১৪শ পর্ব | ২৫শ অধ্যায়: ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) [৩য় কিস্তি]

    নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিট করুন
  • ▌২৫শ অধ্যায়: ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) [৩য় কিস্তি]
  • ·
  • ১৩শ বক্তব্য:
  • ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—

  • السؤال: هل الفرق المعاصرة كالأخوان والنهضة والسرورية وغيرها تعد من الفرق الخارجة على الجماعة المسلمين، أهل السُنة والجماعة أم انها من الفرق الناجية ووجودها شرعي والمبايعين لها هم من أهل السُنة؟
  • الجواب: أما هذه الفرق وغيرها فلا تعد من أهل السُنة ولا كرامة، بقي الحكم على الأفراد ولا نستطيع أن نحكم على فرد من الأفراد بأنه خارج عن الفرقة الناجية، فربما يكون جاهلاً لا يعرف، نعم الرأس الذي يعرف دعوة الأخوان المفلسين أو دعوة السرورية وكذلك أيضاً دعوة الجماعات الأخرى التي هي مخالفة للسنة، ويدعو إليها ويتعصب إليها، نستطيع أن نقول إنه ليس من الفرقة الناجية والله المستعان.

  • প্রশ্ন: “আধুনিক দলসমূহকে তথা ব্রাদারহুড, নাহদ্বাহ, সুরূরিয়্যাহ প্রভৃতিকে কি জামা‘আতুল মুসলিমীন বা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত থেকে খারিজ গণ্য করা হবে, নাকি তারা মুক্তিপ্রাপ্ত দলের অন্তর্ভুক্ত? এই দলগুলোর অস্তিত্ব কি শরিয়তসম্মত এবং এই দলগুলোর কাছে যারা বাই‘আত করেছে তারা কি আহলুস সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত?”

  • উত্তর: “এসব দল এবং অন্য দলগুলোকে আহলুস সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত গণ্য করে হবে না। কখনো না। অবশিষ্ট থাকল দলের সদস্যদের উপর হুকুম লাগানো। আমরা নির্দিষ্ট একজন সদস্যের ব্যাপারে এই হুকুম দিতে পারি না যে, সে মুক্তিপ্রাপ্ত দল থেকে খারিজ। কখনো এমন হতে পারে যে, সে অজ্ঞ, প্রকৃত বিষয় জানে না। তবে হ্যাঁ, যে ব্যক্তি ইখওয়ানুল মুফলিসূনের দা‘ওয়াত সম্পর্কে জানে অথবা সুরূরিয়্যাহ’র দা‘ওয়াত, অনুরূপভাবে অন্যান্য সুন্নাহ বিরোধী দলসমূহের দা‘ওয়াত সম্পর্কে জানে। এতৎসত্ত্বেও সে ওই দলের দিকে আহ্বান করে এবং দলের জন্য গোঁড়ামি করে, তার ব্যাপারে আমরা বলতে পারি যে, সে মুক্তিপ্রাপ্ত দলের (আহলুস সুন্নাহ’র) অন্তর্ভুক্ত নয়। আল্লাহ সহায় হোন।” [“আত-তিবইয়ান ‘আলা আসইলাতি আহলি কুর্দিস্তান”– শীর্ষক ক্লিপ থেকে; গৃহীত: www.muqbel.net/fatwa.php?fatwa_id=1825.]
  • ·
  • ১৪শ বক্তব্য:

  • ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—

  • السؤال: هل الإخوان المسلمون يدخلون تحت مسمى الفرقة الناجية، والطائفة المنصورة، أهل السنة والجماعة منهجا وأفرادا أم لا؟
  • الجواب: أما المنهج فمنهج مبتدع من تأسيسه ومن أول أمره، فالمؤسس كان يطوف بالقبور وهو حسن البنا، ويدعو إلى التقريب بين السنة والشيعة، ويحتفل بالموالد، فالمنهج من أول أمره منهج مبتدع ضال. أما الأفراد فلا نستطيع أن نجري عليهم حكما عاما، فمن كان يعرف أفكار حسن البنا المبتدع ثم يمشي بعدها فهو ضال، ومن كان لا يعرف هذا ودخل معهم باسم أنه ينصر الإسلام والمسلمين ولا يعرف حقيقة أمرهم فلسنا نحكم عليه بشيء، لكننا نعتبره مخطئا ويجب عليه أن يعيد النظر حتى لا يضيع عمره بعد الأناشيد والتمثيليات، وانتهاز الفرص لجمع الأموال.

  • প্রশ্ন: “মুসলিম ব্রাদারহুড কি মানহাজের দিক থেকে এবং একক সদস্যদের দিক থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত দল ও সাহায্যপ্রাপ্ত দল আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের নামের আওতাভুক্ত হবে, নাকি হবে না?”

