বাঙ্গালীর সৌদী বিদ্বেষ পর্বঃ-৫


  • বাঙ্গালীর সৌদী বিদ্বেষ পর্বঃ-৫

  • ➖➖➖➖➖❌➖➖➖➖➖

  • দশম-একাদশ শতাব্দীতে ইরানের শিয়া ইসমাঈলী সম্প্রদায় আপন দল বাড়াবার জন্য চতুর্দিকে মিশনারি পাঠায় ৷ আরো অন্যান্য ধর্মের লোকেরও তখন এদেশে আগমন ঘটে ৷ শিয়া মিশনারীদের উপর কড়া হুকুম ছিল, দল বাড়াবার জন্য কারো ধর্মমত যদি খানিকটা গ্রহণ করতে হয় তাতে কোন আপত্তি নেই ৷ মোদ্দা কথা হচ্ছে, সংখ্যাবৃদ্ধি যে করেই হোক করতে হবে ৷

  • যে আবু তাহের কারামতি হাজরে আসওয়াদ ছিনতাই করেছিলো, তার বসতি ছিলো বর্তমান বাহরাইনে ৷ আব্বাসীয় খলিফাগণ তাকে অনেক অর্থ, সম্পদ দিয়ে হাজরে আসওয়াদ উদ্ধার করেন ৷ তার কাছ থেকে হাজরে আসওয়াদ ফিরিয়ে নেওয়ার পর পরই তার উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হতে থাকে ৷ তার শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরে এমন দূর্গন্ধ বের হতে থাকে যে তার আশেপাশে কোন মানুষ ভীড়তে পারত না এবং এভাবেই তার মৃত্যু হয় ৷

  • তার এমন করুণ পরিণতি দেখে তার ভক্তরা অনেকেই তওবা করে খাঁটি মুসলমান হয়ে যায় ৷ আর বদ নসীবরা তাদের মতই থাকে ৷ উল্লেখ্য বর্তমান বাহরাইনে সুন্নীরা ক্ষমতাসীন হলেও সেখানকার ৬০ ভাগ শিয়া ৷ এই কারামতিয়া সম্প্রদায়ের একটা দল ভারতবর্ষের মুলতানে (বর্তমান পাকিস্তানে) এসে বসতি গড়ে ৷ এখানে এসেও তারা ইসলামের নামে অনৈসলামিক কার্যকালাপ পরিচালনা করতে থাকে ৷

  • ইসমাঈলী মিশনারীদের একজন এসে কাজ আরম্ভ করেন কাঠিয়াওয়াড় এবং কচ্ছের লোহানা রাজপুত সম্প্রদায়ের মধ্যে ৷ এই সম্প্রদায় ছিলো বৈষ্ণব ৷ বিষ্ণু মতবাদ এবং ইসমাঈলি শিয়া মতবাদের সংমিশ্রণে তৈরি হয় শিয়া খোজা সম্প্রদায় ৷ পাকিস্তানের কায়েদ-ই-আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এবং ভারতের মহাত্মা গান্ধী এরকম এক রাজপুত বংশের সন্তান ৷ পরে জিন্নাহের দাদা খোজা মতবাদ গ্রহণ করে মুসলমান হয় ৷

  • ভারত বর্ষে রাষ্ট্রীয় ভাবে শিয়া তোষণ শুরু হয় মোঘল সম্রাট হুমায়ুনের আমলে ৷ শের শাহের হাত থেকে রাজ্য পুনরূদ্ধারের জন্য তিনি পারস্য সম্রাটের দ্বারস্থ হন ৷ মিশরের সম্রাটদের উপাধি যেমন "ফারাও" বা "ফেরাউন" তেমনি পারস্যের সম্রাটদের উপাধি "শাহ" ৷ পারস্যের সম্রাট তখন শাহ তামাম্প ৷ তিনি ছিলেন শিয়া ইমামিয়া মাজহাবের একনিষ্ঠ অনুসারী এবং প্রচারক ৷ ইরানের তখনকার সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ও বিচারক কাজী জাহানের হাতে সম্রাট হুমায়ুন শিয়া ইমামিয়া মতবাদ গ্রহণ করেন ৷

  • এর বিনিময়ে শাহ তামাম্প তার এক ছেলে সহ বার হাজার সৈনিক সম্রাটকে প্রদান করেন, এবং শাহের এক ভাগ্নের মেয়েকে হুমায়ুনের হাতে সমর্পণ করে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ করেন ৷ এই বার হাজার লোকের মাঝে উপদেষ্টা, ধর্ম প্রচারক এবং চিত্রকরও ছিলো ৷ ভারতবর্ষে চিত্রকলার আগমন হুমায়নের হাত ধরে ৷ এখানে পাঠকদের মনে রাখা প্রয়োজন, ছবি আঁকার ব্যাপারে সুন্নী আলেমগণের বিধি-নিষেধ আছে ৷

