কেউ রোযা কাযা করেছে কিন্তু পূরন করার আগেই মারা গেল কিংবা খ) কেউ রোযা কাযা করেছে, কিন্তু অসুস্থ হয়ে গেছে



ডাঃ জাকির নায়েক, কেউ রোযা কাযা করেছে কিন্তু পূরন করার আগেই মারা গেল কিংবা খ) কেউ রোযা কাযা করেছে, কিন্তু অসুস্থ হয়ে গেছে
ডাঃ জাকির নায়েক, কেউ রোযা কাযা করেছে কিন্তু পূরন করার আগেই মারা গেল কিংবা খ) কেউ রোযা কাযা করেছে, কিন্তু অসুস্থ হয়ে গেছে
ক)   ডাঃ জাকির নায়েক,  কেউ রোযা কাযা করেছে কিন্তু পূরন করার আগেই মারা গেল কিংবা   খ)   কেউ রোযা কাযা করেছে, কিন্তু অসুস্থ হয়ে গেছে, তার কি হবে ?
ক)      এখানে আলেমদের মধ্যে দ্বিমত আছে।

১ম মতঃ
মৃত ব্যাক্তির  অভিভাবকরা সকলে রোযা রাখতে পারেন। কারন হযরত আয়েশা(রা)
বলেন,  “যে ব্যাক্তি রোযা রাখার অংগীকার করলো কিন্তু মারা গেল, তবে তার অভিভাবকদের সেই রোযা পূরন করে দিতে হবে“।  বুখারী-রোযা-১৯৫২
২য় মতঃ
তার ওয়ারিশদের রোযা রাখার দরকার নাই। তবে মৃত ব্যাক্তির কাযা হওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য ১ জন করে মিসকিন খাওয়াতে হবে।
আমর(রা) হযরত আয়েশা(রা)কে জিজ্ঞাসা করলেন, তার মাতা রমযানের কিছু রোযা কাযা করে ফেলেছে এবং সে তার মাতার পরিবর্তে রোযা  রেখে দিতে পারবে কি ? আয়েশা(রাঃ) বল্লেন, না, তবে তার প্রত্যেক  রোযার পরিবর্তে  এক শাআ পরিমান খাবার খাওয়াও”।  ইবনে হাজম-৪২২
সিদ্ধান্তঃ-
উভয় মতের হাদিসের মধ্যে বিরোধ আছে। কারন প্রথম হাদিসে প্রতিজ্ঞার কথা বলা আছে। দ্বিতীয় হাদিসে সাধারন রোযার কথা বলা আছে। আরেকটি হাদিসে আছে,
“ যদি কোন ব্যাক্তি কোন কাযা রোযা রেখে মারা যায়, তাহলে আমাদের উচিত প্রত্যেক রোযার জন্য দরিদ্রকে খাওয়ানো, সেক্ষেত্রে রেযা পূরন করার দরকার নাই। যে ব্যাক্তি মানত বা শপথের রোযা কাযা  রেখে মারা গেল, তার ওয়ারিশদের উচিত সেই রোযা পূরন করা।     আবু দাউদ-২৩৯৫
ইবনে আব্বাস বলেছেন,একদা এক ব্যাক্তি মুহাম্মাদের(সঃ) কাছে এসে বল্লো যে, তার মাতাকে ১ মাসের কাযা রোযা রাখতে হবে। এখন সে কি তার মায়ের কাযা রোযা শোধ করে দিতে পারবে ? নবী(সঃ) বল্লেন, হ্যা,এটা করা ভাল”।      বুখারী-১৯৫৩
কিন্তু এখানে রোযা  রমযানের না শপথের একথা বলা হয়নি। কাজেই দ্বিতীয় দলের
আলেমদের মতটি শক্তিশালী। রমযানের রোযা বাকী থাকলে খাওয়াতে হবে, আর শপথের রোযা হলে ওয়ারিশদের রাখতে হবে।
খ)     সকল আলেম একমত যে, বেচে থেকে যে ব্যাক্তি নামাজ পড়ে না,মৃত্যুর পর তার না পড়া নামাযের জন্য পৃথিবীতে কেউ শোধ দিতে পারবেনা।একই ভাবে যে ব্যাক্তি বৈধ কারন যেমন অসুস্থতা,বয়স্কতা ইত্যাদির জন্য নামায কাজা করে,তার মৃত্যুর পর  সেই রোযাগুলো কেউ শোধ করতে পারবেনা। মহান আল্লাহ বলেন,
এ কতিপয় নিদিষ্ট দিনের রোযা ৷ যদি তোমাদের কেউ হয়ে থাকে রোগগ্রস্ত অথবা মুসাফির তাহলে সে যেন অন্য দিনগুলোয় এই সংখ্যা পূর্ণ করে ৷ আর যাদের রোযা রাখার সামর্থ আছে (এরপরও রাখে না)তারা যেন ফিদিয়া দেয় ৷ একটি রোযার ফিদিয়া একজন মিসকিনকে খাওয়ানো৷ আর যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ও সানন্দে কিছু বেশী সৎকাজ করে,তা তার জন্য ভালো ৷ তবে যদি তোমরা সঠিক বিষয় অনুধাবন করে থাকো ৷তাহলে তোমাদের জন্য রোযা রাখাই ভালো “৷ সুরা বাকারা-১৮৪
অতএব  যে ব্যাক্তি জীবিত কিন্তু  উপযুক্ত কারনবশতঃ রোযা রাখতে পারেনা, সে প্রত্যেক রোযার পরিবর্তে  একজন মিসকিন খাওয়াবে।

Post a Comment

0 Comments