  • উত্তর: “প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এই দলের মানহাজ বিদ‘আতী মানহাজ। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা কবরে ত্বাওয়াফ (প্রদক্ষিণ) করে। সে হলো হাসান আল-বান্না। সে সুন্নী এবং শী‘আদের নিকটবর্তী করার দিকে আহ্বান করে। সে মীলাদ উদ্‌যাপন করে। সুতরাং এই দলের মানহাজ প্রথম থেকেই পথভ্রষ্ট বিদ‘আতী মানহাজ। পক্ষান্তরে দলের সদস্যদের ব্যাপারে আমরা ব্যাপক হুকুম লাগাতে পারি না। যে ব্যক্তি বিদ‘আতী হাসান আল-বান্না’র মতাদর্শ সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও এই মানহাজ অনুসরণ করে, সে পথভ্রষ্ট। 

  • আর যে এ সম্পর্কে জানে না এবং যে ইসলাম ও মুসলিমদের সাহায্য করবে মনস্থ করে তাতে প্রবেশ করে, কিন্তু তাদের হাকিকত সম্পর্কে জানে না; তার উপর আমরা কোনো হুকুম লাগাব না। তবে আমরা তাকে ভুলকারী হিসেবে গণ্য করব। তার উপর আবশ্যক হলো—আবার দৃষ্টি ফেরানো, যাতে করে সে সঙ্গীত ও অভিনয় করে এবং অর্থ জমা করার জন্য (স্বীয়) অবসরকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনকে নষ্ট না করে।” [ইমাম মুক্ববিল আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ), তুহফাতুল মুজীব ‘আলা আসইলাতিল হাদ্বিরি ওয়াল গারীব; পৃষ্ঠা: ৯৬; দারুল আসার, সানা (ইয়েমেন) কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৩ হি./২০০২ খ্রি. (২য় প্রকাশ)]
  • ·
  • ১৫শ বক্তব্য:

  • ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—

  • السؤال: هل تعد الجماعات الإسلامية المعاصرة كالإخوان والتبيلغ وممن سار على نهجهما من أهل السنة، رغم ما عندهم من البدع والبعد عن الكتاب والسنة، وما هو الضابط لدخول الفئة أو الجماعة لجماعة أهل السنة والخروج منها؟
  • الجواب: نتكلم على المناهج لا على الأفراد، فأما الأفراد فإن هاتين الطائفتين خليط، ففيهم السلفي، وفيهم الصوفي، وفيهم الشيعي، وفيهم المادي، كما قسمنا هذا في «المخرج من الفتنة»، لكن نتكلم على مناهجهم، فمنهج الإخوان المسلمين بدعي، فآثاره تدل على أنه بدعي. 
  • فقبل أيام كانوا يصفقون للخميني، وعاش الخميني، فلما افتضح أمره فإذا هم يقولون : الخميني رافضي ضال، وبعد أيام يصفقون لـ«ضياء الحق» وعاش ضياء الحق، وهو فكر أمريكي، إسلامي بالقول، أمريكي بالفعل، وبعد هذا «صدام» صدمه الله بالبلاء، خرجوا كالأنعام السائبة يظاهرون لـ«صدام».
  • ثم الخطب في «عمر البشير» صاحب السودان، وأنا آسف على أوقاتهم، وأوقات الذين يستمعون لهم، وهم يمدحون الرؤساء، ويذمون الرؤساء، يمدحون من يظنون أنه يتعاطف معهم، ويذمون من يرونه مناوئاً لدعوتهم.
  • أما جماعة التبيلغ فلا أمر بمعروف، ولا نهى عن المنكر، ولا إنكار لشركيات.
  • فهم خليط، فلا يستطيع أن يحكم الشخص على كل فرد منهم، فربما يكون سنياً لا يعرف المنهج، أو يكون سنياً لا يعرف منهج الإخوان المسلمين ولا منهج جماعة التبيلغ، فيكون معذوراً بهذا.
  • فمنهجهم لا يعد من أهل السنة، ومن كان ملتزماً بمنهجهم فليس من أهل السنة.

  • প্রশ্ন: “আধুনিক ইসলামী দলসমূহ যেমন: মুসলিম ব্রাদারহুড, তাবলীগ জামা‘আত এবং যারা তাদের মানহাজ অনুসরণ করে—তাদেরকে কি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করা হবে, অথচ তাদের অনেক বিদ‘আত রয়েছে এবং কিতাব ও সুন্নাহ থেকে দূরে অবস্থান করার মতো বিষয় রয়েছে? আর কোনো দল বা জামা‘আতের আহলুস সুন্নাহ’য় প্রবেশ করার বা তা থেকে বের হয়ে যাওয়ার মানদণ্ড কী?”

  • উত্তর: “আমরা মানহাজের ব্যাপারে কথা বলব, ব্যক্তিদের তথা সদস্যদের ব্যাপারে নয়। কেননা এই দুই দলের সদস্যরা সংমিশ্রিত। তাদের মধ্যে সালাফী আছে, সূফী আছে, শী‘আ আছে, বস্তুবাদী আছে। যেমনটি আমরা ‘আল-মাখরাজ মিনাল ফিতনাহ’ বইয়ে ভাগ করেছি। কিন্তু আমরা তাদের মানহাজের ব্যাপারে কথা বলব। মুসলিম ব্রাদারহুডের মানহাজ বিদ‘আতী মানহাজ। তাদের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে, তাদের মানহাজ বিদ‘আতী। 

