🎉প্রশ্নঃ ইমাম যদি নির্ধারিত
সময়ের ৪/৫ মিনিট দেরী করে আসেন, তাহলে অন্য কেউ নির্ধারিত সময়ে ইমামতি করতে পারবেন
কি? কুরাআন সুন্নাহর আলকে ও সালাফদের আলকে রেফারেন্স ভিত্তিক সুন্দর করে সাজিয়ে দিলাম।
প্রশ্নের বিশ্লেষণ:
✎প্রশ্নটি হলো, নির্ধারিত ইমাম যদি নামাযের
জন্য ৪/৫ মিনিট দেরি করেন, তাহলে অন্য কেউ কি নির্ধারিত সময়ে ইমামতি করতে পারবেন?
এখানে মূল বিষয়গুলো হলো:
· নামাযের নির্ধারিত সময়ের গুরুত্ব।
·
ইমামের দায়িত্ব ও তার অনুপস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা।
· শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এই পরিস্থিতির সমাধান।
সাধারণত কুর’আনের নির্ধারিত সময় বা আওয়াল ওয়াক্ত পার করে আমরা মুসল্লিরা
এক সাথে জামা’আত করব বলে একটা সময় নির্ধারন করি।
তবে এই সময় টাতে কারো কিছু সময় নস্ট হলে কোন জায় আসে না ,না ইসলামের
কোন ক্ষতি হয় ? না হয় সালাতের জন্য কোন ক্ষতি
না গোনাহ হবে।
এই গুলি আদব শান্তি রক্ষার্থে মুসলিমদের ঐক্য বজায় রাখা অপরিহার্য।
আপনার সালাত আদায় করতে আসেন মাসজিদে তাহলে অতো তাড়াহুড়ো কিসের? আপনি যতক্ষণ অপেক্ষা
করবেন ততক্ষণ আপনি সাওয়াবের রাস্তায় থাকছেন, নেকি পেতে থাকবেন। আলহামদুলিল্লাহ। এর
থেকে ভাল কিছু হয় আপনারা যেটা নিয়ে সমস্যা তৈরি করছেন তার থেকে কি ভাল না খারাপ ভাব্ববেন
? যেটা নিয়ে ঝামেলা করছেন সেটা কি কুরআন সুন্নাই আছে ? এই সকল সমস্যা সমাধানের জন্যই
বই টি কাজে লাগবে।
ü ১/২ মিনিটের জন্য আপনার গোনাহ হবে না, না আপনি বিশাল বড় একটা ভুল করলেন?
ü এই গুলি যারা করে থাকেন, তারা হয়ত ইসলাম বুঝতে ভুল করেছে, না হয়ত ইসলাম
কে এখনো সঠিক বুঝতে পারে নি, আর না হয় ঈল্ম কম এই সকল বিষয়ে বা জানা নেই।
ü না যেনে যুক্তি তর্ক করা উচিৎ নয় এই গুলি ফিতনা সৃষ্টি করে এক মুসলিম
আরেক মুসলিমের, ঐক্য নষ্ট করা ঠিক নয়। ঐক্য গড়তে হয় এই গুলি বাধ্যতামুলক। কখন কঠোর
হবে না এই সব বিষয় নিয়ে। আল্লাহ্ নর্ম ভদ্র মুসলিমদের ভালোবাসেন। আল্লাহ্ কঠোর কে
ভাল বাসেন না।
প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা জামা‘আতের শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ও
ইমামতির বিধানের সাথে সম্পৃক্ত। নিচে এ বিষয়ে কুরআন, হাদীস এবং সালাফদের বাণীর আলোকে
বিস্তারিত আলোচনা পেশ করা হলো:
তার আগে নিচের এই বিষয়টা জানা দরকারঃ
👉 ইমামের জন্য অপেক্ষা করার বিধানঃ
ইসলামী শরীয়তে জামাতে সালাত আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। জামাত শুরু
হওয়ার সময় নির্ধারিত থাকলেও, যদি ইমামের আসতে সামান্য বিলম্ব হয়, তবে তাঁর জন্য কিছুক্ষণ
অপেক্ষা করা শরীয়তসম্মত। এর কারণ হলো:
➤১. ইমামের সম্মান ও মর্যাদা: নির্ধারিত ইমাম হলেন মুসল্লিদের
দ্বীনী নেতা। তাঁর জন্য সামান্য অপেক্ষা করা তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।
➤২. জামাতের শৃঙ্খলা রক্ষা: ইমামের জন্য অপেক্ষা করলে
জামাতের শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং মুসল্লিদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভেদ সৃষ্টি হয় না।
