🔴শায়খ সালিহ আল-ফাউজান (হা'ফিজাহুল্লাহ) বলেন
.গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা বা শাসক নির্বাচিত হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের নির্বাচন বা "ভোট" এর মাধ্যমে। এই নির্বাচনে একজন আলেম আর একজন জাহেল, একজন ঈমানদার আর একজন কাফির, একজন জ্ঞানী আর একজন মূর্খ, একজন নেককার আর একজন পাপীষ্ঠ লোকের ভোটের মূল্য সমান৷ যেখানে ভালো ও মন্দ, সত্য ও মিথ্যা, জ্ঞান ও মূর্খতার পার্থক্য করা হয়না — এমন মূর্খতাপূর্ণ ব্যবস্থাকে ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না।
.
আর আমাদের দেশে যেখানে গণতন্ত্র হচ্ছে ইয়াহুদী-খ্রীস্টানদের মুসলমান দেশ সমূহের শাসকদের উপর প্রভুত্ব করার জন্য হাতিয়ার স্বরূপ, সেখানে ভোট হচ্ছে লোক দেখানো, যেখানে ভোটের ফলাফল আগে থেকে নির্ধারিত থাকে। এই ভোটে অংশগ্রহণ করাতে মুসলমানদের কোন উপকার নেই। বরং, ভোটকে কেন্দ্র করে মারামারির মাঝে পড়ে খুন বা নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশংকা আছে।
.
এখন পর্যন্ত (রাত ১:১২) প্রাপ্ত ফলাফলঃ ২১৯-৪।
.
যাই হোক, গণতান্ত্রিক মতবাদে বিশ্বাসী লোকেরা বলে, "সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ।"
.
অথচ, এটা সম্পূর্ণ কুফুরী একটা কথা। যারা বিশ্বাস করে সকল ক্ষমতার উতস জনগণ, তারা কাফির। জনগণই যদি সকল ক্ষমতার উতস হতো, তাহলে আজ ক্ষমতাসীনরা যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারতোনা।
.
সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছেন — একমাত্র আল্লাহ৷ আল্লাহ তাআ'লা যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন, যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন। আল্লাহ তাআ'লা কখনো সুলায়মান আ'লাইহিস সালামের মতো সম্মানিত নবীকে রাজা বানান, কখনো উমার ইবনে খাত্তাব রদিয়াল্লাহু আ'নহুর মতো সাহাবীকে খলিফা বানিয়ে মুসলমানদেরকে সাহায্য করেন, কখনোবা সালাহ উদ্দিন আইউয়ুবী রহি'মাহুল্লাহর মতো সতকর্মশীল ব্যক্তিকে ক্ষমতা দিয়ে মুসলমানদের হারানো গৌরব ফিরিয়ে দেন।
.
পক্ষান্তরে, আল্লাহ তাআ'লা কখনো ফিরাউনের মতো কঠিন অত্যাচারী, নিকৃষ্ট নাস্তিককে দিয়ে মুসা আ'লাইহিস সালাম ও বনী ইসরাঈলীদের পরীক্ষা করেন, কখনো হাজ্জাজ বিন ইউসুফের মতো রক্ত পিপাসু গভর্ণর দিয়ে মুসলমানদেরকে পরীক্ষা করেন, কখনোবা বর্বর যাযাবর জাতি মোংগলদের দ্বারা মুসলমানদেরকে শাস্তি দেন।
.
সকল ক্ষমতার উৎস ঘোষণা করে মহান আল্লাহ বলেন,
.
قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَن تَشَاءُ وَتَنزِعُ الْمُلْكَ مِمَّن تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَن تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
.
অর্থঃ "(হে নবী!) আপনি বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।" (সুরা আলে-ইমরান, ২৬)
.
সুতরাং, মুসলমান ভাই ও বোনদেরকে আমি উপদেশ দিবো, কে ক্ষমতায় আসলো আর কে ক্ষমতায় গেলো — এটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা, আনন্দ-ফূর্তি, তর্ক-বিতর্ক করে অহেতুক সময় ও মনোযোগ নিষ্ট করবে না। বরং সর্বদা কোন কাজ করলে আল্লাহ খুশি হবেন সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
সংগ্রহিতঃ- তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও
শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !
0 Comments