Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

@@গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে প্রশ্নের উত্তরঃ >

প্রশ্নঃ নির্বাচনে ভোট দেওয়া ও প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো কি জায়েজ আছে? এখানে বলে রাখা ভালো যে, আমাদের দেশে আল্লাহর আইন দিয়ে দেশ শাসন করা হয়না।  
উত্তরঃ এটা জায়েজ নয় যে, এমন একটা নির্বাচনী ব্যবস্থায় (যেমন- গণতন্ত্র) কোন ব্যক্তি নিজেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেবে, যেখানে আল্লাহর আইন ছাড়া অন্য কোন আইন দিয়ে (যেমন বাংলাদেশের সংবিধান, ব্রিটিশ আইন, আন্তর্জাতিক আইন ইত্যাদি) শাসন করা হয় এবং ইসলামী শরিয়াহ ছাড়া অন্য কোনো কিছু দিয়ে সরকার চালানো হয়। একজন মুসলমানের জন্য এটা জায়েজ নয় যে, সে এমন কোন ব্যক্তিকে ভোট দেবে, যে এমন একটা সরকারের অংশ হিসেবে কাজ করবে।
নির্বাচনে ভোট দেওয়া তখনই জায়েজ হবে, যখন এটা আশা করা যায় যাকে ভোট দেওয়া হবে সে এই সরকারে গিয়ে (ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক) ব্যবস্থার পরিবর্তন করে ‘ইসলামী শরিয়াহ’ নিয়ে আসতে পারবে এবং সে এই নির্বাচনে এই জন্যই দাঁড়াচ্ছে যাতে করে সে (বর্তমান কুফুরী সরকারের বিরুদ্ধে) ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। এবং সে নির্বাচনে জেতার পরে (ইসলামী শরিয়াহ নিয়ে আসার পরে) ক্ষমতা ধরে রাখবেনা, যদিনা এটা ইসলামী শরিয়ার বিরুদ্ধে যায়।
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ফতোয়া প্রদান কমিটির যে সমস্ত সম্মানিত মুফতিবৃন্দ সম্মিলিতভাবে এই ফতোয়া দিয়েছেনঃ
১. শায়খ আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহ, প্রধান মুফতি ও কমিটিরি চেয়ারম্যান।
২. শায়খ আব্দুর রাজ্জাক আল-আফিফি রাহিমাহুল্লাহ,
৩. শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে গুদাইয়্যান রাহিমাহুল্লাহ,
৪. শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে ক্বুউদ রাহিমাহুল্লাহ।
ফাতওয়া আল-লাজনাহ আদ-দাইয়িমাহঃ ২৩/৪০৬-৪০৭।
Overview