  • কিছুদিন আগে তারা খোমেনীর জন্য হাততালি দিত এবং খোমেনীর সাথে চলাফেরা করত। তারপর যখন খোমেনীর বিষয় প্রকাশিত হয়ে গেল, তখন তারা বলতে লাগল, খোমেনী পথভ্রষ্ট রাফিদ্বী। কিছুদিন পর তারা জিয়াউল হকের জন্য হাততালি দিতে লাগল এবং জিয়াউল হকের সাথে মেলামেশা করতে লাগল। অথচ সে একজন আমেরিকান চিন্তাবিদ। সে কথাবার্তায় ইসলামিস্ট, কিন্তু কাজকর্মে আমেরিকান। তারপর হলো সাদ্দাম, সাদামাহুল্লাহু বিল বালা (আল্লাহ ওকে দুর্যোগ দিয়ে ধ্বংস করুন); তারা ছেড়ে দেওয়া চতুষ্পদ জন্তুর মতো বের হয়ে সাদ্দামের জন্য বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে লাগল।

  • তারপর সুদানের ‘উমার বাশীরের ব্যাপারে খুত্ববাহ প্রদান; আমি তাদের সময়ের ব্যাপারে বিষণ্ন এবং যারা তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে তাদের সময়ের ব্যাপারে বিষণ্ন। তারা বিভিন্ন নেতার প্রশংসা করে, আবার অনেক নেতার নিন্দা করে। তারা যাকে তাদের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল বলে মনে করে, তারা তার প্রশংসা করে। পক্ষান্তরে তারা যাকে তাদের দা‘ওয়াতের বিরোধী বলে মনে করে, তারা তার নিন্দা করে।

  • আর তাবলীগ জামা‘আত; তাদের কোনো সৎকাজের আদেশ নেই, অসৎকাজের নিষেধ নেই এবং শির্কী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা নেই। তারাও সংমিশ্রিত। তাদের প্রত্যেক সদস্যের ব্যাপারে আমরা হুকুম লাগাতে পারি না। কখনো কখনো এমন সুন্নী থাকে, যে মানহাজ সম্পর্কে জানে না অথবা এমন সুন্নী থাকে, যে তাবলীগ জামা‘আতের মানহাজ সম্পর্কে জানে না, তখন সে এ ব্যাপারে ওজরগ্রস্ত বলে গণ্য হবে। তাদের মানহাজ আহলুস সুন্নাহ’র মানহাজের অন্তর্ভুক্ত নয়। যে ব্যক্তি তাদের মানহাজ আঁকড়ে ধরবে, সে আহলুস সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত নয়।” [ইমাম মুক্ববিল আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ), ক্বাম‘উল মু‘আনিদ ওয়া যাজরুল হাক্বিদিল হাসিদ; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৩৮৮-৩৮৯; দারুল হাদীস, দাম্মাজ কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪১৩ হি./১৯৯৩ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
  • ·
  • ১৬শ বক্তব্য:

  • ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—

  • السؤال: أيهما أشد فسادا على الأمة الإسلامية وعلى الدعوة منهج الإخوان المسلمين أم منهج اليهود والنصارى؟
  • الجواب: هذا أمر لا يقارن بين منهج الإخوان المسلمين واليهود والنصارى، فمنهج الإخوان المسلمين منهج مبتدع ولكن يوجد فيهم أفراد صالحون ومحبون للخير ويظنون أنهم على خير، كما أنه يوجد في جمعية إحياء التراث أفراد صالحون محبون للخير ويظنون أنهم على خير. فلا يقارن بين ذا وذاك بين من هم أشد عداوة للإسلام والمسلمين وهم يزحفون على بلادنا كل يوم وكل وقت، وهم ينشرون أو يدعون إلى النصرانية وإلى اليهودية وهم يقهرون المسلمين على الدخول في النصرانية ويستغلون فقر المسلمين في إفريقيا وفي كثير من البلاد الإسلامية.
  • فلا يقارن بين ذا وذاك، حسب الإخوان المسلمين أن منهجهم منهج ضلالي ومنهج مبتدع، أما أن يقارنوا بأولئك فهذا لا يكون، ولا يقارن بينهم إلا شخص أعمى البصيرة متعصب تعصبا أعمى، وبحمد الله فإننا في كتبنا نلازم العدالة: ﴿إن الله يأمر بالعدل والإحسان﴾، ويقول: ﴿وإذا قلتم فاعدلوا﴾، ﴿ولا يجرمنكم شنآن قوم على ألا تعدلوا اعدلوا هو أقرب للتقوى﴾.
  • ونود أن الإخوان المسلمين والأخوة أصحاب جمعية إحياء التراث يتركون ما هم عليه من الحزبية، فلا نقارن هؤلاء بأولئك فإن أهل السنة عندهم عدالة، لكننا ننصح كل أخ ألا يلتحق بالإخوان المسلمين ولا بجمعية إحياء التراث ولا بجمعية الحكمة أو الإحسان وقد قبل النصيحة خلق لا يعلم عددهم إلا الله سبحانه وتعالى.

  • প্রশ্ন: “মুসলিম উম্মাহ এবং (সালাফী) দা‘ওয়াতের জন্য কোনটি বেশি ধ্বংসাত্মক, মুসলিম ব্রাদারহুডের মানহাজ, নাকি ইহুদি-খ্রিষ্টানের মানহাজ?”