➤৩. ফিতনা থেকে বাঁচা: অনেক সময় ইমামের জন্য অপেক্ষা না করে অন্য
কাউকে দিয়ে নামাজ শুরু করলে মুসল্লিদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও মতানৈক্য সৃষ্টি হয়, যা
ফিতনার কারণ হতে পারে।
➤৪ মসজিদ কমিটির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা: মসজিদ কমিটি এই বিষয়ে একটি
স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে পারে। যেমন: "ইমাম সাহেবের সর্বোচ্চ
৫ মিনিট অপেক্ষা করা হবে। এরপর যদি তিনি না আসেন, তাহলে উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে থেকে
যিনি কুরআন ও সুন্নাহ সম্পর্কে সবচেয়ে বিজ্ঞ, তিনি নামাজ পড়াবেন।" এই নীতিমালা
সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে সবাইকে অবহিত করা যেতে পারে।
➤৫ ইলম ও প্রজ্ঞার প্রচার: মুসল্লিদের মধ্যে ইসলামী জ্ঞান
(বিশেষ করে সালাতের মাসায়েল) প্রচার করা উচিত। এর মাধ্যমে সবাই শরীয়তের সঠিক নির্দেশনা
সম্পর্কে অবগত হবেন এবং অনর্থক বিতর্কে জড়াবেন না।
➤৬ নম্রতা ও পারস্পরিক সম্মান: মুসল্লিদের মধ্যে নম্রতা,
পারস্পরিক সম্মান এবং সহনশীলতার মনোভাব তৈরি করা প্রয়োজন। মতানৈক্য দেখা দিলেও তা শালীনতার
সাথে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে, ব্যক্তিগত বিদ্বেষে জড়ানো যাবে না।
➤৭ সালাফদের আমলের অনুসরণ: সালাফগণ (নেককার পূর্বসূরিগণ)
কিভাবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে আমল করতেন, তা জানতে হবে এবং অনুসরণ করতে হবে। তারা দ্বীনের
বিষয়গুলো নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন এবং ফিতনা থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করতেন। উদাহরণস্বরূপ,
যদি কোনো ইমামের আসতে দেরি হতো এবং অন্য কেউ ইমামতি শুরু করতেন, তবে প্রথম ইমাম এসে
সালাতে শরিক হতেন এবং নিজের ইমামতির দাবি করতেন না, যদি না পূর্বের সালাত বাতিল হয়ে
যেত।
➤উসমান (রাঃ)-এর একটি দৃষ্টান্ত
এই প্রসঙ্গে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা উল্লেখ করা যায়। উসমান (রাঃ) একবার
সালাত শুরু হওয়ার পর মসজিদে পৌঁছান। তখন অন্য একজন সাহাবী ইমামতি করছিলেন। উসমান (রাঃ)
ওই সাহাবীকে সরিয়ে নিজে ইমামতি করেননি, বরং তাঁর পেছনে সালাতে দাঁড়িয়ে যান। এই ঘটনা
থেকে বোঝা যায় যে, নির্ধারিত ইমামের অনুপস্থিতিতে অন্য কেউ ইমামতি শুরু করলে, তার ইমামতিকে
মেনে নেওয়া এবং তার পেছনে সালাত আদায় করা উচিত।
যদি নির্ধারিত ইমামের আসতে সামান্য ১-২ মিনিট দেরি হয়, তবে তাঁর জন্য অপেক্ষা করা উচিত। তবে, এই অপেক্ষার একটি সীমা থাকা উচিত। যদি
ইমামের বিলম্ব এতটাই হয় যে, এতে মুসল্লিদের কষ্ট হয় বা জামাত বিলম্বে শুরু হওয়ার কারণে
অন্য কোনো ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তাহলে উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে যিনি কুরআন তিলাওয়াত এবং সুন্নাহ সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞানী, তিনি ইমামতি করবেন। এক্ষেত্রে ১-২ মিনিট অপেক্ষা করা যুক্তিসঙ্গত
এবং শরীয়তসম্মত।
কার দ্বারা নামাজ শুরু করা হবে?
