। আর গলায় চলে গেলে রোযা ভেঙে যাবে।
[শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে সালিহ আল-উসাইমীন শাইখ ইবনে বায]
🔘১০)অনিচ্ছাকৃতবমি রোযা ভঙ্গ করে নাঁ।
তবে
ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোযা ভেঙে যাবে। [শাইখ ইবনে বায]
🔘১১)চুম্বন/আলিঙ্গন রোযা ভঙ্গ করে না।
তবে
এটা তখনই জায়েজ হবে যদি এটা যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি না করে। তবে কেবলমাত্র মযী
নির্গত হলে রোযা ভঙ্গ হবে না। কিন্তু বীর্যপাত হলে রোযা ভেঙে যাবে।
[শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে সালিহ আল-উসাইমীন]
🔘১২)চুল কাটা নখ কাটা রোযা ভঙ্গ করে না। [ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আল-দাঈমাহ]
১৩)স্নান করা রোযা ভং করে না।
স্নানের
সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে জল গলায় চলে গেলেও রোযা ভং হবে না।
[ফতোয়া আল-লাজনাহ আল-দাঈমাহ, শাইখ ইবনে বায(রহঃ)]
🔘১৩)সাঁতার কাটা জলে ডুব দেওয়া রোযা ভঙ্গ করে
না।
তবে রোযা থাকা অবস্থায় সাঁতার কাটা
মাকরুহ(অপছন্দনীয়) বিশেষ করে নোনা জলে।
[শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে সালিহ আল-উসাইমীন শাইখ মুকবিল]
0 Comments