  • সম্রাট হুমায়ুনের শিয়া মতাদর্শ গ্রহণ ছিলো একটা রাজনৈতিক কৌশল ৷ রাজ্য পুনরূদ্ধারের পর তিনি আবার সুন্নী মতবাদে ফিরে আসেন ৷ কিন্তু যে জীবাণু তিনি সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন তা ততদিনে চতুর্দিকে সংক্রমিত হয়ে গেছে ৷ সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর পর সম্রাট আকবর যার তত্ত্ববধানে বড় হন, সে বৈরাম খাঁ ছিলো একজন শিয়া ৷ সম্রাট আকবর বৈরাম খাঁর কাছ থেকে রাজনীতি এবং সামরিক শিক্ষা লাভ করলেও ছিলো নিরক্ষর ৷

  • সম্রাট আকবরের শাসনামলে ইরানে "মোলহেদ" নামে শিয়াদের আরেকটি আক্বীদার উৎপত্তি হয় ৷ সুন্নীদের মাঝে যেমন ওহাবী, সালাফী, হানাফী, মালেকী ইত্যাদি বিভাজন তৈরি করে একদল আরেক দলকে ভ্রান্ত প্রমাণ করতে ব্যস্ত শিয়াদের মাঝেও তেমন ৷ ইমামিয়া শাহ এদেরকে ভ্রান্ত আখ্যা দিয়ে এদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে এরা দলে দলে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে ৷

  • এদের একদল সম্রাট আকবরের সাথে দেখা করে তাকে বলে, আমরা জানি প্রতি এক হাজার বছরে একজন মোজাদ্দেদ বা ধর্ম প্রচারক পৃথিবীতে আসে ৷ আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখেছি আপনিই হতে যাচ্ছেন সেই মহান ব্যক্তি ৷ উল্লেখ্য সম্রাট আকবরের জন্ম আরবী ৯৪৯ হিজরীতে ৷ যেহেতু ধর্মীয় জ্ঞান ছিলো না এবং সে চাটুকারিতা পছন্দ করত ৷ তাই এদের অনেককে রাজদরবারে আশ্রয় ৷ আকবরের "দীন-ই-এলাহি" তৈরির পেছনে এদেরও প্ররোচনা ছিলো ৷

  • ইরান থেকে ভাগ্য অন্বেষণে বাংলায় এসেছিলেন আলীবর্দী খাঁ ৷ পরবর্তীতে তিনিই হন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব ৷ নবাবী আমলে ঢাকায় নিযুক্ত নায়েবে নাজেমদের (গভর্নর) অধিকাংশই ছিলেন শিয়া ৷ ঢাকার হোসনি দালান এখনো সে সাক্ষ্য বহন করে চলছে ৷ বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত কারি গাদ্দার মীর জাফরও ছিলো শিয়া ৷ শেরে মইসুর টিপু সুলতানের সাথে গাদ্দারী করে তাকে ব্রিটিশদের কাছে হারিয়ে দেওয়া মীর সাদিক ও একজন শিয়া ।

  • বৃটিশ আমলে মিথ্যে নব্যুওয়্যাতের দাবীদার আহমদীয়া শিয়া গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী তার অনুসারীদের নিয়ে তৈরি করে কাদিয়ানী সম্প্রদায় ৷ পাকিস্তানের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান ছিলো এই কাদিয়ানীর অনুসারী ৷ এখানে মুসলিম ভাই-বোনদের গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় মনে করিয়ে দেই গোলাম হোসেন, গোলাম নবী নামের সাথে এধরনের গোলাম শব্দটি সংযোজন আমাদের সমাজে এসেছে শিয়া সংস্কৃতি থেকে ৷ বর্তমানে অনেক আলেমের এ ধরনের নামের ব্যাপারে নিষেধ আছে ৷

  • মোহাম্মদ আলী জিন্নাহের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলো জরাথুস্টীয় ৷ তার একমাত্র মেয়ে দিনা বিয়ে করে ওয়াদিয়া নামের আরেক জরাথুস্টীয়কে ৷ ইন্দিরা গান্ধীর স্বামী ফিরোজ গান্ধীও ছিলো এই সম্প্রদায়ের ৷ এই জরাথুস্ট্রীয়রাও ইরান থেকে ভারতবর্ষে আসে ৷ এদের পার্সীও বলা হয় ৷ এদের নাম কিছুটা মুসলমানের মত হলেও এরা অগ্নি উপাসক ৷ হযরত ওমর (রাঃ) এর ঘাতক আবু লুলু ছিলো এই সম্প্রদায়ের ৷

  • পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ছিলো শিয়া ৷ পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা ছিলো মীর জাফরের নাতি এবং একজন শিয়া ৷ যাদের নির্দেশে ২৫শে মার্চ কালোরাতে বাংলার নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের উপর পাকিস্তানী বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে সে জুলফিকার আলী ভূট্টো এবং ইয়াহিয়া খান ও শিয়া ৷

  • বাংলাদেশের অন্যতম বহু জাতিক কোম্পানী প্রাণ ও আরএফএল প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার মেজর (অব) আমজাদ খান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর পক্ষ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছেন ৷ সে একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীও শিয়া ৷ আলোচিত নায়ক সালমান শাহ হত্যার অন্যতম খলনায়ক বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিজের মাফিয়া ডন আরেক ব্যবসায়ী অলিম্পিক গ্রুপের মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই ইসমাইলি বাহাই সম্প্রদায়ের শিয়া ৷ ট্রান্সকম গ্রুপ ও প্রথম আলোর কর্ণধার লতিফুর রহমান একজন শিয়া ৷ বৃটিশ আমল থেকে দেশের অন্যতম ধনাঢ্য ব্যবসায়ি পরিবার ইস্পাহানি গ্রুপও শিয়া ৷

  • বাংলাদেশের বর্তমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কয়েকজন শিয়া উপদেষ্টা আছে ৷ হাতে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকায় তাদের নামটা লিখতে পারছি না, তবে কিছু দিন আগে দেখলাম বাংলাদেশে আগা খান উন্নয়ন নেটওয়ার্ক ১০টি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সাথে চুক্তি করেছে ৷

  • বৃটিশ আমলে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন আগা খান তৃতীয় । সে ইসমাইলি শিয়াদের ৪৮তম ইমাম । তৎকালীন বৃটিশ রানী ভিক্টোরিয়া ১৮৯৭ সালে নাইট কমান্ডার অফ ইন্ডিয়ান এমপায়ার এবং পরবর্তীতে রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড নাইট গ্রান্ড কমান্ডার উপাধীতে ভূষিত করেন ৷ এই ইসমাইলি ইমাম সম্পর্কে জানতে গুগলে aga khan with girls লিখে সার্চ দিতে পারেন ৷ দেখে নয়ন জুড়িয়ে যাবে, দিল খোশ্ হয়ে যাবে ৷

  • আইনস্টাইন, সিগমন্ড ফ্রয়েড, মার্ক জুকারবার্গের মত জ্ঞানীদের কারনে আমরা যেমন সব ইহুদীকে দোষ দিতে পারিনা, ঠিক সেকারনে সব শিয়াকেও দোষারোপ করতে পারি না ঢালাওভাবে ৷ আবার এও বলতে পারছি না, ইহুদীরা যেভাবে আজ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে, সেভাবে ইরান বা শিয়াদের দ্বারা বাংলাদেশের মুসলমানরা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ৷ কারন আমাদের অনেক অসাম্প্রদায়িক ভাইয়ের মনে আঘাত লাগবে ৷

  • আমাদের অসাম্প্রদায়িক ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতাকে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর একটা বাণী স্মরণ করিযে দিচ্ছি- "নিশ্চয় কিয়ামতের অন্যতম নিদর্শন হলো, কিয়ামতের পূর্বে লেখালেখির বিস্তার দৃষ্টিগোচর হবে ।'' (মুসনাদে আহমাদ: ৩৬৭৬) ৷ ইহূদী, খৃষ্টানরা, মোনাফিকরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি কোরআন হাদীস নিয়ে গবেষণা করে ৷

  • বিশ্বের নামকরা সব মিডিয়া আজ ইহুদী, খৃষ্টানদের দখলে এটা আমাদের সবার জানা আছে, কিন্ত আমাদের মাঝে কয়জন জানে, ইরানি মতাদর্শ (শিয়া মতাদর্শ পড়তে পারেন) প্রচারের জন্য ২০ লক্ষ ব্লগ, ১৫ হাজার তথ্যনির্ভর সাইট, ২০০ টি সংবাদপত্র এবং ১০০ টি ম্যাগাজিন কাজ করছে!