যদি ইমামের আসতে এমন বিলম্ব হয় যে, অপেক্ষার প্রয়োজন নেই অথবা অপেক্ষা
করা সম্ভব না হয়, তাহলে কে ইমামতি করবেন – এই প্রশ্নটিও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে শরীয়তের
নির্দেশনা হলো:
ইমামতির জন্য সর্বাধিক যোগ্য হচ্ছেন –
➤ সর্বোত্তম কারী: সালাত আদায়ের জন্য এমন ব্যক্তিকে নির্বাচন
করতে হবে, যিনি কুরআন সবচেয়ে বিশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করতে পারেন …। এর কারণ হলো, কুরআনের
তিলাওয়াত সালাতের একটি মৌলিক রুকন এবং এর শুদ্ধতা সালাতের শুদ্ধতার জন্য অপরিহার্য।
১) আল্লাহর কিতাব (কুরআন) সবচেয়ে ভালোভাবে
জানেন,
২) সুন্নাহ ও
ফিকহ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখেন,
‘হুকুম আহকামের জ্ঞান রাখেন, (নামাযের মাসআলা, সুন্নাহ এবং ফিকহ সম্পর্কে
পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা আবশ্যক’)।
৩) তাকওয়াধারী, ধার্মিক
ও আমানতদার বা তাকওয়া ও
দীনের ক্ষেত্রে অগ্রগামী ব্যক্তি,
৪) চারিত্রিকভাবে
উত্তম ও মানুষের মাঝে গ্রহণযোগ্য।
৫) সুন্দর তিলাওয়াতকারী ও শুদ্ধ পড়তে পারেন,
৬) ইমামের নামাযের
নিয়ম-কানুন পালনের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা থাকতে হবে।
৭) যদি উপরের বিষয়গুলোতে
সমান হয়, তবে বয়সে বড় বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।।
যে ব্যক্তি ভালো করে কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন না, তাকে দিয়ে নামাজ
শুরু করা শরীয়তসম্মত নয়, যদি তার চেয়ে ভালো তিলাওয়াতকারী উপস্থিত থাকেন। …… বিস্তারিত জানতে___ ইমামতির যোগ্য কে ?
রেফারেন্স:
📖 [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৭৩।আল-মুগনী, ২/১৯৫। আল-উম্ম, ১/১৮৮।সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৫৮০।]
📘 শরিয়তের
মূলনীতি:
✎কুরআনে নামাযের সময়ানুবর্তিতার গুরুত্ব
সুস্পষ্টভাবে
উল্লেখ
আছে।
আল্লাহ
তাআলা
বলেন:
❝নিশ্চয়ই সালাত মুসলিমদের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ করা হয়েছে।❞
📚সূরা আন-নিসা:
৪:১০৩
➡️ এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, নামায নির্ধারিত
সময়েই আদায় করতে হবে। দেরি করা অনুচিত। আর এটা নির্ধারিত বলতে যখন সালাতের সময়
বা ওয়াক্ত শুরু হয় সেই সময়ে সালাত আদায় করার নির্দেশ রয়েছে।
সুতরাং, নির্ধারিত
সময়ে নামায শুরু করা মুসল্লিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
❑হাদীসের আলোকে:
🔹নামাযের সময়ের গুরুত্ব:
✎আব্দুল্লাহ
ইবন মাসউদ (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কোন আমলটি সবচেয়ে উত্তম?
রাসূল (সা.) বলেন:
"নির্ধারিত সময়ে
নামায আদায় করা।"
(সহীহ
বুখারী, হাদীস নং: ৫২৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ৮৫)
এই হাদীস থেকে বোঝা
যায়, নামাযের সময়ানুবর্তিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমামের দেরি হওয়ার কারণে নামাযের
সময় পার হয়ে যাওয়া বা বিলম্বিত হওয়া শরীয়তের দৃষ্টিকোণে অনুচিত।
🔹ইমামের বিকল্প ব্যবস্থা:
·
হাদীসে এমন ঘটনার উল্লেখ আছে, যেখানে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমামতি করতে
না পারলে অন্য সাহাবীকে ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
✎উদাহরণস্বরূপ, রাসূল (সা.) অসুস্থ
থাকাকালীন হযরত আবু বকর (রা.)-কে ইমামতির নির্দেশ দিয়েছিলেন:
"আবু
বকরকে বলো, তিনি যেন মানুষদের নিয়ে নামায পড়ান।"
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং: ৬৮৭; সহীহ মুসলিম,
হাদীস নং: ৪১৮)
এই
হাদীস থেকে বোঝা যায়, নির্ধারিত ইমাম উপস্থিত না থাকলে বা দেরি করলে, অন্য যোগ্য ব্যক্তি
ইমামতি করতে পারেন।
❑ জামাআতের গুরুত্ব:
✎রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
·
❝যখন সালাতের সময় হয়, তোমাদের একজন আজান দিক, আর তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় (অর্থাৎ যোগ্য) ব্যক্তি ইমামতি করুক।❞
📚
সহীহ বুখারী: ৬৩২, সহীহ মুসলিম:
৬৭৪
➡️ এখানে কোনো নির্দিষ্ট ইমামের কথা বলা হয়নি, বরং সময় হলে জামাআত চালু করার কথা বলা হয়েছে।
❑ সালাফদের মতামত ও আমলঃ
✎ইবনু কুদামা (রহ.) বলেন:
·
❝যদি
ইমাম সালাতের সময় থেকে দেরি করেন, তাহলে অন্য কাউকে ইমাম বানিয়ে সালাত আদায় করা মুস্তাহাব
(পছন্দনীয়), যেন সালাত দেরি না হয়।❞
📚
আল-মুগনী, ইবন কুদামা: (২/১২৮)
❑
সময়ের মধ্যে জামাআত শুরু করাই মূলনীতি:
✎
ইমাম
নববী
(রহ.)