  • উত্তর: “এটা তুলনাযোগ্য বিষয় নয়। মুসলিম ব্রাদারহুডের মানহাজ এবং ইহুদি-খ্রিষ্টানের মানহাজের মধ্যে তুলনা করা যায় না। মুসলিম ব্রাদারহুডের মানহাজ হলো বিদ‘আতী মানহাজ। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেক ভালো ব্যক্তি এবং কল্যাণের অভিলাষী আছে, যারা মনে করে যে, তারা কল্যাণের উপর রয়েছে। যেমনভাবে জমঈয়তে ইহইয়াউত তুরাসে অনেক ভালো ব্যক্তি এবং কল্যাণের অভিলাষী আছে, যারা মনে করে যে, তারা কল্যাণের উপর রয়েছে। সুতরাং এদের সাথে ওদের (ইহুদি-খ্রিষ্টান) তুলনা করা যায় না। তাদের সাথে তুলনা করা যায় না, যারা ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি সবচেয়ে বেশি বিদ্বেষ পোষণ করে। তারা প্রতিটা দিন এবং প্রতিটা সময় আমাদের দেশের উপর মার্চ করছে। তারা খ্রিষ্টধর্ম এবং ইহুদিবাদের দিকে আহ্বান করছে। মুসলিমদেরকে জোর করে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করছে। আফ্রিকায় এবং অসংখ্য মুসলিম দেশের দরিদ্রতাকে তারা নিজেদের কাজে লাগাচ্ছে।

  • সুতরাং এদের সাথে ওদের তুলনা চলে না। তবে মুসলিম ব্রাদারহুডের মানহাজ পথভ্রষ্ট বিদ‘আতী মানহাজ। কিন্তু এদের ওদের সাথে তুলনা করা যায় না। কোনো গোঁড়া অন্ধ ছাড়া কেউ তাদের মধ্যে তুলনা করতে পারে না। আল-হামদুলিল্লাহ, আমরা কিতাবে উল্লিখিত ন্যায়পরায়ণতা অব্যাহত রাখি। মহান আল্লাহ বলেছেন, “নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফ ও সদাচার করার আদেশ দেন।” (সূরাহ নাহল: ৯০) তিনি আরও বলেছেন, “আর যখন তোমরা কথা বলবে, তখন ইনসাফ করো।” (সূরাহ আন‘আম: ১২৫) তিনি আরও বলেছেন, “কোনো কওমের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে কোনোভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ করো, তা তাক্বওয়ার নিকটতর।” (সূরাহ মাইদাহ: ৮)

  • আমরা আশা করছি, মুসলিম ব্রাদারহুড এবং জমঈয়তে ইহইয়াউত তুরাসের ভাইয়েরা যে হিযবিয়্যাহ’র (দলবাজি) উপর আছে, তারা তা বর্জন করবে। তবে আমরা তাদেরকে ওদের সাথে তুলনা করব না। কেননা আহলুস সুন্নাহ’র ন্যায়পরায়ণতা আছে। কিন্তু আমরা সকল ভাইকে নসিহত করছি, তারা যেন মুসলিম ব্রাদারহুড, জমঈয়তে ইহইয়াউত তুরাস, জমঈয়তে হিকমাহ এবং জমঈয়তে ইহসানে না ঢুকে। যদিও নসিহতের আগেই অনেকে ঢুকে পড়েছে, যাদের সংখ্যা আল্লাহই ভালো জানেন।” [ইমাম মুক্ববিল আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ), তুহফাতুল মুজীব ‘আলা আসইলাতিল হাদ্বিরি ওয়াল গারীব; পৃষ্ঠা: ১৭৬-১৭৮; দারুল আসার, সানা (ইয়েমেন) কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৩ হি./২০০২ খ্রি. (২য় প্রকাশ)]
  • ·
  • ১৭শ বক্তব্য:

  • ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—

  • السؤال: قال شخص: لا بد للمسلم أن ينضم إلى جماعة معينة يدعو إليها فهل هذا صحيح أم باطل؟
  • الجواب: ينبغي أن ينضم إلى جماعة المسلمين، لأن الرسول ﷺ يقول: «مَنْ شَذَّ شَذَّ إِلَى النَّارِ». فإذا شذ مسلم عن جماعة المسلمين فهو إلى النار.
  • ورب العزة يقول في كتابه الكريم: ﴿وَمَنْ يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَىٰ وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ ۖ وَسَاءَتْ مَصِيرًا﴾ [النساء : ١١٥].
  • أما أن ينضم إلى جماعة التبليغ والإخوان أو إلى غيرهم فهذه جماعات مبتدعة لا يجوز أن ينضم إليها، ومن وقع في البيعة؛ فلا بأس أن يتركها إذا كانت اشتملت على قسم فعليه أن يكفر؛ لأن الرسول ﷺ يقول: «مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِهَا وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ» رواه مسلم.

  • প্রশ্ন: “এক ব্যক্তি বলেছে, একজন মুসলিমকে অবশ্যই কোনো নির্দিষ্ট একটি দলে যোগ দিতে হবে, যে দলের দিকে সে লোকদের আহ্বান করবে। এই কথা কি সঠিক, নাকি বাতিল?”

