সালাফদের মানহাজ: (কতিপয় মুলনীতি) [২য় পর্ব। ]

❒ সালাফদের মানহাজ: (কতিপয় মুলনীতি)
[২য় পর্ব। ]


মুল: শায়খ আবু জাঈদ জামীর হাফিজাহু্ল্লাহ! অনুবাদ: সুন্নাহর পথযাত্রী।---------------------● 

  • প্রত্যেক আয়াত বা হাদীসের ইস্তিদাল করা- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়। সেটা আয়াতে মুহকাম হোক বা হাদীস সুন্নাত ই মুতাব্বাহ হোক।

  • ● মুজমালের মুলনীতিতে ফয়সালা করা বা তাফসিল বা বায়ান কে অগ্রায্য করা- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়।

  • ● শুধু মারফু হাদীসকে আকড়ে ধরে মওকুফ আছার কে ছেড়ে দেয়া- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়।

  • ১৪. সকল সাহাবা বা কোন একজন সাহাবা কে কটুক্তি করা- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়।

  • ● নবী (সা) ছাড়া কাউকে তার স্থান কাউকে দেয়া- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়।

  • ● সঠিক দলীল ছাড়া একটিকে অপরটির উপর আফজাল বা উত্তম বলে দেয়া- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়।
  • অনুগ্রহ আল্লাহরই এখতিয়ারে, যাকে ইচ্ছা তাকে তিনি তা দান করেন। আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল। (হাদীদ/২৯)

  • ● ত্বাকলিদ করা বা দলীলবিহীন ভাবে অন্ধরুপে গ্রহন করা- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়।

  • ● নবী (সা) ছাড়া কোন মানুষের কথাকে অনুস্বরন করা “ফরজ” বলে দেয়া খাস করে ইজতিহাদি মাসালায়- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়।

  • ● উলামাদের কালাম'কে ধরে তার সাথে ঝগড়া শুরু করে দেয়া- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈ/তাবা তাবেঈ/ আইম্মায়েকেরাম) দের মানহাজ নয়। একজন তালিবুল ইলম এর একটা কথা স্বরণ রাখা উচিত যে, “সে একজন তালিবুল ইলম” তাই উলামাদের কোন বিশয়ে ঝগড়া মুবাহাসা উলামাদের উপর ই ছেড়ে দেয়া উচিত। তাই বড় বড় বিশয়ে তারা ঝগড়া করবে না বরং উলামারা তা করবে।

  • ● মাসআলা দেয়ার ব্যাপারে তারাহুরা করা- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়। কেননা তাড়াহুড়া শয়তানের পক্ষ হতে আর ধীরস্থিরতা রহমান এর পক্ষ হতে। সালাফরা এমন ছিলো যে, তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চুপ থাকতেন আর ফাতাওয়া অন্যের দিকে সম্মোধন করে দিতেন। এমনকি অনেক সময় মাসআলা জিজ্ঞাসাকারী ভাবতো যে, তার ইলম ই নেই! আসলে তারা কথা কম বলতেন লা ইলমের জন্য নয় বরং আল্লাহর ভয় করে!...

  • ● বিদআত বা বিদআতির সাথে উঠাবসাকে হালকা ভাবা অথবা হালকা ভাবে পেশ করা- এটা সালাফ তথা (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়। ,,,,

  • ● আহলে বিদআত বা বিদআতিকে সম্মান করা বা তাদেরকে উচু করে সবার সামনে তুলে ধরা- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়।...

  • ● বিদআতিকে বা কবিরা গুনাহগারকে বা ব্যাক্তির সাক্ষ ছাড়া কাউকে ”কাফের” ফাতাওয়া দেয়া- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈ/তাবা তাবেঈ/ আইম্মায়েকেরাম) দের মানহাজ নয়। এটা সঠিক নয় যে, অজানা কোন লোককে বিদআতি ট্যাগ লাগানো। হ্যাঁ, যদি সারঈ দিক হতে প্রমান হয় যে বিদআত করে তাহলে ঠিক আছে। এভাবেই শারঈ ভাবে কেউ কুফর না করলে তাকে বা যাকে তাকে না জেনেই বা অল্প কথার শুনেই কাফের ফাতাওয়া দেয়া এগুলো সালাফদের মানহাজ নয়।

  • ● উলামাদের ইলমী সাধারণ ভুলকে বড় করে তার শান নষ্ট করা- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়। অথবা সাধারণ ভুলের কারনে উলামাদের সম্পর্কে জবানকে লম্বা করা বা তার বই/দারস ছেড়ে দেয়া এমনকি তাদের কিতাবকে জ্বালিয়ে দেয়া বা ঐ কিতাব থেকে ফায়দা না নেয়া বা ছেড়ে দেয়া এটা খুবই ভুল এবং সালাফদের মানহাজ পরিপন্থি।

  • ● আহলে সুন্নাত এর ইলমি ভুল এর সাথে আহলে বিদআত এর ভুলকে এক পাল্লায় মাপা- এটা সালাফ (পুর্ববর্তী তাবেঈন/তাবা তাবেঈন/ আইম্মায়ে কেরাম) দের মানহাজ নয়। কেননা বনি আদমের সবারই কিছু না কিছু ভুল আছে। তাই ব্যাক্তির মানহাজ দেখতে হবে এবং এর উপর তার ভুলকে শুধরে দিয়ে তার সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে।


#সুন্নাহর_পথযাত্রী
Overview

Post a Comment

0 Comments