বলেন:
·
❝যদি
নির্ধারিত ইমাম দেরি করেন এবং মুসল্লিদের মনে হয় জামা‘আতের সময় পার হয়ে যাচ্ছে,
তাহলে অন্য যোগ্য মুসল্লিকে ইমাম বানিয়ে সালাত শুরু করা জায়েয হবে।❞
📚 আল-মাজমু' (৪/১৫৮)
"যদি
নির্ধারিত ইমাম অনুপস্থিত থাকেন বা দেরি করেন, তবে মুসল্লিদের মধ্যে যিনি কুরআন,
সুন্নাহ ও ফিকহে অধিক জ্ঞানী, তিনি ইমামতি করতে পারেন, যাতে নামাযের সময় বিলম্বিত
না হয়।"
✎ ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রহ.) বলেছেন:
·
"নামাযের জন্য নির্ধারিত সময়ের
মধ্যে তা আদায় করা উচিত। ইমাম যদি উপস্থিত না থাকেন বা দেরি করেন, তবে মুসল্লিদের
মধ্যে যিনি সর্বাধিক যোগ্য (কুরআন জানেন, ফিকহে অভিজ্ঞ, তাকওয়ার অধিকারী), তিনি
ইমামতি করবেন।"
✎ ইমাম নববী (রহ.) তাঁর কিতাব আল-মাজমুতে উল্লেখ করেছেন:
✅ শরিয়তের সিদ্ধান্ত:
✎ইমাম
যদি অল্প সময়ের জন্য (যেমন: ১–২ মিনিট)
দেরি করেন এবং মুসল্লিরা অপেক্ষা করতে পারেন, তাহলে অপেক্ষা করাই উত্তম।
🔹তবে যদি ইমামের
আসার কোনো নিশ্চয়তা না থাকে বা ৪–৫ মিনিট
কেটে যায় এবং সালাতের সময় চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে মুসল্লিরা কাউকে ইমাম
বানিয়ে সালাত শুরু করতে পারেন।
মুসল্লিদের
সম্মতি: মুসল্লিদের মধ্যে ঐক্যমত থাকা উচিত
যে কে ইমামতি করবেন।
✅
ব্যবহারিক
পরামর্শ:
·
৪/৫ মিনিট দেরি: যদি ইমাম
নিয়মিতভাবে ৪/৫ মিনিট দেরি করেন এবং এটি নামাযের সময়ের উপর প্রভাব ফেলে, তবে
মুসল্লিরা ইমামের সাথে আলোচনা করে সময়ানুবর্তিতার বিষয়ে সতর্ক করতে পারেন।
·
জরুরি পরিস্থিতি: যদি ইমামের দেরি
জরুরি কারণে হয়, তবে মুসল্লিরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে পারেন। কিন্তু নামাযের
সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে, যোগ্য ব্যক্তি ইমামতি করতে পারেন।
·
মসজিদের নিয়ম: মসজিদে যদি কোনো
নির্ধারিত নীতিমালা থাকে (যেমন, বিকল্প ইমাম নিয়োগ), তবে তা অনুসরণ করা উচিত।
✅
শর্তসমূহ:
১. নতুন
ইমাম হতে হবে যোগ্য (আলিম, ক্বারী, তাকওয়াবান ইত্যাদি)।
২. ইমামতির
দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির অনুমতি থাকলে উত্তম। তবে সময় অতিক্রম হলে অনুমতি শর্ত নয়।
৩. নামাযের
সময় চলে যাওয়ার আগেই জামাআত আদায় করতে হবে।
❑
শিক্ষণীয়
বিষয়:
·
ইমাম যদি নিয়মিত সময় পালন না করেন,
তবে মুসল্লিদের উচিত বিষয়টি কমিটির মাধ্যমে সমাধান করা।
·
জামা‘আতের সালাত একটি সম্মিলিত আমল;
এতে শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা অপরিহার্য।