  • উত্তর: “জামা‘আতুল মুসলিমীনে যোগদান করা বাঞ্ছনীয়। কেননা রাসূল ﷺ বলেছেন, “যে লোক (জামা‘আত থেকে) আলাদা হয়ে গেছে, সে বিচ্ছিন্নভাবেই জাহান্নামে যাবে।” (তিরমিযী, হা/ ২১৬৭; সনদ: দুর্বল) যখন একজন মুসলিম জামা‘আতুল মুসলিমীন [জামা‘আতুল মুসলিমীনের ব্যাখ্যা শাইখের ফাতওয়ায় গত হয়েছে – সংকলক] থেকে আলাদা হয়ে যায়, তখন সে জাহান্নামের দিকে ধাবিত হয়। মহান আল্লাহ তাঁর সম্মানিত কিতাবে বলেছেন, “আর যে সত্যপথ প্রকাশিত হওয়ার পর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথের বিপরীত পথ অনুসরণ করে, আমি তাকে সেদিকে ফেরাব যেদিকে সে ফিরে এবং তাকে প্রবেশ করাব জাহান্নামে। আর কতইনা মন্দ সে আবাস!” (সূরাহ নিসা: ১১৫)

  • পক্ষান্তরে তাবলীগ, ব্রাদারহুড ও অন্যান্য দলে যোগদান করা; এগুলো বিদ‘আতী দল। সুতরাং এসব দলে যোগ দেওয়া জায়েজ নয়। যদি কেউ দলের নিকট বাই‘আত করে থাকে, তবুও দল পরিত্যাগ করায় কোনো সমস্যা নেই। আর বাই‘আতে যদি কসম শামিল থাকে, তাহলে তাকে কসমের কাফফারাহ আদায় করতে হবে। কেননা রাসূল ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে শপথ (কসম) করে, পরে অন্যটিকে তা থেকে উত্তম মনে করে, সে যেন তা করে ফেলে এবং নিজের কসমের কাফফারাহ দেয়।” (সাহীহ মুসলিম, হা/১৬৫০; ‘কসম’ অধ্যায়; পরিচ্ছেদ- ৩)” [ইমাম মুক্ববিল আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ), গারাতুল আশরিত্বাহ ‘আলা আহলিল জাহলি ওয়াস সাফসাত্বাহ; খণ্ড: ১; পৃষ্ঠা: ২২০-২২১; দারুল হারামাইন, কায়রো কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪১৯ হি./১৯৯৮ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
  • ·
  • ১৮শ বক্তব্য:

  • ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—

  • السؤال: هل يجب تحذير الشباب الذين لا ينتمون إلى هذه الجماعات من هؤلاء الشباب الذين ينتمون إليها؟
  • الجواب: يجب التحذير من دعوة الإخوان المفلسين ومن جماعة التبليغ، لكن الشباب الذين يظنون أن جماعة التبليغ على هدى فتدعوهم وتعلهم، حتى إن استطعت أن تتغافل عن هذا الأمر تغافلت حتى يعلموا ويتعلموا وهم سيتركون من أنفسهم، وهكذا الشباب الذين لا يعرفون ما الإخوان المفلسون عليه كذلك أيضًا، فإن استطعت أن تعلمهم كتاب الله وسنة رسول الله صلى الله عليه وعلى آله وسلم فهذا أمر حسن، على أنهم إذا علموا أنك لست مخلصاً معهم سيسحبون شبابهم من عندك، وهذا حاصل فقد قاله سعيد حوى في بعض كتبه قال: العلماء الذين يصطدمون مع دعوتنا ينبغي أن نسحب الشباب من بين أيديهم حتى لا يشعر العالم إلا وهو وحيد.
  • سعيد حوى المسكين الذي أضاع عمره في خدمة دعوة الإخوان المفلسين ومات وماتت كتبه. وقد خلف سعيد حوى في خدمة دعوة الإخوان المفلسين صلاح الصاوي، فيا صلاح الصاوي سيضيع عمرك كما ضاع عمر سعيد حوى وتنتهي بخفي حنين فلا حصلت على شباب ولا تمسكت بدينك، صلاح الصاوي الذي كان رجلاً صالحاً ثم انتكس فهو الآن خليفة سعيد حوى وإنني أنصحه أن يعتبر بسعيد حوى. والله المستعان.

  • প্রশ্ন: “যেসব যুবক এই দলসমূহে যোগ দেয়নি, তাদেরকে কি সেসব যুবকদের থেকে সতর্ক করা ওয়াজিব, যারা এসব দলে যোগ দিয়েছে?”

  • উত্তর: “ইখওয়ানুল মু্ফলিসূন এবং তাবলীগ জামা‘আতের দা‘ওয়াত থেকে সতর্ক করা ওয়াজিব। কিন্তু যেসব যুবক মনে করে, তাবলীগ জামা‘আত হিদায়াতের উপর রয়েছে, তাদেরকে তুমি দা‘ওয়াত দিবে এবং জানাবে। তুমি যদি এই বিষয়ে মনোযোগ না দিতে সক্ষম হও, তাহলে মনোযোগ দিও না। যাতে করে তারা জানতে ও শিখতে পারে। তারা অচিরেই নিজেদের থেকেই এই দল ত্যাগ করবে। অনুরূপভাবে যেসব যুবক জানে না যে, ইখওয়ানুল মুফলিসূন কোন মতাদর্শের উপর রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও একই পন্থা। তুমি যদি তাদেরকে আল্লাহ’র কিতাব এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাহ শিক্ষা দিতে সক্ষম হও, তাহলে তা খুবই ভালো। তবে তারা যদি জানতে পারে যে, তুমি তাদের সাথে আন্তরিক নও, তাহলে তারা তোমার নিকট থেকে তাদের যুবকদের প্রত্যাহার করবে।
  • এটাই সারকথা।

