ডাঃ জাকির নায়েক,রমজান মাসে যারা মারা যাবে, তারা কি সবাই বেহেশতি ?
ডাঃ জাকির নায়েক,রমজান মাসে যারা মারা যাবে, তারা কি সবাই বেহেশতি“ওহে লোকেরা তোমাদের মাঝে অসীম রহমতময় রমজান মাস সমাগত এবং আল্লাহ তোমাদেরকে এই মাসে রোযা রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং এই মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ ও জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়।
এবং শয়তানকে শৃংখলাবদ্ধ করা হয় এবং এই মাসেই কদরের রাত রয়েছে,যেটা হাজার রাতের চেয়ে উত্তম”। মুসনাদে আহমদ-খন্ড-২-পৃষ্ঠা২৩০-৭১৪৮, সুনানে নাসাঈ-রোযা-৫-২১০৬
“প্রত্যেক পূন্য কাজের জন্য রমজানে আল্লাহ এর প্রতিদান ১০ গুন পর্যন্ত বাড়ায়ে থাকেন। মুহাম্মাদ (সঃ)
মূলতঃ এই হাদিসগুলো থেকে প্রশ্নগুলো এসেছে। বেহেসতের দরজা খোলা আর জাহান্নামের দরজা বন্ধ, কাজেই মানুষ মারা গেলে বেহেসতেই যাবে, এই ধরনের চিন্তা আসা স্বাভাবিক। তবে জান্নাতে যাবার জন্য অবশ্যই একটা শর্ত আছে, এটা আমাদের বুঝতে হবে। জান্নাতে যেতে হলে একটা টিকিট লাগবে আর এটা বলা আছে, সুরা ‘আল আসরে’।
মহান আল্লাহ বলেন, “সময়ের শপথ, নিশ্চয় মানুষ ধ্বংসের ভিতরে রয়েছে কিন্তু তারা ব্যতীত যারা বিশ্বাস স্থাপন করে সতকর্ম করে এবং পরস্পরকে ধৈর্য এবং সত্যের দিকে আহ্বান করে”। সুরা আল-আসর
ঈমাম শাফেয়ীর মতে কুরআনের এই সুরাটি এমন একটি প্রতিষেধক, যেটি সমস্ত মানব জাতির চিকিতসার জন্য যথেষ্ট।জান্নাএত যাবার জন্য প্রত্যেক মানুষে ৪টি শর্ত আছেঃ- ঈমান থাকা,সতকাজ করা,মানুষকে সত্যের দিকে আহ্বান করা ও ধৈর্য-ধারন করা।
সুতরাং এখান থেকে আমরা ধারনা করতে পারি,জান্নাতের দরজাগুলো যদিও খোলা থাকে, কিন্তু যে কেউ এর ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনা।আপনাকে অবশ্যই টিকিট দেখাতে হবে।সেই টিকিট হোল আল-আসর ও সেটা রমজান মাসে এই টিকিট অর্জন করা খুবই সহজ।এই মাসে মুসলমানদে ঈমানের উচ্চতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছে যায়।“এই মাসের রাতের মর্যাদা হাজার মাসের সমতূল্য”। এতে বুঝা যায়, যদি কেউ রমযান মাসের একটি রাতে আল্লাহর ইবাদত করে তাহলে সে, হাজার মাসেরও বেশী সময় ধরে ইবাদত করার মর্যাদা পাবে এবং এটা প্রায় ৮০ বছরের ইবাদতের চেয়ে বেশী।বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু ৬০ বছর হলে,একটি কদরের রাতই ৮০ বছরের চেয়ে বেশী।
সুতরাং এই মাসে, জান্নাতে যাবার সম্ভাবনা খুবই বেশী ও সহজ।যদি আপনি রমযান মাসের বাড়তি সুবিধা গ্রহন করতে না পারেন, তাহলে আপনি বন্চিত।হাদিসে এদের ‘মিসকিন’ বলা হয়েছে।
0 Comments