✅
উপসংহার
🔸 সুতরাং, কুরআন, হাদীস ও
সালাফে সালেহীনদের মতামতের ভিত্তিতে বলা যায়, নির্ধারিত ইমাম যদি ৪/৫ মিনিট দেরি
করেন এবং এতে নামাযের সময় বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে মুসল্লিদের মধ্যে
যোগ্য ব্যক্তি ইমামতি করতে পারেন। তবে, ইমামের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা
উত্তম। নামাযের সময় রক্ষা করা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে, কারণ এটি আল্লাহর
নির্দেশ।
📌 সূত্রসমূহ:
·
কুরআন:
সূরা আন-নিসা: ৪:১০৩
·
সহীহ
বুখারী: হাদীস ৬৩২, ৫২৭, ৬৮৭
·
সহীহ
মুসলিম: হাদীস ৬৭৪, ৮৫, ৪১৮
·
আল-মুগনী, ইবন কুদামা (২/১২৮)
·
আল-মাজমু’, ইমাম নববী (৪/১৫৮)
·
ফিকহ:
ইমাম নববী, আল-মাজমু শারহুল
মুহাযযাব; ইমাম আহমদ ইবন
হাম্বলের মতামত।।।
❑প্রশ্ন: 2 ইমাম
যদি নির্ধারিত থাকেন অথবা কাউকে নির্ধারণ করে থাকেন এবং কোনো কারণে ১–২ মিনিট
দেরি করেন (যেমন: ওযু করা),
তখন মুসল্লিরা অপেক্ষা না করে কম যোগ্য কাউকে দিয়ে জামা‘আত শুরু করে দিলে, তা কি শরিয়তসম্মত
? তবে এটি শরীয়তের দৃষ্টিকোণে সঠিক কিনা
?
শরীয়তের নির্দেশনা কী এই পরিস্থিতিতে ? কুরাআন সুন্নাহর আলোকে ও সালাফদের আলকে রেফারেন্স ভিত্তিক
আলচোনা।
🕌 প্রশ্নের মূল বিষয় গুলো:
§
নির্ধারিত ইমাম ১/২ মিনিট দেরি করলে (যেমন,
ওযু বা অন্য কারণে) মুসল্লিদের কি অপেক্ষা করা উচিত?
§
মুসল্লিরা যদি জামাআতের নির্ধারিত সময়ে
অপেক্ষা না করে এমন কাউকে ইমামতির জন্য নিয়োগ করেন, যিনি কুরআন সঠিকভাবে পড়তে পারেন
না, তবে এটি শরীয়তের দৃষ্টিকোণে সঠিক কিনা?
§
এই বিষয়ে মুসল্লিদের মধ্যে মতানৈক্য ও
মনোমালিন্য হয়। এর সমাধান কী?
§
শরীয়তের নির্দেশনা এবং সালাফদের মতামত
কী?
✎প্রশ্নটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ,
বিশেষ করে মসজিদের শৃঙ্খলা, ইমামতের আদব, ও জামাআতের নিয়মনীতি অনুসরণের দিক থেকে। এখানে
আমরা আলোচনা করব— ইমাম
যদি নির্ধারিত হন এবং সামান্য (১–২ মিনিট) দেরি করেন,
তাহলে অপেক্ষা না করে কম যোগ্য কাউকে দিয়ে সালাত শুরু করা কতটা সঠিক?
এই বিষয়টি আমরা কুরআন,
হাদীস, সালাফদের বাণী এবং ফিকহি ব্যাখ্যার আলোকে পর্যালোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
❑ ইসলামের
মূলনীতি: সালাত সময়মতো আদায়ঃ
🔹 আল্লাহ বলেন:
✎❝নিশ্চয়ই সালাত
নির্দিষ্ট সময়ে মুসলিমদের উপর ফরজ।❞
📚 সূরা আন-নিসা: ৪:১০৩
➡️ এ আয়াত
সময় মতো সালাত আদায়ের বাধ্যবাধকতা নির্দেশ করে।
✅ ১–২ মিনিটের ক্ষেত্রে কী হবে ?