  • সা‘ঈদ হাওয়া তার এক গ্রন্থে বলেছে, “যেসব ‘আলিম আমাদের দা‘ওয়াতের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে, তাদের সামনে থেকে যুবকদেরকে প্রত্যাহার করা বাঞ্ছনীয়। যাতে করে ওই ‘আলিম উপলব্ধি করতে পারে যে, সে একাকী পথ চলছে!” সা‘ঈদ হাওয়া নামক মিসকীন ইখওয়ানুল মুফলিসূনের খেদমতে তার জীবনকে ধ্বংস করেছে। সে মরেছে, তার কিতাবগুলোও মরে গেছে। তবে সা‘ঈদ হাওয়া ইখওয়ানুল মুফলিসূনের খেদমতে সালাহ আস-সাউয়ীকে স্থালাভিষিক্ত করেছে।

  • হে সালাহ আস-সাউয়ী, সা‘ঈদ হাওয়া’র জীবন যেভাবে ধ্বংস হয়েছে, তোমার জীবনও সেভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে এবং গোপন আকাঙ্ক্ষা সাথে নিয়েই তোমার জীবনের ইতি ঘটবে। তুমি না অর্জন করতে পারবে যুবকদের, আর না আঁকড়ে ধরতে পারবে তোমার দ্বীন। সালাহ আস-সাউয়ী ভালো লোক ছিল। পরবর্তীতে তার অধঃপতন ঘটেছে। বর্তমানে সে সা‘ঈদ হাওয়া’র স্থলাভিষিক্ত। আমি তাকে নসিহত করছি, সে যেন সা‘ঈদ হাওয়া’র পতন থেকে শিক্ষা নেয়। আল্লাহ সহায় হোন।” [ইমাম মুক্ববিল আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ), গারাতুল আশরিত্বাহ ‘আলা আহলিল জাহলি ওয়াস সাফসাত্বাহ; খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৯০; দারুল হারামাইন, কায়রো কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪১৯ হি./১৯৯৮ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
  • ·
  • ১৯শ বক্তব্য:

  • ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) মুসলিম ব্রাদারহুডের রিফিউটশনে লেখা একটি বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন। বইটির নাম—রিসালাতুন উখুউয়িয়্যাহ: লিমাযা তারাকতু দা‘ওয়াতাল ইখওয়ানিল মুসলিমীন ওয়াত্তাবা‘তুল মানহাজাস সালাফী (ভ্রাতৃত্ববন্ধনের চিঠি: যে কারণে আমি মুসলিম ব্রাদারহুড ছাড়লাম এবং সালাফী মানহাজ গ্রহণ করলাম)। বইটির ভূমিকায় ইমাম মুক্ববিল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন,

  • فقد اطلعت على رسالة أخينا الفاضل فيصل بن عبده بن قائد الحاشدي، «رسالة أخوية» فوجدتها مفيدة عظيمة الفوائد أمثالها قليل في موضوعها، فعرضتها على أخينا الفاضل سعيد بن عمر حبيشان وطلبت منه طبعها ليعم النفع بها فاستجاب حفظه الله.
  • فعسى الله أن يوفق أختنا فيصلاً لمواصلة السير للذب عن الدين، وإن الرد على أصحاب البدع لأعظم جهاد ومن خير القرَب التي يتقرب بها إلى الله.
  • ولا يهولنَّك يا أختنا فيصل إرجاف المرجفين الذين يتأملون من الدعوة إلى السنة ومحاربة البدع فإنها ستتضح الحقيقة اليوم أو غداً أو بعد غدٍ. والحمد لله رب العالمين.

  • “আমাদের সম্মানিত ভাই ফাইসাল বিন ‘আবদুহ বিন ক্বাইদ আল-হাশিদীর লেখা চিঠি “রিসালাতুন উখুউয়িয়্যাহ (ভ্রাতৃত্ববন্ধনের চিঠি)” পড়েছি। আমি চিঠিটিকে খুবই উপকারী এবং ফায়দাসমৃদ্ধ হিসেবে পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এরকম লেখার নজির বড়োই অপ্রতুল। আমি চিঠিটি আমাদের সম্মানিত ভাই সা‘ঈদ বিন ‘উমার হুবাইশানের কাছে উপস্থাপন করেছি এবং তাঁর কাছে কামনা করেছি, তিনি যেন চিঠিটি মুদ্রণ করে প্রকাশ করেন, যাতে করে ব্যাপকভাবে এর দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়। তিনি আমার প্রত্যাশায় সাড়া দিয়েছেন। আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করুন।

