খারেজিদের চিহ্নিতকরন ও তাদের বৈশিষ্ট্যঃ ০১ কি ভাবে খারেজীদের চিনবেন? 1

  1. খারেজিদের চিহ্নিতকরন ও তাদের বৈশিষ্ট্যঃ ০১ কি ভাবে খারেজীদের চিনবেন? 1
  2. সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র জন্য এবং অসংখ্য সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি।
  3. যুগের যুগের মুসলমানরা (বিশেষ করে যুবক শ্রেণী) মহাবিপদে পতিত হয়েছে নানাবিধ ফিরকার কবলে পড়ে যা আজকের দিনেও চলমান! যুবসমাজকে চতুর্দিক দিয়ে ফিতনা ফাসাদে ঘিরে রেখেছে এবং অনেক যুবকই সেসব ফিতনার সহজ শিকার হয়ে চরমপন্থী হয়ে যাচ্ছে।
  4. বলা বাহুল্য যে,যুবসমাজ যাদের দ্বারা মিসগাইড হচ্ছে তাদের আদিপিতাগণ অর্থাৎ প্রাচীন যুগের ওইসকল গোমরাহ, যালেম, খাওয়ারিজদের তলোয়ারের আঘাতে রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের দেহ!
  5. ✍ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন তার অন্য কোন ভাইয়ের প্রতি অস্ত্র উঠিয়ে ইশারা না করে। কারণ সে জানে না হয়ত শয়তান তার হাতে ধাক্কা দিয়ে বসবে, ফলে (এক মুসলিমকে হত্যার কারণে) সে জাহান্নামের গর্তে পতিত হবে। [মুসলিম ৪৫/৩৫, হাঃ ২৬১৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৫৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫৯২)
  6. ✍ উস্তাযুল আলেম, ইমাম আব্দুল আ’জিজ বিন বাজ রহি’মাহুল্লাহ বলেন -
  7. “হক্কপন্থী লোকেরা যদি কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা, সেই কথা বর্ণনা না করতো, তাহলে ভ্রষ্টতার শিকার হয়েছে এমন লোকেরা তাদের ভুলের উপরেই থেকে যেত। তখন সাধারণ লোকেরা অন্ধভাবে সেই ভ্রষ্টতার অনুসরণ করতো। সুতরাং যারা সত্য জেনেও চুপ করে ছিলো, লোকদের পথভ্রষ্ট হওয়ার পাপ তাদের উপরেও পড়তো।”
  8. মাজমু ফাতাওয়াঃ ৩/৭২।
  9. ► ওয়া'বাদ,
  10. আমরা আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরব শায়খ ফায়সাল বিন কাজ্জার কর্তৃক রচিত "খারিজী চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্য সম্বলিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের প্রথম পর্ব।
  11. উল্লেখ্য যে, যেকোন আল্লাহর বান্দা কপি করতে চাইলে তা কোনরুপ কাটছাট ছাড়াই অনুবাদিত আর্টিকেল-টি হবহু কপি করুন!
  12. জায্বাকুমুল্লাহ।
  • -------
❒ খারেজিদের চিহ্নিতকারী ২৫টিরও বেশী বৈশিষ্ট্যঃ--
  • -------------------------- -------------------------- -------------------

  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০১
  • ইসলামের দলিলসমূহ নিজে নিজে ব্যাখ্যা করা।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০২
  • তাকফির করার ক্ষেত্রে সবার আগে থাকা, আগেও এবং এখনও।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৩
  • ইরাক এবং শামের সাথে তাদের সম্পর্ক এবং অত্র এলাকায় তাদের বরবাদি নিয়ে আসা।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৪
  • তারা হত্যাকে হালাল ঘোষণা করে (এবং ছেলেখেলা মনে করে) অথচ শক্তভাবে চুরির হুদুদ কার্যকর করে যার ফলে, মানুষ দেখে যে তাদের সম্পদ নিরাপদে আছে কিন্তু তাদের জীবন নয়।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৫