✎ ইমাম
যদি নির্ধারিত সময়ের এক–দুই
মিনিট দেরি
করেন, এবং তার আসা প্রায় নিশ্চিত হয়,----
→
তাহলে অপেক্ষা করাই সুন্নাত
ও আদব।
📌 কারণ:
·
রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং সাহাবাগণ কখনো ইমামের আসা সম্পর্কে নিশ্চিত
থাকলে অপেক্ষা করতেন।
·
সাহাবায়ে কিরামের মধ্যে জামাআত বিলম্বিত হতো না, তবে এক–দুই মিনিট
দেরি হলে তারা ধৈর্য ধরতেন।
✅ প্রাসঙ্গিক হাদীসঃ
✦ হাদীসঃ ১
📌 ইমামতি
করার যোগ্যতা ও নেতৃত্ব প্রসঙ্গে:
✎❝তোমরা তিনজন থাকলে,
তোমাদের মধ্যে একজন ইমামতি করুক।❞
📚
সহীহ মুসলিম: ৬৭৩
➡️ যদিও
এখানে যে কোনো একজন ইমামতি করতে পারে, তবুও যদি একজন ইমাম নির্ধারিত থাকে,
তবে অপেক্ষা করাই উত্তম (ইমাম নববী, শারহু মুসলিম)।
✦ হাদীসঃ ২
✎❝যখন
ইকামত হয়ে যায়, তখন দৌড়াবেন না, শান্তভাবে আসুন। যা পান, তাতে শরিক হোন; যা বাদ
যায়, পরে পূরণ করুন।❞
📚 সহীহ বুখারী: ৬৩৫, সহীহ মুসলিম: ৬০২
➡️ নামাজ শুরু করার ব্যাপারে ধৈর্য ও শৃঙ্খলার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
তাহলে ইমামের জন্য ১–২ মিনিট অপেক্ষা করা বেশি যুক্তিযুক্ত।
📌
ইমামের
অনুপস্থিতিতে
বিকল্প:
✦ হাদীসঃ ৩
✎রাসূল
(সা.) অসুস্থ থাকাকালীন হযরত আবু বকর (রা.)-কে ইমামতির নির্দেশ দিয়েছিলেন:
"আবু বকরকে বলো,
তিনি যেন মানুষদের নিয়ে নামায পড়ান।"
(সহীহ
বুখারী, হাদীস নং: ৬৮৭)
*এটি নির্দেশ করে যে, ইমাম অনুপস্থিত বা দেরি করলে যোগ্য ব্যক্তি ইমামতি
করতে পারেন। তবে, ১/২ মিনিটের দেরির জন্য তাড়াহুড়ো করে কম যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ
করা উপযুক্ত নয়।
📌
মনোমালিন্য এড়ানো:
✦ হাদীসঃ ৪
✎রাসূল
(সা.) বলেছেন:
"মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের প্রতি হিংসা করা বৈধ নয়।"
(সহীহ
বুখারী,
হাদীস
নং:
৬০৬৪)
🔹এই হাদীস মুসলিমদের মধ্যে মনোমালিন্য ও বিবাদ এড়ানোর নির্দেশ দেয়। তাড়াহুড়োর ফলে সৃষ্ট মতানৈক্য ইসলামের চেতনার পরিপন্থী।
❑সালাফদের বাণী ও ফিকহি ব্যাখ্যা:
✦1) ইমাম ইবনু কুদামা (রহ.) বলেন:
✎❝যদি নির্ধারিত ইমাম কিছুটা দেরি করেন, তবে
অপেক্ষা করাই উত্তম। দীর্ঘ সময় দেরি না হলে অন্য কাউকে ইমাম বানানো উচিত নয়।❞
📚
আল-মুগনী, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৭৪, আল-মুগনী: ২/৩৯
➡️ "দীর্ঘ সময়" বলতে ৪–৫ মিনিটের বেশি বোঝায়।
➡️ ১–২ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করাই উত্তম।
✦ 2) ইমাম নববী (রহ.) বলেন:
·
❝যদি
নির্ধারিত ইমাম অল্প দেরি করেন, মুসল্লিদের উচিত তার জন্য অপেক্ষা করা;
·
কারণ, তাড়াহুড়া করে কম যোগ্য কাউকে দিয়ে
ইমামতি করানো নাজায়েয হতে পারে যদি এতে বিশৃঙ্খলা হয়।❞
অথবা ❝যদি ইমাম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপস্থিত না
হন, এবং সময় অতিবাহিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে মুসল্লিরা অপেক্ষা না করে নিজেদের
মধ্য থেকে একজন যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচন করে জামাআত শুরু করতে পারবেন।❞
📚 আল-মাজমু, খণ্ড: ৪, পৃষ্ঠা: ১৫৫, ৫৮, 3/360
❑
সালাফে
সালেহীনদের মধ্যে ইমাম নির্বাচন ছিল অত্যন্ত সতর্কতার বিষয়।
✦3) ইবনে সিরীন (রহ.) বলেন:
·
❝তারা
শুধু সৎ ও উত্তমদের মধ্য থেকেই মুয়াজ্জিন, ক্বারি ও ইমাম নির্বাচন করতেন।❞
— 📚 হিলইয়াতুল আওলিয়া: ২/২৭৩
✅ 4) হানাফী মাযহাবের ব্যাখ্যা
(মূলধারার মতামত):
·
❝যদি
