ইউসুফ সঙ্গে ডাঃ জাকির – ই’তিকাফের ব্যাখ্যা

নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিট করুন https://rasikulindia.blogspot.com/ ইসলামিক বই

ইউসুফ to ডাঃ জাকির – ইতিকাফের ব্যাখ্যা
ডাঃ  জাকির নায়েকঃ-
ক)          ই’তিকাফ শব্দটি ‘আকাফাহ’ হতে এসেছে, যার অর্থ পরিষ্কার করা,শক্ত করা,কোন জিনিসকে আরেকটার সাথে মিশানো ইত্যাদি। সেই জিনিসটা হতে পারে ভাল বা মন্দ।   মহান আল্লাহ  বলছেন,
#     “সে সময়ের কথা স্মরণ করো  ৫৪ যখন সে তার নিজের বাপকে ও জাতিকে বলেছিল, এ মূর্তিগুলো কেমন, যেগুলোর প্রতি তোমরা ভক্তিতে গদগদ হচ্ছো?”   সুরা আম্বিয়া-৫২
#        এখানে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু  অন্য স্থানে,

আর স্মরণ করো তখনকার কথা যখন আমি এই গৃহকে (কা’বা)লোকদের জন্য কেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল গণ্য করেছিরাম এবং ইবরাহীম যেখানে ইবাদাত করার জন্য দাঁড়ায় সে স্থানটিকে স্থায়ীভাবে নামাযের স্থানে পরিণত করার হুকুম দিয়েছিলাম ৷ আর ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে তাকীদ করে বলেছিলাম, আমার এই গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকূ’-সিজদাকারীদের জন্য পাক-পবিত্র রাখো”৷
“আর স্মরণ করো, ইবরাহীম ও ইসমাঈল যখন এই গৃহের প্রাচীর নির্মাণ করছিল, তারা দোয়া করে বলছিলঃ “হে আমাদের রব! আমাদের এই খিদমত কবুল করে নাও ৷ তুমি সবকিছু শ্রবণকারী ও সবকিছু জ্ঞাত”।       সুরা বাকারা-১২৫,১২৭
ই’তিকাফের অর্থ হোল নিজেকে কোন কিছুর সাথে পুরোপুরি মিশায়ে  দেয়া। এখানে মসজিদের সাথে মিশানো বুঝাচ্ছে। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরুস্কারের আশায় নিজেকে সম্পূর্ন ভাবে মসজিদের সাথে মিশায়ে দেয়া।
          ই’তিকাফ সুন্নাত তবে ফরয হবে যদি কেউ ওয়াদা করে যে, সে নির্দিষ্ট দিনে ই’তিকাফ করবে। কিন্তু সাধারনতঃ ই’তিকাফ হোল সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
#       “যে ব্যাক্তি আল্লাহর ইবাদাত করার ওয়াদা করলো তার উচিত ওয়াদা পালন করা, আর যে  আল।লাহর ইবাদত করবেনা বলে ওয়াদা করলো, তার উচিত সেই ওয়াদা পালন না করা”।      বুখারী-৬৬৯৬
#        “আর যখন তোমরা মসজিদে  ই’তিকাফে বসো তখন স্ত্রীদের সাথে সহবাস করো না ৷এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা,এর ধারে কাছেও যেয়ো না” ৷
               সুরা বাকারা- ১৮৭
#         আয়েশা (রা) বলেন, “মুহাম্মাদ(সঃ)  রমযানের শেষ ১০দিন ই’তিকাফে বসতেন  এবং তার মৃত্যুর পর আয়েশা(রাঃ)  এই ধারা অব্যহত রাখেন”।বুখারী-২০২৬
সুতরাং    ই’তিকাফ   সুন্নাত।
খ)         তিকাফের  মূল উদ্দেশ্য কি ?
#        “শবে-কদর হোল এক হাজার মাস থেকে উত্তম”।   সুরা কদর-০৩
ই’তিকাফের মূল উদ্দেশ্য হোল, লাইলাতুল কদর  খোজ করা। ১ হাজার মাসকে ১২ দিয়ে ভাগ করলে ৮৩ বছরের চেয়ে কিছু বেশী হয়, যেটা মানুষের বর্তমান গড় আয়ুর চেয়ে বেশী।  কাজেই এই রাতে কেউ ইবাদত করলে, তার সারা জীবনের ইবাদতের চেয়ে  বেশী সওয়াব পাবে।
#         “লাইলাতুল কদর খোজার জন্য (সঃ) রমযানে ১০-১০-১০ দিন ই’তিকাফে বসতেন এবং পরবর্তীতে এটা বলা হোল যে, রমযানের শেষ ১০দিনে লাইলাতুল কদর রয়েছে”।      মুসলিম-২৬২৭
তবে লাইলাতুল কদর খোজার পাশাপাশি  আরও কিছু লক্ষ্য ছিলঃ-  যেমন  অধিক ইবাদতের জন্য সব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকা। রোযাগুলো অত্যন্ত তাকওয়ার সাথে পালন করা। রাসুলের একটা সুন্নাত পালন করা।

Post a Comment

0 Comments