  • "সৌদী রাজ পরিবার ইসরাঈলকে স্বীকৃতি দিয়েছে", "গ্র্যান্ড মুফতি ইহুদীদের হত্যা করা হারাম ফতোয়া দিয়েছেন", "সৌদি ধর্ম মন্ত্রী বলেছেন, ভারতবর্ষের মুসলমানরা সব হিন্দু ", "সৌদী আরবে মদের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে" "সৌদি বাদশাহ হাঁচি দিছে", "সৌদি প্রিন্স কাশি দিছে", সৌদি নিয়ে গবেষণা করাই এসব মিডিয়ার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ৷

  • এসব মিডিয়ার সাথে ফেসবুকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে লাখ, লাখ শিয়া মতাদর্শী ৷ তারা কেন এই ব্রত গ্রহণ করেছে তা আমি পূর্বের লেখাতে উল্লেখ করেছি ৷ এতগুলো মিডিয়াতে এক দিনে এক যোগে যখন একই সংবাদ প্রচার হয় তখন অনেক সুন্নী ভাই মনে করে যেন আসমানী কিতাব নাযিল হইছে ৷ প্রচার করলে দো'জাহানের অশেষ কামিয়াবী হাসিল হবে ৷ আবার অনেকে জোশে হুঁশ হারিয়ে সৌদীর পাছায় বাঁশ বাগান উজাড় করে ৷

  • দো'জাহানের অশেষ নেকী হাসিল আর বাঁশ বাগান খালি করার পূর্বে একবার ভাবুন! মনে করুন, চেয়ারম্যানের সাথে আপনার কোন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য, মতবিরোধ, মনে কষ্ট আছে ৷ আপনার কাছে কেউ একজন খবর নিয়ে আসলো চেয়ারম্যানের জারজ পোলা হইছে ৷ ধরুন, খবরটা সত্য এবং আপনি কূটনা বুড়িদের মত হেঁটে হেঁটে সবাইকে খবরটা জানিয়ে দিলেন ৷ এতে আপনার দোজাহানের অশেষ নেকী হাসিল হবে কি না এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আলেমগণ ভালো বলতে পারবেন ৷

  • কিন্তু খবরটা মিথ্যা হলে তওবা না করা পর্যন্ত নিশ্চিত আপনি আল্লাহর দরবারে চিহ্নিত হবেন মিথ্যুক এবং জালিম হিসেবে ৷ আর আল্লাহ জালিমের দোয়া কবুল করেন না এবং জালিমকে পথও প্রদর্শন করেন না ৷ হয়ত মরার পর আপনার বাঁশগুলো আপনার পাছাতেই ভাঙ্গা হবে ৷ মুমিনগণ যেন জালিমের অন্তর্ভূক্ত না হয় সেজন্য আল্লাহ সাবধান করে বলেছেন- "মুমিনগণ!যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতি সাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও ।(সূরা হুজুরাত:৬)"

  • আপনি আমাকে চিনেন না, আমার আমল-আখলাক সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা নেই, আমি যে সংবাদ দিচ্ছি তা যাচাই-বাছাই করারও কোন সুযোগও নেই আপনার কাছে ৷ অথচ আমার দেওয়া সংবাদ শেয়ার, কপি করে ছড়িয়ে দিচ্ছেন অন্যদের মাঝে! এর কারন আপনি অন্ধভক্তি করেন আমাকে ৷ আল্লাহ আপনাকে হাত, পা, চোখ, বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান কোন কিছুই কম দেননি অন্যদের থেকে ৷ অথচ, আপনি অন্ধের মত অনুসরণ, অনুকরণ করছেন অন্যকে! বর্তমান বিশ্বে কাফের, মুশরিক, মোনাফিকদের চেয়ে আমাদের বড় শত্রু আমাদের এসব অজ্ঞতা ৷

  • কখনো কি মনে প্রশ্ন জাগে, মিশরের সামান্য একজন ক্রীতদাসী শাজরাতুদূর, ককেশাসের সামান্য ক্রীতদাস রোকনুউদ্দিন যদি জেরুজালেম উদ্ধার করতে পারেন, আপনি, আমি, আমরা কোটি কোটি মুসলমান কেন আজ বদ নসীবদের কাতারে? কারন তারা আল্লাহর দ্বীন যতটুকু পালন করেছে, সৌদী, বাঙ্গালী বা হিন্দী যে দেশের মুসলমানের কথাই বলুন না কেন আমরা তা থেকে যোজন যোজন দূরে ৷ আমরা যদি তাদের পথে আসতে পারি তাহলে ব্লেম গেম খেলতে হবে না ৷ সারা দুনিয়ার মুসলমানদের অবস্থা এমনিতেই পরিবর্তন হয়ে যাবে।

  • (কলাম--->>সাইদুর রহমান।)