ইমাম ১–২ মিনিট দেরি করেন, তাহলে মুসল্লিদের উচিত তার জন্য
অপেক্ষা করা;
·
তবে যদি ইমাম আসার সম্ভাবনা না থাকে,
তখন অন্য কেউ ইমামতি করতে পারে।❞
📚 রদ্দুল মুহতার: (১/৫৬৫)
✦5)
ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন:
❝ইমাম যদি নির্ধারিত সময়ের কিছু পরেও না আসে, তবে মুসল্লিরা কাউকে ইমাম
বানিয়ে সালাত শুরু করবে। দেরি করে ইমাম এলেও, সালাত চলমান থাকলে সে পিছনে জামাআতে
শরিক হবে।❞
📚 আল-মুদাওয়ানা (১/৯৫)
📘 ইবনে তায়মিয়াহ (রহ.) বলেন:
“যদি নির্ধারিত ইমাম কাছাকাছি আসেন, অপেক্ষা করা ওয়াজিব, যেন অযোগ্য ব্যক্তিকে দিয়ে জামাআত নষ্ট না হয়।”
📚 ফাতাওয়ায়ে কুবরা: ২/২৮৯
❑ব্যবহারিক পরামর্শ:
✎সামান্য
দেরি (১/২ মিনিট):
এটি সাধারণত ক্ষমাযোগ্য। মুসল্লিদের উচিত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা, কারণ এত অল্প সময়ের
জন্য ইমাম পরিবর্তন করা মসজিদের শৃঙ্খলা নষ্ট করতে পারে।
✎নিয়মিত দেরি: যদি ইমাম নিয়মিত ১/২ মিনিট বেশি দেরি করেন এবং
এটি মুসল্লিদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে, তবে মসজিদ কমিটির উচিত ইমামের সাথে আলোচনা
করে সমাধান করা।
✎জরুরি
পরিস্থিতি:
যদি নামাযের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে (যেমন, ফজর বা আসরের ক্ষেত্রে), তবে
যোগ্য ব্যক্তি ইমামতি করতে পারেন।
❑শরীয়তের বিধান:
§ ১/২ মিনিটের দেরির ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে:
✦দেরির তাৎপর্য: ১/২ মিনিটের দেরি
সাধারণত নামাযের সময়সীমা লঙ্ঘন করে না। ঘটনা যদি এই হয় যে, আশা আছে আসবেন তাই
অপেক্ষা করা উত্তম। ইমাম অনেক দেরি করছেন, জানার উপায় নেই যোগ্য ব্যক্তি ইমামতি শুরু করবে।
নিজ গাফিলতি করলে কমিটির সাথে আলোচনা করুন।
✦ইমামতির শর্ত: অন্য কেউ ইমামতি করতে পারেন, যদি:
·
ইমাম
অনুপস্থিত থাকেন বা সময়মতো দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন।
·
বিকল্প
ব্যক্তি কুরআন, ফিকহ ও তাকওয়ায় যোগ্য হন।
✦মুসল্লিদের ঐক্য: তাড়াহুড়ো করে ইমাম পরিবর্তন করলে মুসল্লিদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
❑ শিক্ষণীয় বিষয় ও ব্যাখ্যাঃ
§ ✅ ইমাম নির্ধারিত থাকলেঃ মসজিদের নির্ধারিত ইমামকে সম্মান করা এবং ১–২ মিনিট অপেক্ষা করা সুন্নাহ সম্মত,আদব ও ঐক্য রক্ষার
অংশ।
§ ❌ অপ্রয়োজনে তাড়াহুড়া করে অন্য কেউ ইমামতি
শুরু করলেঃতা বিশৃঙ্খলা ও ফিতনার কারণ হতে পারে।
§
✅ ইমাম না আসার প্রবল
সম্ভাবনা থাকলেঃ অন্য যোগ্য মুসল্লি ইমামতি করতে পারে।
§ 🔹কম যোগ্য কাউকে
সামনে আনা জামাআতের মর্যাদার পরিপন্থী।
§ 🔹সালাফগণ সময়ানুবর্তিতা
ও যোগ্যতার ভারসাম্য বজায় রাখতেন।
§ 🔹মসজিদে নির্ধারিত
সময় কিছুটা সহনশীলতার
সঙ্গে পালন করা হোক।
§
🔹জামাআত নিয়ে ঝগড়া, মনোমালিন্য, দলাদলি
করা ফিতনার কারণ—এটা
হারাম।
§ ✅ মতানৈক্য হলে, সহনশীলতা
ও ফিকহি আলোচনা জরুরি।
✅ শরিয়তের দৃষ্টিতে করণীয়:
বিষয় |
শরিয়তের অবস্থান |
নির্ধারিত
ইমাম |
অপেক্ষা করাই উত্তম, সম্মান ও শৃঙ্খলার অংশ |
১–২
মিনিট দেরি |
জায়েয পরিমাণ, এতে সালাত বা জামাআতের ফাসাদ
হয় না |
কম
যোগ্য ব্যক্তিকে দিয়ে সালাত শুরু |
শরিয়তসম্মত নয়, যদি নির্ধারিত ইমাম উপস্থিত
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে |
জামাআতের
শৃঙ্খলা |
অগ্রাধিকার পায়—তবে তা সুন্নাহ ও শিষ্টাচার
ভেঙে নয় |
❌ যদি অপেক্ষা না করে কম
যোগ্য কাউকে দিয়ে সালাত শুরু করা হয়...
