আলোর নিজস্ব সৌন্দর্য:
⋆。"ইশ! যদি আমার আলোটা
আরও উজ্জ্বল হত!" সে প্রায়ই ভাবত। সে দেখত অন্য জোনাকিরা কত উজ্জ্বলভাবে জ্বলছে,
আর তার আলোটা যেন তাদের পাশে ফিকে মনে হত।
⋆。এক গভীর জঙ্গলে, যেখানে
তারারা মিটিমিটি জ্বলত, সেখানে বাস করত ছোট একটি জোনাকি, তার নাম আলোক। আলোক খুব ভালোবাসত
তার আলো জ্বেলে উড়তে, কিন্তু তার মন খারাপ হত কারণ তার আলোটা অন্যদের মতো উজ্জ্বল ছিল
না,
⋆。আলোক ঠিক করল, সে তার আলো আরও উজ্জ্বল করার উপায় খুঁজবে। সে প্রথমে চেষ্টা করল ফুলের মধু খেয়ে। সে ভাবল, মধুর মিষ্টি শক্তি হয়তো তার আলোকে আরও ঝলমলে করে তুলবে।
⋆。কিন্তু না, মধু খেয়েও তার
আলো একই রকম রইল। সে হতাশ হল। এরপর সে চেষ্টা করল ঝর্ণার জলে স্নান করে। সে ভেবেছিল,
ঝর্ণার স্ফটিক স্বচ্ছ জল তার আলোকে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল করে দেবে।
⋆。আলোক যখন খুব মনমরা হয়ে
একটি গাছের ডালে বসে ছিল, তখন তার কাছে এলেন এক বৃদ্ধ জোনাকি, তার নাম জ্ঞান। জ্ঞানের
আলোটা খুব শান্ত আর স্নিগ্ধ ছিল।
⋆。জ্ঞান আলোককে জিজ্ঞেস করলেন,
"কি হয়েছে, ছোট বন্ধু? তোমাকে এত মনমরা দেখাচ্ছে কেন?" আলোক তার সব দুঃখের
কথা জ্ঞানকে খুলে বলল।
⋆。জ্ঞান হাসলেন। তিনি বললেন, "আলোক, তোমার আলোটা অন্যদের মতো উজ্জ্বল না হতে পারে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তোমার আলোটা সুন্দর নয়। প্রতিটি আলোর নিজস্ব সৌন্দর্য আছে।"
⋆。"আসল উজ্জ্বলতা বাইরে
থেকে আসে না, আসে ভেতর থেকে," জ্ঞান বোঝালেন। "যখন তুমি তোমার আলো দিয়ে
অন্যদের সাহায্য করবে, তখন তোমার আলো আরও বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।"
⋆。আলোক জ্ঞানের কথা মন দিয়ে শুনল। সেদিন রাতে, যখন একটি ছোট প্রজাপতি পথ হারিয়েছিল, তখন আলোক তার ছোট আলো দিয়ে তাকে পথ দেখিয়েছিল।
⋆。আর আশ্চর্য! যখন আলোক প্রজাপতিকে
সাহায্য করছিল, তখন তার আলোটা যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল। আলোক বুঝল, তার আলোটা সবচেয়ে
সুন্দর যখন সে অন্যদের জন্য জ্বলে ওঠে। সেই থেকে আলোক আর তার আলো নিয়ে মন খারাপ করত
না। সে জানত, তার আলোটা অনন্য এবং মূল্যবান।











0 Comments