Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ....


আবূ বাকরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

“আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দেব না?” তিনবার বললেন, তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, “আল্লাহর সঙ্গে শির্ক করা এবং পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া”।

তিনি হেলান দিয়েছিলেন, এবার সোজা হয়ে বসলেন আর বললেন, “সাবধান! মিথ্যা কথা বলা”। তিনি বলেন, তিনি তা বারবার বলতে থাকলেন অবশেষে আমরা বললাম, যদি তিনি চুপ করতেন। 

[সহীহ] - [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] - [সহীহ বুখারী – 2654; (৫৯৭৬-৬২৭৩-৬২৭৪-৬৯১৯) (মুসলিম ১/৩৮ হাঃ ৮৭, আহমাদ ১২৩৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৪৭৮)]

ব্যাখ্যা:--

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীগণকে সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দিচ্ছেন, তার প্রেক্ষিতে এই তিনটি উল্লেখ করেছেন:

১) আল্লাহর সাথে শির্ক করা:- আর তা হলো ইবাদতের প্রকারসমূহ থেকে কোনো প্রকার ইবাদত আল্লাহ ছাড়া কারো জন্য সাব্যস্ত করা এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে তাঁর ইবাদতের একত্বে, তাঁর একক প্রভুত্বে এবং নাম ও সিফাতসমূহে তাঁর সমকক্ষ করা।

২)- পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া: পিতা-মাতার জন্য কষ্টদায়ক যাবতীয় আচরণ অবাধ্য হওয়ার অন্তর্ভুক্ত। সেটি কথা হোক বা কর্ম হোক এবং তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা ছেড়ে দেওয়া।

৩)- মিথ্যা কথা বলা; তার-ই প্রকার হলো মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া: আর তা হচ্ছে প্রত্যেক বানানো ও মিথ্যা কথা যার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, মিথ্যা যার বিপক্ষে যায় তার সম্পদ দখল করে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা অথবা তার সম্মানের উপর সীমালঙ্ঘন করা অথবা তার মত কিছু করা।

_নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিথ্যা কথার অসারতা এবং সমাজে তার খারাপ প্রভাবের উপর সাবধান করে তার থেকে সতর্কীকরণ কে বারবার উচ্চারণ করেছেন, অবশেষে সাহাবীগণ বললেন: যদি তিনি চুপ করতেন, (তারা এটা বলেছেন) তার প্রতি করুনা করে এবং ওই জিনিসকে অপছন্দ করে যা তাকে বিরক্ত করছিল।

হাদীসের শিক্ষা:-

1) সবচেয়ে বড় গুনাহ হলো আল্লাহর সাথে শরীক সাব্যস্ত করা;

কারণ তিনি তা কবিরা গুনাহসমূহের শির্ষে উল্লেখ করেছেন এবং তাকে সবচেয়ে বড় সাব্যস্ত করেছেন। এই বক্তব্যকে শক্তিশালী করে আল্লাহর বাণী:{إن الله لا يَغْفِرُ أن يشرَكَ به وَيَغْفِرُ مَا دونَ ذلِكَ لِمَنْ يشَاء}. “নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শির্ক করাকে ক্ষমা করবেন না; আর তার থেকে নিম্ন যে কোন গোনাহ যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করে দিবেন।” 

2)পিতা-মাতার হকের গুরুত্ব; কারণ আল্লাহ তা‘আলা নিজের হকের সাথে তাদের হককে যুক্ত করেছেন। 

3)গুনাহসমূহ সগিরা ও কবিরা দু’ভাগে ভাগ হয়: কবিরা হলো সেসব গুনাহ যার ব্যাপারে দুনিয়াবী শাস্তি রয়েছে, যেমন দন্ডাদেশ-সাজা ও লানত; অথবা পরকালীন কঠোর হুশিয়ারী রয়েছে, যেমন জান্নামে প্রবেশ করার হুশিয়ারী।

কবিরা গুনাহসমূহের অনেক স্তর রয়েছে।হারাম হওয়ার ক্ষেত্রে কতক গুনাহ কতক গুনাহ থেকে গুরুতর। কবিরা গুনাহসমূহ ছাড়া বাকি সব গুনাহ সগিরা।

@highlight

@followers

#rasikulindia



Post a Comment

0 Comments