  • তারা তাদের ইসলামি এবং রাজনৈতিক মতবাদের সাথে একমত না, এমন প্রত্যেক মুসলিম দলকে তাকফির করে।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৬
  • তারা প্রত্যেক ইসলামি রাষ্ট্রকে দারুল কুফর বলে প্রত্যাখ্যান করে এবং শুধুমাত্র তাদের খিলাফার ভূখণ্ডকেই দারুল ঈমান বলে স্বীকৃতি দেয় এবং তারা মুসলিমদের আক্রমন এবং হত্যা করাকে অধিক বৈধ মনে করে কাফের এবং মুশরিক শত্রুকে আক্রমন করার থেকে।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৭
  • তারা তুচ্ছ কারণে মহিলা শিশু এবং অসমর্থদের হত্যা করার বৈধতা দেয়।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৮
  • তারা তাদের বিরোধিতাকারী প্রত্যেককে মুরজিয়া লেবেল লাগিয়ে দেয় এবং তাদের বিরোধী প্রত্যেককে কাফির ভাবে।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ০৯
  • এদের উৎপত্তি বন্ধ হবেনা যতদিন না তাদের শেষ দল আত্মপ্রকাশ করবে আল-মাসিহ আদ-দাজ্জাল এর সাথে।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১০
  • এরা সবসময় ফিৎনার সময় বের হয়। এমন এক সময়ে যখন মুসলিমরা ইতোমধ্যেই পরীক্ষা এবং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে আছে অথবা যখন মুসলিমরা তাদের শত্রুদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১১
  • তারা মসজিদ এবং অমুসলিমদের উপাসনালয়ে আক্রমণ চালায়।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১২
  • এরা অপরপক্ষের মুসলিম মহিলাদেরকে দাস হিসাবে বন্দি করাকে হালাল মনে করে।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৩
  • তাদের ফন্দি এবং চক্রান্ত সমসময় মুসলিম জনসাধারণদের ক্ষতি করে।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৪
  • খাওারিজরা এবং তাদেরকে যারা সমর্থন করে তারা সচরাচর কর্কশ, নির্দয়, এবং অল্পতেই মানুষের সমালোচনা করতে অভ্যস্ত হয়।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৫
  • তারা তাদের ভুল ব্যাখ্যার দরুন লড়াই করে যতক্ষণ না ফিৎনার উৎপত্তি হয়, এর বিপরীত করার পরিবর্তে।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৬
  • তারা কমবয়সী মেয়েদের, স্ত্রীদের, এবং পরিবারের সদস্যদের প্ররোচিত করে তাদের পরিবার এবং দায়-দায়িত্ব ফেলে তাদের তথাকথিত সাম্রাজ্যে যোগ দিতে।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৭
  • তারা তাদের দাবীকৃত খিলাফার পক্ষে লড়াই করে যদিও তা করতে গিয়ে তাদের স্ফটিক স্বচ্ছ সুন্নাহর বিপরীতে যেতে হয়।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৮
  • তারা দ্বীনের বিধান প্রয়োগ করতে চায় নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ১৯
  • তারা অমুসলিমদের দেশে বাস করতে থাকা তাদের সমমনা লোকদের এবং অনুসারিদেরকে আহ্বান জানায় যে তারা যেন তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। যদিও অমুসলিম দেশে বাস করার ভিসা দেয়ার সময় তাদেরকে আইন মেনে চলতে রাজি থাকার শর্তে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২০
  • এরা বাদসাহ/ শাসকের প্রতি আনুগত্যের দায়িত্বকে স্বীকার করে না।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২১
