Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

দাঁড়িয়ে পানি পান করাকে অনেকে খারাপ মনে করে।


দাঁড়িয়ে পানি পান করাকে অনেকে খারাপ মনে করে। কিন্তু দাঁড়িয়ে পানি পান করা সবসময়ই জায়েজ।।

আয়শা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (সা.)-কে দাঁড়িয়ে ও বসে পানি পান করতে, খালি পায়ে ও জুতা পরিহিত অবস্থায় সালাত আদায় করতে এবং সালাত শেষে তাঁর ডান দিক থেকে ও বাম দিক থেকে ফিরে বসতে  দেখেছি।

(সুনানে আন-নাসায়ী:১৩৬১)

কাবশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.) আমার ঘরে আসলেন, তিনি দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় একটি ঝুলন্ত মশকের মুখ হতে পানি পান করলেন। আমি পরে উঠে গিয়ে মশকের মুখের সেই অংশ (বারকাতের আশায়) কেটে রেখে দেই।

(তিরমিজি:১৮৯২, ইবনে মাজাহ:৩৪২৩; মিশকাত:৪২৮১)

কূফা মসজিদের ফটকে ‘আলী (রাঃ)-এর নিকট পানি আনা হলে তিনি দাঁড়িয়ে তা পান করলেন। এরপর তিনি বললেনঃ লোকজনের মধ্যে কেউ কেউ দাঁড়িয়ে পান করাকে মাকরূহ মনে করে, অথচ আমি নবী (সা.)-কে দেখেছি, তোমরা আমাকে যেমনভাবে পান করতে দেখলে তিনিও তেমনি করেছেন।

(বুখারী:৫৬১৫)

ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূল (সা.)-এর যামানায় আমরা হাঁটতে হাঁটতে খাবার খেতাম এবং দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় পানি পান করতাম।

(তিরমিজি:১৮৮০, মিশকাত:৪২৭৫)

এছাড়া সহিহ মুসলিমের দাড়িয়ে পানি পান নিষেধ মর্মে হাদিসগুলো অনেকের মতেই মানসুখ কারণ এর বিপরীতেই রাসূল সা. ও আলী রা. এবং সাহাবিদের আমল হাদিসে দেখা যায়। আর যদি উত্তম অনুত্তমের কথা বলা হয় তাহলে আমার কাছে দুইটাই সমান। কোনটাকে কম গুরুত্ব দেয়া রাসূল সা. এর একটা কাজকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করা।

শাইখ আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ.) বলেন,

الشرب قاعدًا أفضل والشرب قائمًا لا بأس به، والحديث الذي فيه الاستقاء منسوخ

"(পানি) বসে পান করা উত্তম। দাঁড়িয়ে পান করায় কোনও অসুবিধা নেই। আর যে হাদিসে বমি করার কথা এসেছে তা মানসুখ (রহিত)।"

আল্লাহু 'আলাম

Post a Comment

0 Comments