  • আশা করা যায়, আল্লাহ আমাদের ভাই ফাইসালকে দ্বীনের ডিফেন্সে কাজ করার পথে সংযুক্ত থাকার তাওফীক্ব দিবেন। নিশ্চয় বিদ‘আতীদের রিফিউট করা সবচেয়ে বড় জিহাদ এবং সর্বোৎকৃষ্ট নৈকট্য, যার মাধ্যমে আল্লাহ’র নিকটবর্তী হওয়া যায়।
  • হে আমাদের ভাই ফাইসাল, রটনাকারীদের গুজব ও রটনা যেন আপনাকে ভীতসন্ত্রস্ত না করে, যেই রটনাকারীরা সুন্নাহ’র দিকে দা‘ওয়াত দিলে এবং বিদ‘আতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে কষ্ট পায়। নিশ্চয় প্রকৃত বিষয় অচিরেই আরও স্পষ্ট হবে—আজ, বা কাল, বা পরশু। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য।” [ফাইসাল বিন ‘আবদুহ বিন ক্বাইদ আল-হাশিদী, রিসালাতুন উখুউয়িয়্যাহ: লিমাযা তারাকতু দা‘ওয়াতাল ইখওয়ানিল মুসলিমীন ওয়াত্তাবা‘তুল মানহাজাস সালাফী; পৃষ্ঠা: ৫; দারুল আসার, সানা কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৩ হি./২০০২ খ্রি. (১ম প্রকাশ)]
  • ·
  • ২০শ বক্তব্য:

  • ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) মুসলিম ব্রাদারহুডের রিফিউটেশনে লেখা আরেকটি বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন। বইয়ের নাম—হিওয়ারুন হাদী মা‘আ ইখওয়ানী (একজন ইখওয়ানীর সাথে শান্তিপূর্ণ আলোচনা)। তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) ভূমিকায় লিখেছেন,

  • فقد اطلعت على رسالة أخينا في الله أحمد بن محمد الشحي «حوار هادئ مع إخواني» فوجدتها على صغر حجمها كافية وافية لا يحتاج المنصف إلى غيرها من المطولات.
  • ولقد وفق الأخ أحمد حفظه الله في حواره الهادئ مع إخوانه، فالعنوان يدل على أن الباعث له على كتابة تلك الرسالة هو الإشفاق على إخوانه من الزيغ والضياع ولكن الطرف الآخر يقابل هذا الأسلوب الحسن بالسيّء، فتارة يقولون إن هذا يفرق صفوف الأمة ولو أنصفوا لعلموا أن الدعوة إلى الكتاب والسنة على فهم السلف الصالح يجمّع ولا يفرّق وتارة يرمون المخالف لهم بالشذوذ ولقد أبو محمد بن حزم رحمه الله في كتابه إحكام الأحكام فصلا للشذوذ وأبان فيه أن الشذوذ هو المخالفة للكتاب والسنة، وتارة يلبّسون على الناس بأن هذا يسب العلماء، ولو أنصفوا لعلموا أنه قد أجمع من يعتدّ به على الجرح والتعديل.
  • وإليك بعض الأدلة من الكتاب والسنة قال الله سبحانه وتعالى ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ كَثِيرًا مِنَ الْأَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ لَيَأْكُلُونَ أَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّه﴾. وموسى عليه السلام يقول لصاحبه: ﴿إِنَّكَ لَغَوِي﴾ وقول يوسف عليه السلام لإخوته: ﴿أَنْتُمْ شَرٌّ مَكَانًا﴾.
  • ومن السنة قوله ﷺ : «إِنَّمَا هَذَا مِنْ إِخْوَانِ الْكُهَّانِ» مِنْ أَجْلِ سَجْعِهِ الَّذِي سَجَعَ. رواه مسلم. وقوله ﷺ : «َيَا مُعَاذُ أَفَتَّانٌ أَنْتَ». متفق عليه من حديث جابر. وقوله ﷺ لأبي ذرّ : «إِنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِلِيَّةٌ» متفق عليه من حديث أبي ذرّ رضي الله عنه. والأدلة على ذلك كثيرة قد ذكرت بعضها في «المخرج من الفتنة». وإني أحمد الله فقد اتضحت الحقيقة لكل مريد الحق واشمأز الشباب من الحزبية بمصر واليمن وأرض الحرمين ونجد والسودان وغيرها من البلاد الإسلامية ورفضوها فجزى الله من كان سبباً في إنقاءهم خيراً.
  • واللهَ أسأل أن يجزي أخانا أحمد الشحي خيراً وأن يوفقه لمواصلة الميسر لبيان أحوال أهل البدع فإنه يعتبر من أفضل القربات، والحمد لله رب العالمين.

  • “আমি আমাদের দ্বীনী ভাই আহমাদ বিন মুহাম্মাদ আশ-শিহহী প্রণীত “হিওয়ারুন হাদী মা‘আ ইখওয়ানী”– শীর্ষক পুস্তিকাটি পড়েছি। ছোটো আকারের বই হিসেবে আমি এটাকে পূর্ণাঙ্গ ও যথেষ্ট হিসেবে পেয়েছি। একজন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তির অন্য কোনো লম্বা আলোচনাসমৃদ্ধ বই পড়ার প্রয়োজন হবে না।