  • এরা মূর্তি পূজারীদের ছেড়ে দিবে কিন্তু মুসলিমদের হত্যা করার আগে দ্বিতীয়বার ভাববে না।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২২
  • এদের কাজকর্ম এত বেশী বিশৃঙ্খলা তৈরি করে যে এদেরকে সর্বনিকৃষ্ট সৃষ্টি বলা হয়েছে।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২৩
  • তারা মুসলিমদেরকে পরীক্ষা করে যে তারা তাদের পক্ষে কিনা এবং যদি তারা তাদের সমর্থক না হয় (এমনকি রাজনৈতিকভাবেও) তাহলে খারেজিরা তাদের হত্যা করা হালাল মনে করে।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২৪
  • এরা অধিকাংশই বয়সে তরুন হয়, জ্ঞানী, শিক্ষিত, এবং বয়োবৃদ্ধ আলেমরা এদের সঙ্গে থাকেন না এবং যারা তা করেন তারা ভয় থেকে করেন যেহেতু এরা তাদের ভুমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২৫
  • এদের মধ্যে প্রকৃত আলেমরা থাকবেন না।
  • ● চিহ্নিতকারী বৈশিষ্ট্যঃ ২৬
  • হত্যা থেকে শুরু করে তাদের ৫০ মিটার রক্তাক্ত, যুদ্ধবিধ্বস্ত, দুর্ভিক্ষপীড়িত, তথাকথিত খিলাফা এর সীমানার ভেতরে হুদুদ কার্যকর করা পর্যন্ত, তাদের প্রত্যেক কাজে তারা বাড়াবাড়ি করে।
  • ■ নোটঃ
  • এই আর্টিকেল এবং এতে যা আছে খাওয়ারিজরা যেসকল বৈশিষ্টের কারণে সুপরিচিত সেগুলোর তালিকা করে অনেক বই, পিডিএফ, আর্টিকেল, ভিডিও প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এখানে আমি ঐ বৈশিষ্টগুলি নিয়ে আসতে চেষ্টা করেছি যেগুলো:
  • ১.খুব সহজেই (আমি আবারও বলছি, খুব সহজেই) বর্তমান সময়ের খাওয়ারিজ দলগুলোর সাথে মিলিয়ে নেয়া যায় যারা সবদিক থেকে মুসলিম দেশগুলোকে আক্রমণ করছে।
  • ২. যে বৈশিষ্টগুলো বিশেষভাবে খারেজিদের জন্য প্রযোজ্য, যদি এককভাবে না-ও হয় তবুও অন্যান্য বৈশিষ্টের সাথে মিলে তা তাদের খারজিপনা প্রতিফলিত করে।
  • ৩. আমি এখানে যতগুলো বৈশিষ্টের কথা উল্লেখ করেছি, আমাদের সময়ে খারেজিদের ঘটানো অন্ততপক্ষে ৫টি (আমি আবারও বলছি, অন্ততপক্ষে ৫টি) বড় ধরণের ঘটনায় তার প্রত্যেকটি প্রকাশ পেয়েছে, যার ফলে এখানকার বর্ণনার সাথে তাদের মিলিয়ে নেয়া খুব সহজ এবং বাস্তবসম্মত হবে। আপনি যেকোনো সংবাদমাধ্যম অথবা যারা ঘটনাস্থলে জুলুমের শিকার হচ্ছে তাদের সাথে কথা বলেও এগুলোর ব্যাপারে জানতে পারবেন। সুতরাং আপনি যখন আজকের খারেজিরা যা করে তা সম্পর্কে পড়বেন এবং এই পোস্টে বর্ণিত বৈশিষ্টগুলোর সাথে তাদের কাজ মিলিয়ে দেখবেন তখন আপনি এই দুইয়ের মধ্যে হুবহু মিল খুঁজে পাবেন।
  • ৪. শুধুমাত্র খারেজিদের ব্যাপারেই আলোচনা করে- এমন কিতাবগুলোতে উল্লেখিত অনেক চিহ্নই আমি এখানে উল্লেখ করিনি। এছাড়াও, তাদেরকে কিভাবে হত্যা করা উচিৎ, কোন জিনিস ছেড়ে দিতে হবে, কোনটা ছাড়া যাবে না, কখন আমরা তাদের বিরুদ্ধে অন্যদের সাথে যোগ দিব আর কখন দিব না, ইত্যাদি বিধান আমি এখানে নিয়ে আসিনি। কারও যদি এ ব্যাপারে পড়তে ইচ্ছা হয় তাহলে আমি শায়খ ডক্টর আলি মুহাম্মাদ আস সাল্লাবির বই ফিকর আল-খাওয়ারিজ ওয়া আল-শিয়াহ বইটি পড়তে বলব।
  • ডঃ আলি মুহাম্মাদ আস-সাল্লাবি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ মদিনা এর একজন গ্রাজুয়েট এবং উম্ম দুরমান আল-ইসলামিয়া এর পিএইচডি ডিগ্রিধারী!