·
এটি জামাআতের
সৌন্দর্য নষ্ট করে,
·
সালাতের খুশু-খুযু
ও কুরআন তিলাওয়াতের মান কমে যায়,
·
ইমামকে অপমান করা
হয়,
·
দল-মত, বিভক্তি ও
ফিতনার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
❌ ভুল সিদ্ধান্ত: অযোগ্য কাউকে দাঁড় করানোঃ
যদি এমন কাউকে দাঁড় করানো হয়,
·
যার কুরআন শুদ্ধ নয় (তালাহ্হুন) বা ভুল তিলাওয়াত),
·
যার ফিকহি জ্ঞান নেই,
·
যে নামাজের রুকন ভুল করে,
তাহলে তা শরিয়তের পরিপন্থী ও গোনাহের কাজ।
🔹 ইবনে আব্দুল বার (রহ.) বলেন:
“যে
ব্যক্তি সূরা ফাতিহায় এমন ভুল করে যা অর্থ বিকৃত করে, তার ইমামতি বৈধ নয়।”
— 📚 আল-ইসতিযকার: ২/২৭৪
✅ উপসংহার
§ কুরআন,
হাদীস ও সালাফে সালেহীনদের মতামতের ভিত্তিতে, ১/২ মিনিটের দেরির ক্ষেত্রে সাধারণত
ইমামের জন্য অপেক্ষা করা উত্তম, অন্য কেউ ইমামতি শুরু করা
উচিত নয়।
§ কারণ
এটি নামাযের সময়সীমা লঙ্ঘন করে না এবং মুসল্লিদের ঐক্য রক্ষা করে। তবে, নিয়মিত
দেরি হলে বা সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে, যোগ্য ব্যক্তি ইমামতি করতে
পারেন। শরীয়তের মূল লক্ষ্য হলো নামাযের সময় রক্ষা এবং জামাআতের শৃঙ্খলা বজায়
রাখা।
§ 🔹 তবে
যদি ইমামের আসা অনিশ্চিত হয় বা জামাআতের সময় দীর্ঘ হয়ে যায়, তাহলে অন্য কেউ ইমামতি
করতে পারে — তবে তা সম্মান বজায় রেখে হওয়া উচিত।
📚
রেফারেন্স
সমূহ:
1.
সূরা
আন-নিসা: আয়াত ১০৩, সূরা নূরআয়াত
৫৫
2.
সহীহ
বুখারী হাদীসঃ
৫২৭, ৬৩৫ , ৬৮৭
3.
সহীহ
মুসলিম: হাদীসঃ ৮৫, ৬৭৩
4.
আল-মুগনী, ইবনু কুদামা: (২/২৭৪)
5.
রদ্দুল
মুহতার: (১/৫৬৫)
6.
আল-মাজমু’ – ইমাম নববী (৪/১৫৮)
❝কোনদিন
যদি মনে হয় শেষ সময়ে এসে, আমার আমোল ভূল ছিলো,
তাহলে
সংশোধন করে নিবো ইনশাআল্লাহ,
যদি
দলিল সহোকারে পাওয়া যায়। আলহামদুলিল্লাহ্।❞
রাসিকুল
ইসলাম
আর কিছু বই__________
🕋 প্রশ্ন ইমামতির জন্য সর্বাধিক যোগ্য
কে বা তার কি কি বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার।.pdf
🕋 ঈদুল আযহার দিনের করণীয় কাজসমূহ.pdf
🕋ফরয সালাত ও সুন্নাত সালাত নির্দিষ্ট
জায়গায় আদায় করা কি ঠিক।2025.pdf
🕋মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য চারিত্রিক 42 টি
বৈশিষ্ট্য ✅ Rasikul
India 2025.pdf
0 Comments