  • নিশ্চয় ভাই আহমাদ (হাফিযাহুল্লাহ) কে তাঁর ভাইদের সাথে শান্তিপূর্ণ আলোচনা করার তাওফীক্ব দেওয়া হয়েছে। বইয়ের শিরোনাম প্রমাণ করে যে, তাঁর ভাইয়েরা বিপথগামী ও ধ্বংস হয়ে যাবে—এমন আশঙ্কাই তাঁকে এই পুস্তিকাটি লেখার প্রেরণা জুগিয়েছে। কিন্তু অন্যপক্ষের লোকেরা এই সুন্দর পদ্ধতিকে খারাপের মাধ্যমে পরিবর্তন করে দেয়। কখনো তারা বলে, এটা উম্মাহ’র ঐক্যকে বিভক্ত করছে। তারা যদি ইনসাফ করত, তাহলে তারা জানতে পারত যে, ন্যায়নিষ্ঠ সালাফদের বুঝ অনুযায়ী কিতাব ও সুন্নাহ’র দিকে দা‘ওয়াত প্রদান লোকদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে, বিভক্ত করে না। কখনো তারা তাদের বিরোধীকে বিরল হওয়ার অপবাদ দেয়। অথচ আবূ মুহাম্মাদ বিন হাযম (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর লেখা “ইহকামুল আহকাম” গ্রন্থে বিরল হওয়ার ব্যাপারে একটি পরিচ্ছেদ রচনা করেছেন এবং সেখানে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, কিতাব ও সুন্নাহ’র বিরোধিতাই প্রকৃত বিরলতা (শুযূয)। কখনো তারা লোকদেরকে এই বলে সংশয়ে ফেলে দেয় যে, এই ব্যক্তি ‘আলিমদের গালি দেয়। তারা যদি ইনসাফ করত, তাহলে জানতে পারত যে, মান্যবর ‘আলিমগণ জারাহ ও তা‘দীলের উপর একমত পোষণ করেছেন।

  • তোমার কাছে কিতাব ও সুন্নাহ’র কিছু দলিল পেশ করছি। মহান আল্লাহ বলেছেন, “হে ঈমানদারগণ, নিশ্চয় পণ্ডিত ও সংসার-বিরাগীদের অনেকেই মানুষের ধনসম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে, আর আল্লাহ’র পথে বাধা দেয়।” (সূরাহ তাওবাহ: ৩৪) মূসা (‘আলাইহিস সালাম) তাঁর গোত্রের লোককে বলেছিলেন, “নিশ্চয় তুমি তো একজন বিভ্রান্ত ব্যক্তি।” (সূরাহ ক্বাসাস: ১৮) ইউসুফ (‘আলাইহিস সালাম) তাঁর ভাইদের বলেছিলেন, “তোমাদের অবস্থান তো নিকৃষ্টতর।” (সূরাহ ইউসুফ: ৭৭)

  • সুন্নাহ’র দলিল: এক ব্যক্তি ছন্দযুক্ত বাক্য বলার কারণে নাবী ﷺ বললেন, “এ যেন গণকদের ভাই।” (সাহীহ মুসলিম, হা/১৬৮২; ‘ক্বাসামাহ’ অধ্যায়; পরিচ্ছেদ- ১১) নাবী ﷺ বলেছেন, “হে মু‘আয, তুমি কি ফিতনাহ সৃষ্টিকারী?!” (সাহীহ বুখারী, হা/৭০৫; সাহীহ মুসলিম, হা/৪৬৫) নাবী ﷺ আবূ যারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “নিশ্চয় তুমি এমন লোক, যার মধ্যে জাহিলী স্বভাব আছে।” (সাহীহ বুখারী, হা/30; সাহীহ মুসলিম, হা/১৬৬১) এ ব্যাপারে আরও অনেক দলিল আছে, যার কিছু আমি “আল-মাখরাজ মিনাল ফিতনাহ” গ্রন্থে উল্লেখ করেছি।

  • আমি আল্লাহ’র প্রশংসা করছি। প্রত্যেক সত্যান্বেষী ব্যক্তির কাছে প্রকৃত বিষয় উদ্ভাসিত হয়েছে। মিশর, ইয়েমেন, মক্কা-মদিনা, নজদ, সুদান এবং অন্যান্য মুসলিম দেশে যুবকরা হিযবিয়্যাহকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। যে ব্যক্তিই যুবকদের এমন নিষ্কৃতির কারণ হয়েছেন, আল্লাহ তাঁকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

  • আমি আল্লাহ’র কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন আমাদের ভাই আহমাদ আশ-শিহহীকে উত্তম প্রতিদান দান করেন এবং তাঁকে বিদ‘আতীদের হালহকিকত বর্ণনা করার পথে সংযুক্ত থাকার তাওফীক্ব দান করেন। কেননা বিদ‘আতীদের হালহকিকত বর্ণনা করাকে সর্বশ্রেষ্ঠ নৈকট্যপূর্ণ কর্মসমূহের অন্তর্ভুক্ত গণ্য করা হয়। যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য।” [আহমাদ বিন মুহাম্মাদ আশ-শিহহী, হিওয়ারুন হাদী মা‘আ ইখওয়ানী; পৃষ্ঠা: ৩-৫; মাকতাবাতুল ফুরক্বান, সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৩ হি./২০০২ খ্রি. (৩য় প্রকাশ)]

  • [২৫শ অধ্যায় এই পর্বেই সমাপ্ত]
  • অনুবাদ ও সংকলনে: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
  • পরিবেশনায়: www.facebook.com/SunniSalafiAthari(সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে)

Post a Comment

0 Comments