  • প্রাথমিকভাবে আমার উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যেক বৈশিষ্টের আলোচনায় উপযুক্ত ভিডিও ক্লিপ, টুইটার এর স্ক্রিন শট, নিউজ আর্টিকেল যুক্ত করে পাঠকদের জন্য মিলিয়ে দেখে বুঝতে সহজ করে দেয়া যে কিভাবে এসব বৈশিষ্ট এবং তাদের কাজ শতভাগ মিলে যায়। তবে আমি উপলদ্ধি করলাম যে তা করা যে শুধুমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ হবে তাই না বরং তার চেয়েও যেটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ তা হল যে এর ফলে অনেক পাঠক নিরাপত্তাজনিত কারণে এই আর্টিকেল শেয়ার করতে পারবেন না । সুতরাং আমি অভয় দিচ্ছি যে আমি এই আর্টিকেলকে এই ধরণের বস্তু এবং এসবের ওয়েব লিঙ্ক থেকে মুক্ত রাখব কিন্তু একইসাথে আপনার সামনে খারেজিদের পরিচয় বহনকারী কিছু চিহ্নের তালিকা আপনাদের সামনে পেশ করব যেগুলোর মাধ্যমে তাদের চেনা যায় এবং যেগুলো দিয়ে তাদের চেনা উচিৎ।
  • লক্ষ করুন যে যেমনটা আমি পূর্বেই বলেছি,এমনটা হওয়া অত্যাবশ্যক নয় যে কারও মধ্যে এগুলোর একটি বা দুইটি বৈশিষ্ট থাকলেই সে খারেজি হয়ে যাবে কিন্তু আপনি যদি সামনে যা আছে তা পড়েন এবং সারা পৃথিবীতে যা চলছে তার সাথে তা মিলিয়ে দেখেন তাহলে আমি নিশ্চিত যা আপনার এক মুহূর্তের জন্যেও সংশয় অনুভূত হবে না বি’ইযনিল্লাহ।
  • এবং আসুন আমরা তর্কের খাতিরে ধরে নেই যে এই চরমপন্থিরা খাওয়ারিজ নয়; কিন্তু তাতেও প্রত্যেক মুসলিম দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপর থেকে এই দায়িত্ব, কর্তব্য, এবং তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার মধ্যে নিহিত কল্যাণ কোনওভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় না; যেমনটা পরিস্কাররূপে বোঝা যায় নিম্নোক্ত আয়াত থেকে:
  • ✍ মহান আল্লাহ তাআলা “নিশ্চয়ই, যারা আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং যমিনে ফিতনা (সৃষ্টির চেষ্টা) করে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কিছুই না যে তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত এবং পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে নির্বাসিত করা হবে। এ হচ্ছে দুনিয়াতে তাদের জন্য অপমান; এবং আখেরাতে তাদের জন্য আছে এক মহা শাস্তি”।
  • [রেফারেন্সঃ কুরআন ৫:৩৪]
  • এছাড়াও দেখা যায় যে প্রত্যেক জাতির ক্ষেত্রে তারা ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়া মুসলিম শাসকের পর এসেছে এবং তারপর তারা তাদের তাকফির করেছে এবং তাদের মত করে যারা তাকফির করতে চায় না তাদের সকলকে হত্যা করতে চেয়েছে।
  • ✍“আরফাযা থেকে কয়েকটি বর্ণনাকারীর ধারাসহ বর্ণিত আছে যে তিনি বলেছেন: “তাদের সকলকে হত্যা কর”। আমি আল্লাহ্‌র রাসুল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে যখন তোমরা একজন লোককে তোমাদের নেতা হিসাবে মেনে চলছ, তখন কেউ তোমাদের ঐক্য বিনষ্ট করতে চাইলে অথবা তোমাদের একতা কমজোর করতে চাইলে তোমাদের উচিৎ তাকে হত্যা করা”।
  • [রেফ: সাহিহ মুসলিম, কিতাব আল- ইমারা, ৪৫৬৭]
  • ✍“আবু সা’ইদ আল-খুদরি রাঃ থেকে বর্ণিত আছে যে রাaসুলাল্লাহ সাঃ বলেছেন: যখন দুইজন খলিফাকে বায়াত দেয়া হয়, তখন যার জন্য পরে বায়াত দেয়া হয়েছে তাকে হত্যা কর”।
  • [রেফ: সাহিহ মুসলিম, কিতাব আল ইমারা, ৪৫৬৮]
  • এবং এমন আরও অনেক বর্ণনা রয়েছে যা বিভেদ সৃষ্টিকারীদেরকে হত্যার নির্দেশ দেয়, যেমন ঐ সমস্ত লোক যারা লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে হত্যায় উস্কানি দেয়, উৎসাহ দেয়, এবং নিজেরাও তা করে, যেমনটা আমরা দেখেছি বিগত ২-৩ বছরে।
  • বিঃদ্রঃ ইনশা আল্লাহ আগামী পর্বে খারিজীদের উক্ত
  • বৈশিষ্ট্যসমুহের আলোকে দালিলিক খন্ডন এবং তাদের মুল বিভ্রান্তির অপনোদন করা হবে!
  • -------------------------- -------------------------- ---------
  • ❒ প্রবন্ধঃ"খারেজী চিহ্নিতকরণ ও তাদের বৈশিষ্ট্যসমুহ"।

Post a Comment

0 Comments